সম্পাদকীয়
আমাদের হয়েছেটা কী! মাত্র চার কোটি টাকা এদিক-ওদিক হওয়ায় আমাদের যেন ঘুম হারাম হয়ে গেছে! আপনারা পড়ে আছেন সেই মান্ধাতার আমলে! যখন লাখপতি, কোটিপতিরা আসত আলোচনায়। অর্থাৎ, কোনো মানুষের যদি এক লাখ টাকা থাকত, তবেই সে হতো লাখপতি! টাকার গর্বে এদের মাটিতে পা পড়ত না। তখন এই চার কোটি টাকার একটা মানে ছিল। চার কোটি টাকা এক লাখ টাকার চেয়ে অনেক বেশি। যিনি কোটিপতি, তিনি যে ধরাছোঁয়ার বাইরে—সেটা বুঝত তখন সবাই।
কিন্তু এখন? এখন কি চার কোটি টাকার কোনো দাম আছে? ব্যাংক থেকে নানাভাবে ভুলিয়ে-ভালিয়ে হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা তো এখন ডাল-ভাত হয়ে গেছে। হাজার কোটি টাকার ঘাড়ে চড়ে যারা ব্যাংকের ঘাড় মটকেছেন, তাদের কথা একবার ভেবে দেখুন, তারপর ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখায় ঘটে যাওয়া তুচ্ছ ঘটনাটির কথা ভাবুন। ভাবা হয়েছে? মাত্র চার কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় এখন কি লজ্জা পাচ্ছেন না?
শুনুন তবে! ‘মারি তো গন্ডার, লুটি তো ভান্ডার’ প্রবাদটি তো আর এমনি এমনি জন্মায়নি। যদি লুট করতেই হয়, তাহলে সবচেয়ে বড় দাঁও-টাই তো মারতে হবে। আপনাদের জন্য কয়েকটা ঘটনা তুলে দিই এখানে। নামগুলো শুনলেই অতীতের অনেক ‘অর্জন’-এর কথাই আপনার মনে পড়ে যাবে। মনে পড়ে বেসিক ব্যাংকের কথা? কেলেঙ্কারি-টেলেঙ্কারি বলে এ রকম মহিমান্বিত ঘটনাকে কলুষিত করতে চাই না। শুধু মনে করিয়ে দিই, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধি অনুযায়ী, কোনো ব্যাংকের মোট মূলধনের ১০ শতাংশের বেশি কোনো একক গ্রুপ বা ব্যক্তিকে ঋণ দিলে তা বড় অঙ্কের ঋণ হিসেবে চিহ্নিত হবে। এবার মনে করে দেখুন, বেসিক ব্যাংক সে রকম বড় ঋণ কয়জনকে দিয়েছে। ২০১০ থেকে ২০১২ সাল—এই তিন বছরেই ব্যাংকটি থেকে ঋণ জালিয়াতি হয়েছে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। হ্যাঁ, এই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
হল–মার্কের কথাও কি মনে করিয়ে দিতে হবে? আহা! সোনালী ব্যাংক! আহা, আড়াই হাজার কোটি টাকা! হল–মার্ক নিশ্চয়ই মাটিতে সিঁধ কেটে সোনালী ব্যাংকে ঢোকেনি। আর সোনালী ব্যাংকের কতিপয় সোনার ছেলে নিশ্চয়ই এই লোপাটের সময় চোখ বন্ধ করে থাকেনি। চোখ বন্ধ করে নিজেদের নির্লিপ্ত রাখার কোনো প্রশ্নই আসে না। তারা বরং হল মার্কের এই ঐতিহাসিক ঘটনার সঙ্গে নানাভাবে নিজেদের জড়িত করে অমর হয়েছে!
বিসমিল্লাহ গ্রুপ আর জনতা ব্যাংকের প্রসঙ্গ নিয়ে বিশদে যাওয়ার আর প্রয়োজন নেই। শুধু বলি, সেখানেও হাজার কোটি টাকার মামলা।
তাই বলি, ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখায় মাত্র চার কোটি টাকা নিয়ে যে হইচই শুরু হয়েছে, তা অবিলম্বে বন্ধ করুন। ছোটখাটো ব্যাপার নিয়ে ভাবলে আমরা বড় হব কী করে?
আমাদের হয়েছেটা কী! মাত্র চার কোটি টাকা এদিক-ওদিক হওয়ায় আমাদের যেন ঘুম হারাম হয়ে গেছে! আপনারা পড়ে আছেন সেই মান্ধাতার আমলে! যখন লাখপতি, কোটিপতিরা আসত আলোচনায়। অর্থাৎ, কোনো মানুষের যদি এক লাখ টাকা থাকত, তবেই সে হতো লাখপতি! টাকার গর্বে এদের মাটিতে পা পড়ত না। তখন এই চার কোটি টাকার একটা মানে ছিল। চার কোটি টাকা এক লাখ টাকার চেয়ে অনেক বেশি। যিনি কোটিপতি, তিনি যে ধরাছোঁয়ার বাইরে—সেটা বুঝত তখন সবাই।
কিন্তু এখন? এখন কি চার কোটি টাকার কোনো দাম আছে? ব্যাংক থেকে নানাভাবে ভুলিয়ে-ভালিয়ে হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা তো এখন ডাল-ভাত হয়ে গেছে। হাজার কোটি টাকার ঘাড়ে চড়ে যারা ব্যাংকের ঘাড় মটকেছেন, তাদের কথা একবার ভেবে দেখুন, তারপর ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখায় ঘটে যাওয়া তুচ্ছ ঘটনাটির কথা ভাবুন। ভাবা হয়েছে? মাত্র চার কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় এখন কি লজ্জা পাচ্ছেন না?
শুনুন তবে! ‘মারি তো গন্ডার, লুটি তো ভান্ডার’ প্রবাদটি তো আর এমনি এমনি জন্মায়নি। যদি লুট করতেই হয়, তাহলে সবচেয়ে বড় দাঁও-টাই তো মারতে হবে। আপনাদের জন্য কয়েকটা ঘটনা তুলে দিই এখানে। নামগুলো শুনলেই অতীতের অনেক ‘অর্জন’-এর কথাই আপনার মনে পড়ে যাবে। মনে পড়ে বেসিক ব্যাংকের কথা? কেলেঙ্কারি-টেলেঙ্কারি বলে এ রকম মহিমান্বিত ঘটনাকে কলুষিত করতে চাই না। শুধু মনে করিয়ে দিই, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধি অনুযায়ী, কোনো ব্যাংকের মোট মূলধনের ১০ শতাংশের বেশি কোনো একক গ্রুপ বা ব্যক্তিকে ঋণ দিলে তা বড় অঙ্কের ঋণ হিসেবে চিহ্নিত হবে। এবার মনে করে দেখুন, বেসিক ব্যাংক সে রকম বড় ঋণ কয়জনকে দিয়েছে। ২০১০ থেকে ২০১২ সাল—এই তিন বছরেই ব্যাংকটি থেকে ঋণ জালিয়াতি হয়েছে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। হ্যাঁ, এই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
হল–মার্কের কথাও কি মনে করিয়ে দিতে হবে? আহা! সোনালী ব্যাংক! আহা, আড়াই হাজার কোটি টাকা! হল–মার্ক নিশ্চয়ই মাটিতে সিঁধ কেটে সোনালী ব্যাংকে ঢোকেনি। আর সোনালী ব্যাংকের কতিপয় সোনার ছেলে নিশ্চয়ই এই লোপাটের সময় চোখ বন্ধ করে থাকেনি। চোখ বন্ধ করে নিজেদের নির্লিপ্ত রাখার কোনো প্রশ্নই আসে না। তারা বরং হল মার্কের এই ঐতিহাসিক ঘটনার সঙ্গে নানাভাবে নিজেদের জড়িত করে অমর হয়েছে!
বিসমিল্লাহ গ্রুপ আর জনতা ব্যাংকের প্রসঙ্গ নিয়ে বিশদে যাওয়ার আর প্রয়োজন নেই। শুধু বলি, সেখানেও হাজার কোটি টাকার মামলা।
তাই বলি, ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখায় মাত্র চার কোটি টাকা নিয়ে যে হইচই শুরু হয়েছে, তা অবিলম্বে বন্ধ করুন। ছোটখাটো ব্যাপার নিয়ে ভাবলে আমরা বড় হব কী করে?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে পড়াশোনা করা মোজাম্মেল হোসেন, ঘনিষ্ঠ মহলে যিনি মঞ্জু নামেই বেশি পরিচিত, ছাত্রাবস্থায় ১৯৬৯ সালে সাপ্তাহিক ‘যুগবাণী’ ও ১৯৭০ সালে সাপ্তাহিক ‘একতা’য় প্রতিবেদক হিসেবে পেশাজীবন শুরু করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘মুক্তিযুদ্ধ’ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক ছিলেন।
১০ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ। নতুন প্রজন্ম বেড়ে উঠছে ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার (বর্তমানে এক্স), ইনস্টাগ্রাম, মোবাইল অ্যাপ, ডিজিটাল কনটেন্টের প্রভাবিত জগতে। শুধু নতুন প্রজন্মই নয়, এটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সব বয়সীর মধ্যে।
১০ ঘণ্টা আগেঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ৩৭ নম্বর মধ্য গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে আজকের পত্রিকায় ছাপা হওয়া এক প্রতিবেদনে। একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজনমাত্র শিক্ষক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বসেছেন পড়াতে।
১০ ঘণ্টা আগেআশা-নিরাশা নিয়ে যুগে যুগে জ্ঞানী-গুণী, মহাজনদের মুখনিঃসৃত বাণী আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে বিষম-বিভ্রমের মধ্যে ফেলে রেখেছে। কারণ, তাঁদের কেউ বলেছেন ‘ধন্য আশা কুহকিনি/তোমার মায়ায়, অসার সংসারচক্র ঘোরে নিরবধি, দাঁড়াইত স্থিরভাবে, চলিত না হায়; মন্ত্রবলে তুমি চক্র না ঘুরাতে যদি...’।
১ দিন আগে