তাপস মজুমদার
আয় নেই অথচ আয়কর দিতে হচ্ছে। কে কবে শুনেছে এমন ঘটনা! শুনতে অবাক লাগলেও বাংলাদেশে এই ঘটনা সত্যি। বলার অপেক্ষা রাখে না যে এটা অন্যায্য, বৈষম্যমূলক ও বিড়ম্বনাপূর্ণ।
যাঁদের গাড়ি আছে তাঁদের গাড়ির ট্যাক্স টোকেন ও ফিটনেস হালনাগাদ করার সময় বিআরটিএতে যখন বছর বছর টাকা জমা দিতে হয়, তখন তার সঙ্গে আবশ্যিকভাবে অগ্রিম আয়করও (অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স—এআইটি) জমা দিতে হয়। এই অগ্রিম আয়করের পরিমাণ গাড়ির ইঞ্জিনের ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। যেমন গাড়ি যদি ১৫০০ কিউবিক ক্যাপাসিটির (সিসি) হয়, তাহলে ২৫ হাজার টাকা অগ্রিম আয়কর জমা করতে হবে। এভাবে বাস-ট্রাক-জিপ-কার—এ রকম ভিন্ন ভিন্ন ক্ষমতার ইঞ্জিনের গাড়ির জন্য অগ্রিম আয়করের পরিমাণও ভিন্ন ভিন্ন।
বছরের যে তারিখে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নবায়নের সময় হয়, সেই তারিখের আগেই এই অগ্রিম আয়কর প্রদান করতে হয়। অগ্রিম আয়কর জমা না দিলে গাড়ির কোনো ডকুমেন্ট নবায়ন করা হয় না। পরবর্তী সময়ে যখন করদাতা আয়কর রিটার্ন জমা দেন তখন পূর্বে প্রদত্ত এই টাকা প্রদেয় আয়করের সঙ্গে সমন্বয় করেন। অর্থাৎ কেউ যদি ২৫ হাজার টাকা অগ্রিম আয়কর জমা দেন অথচ তাঁর নির্ধারিত আয়করের পরিমাণ ২৫ হাজার টাকার ওপরে হয়—তাহলে আয়কর রিটার্নের সঙ্গে শুধু ওপরের বা অতিরিক্ত পরিমাণটুকুই তাঁকে দিতে হবে।
এই অগ্রিম আয়করকে সরকারের ঋণ হিসেবেও বিবেচনা করা যেতে পারে। অর্থাৎ গাড়ির মালিকের কাছ থেকে সরকার ঋণ নিচ্ছে। আর সেই ঋণ পরিশোধ করছে কখন! যখন ওই ব্যক্তি তাঁর আয়কর রিটার্ন জমা দিচ্ছেন।
যাঁদের আয় আছে তাঁরা আয়কর দেবেন এবং আয়কর দিলে এই টাকা সমন্বয় হয়ে যায়। তবে প্রদত্ত অগ্রিম আয়করের চেয়ে প্রদেয় নির্ধারিত আয়কর কম হলে সেখানে সম্পূর্ণ পরিমাণ সমন্বয় হয় না। কিন্তু যাঁদের আয় নেই অথচ গাড়ি আছে, তাঁদের বেলা! (এই ঘটনা বিশেষ করে অবসরপ্রাপ্ত অনেক চাকুরের ক্ষেত্রে বেশি প্রযোজ্য)। দুঃখজনক হলো, তাঁদেরও এই অগ্রিম আয়কর দিতে হয়। আবার যেহেতু তাঁদের আয় নেই, থাকলেও তা হয়তো করযোগ্য নয়, তাই এই অগ্রিম আয়কর সমন্বয়েরও কোনো সুযোগ নেই। ফলে সরকারের পক্ষ থেকে গৃহীত সেই অগ্রিম বা ঋণ গাড়ির মালিককে ফেরত দেওয়াও হয় না। প্রতিবছর প্রদত্ত এই অগ্রিম আয়কর পুনঃ পুনঃ যুক্ত হয়ে বড় অঙ্ক তৈরি করছে এবং এই টাকার স্তূপ বর্ধিত হয়ে ওইভাবেই থেকে যাচ্ছে। গ্রাহক তা আর ফেরত পাচ্ছেন না। এর ফলে রাষ্ট্রের নীতিতে অন্যায্যতার ভিত্তি তৈরি হচ্ছে—যেটা কখনোই হওয়া উচিত নয়। তা সে টাকা যত অল্প পরিমাণই হোক না কেন!
সম্প্রতি বাংলাদেশের পুঁজিবাজারেও অগ্রিম আয়কর একটি অন্তরায় হিসেবে উঠে এসেছে। ১২ এপ্রিল ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) আয়োজিত বাজেট আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, শেয়ারে লোকসানের পরও এই অগ্রিম আয়কর পরিশোধ করতে বাধ্য হওয়ায় ব্রোকার ও বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রতি এক লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে ৫০ টাকা হারে এআইটি কাটা হয়। ভারতে এ হার ১০ টাকা, সিঙ্গাপুরে ৭ টাকা, পাকিস্তানে মাত্র ৬৫ পয়সা। বক্তারা বলেন—সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, এই অগ্রিম কর সমন্বয়ের কোনো সুযোগ নেই। এটি চূড়ান্ত কর হিসেবে গণ্য হয়। ফলে ব্রোকারদেরকে বছরের পর বছর লোকসান গুনে আয়কর দিতে হচ্ছে (আজকের পত্রিকা, ১৩ এপ্রিল ২০২৫)। উল্লিখিত আলোচনায় বক্তারা প্রশ্ন করেন, মুনাফা না হলে কর কিসের? কোনো ব্যবসায় ক্ষতি হলে আয়কর প্রদান বাধ্যতামূলক হতে পারে না।
সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রেও এ ধরনের ঘটনা ঘটে। ধরুন কোনো গ্রাহক পাঁচ বছর মেয়াদে সঞ্চয়পত্র কিনেছেন। ওই সঞ্চয়পত্রে পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য প্রযোজ্য সুদ আরোপ করা হচ্ছে। প্রতিবছর যখন তাতে সুদ আরোপ করা হচ্ছে তখন ওই সুদের ওপর আয়কর কেটে নেওয়া হচ্ছে (ট্যাক্স ডিডাকটেড অ্যাট সোর্স—টিডিএস)। এখন যদি কোনো গ্রাহক পাঁচ বছর পূর্ণ না করে তার আগেই সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করেন, তবে তাঁকে নির্দিষ্ট হারে সুদ ফেরত দিতে হয়। কিন্তু তিনি যে পরিমাণ সুদের টাকা ফেরত দিচ্ছেন তার বিপরীতে ইতিমধ্যে পরিশোধিত আয়কর তাঁকে ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। অথচ ন্যায্যতার স্বার্থে উচিত ছিল ইতিপূর্বে গৃহীত টিডিএস সমন্বয় করে অতিরিক্ত টাকাটা গ্রাহককে ফেরত দেওয়া।
এভাবে আয়কর পদ্ধতিতে অনেক অস্বচ্ছতা রয়ে গেছে—যার অবসান হওয়া প্রয়োজন। আমাদের আরও গভীরে ঢুকে চিন্তা করতে হবে। এভাবে রাষ্ট্রের নীতিতে যদি বৈষম্য এবং দৃশ্যমান ফাঁকফোকর থাকে, তবে গোটা ব্যবস্থাতে একটা অবিশ্বস্ততা তৈরি হয়। যে ব্যক্তির গাড়ি আছে কিন্তু করযোগ্য আয় নেই অথবা যে বিনিয়োগকারীর লোকসান হলো অথবা যে সঞ্চয়পত্র-গ্রহীতা মেয়াদ পূর্তির আগেই তাঁর সঞ্চয়পত্র ভাঙিয়ে ফেললেন—তাঁদের কাছ থেকে কেন অগ্রিম আয়কর নেওয়া হচ্ছে! আর যদি নেওয়া হয়ই তাহলে যথাসময়ে তা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা কেন নেই!
সরকার যদি জনগণের কাছ থেকে গৃহীত ঋণ কখনোই পরিশোধ না করে তাহলে সেটা শোষণমূলক ঘটনার উদাহরণ হয়ে দাঁড়ায় বৈকি।
এই ব্যবস্থা কোনোভাবেই চলতে থাকা উচিত নয়। কর্তৃপক্ষের উচিত এর প্রতিকার সাধন করা। এখন পদ্ধতি অনেক ডিজিটালাইজড হয়েছে। অনলাইনে একজন গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং টিআইএন দেখে তাঁর কাছে পাওনা-দেনা সম্পর্কে হালনাগাদ হিসাব তাৎক্ষণিকভাবে বের করা সম্ভব। সেটা দেখেই প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় যে অগ্রিম আয়কর গ্রহণ করতে হবে কি না। সরকারের যেকোনো অঙ্গের নীতির স্বচ্ছতা যেমন থাকা দরকার, তেমনি সেই নীতি-নিয়মের ব্যবহারের নিয়মটাও যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হওয়া দরকার।
লেখক: সাবেক ব্যাংকার ও সাংস্কৃতিক সংগঠক
আয় নেই অথচ আয়কর দিতে হচ্ছে। কে কবে শুনেছে এমন ঘটনা! শুনতে অবাক লাগলেও বাংলাদেশে এই ঘটনা সত্যি। বলার অপেক্ষা রাখে না যে এটা অন্যায্য, বৈষম্যমূলক ও বিড়ম্বনাপূর্ণ।
যাঁদের গাড়ি আছে তাঁদের গাড়ির ট্যাক্স টোকেন ও ফিটনেস হালনাগাদ করার সময় বিআরটিএতে যখন বছর বছর টাকা জমা দিতে হয়, তখন তার সঙ্গে আবশ্যিকভাবে অগ্রিম আয়করও (অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স—এআইটি) জমা দিতে হয়। এই অগ্রিম আয়করের পরিমাণ গাড়ির ইঞ্জিনের ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। যেমন গাড়ি যদি ১৫০০ কিউবিক ক্যাপাসিটির (সিসি) হয়, তাহলে ২৫ হাজার টাকা অগ্রিম আয়কর জমা করতে হবে। এভাবে বাস-ট্রাক-জিপ-কার—এ রকম ভিন্ন ভিন্ন ক্ষমতার ইঞ্জিনের গাড়ির জন্য অগ্রিম আয়করের পরিমাণও ভিন্ন ভিন্ন।
বছরের যে তারিখে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নবায়নের সময় হয়, সেই তারিখের আগেই এই অগ্রিম আয়কর প্রদান করতে হয়। অগ্রিম আয়কর জমা না দিলে গাড়ির কোনো ডকুমেন্ট নবায়ন করা হয় না। পরবর্তী সময়ে যখন করদাতা আয়কর রিটার্ন জমা দেন তখন পূর্বে প্রদত্ত এই টাকা প্রদেয় আয়করের সঙ্গে সমন্বয় করেন। অর্থাৎ কেউ যদি ২৫ হাজার টাকা অগ্রিম আয়কর জমা দেন অথচ তাঁর নির্ধারিত আয়করের পরিমাণ ২৫ হাজার টাকার ওপরে হয়—তাহলে আয়কর রিটার্নের সঙ্গে শুধু ওপরের বা অতিরিক্ত পরিমাণটুকুই তাঁকে দিতে হবে।
এই অগ্রিম আয়করকে সরকারের ঋণ হিসেবেও বিবেচনা করা যেতে পারে। অর্থাৎ গাড়ির মালিকের কাছ থেকে সরকার ঋণ নিচ্ছে। আর সেই ঋণ পরিশোধ করছে কখন! যখন ওই ব্যক্তি তাঁর আয়কর রিটার্ন জমা দিচ্ছেন।
যাঁদের আয় আছে তাঁরা আয়কর দেবেন এবং আয়কর দিলে এই টাকা সমন্বয় হয়ে যায়। তবে প্রদত্ত অগ্রিম আয়করের চেয়ে প্রদেয় নির্ধারিত আয়কর কম হলে সেখানে সম্পূর্ণ পরিমাণ সমন্বয় হয় না। কিন্তু যাঁদের আয় নেই অথচ গাড়ি আছে, তাঁদের বেলা! (এই ঘটনা বিশেষ করে অবসরপ্রাপ্ত অনেক চাকুরের ক্ষেত্রে বেশি প্রযোজ্য)। দুঃখজনক হলো, তাঁদেরও এই অগ্রিম আয়কর দিতে হয়। আবার যেহেতু তাঁদের আয় নেই, থাকলেও তা হয়তো করযোগ্য নয়, তাই এই অগ্রিম আয়কর সমন্বয়েরও কোনো সুযোগ নেই। ফলে সরকারের পক্ষ থেকে গৃহীত সেই অগ্রিম বা ঋণ গাড়ির মালিককে ফেরত দেওয়াও হয় না। প্রতিবছর প্রদত্ত এই অগ্রিম আয়কর পুনঃ পুনঃ যুক্ত হয়ে বড় অঙ্ক তৈরি করছে এবং এই টাকার স্তূপ বর্ধিত হয়ে ওইভাবেই থেকে যাচ্ছে। গ্রাহক তা আর ফেরত পাচ্ছেন না। এর ফলে রাষ্ট্রের নীতিতে অন্যায্যতার ভিত্তি তৈরি হচ্ছে—যেটা কখনোই হওয়া উচিত নয়। তা সে টাকা যত অল্প পরিমাণই হোক না কেন!
সম্প্রতি বাংলাদেশের পুঁজিবাজারেও অগ্রিম আয়কর একটি অন্তরায় হিসেবে উঠে এসেছে। ১২ এপ্রিল ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) আয়োজিত বাজেট আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, শেয়ারে লোকসানের পরও এই অগ্রিম আয়কর পরিশোধ করতে বাধ্য হওয়ায় ব্রোকার ও বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রতি এক লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে ৫০ টাকা হারে এআইটি কাটা হয়। ভারতে এ হার ১০ টাকা, সিঙ্গাপুরে ৭ টাকা, পাকিস্তানে মাত্র ৬৫ পয়সা। বক্তারা বলেন—সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, এই অগ্রিম কর সমন্বয়ের কোনো সুযোগ নেই। এটি চূড়ান্ত কর হিসেবে গণ্য হয়। ফলে ব্রোকারদেরকে বছরের পর বছর লোকসান গুনে আয়কর দিতে হচ্ছে (আজকের পত্রিকা, ১৩ এপ্রিল ২০২৫)। উল্লিখিত আলোচনায় বক্তারা প্রশ্ন করেন, মুনাফা না হলে কর কিসের? কোনো ব্যবসায় ক্ষতি হলে আয়কর প্রদান বাধ্যতামূলক হতে পারে না।
সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রেও এ ধরনের ঘটনা ঘটে। ধরুন কোনো গ্রাহক পাঁচ বছর মেয়াদে সঞ্চয়পত্র কিনেছেন। ওই সঞ্চয়পত্রে পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য প্রযোজ্য সুদ আরোপ করা হচ্ছে। প্রতিবছর যখন তাতে সুদ আরোপ করা হচ্ছে তখন ওই সুদের ওপর আয়কর কেটে নেওয়া হচ্ছে (ট্যাক্স ডিডাকটেড অ্যাট সোর্স—টিডিএস)। এখন যদি কোনো গ্রাহক পাঁচ বছর পূর্ণ না করে তার আগেই সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করেন, তবে তাঁকে নির্দিষ্ট হারে সুদ ফেরত দিতে হয়। কিন্তু তিনি যে পরিমাণ সুদের টাকা ফেরত দিচ্ছেন তার বিপরীতে ইতিমধ্যে পরিশোধিত আয়কর তাঁকে ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। অথচ ন্যায্যতার স্বার্থে উচিত ছিল ইতিপূর্বে গৃহীত টিডিএস সমন্বয় করে অতিরিক্ত টাকাটা গ্রাহককে ফেরত দেওয়া।
এভাবে আয়কর পদ্ধতিতে অনেক অস্বচ্ছতা রয়ে গেছে—যার অবসান হওয়া প্রয়োজন। আমাদের আরও গভীরে ঢুকে চিন্তা করতে হবে। এভাবে রাষ্ট্রের নীতিতে যদি বৈষম্য এবং দৃশ্যমান ফাঁকফোকর থাকে, তবে গোটা ব্যবস্থাতে একটা অবিশ্বস্ততা তৈরি হয়। যে ব্যক্তির গাড়ি আছে কিন্তু করযোগ্য আয় নেই অথবা যে বিনিয়োগকারীর লোকসান হলো অথবা যে সঞ্চয়পত্র-গ্রহীতা মেয়াদ পূর্তির আগেই তাঁর সঞ্চয়পত্র ভাঙিয়ে ফেললেন—তাঁদের কাছ থেকে কেন অগ্রিম আয়কর নেওয়া হচ্ছে! আর যদি নেওয়া হয়ই তাহলে যথাসময়ে তা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা কেন নেই!
সরকার যদি জনগণের কাছ থেকে গৃহীত ঋণ কখনোই পরিশোধ না করে তাহলে সেটা শোষণমূলক ঘটনার উদাহরণ হয়ে দাঁড়ায় বৈকি।
এই ব্যবস্থা কোনোভাবেই চলতে থাকা উচিত নয়। কর্তৃপক্ষের উচিত এর প্রতিকার সাধন করা। এখন পদ্ধতি অনেক ডিজিটালাইজড হয়েছে। অনলাইনে একজন গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং টিআইএন দেখে তাঁর কাছে পাওনা-দেনা সম্পর্কে হালনাগাদ হিসাব তাৎক্ষণিকভাবে বের করা সম্ভব। সেটা দেখেই প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় যে অগ্রিম আয়কর গ্রহণ করতে হবে কি না। সরকারের যেকোনো অঙ্গের নীতির স্বচ্ছতা যেমন থাকা দরকার, তেমনি সেই নীতি-নিয়মের ব্যবহারের নিয়মটাও যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হওয়া দরকার।
লেখক: সাবেক ব্যাংকার ও সাংস্কৃতিক সংগঠক
নেদারল্যান্ডসের নাগরিক পিটার ভ্যান উইঙ্গারডেন ও মিনকে ভ্যান উইঙ্গারডেন। তাঁরা ২০১২ সালে নিউইয়র্ক সিটিতে বিজনেস ট্রিপে গিয়েছিলেন। সেখানে হারিকেন স্যান্ডির মুখোমুখি হন। হারিকেন স্যান্ডি ম্যানহাটানকে প্লাবিত করে। সেখানকার বাসিন্দাদের বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় দীর্ঘ সময় কাটাতে হয়। ঝড়ের কারণে
৬ ঘণ্টা আগেআমাদের পুঁজিতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্রে শ্রমিকশ্রেণির প্রকৃত স্বার্থরক্ষার উপায় নেই। যেহেতু বিদ্যমান ব্যবস্থাটি হচ্ছে শ্রম-শোষণের এবং শ্রমিক-নিগ্রহের উর্বর ক্ষেত্র। সে ক্ষেত্রে শ্রমিকশ্রেণির স্বার্থরক্ষা কিংবা সুরক্ষার উপায় নেই। শ্রমিকমাত্রই শ্রমবাজারে শ্রম বিনিয়োগ করবেন এবং বিনিময়ে পাবেন মজুরি।
৬ ঘণ্টা আগেদিন দিন আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। মানসিক বিড়ম্বনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। ধারণাটা হয়তো এ রকম যে, মরতে যখন হবেই তখন আজই কী আর কালইবা কী! স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা যখন নেই, তখন অস্বাভাবিক মৃত্যু যেকোনো সময় হতেই পারে। তবে মৃত্যুর প্রস্তুতিটা সহজ নয়; বেশ কঠিন।
৬ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া ও ইছামতী নদী থেকে চিংড়ির পোনা সংগ্রহের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। নদী থেকে এভাবে পোনা মাছ ধরা নিষিদ্ধ। কিন্তু তাদের দৈনিক আয় সামান্য হলেও বিকল্প কর্মসংস্থানের অভাবে তারা এ কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। মৎস্য কর্মকর্তারা বিকল্প জীবিকার কথা বলে
৬ ঘণ্টা আগে