সম্পাদকীয়
বাংলাদেশের রাজনীতিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতার ঘটনা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা নতুন নয়। এক পক্ষের তৃপ্তি এগুলো বাড়িয়ে বলায়, আরেক পক্ষের স্বস্তি অস্বীকারে। রোববার আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবরের শিরোনাম ‘পুলিশের অনুসন্ধান: সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা-ভাঙচুরের ৯৮% রাজনৈতিক’। এটি এক জটিল সমস্যা হিসেবে বহু বছর ধরেই বিদ্যমান। পুলিশের অনুসন্ধানে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, এ ধরনের বেশির ভাগ হামলার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কাজ করেছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে কোনো সহিংস ঘটনা ঘটেনি, তা নয়। তবে পুলিশ মনে করেছে এর উদ্দেশ্য ‘সাম্প্রদায়িক’ নয়, ‘রাজনৈতিক’। উদ্দেশ্য যা-ই হোক, এসব ঘটনায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি, জীবন ও মানসিক শান্তি বিনষ্ট হয়েছে। এসব ঘটনা আমাদের সমাজ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের জন্য হুমকিস্বরূপ এবং আমাদের বহুত্ববাদী সংস্কৃতির প্রতিও আঘাত।
সরকার এ ঘটনায় শূন্য সহিষ্ণু নীতি গ্রহণের কথা বললেও নীতির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাফল্যের পরিসংখ্যান ও তদন্তের তথ্য যথেষ্ট স্বস্তি দেয় না এ কারণে যে, আক্রান্ত মানুষের তাৎক্ষণিক এবং স্থায়ী সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়নি।
সরকারের দায়িত্ব হলো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনা। হামলা-ভাঙচুরের শিকার ব্যক্তিদের মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পুনর্বাসন জরুরি। এর বাইরে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করাটাও কম জরুরি নয়।
অনুসন্ধানে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ১ হাজার ২৩৪টি হামলার পেছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে এবং মাত্র ১.৫৯ শতাংশ ঘটনা সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয়েছে। কিন্তু এতে মূল বিষয়কে উপেক্ষা করা ঠিক হবে না। রাজনৈতিক হোক বা সাম্প্রদায়িক, হামলার প্রকৃতি অভিন্ন—সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা। এটি যে উদ্দেশ্যেই করা হোক, তা আইন, সমাজ ও নৈতিকতার পরিপন্থী।
হামলার ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে মাত্র ৬২টি, গ্রেপ্তার ৩৫ জন। এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন আসে, আইন প্রয়োগে গতি বাড়ানোর জন্য কি সরকার যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে? গ্রেপ্তার হওয়া অপরাধীরা কোনো রাজনৈতিক শক্তির ছায়া পাচ্ছে কি না, সেটাও জানা দরকার। সরকার কি রাজনৈতিক চাপ এড়িয়ে ত্বরিত বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে?
সরকার যদি চায় যে এ ধরনের সহিংসতা চিরতরে বন্ধ হোক, তবে কাজ করতে হবে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও নিরপেক্ষভাবে। শুধু মামলা ও ক্ষতিপূরণের ঘোষণা যথেষ্ট নয়। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা নিশ্চিত করা, দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার এবং আদালতে নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে গড়িমসি করা মানে প্রকারান্তরে এই সমস্যাকে জিইয়ে রাখা।
সাম্প্রদায়িক সহিংসতা দেশের জন্য অভিশাপ। রাজনৈতিক ক্ষমতার লড়াইয়ে সংখ্যালঘুদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সব রাজনৈতিক দলের এ ব্যাপারে ঐকমত্য থাকা প্রয়োজন। সহিংসতার পুনরাবৃত্তি বন্ধে শূন্য সহিষ্ণু নীতি বাস্তবায়নে আন্তরিক উদ্যোগ নিতেই হবে। এর জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছাই প্রধান চালিকাশক্তি।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতার ঘটনা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা নতুন নয়। এক পক্ষের তৃপ্তি এগুলো বাড়িয়ে বলায়, আরেক পক্ষের স্বস্তি অস্বীকারে। রোববার আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবরের শিরোনাম ‘পুলিশের অনুসন্ধান: সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা-ভাঙচুরের ৯৮% রাজনৈতিক’। এটি এক জটিল সমস্যা হিসেবে বহু বছর ধরেই বিদ্যমান। পুলিশের অনুসন্ধানে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, এ ধরনের বেশির ভাগ হামলার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কাজ করেছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে কোনো সহিংস ঘটনা ঘটেনি, তা নয়। তবে পুলিশ মনে করেছে এর উদ্দেশ্য ‘সাম্প্রদায়িক’ নয়, ‘রাজনৈতিক’। উদ্দেশ্য যা-ই হোক, এসব ঘটনায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি, জীবন ও মানসিক শান্তি বিনষ্ট হয়েছে। এসব ঘটনা আমাদের সমাজ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের জন্য হুমকিস্বরূপ এবং আমাদের বহুত্ববাদী সংস্কৃতির প্রতিও আঘাত।
সরকার এ ঘটনায় শূন্য সহিষ্ণু নীতি গ্রহণের কথা বললেও নীতির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাফল্যের পরিসংখ্যান ও তদন্তের তথ্য যথেষ্ট স্বস্তি দেয় না এ কারণে যে, আক্রান্ত মানুষের তাৎক্ষণিক এবং স্থায়ী সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়নি।
সরকারের দায়িত্ব হলো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনা। হামলা-ভাঙচুরের শিকার ব্যক্তিদের মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পুনর্বাসন জরুরি। এর বাইরে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করাটাও কম জরুরি নয়।
অনুসন্ধানে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ১ হাজার ২৩৪টি হামলার পেছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে এবং মাত্র ১.৫৯ শতাংশ ঘটনা সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয়েছে। কিন্তু এতে মূল বিষয়কে উপেক্ষা করা ঠিক হবে না। রাজনৈতিক হোক বা সাম্প্রদায়িক, হামলার প্রকৃতি অভিন্ন—সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা। এটি যে উদ্দেশ্যেই করা হোক, তা আইন, সমাজ ও নৈতিকতার পরিপন্থী।
হামলার ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে মাত্র ৬২টি, গ্রেপ্তার ৩৫ জন। এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন আসে, আইন প্রয়োগে গতি বাড়ানোর জন্য কি সরকার যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে? গ্রেপ্তার হওয়া অপরাধীরা কোনো রাজনৈতিক শক্তির ছায়া পাচ্ছে কি না, সেটাও জানা দরকার। সরকার কি রাজনৈতিক চাপ এড়িয়ে ত্বরিত বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে?
সরকার যদি চায় যে এ ধরনের সহিংসতা চিরতরে বন্ধ হোক, তবে কাজ করতে হবে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও নিরপেক্ষভাবে। শুধু মামলা ও ক্ষতিপূরণের ঘোষণা যথেষ্ট নয়। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা নিশ্চিত করা, দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার এবং আদালতে নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে গড়িমসি করা মানে প্রকারান্তরে এই সমস্যাকে জিইয়ে রাখা।
সাম্প্রদায়িক সহিংসতা দেশের জন্য অভিশাপ। রাজনৈতিক ক্ষমতার লড়াইয়ে সংখ্যালঘুদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সব রাজনৈতিক দলের এ ব্যাপারে ঐকমত্য থাকা প্রয়োজন। সহিংসতার পুনরাবৃত্তি বন্ধে শূন্য সহিষ্ণু নীতি বাস্তবায়নে আন্তরিক উদ্যোগ নিতেই হবে। এর জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছাই প্রধান চালিকাশক্তি।
কাশ্মীরের বুক চিরে বয়ে চলেছে ঝিলাম নদী। কাশ্মীর উপত্যকা হলো ঝিলামের উত্তর ভাগের অংশ। উপত্যকাটি ১৩৭ কিলোমিটার লম্বা এবং ৩০ থেকে ৪০ কিমি চওড়া। নৈসর্গিক সৌন্দর্যের কারণে কাশ্মীরকে বলা হয় ভূস্বর্গ। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আকর্ষণে সেখানে অনেকে বেড়াতে যান। ১৯৪৭ সালের আগে কেউ ভাবতে পারেননি যে কাশ্মীর হয়ে
৬ ঘণ্টা আগেসমাজের ধনী গরিব বৈষম্যের দূরত্বটাকে কমিয়ে, সম্পদের অধিকতর সুষম বণ্টন নিশ্চিত করে, একটি সুখী বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে মানুষের মৌলিক চাহিদা সম্পন্ন পণ্যের মূল্য নির্ধারণে একটি নতুন প্রস্তাবনা পেশ করছি। প্রথমেই বলে রাখি, এই উদ্যোগটি হবে সীমিত আকারের এবং এর সাফল্যের ভিত্তিতে এটি সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে
৭ ঘণ্টা আগেরাখাইনে মানবিক করিডরের প্রস্তাব বাংলাদেশের জন্য একদিকে মানবিক দায়িত্ব পালনের সুযোগ, অন্যদিকে চরম ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি। মিয়ানমারের জান্তা, বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও ভারত-চীনের প্রতিক্রিয়া না বুঝে করিডর চালু করলে তা ‘প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদে’ পরিণত হতে পারে। ভারতের কালাদান প্রকল্প ও চীনের ২১ বিলিয়ন ডলারের
৯ ঘণ্টা আগেসহজ কথা বলা যেমন সহজ নয়, তেমনি সহজ নয় আমাদের দেশে রাজনৈতিক বিষয়ে একমত হওয়া। আমাদের দেশে যত মাথা, তত মত—যে যার মতে অটল, নিজের বক্তব্যে অনড়। ফলে এখানে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানোই যেন যুদ্ধ জয়ের সমান। রাজনীতি তো আর গণিতের সূত্র নয়, যেখানে সবাই একই জবাব মেনে নেবে; এখানে আবেগ, স্বার্থ, বিশ্বাস আর...
১৮ ঘণ্টা আগে