সম্পাদকীয়
আষাঢ় মাস আসতে এখনো এক সপ্তাহের বেশি বাকি। কিন্তু পশ্চিমা লঘুচাপের সঙ্গে পুবালি বাতাসের মিশ্রণে সৃষ্ট মেঘ থেকে দেশে বৃষ্টিপাত বেড়েছে। শনিবার ঢাকায় ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই অতিবৃষ্টির কারণে চলমান করোনা মহামারির দুশ্চিন্তার সঙ্গে যোগ হয়েছে বন্যার আশঙ্কা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশের বেশ কয়েকটি নদ-নদীর পানি বাড়ছে। পাউবোর পর্যবেক্ষণে থাকা বিভিন্ন নদ-নদীর ১০১টি পয়েন্টের মধ্যে ৪১টিতে পানি বেড়েছে এবং কমেছে ৫৩টি পয়েন্টে। অপরিবর্তিত আছে ছয়টি পয়েন্টে। এই প্রসঙ্গে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ভারী বর্ষণের কারণে উত্তরাঞ্চল, উত্তর–পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলের কিছু স্থানে আকস্মিক বন্যা হতে পারে।
তবে সমস্যা হলো বন্যা যখন হতে পারে, তখন সারা দেশে কোভিড–১৯ মহামারি চলছে। করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশে লকডাউন চলছে, তাই এ পরিস্থিতিতে আবার বন্যা এলে মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকবে না। গত বছরের লম্বা সময় স্থায়ী বন্যায় প্রায় অর্ধকোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে সুনির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ এবার আগেভাগেই নিতে হবে। রোববার সকালের মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিতে ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকা। হাঁটু থেকে বুকসমান পানি উঠেছে বিভিন্ন স্থানে।
বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে বেড়েছে আতঙ্ক। বৃষ্টির কারণে পাহাড়ধসের আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
মৌসুমি বায়ুর অগ্রভাগের প্রভাবে চট্টগ্রামে এই বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলে আবহাওয়াবিদেরা জানান। আরও বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তরের কর্তব্যরত আবহাওয়াবিদ শহিদুল ইসলাম বলেন, মৌসুমি বায়ু মিয়ানমার ও টেকনাফ অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। তার অগ্রভাগের কারণে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী কয়েক দিন আরও বৃষ্টি হবে।
১৯৯৮ সালের বন্যার সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেসব আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছিল, সেগুলোর অধিকাংশই ছিল বেসরকারি জমিতে। ফলে সেগুলো পরবর্তী সময়ে আর সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকেনি, অনেকগুলোই বেদখল হয়ে গেছে। সেগুলো পুনরুদ্ধার করে বন্যার্তদের আশ্রয় গ্রহণের উপযোগী করা প্রয়োজন। পাশাপাশি মনে রাখতে হবে, বন্যার্তদের কোনো আশ্রয়কেন্দ্রে একবার কোভিড–১৯ সংক্রমণ শুরু হলে তা অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার প্রকট আশঙ্কা থাকবে। সুতরাং স্থানীয় প্রশাসন ও সরকার-কর্তৃপক্ষসহ বন্যা মোকাবিলায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের এ বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা এবং প্রস্তুতি থাকতে হবে।
বন্যায় মানুষের গৃহহীন হওয়ার সঙ্গে ফসলি জমিও পানিতে নিমজ্জিত হয়। ফলে বন্যা–পরবর্তী সময়ে গৃহহীন মানুষের খাদ্যের অভাব দেখা দেয়। গবাদি পশু–পাখির অবস্থা হয় আরও খারাপ। সুপেয় পানির অভাবে বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ে। সঙ্গে চর্মরোগও হতে পারে। বন্যার পানি নামার সময় এসব রোগবালাই বেশি হয়। তাই এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে। তা ছাড়া, বন্যা চলাকালে বিপুলসংখ্যক দুর্গত মানুষকে ক্ষুধা, কোভিড–১৯ থেকে রক্ষা করাও কঠিন চ্যালেঞ্জ।
এ জন্য দুর্যোগ খাতে বরাদ্দ অনেক বাড়ানো এবং তার সুষ্ঠু বিতরণসহ সামগ্রিক সুব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি প্রশাসন, স্থানীয় সরকার কাঠামো, বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা—সবার সম্মিলিত তৎপরতায় আসন্ন এ গুরুতর সংকট মোকাবিলা করতে হবে।
আষাঢ় মাস আসতে এখনো এক সপ্তাহের বেশি বাকি। কিন্তু পশ্চিমা লঘুচাপের সঙ্গে পুবালি বাতাসের মিশ্রণে সৃষ্ট মেঘ থেকে দেশে বৃষ্টিপাত বেড়েছে। শনিবার ঢাকায় ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই অতিবৃষ্টির কারণে চলমান করোনা মহামারির দুশ্চিন্তার সঙ্গে যোগ হয়েছে বন্যার আশঙ্কা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশের বেশ কয়েকটি নদ-নদীর পানি বাড়ছে। পাউবোর পর্যবেক্ষণে থাকা বিভিন্ন নদ-নদীর ১০১টি পয়েন্টের মধ্যে ৪১টিতে পানি বেড়েছে এবং কমেছে ৫৩টি পয়েন্টে। অপরিবর্তিত আছে ছয়টি পয়েন্টে। এই প্রসঙ্গে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ভারী বর্ষণের কারণে উত্তরাঞ্চল, উত্তর–পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলের কিছু স্থানে আকস্মিক বন্যা হতে পারে।
তবে সমস্যা হলো বন্যা যখন হতে পারে, তখন সারা দেশে কোভিড–১৯ মহামারি চলছে। করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশে লকডাউন চলছে, তাই এ পরিস্থিতিতে আবার বন্যা এলে মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকবে না। গত বছরের লম্বা সময় স্থায়ী বন্যায় প্রায় অর্ধকোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে সুনির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ এবার আগেভাগেই নিতে হবে। রোববার সকালের মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিতে ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকা। হাঁটু থেকে বুকসমান পানি উঠেছে বিভিন্ন স্থানে।
বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে বেড়েছে আতঙ্ক। বৃষ্টির কারণে পাহাড়ধসের আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
মৌসুমি বায়ুর অগ্রভাগের প্রভাবে চট্টগ্রামে এই বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলে আবহাওয়াবিদেরা জানান। আরও বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তরের কর্তব্যরত আবহাওয়াবিদ শহিদুল ইসলাম বলেন, মৌসুমি বায়ু মিয়ানমার ও টেকনাফ অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। তার অগ্রভাগের কারণে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী কয়েক দিন আরও বৃষ্টি হবে।
১৯৯৮ সালের বন্যার সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেসব আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছিল, সেগুলোর অধিকাংশই ছিল বেসরকারি জমিতে। ফলে সেগুলো পরবর্তী সময়ে আর সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকেনি, অনেকগুলোই বেদখল হয়ে গেছে। সেগুলো পুনরুদ্ধার করে বন্যার্তদের আশ্রয় গ্রহণের উপযোগী করা প্রয়োজন। পাশাপাশি মনে রাখতে হবে, বন্যার্তদের কোনো আশ্রয়কেন্দ্রে একবার কোভিড–১৯ সংক্রমণ শুরু হলে তা অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার প্রকট আশঙ্কা থাকবে। সুতরাং স্থানীয় প্রশাসন ও সরকার-কর্তৃপক্ষসহ বন্যা মোকাবিলায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের এ বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা এবং প্রস্তুতি থাকতে হবে।
বন্যায় মানুষের গৃহহীন হওয়ার সঙ্গে ফসলি জমিও পানিতে নিমজ্জিত হয়। ফলে বন্যা–পরবর্তী সময়ে গৃহহীন মানুষের খাদ্যের অভাব দেখা দেয়। গবাদি পশু–পাখির অবস্থা হয় আরও খারাপ। সুপেয় পানির অভাবে বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ে। সঙ্গে চর্মরোগও হতে পারে। বন্যার পানি নামার সময় এসব রোগবালাই বেশি হয়। তাই এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে। তা ছাড়া, বন্যা চলাকালে বিপুলসংখ্যক দুর্গত মানুষকে ক্ষুধা, কোভিড–১৯ থেকে রক্ষা করাও কঠিন চ্যালেঞ্জ।
এ জন্য দুর্যোগ খাতে বরাদ্দ অনেক বাড়ানো এবং তার সুষ্ঠু বিতরণসহ সামগ্রিক সুব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি প্রশাসন, স্থানীয় সরকার কাঠামো, বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা—সবার সম্মিলিত তৎপরতায় আসন্ন এ গুরুতর সংকট মোকাবিলা করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে পড়াশোনা করা মোজাম্মেল হোসেন, ঘনিষ্ঠ মহলে যিনি মঞ্জু নামেই বেশি পরিচিত, ছাত্রাবস্থায় ১৯৬৯ সালে সাপ্তাহিক ‘যুগবাণী’ ও ১৯৭০ সালে সাপ্তাহিক ‘একতা’য় প্রতিবেদক হিসেবে পেশাজীবন শুরু করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘মুক্তিযুদ্ধ’ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক ছিলেন।
৯ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ। নতুন প্রজন্ম বেড়ে উঠছে ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার (বর্তমানে এক্স), ইনস্টাগ্রাম, মোবাইল অ্যাপ, ডিজিটাল কনটেন্টের প্রভাবিত জগতে। শুধু নতুন প্রজন্মই নয়, এটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সব বয়সীর মধ্যে।
১০ ঘণ্টা আগেঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ৩৭ নম্বর মধ্য গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে আজকের পত্রিকায় ছাপা হওয়া এক প্রতিবেদনে। একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজনমাত্র শিক্ষক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বসেছেন পড়াতে।
১০ ঘণ্টা আগেআশা-নিরাশা নিয়ে যুগে যুগে জ্ঞানী-গুণী, মহাজনদের মুখনিঃসৃত বাণী আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে বিষম-বিভ্রমের মধ্যে ফেলে রেখেছে। কারণ, তাঁদের কেউ বলেছেন ‘ধন্য আশা কুহকিনি/তোমার মায়ায়, অসার সংসারচক্র ঘোরে নিরবধি, দাঁড়াইত স্থিরভাবে, চলিত না হায়; মন্ত্রবলে তুমি চক্র না ঘুরাতে যদি...’।
১ দিন আগে