সম্পাদকীয়
ঢাকা: ঈদের আগে বেতন-বোনাস কিছুই না পাওয়ার আশঙ্কায় কিছুটা হতাশার মধ্যে আছেন পোশাকশিল্পে নিয়োজিত হাজার হাজার শ্রমিক। এপ্রিল মাস তো দূরের কথা, মার্চ মাসের বেতনও পাননি অনেক শ্রমিক। হাতে গোনা কয়েকটি কারখানা নিয়মিত বেতন পরিশোধ করলেও বেশির ভাগ কারখানা মালিক বেতন পরিশোধে গড়িমসি করছেন। বেতনই যেখানে বাকি, সেখানে ঈদের বোনাস পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছেন অসংখ্য শ্রমিক। শ্রমিক সংগঠনগুলো দেনদরবার করেও কোনো সুরাহা করতে পারছে না। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ করতে না পারার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ঈদের আর বেশি দিন বাকি নেই, অথচ মালিকদের অনেকে বেতন-বোনাস পরিশোধে টালবাহানা শুরু করেছেন। শ্রমিকদের বেতন বকেয়া রেখে তাঁদের জিম্মি করে রাখার জন্যও কোনো কোনো মালিক বেতন বকেয়া রাখেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।
বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এবার রপ্তানি বেড়েছে। সে হিসাবে মুনাফাও নিশ্চয়ই বেড়েছে। তাহলে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে অনীহা কেন? একজন শ্রমিকনেতা বলেছেন, মালিকেরা সরকারের কাছ থেকে আবারও ৩০০ কোটি টাকা প্রণোদনা চেয়েছেন। এটা শ্রমিকদের মজুরি শোধ না করে সরকারের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের একটি কৌশল বলেই সংশ্লিষ্ট অনেকে মনে করেন। গত বছর মালিকেরা ২ শতাংশ সুদে যে প্রণোদনা পেয়েছিলেন, তার অর্ধেক অনুদান হিসেবে পাওয়ার জন্যও সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
দেশে প্রায় ৪ হাজারের মতো পোশাক কারখানায় ৩০-৩৫ লাখ শ্রমিক কাজ করেন। এর ৬০ শতাংশ নারী। এদের অনেককেই ওভারটাইম বা অতিরিক্ত সময় কাজ করতে হয়। কিন্তু কম বেতন নিয়মিত না পাওয়ায় এবং অন্য সুযোগ-সুবিধা না থাকায় বেশির ভাগ নারী শ্রমিককে কষ্টের এবং অমানবিক জীবন যাপন করতে হয়। নারী শ্রমিকেরা চাকরি চলে যাওয়ার ভয়ে প্রায়ই চুপচাপ থাকেন।
এই পীড়নমূলক অবস্থার অবসান হওয়া দরকার। মাঝেমধ্যে কোনো কোনো কারখানায় অসন্তোষ-বিক্ষোভ দেখা গেলেও সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয় না। পোশাকশিল্পে শান্তি বজায় না থাকলে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। কোনো রকম টালবাহানা না করে ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন এবং ঈদ বোনাস পরিশোধের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য মালিকদের বাধ্য করতে সরকারকেও চাপ দিতে হবে। মালিকেরা নিজেদেরটা ষোলো আনা বুঝবেন, আর যাঁরা তাঁদের মুনাফার সুযোগ করে দেন, সেই শ্রমিকদের দিকটা আট আনাও বুঝবেন না—এটা একেবারেই চলতে দেওয়া যায় না।
ঢাকা: ঈদের আগে বেতন-বোনাস কিছুই না পাওয়ার আশঙ্কায় কিছুটা হতাশার মধ্যে আছেন পোশাকশিল্পে নিয়োজিত হাজার হাজার শ্রমিক। এপ্রিল মাস তো দূরের কথা, মার্চ মাসের বেতনও পাননি অনেক শ্রমিক। হাতে গোনা কয়েকটি কারখানা নিয়মিত বেতন পরিশোধ করলেও বেশির ভাগ কারখানা মালিক বেতন পরিশোধে গড়িমসি করছেন। বেতনই যেখানে বাকি, সেখানে ঈদের বোনাস পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছেন অসংখ্য শ্রমিক। শ্রমিক সংগঠনগুলো দেনদরবার করেও কোনো সুরাহা করতে পারছে না। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ করতে না পারার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ঈদের আর বেশি দিন বাকি নেই, অথচ মালিকদের অনেকে বেতন-বোনাস পরিশোধে টালবাহানা শুরু করেছেন। শ্রমিকদের বেতন বকেয়া রেখে তাঁদের জিম্মি করে রাখার জন্যও কোনো কোনো মালিক বেতন বকেয়া রাখেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।
বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এবার রপ্তানি বেড়েছে। সে হিসাবে মুনাফাও নিশ্চয়ই বেড়েছে। তাহলে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে অনীহা কেন? একজন শ্রমিকনেতা বলেছেন, মালিকেরা সরকারের কাছ থেকে আবারও ৩০০ কোটি টাকা প্রণোদনা চেয়েছেন। এটা শ্রমিকদের মজুরি শোধ না করে সরকারের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের একটি কৌশল বলেই সংশ্লিষ্ট অনেকে মনে করেন। গত বছর মালিকেরা ২ শতাংশ সুদে যে প্রণোদনা পেয়েছিলেন, তার অর্ধেক অনুদান হিসেবে পাওয়ার জন্যও সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
দেশে প্রায় ৪ হাজারের মতো পোশাক কারখানায় ৩০-৩৫ লাখ শ্রমিক কাজ করেন। এর ৬০ শতাংশ নারী। এদের অনেককেই ওভারটাইম বা অতিরিক্ত সময় কাজ করতে হয়। কিন্তু কম বেতন নিয়মিত না পাওয়ায় এবং অন্য সুযোগ-সুবিধা না থাকায় বেশির ভাগ নারী শ্রমিককে কষ্টের এবং অমানবিক জীবন যাপন করতে হয়। নারী শ্রমিকেরা চাকরি চলে যাওয়ার ভয়ে প্রায়ই চুপচাপ থাকেন।
এই পীড়নমূলক অবস্থার অবসান হওয়া দরকার। মাঝেমধ্যে কোনো কোনো কারখানায় অসন্তোষ-বিক্ষোভ দেখা গেলেও সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয় না। পোশাকশিল্পে শান্তি বজায় না থাকলে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। কোনো রকম টালবাহানা না করে ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন এবং ঈদ বোনাস পরিশোধের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য মালিকদের বাধ্য করতে সরকারকেও চাপ দিতে হবে। মালিকেরা নিজেদেরটা ষোলো আনা বুঝবেন, আর যাঁরা তাঁদের মুনাফার সুযোগ করে দেন, সেই শ্রমিকদের দিকটা আট আনাও বুঝবেন না—এটা একেবারেই চলতে দেওয়া যায় না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে পড়াশোনা করা মোজাম্মেল হোসেন, ঘনিষ্ঠ মহলে যিনি মঞ্জু নামেই বেশি পরিচিত, ছাত্রাবস্থায় ১৯৬৯ সালে সাপ্তাহিক ‘যুগবাণী’ ও ১৯৭০ সালে সাপ্তাহিক ‘একতা’য় প্রতিবেদক হিসেবে পেশাজীবন শুরু করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘মুক্তিযুদ্ধ’ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক ছিলেন।
২০ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ। নতুন প্রজন্ম বেড়ে উঠছে ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার (বর্তমানে এক্স), ইনস্টাগ্রাম, মোবাইল অ্যাপ, ডিজিটাল কনটেন্টের প্রভাবিত জগতে। শুধু নতুন প্রজন্মই নয়, এটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সব বয়সীর মধ্যে।
২০ ঘণ্টা আগেঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ৩৭ নম্বর মধ্য গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে আজকের পত্রিকায় ছাপা হওয়া এক প্রতিবেদনে। একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজনমাত্র শিক্ষক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বসেছেন পড়াতে।
২১ ঘণ্টা আগেআশা-নিরাশা নিয়ে যুগে যুগে জ্ঞানী-গুণী, মহাজনদের মুখনিঃসৃত বাণী আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে বিষম-বিভ্রমের মধ্যে ফেলে রেখেছে। কারণ, তাঁদের কেউ বলেছেন ‘ধন্য আশা কুহকিনি/তোমার মায়ায়, অসার সংসারচক্র ঘোরে নিরবধি, দাঁড়াইত স্থিরভাবে, চলিত না হায়; মন্ত্রবলে তুমি চক্র না ঘুরাতে যদি...’।
২ দিন আগে