সম্পাদকীয়
১৩ কেজি ওজনের এই পাঙাশটি কি কুক্ষণে ঘুরে বেড়াচ্ছিল রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার কুশাহাটা এলাকায়, সেটা কেউ বলতে পারবে না। পদ্মা নদীতে মধ্যরাতে ঘুরে বেড়ানো হয়তো ছিল মাছটির শখ! কিন্তু ছেলেদের হাতে ধরা পড়তে হলো তাকে। তারপর যা হয়, চারদিকে সাড়া পড়ে গেল, কানশে থেকে লেজ পর্যন্ত দড়ি বেঁধে ছবি তোলা হলো, কেনার জন্য ক্রেতা খোঁজা হলো, বিক্রি হলো ১৬ হাজার ৩০০ টাকায়। ক্রেতা এখন আবার নতুন ক্রেতা খুঁজছেন। ঢাকা বা অন্য কোনো জায়গায় বিক্রি করতে চান মাছটিকে।
কোনো সন্দেহ নেই, বাঙালি মাছখেকো। নানা ধরনের মাছ বাঙালির রসনা তৃপ্ত করে চলেছে বহুদিন ধরে। নদী ভেঙেছে গড়েছে, দিক বদলেছে, বহু মানুষের কপাল পুড়িয়েছে, বহু মানুষের ভাগ্য ফিরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সেই আদিকাল থেকে মৎস্য কুলকে ধারণ করেছে পরম মমতায়। ফলে জনসংখ্যা বাড়লেও বাঙালি মাছের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়নি। যদিও কালক্রমে অনেক খামারি নতুন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাছের চাষ করছেন, তবু বলা যায়, নদীর মাছের স্বাদ চাষের মাছের সঙ্গে তুলনীয় নয়। এ কারণেই বাজারে গেলে মাছ বিক্রেতারা সব মাছকেই নদীর মাছ বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
ইদানীং জীবনযাত্রার ধরন বদলেছে বলে, বড় মাছ কারও জালে ধরা পড়লে তা অনেকের মন স্পর্শ করে না। বর্তমান জীবনের সঙ্গে অতীত জীবনধারায় মিল খুঁজে পাওয়া যায় কমই। তাই নদী দেখেনি যে, জেলেদের মাছ ধরার সঙ্গে যার কোনো পরিচয় নেই, তার পক্ষে ১৩ কেজি ওজনের পাঙাশ মাছ ধরার আনন্দ বুঝে ওঠা কঠিন।
তাই বলে, এই আনন্দ যে আবহমানকাল ধরে হাজার লক্ষ মানুষকে তৃপ্তি দিয়ে আসছে, সে কথা তো আর অস্বীকার করার উপায় নেই।
১৩ কেজি ওজনের এই পাঙাশটি কি কুক্ষণে ঘুরে বেড়াচ্ছিল রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার কুশাহাটা এলাকায়, সেটা কেউ বলতে পারবে না। পদ্মা নদীতে মধ্যরাতে ঘুরে বেড়ানো হয়তো ছিল মাছটির শখ! কিন্তু ছেলেদের হাতে ধরা পড়তে হলো তাকে। তারপর যা হয়, চারদিকে সাড়া পড়ে গেল, কানশে থেকে লেজ পর্যন্ত দড়ি বেঁধে ছবি তোলা হলো, কেনার জন্য ক্রেতা খোঁজা হলো, বিক্রি হলো ১৬ হাজার ৩০০ টাকায়। ক্রেতা এখন আবার নতুন ক্রেতা খুঁজছেন। ঢাকা বা অন্য কোনো জায়গায় বিক্রি করতে চান মাছটিকে।
কোনো সন্দেহ নেই, বাঙালি মাছখেকো। নানা ধরনের মাছ বাঙালির রসনা তৃপ্ত করে চলেছে বহুদিন ধরে। নদী ভেঙেছে গড়েছে, দিক বদলেছে, বহু মানুষের কপাল পুড়িয়েছে, বহু মানুষের ভাগ্য ফিরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সেই আদিকাল থেকে মৎস্য কুলকে ধারণ করেছে পরম মমতায়। ফলে জনসংখ্যা বাড়লেও বাঙালি মাছের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়নি। যদিও কালক্রমে অনেক খামারি নতুন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাছের চাষ করছেন, তবু বলা যায়, নদীর মাছের স্বাদ চাষের মাছের সঙ্গে তুলনীয় নয়। এ কারণেই বাজারে গেলে মাছ বিক্রেতারা সব মাছকেই নদীর মাছ বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
ইদানীং জীবনযাত্রার ধরন বদলেছে বলে, বড় মাছ কারও জালে ধরা পড়লে তা অনেকের মন স্পর্শ করে না। বর্তমান জীবনের সঙ্গে অতীত জীবনধারায় মিল খুঁজে পাওয়া যায় কমই। তাই নদী দেখেনি যে, জেলেদের মাছ ধরার সঙ্গে যার কোনো পরিচয় নেই, তার পক্ষে ১৩ কেজি ওজনের পাঙাশ মাছ ধরার আনন্দ বুঝে ওঠা কঠিন।
তাই বলে, এই আনন্দ যে আবহমানকাল ধরে হাজার লক্ষ মানুষকে তৃপ্তি দিয়ে আসছে, সে কথা তো আর অস্বীকার করার উপায় নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে পড়াশোনা করা মোজাম্মেল হোসেন, ঘনিষ্ঠ মহলে যিনি মঞ্জু নামেই বেশি পরিচিত, ছাত্রাবস্থায় ১৯৬৯ সালে সাপ্তাহিক ‘যুগবাণী’ ও ১৯৭০ সালে সাপ্তাহিক ‘একতা’য় প্রতিবেদক হিসেবে পেশাজীবন শুরু করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘মুক্তিযুদ্ধ’ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক ছিলেন।
২১ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ। নতুন প্রজন্ম বেড়ে উঠছে ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার (বর্তমানে এক্স), ইনস্টাগ্রাম, মোবাইল অ্যাপ, ডিজিটাল কনটেন্টের প্রভাবিত জগতে। শুধু নতুন প্রজন্মই নয়, এটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সব বয়সীর মধ্যে।
২১ ঘণ্টা আগেঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ৩৭ নম্বর মধ্য গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে আজকের পত্রিকায় ছাপা হওয়া এক প্রতিবেদনে। একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজনমাত্র শিক্ষক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বসেছেন পড়াতে।
২১ ঘণ্টা আগেআশা-নিরাশা নিয়ে যুগে যুগে জ্ঞানী-গুণী, মহাজনদের মুখনিঃসৃত বাণী আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে বিষম-বিভ্রমের মধ্যে ফেলে রেখেছে। কারণ, তাঁদের কেউ বলেছেন ‘ধন্য আশা কুহকিনি/তোমার মায়ায়, অসার সংসারচক্র ঘোরে নিরবধি, দাঁড়াইত স্থিরভাবে, চলিত না হায়; মন্ত্রবলে তুমি চক্র না ঘুরাতে যদি...’।
২ দিন আগে