সম্পাদকীয়
কারাগারে বন্দীদের নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে থাকার কথা থাকলেও সেখানে সেই কারাবিধিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিচালিত এই অবৈধ লেনদেন দেশের কারাগারে অব্যবস্থাপনার চিত্র তুলে ধরে। আর অপকর্মগুলো করছেন কোনো কোনো কারারক্ষীই।
আজকের পত্রিকায় ১৭ আগস্ট প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী আব্দুল কাদের একজন বন্দীর স্বজনের কাছ থেকে বিকাশে টাকা নিয়েও বন্দীকে কোনো সুবিধা দেননি। ওই বন্দীর স্বজনেরা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করার পর বিষয়টি নজরে আসে।
কারাবিধি অনুযায়ী, কারাগারে বন্দীদের নিজের প্রয়োজনে ব্যবহারের অর্থ রাখার জন্য অনুমোদিত পিসি (ব্যক্তিগত তহবিল) কার্ডের ব্যবস্থা আছে। তাতে রাখার জন্য মানি অর্ডার, মোবাইল ব্যাংকিং বা সশরীরে কারাগারে এসে প্রধান রক্ষীর কাছে অর্থ দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু কোনো কোনো কারারক্ষী অবৈধ উপায়ে কারাগারের ভেতরে মোবাইল ফোন ব্যবহার, মাদক সেবন, পছন্দের খাবার দিতে, এমনকি সামান্য অসুস্থতায়ও হাসপাতাল ওয়ার্ডে থাকার সুযোগ করে দেন।
কারাগার সংশোধনের জায়গা। উন্নত বিশ্বের অনেক দেশে কারাগারকে সেভাবে পরিচালনা করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে কারাগার সংশোধনাগার না হয়ে বৈষম্যের ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এখানে বন্দীর তুলনায় জায়গা অনেক সংকুচিত, অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্নতায় পরিপূর্ণ এবং নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়। বিশেষ করে এখানে সেবা পেতেও অর্থ লাগে। যাঁদের টাকা আছে, তাঁরা আরাম-আয়েশে সেখানে থাকতে পারেন। আর যাঁরা গরিব, তাঁদের চরম অমানবিকভাবে জীবন যাপন করতে হয়। কিছু অসাধু কারারক্ষী এই সুযোগ নিয়ে বিত্তবানদের নানা সুযোগ করে দেন। এমন অপকর্ম শুধু কারারক্ষীদের মাধ্যমে ঘটে না, ওপরের কর্মকর্তাদের সায় না পেলে তাঁরা এ ধরনের অন্যায় করার সাহস পেতেন না।
এই পরিস্থিতির মূল কারণ হলো দুর্বল নজরদারি এবং জবাবদিহির অভাব। সমস্যাটির মূল শিকড় গভীরে প্রোথিত। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, যেমন বদলি বা সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তা যথেষ্ট নয়। কারাগারে এ ধরনের অপকর্ম ঠেকাতে প্রয়োজন প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি, আর্থিক লেনদেনের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ এবং একটি স্বচ্ছ ও স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন। কেবল কিছু ব্যক্তিকে শাস্তি দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না, বরং পুরো কারা ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন। যাঁরা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে কেবল বদলি বা সাময়িক বরখাস্ত নয়, বরং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে অন্যরা এমন কাজ করার সাহস না পান।
কারাগারকে যদি সত্যিই সংশোধনাগার হিসেবে গড়ে তুলতে হয়, তাহলে প্রথমেই এর ভেতরের অবৈধ লেনদেনের পথ ও পদ্ধতি বন্ধ করতে হবে। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো, কারাগারের সব বন্দীকে পরিপূর্ণ সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। এখানে বিত্ত ও বিত্তহীনের শ্রেণি বিচার করা যাবে না। কারা অভ্যন্তরে বসবাসের উপযোগী সব ধরনের আয়োজন থাকতে হবে। কারাগার প্রকৃত সংশোধনাগার হয়ে উঠতে পারে সরকারের উদ্যোগ গ্রহণেই।
কারাগারে বন্দীদের নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে থাকার কথা থাকলেও সেখানে সেই কারাবিধিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিচালিত এই অবৈধ লেনদেন দেশের কারাগারে অব্যবস্থাপনার চিত্র তুলে ধরে। আর অপকর্মগুলো করছেন কোনো কোনো কারারক্ষীই।
আজকের পত্রিকায় ১৭ আগস্ট প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী আব্দুল কাদের একজন বন্দীর স্বজনের কাছ থেকে বিকাশে টাকা নিয়েও বন্দীকে কোনো সুবিধা দেননি। ওই বন্দীর স্বজনেরা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করার পর বিষয়টি নজরে আসে।
কারাবিধি অনুযায়ী, কারাগারে বন্দীদের নিজের প্রয়োজনে ব্যবহারের অর্থ রাখার জন্য অনুমোদিত পিসি (ব্যক্তিগত তহবিল) কার্ডের ব্যবস্থা আছে। তাতে রাখার জন্য মানি অর্ডার, মোবাইল ব্যাংকিং বা সশরীরে কারাগারে এসে প্রধান রক্ষীর কাছে অর্থ দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু কোনো কোনো কারারক্ষী অবৈধ উপায়ে কারাগারের ভেতরে মোবাইল ফোন ব্যবহার, মাদক সেবন, পছন্দের খাবার দিতে, এমনকি সামান্য অসুস্থতায়ও হাসপাতাল ওয়ার্ডে থাকার সুযোগ করে দেন।
কারাগার সংশোধনের জায়গা। উন্নত বিশ্বের অনেক দেশে কারাগারকে সেভাবে পরিচালনা করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে কারাগার সংশোধনাগার না হয়ে বৈষম্যের ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এখানে বন্দীর তুলনায় জায়গা অনেক সংকুচিত, অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্নতায় পরিপূর্ণ এবং নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়। বিশেষ করে এখানে সেবা পেতেও অর্থ লাগে। যাঁদের টাকা আছে, তাঁরা আরাম-আয়েশে সেখানে থাকতে পারেন। আর যাঁরা গরিব, তাঁদের চরম অমানবিকভাবে জীবন যাপন করতে হয়। কিছু অসাধু কারারক্ষী এই সুযোগ নিয়ে বিত্তবানদের নানা সুযোগ করে দেন। এমন অপকর্ম শুধু কারারক্ষীদের মাধ্যমে ঘটে না, ওপরের কর্মকর্তাদের সায় না পেলে তাঁরা এ ধরনের অন্যায় করার সাহস পেতেন না।
এই পরিস্থিতির মূল কারণ হলো দুর্বল নজরদারি এবং জবাবদিহির অভাব। সমস্যাটির মূল শিকড় গভীরে প্রোথিত। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, যেমন বদলি বা সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তা যথেষ্ট নয়। কারাগারে এ ধরনের অপকর্ম ঠেকাতে প্রয়োজন প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি, আর্থিক লেনদেনের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ এবং একটি স্বচ্ছ ও স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন। কেবল কিছু ব্যক্তিকে শাস্তি দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না, বরং পুরো কারা ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন। যাঁরা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে কেবল বদলি বা সাময়িক বরখাস্ত নয়, বরং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে অন্যরা এমন কাজ করার সাহস না পান।
কারাগারকে যদি সত্যিই সংশোধনাগার হিসেবে গড়ে তুলতে হয়, তাহলে প্রথমেই এর ভেতরের অবৈধ লেনদেনের পথ ও পদ্ধতি বন্ধ করতে হবে। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো, কারাগারের সব বন্দীকে পরিপূর্ণ সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। এখানে বিত্ত ও বিত্তহীনের শ্রেণি বিচার করা যাবে না। কারা অভ্যন্তরে বসবাসের উপযোগী সব ধরনের আয়োজন থাকতে হবে। কারাগার প্রকৃত সংশোধনাগার হয়ে উঠতে পারে সরকারের উদ্যোগ গ্রহণেই।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে এবং নির্বাচিত সরকার জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে দেশ পরিচালনা করবে—এ রকম বিশ্বাস নানা কারণেই দোদুল্যমান হয়ে উঠছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্ন শর্ত আরোপ করায় নির্বাচন নিয়ে একটা ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেকয়েক সপ্তাহ থেকে ফেসবুক খুললে কম বয়সী দুটি ছেলের গান শুনতে পাচ্ছি। একজন গাইছে আর একজন তবলা বাজাচ্ছে। তারা দুই ভাই হবে—চেহারা দেখে সেটা অনুমান করা যায়। বড় ভাই গাইছে। কী অসম্ভব ভালো গলা! ভালো মানে, কণ্ঠে যেমন সুর আছে, তেমনি কণ্ঠের চর্চা আছে।
৩ ঘণ্টা আগেড. কামরুল হাসান মামুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। তিনি যুক্তরাজ্যের ব্রুনেল ইউনিভার্সিটির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে পিএইচডি করেছেন। হামবোল্ট রিসার্চ ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন জার্মানির পটসডাম বিশ্ববিদ্যালয়ে।
১ দিন আগেমানুষের জীবনে আতঙ্ক বা ভয় একটি প্রাসঙ্গিক বিষয়। পারিপার্শ্বিকতার কারণে ছোটবেলা থেকেই ভূত-প্রেত, দেও-দৈত্য, রাক্ষস-খোক্কস প্রভৃতি শব্দ ও কল্পিত ভয়ংকর রূপ বা চেহারা অন্তরে গেঁথে যায় এবং সেখান থেকেই আতঙ্কের যাত্রা হয়েছে শুরু। একটু উনিশ-বিশ হলেই ভয় লাগে, বুক ধড়ফড় করে ওঠে।
১ দিন আগে