সম্পাদকীয়
বাংলাদেশের সংবিধানে সুস্পষ্ট লেখা আছে ‘ফ্রিডম অব প্রেস’ বা বাক্স্বাধীনতার কথা। এর মাঝে ফাঁকফোকর যে নেই তা-ও নয়। হ্যাঁ, রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কথা বললে বা কাজ করলে আইনের কাঠগড়ায় তো দাঁড়াতে হবেই। কিন্তু এমন কী করেছেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম? সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হলেন। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় তাঁকে আটকে রাখা হলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে।
মিজান নামে এক পুলিশ সদস্য দ্বারা নাজেহাল হলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতেও দেখা গেল অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা বেগম রোজিনার গলা চেপে ধরে তাঁকে শাসাচ্ছেন। যদিও জেবুন্নেসা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন ছবির নারীটি তিনি নন।
রাতে রোজিনাকে হস্তান্তর করা হলো শাহবাগ থানায়। অসুস্থ হয়ে পড়ার পরেও হাসপাতালে নেওয়ার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। রাতারাতি তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয় অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে। অথচ যে নথি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ সচিবালয় থেকে করা হয়েছে তার বর্ণনা এজাহারে নেই বরং সেগুলো উপস্থাপন করেছেন একজন সরকারি কর্মকর্তা। এমনটাই তথ্য দিয়েছেন রোজিনার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। এই অভিযোগ কি মানহানিকর নয়? তাঁর অপরাধ কি শুধু এটুকুই যে তিনি স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম আর দুর্নীতি নিয়ে ধারাবাহিক সংবাদ তৈরি করছিলেন?
যেখানে সেই ১৯৭৪ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে পদত্যাগ করানো যায় শুধু সাংবাদিকের টেলিফোনে গোপন আড়িপাতার কারণে, সেখানে আজ ২০২১ সালে এসেও একজন কর্তব্যরত অনুসন্ধানী প্রতিবেদককে হেনস্তা হতে হয়! দেশ কি তাহলে এগোচ্ছে? এক পা, দুই পা করে অনাধুনিকতার দিকে, নাকি কণ্ঠ চেপে ধরার স্বাধীনতার দিকে! আমরা কি আস্থা রাখতে পারি আইনের শাসন তথা ন্যায়বিচারের প্রতি? নিক্সনের পদত্যাগের পেছনে কিন্তু আইনি লড়াইয়ে সত্যেরই জয় হয়েছিল। সত্যের জয় দেখতে আমাদের প্রতীক্ষা আর কত দীর্ঘ হবে!
বাংলাদেশের সংবিধানে সুস্পষ্ট লেখা আছে ‘ফ্রিডম অব প্রেস’ বা বাক্স্বাধীনতার কথা। এর মাঝে ফাঁকফোকর যে নেই তা-ও নয়। হ্যাঁ, রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কথা বললে বা কাজ করলে আইনের কাঠগড়ায় তো দাঁড়াতে হবেই। কিন্তু এমন কী করেছেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম? সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হলেন। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় তাঁকে আটকে রাখা হলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে।
মিজান নামে এক পুলিশ সদস্য দ্বারা নাজেহাল হলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতেও দেখা গেল অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা বেগম রোজিনার গলা চেপে ধরে তাঁকে শাসাচ্ছেন। যদিও জেবুন্নেসা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন ছবির নারীটি তিনি নন।
রাতে রোজিনাকে হস্তান্তর করা হলো শাহবাগ থানায়। অসুস্থ হয়ে পড়ার পরেও হাসপাতালে নেওয়ার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। রাতারাতি তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয় অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে। অথচ যে নথি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ সচিবালয় থেকে করা হয়েছে তার বর্ণনা এজাহারে নেই বরং সেগুলো উপস্থাপন করেছেন একজন সরকারি কর্মকর্তা। এমনটাই তথ্য দিয়েছেন রোজিনার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। এই অভিযোগ কি মানহানিকর নয়? তাঁর অপরাধ কি শুধু এটুকুই যে তিনি স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম আর দুর্নীতি নিয়ে ধারাবাহিক সংবাদ তৈরি করছিলেন?
যেখানে সেই ১৯৭৪ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে পদত্যাগ করানো যায় শুধু সাংবাদিকের টেলিফোনে গোপন আড়িপাতার কারণে, সেখানে আজ ২০২১ সালে এসেও একজন কর্তব্যরত অনুসন্ধানী প্রতিবেদককে হেনস্তা হতে হয়! দেশ কি তাহলে এগোচ্ছে? এক পা, দুই পা করে অনাধুনিকতার দিকে, নাকি কণ্ঠ চেপে ধরার স্বাধীনতার দিকে! আমরা কি আস্থা রাখতে পারি আইনের শাসন তথা ন্যায়বিচারের প্রতি? নিক্সনের পদত্যাগের পেছনে কিন্তু আইনি লড়াইয়ে সত্যেরই জয় হয়েছিল। সত্যের জয় দেখতে আমাদের প্রতীক্ষা আর কত দীর্ঘ হবে!
বিতর্ক যাঁর নিত্যসঙ্গী, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্যবসায়ী থেকে রাষ্ট্রনায়ক বনে যাওয়া আশি ছুঁই ছুঁই এই ব্যক্তি এমন সব কর্মকাণ্ড করছেন, যেগুলো মার্কিন প্রেসিডেন্টদের চর্চিত ধ্রুপদি সংস্কৃতির সঙ্গে বেমানান। ট্রাম্প এমন অনেক নীতি গ্রহণ করছেন, যেগুলো যুক্তরাষ্ট্র বা তাঁর ঘোষিত লক্ষ্যের
১৭ ঘণ্টা আগেদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠাপানির জলাভূমি টাঙ্গুয়ার হাওর। আয়তন ১২৬ বর্গকিলোমিটার। হাওরের অবস্থান সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর ও তাহিরপুর উপজেলায়। এই হাওর শুধু মিঠাপানির জলাভূমিই নয়; নয়নাভিরাম এবং জীববৈচিত্র্যের অন্যতম আধার। এ ছাড়া হাজার হাজার মানুষের জীবিকার উৎসস্থল এই হাওর।
১৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে মাছ ধরতে জেলেরা এখন প্রাচীন পদ্ধতি আর ব্যবহার করছেন না। প্রায়ই দেখা যাচ্ছে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকারের খবর। জেলেরা এক ধরনের অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড বা গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ শিকার করছেন। এই ট্যাবলেট অত্যন্ত ক্ষতিকর। কেননা, এটি পানিতে ফেললে জলে থাকা সব মাছ তো মারা যায়ই, সঙ্গে মাটির নিচের মাছগুলোও
১৭ ঘণ্টা আগেচুরিবিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড়ে ধরা—এই প্রবাদকে সত্যে পরিণত করেছেন জনৈক চোর। মাওলানা ভাসানী সেতুর সড়কবাতির তার চুরি করার পর এবার তিনি চুরি করেছেন শতাধিক রিফ্লেক্টর লাইট। পাঠক, আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে ২৫ আগস্ট, সোমবার আমরা গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত এই সেতুর তার চুরির প্রতিবেদন
১৭ ঘণ্টা আগে