সম্পাদকীয়
৩১ অক্টোবর রোববার কপ-২৬ নামে পরিচিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন শুরু হচ্ছে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয়। অনেক আশা এবং চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়েই বিশ্বের ১২০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান ছাড়াও প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধি, বিজ্ঞানী, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিকেরা উপস্থিত হচ্ছেন এই সম্মেলনে। এবারের সম্মেলনে বাস্তবসম্মত এবং কার্যকর গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মাত্রা দেড় ডিগ্রির মধ্যে সীমিত রাখার জন্য যেসব বিষয়ে সমঝোতা হওয়া প্রয়োজন, তা এই সম্মেলনে হবে কি না, এ নিয়ে এরই মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবী ক্রমেই মানুষের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠছে। একদিকে উন্নয়ন, অন্যদিকে জীবন। উন্নয়নের গতি বাড়াতে গিয়ে উন্নত দেশগুলো পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার বিষয়টি উপেক্ষা করেছে। অতিরিক্ত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর কথা বলা হলেও তা মানার গরজ তেমন দেখা যায় না। ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষকে প্রতিকূল আবহাওয়ার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। অতিবৃষ্টি, বন্যা, খরা, দাবানল, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, হিমশৈলী গলার হার বৃদ্ধিসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্বিপাকে মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিপুলসংখ্যক মানুষের বাস্তুচ্যুতি ঘটছে, ঘরবাড়ি হারাচ্ছে এবং কাজের ক্ষেত্র সংকুচিত হচ্ছে। ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমন না কমালে উষ্ণায়ন বাড়বে এবং মানুষের বিপন্নতাও বাড়তে থাকবে।
ক্ষতিকর গ্যাস উদগিরণের শীর্ষে যেসব দেশ আছে, সেসব দেশ কি গ্লাসগো সম্মেলনে এই গ্যাস নির্গমন কমাতে নতুন কোনো অঙ্গীকার করবে? এই গ্যাস উদগিরণের শীর্ষে থাকা চীনের প্রেসিডেন্ট কপ-২৬ সম্মেলনের সূচনায় দুদিনের শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন না। এটা নিশ্চয়ই আশাহত হওয়ার মতো একটি খবর। তারপরও আমাদের প্রত্যাশা, ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমন কমানোর জন্য গ্লাসগোয় কয়েকটি বিষয়ে একমত হওয়া মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই জরুরি। এগুলো হলো:
-দ্রুততম সময়ে কয়লাবিদ্যুতের ওপর নির্ভরতা কমানো, -নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং প্রযুক্তি সহজলভ্য করা,
-জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর যানবাহন কমিয়ে বিদ্যুচ্চালিত যানের প্রসার ঘটানো,
-গাছ কাটা বন্ধ করে নতুন বৃক্ষ রোপণে উৎসাহ জোগানো এবং উপকূল রক্ষাবাঁধ তৈরিতে বাড়তি অর্থ জোগানো।
জীবন ও জীবিকা রক্ষার বিষয়টি গুরুত্বসহ বিবেচনায় নিয়ে শিল্পোন্নত দেশগুলোকে জলবায়ুবিষয়ক ন্যায়বিচারে সম্মত হতে হবে। অতীত দূষণের সিংহভাগ দায় তাদের। কাজেই উষ্ণায়নের মাত্রা কমানোর দায়ও তাদেরই বেশি। জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনার কোনো বিকল্প নেই—এটা সবাইকে বুঝতে হবে। কপ-২৬ সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের কাছে সুবুদ্ধি ও বিবেচনাবোধই প্রত্যাশিত।
৩১ অক্টোবর রোববার কপ-২৬ নামে পরিচিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন শুরু হচ্ছে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয়। অনেক আশা এবং চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়েই বিশ্বের ১২০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান ছাড়াও প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধি, বিজ্ঞানী, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিকেরা উপস্থিত হচ্ছেন এই সম্মেলনে। এবারের সম্মেলনে বাস্তবসম্মত এবং কার্যকর গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মাত্রা দেড় ডিগ্রির মধ্যে সীমিত রাখার জন্য যেসব বিষয়ে সমঝোতা হওয়া প্রয়োজন, তা এই সম্মেলনে হবে কি না, এ নিয়ে এরই মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবী ক্রমেই মানুষের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠছে। একদিকে উন্নয়ন, অন্যদিকে জীবন। উন্নয়নের গতি বাড়াতে গিয়ে উন্নত দেশগুলো পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার বিষয়টি উপেক্ষা করেছে। অতিরিক্ত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর কথা বলা হলেও তা মানার গরজ তেমন দেখা যায় না। ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষকে প্রতিকূল আবহাওয়ার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। অতিবৃষ্টি, বন্যা, খরা, দাবানল, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, হিমশৈলী গলার হার বৃদ্ধিসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্বিপাকে মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিপুলসংখ্যক মানুষের বাস্তুচ্যুতি ঘটছে, ঘরবাড়ি হারাচ্ছে এবং কাজের ক্ষেত্র সংকুচিত হচ্ছে। ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমন না কমালে উষ্ণায়ন বাড়বে এবং মানুষের বিপন্নতাও বাড়তে থাকবে।
ক্ষতিকর গ্যাস উদগিরণের শীর্ষে যেসব দেশ আছে, সেসব দেশ কি গ্লাসগো সম্মেলনে এই গ্যাস নির্গমন কমাতে নতুন কোনো অঙ্গীকার করবে? এই গ্যাস উদগিরণের শীর্ষে থাকা চীনের প্রেসিডেন্ট কপ-২৬ সম্মেলনের সূচনায় দুদিনের শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন না। এটা নিশ্চয়ই আশাহত হওয়ার মতো একটি খবর। তারপরও আমাদের প্রত্যাশা, ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমন কমানোর জন্য গ্লাসগোয় কয়েকটি বিষয়ে একমত হওয়া মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই জরুরি। এগুলো হলো:
-দ্রুততম সময়ে কয়লাবিদ্যুতের ওপর নির্ভরতা কমানো, -নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং প্রযুক্তি সহজলভ্য করা,
-জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর যানবাহন কমিয়ে বিদ্যুচ্চালিত যানের প্রসার ঘটানো,
-গাছ কাটা বন্ধ করে নতুন বৃক্ষ রোপণে উৎসাহ জোগানো এবং উপকূল রক্ষাবাঁধ তৈরিতে বাড়তি অর্থ জোগানো।
জীবন ও জীবিকা রক্ষার বিষয়টি গুরুত্বসহ বিবেচনায় নিয়ে শিল্পোন্নত দেশগুলোকে জলবায়ুবিষয়ক ন্যায়বিচারে সম্মত হতে হবে। অতীত দূষণের সিংহভাগ দায় তাদের। কাজেই উষ্ণায়নের মাত্রা কমানোর দায়ও তাদেরই বেশি। জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনার কোনো বিকল্প নেই—এটা সবাইকে বুঝতে হবে। কপ-২৬ সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের কাছে সুবুদ্ধি ও বিবেচনাবোধই প্রত্যাশিত।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কৃষি ও পল্লিঋণের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ১২ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘কৃষিঋণের সবটাই কৃষকের কাছে পৌঁছায় কি না, বাংলাদেশ ব্যাংক তা পর্যালোচনা করছে। আমরা চাই, শতভাগ কৃষিঋণ কৃষকের কাছে যাক। দালালের কাছে যেন না যায়।
১৫ ঘণ্টা আগেকিছুদিন আগে ভোলাগঞ্জের পাথর নিয়ে সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে—পাথর অপসারণ করা হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন সাদাপাথর, যেখানে পর্যটকেরা এই পাথর দেখার টানে ভ্রমণে যেতেন। পাথর সরানোর পরে সেখানে গেলে দেখতে পাবেন মাটি ও বালুর বিছানা পাতা। যা হোক, প্রশাসনের উদ্যোগ ও সচেতন জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বিষয়টি, পাথর আবার
১৬ ঘণ্টা আগেরাজধানী ঢাকায় চাঁদাবাজদের রমরমা অবস্থা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে ২৪ আগস্টের আজকের পত্রিকায়। চাঁদাবাজেরা যে কাউকে পরোয়া করে না, তারই একটি চিত্র যেন এই প্রতিবেদনটি। এত দিন পত্রপত্রিকায় পেঁপে, লাউ, আখের বাম্পার ফলন ধরনের সংবাদ ছাপা হতো। এখন যদি বলা হয়, চাঁদাবাজিরও বাম্পার ফলন হয়েছে, তাহলে কি
১৬ ঘণ্টা আগে‘হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সম্পর্কের নতুন মোড়’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন একটি দৈনিকে প্রকাশিত হয় গত ১৭ জানুয়ারি। আল জাজিরা সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্কের ইতিহাস দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনাপূর্ণ।
২ দিন আগে