সম্পাদকীয়
কোনো বিয়েতে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা, হাতাহাতি এমনকি হানাহানির ঘটনা বিরল নয়; বরং এটাই যেন স্বাভাবিক! বিয়ের মাধ্যমে দুই পরিবার এক হতে গিয়েও হয় না, হয়তো তুচ্ছ কোনো কারণে। বিয়ের পর পরিবার দুটি নামকাওয়াস্তে ‘এক’ হয়ে গেলেও সূক্ষ্ম দ্বন্দ্ব তাদের মধ্যে থেকেই যায়। যেমনটা যেকোনো রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই তো সেদিন যে কাণ্ডটা ঘটে গেল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি), তাতে দ্বন্দ্বের যে চিত্র ফুটে উঠেছে, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, ১৭ আগস্ট জাবি ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত কমিটিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। সেদিন শাখা ছাত্রদল ক্যাম্পাসে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। অতিথি হিসেবে সেখানে যান ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়াসহ কেন্দ্ৰীয় কয়েকজন নেতা। তাঁরা শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহিরউদ্দিন বাবর, সদস্যসচিব ওয়াসিম আহমেদসহ অন্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠককালে শাখা ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী বাইক শোডাউন করে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে চান। শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবের অনুসারীরা তাঁদের বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
এই হাতাহাতির পেছনে মূল কারণ ৮ আগস্ট শাখা ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটি এবং ১৭টি হলের কমিটি ঘোষণা। বিক্ষোভকারী পক্ষের অভিযোগ, এই কমিটিতে ছাত্রলীগ, ছাত্রশিবির, ছিনতাইকারীদের স্থান দেওয়া হয়েছে; তাই কমিটি বাতিলের দাবি তাঁদের। আর আহ্বায়ক জহিরউদ্দিন বলছেন, বহিষ্কৃত কিছু নেতা-কর্মী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন। ব্যাপারটি তাঁরা সমাধানের চেষ্টাও নাকি করছেন। আশা করি, দ্রুতই বিষয়টির দ্রুত সমাধান হবে।
তবে এ ধরনের ঘটনা ছাড়াও লজ্জাকর আরও ঘটনা কম ঘটছে না গত আগস্টের পর থেকে। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যন্ত জনপরিসরে যে বিষয়টি নিয়ে চর্চা হচ্ছে, তা কি ছাত্রদল বা তার অভিভাবক বিএনপিকে বিচলিত করে না? এই যে দলীয় কোন্দল এবং বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠছে বিএনপি ও ছাত্রদলের কোনো কোনো নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে, তাতে অন্যতম প্রধান এই রাজনৈতিক দলটির ভাবমূর্তি কি ক্ষুণ্ন হচ্ছে না? জনমনে বিভিন্ন প্রশ্নের সঞ্চার হচ্ছে, দলটি এখন থেকেই তাদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা না করলে পরে কি তা সম্ভব?
খুব কড়া ও ভালো ভালো বচন আমরা শুনতে পাচ্ছি দলের হাইকমান্ড থেকে। কিন্তু কেউ কেউ সেসব নির্দেশনা অমান্য করে জনমনে শঙ্কা বাড়িয়ে তুলছে। অল্পতেই যদি রোগের চিকিৎসা না করানো হয়, তাহলে সেটি মরণ ব্যাধিতে পরিণত হতে পারে। বিএনপি বা ছাত্রদলের কেন্দ্র থেকে যদি ‘তুচ্ছ’ একটি হাতাহাতির ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তাহলে বড় বড় দুর্নীতি-চাঁদাবাজিও বন্ধ করা সম্ভব। দলের উচিত সবার আগে হাতাহাতি নিয়ন্ত্রণ করা। তাহলেই পরের ধাপে উত্তীর্ণ হওয়া সহজ হবে।
কোনো বিয়েতে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা, হাতাহাতি এমনকি হানাহানির ঘটনা বিরল নয়; বরং এটাই যেন স্বাভাবিক! বিয়ের মাধ্যমে দুই পরিবার এক হতে গিয়েও হয় না, হয়তো তুচ্ছ কোনো কারণে। বিয়ের পর পরিবার দুটি নামকাওয়াস্তে ‘এক’ হয়ে গেলেও সূক্ষ্ম দ্বন্দ্ব তাদের মধ্যে থেকেই যায়। যেমনটা যেকোনো রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই তো সেদিন যে কাণ্ডটা ঘটে গেল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি), তাতে দ্বন্দ্বের যে চিত্র ফুটে উঠেছে, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, ১৭ আগস্ট জাবি ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত কমিটিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। সেদিন শাখা ছাত্রদল ক্যাম্পাসে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। অতিথি হিসেবে সেখানে যান ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়াসহ কেন্দ্ৰীয় কয়েকজন নেতা। তাঁরা শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহিরউদ্দিন বাবর, সদস্যসচিব ওয়াসিম আহমেদসহ অন্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠককালে শাখা ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী বাইক শোডাউন করে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে চান। শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবের অনুসারীরা তাঁদের বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
এই হাতাহাতির পেছনে মূল কারণ ৮ আগস্ট শাখা ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটি এবং ১৭টি হলের কমিটি ঘোষণা। বিক্ষোভকারী পক্ষের অভিযোগ, এই কমিটিতে ছাত্রলীগ, ছাত্রশিবির, ছিনতাইকারীদের স্থান দেওয়া হয়েছে; তাই কমিটি বাতিলের দাবি তাঁদের। আর আহ্বায়ক জহিরউদ্দিন বলছেন, বহিষ্কৃত কিছু নেতা-কর্মী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন। ব্যাপারটি তাঁরা সমাধানের চেষ্টাও নাকি করছেন। আশা করি, দ্রুতই বিষয়টির দ্রুত সমাধান হবে।
তবে এ ধরনের ঘটনা ছাড়াও লজ্জাকর আরও ঘটনা কম ঘটছে না গত আগস্টের পর থেকে। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যন্ত জনপরিসরে যে বিষয়টি নিয়ে চর্চা হচ্ছে, তা কি ছাত্রদল বা তার অভিভাবক বিএনপিকে বিচলিত করে না? এই যে দলীয় কোন্দল এবং বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠছে বিএনপি ও ছাত্রদলের কোনো কোনো নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে, তাতে অন্যতম প্রধান এই রাজনৈতিক দলটির ভাবমূর্তি কি ক্ষুণ্ন হচ্ছে না? জনমনে বিভিন্ন প্রশ্নের সঞ্চার হচ্ছে, দলটি এখন থেকেই তাদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা না করলে পরে কি তা সম্ভব?
খুব কড়া ও ভালো ভালো বচন আমরা শুনতে পাচ্ছি দলের হাইকমান্ড থেকে। কিন্তু কেউ কেউ সেসব নির্দেশনা অমান্য করে জনমনে শঙ্কা বাড়িয়ে তুলছে। অল্পতেই যদি রোগের চিকিৎসা না করানো হয়, তাহলে সেটি মরণ ব্যাধিতে পরিণত হতে পারে। বিএনপি বা ছাত্রদলের কেন্দ্র থেকে যদি ‘তুচ্ছ’ একটি হাতাহাতির ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তাহলে বড় বড় দুর্নীতি-চাঁদাবাজিও বন্ধ করা সম্ভব। দলের উচিত সবার আগে হাতাহাতি নিয়ন্ত্রণ করা। তাহলেই পরের ধাপে উত্তীর্ণ হওয়া সহজ হবে।
বিদ্যমান ব্যবস্থার বিপরীতে বিকল্পটা একই সঙ্গে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং মতাদর্শিক। এর জন্য দরকার পড়বে সামাজিক বিপ্লবের। প্রতিটি দেশেই। যেটা স্থানীয়ভাবে গড়ে তোলা চাই, তবে তার চরিত্রটা অবশ্যই থাকবে আন্তর্জাতিক।
১১ ঘণ্টা আগেঅবশেষে ভোটের তারিখ জানাল মিয়ানমারের জান্তা সরকার। আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে পর্যায়ক্রমে সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হবে। ২০২১ সালে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জান্তার ক্ষমতা দখলের পর এটিই হবে দেশটির প্রথম সাধারণ নির্বাচন।
১১ ঘণ্টা আগেকৈশোরে একবার পড়েছিলাম, ফাঁসির দড়ি তৈরি হয় ‘ম্যানিলা রোপ’ দিয়ে। তখন বুঝতাম না ‘ম্যানিলা’ কী! পরে জেনেছি, ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলা থেকেই এই বিশেষ দড়ির নামকরণ। ‘ম্যানিলা রোপ’ তৈরি হয় অ্যাবাকা নামের কলাগাছ-জাতীয় এক উদ্ভিদ থেকে। গাছের তন্তু থেকে তৈরি হয় দড়ি, কাপড়, কারুপণ্য, এমনকি বস্তাও। কোমল অথচ টেকস
১ দিন আগেবাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা যেন একটি বেনারসি শাড়ির আঁচল, যার এক প্রান্তে সোনালি জরির কাজ আর অন্য প্রান্তে গলিত সুতোয় দাগ পড়া দারিদ্র্যের ছাপ। একই চাদরে ঢাকা দুটি পৃথিবী, যার একটি অস্তিত্বের লড়াইয়ে ব্যস্ত এবং অন্যটি বিলাসিতায় গা ভাসানোর মতো। একদিকে বৈভবের বহিঃপ্রকাশ, অন্যদিকে প্রয়োজনের হাহাকার।
১ দিন আগে