সম্পাদকীয়
রাজধানীর গুলশানে মঙ্গলবার মধ্যরাতে আবার মব ভায়োলেন্স ঘটতে দেখা গেল। কোত্থেকে অভিযোগ এসেছে সেটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা না ভেবেই একদল মানুষ আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা এইচ টি ইমামের ছেলে সাবেক এমপি তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে একটি বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে এসব ক্ষেত্রে পুলিশকে অভিযোগ জানানো হয় এবং পুলিশ আইনসংগতভাবে কারও বাড়িতে প্রবেশের অনুমতিসহ সেখানে উপস্থিত হয় এবং তল্লাশি চালায়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এখনো সাধারণ মানুষ নিজের হাতে আইন তুলে নিচ্ছে এবং এ রকম পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট মহল নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে।
যে অবস্থাটি এই মুহূর্তে বাংলাদেশে বিরাজ করছে তা অনেকটাই অরাজক। মব ভায়োলেন্স নিয়ে সরকার তার কঠোর অবস্থানের কথা জানালেও তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না। এখনো মব ভায়োলেন্স ঘটে যাচ্ছে। কিছু মানুষ একত্র হয়ে যেকোনো একটা অভিযোগ তুলে যে কারও বাড়িতে হানা দিচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত তুলকালাম কাণ্ড ঘটানো হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাউকেই সেখানে দেখা যাচ্ছে না। এমনকি এই ঘটনার সময়ও সেনাবাহিনী এসেছে ভাঙচুরের পরে। অর্থাৎ অবস্থা এমন হয়েছে যে ভাঙচুরের সময়টিতে সেই জায়গাটি থাকবে সরকারবিহীন—এ রকমই একটা বন্দোবস্ত হয়েছে বলে অনুমান করা যায়।
সরকার যদি এদের ব্যাপারে কঠোরই হয়ে থাকে, তাহলে সিসিটিভি ফুটেজ থেকে কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে যাওয়া ভিডিওগুলো থেকে এই অপরাধীদের ধরা হচ্ছে না কেন এবং বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে না কেন? যদি সত্যিই কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থেকে থাকে তবে সেটা তো আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধান করতে হবে। কারও বাড়ির দরজা ভেঙে তল্লাশি চালানোর অধিকার এই উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে কে দিয়েছে? এটা তো ফৌজদারি অপরাধ। ছাত্র-জনতা নাম নিয়ে একদল উচ্ছৃঙ্খল অপরাধী এ রকম অরাজকতা চালালে সেটা জায়েজ হয়ে যায় না। সাত মাস পরেও যদি সরকার এই ধরনের মবোক্র্যাসি বন্ধ করতে না পারে, তাহলে জাতির ভাগ্যাকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা দেখা ছাড়া আর কী-ইবা অপেক্ষা করছে?
দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছিনতাই, লুটপাট, রাহাজানি বেড়ে গেছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যদিও বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দেননি, কিন্তু বাস্তব অবস্থা যে আসলেই ভয়াবহ, তা খালি চোখেই দেখা যাচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টাকে যাঁরা নিয়মিত ব্রিফিং করেন, তাঁরা তাঁর কাছ থেকে সত্যকে আড়াল করতে চান বলেই মনে হয়। এমনকি উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান স্বীকার করে নিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের পর্যায় পর্যন্ত আসেনি।
যদি সমাজে একটি অস্থিতিশীল অবস্থা বজায় রেখে নির্বাচনকে দূরে সরিয়ে রাখার কথা ভাবা হয়, তাহলে তা রাষ্ট্রের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। কারণ, যে ফ্রাঙ্কেনস্টাইনকে মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে, তাকে পোষ মানিয়ে আবার বন্দী করা যাবে, এ রকম কোনো নিশ্চয়তা নেই।
রাজধানীর গুলশানে মঙ্গলবার মধ্যরাতে আবার মব ভায়োলেন্স ঘটতে দেখা গেল। কোত্থেকে অভিযোগ এসেছে সেটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা না ভেবেই একদল মানুষ আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা এইচ টি ইমামের ছেলে সাবেক এমপি তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে একটি বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে এসব ক্ষেত্রে পুলিশকে অভিযোগ জানানো হয় এবং পুলিশ আইনসংগতভাবে কারও বাড়িতে প্রবেশের অনুমতিসহ সেখানে উপস্থিত হয় এবং তল্লাশি চালায়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এখনো সাধারণ মানুষ নিজের হাতে আইন তুলে নিচ্ছে এবং এ রকম পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট মহল নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে।
যে অবস্থাটি এই মুহূর্তে বাংলাদেশে বিরাজ করছে তা অনেকটাই অরাজক। মব ভায়োলেন্স নিয়ে সরকার তার কঠোর অবস্থানের কথা জানালেও তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না। এখনো মব ভায়োলেন্স ঘটে যাচ্ছে। কিছু মানুষ একত্র হয়ে যেকোনো একটা অভিযোগ তুলে যে কারও বাড়িতে হানা দিচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত তুলকালাম কাণ্ড ঘটানো হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাউকেই সেখানে দেখা যাচ্ছে না। এমনকি এই ঘটনার সময়ও সেনাবাহিনী এসেছে ভাঙচুরের পরে। অর্থাৎ অবস্থা এমন হয়েছে যে ভাঙচুরের সময়টিতে সেই জায়গাটি থাকবে সরকারবিহীন—এ রকমই একটা বন্দোবস্ত হয়েছে বলে অনুমান করা যায়।
সরকার যদি এদের ব্যাপারে কঠোরই হয়ে থাকে, তাহলে সিসিটিভি ফুটেজ থেকে কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে যাওয়া ভিডিওগুলো থেকে এই অপরাধীদের ধরা হচ্ছে না কেন এবং বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে না কেন? যদি সত্যিই কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থেকে থাকে তবে সেটা তো আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধান করতে হবে। কারও বাড়ির দরজা ভেঙে তল্লাশি চালানোর অধিকার এই উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে কে দিয়েছে? এটা তো ফৌজদারি অপরাধ। ছাত্র-জনতা নাম নিয়ে একদল উচ্ছৃঙ্খল অপরাধী এ রকম অরাজকতা চালালে সেটা জায়েজ হয়ে যায় না। সাত মাস পরেও যদি সরকার এই ধরনের মবোক্র্যাসি বন্ধ করতে না পারে, তাহলে জাতির ভাগ্যাকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা দেখা ছাড়া আর কী-ইবা অপেক্ষা করছে?
দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছিনতাই, লুটপাট, রাহাজানি বেড়ে গেছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যদিও বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দেননি, কিন্তু বাস্তব অবস্থা যে আসলেই ভয়াবহ, তা খালি চোখেই দেখা যাচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টাকে যাঁরা নিয়মিত ব্রিফিং করেন, তাঁরা তাঁর কাছ থেকে সত্যকে আড়াল করতে চান বলেই মনে হয়। এমনকি উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান স্বীকার করে নিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের পর্যায় পর্যন্ত আসেনি।
যদি সমাজে একটি অস্থিতিশীল অবস্থা বজায় রেখে নির্বাচনকে দূরে সরিয়ে রাখার কথা ভাবা হয়, তাহলে তা রাষ্ট্রের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। কারণ, যে ফ্রাঙ্কেনস্টাইনকে মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে, তাকে পোষ মানিয়ে আবার বন্দী করা যাবে, এ রকম কোনো নিশ্চয়তা নেই।
লেখার শিরোনাম দেখেই যদি কেউ ভেবে থাকেন, এখানে অমূল্য রতন পেয়ে যাবেন, তাহলে ভুল করবেন। ফেব্রুয়ারি আর এপ্রিল নিয়ে এমন এক গাড্ডায় পড়েছে নির্বাচন যে, কোনো ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী করার শক্তি কারও নেই। বিএনপির হাতে মুলা ধরিয়ে দিয়ে এই সরকারই আরও অনেক দিন ক্ষমতায় থাকার বাসনা পোষণ করছে কি না...
৬ ঘণ্টা আগেবিশ্বে পরিবেশদূষণকারী হিসেবে ১৫টি প্রধান দূষক চিহ্নিত করা হয়েছে। পয়লা নম্বরে আছে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। বিশ্বব্যাপী পরিবেশদূষণে ৫ নম্বর দূষণকারী এখন প্লাস্টিক। দূষণের মাত্রা অনুযায়ী এই অবস্থান নির্ধারিত হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত ‘সিটিজেন পারসেপশন সার্ভে (সিপিএস) ২০২৫’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন আমাদের সামনে একটি হতাশাজনক বাস্তবতা তুলে ধরেছে।
৬ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত সভা এখন অতীত বিষয়। ওই সভার পর দেশের রাজনীতিতে অনেক কিছুই সমন্বয় হয়ে গেছে এবং এখনো হয়ে যাচ্ছে। রাজনীতি একটি দ্রুত অগ্রসরমাণ বিষয়। তার কয়েক দিনও এক জায়গায় অবস্থানের সুযোগ নেই।
১ দিন আগে