আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গত ২৪ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের দেওয়া এক জবানবন্দিতে জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থান, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন, গুম এবং গোপন বন্দিশালা সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি মামলায় ‘অ্যাপ্রুভার’ বা রাজসাক্ষী হিসেবে দেওয়া এই জবানবন্দির বিস্তারিত সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে। সাবেক এই আইজিপি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডিবি প্রধানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক
জবানবন্দিতে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন উল্লেখ করেছেন যে, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তৎকালীন প্রধান হারুন অর রশীদের সঙ্গে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের গভীর সম্পর্ক ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হারুনকে ‘জিন’ নামে ডাকতেন। তাঁকে কর্মতৎপর ও সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে রাজনৈতিকভাবে খুব কার্যকর মনে করতেন। হারুনই ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডান হাত।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দমনে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত
সাবেক আইজিপির জবানবন্দি অনুযায়ী, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হয়েছে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে। আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে প্রতি রাতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হতো। আন্দোলনপ্রবণ এলাকাগুলোকে ভাগ করে ’ব্লক রেইড’ পরিচালনা করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।
মামুন বলেন, ‘আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে একপর্যায়ে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আন্দোলনকে নজরদারি, গুলি করা ও ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে গোপন পরিকল্পনা করা হয়। আমি পরে জানতে পারি র্যাবের ডিজি হারুন অর রশিদের পরিকল্পনায় ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় হেলিকপ্টার ব্যবহার এবং অপারেশন পরিচালনা করা হয়। তবে পুলিশপ্রধান হিসাবে আমি উক্ত কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। মূলত রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়।’
প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আন্দোলন দমন করার উদ্দেশ্যে পরবর্তীতে সরাসরি প্রাণঘাতী অস্ত্র ও আন্দোলনপ্রবণ এলাকাগুলোতে এলাকা ভাগ করে ব্লক রেইড পরিচালনার সিদ্ধান্ত সরাসরি রাজনৈতিকভাবে নেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আমাকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার প্রেক্ষিতে আন্দোলন দমন করার জন্য প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়।’
তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান এবং ডিবির প্রধান হারুন অর রশীদ প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারে ‘অতি উৎসাহী’ ছিলেন বলেও জবানবন্দিতে উঠে এসেছে। ১৮ জুলাই, ২০২৪ তারিখে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান প্রকাশ্যে চায়নিজ রাইফেল ব্যবহার করে গুলি করার নির্দেশ দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা ও রাজনৈতিক নির্দেশনা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার বিষয়ে জবানবন্দিতে বলা হয়েছে, পুলিশ সেখানে সঠিক ভূমিকা পালন করেনি। মূলত ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের নির্দেশেই পুলিশ কাজ করে। ওবায়দুল কাদের ও নানক সাহেব ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে নির্দেশনা দিতেন এবং তারা কিছু নেতাকে নিয়ে ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দেন। সরকারপন্থী বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও পুলিশ অফিসাররাও আন্দোলন কঠোরভাবে দমনের জন্য আগ্রহী ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় কোর কমিটির বৈঠক
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-আন্দোলন দমনের জন্য তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় ১৯ জুলাই থেকে প্রায় প্রতি রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক হতো। সাবেক আইজিপি মামুন এসব বৈঠকে সদস্য হিসেবে উপস্থিত থাকতেন। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রসচিব, অতিরিক্ত সচিব, এসবির প্রধান, ডিবির প্রধান, র্যাবের ডিজি, ডিএমপি কমিশনার, আনসারের ডিজি, এনটিএমসির ডিজি, বিজিবির ডিজি এবং ডিজিএফআইয়ের প্রধান উপস্থিত থাকতেন।
এই বৈঠক থেকেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের আটকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। আটকের দায়িত্ব দেওয়া হয় ডিজিএফআই এবং ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদকে। এরপর সমন্বয়কদের ডিবি হেফাজতে নিয়ে মানসিক নির্যাতনসহ চাপ প্রয়োগ করা হয় এবং আন্দোলন প্রত্যাহার করার জন্য টেলিভিশনে বিবৃতি প্রদানে বাধ্য করা হয়। সাবেক আইজিপি এই আটকের বিষয়ে বিরোধিতা করেছিলেন বলেও জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন।
৪ আগস্ট শেখ হাসিনার দুই বৈঠক
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগের দিন ৪ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে গণভবনে শেখ হাসিনা দুই দফা বৈঠক করেছিলেন। প্রথম বৈঠকটি বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান এবং নিরাপত্তাসংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। দ্বিতীয় বৈঠকটি রাত ১০টায় গণভবনে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রধানমন্ত্রী, তার বোন শেখ রেহানা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান, র্যাবের ডিজি এবং আইজিপি উপস্থিত ছিলেন। এসব বৈঠকে আন্দোলন পরিস্থিতি দমন এবং ফোর্স মোতায়েন নিয়ে আলোচনা হয়।
৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর ভূমিকা
সাবেক আইজিপি মামুনের জবানবন্দিতে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট সকাল ১০টা পর্যন্ত পুলিশের শক্ত অবস্থান থাকলেও বেলা ১১টার দিকে উত্তরা থেকে লাখ লাখ লোক ঢাকার ভেতরে আসতে শুরু করলে সেনাবাহিনী বাধা দেয়নি। সেনাবাহিনীর মাঠপর্যায়ের অফিসার ও ফোর্স আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করায় গণভবনমুখী জনস্রোতকে দমন করা সম্ভব হয়নি। দুপুর ১টার দিকে তিনি বুঝতে পারেন যে সরকারের পতন হবে।
২০১৮ সালের ‘রাতের ভোট’ ও ব্যালট বাক্স ভরা
২০২২ সাল থেকে শেখ হাসিনার সরকারের পতন পর্যন্ত আইজিপির দায়িত্বে থাকা চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন তার জবানবন্দিতে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, যা ‘রাতের ভোট’ হিসেবে পরিচিত, সে সম্পর্কেও তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, তৎকালীন আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাতের বেলায় ব্যালট বাক্সে প্রায় ৫০ শতাংশের মতো ব্যালট পেপার ভরে রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন। মাঠপর্যায়ে সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে রাতে ব্যালট বাক্সে ভোট দেওয়ার নির্দেশনা প্রেরণ করা হয়।
গুম ও গোপন বন্দিশালা
২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে মামুন বলেন, র্যাবের সদর দপ্তরের অধীনে ’টিএফআই সেল’ পরিচালিত হতো, যা উত্তরার র্যাব-১-এর কম্পাউন্ডের ভেতরে অবস্থিত। র্যাবের বিভিন্ন ইউনিটের অধীনেও আলাদা আলাদা সেল বা বন্দিশালা ছিল।
তিনি বলেন, ‘র্যাবের মাধ্যমে রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী এবং সরকারের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা কোনো ব্যক্তিকে তুলে আনা, জিজ্ঞাসাবাদ, নির্যাতন এবং গোপন বন্দিশালায় আটক রাখার বিষয়টি র্যাবের ভেতরে একটা কালচার (সংস্কৃতি) হিসেবে বিবেচিত হতো।’ তিনি আরও দাবি করেন, গুম বা ‘ক্রসফায়ারে’ হত্যার মতো গুরুতর নির্দেশনাগুলো সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আসত, যদিও তাঁর সময়ে তিনি এমন আদেশ পাননি। কিছু নির্দেশনা নিরাপত্তা ও সামরিক উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিকের পক্ষ থেকে আসত বলেও তিনি জানতে পারেন।
দীর্ঘদিন গুম থাকা ব্যারিস্টার আরমানের বিষয়ে তিনি বলেন, আরমান টিএফআই সেলে বন্দী ছিলেন, যদিও তাঁকে তাঁর সময়ে তুলে আনা হয়নি। তাঁর পূর্ববর্তী ডিজি বেনজির আহমেদ দায়িত্ব হস্তান্তরকালে তাঁকে এ বিষয়ে অবহিত করেন।
ক্ষমা প্রার্থনা
পাঁচ পৃষ্ঠার জবানবন্দি শেষে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে দমন করতে গিয়ে সরকারের নির্দেশনায় এবং অতি উৎসাহী পুলিশ অফিসার ও পুলিশ বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ এবং জনগণের ওপর গুলি করাসহ নির্বিচার নির্যাতন, গ্রেপ্তার ও অসংখ্য মানুষকে আহত ও হত্যা করায় সাবেক পুলিশপ্রধান হিসেবে আমি লজ্জিত, অনুতপ্ত ও ক্ষমাপ্রার্থী। আমি আমার ভূমিকাসহ সার্বিক চিত্র বর্ণনা করার উদ্দেশ্যে এই জবানবন্দি প্রদান করলাম।’

গত ২৪ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের দেওয়া এক জবানবন্দিতে জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থান, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন, গুম এবং গোপন বন্দিশালা সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি মামলায় ‘অ্যাপ্রুভার’ বা রাজসাক্ষী হিসেবে দেওয়া এই জবানবন্দির বিস্তারিত সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে। সাবেক এই আইজিপি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডিবি প্রধানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক
জবানবন্দিতে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন উল্লেখ করেছেন যে, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তৎকালীন প্রধান হারুন অর রশীদের সঙ্গে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের গভীর সম্পর্ক ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হারুনকে ‘জিন’ নামে ডাকতেন। তাঁকে কর্মতৎপর ও সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে রাজনৈতিকভাবে খুব কার্যকর মনে করতেন। হারুনই ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডান হাত।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দমনে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত
সাবেক আইজিপির জবানবন্দি অনুযায়ী, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হয়েছে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে। আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে প্রতি রাতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হতো। আন্দোলনপ্রবণ এলাকাগুলোকে ভাগ করে ’ব্লক রেইড’ পরিচালনা করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।
মামুন বলেন, ‘আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে একপর্যায়ে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আন্দোলনকে নজরদারি, গুলি করা ও ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে গোপন পরিকল্পনা করা হয়। আমি পরে জানতে পারি র্যাবের ডিজি হারুন অর রশিদের পরিকল্পনায় ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় হেলিকপ্টার ব্যবহার এবং অপারেশন পরিচালনা করা হয়। তবে পুলিশপ্রধান হিসাবে আমি উক্ত কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। মূলত রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়।’
প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আন্দোলন দমন করার উদ্দেশ্যে পরবর্তীতে সরাসরি প্রাণঘাতী অস্ত্র ও আন্দোলনপ্রবণ এলাকাগুলোতে এলাকা ভাগ করে ব্লক রেইড পরিচালনার সিদ্ধান্ত সরাসরি রাজনৈতিকভাবে নেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আমাকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার প্রেক্ষিতে আন্দোলন দমন করার জন্য প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়।’
তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান এবং ডিবির প্রধান হারুন অর রশীদ প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারে ‘অতি উৎসাহী’ ছিলেন বলেও জবানবন্দিতে উঠে এসেছে। ১৮ জুলাই, ২০২৪ তারিখে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান প্রকাশ্যে চায়নিজ রাইফেল ব্যবহার করে গুলি করার নির্দেশ দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা ও রাজনৈতিক নির্দেশনা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার বিষয়ে জবানবন্দিতে বলা হয়েছে, পুলিশ সেখানে সঠিক ভূমিকা পালন করেনি। মূলত ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের নির্দেশেই পুলিশ কাজ করে। ওবায়দুল কাদের ও নানক সাহেব ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে নির্দেশনা দিতেন এবং তারা কিছু নেতাকে নিয়ে ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দেন। সরকারপন্থী বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও পুলিশ অফিসাররাও আন্দোলন কঠোরভাবে দমনের জন্য আগ্রহী ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় কোর কমিটির বৈঠক
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-আন্দোলন দমনের জন্য তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় ১৯ জুলাই থেকে প্রায় প্রতি রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক হতো। সাবেক আইজিপি মামুন এসব বৈঠকে সদস্য হিসেবে উপস্থিত থাকতেন। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রসচিব, অতিরিক্ত সচিব, এসবির প্রধান, ডিবির প্রধান, র্যাবের ডিজি, ডিএমপি কমিশনার, আনসারের ডিজি, এনটিএমসির ডিজি, বিজিবির ডিজি এবং ডিজিএফআইয়ের প্রধান উপস্থিত থাকতেন।
এই বৈঠক থেকেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের আটকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। আটকের দায়িত্ব দেওয়া হয় ডিজিএফআই এবং ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদকে। এরপর সমন্বয়কদের ডিবি হেফাজতে নিয়ে মানসিক নির্যাতনসহ চাপ প্রয়োগ করা হয় এবং আন্দোলন প্রত্যাহার করার জন্য টেলিভিশনে বিবৃতি প্রদানে বাধ্য করা হয়। সাবেক আইজিপি এই আটকের বিষয়ে বিরোধিতা করেছিলেন বলেও জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন।
৪ আগস্ট শেখ হাসিনার দুই বৈঠক
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগের দিন ৪ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে গণভবনে শেখ হাসিনা দুই দফা বৈঠক করেছিলেন। প্রথম বৈঠকটি বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান এবং নিরাপত্তাসংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। দ্বিতীয় বৈঠকটি রাত ১০টায় গণভবনে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রধানমন্ত্রী, তার বোন শেখ রেহানা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান, র্যাবের ডিজি এবং আইজিপি উপস্থিত ছিলেন। এসব বৈঠকে আন্দোলন পরিস্থিতি দমন এবং ফোর্স মোতায়েন নিয়ে আলোচনা হয়।
৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর ভূমিকা
সাবেক আইজিপি মামুনের জবানবন্দিতে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট সকাল ১০টা পর্যন্ত পুলিশের শক্ত অবস্থান থাকলেও বেলা ১১টার দিকে উত্তরা থেকে লাখ লাখ লোক ঢাকার ভেতরে আসতে শুরু করলে সেনাবাহিনী বাধা দেয়নি। সেনাবাহিনীর মাঠপর্যায়ের অফিসার ও ফোর্স আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করায় গণভবনমুখী জনস্রোতকে দমন করা সম্ভব হয়নি। দুপুর ১টার দিকে তিনি বুঝতে পারেন যে সরকারের পতন হবে।
২০১৮ সালের ‘রাতের ভোট’ ও ব্যালট বাক্স ভরা
২০২২ সাল থেকে শেখ হাসিনার সরকারের পতন পর্যন্ত আইজিপির দায়িত্বে থাকা চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন তার জবানবন্দিতে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, যা ‘রাতের ভোট’ হিসেবে পরিচিত, সে সম্পর্কেও তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, তৎকালীন আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাতের বেলায় ব্যালট বাক্সে প্রায় ৫০ শতাংশের মতো ব্যালট পেপার ভরে রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন। মাঠপর্যায়ে সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে রাতে ব্যালট বাক্সে ভোট দেওয়ার নির্দেশনা প্রেরণ করা হয়।
গুম ও গোপন বন্দিশালা
২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে মামুন বলেন, র্যাবের সদর দপ্তরের অধীনে ’টিএফআই সেল’ পরিচালিত হতো, যা উত্তরার র্যাব-১-এর কম্পাউন্ডের ভেতরে অবস্থিত। র্যাবের বিভিন্ন ইউনিটের অধীনেও আলাদা আলাদা সেল বা বন্দিশালা ছিল।
তিনি বলেন, ‘র্যাবের মাধ্যমে রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী এবং সরকারের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা কোনো ব্যক্তিকে তুলে আনা, জিজ্ঞাসাবাদ, নির্যাতন এবং গোপন বন্দিশালায় আটক রাখার বিষয়টি র্যাবের ভেতরে একটা কালচার (সংস্কৃতি) হিসেবে বিবেচিত হতো।’ তিনি আরও দাবি করেন, গুম বা ‘ক্রসফায়ারে’ হত্যার মতো গুরুতর নির্দেশনাগুলো সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আসত, যদিও তাঁর সময়ে তিনি এমন আদেশ পাননি। কিছু নির্দেশনা নিরাপত্তা ও সামরিক উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিকের পক্ষ থেকে আসত বলেও তিনি জানতে পারেন।
দীর্ঘদিন গুম থাকা ব্যারিস্টার আরমানের বিষয়ে তিনি বলেন, আরমান টিএফআই সেলে বন্দী ছিলেন, যদিও তাঁকে তাঁর সময়ে তুলে আনা হয়নি। তাঁর পূর্ববর্তী ডিজি বেনজির আহমেদ দায়িত্ব হস্তান্তরকালে তাঁকে এ বিষয়ে অবহিত করেন।
ক্ষমা প্রার্থনা
পাঁচ পৃষ্ঠার জবানবন্দি শেষে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে দমন করতে গিয়ে সরকারের নির্দেশনায় এবং অতি উৎসাহী পুলিশ অফিসার ও পুলিশ বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ এবং জনগণের ওপর গুলি করাসহ নির্বিচার নির্যাতন, গ্রেপ্তার ও অসংখ্য মানুষকে আহত ও হত্যা করায় সাবেক পুলিশপ্রধান হিসেবে আমি লজ্জিত, অনুতপ্ত ও ক্ষমাপ্রার্থী। আমি আমার ভূমিকাসহ সার্বিক চিত্র বর্ণনা করার উদ্দেশ্যে এই জবানবন্দি প্রদান করলাম।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গত ২৪ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের দেওয়া এক জবানবন্দিতে জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থান, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন, গুম এবং গোপন বন্দিশালা সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি মামলায় ‘অ্যাপ্রুভার’ বা রাজসাক্ষী হিসেবে দেওয়া এই জবানবন্দির বিস্তারিত সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে। সাবেক এই আইজিপি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডিবি প্রধানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক
জবানবন্দিতে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন উল্লেখ করেছেন যে, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তৎকালীন প্রধান হারুন অর রশীদের সঙ্গে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের গভীর সম্পর্ক ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হারুনকে ‘জিন’ নামে ডাকতেন। তাঁকে কর্মতৎপর ও সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে রাজনৈতিকভাবে খুব কার্যকর মনে করতেন। হারুনই ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডান হাত।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দমনে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত
সাবেক আইজিপির জবানবন্দি অনুযায়ী, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হয়েছে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে। আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে প্রতি রাতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হতো। আন্দোলনপ্রবণ এলাকাগুলোকে ভাগ করে ’ব্লক রেইড’ পরিচালনা করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।
মামুন বলেন, ‘আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে একপর্যায়ে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আন্দোলনকে নজরদারি, গুলি করা ও ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে গোপন পরিকল্পনা করা হয়। আমি পরে জানতে পারি র্যাবের ডিজি হারুন অর রশিদের পরিকল্পনায় ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় হেলিকপ্টার ব্যবহার এবং অপারেশন পরিচালনা করা হয়। তবে পুলিশপ্রধান হিসাবে আমি উক্ত কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। মূলত রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়।’
প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আন্দোলন দমন করার উদ্দেশ্যে পরবর্তীতে সরাসরি প্রাণঘাতী অস্ত্র ও আন্দোলনপ্রবণ এলাকাগুলোতে এলাকা ভাগ করে ব্লক রেইড পরিচালনার সিদ্ধান্ত সরাসরি রাজনৈতিকভাবে নেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আমাকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার প্রেক্ষিতে আন্দোলন দমন করার জন্য প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়।’
তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান এবং ডিবির প্রধান হারুন অর রশীদ প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারে ‘অতি উৎসাহী’ ছিলেন বলেও জবানবন্দিতে উঠে এসেছে। ১৮ জুলাই, ২০২৪ তারিখে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান প্রকাশ্যে চায়নিজ রাইফেল ব্যবহার করে গুলি করার নির্দেশ দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা ও রাজনৈতিক নির্দেশনা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার বিষয়ে জবানবন্দিতে বলা হয়েছে, পুলিশ সেখানে সঠিক ভূমিকা পালন করেনি। মূলত ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের নির্দেশেই পুলিশ কাজ করে। ওবায়দুল কাদের ও নানক সাহেব ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে নির্দেশনা দিতেন এবং তারা কিছু নেতাকে নিয়ে ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দেন। সরকারপন্থী বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও পুলিশ অফিসাররাও আন্দোলন কঠোরভাবে দমনের জন্য আগ্রহী ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় কোর কমিটির বৈঠক
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-আন্দোলন দমনের জন্য তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় ১৯ জুলাই থেকে প্রায় প্রতি রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক হতো। সাবেক আইজিপি মামুন এসব বৈঠকে সদস্য হিসেবে উপস্থিত থাকতেন। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রসচিব, অতিরিক্ত সচিব, এসবির প্রধান, ডিবির প্রধান, র্যাবের ডিজি, ডিএমপি কমিশনার, আনসারের ডিজি, এনটিএমসির ডিজি, বিজিবির ডিজি এবং ডিজিএফআইয়ের প্রধান উপস্থিত থাকতেন।
এই বৈঠক থেকেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের আটকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। আটকের দায়িত্ব দেওয়া হয় ডিজিএফআই এবং ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদকে। এরপর সমন্বয়কদের ডিবি হেফাজতে নিয়ে মানসিক নির্যাতনসহ চাপ প্রয়োগ করা হয় এবং আন্দোলন প্রত্যাহার করার জন্য টেলিভিশনে বিবৃতি প্রদানে বাধ্য করা হয়। সাবেক আইজিপি এই আটকের বিষয়ে বিরোধিতা করেছিলেন বলেও জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন।
৪ আগস্ট শেখ হাসিনার দুই বৈঠক
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগের দিন ৪ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে গণভবনে শেখ হাসিনা দুই দফা বৈঠক করেছিলেন। প্রথম বৈঠকটি বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান এবং নিরাপত্তাসংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। দ্বিতীয় বৈঠকটি রাত ১০টায় গণভবনে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রধানমন্ত্রী, তার বোন শেখ রেহানা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান, র্যাবের ডিজি এবং আইজিপি উপস্থিত ছিলেন। এসব বৈঠকে আন্দোলন পরিস্থিতি দমন এবং ফোর্স মোতায়েন নিয়ে আলোচনা হয়।
৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর ভূমিকা
সাবেক আইজিপি মামুনের জবানবন্দিতে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট সকাল ১০টা পর্যন্ত পুলিশের শক্ত অবস্থান থাকলেও বেলা ১১টার দিকে উত্তরা থেকে লাখ লাখ লোক ঢাকার ভেতরে আসতে শুরু করলে সেনাবাহিনী বাধা দেয়নি। সেনাবাহিনীর মাঠপর্যায়ের অফিসার ও ফোর্স আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করায় গণভবনমুখী জনস্রোতকে দমন করা সম্ভব হয়নি। দুপুর ১টার দিকে তিনি বুঝতে পারেন যে সরকারের পতন হবে।
২০১৮ সালের ‘রাতের ভোট’ ও ব্যালট বাক্স ভরা
২০২২ সাল থেকে শেখ হাসিনার সরকারের পতন পর্যন্ত আইজিপির দায়িত্বে থাকা চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন তার জবানবন্দিতে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, যা ‘রাতের ভোট’ হিসেবে পরিচিত, সে সম্পর্কেও তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, তৎকালীন আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাতের বেলায় ব্যালট বাক্সে প্রায় ৫০ শতাংশের মতো ব্যালট পেপার ভরে রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন। মাঠপর্যায়ে সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে রাতে ব্যালট বাক্সে ভোট দেওয়ার নির্দেশনা প্রেরণ করা হয়।
গুম ও গোপন বন্দিশালা
২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে মামুন বলেন, র্যাবের সদর দপ্তরের অধীনে ’টিএফআই সেল’ পরিচালিত হতো, যা উত্তরার র্যাব-১-এর কম্পাউন্ডের ভেতরে অবস্থিত। র্যাবের বিভিন্ন ইউনিটের অধীনেও আলাদা আলাদা সেল বা বন্দিশালা ছিল।
তিনি বলেন, ‘র্যাবের মাধ্যমে রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী এবং সরকারের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা কোনো ব্যক্তিকে তুলে আনা, জিজ্ঞাসাবাদ, নির্যাতন এবং গোপন বন্দিশালায় আটক রাখার বিষয়টি র্যাবের ভেতরে একটা কালচার (সংস্কৃতি) হিসেবে বিবেচিত হতো।’ তিনি আরও দাবি করেন, গুম বা ‘ক্রসফায়ারে’ হত্যার মতো গুরুতর নির্দেশনাগুলো সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আসত, যদিও তাঁর সময়ে তিনি এমন আদেশ পাননি। কিছু নির্দেশনা নিরাপত্তা ও সামরিক উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিকের পক্ষ থেকে আসত বলেও তিনি জানতে পারেন।
দীর্ঘদিন গুম থাকা ব্যারিস্টার আরমানের বিষয়ে তিনি বলেন, আরমান টিএফআই সেলে বন্দী ছিলেন, যদিও তাঁকে তাঁর সময়ে তুলে আনা হয়নি। তাঁর পূর্ববর্তী ডিজি বেনজির আহমেদ দায়িত্ব হস্তান্তরকালে তাঁকে এ বিষয়ে অবহিত করেন।
ক্ষমা প্রার্থনা
পাঁচ পৃষ্ঠার জবানবন্দি শেষে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে দমন করতে গিয়ে সরকারের নির্দেশনায় এবং অতি উৎসাহী পুলিশ অফিসার ও পুলিশ বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ এবং জনগণের ওপর গুলি করাসহ নির্বিচার নির্যাতন, গ্রেপ্তার ও অসংখ্য মানুষকে আহত ও হত্যা করায় সাবেক পুলিশপ্রধান হিসেবে আমি লজ্জিত, অনুতপ্ত ও ক্ষমাপ্রার্থী। আমি আমার ভূমিকাসহ সার্বিক চিত্র বর্ণনা করার উদ্দেশ্যে এই জবানবন্দি প্রদান করলাম।’

গত ২৪ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের দেওয়া এক জবানবন্দিতে জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থান, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন, গুম এবং গোপন বন্দিশালা সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি মামলায় ‘অ্যাপ্রুভার’ বা রাজসাক্ষী হিসেবে দেওয়া এই জবানবন্দির বিস্তারিত সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে। সাবেক এই আইজিপি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডিবি প্রধানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক
জবানবন্দিতে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন উল্লেখ করেছেন যে, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তৎকালীন প্রধান হারুন অর রশীদের সঙ্গে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের গভীর সম্পর্ক ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হারুনকে ‘জিন’ নামে ডাকতেন। তাঁকে কর্মতৎপর ও সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে রাজনৈতিকভাবে খুব কার্যকর মনে করতেন। হারুনই ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডান হাত।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দমনে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত
সাবেক আইজিপির জবানবন্দি অনুযায়ী, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হয়েছে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে। আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে প্রতি রাতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হতো। আন্দোলনপ্রবণ এলাকাগুলোকে ভাগ করে ’ব্লক রেইড’ পরিচালনা করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।
মামুন বলেন, ‘আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে একপর্যায়ে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আন্দোলনকে নজরদারি, গুলি করা ও ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে গোপন পরিকল্পনা করা হয়। আমি পরে জানতে পারি র্যাবের ডিজি হারুন অর রশিদের পরিকল্পনায় ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় হেলিকপ্টার ব্যবহার এবং অপারেশন পরিচালনা করা হয়। তবে পুলিশপ্রধান হিসাবে আমি উক্ত কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। মূলত রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়।’
প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আন্দোলন দমন করার উদ্দেশ্যে পরবর্তীতে সরাসরি প্রাণঘাতী অস্ত্র ও আন্দোলনপ্রবণ এলাকাগুলোতে এলাকা ভাগ করে ব্লক রেইড পরিচালনার সিদ্ধান্ত সরাসরি রাজনৈতিকভাবে নেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আমাকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার প্রেক্ষিতে আন্দোলন দমন করার জন্য প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়।’
তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান এবং ডিবির প্রধান হারুন অর রশীদ প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারে ‘অতি উৎসাহী’ ছিলেন বলেও জবানবন্দিতে উঠে এসেছে। ১৮ জুলাই, ২০২৪ তারিখে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান প্রকাশ্যে চায়নিজ রাইফেল ব্যবহার করে গুলি করার নির্দেশ দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা ও রাজনৈতিক নির্দেশনা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার বিষয়ে জবানবন্দিতে বলা হয়েছে, পুলিশ সেখানে সঠিক ভূমিকা পালন করেনি। মূলত ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের নির্দেশেই পুলিশ কাজ করে। ওবায়দুল কাদের ও নানক সাহেব ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে নির্দেশনা দিতেন এবং তারা কিছু নেতাকে নিয়ে ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দেন। সরকারপন্থী বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও পুলিশ অফিসাররাও আন্দোলন কঠোরভাবে দমনের জন্য আগ্রহী ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় কোর কমিটির বৈঠক
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-আন্দোলন দমনের জন্য তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় ১৯ জুলাই থেকে প্রায় প্রতি রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক হতো। সাবেক আইজিপি মামুন এসব বৈঠকে সদস্য হিসেবে উপস্থিত থাকতেন। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রসচিব, অতিরিক্ত সচিব, এসবির প্রধান, ডিবির প্রধান, র্যাবের ডিজি, ডিএমপি কমিশনার, আনসারের ডিজি, এনটিএমসির ডিজি, বিজিবির ডিজি এবং ডিজিএফআইয়ের প্রধান উপস্থিত থাকতেন।
এই বৈঠক থেকেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের আটকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। আটকের দায়িত্ব দেওয়া হয় ডিজিএফআই এবং ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদকে। এরপর সমন্বয়কদের ডিবি হেফাজতে নিয়ে মানসিক নির্যাতনসহ চাপ প্রয়োগ করা হয় এবং আন্দোলন প্রত্যাহার করার জন্য টেলিভিশনে বিবৃতি প্রদানে বাধ্য করা হয়। সাবেক আইজিপি এই আটকের বিষয়ে বিরোধিতা করেছিলেন বলেও জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন।
৪ আগস্ট শেখ হাসিনার দুই বৈঠক
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগের দিন ৪ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে গণভবনে শেখ হাসিনা দুই দফা বৈঠক করেছিলেন। প্রথম বৈঠকটি বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান এবং নিরাপত্তাসংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। দ্বিতীয় বৈঠকটি রাত ১০টায় গণভবনে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রধানমন্ত্রী, তার বোন শেখ রেহানা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান, র্যাবের ডিজি এবং আইজিপি উপস্থিত ছিলেন। এসব বৈঠকে আন্দোলন পরিস্থিতি দমন এবং ফোর্স মোতায়েন নিয়ে আলোচনা হয়।
৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর ভূমিকা
সাবেক আইজিপি মামুনের জবানবন্দিতে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট সকাল ১০টা পর্যন্ত পুলিশের শক্ত অবস্থান থাকলেও বেলা ১১টার দিকে উত্তরা থেকে লাখ লাখ লোক ঢাকার ভেতরে আসতে শুরু করলে সেনাবাহিনী বাধা দেয়নি। সেনাবাহিনীর মাঠপর্যায়ের অফিসার ও ফোর্স আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করায় গণভবনমুখী জনস্রোতকে দমন করা সম্ভব হয়নি। দুপুর ১টার দিকে তিনি বুঝতে পারেন যে সরকারের পতন হবে।
২০১৮ সালের ‘রাতের ভোট’ ও ব্যালট বাক্স ভরা
২০২২ সাল থেকে শেখ হাসিনার সরকারের পতন পর্যন্ত আইজিপির দায়িত্বে থাকা চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন তার জবানবন্দিতে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, যা ‘রাতের ভোট’ হিসেবে পরিচিত, সে সম্পর্কেও তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, তৎকালীন আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাতের বেলায় ব্যালট বাক্সে প্রায় ৫০ শতাংশের মতো ব্যালট পেপার ভরে রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন। মাঠপর্যায়ে সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে রাতে ব্যালট বাক্সে ভোট দেওয়ার নির্দেশনা প্রেরণ করা হয়।
গুম ও গোপন বন্দিশালা
২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে মামুন বলেন, র্যাবের সদর দপ্তরের অধীনে ’টিএফআই সেল’ পরিচালিত হতো, যা উত্তরার র্যাব-১-এর কম্পাউন্ডের ভেতরে অবস্থিত। র্যাবের বিভিন্ন ইউনিটের অধীনেও আলাদা আলাদা সেল বা বন্দিশালা ছিল।
তিনি বলেন, ‘র্যাবের মাধ্যমে রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী এবং সরকারের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা কোনো ব্যক্তিকে তুলে আনা, জিজ্ঞাসাবাদ, নির্যাতন এবং গোপন বন্দিশালায় আটক রাখার বিষয়টি র্যাবের ভেতরে একটা কালচার (সংস্কৃতি) হিসেবে বিবেচিত হতো।’ তিনি আরও দাবি করেন, গুম বা ‘ক্রসফায়ারে’ হত্যার মতো গুরুতর নির্দেশনাগুলো সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আসত, যদিও তাঁর সময়ে তিনি এমন আদেশ পাননি। কিছু নির্দেশনা নিরাপত্তা ও সামরিক উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিকের পক্ষ থেকে আসত বলেও তিনি জানতে পারেন।
দীর্ঘদিন গুম থাকা ব্যারিস্টার আরমানের বিষয়ে তিনি বলেন, আরমান টিএফআই সেলে বন্দী ছিলেন, যদিও তাঁকে তাঁর সময়ে তুলে আনা হয়নি। তাঁর পূর্ববর্তী ডিজি বেনজির আহমেদ দায়িত্ব হস্তান্তরকালে তাঁকে এ বিষয়ে অবহিত করেন।
ক্ষমা প্রার্থনা
পাঁচ পৃষ্ঠার জবানবন্দি শেষে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে দমন করতে গিয়ে সরকারের নির্দেশনায় এবং অতি উৎসাহী পুলিশ অফিসার ও পুলিশ বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ এবং জনগণের ওপর গুলি করাসহ নির্বিচার নির্যাতন, গ্রেপ্তার ও অসংখ্য মানুষকে আহত ও হত্যা করায় সাবেক পুলিশপ্রধান হিসেবে আমি লজ্জিত, অনুতপ্ত ও ক্ষমাপ্রার্থী। আমি আমার ভূমিকাসহ সার্বিক চিত্র বর্ণনা করার উদ্দেশ্যে এই জবানবন্দি প্রদান করলাম।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দাবি-আপত্তি শেষে ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। নতুন করে আর ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা না হলেও ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার সুযোগ দিয়েছে ইসি।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের জনগণ যেমন চায়, সেনাবাহিনীও চায় সরকার ঘোষিত রূপরেখা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। রূপরেখায় নির্ধারিত সময়সীমাও রয়েছে। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা করে সেনাবাহিনী।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, পাইলটের উড্ডয়নে ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তিনি বিমানটি উড্ডয়নের পর নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন।
৩ ঘণ্টা আগে
পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে নগদ অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। উদ্ধার করা অস্ত্রের ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে। আজ বুধবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দাবি-আপত্তি শেষে ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। নতুন করে আর ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা না হলেও ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার সুযোগ দিয়েছে ইসি।
ঠিকানা পরিবর্তন করে স্থানান্তর হতে চাইলে ১০ নভেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তাদের ১৭ নভেম্বরের মধ্যে আবেদনগুলো অনুমোদন বা বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি সব উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। চিঠির অনুলিপি ইসি সচিবালয়সহ মাঠপর্যায়ের সকল কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন নিষ্পত্তি সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার আগে আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন দাখিল ও দাখিলকৃত আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করতে বিস্তারিত সময়সূচি অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে হলে ১৩ নম্বর ফরম পূরণ করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হয়।
এদিকে মাঠপর্যায়ে পাঠানো আরেকটি নির্দেশনায়, প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধনের আবেদন আগামীকালের বৃহস্পতিবার মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী) খান আবি শাহানুর খান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান। যেসব প্রবাসীর বায়োমেট্রিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে তাঁদের আবেদন সিএমএস পোর্টালের অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনের এনআরবি মেনুতে পাওয়া যাবে। উপজেলা/থানা/রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তা আবেদনকৃত ভোটার ফরম ও সংযুক্ত দলিলাদি প্রিন্ট করে সরেজমিনে তদন্ত সম্পন্ন করবেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত প্রবাসী নাগরিকেরা ভোটার রেজিস্ট্রেশনের জন্য যেসব আবেদন দাখিল করেছেন সেগুলোর তদন্ত প্রতিবেদন ৬ নভেম্বরের মধ্যে আবশ্যিকভাবে তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে। তবে, ১ সেপ্টেম্বর বা তার পরের আবেদনের সঙ্গে ডকুমেন্ট সংযুক্ত করা না থাকলে সেসব আবেদন রেখে প্রতিবেদন ছকে ‘ডকুমেন্ট সংযুক্ত নেই’ মর্মে উল্লেখ করতে হবে। পরবর্তীতে ডকুমেন্ট সংযুক্ত করা হলে তদন্ত কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে। তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন শেষে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে সংযুক্ত ছক মোতাবেক মহাপরিচালক, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ বরাবর প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।
ডিসেম্বরের শুরুর দিকে তফসিল ঘোষণা করে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দাবি-আপত্তি শেষে ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। নতুন করে আর ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা না হলেও ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার সুযোগ দিয়েছে ইসি।
ঠিকানা পরিবর্তন করে স্থানান্তর হতে চাইলে ১০ নভেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তাদের ১৭ নভেম্বরের মধ্যে আবেদনগুলো অনুমোদন বা বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি সব উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। চিঠির অনুলিপি ইসি সচিবালয়সহ মাঠপর্যায়ের সকল কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন নিষ্পত্তি সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার আগে আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন দাখিল ও দাখিলকৃত আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করতে বিস্তারিত সময়সূচি অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে হলে ১৩ নম্বর ফরম পূরণ করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হয়।
এদিকে মাঠপর্যায়ে পাঠানো আরেকটি নির্দেশনায়, প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধনের আবেদন আগামীকালের বৃহস্পতিবার মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী) খান আবি শাহানুর খান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান। যেসব প্রবাসীর বায়োমেট্রিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে তাঁদের আবেদন সিএমএস পোর্টালের অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনের এনআরবি মেনুতে পাওয়া যাবে। উপজেলা/থানা/রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তা আবেদনকৃত ভোটার ফরম ও সংযুক্ত দলিলাদি প্রিন্ট করে সরেজমিনে তদন্ত সম্পন্ন করবেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত প্রবাসী নাগরিকেরা ভোটার রেজিস্ট্রেশনের জন্য যেসব আবেদন দাখিল করেছেন সেগুলোর তদন্ত প্রতিবেদন ৬ নভেম্বরের মধ্যে আবশ্যিকভাবে তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে। তবে, ১ সেপ্টেম্বর বা তার পরের আবেদনের সঙ্গে ডকুমেন্ট সংযুক্ত করা না থাকলে সেসব আবেদন রেখে প্রতিবেদন ছকে ‘ডকুমেন্ট সংযুক্ত নেই’ মর্মে উল্লেখ করতে হবে। পরবর্তীতে ডকুমেন্ট সংযুক্ত করা হলে তদন্ত কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে। তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন শেষে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে সংযুক্ত ছক মোতাবেক মহাপরিচালক, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ বরাবর প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।
ডিসেম্বরের শুরুর দিকে তফসিল ঘোষণা করে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন।

গত ২৪ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের দেওয়া এক জবানবন্দিতে জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থান, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন, গুম এবং গোপন বন্দিশালা সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
৩১ জুলাই ২০২৫
দেশের জনগণ যেমন চায়, সেনাবাহিনীও চায় সরকার ঘোষিত রূপরেখা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। রূপরেখায় নির্ধারিত সময়সীমাও রয়েছে। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা করে সেনাবাহিনী।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, পাইলটের উড্ডয়নে ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তিনি বিমানটি উড্ডয়নের পর নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন।
৩ ঘণ্টা আগে
পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে নগদ অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। উদ্ধার করা অস্ত্রের ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে। আজ বুধবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের জনগণ যেমন চায়, সেনাবাহিনীও চায় সরকার ঘোষিত রূপরেখা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। রূপরেখায় নির্ধারিত সময়সীমাও রয়েছে। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা করে সেনাবাহিনী। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেনাবাহিনীও ব্যারাকে ফিরে যেতে পারবে।
আজ বুধবার দুপুরে সেনাসদরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেনাসদরের ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুল রহমান এসব কথা বলেন।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল রহমান বলেন, সরকার যে রূপরেখা ঘোষণা করেছে, সেটির ভিত্তিতেই সেনাবাহিনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এখন সীমিত পরিসরে হলেও নির্বাচনের সময়ে সেনাবাহিনীর করণীয়কে কেন্দ্র করে এর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, শান্তিকালীন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব হলো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। কিন্তু গত ১৫ মাস ধরে সেনাবাহিনী মাঠে দায়িত্ব পালন করছে। প্রয়োজনে নির্বাচন ও নির্বাচনের পরবর্তী কিছু সময়েও এই দায়িত্ব অব্যাহত রাখতে হতে পারে। ফলে সেনাবাহিনীর মূল প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে।
সেনাবাহিনীর এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা গত ১৫ মাস দায়িত্ব পালন করেছি, তা একেবারেই সহজ ছিল না। বাংলাদেশ এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি প্রতিদিন হয় না। তাই আমরাও চাই, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক এবং আমরা সেনানিবাসে ফিরে যাই।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেনাবাহিনীকে ঘিরে প্রচারিত বিভিন্ন গুজব প্রসঙ্গে মাইনুল রহমান বলেন, গত ১৫ মাস সেনাবাহিনী অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করেছে। এ সময় কিছু স্বার্থান্বেষী চক্র সেনাবাহিনীর নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা ও সাজানো অপপ্রচার চালিয়েছে। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ‘আমি আপনাদের নিশ্চিত করতে চাই, সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য সেনাবাহিনীর প্রধান ও সিনিয়র লিডারশিপের প্রতি শতভাগ অনুগত। যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন সেনাবাহিনী আরও ঐক্যবদ্ধ, সুশৃঙ্খল এবং ভ্রাতৃত্ববোধে দৃঢ়।’
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল রহমান বলেন, সেনাবাহিনী দেশের জনগণের সেনাবাহিনী; তাই জনগণের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় দায়িত্ব সেনাবাহিনী পালন করে যাবে।
দুদিন আগে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়েছে। এর পরপরই কিছু এলাকায় উত্তেজনা ও সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশনস অধিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল দেওয়ান মোহাম্মদ মনজুর হোসেনকে সাংবাদিকেরা এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্য সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করছে, ভবিষ্যতেও করবে।
নির্বাচনকালীন সরকার কিংবা নির্বাচন পেছানোর গুঞ্জনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মনজুর হোসেন বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী এবং নির্বাচন কমিশন যে পরিপত্র দেবে, তার আলোকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী হবে—সে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান সাক্ষাৎ করেছেন। আলোচনার বিষয়বস্তু ইতিমধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পূর্বশর্ত হলো স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। আইনশৃঙ্খলা যাতে স্বাভাবিক থাকে, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করতে বদ্ধপরিকর।’
মনজুর হোসেন আরও বলেন, ‘নির্বাচনের সময় ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনাসদস্য মাঠে মোতায়েন থাকবে—যা এ যাবৎ সর্বোচ্চ। আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে জেলা, উপজেলা এমনকি আসনভিত্তিক ক্যাম্প স্থাপন করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা। নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করার জন্য যা যা প্রয়োজন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তা করতে প্রস্তুত।’

দেশের জনগণ যেমন চায়, সেনাবাহিনীও চায় সরকার ঘোষিত রূপরেখা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। রূপরেখায় নির্ধারিত সময়সীমাও রয়েছে। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা করে সেনাবাহিনী। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেনাবাহিনীও ব্যারাকে ফিরে যেতে পারবে।
আজ বুধবার দুপুরে সেনাসদরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেনাসদরের ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুল রহমান এসব কথা বলেন।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল রহমান বলেন, সরকার যে রূপরেখা ঘোষণা করেছে, সেটির ভিত্তিতেই সেনাবাহিনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এখন সীমিত পরিসরে হলেও নির্বাচনের সময়ে সেনাবাহিনীর করণীয়কে কেন্দ্র করে এর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, শান্তিকালীন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব হলো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। কিন্তু গত ১৫ মাস ধরে সেনাবাহিনী মাঠে দায়িত্ব পালন করছে। প্রয়োজনে নির্বাচন ও নির্বাচনের পরবর্তী কিছু সময়েও এই দায়িত্ব অব্যাহত রাখতে হতে পারে। ফলে সেনাবাহিনীর মূল প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে।
সেনাবাহিনীর এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা গত ১৫ মাস দায়িত্ব পালন করেছি, তা একেবারেই সহজ ছিল না। বাংলাদেশ এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি প্রতিদিন হয় না। তাই আমরাও চাই, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক এবং আমরা সেনানিবাসে ফিরে যাই।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেনাবাহিনীকে ঘিরে প্রচারিত বিভিন্ন গুজব প্রসঙ্গে মাইনুল রহমান বলেন, গত ১৫ মাস সেনাবাহিনী অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করেছে। এ সময় কিছু স্বার্থান্বেষী চক্র সেনাবাহিনীর নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা ও সাজানো অপপ্রচার চালিয়েছে। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ‘আমি আপনাদের নিশ্চিত করতে চাই, সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য সেনাবাহিনীর প্রধান ও সিনিয়র লিডারশিপের প্রতি শতভাগ অনুগত। যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন সেনাবাহিনী আরও ঐক্যবদ্ধ, সুশৃঙ্খল এবং ভ্রাতৃত্ববোধে দৃঢ়।’
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল রহমান বলেন, সেনাবাহিনী দেশের জনগণের সেনাবাহিনী; তাই জনগণের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় দায়িত্ব সেনাবাহিনী পালন করে যাবে।
দুদিন আগে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়েছে। এর পরপরই কিছু এলাকায় উত্তেজনা ও সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশনস অধিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল দেওয়ান মোহাম্মদ মনজুর হোসেনকে সাংবাদিকেরা এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্য সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করছে, ভবিষ্যতেও করবে।
নির্বাচনকালীন সরকার কিংবা নির্বাচন পেছানোর গুঞ্জনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মনজুর হোসেন বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী এবং নির্বাচন কমিশন যে পরিপত্র দেবে, তার আলোকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী হবে—সে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান সাক্ষাৎ করেছেন। আলোচনার বিষয়বস্তু ইতিমধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পূর্বশর্ত হলো স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। আইনশৃঙ্খলা যাতে স্বাভাবিক থাকে, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করতে বদ্ধপরিকর।’
মনজুর হোসেন আরও বলেন, ‘নির্বাচনের সময় ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনাসদস্য মাঠে মোতায়েন থাকবে—যা এ যাবৎ সর্বোচ্চ। আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে জেলা, উপজেলা এমনকি আসনভিত্তিক ক্যাম্প স্থাপন করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা। নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করার জন্য যা যা প্রয়োজন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তা করতে প্রস্তুত।’

গত ২৪ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের দেওয়া এক জবানবন্দিতে জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থান, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন, গুম এবং গোপন বন্দিশালা সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
৩১ জুলাই ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দাবি-আপত্তি শেষে ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। নতুন করে আর ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা না হলেও ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার সুযোগ দিয়েছে ইসি।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, পাইলটের উড্ডয়নে ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তিনি বিমানটি উড্ডয়নের পর নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন।
৩ ঘণ্টা আগে
পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে নগদ অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। উদ্ধার করা অস্ত্রের ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে। আজ বুধবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, পাইলটের উড্ডয়নে ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তিনি বিমানটি উড্ডয়নের পর নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
শফিকুল আলম জানান, জননিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে ঢাকার বাইরে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ পরিচালনা করার সুপারিশসহ ৩৩টি রিকমেন্ডেশন দিয়েছে তদন্ত কমিটি।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের হায়দার আলী ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম, স্কুলটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী, আয়াসহ ৩৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয় শতাধিক মানুষ।

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, পাইলটের উড্ডয়নে ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তিনি বিমানটি উড্ডয়নের পর নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
শফিকুল আলম জানান, জননিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে ঢাকার বাইরে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ পরিচালনা করার সুপারিশসহ ৩৩টি রিকমেন্ডেশন দিয়েছে তদন্ত কমিটি।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের হায়দার আলী ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম, স্কুলটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী, আয়াসহ ৩৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয় শতাধিক মানুষ।

গত ২৪ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের দেওয়া এক জবানবন্দিতে জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থান, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন, গুম এবং গোপন বন্দিশালা সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
৩১ জুলাই ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দাবি-আপত্তি শেষে ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। নতুন করে আর ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা না হলেও ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার সুযোগ দিয়েছে ইসি।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের জনগণ যেমন চায়, সেনাবাহিনীও চায় সরকার ঘোষিত রূপরেখা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। রূপরেখায় নির্ধারিত সময়সীমাও রয়েছে। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা করে সেনাবাহিনী।
২ ঘণ্টা আগে
পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে নগদ অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। উদ্ধার করা অস্ত্রের ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে। আজ বুধবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে নগদ অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। উদ্ধার করা অস্ত্রের ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে।
আজ বুধবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এলএমজি (লাইট মেশিনগান) উদ্ধার করলে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে ৫ লাখ টাকা, এসএমজি (সাব মেশিনগান) উদ্ধারে দেড় লাখ টাকা, চায়না রাইফেল উদ্ধারে ১ লাখ টাকা এবং পিস্তল বা শটগান উদ্ধারে পুরস্কার নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া উদ্ধার করা প্রতিটি গুলির জন্য পুরস্কার দেওয়া হবে ৫০০ টাকা করে।
এর আগে পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে যাঁরা পুলিশকে তথ্য দেবেন, তাঁদের পরিচয় ও তথ্য গোপন রাখা হবে এবং যথাযথ যাচাইয়ের পর পুরস্কার দেওয়া হবে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, পুরস্কার ঘোষণার লক্ষ্য হলো দ্রুত এসব অস্ত্র উদ্ধার এবং অস্ত্রের অপব্যবহার ঠেকানো।

পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে নগদ অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। উদ্ধার করা অস্ত্রের ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে।
আজ বুধবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এলএমজি (লাইট মেশিনগান) উদ্ধার করলে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে ৫ লাখ টাকা, এসএমজি (সাব মেশিনগান) উদ্ধারে দেড় লাখ টাকা, চায়না রাইফেল উদ্ধারে ১ লাখ টাকা এবং পিস্তল বা শটগান উদ্ধারে পুরস্কার নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া উদ্ধার করা প্রতিটি গুলির জন্য পুরস্কার দেওয়া হবে ৫০০ টাকা করে।
এর আগে পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে যাঁরা পুলিশকে তথ্য দেবেন, তাঁদের পরিচয় ও তথ্য গোপন রাখা হবে এবং যথাযথ যাচাইয়ের পর পুরস্কার দেওয়া হবে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, পুরস্কার ঘোষণার লক্ষ্য হলো দ্রুত এসব অস্ত্র উদ্ধার এবং অস্ত্রের অপব্যবহার ঠেকানো।

গত ২৪ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের দেওয়া এক জবানবন্দিতে জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থান, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন, গুম এবং গোপন বন্দিশালা সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
৩১ জুলাই ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দাবি-আপত্তি শেষে ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। নতুন করে আর ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা না হলেও ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার সুযোগ দিয়েছে ইসি।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের জনগণ যেমন চায়, সেনাবাহিনীও চায় সরকার ঘোষিত রূপরেখা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। রূপরেখায় নির্ধারিত সময়সীমাও রয়েছে। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা করে সেনাবাহিনী।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, পাইলটের উড্ডয়নে ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তিনি বিমানটি উড্ডয়নের পর নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন।
৩ ঘণ্টা আগে