সম্পাদকীয়
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ২০ অক্টোবর বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে একটি জনবল কাঠামো তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেটি চূড়ান্ত হলে স্বাস্থ্য খাতে পৌনে পাঁচ লাখ জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। এটি হলে স্বাস্থ্যসেবার মান আরও উন্নত হবে।’
কবে জনবলকাঠামো চূড়ান্ত হবে আর কবে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে এবং কবে স্বাস্থ্যসেবার মান আরও উন্নত হবে—তা কে বলতে পারেন? মন্ত্রী মহোদয় নিজেই বলেছেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বারবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও নানা জটিলতায় পাস করা সম্ভব হয়নি স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন।’ সরকার উদ্যোগ নেওয়ার পরও জটিলতা সৃষ্টি করে কে বা কারা? মানুষ তো জানে, সরকারের চেয়ে কারও শক্তি বেশি নয়। সরকার আন্তরিকভাবে চাইলে কোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অসম্ভব হয় কীভাবে? সরকারের চেয়ে শক্তিশালী কে বা কারা আছে, যারা সরকারি উদ্যোগে জটিলতা সৃষ্টি করে। তারা কি আমলা, না আর কেউ?
জনবল নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নও যে দ্রুত হবে, সেটাই বা কীভাবে আমরা বিশ্বাস করব? স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা নিয়ে মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনে করেন, ‘সরকার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনায় নাটকীয় পরিবর্তন এনেছে।’ স্বাস্থ্যসেবাগ্রহীতারা সেটা মনে করলে আমরা খুশি হতাম। দুঃখজনক হলেও সত্য, মানুষ সরকারি স্বাস্থ্যসেবা নিতে গিয়ে নানা ভোগান্তি ও বিড়ম্বনার মুখোমুখি হয়ে থাকেন।
প্রসঙ্গত, আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত দুটি খবরের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। ১৯ অক্টোবর ‘সেবাবঞ্চিত ২৫ হাজার মানুষ’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠার ৩৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এমবিবিএস চিকিৎসকের সেবা পায়নি মুলাদী (বরিশাল) উপজেলার আলীমাবাদ উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা মানুষ। পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার অনিয়মিত চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকেন সেখানে। সপ্তাহের বেশির ভাগ দিনই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি খোলা হয় না। যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না হওয়া সত্ত্বেও বাটামারা ইউনিয়নের প্রায় ২৫ হাজার মানুষকে ২৫-৩০ কিলোমিটার দূরে উপজেলা সদরে গিয়ে চিকিৎসাসেবা নিতে হয়।
দ্বিতীয় খবরটি ছাপা হয়েছে ২০ অক্টোবর। ‘হাসপাতাল যখন নিজেই রুগ্ণ’ শিরোনামে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, গাজীপুরের টঙ্গীতে নিম্ন আয়ের পরিবারের শিশুদের চিকিৎসাসেবা দিতে প্রতিষ্ঠিত জাকাত বোর্ড শিশু হাসপাতালটির ভবন খুবই জরাজীর্ণ। বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নেই, নেই স্বাস্থ্যকর টয়লেট। হাসপাতালের সামনের মাঠে এখন জমে আছে হাঁটুপানি। চিকিৎসাসেবা দিতে ডাক্তার আছেন মাত্র দুজন। নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও প্যাথলজিকাল ল্যাব।
দেশের অনেক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অবস্থাই প্রায় অভিন্ন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী যদি বলতেন, কবে এবং কীভাবে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার মান উন্নত হবে, তাহলে মানুষ হয়তো একটু স্বস্তিবোধ করত।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ২০ অক্টোবর বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে একটি জনবল কাঠামো তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেটি চূড়ান্ত হলে স্বাস্থ্য খাতে পৌনে পাঁচ লাখ জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। এটি হলে স্বাস্থ্যসেবার মান আরও উন্নত হবে।’
কবে জনবলকাঠামো চূড়ান্ত হবে আর কবে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে এবং কবে স্বাস্থ্যসেবার মান আরও উন্নত হবে—তা কে বলতে পারেন? মন্ত্রী মহোদয় নিজেই বলেছেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বারবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও নানা জটিলতায় পাস করা সম্ভব হয়নি স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন।’ সরকার উদ্যোগ নেওয়ার পরও জটিলতা সৃষ্টি করে কে বা কারা? মানুষ তো জানে, সরকারের চেয়ে কারও শক্তি বেশি নয়। সরকার আন্তরিকভাবে চাইলে কোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অসম্ভব হয় কীভাবে? সরকারের চেয়ে শক্তিশালী কে বা কারা আছে, যারা সরকারি উদ্যোগে জটিলতা সৃষ্টি করে। তারা কি আমলা, না আর কেউ?
জনবল নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নও যে দ্রুত হবে, সেটাই বা কীভাবে আমরা বিশ্বাস করব? স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা নিয়ে মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনে করেন, ‘সরকার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনায় নাটকীয় পরিবর্তন এনেছে।’ স্বাস্থ্যসেবাগ্রহীতারা সেটা মনে করলে আমরা খুশি হতাম। দুঃখজনক হলেও সত্য, মানুষ সরকারি স্বাস্থ্যসেবা নিতে গিয়ে নানা ভোগান্তি ও বিড়ম্বনার মুখোমুখি হয়ে থাকেন।
প্রসঙ্গত, আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত দুটি খবরের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। ১৯ অক্টোবর ‘সেবাবঞ্চিত ২৫ হাজার মানুষ’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠার ৩৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এমবিবিএস চিকিৎসকের সেবা পায়নি মুলাদী (বরিশাল) উপজেলার আলীমাবাদ উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা মানুষ। পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার অনিয়মিত চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকেন সেখানে। সপ্তাহের বেশির ভাগ দিনই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি খোলা হয় না। যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না হওয়া সত্ত্বেও বাটামারা ইউনিয়নের প্রায় ২৫ হাজার মানুষকে ২৫-৩০ কিলোমিটার দূরে উপজেলা সদরে গিয়ে চিকিৎসাসেবা নিতে হয়।
দ্বিতীয় খবরটি ছাপা হয়েছে ২০ অক্টোবর। ‘হাসপাতাল যখন নিজেই রুগ্ণ’ শিরোনামে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, গাজীপুরের টঙ্গীতে নিম্ন আয়ের পরিবারের শিশুদের চিকিৎসাসেবা দিতে প্রতিষ্ঠিত জাকাত বোর্ড শিশু হাসপাতালটির ভবন খুবই জরাজীর্ণ। বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নেই, নেই স্বাস্থ্যকর টয়লেট। হাসপাতালের সামনের মাঠে এখন জমে আছে হাঁটুপানি। চিকিৎসাসেবা দিতে ডাক্তার আছেন মাত্র দুজন। নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও প্যাথলজিকাল ল্যাব।
দেশের অনেক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অবস্থাই প্রায় অভিন্ন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী যদি বলতেন, কবে এবং কীভাবে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার মান উন্নত হবে, তাহলে মানুষ হয়তো একটু স্বস্তিবোধ করত।
রাখাইনে প্রস্তাবিত মানবিক করিডর বাস্তবায়নের আড়ালে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থ এবং চীন-ভারতের প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশকে জটিল ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানে ফেলতে পারে। এটি শুধু সীমান্ত নয়, বরং দেশের নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক ভারসাম্যকেও হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
১ দিন আগেসম্প্রতি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে একটি পাঠাগারে আক্রমণ চালিয়ে কিছু ব্যক্তি সব বইপুস্তক নিয়ে যায়। তাদের ইচ্ছে ছিল আগুন দিয়ে লাইব্রেরিটি ধ্বংস করে দেওয়া। কিন্তু একজন পুলিশ অফিসারের হস্তক্ষেপে লাইব্রেরিটি ভস্মীভূত হওয়া থেকে মুক্তি পায়।
২ দিন আগেমে দিবস আসে প্রতিবছর, আসে শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদার কথা মনে করিয়ে দিতে। ১৮৮৬ সালের শিকাগোর হে মার্কেট আন্দোলনের আগুন আজও নিভে যায়নি, বরং সময়ের পরম্পরায় সেই আগুনই আলো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে শ্রমিকশ্রেণির অধিকারের প্রশ্নে।
২ দিন আগেজার্মানির বিজ্ঞানী ও লেখক গেয়র্গ ক্রিস্টফ লিশটেনব্যর্গ তাঁর দার্শনিক নিবন্ধের এক জায়গায় বলেছিলেন, ‘সনাতনপন্থীরা এ-কথা মনে রাখেন না যে, মানুষের বিশ্বাস তাদের জ্ঞান এবং ইতিহাসের সাধারণ পরিবর্তনের ধারা অনুযায়ী বদলায়।
২ দিন আগে