এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
জেলা জজ পদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের বিমানবন্দরে ভিভিআইপি/ ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুযোগ চান সুপ্রিম কোর্ট। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সুপ্রিম কোর্ট গত ১৫ জানুয়ারি আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে। মন্ত্রণালয় এর পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের চাহিদা অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে ২৩ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে চিঠি দিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি/ ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের অধিকারী-সংক্রান্ত বিধিতে সচিব, অতিরিক্ত সচিব এবং যুগ্ম সচিবের উল্লেখ থাকলেও বিচার বিভাগে কর্মরত জেলা ও দায়রা জজ বা সমপর্যায়ের এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাদের বিষয়টি উল্লেখ নেই। আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী সরকারের সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিচার বিভাগে কর্মরত জেলা ও দায়রা জজ বা সমপর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রাধিকারভুক্ত হওয়ায় এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বা সমপর্যায়ের কর্মকর্তারা পরের ক্রমিকে প্রাধিকারভুক্ত হবেন।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী জেলা জজ পদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা সচিব পদমর্যাদার। অতিরিক্ত জেলা জজ পদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের অবস্থান এর পরেই। বিমানবন্দরে ভিভিআইপি/ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের তালিকায় সচিব ও অতিরিক্ত সচিবেরা থাকলেও জেলা জজ এবং অতিরিক্ত জেলা জজ পদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের কথা উল্লেখ নেই। তাই ভিভিআইপি/ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের তালিকায় তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করতে সুপ্রিম কোর্ট থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের ওই চিঠিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি/ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা ১১ নম্বর দফা সংশোধন করে পিএসসির চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সংসদ সচিবালয়ের সচিবের সঙ্গে জেলা ও অতিরিক্ত জেলা জজ এবং সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে।
২০১০ সালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি/ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের অধিকারী-সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১১ নম্বর দফায় রয়েছে, পিএসসির চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সংসদ সচিবালয়ের সচিব এই সুবিধা পাবেন। ১৫ নম্বর দফায় রয়েছে, অতিরিক্ত সচিব, বাংলাদেশ রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার এই সুবিধা পাবেন। ১৬ নম্বর দফায় অতিরিক্ত আইজিপি; সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার; বিভাগীয় কমিশনার ও যুগ্ম সচিবদের এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
সারা দেশের বিচারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম সুপ্রিম কোর্টের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রম) অনুযায়ী জেলা জজদের ১৬ ও অতিরিক্ত জেলা জজদের ১৭ ক্রমিকে স্থান দেওয়া হয়েছে। বিগত সরকার আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুযায়ী প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধার দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।’
২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নতুন ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুযায়ী উপযুক্ত মর্যাদা দিতে হবে। ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগের রায়ে বলা হয়, জেলা জজ পদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুযায়ী সচিব এবং সমমর্যাদার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ১৬ নম্বর ক্রমিকে এবং অতিরিক্ত জেলা জজ পদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা তার পরের ক্রমিকে অবস্থান করবেন।
১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়। ২০০০ সালে এটি সংশোধন করা হয়। তাতে জেলা জজদের পদমর্যাদা সচিবদের নিচে দেখানো হয়। সংশোধিত এই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৬ সালে রিট করেন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব আতাউর রহমান। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলা জজদের পদমর্যাদা সচিবদের নিচে দেখানো কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেন হাইকোর্ট।
রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায়ে আটটি নির্দেশনা দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগ ২০১৫ সালে রায় দেন। রায়ে বলা হয়, সংবিধান যেহেতু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, তাই রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের শুরুতেই সাংবিধানিক পদাধিকারীদের গুরুত্ব অনুযায়ী রাখতে হবে। আপিল বিভাগের রায়ে জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের ১৬ নম্বরে সচিবদের সঙ্গে এবং অতিরিক্ত জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের ১৭ নম্বরে রাখা হয়। ওই রায় রিভিউ চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ; যা ১৩ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
আপিল বিভাগে রিভিউ শুনানিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা (এএজি)। তাঁদের আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ডিএজি এবং এএজিরা সাংবিধানিক পদধারী। অথচ তাঁদের মর্যাদার বিষয়টি ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে উল্লেখ নেই। তাই ডিএজিরা সচিব এবং এএজিরা অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদা পেতে রিভিউতে পক্ষভুক্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, আপিল বিভাগের রায় সবাই মানতে বাধ্য। তাই জেলা জজ ও অতিরিক্ত জেলা জজ পদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা বিমানবন্দরসহ সব ক্ষেত্রেই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুযায়ী উপযুক্ত সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলে তিনি আশা করেন। তা না হলে সেটি হবে সংবিধানের লঙ্ঘন।
জেলা জজ পদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের বিমানবন্দরে ভিভিআইপি/ ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুযোগ চান সুপ্রিম কোর্ট। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সুপ্রিম কোর্ট গত ১৫ জানুয়ারি আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে। মন্ত্রণালয় এর পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের চাহিদা অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে ২৩ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে চিঠি দিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি/ ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের অধিকারী-সংক্রান্ত বিধিতে সচিব, অতিরিক্ত সচিব এবং যুগ্ম সচিবের উল্লেখ থাকলেও বিচার বিভাগে কর্মরত জেলা ও দায়রা জজ বা সমপর্যায়ের এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাদের বিষয়টি উল্লেখ নেই। আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী সরকারের সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিচার বিভাগে কর্মরত জেলা ও দায়রা জজ বা সমপর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রাধিকারভুক্ত হওয়ায় এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বা সমপর্যায়ের কর্মকর্তারা পরের ক্রমিকে প্রাধিকারভুক্ত হবেন।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী জেলা জজ পদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা সচিব পদমর্যাদার। অতিরিক্ত জেলা জজ পদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের অবস্থান এর পরেই। বিমানবন্দরে ভিভিআইপি/ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের তালিকায় সচিব ও অতিরিক্ত সচিবেরা থাকলেও জেলা জজ এবং অতিরিক্ত জেলা জজ পদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের কথা উল্লেখ নেই। তাই ভিভিআইপি/ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের তালিকায় তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করতে সুপ্রিম কোর্ট থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের ওই চিঠিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি/ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা ১১ নম্বর দফা সংশোধন করে পিএসসির চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সংসদ সচিবালয়ের সচিবের সঙ্গে জেলা ও অতিরিক্ত জেলা জজ এবং সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে।
২০১০ সালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি/ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের অধিকারী-সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১১ নম্বর দফায় রয়েছে, পিএসসির চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সংসদ সচিবালয়ের সচিব এই সুবিধা পাবেন। ১৫ নম্বর দফায় রয়েছে, অতিরিক্ত সচিব, বাংলাদেশ রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার এই সুবিধা পাবেন। ১৬ নম্বর দফায় অতিরিক্ত আইজিপি; সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার; বিভাগীয় কমিশনার ও যুগ্ম সচিবদের এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
সারা দেশের বিচারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম সুপ্রিম কোর্টের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রম) অনুযায়ী জেলা জজদের ১৬ ও অতিরিক্ত জেলা জজদের ১৭ ক্রমিকে স্থান দেওয়া হয়েছে। বিগত সরকার আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুযায়ী প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধার দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।’
২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নতুন ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুযায়ী উপযুক্ত মর্যাদা দিতে হবে। ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগের রায়ে বলা হয়, জেলা জজ পদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুযায়ী সচিব এবং সমমর্যাদার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ১৬ নম্বর ক্রমিকে এবং অতিরিক্ত জেলা জজ পদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা তার পরের ক্রমিকে অবস্থান করবেন।
১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়। ২০০০ সালে এটি সংশোধন করা হয়। তাতে জেলা জজদের পদমর্যাদা সচিবদের নিচে দেখানো হয়। সংশোধিত এই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৬ সালে রিট করেন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব আতাউর রহমান। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলা জজদের পদমর্যাদা সচিবদের নিচে দেখানো কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেন হাইকোর্ট।
রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায়ে আটটি নির্দেশনা দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগ ২০১৫ সালে রায় দেন। রায়ে বলা হয়, সংবিধান যেহেতু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, তাই রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের শুরুতেই সাংবিধানিক পদাধিকারীদের গুরুত্ব অনুযায়ী রাখতে হবে। আপিল বিভাগের রায়ে জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের ১৬ নম্বরে সচিবদের সঙ্গে এবং অতিরিক্ত জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের ১৭ নম্বরে রাখা হয়। ওই রায় রিভিউ চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ; যা ১৩ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
আপিল বিভাগে রিভিউ শুনানিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা (এএজি)। তাঁদের আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ডিএজি এবং এএজিরা সাংবিধানিক পদধারী। অথচ তাঁদের মর্যাদার বিষয়টি ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে উল্লেখ নেই। তাই ডিএজিরা সচিব এবং এএজিরা অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদা পেতে রিভিউতে পক্ষভুক্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, আপিল বিভাগের রায় সবাই মানতে বাধ্য। তাই জেলা জজ ও অতিরিক্ত জেলা জজ পদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা বিমানবন্দরসহ সব ক্ষেত্রেই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুযায়ী উপযুক্ত সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলে তিনি আশা করেন। তা না হলে সেটি হবে সংবিধানের লঙ্ঘন।
রেলযাত্রা নিয়ে মানুষের ভোগান্তির গল্পের শেষ নেই। সময়মতো ট্রেন না ছাড়া, দরকারি টিকিট না পাওয়া, অপরিচ্ছন্ন আসন, নোংরা প্ল্যাটফর্ম— এমন অভিযোগের দীর্ঘ তালিকা রয়েছে যাত্রী-মনে। ট্রেনে ও স্টেশনে সেসব অভিযোগ জানানোর জন্য রয়েছে বড় আকারের রুলটানা খাতা, যার সরকারি নাম ‘কমপ্লেইন রেজিস্ট্রার বুক’।
৩৬ মিনিট আগেঅবশেষে ব্ল্যাংক স্মার্ট কার্ড কেনার জট খুলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসের (সেপ্টেম্বর) প্রথম সপ্তাহ থেকে ব্ল্যাংক স্মার্ট কার্ড হাতে পাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আইডেনটিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পের মাধ্যমে ২ কোটি ৩৬ লাখ ৩৪ হাজার কার্ড কিনছে...
৩ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি সংবাদপত্রে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে, যেখানে সাবেক সরকারি কর্মকর্তা এ বি এম আব্দুস সাত্তার নাম উল্লেখ না করে কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। আমরা এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। প্রমাণ উপস্থাপন বা ব্যক্তিদের...
৯ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থাতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে
১ দিন আগে