সানজিদা সামরিন
আমরা কি বড্ড অস্থির হয়ে পড়েছি? নাকি আশপাশে স্বাদ বদলানোর বিকল্প অনেক বেশি আধুনিকতার চরম এ সময়ে? একটা ছোট্ট উদাহরণ দিলে বোধ করি ভালো হয়–নব্বইয়ের দশকে বা এরও আগে যখন ক্যাসেট প্লেয়ার ছিল সবার বাড়ি বাড়ি, তখন একটা অ্যালবাম মুক্তি পেলে সেই গানগুলো আমরা তত দিন অবধি শুনতাম যত দিন নতুন কোনো অ্যালবাম না আসছে। দুয়েকটা পছন্দের গানের হদিস পেলে গোটা অ্যালবামটাই সংগ্রহ করতে হতো। অধিকাংশ তাই-ই করত। আবার সেই একই গান দীর্ঘদিন ধরে শুনতেও মন্দ ঠেকত না।
পরবর্তী কালে কম্পিউটার সবার বাড়ি বাড়ি অপরিহার্য হয়ে ওঠায় চিত্রটা ভিন্ন হয়ে গেল। ইন্টারনেটের সহজলভ্যতায় মুহূর্তেই শত গান হাতড়ে বেড়ানো যায়। রোজই পাওয়া যায় নিজের পছন্দের গান। শুধু গান কেন, যখন যা শুনতে চাই, দেখতে চাই সবই সম্ভব। ফলে এক গান, এক ভিডিও বহুদিন না শুনলেও, দেখলেও চলে। মনেও ধরে না ওই একই জিনিস। উদাহরণ দেওয়া শেষ।
এতটুকু লিখতে লিখতেই যে শব্দটি মগজে কড়া নাড়ছে তা হলো, ‘কেমিস্ট্রি’। রসায়ন, মিশ্রণ ডট ডট ডট। আরও দু-চারটা শব্দ শিকড় গজানোয় ব্যস্ত মস্তিষ্কে। সে গজাক। এই ফাঁকে বলে ফেলি–এই গানের মতো পুরোনো কি হয়ে গেছে বৈবাহিক সম্পর্কটাও? পরিসংখ্যানের কঠিন হিসাবের ফিরিস্তি না দিয়েও যদি খেয়াল করা যায়, তাহলে বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা কতটা বেড়েছে, ভাবাই যায় না। রোজকার খুচরা ঝগড়াতেও দম্পতির মুখে অনায়াসে চলে আসছে ‘বেরিয়ে যাও, ডিভোর্স পেপার দিয়ে দেব, ছেড়ে দেব’র মতো বোমারু বাক্যগুলো। কখনো তা একপক্ষীয়, কখনো উভয় পক্ষ থেকে। আর এই সিদ্ধান্তের জানান দেওয়ার পেছনে রয়েছে–ডমেস্টিক ভায়োলেন্স, আর্থিক অবস্থান নিয়ে কথা-কাটাকাটি, সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার ও অতিরিক্ত ব্যবহার, সঙ্গীর প্রতি মনোযোগের অভাব, তৃতীয় পক্ষের প্রবেশজনিত কারণে সমস্যা ইত্যাদি।
একটি বিয়ে সামাজিক, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত জীবনের জন্য প্রয়োজন বলেই আমরা জানি। কিন্তু ওই যে শব্দটি বলেছিলাম–কেমিস্ট্রি। সেটা আবছা হয়ে গেলে, পাশাপাশি সম্মান ও সততার জায়গাটি ম্লান হয়ে গেলে এই বৈবাহিক সম্পর্ক আত্মিক জায়গা থেকে নড়ে যায়। কিন্তু এ নিয়ে বড্ড বেপরোয়া ও অস্থির সময় পার করছি আমরা। যেন এতটুকু ধৈর্য নেই এক ছাদের তলে একজনকে নিয়েই জীবনতরি পার করার। জীবনসঙ্গী শব্দটাকে ধারণ করার ব্যাপারটাও আমলে নেওয়া কঠিন যেন। সুখের বিস্তর বিকল্প যেন ছড়িয়ে আশপাশ।
একটা সময় গোটা বিশ্বে ঠিক-ভুল, সততা-অসততার একটা গণ্ডি ছিল। এ অপরাধ, এ করা যায় না। এ মঙ্গল, এটাই করা উচিত। যেন পারিবারিক বন্ধনে থেকে ব্যাপারটা সবাই বুঝত। সর্বোচ্চ কঠিন সময়েও বিবাহবিচ্ছেদের কথা মুখ অবধি আনা হতো না। পুনরায় একসঙ্গে থাকার চর্চাও করে যেতেন দম্পতিরা। কিন্তু এখন কাস্টমাইজেশনের যুগ। ভালো লাগছে না, থাকব কেন। আমার বদভ্যাস আছে, ঠিক আছে তাই-ই থাকবে। সঙ্গী বললেই তা বদলাতে হবে নাকি, এমন একটা ব্যাপার। একটা সময় ছিল যখন একটা পরিবার মানে সুঅভ্যাস, নিয়ম, ভদ্রতা মেনে চলার ও শেখার স্থান। নারী, পুরুষ বা সন্তানের আচরণেই বোঝা যেত সে কেমন পরিবারে বেড়ে উঠেছে। কিন্তু এখন যেন তা নয়। ও এমন থাকতে চায়, থাকতে দাও। যার যার অভ্যাস তার তার মতো তা শুধরে নিতেও নারাজ তারা। করুক না তো কী হয়েছে। একটা বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক রাখতে ব্যক্তিগতভাবে কত দূর যাওয়া যায়, কোথায় গিয়ে থামতে হয়, কোথা থেকে ফেরত আসতে হয়, কেবল জীবনসঙ্গীকে সম্মান করার জন্যই তা-ও আজ কাস্টমাইজেশনের কৌটায় পুরে দিয়েছি আমরা। করেছে তো কী হয়েছে?
একটু ঘেঁটে দেখলেই পাওয়া যায়, গোটা বিশ্বে বিবাহবিচ্ছেদ বাড়ার অন্যতম কারণ সোশ্যাল মিডিয়া। বাড়ি ফিরে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপে ব্যস্ত। কখনো একজন মনোযোগ দিলেও অপরজনের সাড়ার অভাবে চুপসে যায়। একসঙ্গে টিভি দেখতে দেখতে হেসে ওঠার দিন এখন আর নেই। একদিকে চুম্বকের মতো এই ডিভাইস টানছে। ওদিকে ছিন্ন করছে নিজেদের মধ্যকার সম্পর্ক। ফেসবুকের ৩০০ বা ৪ হাজার বন্ধু ফেলে একটা আস্ত মানুষে মন ডোবানোর ফুরসতই নেই। কীভাবে টিকবে সে সম্পর্ক? আবারও একটু গল্প বলি–
তখন আমাদের একতলা বাড়ি। আশপাশে একতলাই ছিল সব। উঁচুতলা গড়ে ওঠেনি তখনো, মানে পাশাপাশি লাগোয়া বাড়ি সব। পাশের বাড়িতে কেবল তরকারিতে লবণ কম হওয়ার কারণে তর্কাতর্কিতে পাঁচ সন্তানের মাকে রাতে খাওয়ার সময় ঘর থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে উঠোনে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন তাঁর স্বামী। বাবা ঘুমিয়ে যাওয়ার পর বড় ছেলে মাকে উঠোন থেকে ঘরে নিয়ে আসে। সেই মা ভাতও খেয়েছিলেন। এ ঘটনা মোটেও কাম্য নয়; তবু সে সংসারও টিকেছিল। আর সেই স্বামী যিনি ঘর থেকে বের করে দিয়েছিলেন, তিনিও স্ত্রীর পাল্টে রাখা শাড়ি খুব করে কেচেছেন। উঠোনে মেলেছেন। রান্নার সময় খুন্তি নেড়েছেন কড়াইয়ে। কই, আলাদা তো হননি কেউ কারও থেকে। মূল জায়গায় একসঙ্গেই ছিলেন।
বিবাহবিচ্ছেদ ইতিবাচকও কখনো; বরং প্রয়োজন হতে পারে বিশেষ ক্ষেত্রে। কিন্তু সুখী হওয়ার অন্যতম উপায় বিবাহবিচ্ছেদ, প্রতিবেলায় পাতে তুলে দেওয়া একটা হুমকি, এই হুমকি দিয়েই নিজের সব অপরাধ সঙ্গীর পক্ষে সইয়ে নেওয়ার যে আধুনিক ট্রেন্ড এই সময়ে চলছে, তা কতটা স্বাস্থ্যকর? অপশন অনেক আছে; তবে আশি বা নব্বইয়ের দশকের ফ্যামিলি বন্ডিং বা সঙ্গীকে ধারণ করার বিষয়টা কী আর আত্মস্থ করা যায় না? না ভেঙে নিজেদের আর সম্পর্কটাকে কি গড়া যায় আদর্শ দিয়ে? আদর্শ–এই শব্দটাই মস্তিষ্কে শিকড় গজাচ্ছিল এতক্ষণ…।
আমরা কি বড্ড অস্থির হয়ে পড়েছি? নাকি আশপাশে স্বাদ বদলানোর বিকল্প অনেক বেশি আধুনিকতার চরম এ সময়ে? একটা ছোট্ট উদাহরণ দিলে বোধ করি ভালো হয়–নব্বইয়ের দশকে বা এরও আগে যখন ক্যাসেট প্লেয়ার ছিল সবার বাড়ি বাড়ি, তখন একটা অ্যালবাম মুক্তি পেলে সেই গানগুলো আমরা তত দিন অবধি শুনতাম যত দিন নতুন কোনো অ্যালবাম না আসছে। দুয়েকটা পছন্দের গানের হদিস পেলে গোটা অ্যালবামটাই সংগ্রহ করতে হতো। অধিকাংশ তাই-ই করত। আবার সেই একই গান দীর্ঘদিন ধরে শুনতেও মন্দ ঠেকত না।
পরবর্তী কালে কম্পিউটার সবার বাড়ি বাড়ি অপরিহার্য হয়ে ওঠায় চিত্রটা ভিন্ন হয়ে গেল। ইন্টারনেটের সহজলভ্যতায় মুহূর্তেই শত গান হাতড়ে বেড়ানো যায়। রোজই পাওয়া যায় নিজের পছন্দের গান। শুধু গান কেন, যখন যা শুনতে চাই, দেখতে চাই সবই সম্ভব। ফলে এক গান, এক ভিডিও বহুদিন না শুনলেও, দেখলেও চলে। মনেও ধরে না ওই একই জিনিস। উদাহরণ দেওয়া শেষ।
এতটুকু লিখতে লিখতেই যে শব্দটি মগজে কড়া নাড়ছে তা হলো, ‘কেমিস্ট্রি’। রসায়ন, মিশ্রণ ডট ডট ডট। আরও দু-চারটা শব্দ শিকড় গজানোয় ব্যস্ত মস্তিষ্কে। সে গজাক। এই ফাঁকে বলে ফেলি–এই গানের মতো পুরোনো কি হয়ে গেছে বৈবাহিক সম্পর্কটাও? পরিসংখ্যানের কঠিন হিসাবের ফিরিস্তি না দিয়েও যদি খেয়াল করা যায়, তাহলে বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা কতটা বেড়েছে, ভাবাই যায় না। রোজকার খুচরা ঝগড়াতেও দম্পতির মুখে অনায়াসে চলে আসছে ‘বেরিয়ে যাও, ডিভোর্স পেপার দিয়ে দেব, ছেড়ে দেব’র মতো বোমারু বাক্যগুলো। কখনো তা একপক্ষীয়, কখনো উভয় পক্ষ থেকে। আর এই সিদ্ধান্তের জানান দেওয়ার পেছনে রয়েছে–ডমেস্টিক ভায়োলেন্স, আর্থিক অবস্থান নিয়ে কথা-কাটাকাটি, সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার ও অতিরিক্ত ব্যবহার, সঙ্গীর প্রতি মনোযোগের অভাব, তৃতীয় পক্ষের প্রবেশজনিত কারণে সমস্যা ইত্যাদি।
একটি বিয়ে সামাজিক, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত জীবনের জন্য প্রয়োজন বলেই আমরা জানি। কিন্তু ওই যে শব্দটি বলেছিলাম–কেমিস্ট্রি। সেটা আবছা হয়ে গেলে, পাশাপাশি সম্মান ও সততার জায়গাটি ম্লান হয়ে গেলে এই বৈবাহিক সম্পর্ক আত্মিক জায়গা থেকে নড়ে যায়। কিন্তু এ নিয়ে বড্ড বেপরোয়া ও অস্থির সময় পার করছি আমরা। যেন এতটুকু ধৈর্য নেই এক ছাদের তলে একজনকে নিয়েই জীবনতরি পার করার। জীবনসঙ্গী শব্দটাকে ধারণ করার ব্যাপারটাও আমলে নেওয়া কঠিন যেন। সুখের বিস্তর বিকল্প যেন ছড়িয়ে আশপাশ।
একটা সময় গোটা বিশ্বে ঠিক-ভুল, সততা-অসততার একটা গণ্ডি ছিল। এ অপরাধ, এ করা যায় না। এ মঙ্গল, এটাই করা উচিত। যেন পারিবারিক বন্ধনে থেকে ব্যাপারটা সবাই বুঝত। সর্বোচ্চ কঠিন সময়েও বিবাহবিচ্ছেদের কথা মুখ অবধি আনা হতো না। পুনরায় একসঙ্গে থাকার চর্চাও করে যেতেন দম্পতিরা। কিন্তু এখন কাস্টমাইজেশনের যুগ। ভালো লাগছে না, থাকব কেন। আমার বদভ্যাস আছে, ঠিক আছে তাই-ই থাকবে। সঙ্গী বললেই তা বদলাতে হবে নাকি, এমন একটা ব্যাপার। একটা সময় ছিল যখন একটা পরিবার মানে সুঅভ্যাস, নিয়ম, ভদ্রতা মেনে চলার ও শেখার স্থান। নারী, পুরুষ বা সন্তানের আচরণেই বোঝা যেত সে কেমন পরিবারে বেড়ে উঠেছে। কিন্তু এখন যেন তা নয়। ও এমন থাকতে চায়, থাকতে দাও। যার যার অভ্যাস তার তার মতো তা শুধরে নিতেও নারাজ তারা। করুক না তো কী হয়েছে। একটা বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক রাখতে ব্যক্তিগতভাবে কত দূর যাওয়া যায়, কোথায় গিয়ে থামতে হয়, কোথা থেকে ফেরত আসতে হয়, কেবল জীবনসঙ্গীকে সম্মান করার জন্যই তা-ও আজ কাস্টমাইজেশনের কৌটায় পুরে দিয়েছি আমরা। করেছে তো কী হয়েছে?
একটু ঘেঁটে দেখলেই পাওয়া যায়, গোটা বিশ্বে বিবাহবিচ্ছেদ বাড়ার অন্যতম কারণ সোশ্যাল মিডিয়া। বাড়ি ফিরে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপে ব্যস্ত। কখনো একজন মনোযোগ দিলেও অপরজনের সাড়ার অভাবে চুপসে যায়। একসঙ্গে টিভি দেখতে দেখতে হেসে ওঠার দিন এখন আর নেই। একদিকে চুম্বকের মতো এই ডিভাইস টানছে। ওদিকে ছিন্ন করছে নিজেদের মধ্যকার সম্পর্ক। ফেসবুকের ৩০০ বা ৪ হাজার বন্ধু ফেলে একটা আস্ত মানুষে মন ডোবানোর ফুরসতই নেই। কীভাবে টিকবে সে সম্পর্ক? আবারও একটু গল্প বলি–
তখন আমাদের একতলা বাড়ি। আশপাশে একতলাই ছিল সব। উঁচুতলা গড়ে ওঠেনি তখনো, মানে পাশাপাশি লাগোয়া বাড়ি সব। পাশের বাড়িতে কেবল তরকারিতে লবণ কম হওয়ার কারণে তর্কাতর্কিতে পাঁচ সন্তানের মাকে রাতে খাওয়ার সময় ঘর থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে উঠোনে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন তাঁর স্বামী। বাবা ঘুমিয়ে যাওয়ার পর বড় ছেলে মাকে উঠোন থেকে ঘরে নিয়ে আসে। সেই মা ভাতও খেয়েছিলেন। এ ঘটনা মোটেও কাম্য নয়; তবু সে সংসারও টিকেছিল। আর সেই স্বামী যিনি ঘর থেকে বের করে দিয়েছিলেন, তিনিও স্ত্রীর পাল্টে রাখা শাড়ি খুব করে কেচেছেন। উঠোনে মেলেছেন। রান্নার সময় খুন্তি নেড়েছেন কড়াইয়ে। কই, আলাদা তো হননি কেউ কারও থেকে। মূল জায়গায় একসঙ্গেই ছিলেন।
বিবাহবিচ্ছেদ ইতিবাচকও কখনো; বরং প্রয়োজন হতে পারে বিশেষ ক্ষেত্রে। কিন্তু সুখী হওয়ার অন্যতম উপায় বিবাহবিচ্ছেদ, প্রতিবেলায় পাতে তুলে দেওয়া একটা হুমকি, এই হুমকি দিয়েই নিজের সব অপরাধ সঙ্গীর পক্ষে সইয়ে নেওয়ার যে আধুনিক ট্রেন্ড এই সময়ে চলছে, তা কতটা স্বাস্থ্যকর? অপশন অনেক আছে; তবে আশি বা নব্বইয়ের দশকের ফ্যামিলি বন্ডিং বা সঙ্গীকে ধারণ করার বিষয়টা কী আর আত্মস্থ করা যায় না? না ভেঙে নিজেদের আর সম্পর্কটাকে কি গড়া যায় আদর্শ দিয়ে? আদর্শ–এই শব্দটাই মস্তিষ্কে শিকড় গজাচ্ছিল এতক্ষণ…।
অনেকেরই সংশয় ছিল। কারও কিছুটা হালকা, কারও আবার গভীর। কেউ কেউ শঙ্কিতও ছিলেন। দেশের পরিস্থিতি কোন দিকে যায় তা নিয়ে। এদের সবার সেই সব সংশয় ও শঙ্কা এখন ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। ফলে দেশের শাসনব্যবস্থার গণতান্ত্রিক রূপান্তরকামী সাধারণ মানুষের জন্য তা হয়ে উঠেছে অশনিসংকেত। হ্যাঁ, এই কথাগুলো হচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয়
২১ ঘণ্টা আগেন্যায়বিচার, সংস্কার ও বৈষম্য বিলোপের দাবি থেকে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান সফল হয়েছিল। দুঃখজনক ব্যাপার হলো, গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে এই আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের অনেকেই অপরাধ চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) নেতার উন্মুক্ত চাঁদাবাজির ঘটনা এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
২১ ঘণ্টা আগেআমাদের সর্বসাধারণের মনে একটা প্রশ্ন সব সময়ই ঘুরপাক খায়—ভগবান যেহেতু অজ, তাহলে তাঁর আবার জন্ম কিসের? এই প্রশ্নের উত্তর ভগবান নিজেই গীতায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন। গীতায় ভগবান বলেছেন, তিনি এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা এবং তিনি অজ অর্থাৎ জন্মরহিত হওয়া সত্ত্বেও এই জড়জগতে জন্মগ্রহণ করেন। কেন তিনি জন্মগ্রহণ
২১ ঘণ্টা আগেএকসময় ভরা মৌসুমে এ দেশের সাধারণ মানুষও ইলিশ কিনতে পারত। কিন্তু অনেক বছর থেকে ইলিশ শুধু উচ্চবিত্ত মানুষেরাই কিনতে পারছে। বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম থাকায় এর আকাশছোঁয়া দামের কারণে এখন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের নাগালের মধ্যে নেই ইলিশ। এখন ভরা মৌসুমে ইলিশের দাম বাড়া নিয়ে ১৫ আগস্ট আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ
১ দিন আগে