
বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনগণের বড় একটি অংশই মনে করছেন বর্তমানে ভুল পথে চলছে দেশ। তবে দেশের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক অংশ মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভালোভাবেই তাঁর কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকার জনসমর্থন ধরে রাখলেও বিরোধীদের জনসমর্থনও বাড়ছে।
সম্প্রতি মার্কিন প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সেন্টার ফর ইনসাইট ইন সার্ভে রিসার্চ (সিআইএসআর) পরিচালিত এক জরিপ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জরিপ থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, দেশের মাত্র ৪৪ শতাংশ মানুষ মনে করেন দেশ সঠিক পথে চলছে। বিপরীতে ৫৩ শতাংশ মানুষই মনে করেন, দেশ ভুল পথে চলছে। এর বাইরে ৩ শতাংশ মানুষ এ বিষয়ে দ্বিধাগ্রস্ত বা কোনো উত্তর দেননি।
২০১৪ সালের পর প্রথমবার মতো এই জরিপে বাংলাদেশ ভুল পথে চলছে বলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মত দিল। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বেরের জরিপে ৭৬ শতাংশ মানুষ বাংলাদেশ সঠিক পথে চলছে বলে মত দিয়েছিল।
আইআরআইয়ের এই জরিপে ১৮ বছর থেকে ৫৬ বছরের বেশি মোট ৫ হাজার লোককে বাছাই করা হয়েছিল নমুনা হিসেবে। এই ৫ হাজার জনের মধ্যে পুরুষ ২ হাজার ৬৩৩ জন এবং নারী ২ হাজার ৩৬৭ জন। অঞ্চল বিবেচনায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে গ্রামাঞ্চলের ৩ হাজার ৪৫০ জন এবং বাকি ১ হাজার ৫৫০ জন শহরের বাসিন্দা।
জরিপের তথ্য বলছে, বেশির ভাগ বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার অবস্থানকে সমর্থন করেন। শতকরা ৭০ জন বাংলাদেশি শেখ হাসিনার অবস্থানকে সমর্থন করেন। তবে শেখ হাসিনা ভালো করলেও দল হিসেবে বিরোধীরা বেশ জনসমর্থন পাচ্ছে। যেখানে ২০১৯ সালে বিরোধীদের জনসমর্থন ছিল মাত্র ৩৬ শতাংশ। সেখানে বর্তমানে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৩ শতাংশে।
নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশিরা ভোট দিতে আগ্রহী। উত্তরদাতাদের ৯২ শতাংশই বলেছেন যে, তাঁরা পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে চান। তবে এর মধ্যে ৫৭ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তাঁরা ‘খুব সম্ভবত’ ভোট দিতে পারবেন। যাঁরা ভোট দিতে চান না, তাঁরা মূলত নির্বাচনে জালিয়াতি এবং ভোটার নিবন্ধনসংক্রান্ত সমস্যাকে ভোটদানের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এদিকে, বিরোধী দলগুলো বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন করলেও জরিপে এক চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে। জরিপ অনুসারে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার প্রত্যাবর্তনকে সমর্থন করে ৪৪ শতাংশ জনগণ। পাশাপাশি বড় জরিপে অংশ নেওয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ একটি অংশ বিশ্বাস করে যে, নির্বাচন প্রশাসন নির্বিশেষে বিরোধীদের নির্বাচনে যোগ দেওয়া উচিত।
জরিপের ফলাফলের ওপর মন্তব্য করতে গিয়ে আইআরআইয়ের দক্ষিণ এশিয়া চ্যাপ্টারের পরিচালক স্টিভ সিমা বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের জন্য এমন জনসমর্থন দেখা সত্যই উৎসাহজনক। এই ফলাফল আসন্ন শীতে ব্যালট বাক্সে নিজেদের সত্যিকারের পছন্দকে বাছাই করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের মৌলিক আকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশের ওপর জোর দেয়।’
উল্লেখ্য, ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট বা আইআরআই হলো—যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। যার লক্ষ্য হলো, বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গণতন্ত্রের বিকাশের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকাশনা, জরিপ ইত্যাদি গবেষণামূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের অধিকাংশ সদস্যই রিপাবলিকান পার্টি থেকে আসা।

বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনগণের বড় একটি অংশই মনে করছেন বর্তমানে ভুল পথে চলছে দেশ। তবে দেশের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক অংশ মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভালোভাবেই তাঁর কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকার জনসমর্থন ধরে রাখলেও বিরোধীদের জনসমর্থনও বাড়ছে।
সম্প্রতি মার্কিন প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সেন্টার ফর ইনসাইট ইন সার্ভে রিসার্চ (সিআইএসআর) পরিচালিত এক জরিপ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জরিপ থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, দেশের মাত্র ৪৪ শতাংশ মানুষ মনে করেন দেশ সঠিক পথে চলছে। বিপরীতে ৫৩ শতাংশ মানুষই মনে করেন, দেশ ভুল পথে চলছে। এর বাইরে ৩ শতাংশ মানুষ এ বিষয়ে দ্বিধাগ্রস্ত বা কোনো উত্তর দেননি।
২০১৪ সালের পর প্রথমবার মতো এই জরিপে বাংলাদেশ ভুল পথে চলছে বলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মত দিল। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বেরের জরিপে ৭৬ শতাংশ মানুষ বাংলাদেশ সঠিক পথে চলছে বলে মত দিয়েছিল।
আইআরআইয়ের এই জরিপে ১৮ বছর থেকে ৫৬ বছরের বেশি মোট ৫ হাজার লোককে বাছাই করা হয়েছিল নমুনা হিসেবে। এই ৫ হাজার জনের মধ্যে পুরুষ ২ হাজার ৬৩৩ জন এবং নারী ২ হাজার ৩৬৭ জন। অঞ্চল বিবেচনায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে গ্রামাঞ্চলের ৩ হাজার ৪৫০ জন এবং বাকি ১ হাজার ৫৫০ জন শহরের বাসিন্দা।
জরিপের তথ্য বলছে, বেশির ভাগ বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার অবস্থানকে সমর্থন করেন। শতকরা ৭০ জন বাংলাদেশি শেখ হাসিনার অবস্থানকে সমর্থন করেন। তবে শেখ হাসিনা ভালো করলেও দল হিসেবে বিরোধীরা বেশ জনসমর্থন পাচ্ছে। যেখানে ২০১৯ সালে বিরোধীদের জনসমর্থন ছিল মাত্র ৩৬ শতাংশ। সেখানে বর্তমানে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৩ শতাংশে।
নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশিরা ভোট দিতে আগ্রহী। উত্তরদাতাদের ৯২ শতাংশই বলেছেন যে, তাঁরা পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে চান। তবে এর মধ্যে ৫৭ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তাঁরা ‘খুব সম্ভবত’ ভোট দিতে পারবেন। যাঁরা ভোট দিতে চান না, তাঁরা মূলত নির্বাচনে জালিয়াতি এবং ভোটার নিবন্ধনসংক্রান্ত সমস্যাকে ভোটদানের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এদিকে, বিরোধী দলগুলো বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন করলেও জরিপে এক চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে। জরিপ অনুসারে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার প্রত্যাবর্তনকে সমর্থন করে ৪৪ শতাংশ জনগণ। পাশাপাশি বড় জরিপে অংশ নেওয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ একটি অংশ বিশ্বাস করে যে, নির্বাচন প্রশাসন নির্বিশেষে বিরোধীদের নির্বাচনে যোগ দেওয়া উচিত।
জরিপের ফলাফলের ওপর মন্তব্য করতে গিয়ে আইআরআইয়ের দক্ষিণ এশিয়া চ্যাপ্টারের পরিচালক স্টিভ সিমা বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের জন্য এমন জনসমর্থন দেখা সত্যই উৎসাহজনক। এই ফলাফল আসন্ন শীতে ব্যালট বাক্সে নিজেদের সত্যিকারের পছন্দকে বাছাই করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের মৌলিক আকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশের ওপর জোর দেয়।’
উল্লেখ্য, ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট বা আইআরআই হলো—যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। যার লক্ষ্য হলো, বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গণতন্ত্রের বিকাশের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকাশনা, জরিপ ইত্যাদি গবেষণামূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের অধিকাংশ সদস্যই রিপাবলিকান পার্টি থেকে আসা।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দেন বলে জানান সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম।
২৩ মিনিট আগে
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা একটি মামলায় একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) চেয়ারম্যান ও সিইও আব্দুস সালামকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
২৭ মিনিট আগে
রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদা দাবির মামলায় আলোচিত মডেল মেঘনা আলমের জব্দ করা পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে করা আবেদন আবারও নামঞ্জুর করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম নামঞ্জুরের এই আদেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি-২০২৫’ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন আচরণবিধিতে পোস্টার, ড্রোন, বিদেশে প্রচারণা এবং ২০টির বেশি বিলবোর্ড ব্যবহার না করাসহ বেশ কিছু বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান শেখ আব্দুল হান্নানের ১০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ এবং তাঁর সহযোগী সানজিদা আক্তারের দুটি ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ আজ মঙ্গলবার এ নির্দেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দেন বলে জানান সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম।
দুদকের আবেদন থেকে দেখা যায়, ফ্ল্যাট দুটি ঢাকার নিকুঞ্জে অবস্থিত। এ ছাড়া ১০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ওই ব্যাংক হিসাবগুলোতে ৪০ লাখ ৫৬ হাজার ৫৮৩ টাকা রয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধানের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, আব্দুল হান্নান ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের অনুসন্ধান শেষে দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা করা হয়।
মামলার তদন্তকালে বিভিন্ন নথিপত্র ও জব্দ করা আলামত পর্যালোচনায় দেখা যায়, শেখ আব্দুল হান্নান বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ গোপন করার উদ্দেশ্যে তাঁর সহযোগী সানজিদা আক্তারের নামে তা ক্রয় করেছেন এবং এ বিষয়ে সানজিদা আক্তার তাঁকে সহযোগিতা করেছেন। তিনি সানজিদা আক্তারের নামে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকার নিকুঞ্জে ৯৫ লাখ টাকার দুটি ফ্ল্যাট করে দিয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে তাঁর নামে প্রায় ৪৫ লাখ টাকার এফডিআর সংরক্ষিত আছে এবং তল্লাশিকালে তাঁর বাসা থেকে প্রায় ২৬ লাখ টাকার বিভিন্ন দেশের মুদ্রা উদ্ধার করা হয়, যা তাঁর জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে প্রতীয়মান হয়।
তদন্তকালে বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, সানজিদা আক্তার এসব স্থাবর সম্পদ ও আব্দুল হান্নান তাঁর অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন।
তদন্ত নিষ্পত্তির আগে এসব সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে পরবর্তী সময়ে ওই টাকা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই তাঁদের এসব স্থাবর সম্পদ জরুরি ভিত্তিতে ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান শেখ আব্দুল হান্নানের ১০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ এবং তাঁর সহযোগী সানজিদা আক্তারের দুটি ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ আজ মঙ্গলবার এ নির্দেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দেন বলে জানান সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম।
দুদকের আবেদন থেকে দেখা যায়, ফ্ল্যাট দুটি ঢাকার নিকুঞ্জে অবস্থিত। এ ছাড়া ১০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ওই ব্যাংক হিসাবগুলোতে ৪০ লাখ ৫৬ হাজার ৫৮৩ টাকা রয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধানের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, আব্দুল হান্নান ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের অনুসন্ধান শেষে দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা করা হয়।
মামলার তদন্তকালে বিভিন্ন নথিপত্র ও জব্দ করা আলামত পর্যালোচনায় দেখা যায়, শেখ আব্দুল হান্নান বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ গোপন করার উদ্দেশ্যে তাঁর সহযোগী সানজিদা আক্তারের নামে তা ক্রয় করেছেন এবং এ বিষয়ে সানজিদা আক্তার তাঁকে সহযোগিতা করেছেন। তিনি সানজিদা আক্তারের নামে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকার নিকুঞ্জে ৯৫ লাখ টাকার দুটি ফ্ল্যাট করে দিয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে তাঁর নামে প্রায় ৪৫ লাখ টাকার এফডিআর সংরক্ষিত আছে এবং তল্লাশিকালে তাঁর বাসা থেকে প্রায় ২৬ লাখ টাকার বিভিন্ন দেশের মুদ্রা উদ্ধার করা হয়, যা তাঁর জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে প্রতীয়মান হয়।
তদন্তকালে বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, সানজিদা আক্তার এসব স্থাবর সম্পদ ও আব্দুল হান্নান তাঁর অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন।
তদন্ত নিষ্পত্তির আগে এসব সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে পরবর্তী সময়ে ওই টাকা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই তাঁদের এসব স্থাবর সম্পদ জরুরি ভিত্তিতে ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনগণের বড় একটি অংশই মনে করছেন বর্তমানে ভুল পথে চলছে দেশ। তবে দেশের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক একটি অংশ মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভালোভাবেই তাঁর কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকার জনসমর্থন ধরে রাখলেও বিরোধীদের জনসমর্থনও
০৯ আগস্ট ২০২৩
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা একটি মামলায় একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) চেয়ারম্যান ও সিইও আব্দুস সালামকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
২৭ মিনিট আগে
রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদা দাবির মামলায় আলোচিত মডেল মেঘনা আলমের জব্দ করা পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে করা আবেদন আবারও নামঞ্জুর করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম নামঞ্জুরের এই আদেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি-২০২৫’ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন আচরণবিধিতে পোস্টার, ড্রোন, বিদেশে প্রচারণা এবং ২০টির বেশি বিলবোর্ড ব্যবহার না করাসহ বেশ কিছু বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা একটি মামলায় একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) চেয়ারম্যান ও সিইও আব্দুস সালামকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
সম্পদের হিসাব দাখিল না করায় দুদকের করা মামলার রায় ঘোষণার সময় আব্দুস সালাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালত বলেন, অভিযোগের প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারায় আসামিকে খালাস দেওয়া হলো।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, দুদক ২০১৬ সালের ২১ নভেম্বর আব্দুস সালামকে সম্পদের হিসাব দাখিলের নোটিশ পাঠায়। আইন অনুযায়ী সাত কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার কথা থাকলেও একাধিকবার সময় নেন তিনি। এরপরেও তিনি তা দাখিল করেননি। ২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি সময়সীমা শেষ হয় এবং একই বছরের ১৩ এপ্রিল দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক মো. সামছুল আলম রমনা মডেল থানায় মামলা করেন।
পরে মামলাটি তদন্ত করেন দুদকের উপপরিচালক মোহা. নূরুল হুদা। তদন্ত শেষে ২০২৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আব্দুস সালামকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়।
আদালত মামলার বিচার চলাকালে নয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা একটি মামলায় একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) চেয়ারম্যান ও সিইও আব্দুস সালামকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
সম্পদের হিসাব দাখিল না করায় দুদকের করা মামলার রায় ঘোষণার সময় আব্দুস সালাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালত বলেন, অভিযোগের প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারায় আসামিকে খালাস দেওয়া হলো।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, দুদক ২০১৬ সালের ২১ নভেম্বর আব্দুস সালামকে সম্পদের হিসাব দাখিলের নোটিশ পাঠায়। আইন অনুযায়ী সাত কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার কথা থাকলেও একাধিকবার সময় নেন তিনি। এরপরেও তিনি তা দাখিল করেননি। ২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি সময়সীমা শেষ হয় এবং একই বছরের ১৩ এপ্রিল দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক মো. সামছুল আলম রমনা মডেল থানায় মামলা করেন।
পরে মামলাটি তদন্ত করেন দুদকের উপপরিচালক মোহা. নূরুল হুদা। তদন্ত শেষে ২০২৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আব্দুস সালামকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়।
আদালত মামলার বিচার চলাকালে নয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেন।

বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনগণের বড় একটি অংশই মনে করছেন বর্তমানে ভুল পথে চলছে দেশ। তবে দেশের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক একটি অংশ মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভালোভাবেই তাঁর কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকার জনসমর্থন ধরে রাখলেও বিরোধীদের জনসমর্থনও
০৯ আগস্ট ২০২৩
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দেন বলে জানান সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম।
২৩ মিনিট আগে
রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদা দাবির মামলায় আলোচিত মডেল মেঘনা আলমের জব্দ করা পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে করা আবেদন আবারও নামঞ্জুর করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম নামঞ্জুরের এই আদেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি-২০২৫’ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন আচরণবিধিতে পোস্টার, ড্রোন, বিদেশে প্রচারণা এবং ২০টির বেশি বিলবোর্ড ব্যবহার না করাসহ বেশ কিছু বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদা দাবির মামলায় আলোচিত মডেল মেঘনা আলমের জব্দ করা পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে করা আবেদন আবারও নামঞ্জুর করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম নামঞ্জুরের এই আদেশ দেন।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর একই আদালত মেঘনা আলমের পাসপোর্ট ফেরতের আবেদন নামঞ্জুর করেছিলেন।
আজ মেঘনা আলমের পক্ষে তাঁর আইনজীবী মহিমা বাঁধন ও মহাসিন রেজা পলাশ পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে আবেদন করেন। তাঁরা আদালতকে বলেন, পেশাগত কারণে মেঘনা আলমকে প্রায়ই বিদেশ যেতে হয়। তাই তাঁর পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হোক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এর বিরোধিতা করে বলেন, মামলাটি গুরুতর অভিযোগের। এখনো তদন্ত চলছে। এ কারণে পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া যুক্তিযুক্ত হবে না। শুনানি শেষে আদালত নামঞ্জুর করেন।
এদিকে মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তারের সময় জব্দ করা ম্যাকবুক, দুটি মোবাইল ফোনসেট ও ল্যাপটপের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা আজও প্রতিবেদন দাখিল না করায় সেগুলো ফেরতের বিষয়ে আদেশ হয়নি।
গত ২২ জুন মেঘনা আলম তাঁর কাছ থেকে জব্দ করা ম্যাকবুক, পাসপোর্ট, মোবাইল ও ল্যাপটপ জিম্মায় নেওয়ার আবেদন করেন। গত ২৯ জুলাই ওই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত তদন্ত কর্মকর্তাকে মোবাইল ও ল্যাপটপে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো উপাদান আছে কি না, তা তদন্তের নির্দেশ দেন।
গত ২৮ এপ্রিল মেঘনা আলমের ৩০ দিনের আটকাদেশ বাতিল করা হয়। অন্যদিকে আদালত তাঁকে জামিন দেন। ওই দিনই কারামুক্ত হন তিনি। এর পর থেকে তিনি জামিনে আছেন।
গত ৯ এপ্রিল বাসা থেকে আটক হন মেঘনা আলম। পরদিন ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মডেল মেঘনাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ১৭ এপ্রিল কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে মেঘনাকে ধানমন্ডি থানার চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
মেঘনা আলম ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেওয়ান সমির এবং আরও দু-তিনজন পরস্পর যোগসাজশে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সুন্দরী নারীদের মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের পরিকল্পনা করেন। এই অভিযোগে গত ১৫ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ আবদুল আলিম মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্তরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য, যারা সুন্দরী নারীদের মাধ্যমে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনী ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে ব্ল্যাকমেল করে অর্থ আদায় করতেন।
অভিযোগে বলা হয়, গত ২৯ মার্চ ধানমন্ডির একটি জাপানি রেস্টুরেন্টে এক কূটনীতিকের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের পরিকল্পনায় বৈঠক করে তারা।
মেঘনা আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। শুনানি শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার পাসপোর্ট ফেরতের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে। অন্যদিকে ল্যাপটপ এবং মোবাইলের ফরেনসিক রিপোর্ট তদন্ত কর্মকর্তা দাখিল না করায় সেগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। বিচারব্যবস্থা ধীর গতিতে চলছে। আমি ত্বরান্বিত করার দাবি জানাই।’
অবশ্য মেঘনা আলম বলেন, ‘আজ বিজ্ঞ আদালত তদন্ত কর্মকর্তাকে ফরেনসিক রিপোর্ট দাখিল করার জন্য তাগিদ দিয়েছেন।’

রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদা দাবির মামলায় আলোচিত মডেল মেঘনা আলমের জব্দ করা পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে করা আবেদন আবারও নামঞ্জুর করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম নামঞ্জুরের এই আদেশ দেন।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর একই আদালত মেঘনা আলমের পাসপোর্ট ফেরতের আবেদন নামঞ্জুর করেছিলেন।
আজ মেঘনা আলমের পক্ষে তাঁর আইনজীবী মহিমা বাঁধন ও মহাসিন রেজা পলাশ পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে আবেদন করেন। তাঁরা আদালতকে বলেন, পেশাগত কারণে মেঘনা আলমকে প্রায়ই বিদেশ যেতে হয়। তাই তাঁর পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হোক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এর বিরোধিতা করে বলেন, মামলাটি গুরুতর অভিযোগের। এখনো তদন্ত চলছে। এ কারণে পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া যুক্তিযুক্ত হবে না। শুনানি শেষে আদালত নামঞ্জুর করেন।
এদিকে মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তারের সময় জব্দ করা ম্যাকবুক, দুটি মোবাইল ফোনসেট ও ল্যাপটপের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা আজও প্রতিবেদন দাখিল না করায় সেগুলো ফেরতের বিষয়ে আদেশ হয়নি।
গত ২২ জুন মেঘনা আলম তাঁর কাছ থেকে জব্দ করা ম্যাকবুক, পাসপোর্ট, মোবাইল ও ল্যাপটপ জিম্মায় নেওয়ার আবেদন করেন। গত ২৯ জুলাই ওই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত তদন্ত কর্মকর্তাকে মোবাইল ও ল্যাপটপে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো উপাদান আছে কি না, তা তদন্তের নির্দেশ দেন।
গত ২৮ এপ্রিল মেঘনা আলমের ৩০ দিনের আটকাদেশ বাতিল করা হয়। অন্যদিকে আদালত তাঁকে জামিন দেন। ওই দিনই কারামুক্ত হন তিনি। এর পর থেকে তিনি জামিনে আছেন।
গত ৯ এপ্রিল বাসা থেকে আটক হন মেঘনা আলম। পরদিন ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মডেল মেঘনাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ১৭ এপ্রিল কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে মেঘনাকে ধানমন্ডি থানার চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
মেঘনা আলম ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেওয়ান সমির এবং আরও দু-তিনজন পরস্পর যোগসাজশে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সুন্দরী নারীদের মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের পরিকল্পনা করেন। এই অভিযোগে গত ১৫ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ আবদুল আলিম মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্তরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য, যারা সুন্দরী নারীদের মাধ্যমে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনী ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে ব্ল্যাকমেল করে অর্থ আদায় করতেন।
অভিযোগে বলা হয়, গত ২৯ মার্চ ধানমন্ডির একটি জাপানি রেস্টুরেন্টে এক কূটনীতিকের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের পরিকল্পনায় বৈঠক করে তারা।
মেঘনা আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। শুনানি শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার পাসপোর্ট ফেরতের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে। অন্যদিকে ল্যাপটপ এবং মোবাইলের ফরেনসিক রিপোর্ট তদন্ত কর্মকর্তা দাখিল না করায় সেগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। বিচারব্যবস্থা ধীর গতিতে চলছে। আমি ত্বরান্বিত করার দাবি জানাই।’
অবশ্য মেঘনা আলম বলেন, ‘আজ বিজ্ঞ আদালত তদন্ত কর্মকর্তাকে ফরেনসিক রিপোর্ট দাখিল করার জন্য তাগিদ দিয়েছেন।’

বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনগণের বড় একটি অংশই মনে করছেন বর্তমানে ভুল পথে চলছে দেশ। তবে দেশের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক একটি অংশ মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভালোভাবেই তাঁর কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকার জনসমর্থন ধরে রাখলেও বিরোধীদের জনসমর্থনও
০৯ আগস্ট ২০২৩
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দেন বলে জানান সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম।
২৩ মিনিট আগে
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা একটি মামলায় একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) চেয়ারম্যান ও সিইও আব্দুস সালামকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
২৭ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি-২০২৫’ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন আচরণবিধিতে পোস্টার, ড্রোন, বিদেশে প্রচারণা এবং ২০টির বেশি বিলবোর্ড ব্যবহার না করাসহ বেশ কিছু বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি-২০২৫’ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন আচরণবিধিতে পোস্টার, ড্রোন, বিদেশে প্রচারণা এবং ২০টির বেশি বিলবোর্ড ব্যবহার না করাসহ বেশ কিছু বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (১০ নভেম্বর) আচরণবিধিটি গেজেট আকারে প্রকাশ করে ইসি। এতে বলা হয়েছে, আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড, দেড় লাখ টাকা জরিমানা এবং দলের জন্যও সমপরিমাণ অর্থদণ্ডের বিধান থাকবে। প্রয়োজনে তদন্তের ভিত্তিতে প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতাও থাকবে কমিশনের হাতে।
ইসির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও ২০০৮ সালের আচরণবিধির সঙ্গে সমন্বয় করে নতুন বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এর আগে ৩ নভেম্বর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা
কোনো প্রার্থী বা তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে প্রার্থী বা তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট বা দল বা প্রার্থীসংশ্লিষ্ট সামাজিক মাধ্যমের নাম, অ্যাকাউন্ট আইডি, ই-মেইল আইডিসহ অন্যান্য শনাক্তকরণ তথ্যাদি প্রচার-প্রচারণা শুরুর আগে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাখিল করতে হবে।
আচরণ বিধিমালায় বলা হয়েছে, প্রচার-প্রচারণাসহ নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করা যাবে না। ঘৃণাত্মক বক্তব্য, ভুল তথ্য, কারও চেহারা বিকৃত করা ও নির্বাচন-সংক্রান্ত বানোয়াট তথ্যসহ সব ধরনের ক্ষতিকর কনটেন্ট বানানো ও প্রচার করা যাবে না। প্রতিপক্ষ, নারী, সংখ্যালঘু বা অন্য কোনো জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে ঘৃণাত্মক বক্তব্য, ব্যক্তিগত আক্রমণ বা উসকানিমূলক ভাষা ব্যবহার করা যাবে না। নির্বাচনী স্বার্থ হাসিলের জন্য ধর্মীয় বা জাতিগত অনুভূতির অপব্যবহার করা যাবে না। সামাজিক মাধ্যমে নির্বাচন-সংক্রান্ত সব কনটেন্ট শেয়ার ও প্রকাশের আগে সত্যতা যাচাই করতে হবে।
রাজনৈতিক দল, প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি, ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে কিংবা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কোনো প্রার্থী বা ব্যক্তির চরিত্র হনন; কিংবা সুনাম নষ্ট করার উদ্দেশ্যে, সামাজিক মাধ্যম বা অন্য কোনো মাধ্যমে, সাধারণভাবে বা সম্পাদন করে কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা কোনো মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, পক্ষপাতমূলক, বিদ্বেষপূর্ণ, অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ এবং মানহানিকর কোনো কনটেন্ট তৈরি, প্রকাশ, প্রচার ও শেয়ার করতে পারবেন না। গুজব ও এআই অপব্যবহার বন্ধে নির্বাচনী অপরাধ বিবেচনায় শাস্তির বিধান রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে এবার নতুন ধারা যুক্ত করা হয়।
আচরণবিধিতে আরও যা রয়েছে
কোনো দল বা প্রার্থী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিদেশে জনসভা, পথসভা, সভা-সমাবেশ বা কোনো প্রচারণা করতে পারবে না; ভোটের প্রচারে থাকছে না পোস্টারের ব্যবহার। একজন প্রার্থী তাঁর সংসদীয় আসনে ২০টির বেশি বিলবোর্ড ব্যবহার করতে পারবেন না; যার দৈর্ঘ্য হবে সর্বোচ্চ ১৬ ফুট আর প্রস্থ ৯ ফুট।
নির্বাচনের দিন ও প্রচারের সময় কোনো ধরনের ড্রোন, কোয়াডকপ্টার বা এ-জাতীয় যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না; প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে অন্য কোনো প্রার্থী ও প্রতিষ্ঠান ভোটার স্লিপ বিতরণ করতে পারবে। তবে ভোটার স্লিপে প্রার্থীর নাম, ছবি, পদের নাম ও প্রতীক উল্লেখ করতে পারবে না; বিলবোর্ডে শুধু যেগুলো ডিজিটাল বিলবোর্ড, সেগুলোতে আলো ও বিদ্যুতের ব্যবহার করা যাবে। তা ছাড়া আলোকসজ্জার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
ব্যানার, ফেস্টুন, লিফলেটে পলিথিনের আবরণ নয়, প্লাস্টিক (পিভিসি) ব্যানার ব্যবহার করা যাবে না; সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির তালিকায় অন্তর্বর্তীকালীন বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদেরও যোগ করা হয়েছে। ফলে তাঁরা প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নামতে পারবেন না; প্রচারে পরিবেশবান্ধব সামগ্রী ব্যবহারে জোর দেওয়া হয়েছে; প্রচারসামগ্রীতে পলিথিন, রেক্সিন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
প্রচারের সময় শব্দের মাত্রা ৬০ ডেসিবেলে রাখতে হবে; আচরণবিধি মেনে চলার ব্যাপারে প্রার্থী ও দলের কাছ থেকে অঙ্গীকারনামাও দিতে হবে; আচরণবিধির ‘গুরুতর’ অপরাধের ক্ষেত্রে আরপিওতে প্রার্থিতা বাতিলের বিধান রয়েছে। আগে আচরণবিধিতে আরপিও অনুচ্ছেদটি ছিল না, এবার যুক্ত করা হয়েছে। নির্বাচনী অপরাধে আরপিও ৯১ ধারা অনুযায়ী প্রার্থিতা বাতিল করে থাকে ইসি। এ বিষয়টি আচরণ বিধিমালায় স্পষ্ট করা হয়েছে।
গণমাধ্যমের সংলাপ ও সব প্রার্থীর এক মঞ্চে ইশতেহার ঘোষণার সুযোগ রাখা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট আসনে সব প্রার্থীকে নিয়ে এক দিনে তাঁদের ইশতেহার বা ঘোষণাপত্রগুলো পাঠ করার ব্যবস্থা করবেন; প্রথমবারের মতো আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং পদ্ধতি চালু করা হয়েছে এবার। দেশের ভেতরে তিন ধরনের ব্যক্তি ও প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটাররা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি-২০২৫’ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন আচরণবিধিতে পোস্টার, ড্রোন, বিদেশে প্রচারণা এবং ২০টির বেশি বিলবোর্ড ব্যবহার না করাসহ বেশ কিছু বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (১০ নভেম্বর) আচরণবিধিটি গেজেট আকারে প্রকাশ করে ইসি। এতে বলা হয়েছে, আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড, দেড় লাখ টাকা জরিমানা এবং দলের জন্যও সমপরিমাণ অর্থদণ্ডের বিধান থাকবে। প্রয়োজনে তদন্তের ভিত্তিতে প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতাও থাকবে কমিশনের হাতে।
ইসির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও ২০০৮ সালের আচরণবিধির সঙ্গে সমন্বয় করে নতুন বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এর আগে ৩ নভেম্বর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা
কোনো প্রার্থী বা তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে প্রার্থী বা তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট বা দল বা প্রার্থীসংশ্লিষ্ট সামাজিক মাধ্যমের নাম, অ্যাকাউন্ট আইডি, ই-মেইল আইডিসহ অন্যান্য শনাক্তকরণ তথ্যাদি প্রচার-প্রচারণা শুরুর আগে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাখিল করতে হবে।
আচরণ বিধিমালায় বলা হয়েছে, প্রচার-প্রচারণাসহ নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করা যাবে না। ঘৃণাত্মক বক্তব্য, ভুল তথ্য, কারও চেহারা বিকৃত করা ও নির্বাচন-সংক্রান্ত বানোয়াট তথ্যসহ সব ধরনের ক্ষতিকর কনটেন্ট বানানো ও প্রচার করা যাবে না। প্রতিপক্ষ, নারী, সংখ্যালঘু বা অন্য কোনো জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে ঘৃণাত্মক বক্তব্য, ব্যক্তিগত আক্রমণ বা উসকানিমূলক ভাষা ব্যবহার করা যাবে না। নির্বাচনী স্বার্থ হাসিলের জন্য ধর্মীয় বা জাতিগত অনুভূতির অপব্যবহার করা যাবে না। সামাজিক মাধ্যমে নির্বাচন-সংক্রান্ত সব কনটেন্ট শেয়ার ও প্রকাশের আগে সত্যতা যাচাই করতে হবে।
রাজনৈতিক দল, প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি, ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে কিংবা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কোনো প্রার্থী বা ব্যক্তির চরিত্র হনন; কিংবা সুনাম নষ্ট করার উদ্দেশ্যে, সামাজিক মাধ্যম বা অন্য কোনো মাধ্যমে, সাধারণভাবে বা সম্পাদন করে কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা কোনো মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, পক্ষপাতমূলক, বিদ্বেষপূর্ণ, অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ এবং মানহানিকর কোনো কনটেন্ট তৈরি, প্রকাশ, প্রচার ও শেয়ার করতে পারবেন না। গুজব ও এআই অপব্যবহার বন্ধে নির্বাচনী অপরাধ বিবেচনায় শাস্তির বিধান রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে এবার নতুন ধারা যুক্ত করা হয়।
আচরণবিধিতে আরও যা রয়েছে
কোনো দল বা প্রার্থী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিদেশে জনসভা, পথসভা, সভা-সমাবেশ বা কোনো প্রচারণা করতে পারবে না; ভোটের প্রচারে থাকছে না পোস্টারের ব্যবহার। একজন প্রার্থী তাঁর সংসদীয় আসনে ২০টির বেশি বিলবোর্ড ব্যবহার করতে পারবেন না; যার দৈর্ঘ্য হবে সর্বোচ্চ ১৬ ফুট আর প্রস্থ ৯ ফুট।
নির্বাচনের দিন ও প্রচারের সময় কোনো ধরনের ড্রোন, কোয়াডকপ্টার বা এ-জাতীয় যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না; প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে অন্য কোনো প্রার্থী ও প্রতিষ্ঠান ভোটার স্লিপ বিতরণ করতে পারবে। তবে ভোটার স্লিপে প্রার্থীর নাম, ছবি, পদের নাম ও প্রতীক উল্লেখ করতে পারবে না; বিলবোর্ডে শুধু যেগুলো ডিজিটাল বিলবোর্ড, সেগুলোতে আলো ও বিদ্যুতের ব্যবহার করা যাবে। তা ছাড়া আলোকসজ্জার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
ব্যানার, ফেস্টুন, লিফলেটে পলিথিনের আবরণ নয়, প্লাস্টিক (পিভিসি) ব্যানার ব্যবহার করা যাবে না; সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির তালিকায় অন্তর্বর্তীকালীন বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদেরও যোগ করা হয়েছে। ফলে তাঁরা প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নামতে পারবেন না; প্রচারে পরিবেশবান্ধব সামগ্রী ব্যবহারে জোর দেওয়া হয়েছে; প্রচারসামগ্রীতে পলিথিন, রেক্সিন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
প্রচারের সময় শব্দের মাত্রা ৬০ ডেসিবেলে রাখতে হবে; আচরণবিধি মেনে চলার ব্যাপারে প্রার্থী ও দলের কাছ থেকে অঙ্গীকারনামাও দিতে হবে; আচরণবিধির ‘গুরুতর’ অপরাধের ক্ষেত্রে আরপিওতে প্রার্থিতা বাতিলের বিধান রয়েছে। আগে আচরণবিধিতে আরপিও অনুচ্ছেদটি ছিল না, এবার যুক্ত করা হয়েছে। নির্বাচনী অপরাধে আরপিও ৯১ ধারা অনুযায়ী প্রার্থিতা বাতিল করে থাকে ইসি। এ বিষয়টি আচরণ বিধিমালায় স্পষ্ট করা হয়েছে।
গণমাধ্যমের সংলাপ ও সব প্রার্থীর এক মঞ্চে ইশতেহার ঘোষণার সুযোগ রাখা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট আসনে সব প্রার্থীকে নিয়ে এক দিনে তাঁদের ইশতেহার বা ঘোষণাপত্রগুলো পাঠ করার ব্যবস্থা করবেন; প্রথমবারের মতো আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং পদ্ধতি চালু করা হয়েছে এবার। দেশের ভেতরে তিন ধরনের ব্যক্তি ও প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটাররা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন।

বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনগণের বড় একটি অংশই মনে করছেন বর্তমানে ভুল পথে চলছে দেশ। তবে দেশের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক একটি অংশ মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভালোভাবেই তাঁর কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকার জনসমর্থন ধরে রাখলেও বিরোধীদের জনসমর্থনও
০৯ আগস্ট ২০২৩
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দেন বলে জানান সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম।
২৩ মিনিট আগে
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা একটি মামলায় একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) চেয়ারম্যান ও সিইও আব্দুস সালামকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
২৭ মিনিট আগে
রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদা দাবির মামলায় আলোচিত মডেল মেঘনা আলমের জব্দ করা পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে করা আবেদন আবারও নামঞ্জুর করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম নামঞ্জুরের এই আদেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে