নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে বয়স ১৬ বছর করার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রাজনৈতিক অঙ্গনে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। গতকাল রোববার সংস্কার প্রস্তাবের সুপারিশমালা কমিশনে জমা দিয়েছে দলটি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সংশ্লিষ্ট সব মহলে।
গত অগাস্টে শেখ হাসিনার সরকারকে পতনের অভ্যুত্থানে জেন-জি প্রজন্ম তথা কিশোর-তরুণ প্রজন্মের ভূমিকাকে ভোটার হওয়ার বয়স ১৬ বছর করার পক্ষে যুক্তি হিসেবে খাঁড়া করেছে এনসিপি। দলটির মত, অভ্যুত্থানে জেন-জির ভূমিকা বিবেচনায় নিলে ভোটারের বয়স ১৮ বছরে সীমিত রাখা গ্রহণযোগ্য নয়।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সংস্কার সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক সারোয়ার তুষার বলেছেন, ‘আমরা মনে করছি, ভোট দেওয়ার বয়স ১৬ বছর হতে পারে। এর কারণ হচ্ছে, এবারের অভ্যুত্থানকে সারা বিশ্বের জেন-জির অভ্যুত্থান বলা হচ্ছে। গণ-অভ্যুত্থানে তাদের এত বড় একটা স্টেক তৈরি হলো, এরপর পরিবর্তিত যে বাংলাদেশ এবং আসন্ন যে নির্বাচন, সেই নির্বাচনে তারা মতামত দিতে পারবে না শুধু বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ার কারণে, এটা আমরা যৌক্তিক মনে করছি না।’
এনসিপির বহু আগেই অভ্যুত্থানের নেতাদের আহ্বানে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ভোটার করার প্রস্তাব দিয়েছেন। গত বছর ২৭ ডিসেম্বর এক আলোচনায় সভায় তিনি ভোটারের বয়স ১৭ বছর করার পক্ষে মত দেন।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি মনে করি, ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারণ হওয়া উচিত। নির্বাচন সংস্কার কমিশন কী সুপারিশ করবে, তা আমার জানা নেই। কিন্তু দেশের বেশির ভাগ মানুষ যদি কমিশনের সুপারিশ করা বয়স পছন্দ করে, ঐকমত্যে পৌঁছার জন্য আমি তা মেনে নেব।’
তবে ড. ইউনূস বা এনসিপির এই প্রস্তাব বাস্তবসম্মত নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ১৮ বছরের নিচে অর্থাৎ অপ্রাপ্তবয়স্কদের ভোটার ক্ষেত্রে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইনি বাধা এবং শিশু অধিকার লঙ্ঘনের কথা তুলে ধরেছেন আইনজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে তিনজন বিশেষজ্ঞ আজকের পত্রিকাকে তাঁদের অভিমত জানিয়েছেন।

এটা করতে হলে সাংবিধানিক পরিবর্তন ও ঐকমত্য লাগবে: ড. আব্দুল আলীম
১৬ বছর বয়সীদের ভোটার করতে হলে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। এটি করতে হলে সংসদ লাগবে। তার আগে ১৬ বছর বয়সীদের ভোটার করা হবে কি না সে বিষয়ে ঐকমত্য লাগবে বলে মনে করেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম।
এ বিষয়ে ড. মো. আব্দুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্লোভেনিয়ায় ১৬ বছর বয়সী যদি কেউ চাকরিজীবী হয়, তখন তাকে ভোট দিতে দেওয়া হয়। আর এস্তোনিয়ায় ১৬ বছর বয়সীদের শুধু স্থানীয় সরকার নির্বাচন ভোট দিতে দেওয়া হয়। আমি দু-একটি দেশের উদাহরণ জানি, যেখানে ভোটারের বয়স ১৭ আছে। এ রকম একটি দেশ হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। সেখানে বিয়ের বয়সও ১৭। এ ছাড়া বেশির ভাগ দেশে ভোটার হওয়ার বয়স ১৮। তারপরও যেহেতু ছাত্ররা আন্দোলনে নেতৃত্বের ভূমিকায় ছিলেন, তাই তাঁরা মনে করছেন ১৬-তেই ম্যাচিউরড হয়ে যাচ্ছেন।
সংবিধান নতুন করে লেখা বা সংশোধন সংসদ ছাড়া হবে না উল্লেখ করে আব্দুল আলীম বলেন, আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) অথবা সীমানা নির্ধারণ আইন সংশোধন অধ্যাদেশ দিয়েই করা যায়। কিন্তু সংবিধানে তো ভোটার (১৮ বছর) ও প্রার্থী (২৫ বছর) হওয়ার বয়স বলা আছে। কাজেই সংবিধানের কোনো জিনিস পরিবর্তন হলে সংসদ দরকার হয়।
ভোটারের বয়স ১৬ বছর করার বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? জানতে চাইলে আব্দুল আলীম বলেন, ‘আমি সরাসরি এ বিষয়ে কিছু বললাম না। তবে এটি অসম্ভব বলে কিছু না। কিন্তু এটি করতে হলে ঐকমত্য লাগবে। প্রার্থী হওয়ার বয়স ২৩-এর বিষয়ে এই নির্বাচন বিশেষজ্ঞের মত, ২৩, ২৪, ২৫ কাছাকাছি। আমার মনে হয়, যেটি আছে, ঠিক আছে।’

অযৌক্তিক প্রস্তাব, শিশুরা অধিকার লঙ্ঘন হবে: ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া
১৬ বছর বয়সীদের ভোটার করা হলে প্রটেকশনের ক্ষেত্রে শিশুরা বড় আকারে অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
এই আইনজীবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেখুন এগুলো শিশুতোষ আলাপ। শিশুরা সম্পত্তির মালিক হতে পারে, কিন্তু আইন অনুযায়ী সরাসরি বিক্রি বা অন্য কিছু করতে পারে না। অভিভাবকের মাধ্যমে করতে হয়। অভিভাবকেরাও নিজে থেকে কিছু করতে পারেন না, আদালত থেকে অনুমতি নিয়ে সেটি যদি শিশুর রক্ষণাবেক্ষণ বা বড় করার জন্য ভরণপোষণের জন্য প্রয়োজন হয় তবে করতে পারেন।
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, সম্পত্তির অধিকার থেকে শুরু করে কোনো কিছুতেই শিশুর নিজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার আইনগত স্বীকৃতি কোথাও নেই। সেখানে ভোট দেওয়ার মতো বিষয়ে শিশু কীভাবে দেবে? ২০১৩ সালের শিশু আইনে সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে ১৮ বছর পর্যন্ত শিশু। ১৮ বছর হওয়ার পর তার ভোট দেওয়ার অধিকারসহ অন্যান্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার তৈরি হচ্ছে। ১৬ বছর করার যে দাবি, এটি আসলে অর্বাচিন দাবি। এগুলো বিবেচনায় নেওয়ার মতো কোনো সুযোগ নেই।
ভোটারের বয়স কমাতে থাকলে শিশুর প্রটেকশনের জায়গাটা কমে আসবে উল্লেখ করে এই আইনজীবী বলেন, তারা বুঝছে না আইনের দিকে যে ঝুঁকিটা তৈরি হবে, সেটি সামাল দিতে পারবে না। শিশু আইনে তাদের যাতে জেলের মধ্যে না রাখে, তার জন্য শাস্তি না দিয়ে সংশোধন করার জন্য সংশোধনাগার তৈরি করা হয়েছে। শিশুর প্রটেকশনের জন্য জাতিসংঘের শিশুসনদে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছে। সেটিতে স্বাক্ষর করায় ১৯৭৯ সালের আইন পরিবর্তন করে ২০১৩ সালে নতুন আইন করা হয়েছে। সেখানে শিশুদের প্রটেকশনের ব্যাপার আছে। সেই প্রটেকশন সব উঠে যাবে যখন ভোটার হওয়ার বয়স কমিয়ে ১৬-তে নিয়ে আসা হবে।
জ্যোতির্ময় বড়ুয়ার মতে, ‘১৬ বছর বয়সে সবার মানসিক পরিপক্বতা এতটা কোনোভাবেই হয় না। আমাদের দেশের যে পরিবেশ-পরিস্থিতি তাতে সব ভালো কাজ নয়, সব খারাপ কাজের দায়ভার তার ঘাড়ে পড়বে। এখন আমরা বিতর্ক করতে চাই বা পারি যে এটি তো শিশু আদালতে যাবে, ওতো শিশু, সবকিছু বিবেচনায় ভোটারের বয়স ১৬ বছর করার দাবি আমি অযৌক্তিক বলে মনে করি।’
২৩ বছর বয়সে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাবের বিষয়ে এই আইনজীবী বলেন, ‘একটি ছেলে আসলে ২৩ বছর বয়সে পড়াশোনা করে মাত্র বের হয়। সে আসলে তখন রাজনীতির কী বোঝে? পরিপক্ব সিদ্ধান্ত নিতে গেলে তো একটি বয়সের প্রয়োজন হয়। অন্যরা যে পরামর্শই দিক, আমি মনে করি প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ২৫ বছর এবং ভোটার হওয়ার বয়স ১৮ বছর—এটিই ঠিক আছে।’

আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক প্রস্তাব: ড. সাব্বির আহমেদ
ভোটের মতো বিষয়ে ১৬ বছরের একটি ছেলে বা মেয়ে সঠিকভাবে মতামত দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ। তাঁর মতে, ১৬ বছরে ভোটার করার উদ্যোগটি সঠিক নয়। বরং ১৮ বছর বয়স যেটি আছে, সেটি ঠিকই আছে।
অধ্যাপক সাব্বির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আরেকটি হচ্ছে, ১৬ বছর আপনি কেমনে করেন? আন্তর্জাতিকভাবে শিশুদের সংজ্ঞা আমি যতটুকু জানি, সেটি ১৬ বছর কোনোভাবেই আসে না। সুতরাং এটি করলে দেশীয় আইনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইনকে সাংঘর্ষিক জায়গায় নিয়ে যাবেন। আমার কাছে যেটি বড় জিনিস মনে হয়, আমি মনে করি ভোটের মতো বিষয়ে একটি ১৬ বছরের ছেলে বা মেয়ে সঠিক মতামত দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। এটি আমি মনে করি। এই ধরনের সিদ্ধান্ত সঠিক নয়।’
প্রার্থী হওয়ার বয়স ২৩ বছর করার বিষয়ে এই অধ্যাপক বলেন, সংসদ সদস্য হওয়ার বয়স বর্তমানে ২৫ আছে। ২৩ বছর বয়সে একজনের পড়াশোনাই তো সঠিকভাবে শেষ হয় না অনার্স, মাস্টার্স। তো এটি করার মাধ্যমে তরুণদের পড়াশোনার জায়গা থেকে নিরুৎসাহিত করা হবে। ২৩ বছর বয়সের একজন যুবকের ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট বিচক্ষণতা থাকে বলে আমার মনে হয় না। তারপরও ভোটার হওয়ার বয়স ১৮ এবং প্রার্থী হওয়ার বয়স ২৫ যেটি আছে, সেটিই সঠিক।

ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে বয়স ১৬ বছর করার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রাজনৈতিক অঙ্গনে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। গতকাল রোববার সংস্কার প্রস্তাবের সুপারিশমালা কমিশনে জমা দিয়েছে দলটি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সংশ্লিষ্ট সব মহলে।
গত অগাস্টে শেখ হাসিনার সরকারকে পতনের অভ্যুত্থানে জেন-জি প্রজন্ম তথা কিশোর-তরুণ প্রজন্মের ভূমিকাকে ভোটার হওয়ার বয়স ১৬ বছর করার পক্ষে যুক্তি হিসেবে খাঁড়া করেছে এনসিপি। দলটির মত, অভ্যুত্থানে জেন-জির ভূমিকা বিবেচনায় নিলে ভোটারের বয়স ১৮ বছরে সীমিত রাখা গ্রহণযোগ্য নয়।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সংস্কার সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক সারোয়ার তুষার বলেছেন, ‘আমরা মনে করছি, ভোট দেওয়ার বয়স ১৬ বছর হতে পারে। এর কারণ হচ্ছে, এবারের অভ্যুত্থানকে সারা বিশ্বের জেন-জির অভ্যুত্থান বলা হচ্ছে। গণ-অভ্যুত্থানে তাদের এত বড় একটা স্টেক তৈরি হলো, এরপর পরিবর্তিত যে বাংলাদেশ এবং আসন্ন যে নির্বাচন, সেই নির্বাচনে তারা মতামত দিতে পারবে না শুধু বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ার কারণে, এটা আমরা যৌক্তিক মনে করছি না।’
এনসিপির বহু আগেই অভ্যুত্থানের নেতাদের আহ্বানে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ভোটার করার প্রস্তাব দিয়েছেন। গত বছর ২৭ ডিসেম্বর এক আলোচনায় সভায় তিনি ভোটারের বয়স ১৭ বছর করার পক্ষে মত দেন।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি মনে করি, ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারণ হওয়া উচিত। নির্বাচন সংস্কার কমিশন কী সুপারিশ করবে, তা আমার জানা নেই। কিন্তু দেশের বেশির ভাগ মানুষ যদি কমিশনের সুপারিশ করা বয়স পছন্দ করে, ঐকমত্যে পৌঁছার জন্য আমি তা মেনে নেব।’
তবে ড. ইউনূস বা এনসিপির এই প্রস্তাব বাস্তবসম্মত নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ১৮ বছরের নিচে অর্থাৎ অপ্রাপ্তবয়স্কদের ভোটার ক্ষেত্রে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইনি বাধা এবং শিশু অধিকার লঙ্ঘনের কথা তুলে ধরেছেন আইনজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে তিনজন বিশেষজ্ঞ আজকের পত্রিকাকে তাঁদের অভিমত জানিয়েছেন।

এটা করতে হলে সাংবিধানিক পরিবর্তন ও ঐকমত্য লাগবে: ড. আব্দুল আলীম
১৬ বছর বয়সীদের ভোটার করতে হলে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। এটি করতে হলে সংসদ লাগবে। তার আগে ১৬ বছর বয়সীদের ভোটার করা হবে কি না সে বিষয়ে ঐকমত্য লাগবে বলে মনে করেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম।
এ বিষয়ে ড. মো. আব্দুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্লোভেনিয়ায় ১৬ বছর বয়সী যদি কেউ চাকরিজীবী হয়, তখন তাকে ভোট দিতে দেওয়া হয়। আর এস্তোনিয়ায় ১৬ বছর বয়সীদের শুধু স্থানীয় সরকার নির্বাচন ভোট দিতে দেওয়া হয়। আমি দু-একটি দেশের উদাহরণ জানি, যেখানে ভোটারের বয়স ১৭ আছে। এ রকম একটি দেশ হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। সেখানে বিয়ের বয়সও ১৭। এ ছাড়া বেশির ভাগ দেশে ভোটার হওয়ার বয়স ১৮। তারপরও যেহেতু ছাত্ররা আন্দোলনে নেতৃত্বের ভূমিকায় ছিলেন, তাই তাঁরা মনে করছেন ১৬-তেই ম্যাচিউরড হয়ে যাচ্ছেন।
সংবিধান নতুন করে লেখা বা সংশোধন সংসদ ছাড়া হবে না উল্লেখ করে আব্দুল আলীম বলেন, আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) অথবা সীমানা নির্ধারণ আইন সংশোধন অধ্যাদেশ দিয়েই করা যায়। কিন্তু সংবিধানে তো ভোটার (১৮ বছর) ও প্রার্থী (২৫ বছর) হওয়ার বয়স বলা আছে। কাজেই সংবিধানের কোনো জিনিস পরিবর্তন হলে সংসদ দরকার হয়।
ভোটারের বয়স ১৬ বছর করার বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? জানতে চাইলে আব্দুল আলীম বলেন, ‘আমি সরাসরি এ বিষয়ে কিছু বললাম না। তবে এটি অসম্ভব বলে কিছু না। কিন্তু এটি করতে হলে ঐকমত্য লাগবে। প্রার্থী হওয়ার বয়স ২৩-এর বিষয়ে এই নির্বাচন বিশেষজ্ঞের মত, ২৩, ২৪, ২৫ কাছাকাছি। আমার মনে হয়, যেটি আছে, ঠিক আছে।’

অযৌক্তিক প্রস্তাব, শিশুরা অধিকার লঙ্ঘন হবে: ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া
১৬ বছর বয়সীদের ভোটার করা হলে প্রটেকশনের ক্ষেত্রে শিশুরা বড় আকারে অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
এই আইনজীবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেখুন এগুলো শিশুতোষ আলাপ। শিশুরা সম্পত্তির মালিক হতে পারে, কিন্তু আইন অনুযায়ী সরাসরি বিক্রি বা অন্য কিছু করতে পারে না। অভিভাবকের মাধ্যমে করতে হয়। অভিভাবকেরাও নিজে থেকে কিছু করতে পারেন না, আদালত থেকে অনুমতি নিয়ে সেটি যদি শিশুর রক্ষণাবেক্ষণ বা বড় করার জন্য ভরণপোষণের জন্য প্রয়োজন হয় তবে করতে পারেন।
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, সম্পত্তির অধিকার থেকে শুরু করে কোনো কিছুতেই শিশুর নিজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার আইনগত স্বীকৃতি কোথাও নেই। সেখানে ভোট দেওয়ার মতো বিষয়ে শিশু কীভাবে দেবে? ২০১৩ সালের শিশু আইনে সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে ১৮ বছর পর্যন্ত শিশু। ১৮ বছর হওয়ার পর তার ভোট দেওয়ার অধিকারসহ অন্যান্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার তৈরি হচ্ছে। ১৬ বছর করার যে দাবি, এটি আসলে অর্বাচিন দাবি। এগুলো বিবেচনায় নেওয়ার মতো কোনো সুযোগ নেই।
ভোটারের বয়স কমাতে থাকলে শিশুর প্রটেকশনের জায়গাটা কমে আসবে উল্লেখ করে এই আইনজীবী বলেন, তারা বুঝছে না আইনের দিকে যে ঝুঁকিটা তৈরি হবে, সেটি সামাল দিতে পারবে না। শিশু আইনে তাদের যাতে জেলের মধ্যে না রাখে, তার জন্য শাস্তি না দিয়ে সংশোধন করার জন্য সংশোধনাগার তৈরি করা হয়েছে। শিশুর প্রটেকশনের জন্য জাতিসংঘের শিশুসনদে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছে। সেটিতে স্বাক্ষর করায় ১৯৭৯ সালের আইন পরিবর্তন করে ২০১৩ সালে নতুন আইন করা হয়েছে। সেখানে শিশুদের প্রটেকশনের ব্যাপার আছে। সেই প্রটেকশন সব উঠে যাবে যখন ভোটার হওয়ার বয়স কমিয়ে ১৬-তে নিয়ে আসা হবে।
জ্যোতির্ময় বড়ুয়ার মতে, ‘১৬ বছর বয়সে সবার মানসিক পরিপক্বতা এতটা কোনোভাবেই হয় না। আমাদের দেশের যে পরিবেশ-পরিস্থিতি তাতে সব ভালো কাজ নয়, সব খারাপ কাজের দায়ভার তার ঘাড়ে পড়বে। এখন আমরা বিতর্ক করতে চাই বা পারি যে এটি তো শিশু আদালতে যাবে, ওতো শিশু, সবকিছু বিবেচনায় ভোটারের বয়স ১৬ বছর করার দাবি আমি অযৌক্তিক বলে মনে করি।’
২৩ বছর বয়সে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাবের বিষয়ে এই আইনজীবী বলেন, ‘একটি ছেলে আসলে ২৩ বছর বয়সে পড়াশোনা করে মাত্র বের হয়। সে আসলে তখন রাজনীতির কী বোঝে? পরিপক্ব সিদ্ধান্ত নিতে গেলে তো একটি বয়সের প্রয়োজন হয়। অন্যরা যে পরামর্শই দিক, আমি মনে করি প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ২৫ বছর এবং ভোটার হওয়ার বয়স ১৮ বছর—এটিই ঠিক আছে।’

আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক প্রস্তাব: ড. সাব্বির আহমেদ
ভোটের মতো বিষয়ে ১৬ বছরের একটি ছেলে বা মেয়ে সঠিকভাবে মতামত দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ। তাঁর মতে, ১৬ বছরে ভোটার করার উদ্যোগটি সঠিক নয়। বরং ১৮ বছর বয়স যেটি আছে, সেটি ঠিকই আছে।
অধ্যাপক সাব্বির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আরেকটি হচ্ছে, ১৬ বছর আপনি কেমনে করেন? আন্তর্জাতিকভাবে শিশুদের সংজ্ঞা আমি যতটুকু জানি, সেটি ১৬ বছর কোনোভাবেই আসে না। সুতরাং এটি করলে দেশীয় আইনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইনকে সাংঘর্ষিক জায়গায় নিয়ে যাবেন। আমার কাছে যেটি বড় জিনিস মনে হয়, আমি মনে করি ভোটের মতো বিষয়ে একটি ১৬ বছরের ছেলে বা মেয়ে সঠিক মতামত দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। এটি আমি মনে করি। এই ধরনের সিদ্ধান্ত সঠিক নয়।’
প্রার্থী হওয়ার বয়স ২৩ বছর করার বিষয়ে এই অধ্যাপক বলেন, সংসদ সদস্য হওয়ার বয়স বর্তমানে ২৫ আছে। ২৩ বছর বয়সে একজনের পড়াশোনাই তো সঠিকভাবে শেষ হয় না অনার্স, মাস্টার্স। তো এটি করার মাধ্যমে তরুণদের পড়াশোনার জায়গা থেকে নিরুৎসাহিত করা হবে। ২৩ বছর বয়সের একজন যুবকের ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট বিচক্ষণতা থাকে বলে আমার মনে হয় না। তারপরও ভোটার হওয়ার বয়স ১৮ এবং প্রার্থী হওয়ার বয়স ২৫ যেটি আছে, সেটিই সঠিক।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে বয়স ১৬ বছর করার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রাজনৈতিক অঙ্গনে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। গতকাল রোববার সংস্কার প্রস্তাবের সুপারিশমালা কমিশনে জমা দিয়েছে দলটি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সংশ্লিষ্ট সব মহলে।
গত অগাস্টে শেখ হাসিনার সরকারকে পতনের অভ্যুত্থানে জেন-জি প্রজন্ম তথা কিশোর-তরুণ প্রজন্মের ভূমিকাকে ভোটার হওয়ার বয়স ১৬ বছর করার পক্ষে যুক্তি হিসেবে খাঁড়া করেছে এনসিপি। দলটির মত, অভ্যুত্থানে জেন-জির ভূমিকা বিবেচনায় নিলে ভোটারের বয়স ১৮ বছরে সীমিত রাখা গ্রহণযোগ্য নয়।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সংস্কার সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক সারোয়ার তুষার বলেছেন, ‘আমরা মনে করছি, ভোট দেওয়ার বয়স ১৬ বছর হতে পারে। এর কারণ হচ্ছে, এবারের অভ্যুত্থানকে সারা বিশ্বের জেন-জির অভ্যুত্থান বলা হচ্ছে। গণ-অভ্যুত্থানে তাদের এত বড় একটা স্টেক তৈরি হলো, এরপর পরিবর্তিত যে বাংলাদেশ এবং আসন্ন যে নির্বাচন, সেই নির্বাচনে তারা মতামত দিতে পারবে না শুধু বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ার কারণে, এটা আমরা যৌক্তিক মনে করছি না।’
এনসিপির বহু আগেই অভ্যুত্থানের নেতাদের আহ্বানে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ভোটার করার প্রস্তাব দিয়েছেন। গত বছর ২৭ ডিসেম্বর এক আলোচনায় সভায় তিনি ভোটারের বয়স ১৭ বছর করার পক্ষে মত দেন।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি মনে করি, ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারণ হওয়া উচিত। নির্বাচন সংস্কার কমিশন কী সুপারিশ করবে, তা আমার জানা নেই। কিন্তু দেশের বেশির ভাগ মানুষ যদি কমিশনের সুপারিশ করা বয়স পছন্দ করে, ঐকমত্যে পৌঁছার জন্য আমি তা মেনে নেব।’
তবে ড. ইউনূস বা এনসিপির এই প্রস্তাব বাস্তবসম্মত নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ১৮ বছরের নিচে অর্থাৎ অপ্রাপ্তবয়স্কদের ভোটার ক্ষেত্রে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইনি বাধা এবং শিশু অধিকার লঙ্ঘনের কথা তুলে ধরেছেন আইনজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে তিনজন বিশেষজ্ঞ আজকের পত্রিকাকে তাঁদের অভিমত জানিয়েছেন।

এটা করতে হলে সাংবিধানিক পরিবর্তন ও ঐকমত্য লাগবে: ড. আব্দুল আলীম
১৬ বছর বয়সীদের ভোটার করতে হলে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। এটি করতে হলে সংসদ লাগবে। তার আগে ১৬ বছর বয়সীদের ভোটার করা হবে কি না সে বিষয়ে ঐকমত্য লাগবে বলে মনে করেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম।
এ বিষয়ে ড. মো. আব্দুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্লোভেনিয়ায় ১৬ বছর বয়সী যদি কেউ চাকরিজীবী হয়, তখন তাকে ভোট দিতে দেওয়া হয়। আর এস্তোনিয়ায় ১৬ বছর বয়সীদের শুধু স্থানীয় সরকার নির্বাচন ভোট দিতে দেওয়া হয়। আমি দু-একটি দেশের উদাহরণ জানি, যেখানে ভোটারের বয়স ১৭ আছে। এ রকম একটি দেশ হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। সেখানে বিয়ের বয়সও ১৭। এ ছাড়া বেশির ভাগ দেশে ভোটার হওয়ার বয়স ১৮। তারপরও যেহেতু ছাত্ররা আন্দোলনে নেতৃত্বের ভূমিকায় ছিলেন, তাই তাঁরা মনে করছেন ১৬-তেই ম্যাচিউরড হয়ে যাচ্ছেন।
সংবিধান নতুন করে লেখা বা সংশোধন সংসদ ছাড়া হবে না উল্লেখ করে আব্দুল আলীম বলেন, আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) অথবা সীমানা নির্ধারণ আইন সংশোধন অধ্যাদেশ দিয়েই করা যায়। কিন্তু সংবিধানে তো ভোটার (১৮ বছর) ও প্রার্থী (২৫ বছর) হওয়ার বয়স বলা আছে। কাজেই সংবিধানের কোনো জিনিস পরিবর্তন হলে সংসদ দরকার হয়।
ভোটারের বয়স ১৬ বছর করার বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? জানতে চাইলে আব্দুল আলীম বলেন, ‘আমি সরাসরি এ বিষয়ে কিছু বললাম না। তবে এটি অসম্ভব বলে কিছু না। কিন্তু এটি করতে হলে ঐকমত্য লাগবে। প্রার্থী হওয়ার বয়স ২৩-এর বিষয়ে এই নির্বাচন বিশেষজ্ঞের মত, ২৩, ২৪, ২৫ কাছাকাছি। আমার মনে হয়, যেটি আছে, ঠিক আছে।’

অযৌক্তিক প্রস্তাব, শিশুরা অধিকার লঙ্ঘন হবে: ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া
১৬ বছর বয়সীদের ভোটার করা হলে প্রটেকশনের ক্ষেত্রে শিশুরা বড় আকারে অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
এই আইনজীবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেখুন এগুলো শিশুতোষ আলাপ। শিশুরা সম্পত্তির মালিক হতে পারে, কিন্তু আইন অনুযায়ী সরাসরি বিক্রি বা অন্য কিছু করতে পারে না। অভিভাবকের মাধ্যমে করতে হয়। অভিভাবকেরাও নিজে থেকে কিছু করতে পারেন না, আদালত থেকে অনুমতি নিয়ে সেটি যদি শিশুর রক্ষণাবেক্ষণ বা বড় করার জন্য ভরণপোষণের জন্য প্রয়োজন হয় তবে করতে পারেন।
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, সম্পত্তির অধিকার থেকে শুরু করে কোনো কিছুতেই শিশুর নিজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার আইনগত স্বীকৃতি কোথাও নেই। সেখানে ভোট দেওয়ার মতো বিষয়ে শিশু কীভাবে দেবে? ২০১৩ সালের শিশু আইনে সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে ১৮ বছর পর্যন্ত শিশু। ১৮ বছর হওয়ার পর তার ভোট দেওয়ার অধিকারসহ অন্যান্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার তৈরি হচ্ছে। ১৬ বছর করার যে দাবি, এটি আসলে অর্বাচিন দাবি। এগুলো বিবেচনায় নেওয়ার মতো কোনো সুযোগ নেই।
ভোটারের বয়স কমাতে থাকলে শিশুর প্রটেকশনের জায়গাটা কমে আসবে উল্লেখ করে এই আইনজীবী বলেন, তারা বুঝছে না আইনের দিকে যে ঝুঁকিটা তৈরি হবে, সেটি সামাল দিতে পারবে না। শিশু আইনে তাদের যাতে জেলের মধ্যে না রাখে, তার জন্য শাস্তি না দিয়ে সংশোধন করার জন্য সংশোধনাগার তৈরি করা হয়েছে। শিশুর প্রটেকশনের জন্য জাতিসংঘের শিশুসনদে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছে। সেটিতে স্বাক্ষর করায় ১৯৭৯ সালের আইন পরিবর্তন করে ২০১৩ সালে নতুন আইন করা হয়েছে। সেখানে শিশুদের প্রটেকশনের ব্যাপার আছে। সেই প্রটেকশন সব উঠে যাবে যখন ভোটার হওয়ার বয়স কমিয়ে ১৬-তে নিয়ে আসা হবে।
জ্যোতির্ময় বড়ুয়ার মতে, ‘১৬ বছর বয়সে সবার মানসিক পরিপক্বতা এতটা কোনোভাবেই হয় না। আমাদের দেশের যে পরিবেশ-পরিস্থিতি তাতে সব ভালো কাজ নয়, সব খারাপ কাজের দায়ভার তার ঘাড়ে পড়বে। এখন আমরা বিতর্ক করতে চাই বা পারি যে এটি তো শিশু আদালতে যাবে, ওতো শিশু, সবকিছু বিবেচনায় ভোটারের বয়স ১৬ বছর করার দাবি আমি অযৌক্তিক বলে মনে করি।’
২৩ বছর বয়সে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাবের বিষয়ে এই আইনজীবী বলেন, ‘একটি ছেলে আসলে ২৩ বছর বয়সে পড়াশোনা করে মাত্র বের হয়। সে আসলে তখন রাজনীতির কী বোঝে? পরিপক্ব সিদ্ধান্ত নিতে গেলে তো একটি বয়সের প্রয়োজন হয়। অন্যরা যে পরামর্শই দিক, আমি মনে করি প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ২৫ বছর এবং ভোটার হওয়ার বয়স ১৮ বছর—এটিই ঠিক আছে।’

আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক প্রস্তাব: ড. সাব্বির আহমেদ
ভোটের মতো বিষয়ে ১৬ বছরের একটি ছেলে বা মেয়ে সঠিকভাবে মতামত দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ। তাঁর মতে, ১৬ বছরে ভোটার করার উদ্যোগটি সঠিক নয়। বরং ১৮ বছর বয়স যেটি আছে, সেটি ঠিকই আছে।
অধ্যাপক সাব্বির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আরেকটি হচ্ছে, ১৬ বছর আপনি কেমনে করেন? আন্তর্জাতিকভাবে শিশুদের সংজ্ঞা আমি যতটুকু জানি, সেটি ১৬ বছর কোনোভাবেই আসে না। সুতরাং এটি করলে দেশীয় আইনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইনকে সাংঘর্ষিক জায়গায় নিয়ে যাবেন। আমার কাছে যেটি বড় জিনিস মনে হয়, আমি মনে করি ভোটের মতো বিষয়ে একটি ১৬ বছরের ছেলে বা মেয়ে সঠিক মতামত দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। এটি আমি মনে করি। এই ধরনের সিদ্ধান্ত সঠিক নয়।’
প্রার্থী হওয়ার বয়স ২৩ বছর করার বিষয়ে এই অধ্যাপক বলেন, সংসদ সদস্য হওয়ার বয়স বর্তমানে ২৫ আছে। ২৩ বছর বয়সে একজনের পড়াশোনাই তো সঠিকভাবে শেষ হয় না অনার্স, মাস্টার্স। তো এটি করার মাধ্যমে তরুণদের পড়াশোনার জায়গা থেকে নিরুৎসাহিত করা হবে। ২৩ বছর বয়সের একজন যুবকের ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট বিচক্ষণতা থাকে বলে আমার মনে হয় না। তারপরও ভোটার হওয়ার বয়স ১৮ এবং প্রার্থী হওয়ার বয়স ২৫ যেটি আছে, সেটিই সঠিক।

ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে বয়স ১৬ বছর করার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রাজনৈতিক অঙ্গনে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। গতকাল রোববার সংস্কার প্রস্তাবের সুপারিশমালা কমিশনে জমা দিয়েছে দলটি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সংশ্লিষ্ট সব মহলে।
গত অগাস্টে শেখ হাসিনার সরকারকে পতনের অভ্যুত্থানে জেন-জি প্রজন্ম তথা কিশোর-তরুণ প্রজন্মের ভূমিকাকে ভোটার হওয়ার বয়স ১৬ বছর করার পক্ষে যুক্তি হিসেবে খাঁড়া করেছে এনসিপি। দলটির মত, অভ্যুত্থানে জেন-জির ভূমিকা বিবেচনায় নিলে ভোটারের বয়স ১৮ বছরে সীমিত রাখা গ্রহণযোগ্য নয়।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সংস্কার সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক সারোয়ার তুষার বলেছেন, ‘আমরা মনে করছি, ভোট দেওয়ার বয়স ১৬ বছর হতে পারে। এর কারণ হচ্ছে, এবারের অভ্যুত্থানকে সারা বিশ্বের জেন-জির অভ্যুত্থান বলা হচ্ছে। গণ-অভ্যুত্থানে তাদের এত বড় একটা স্টেক তৈরি হলো, এরপর পরিবর্তিত যে বাংলাদেশ এবং আসন্ন যে নির্বাচন, সেই নির্বাচনে তারা মতামত দিতে পারবে না শুধু বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ার কারণে, এটা আমরা যৌক্তিক মনে করছি না।’
এনসিপির বহু আগেই অভ্যুত্থানের নেতাদের আহ্বানে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ভোটার করার প্রস্তাব দিয়েছেন। গত বছর ২৭ ডিসেম্বর এক আলোচনায় সভায় তিনি ভোটারের বয়স ১৭ বছর করার পক্ষে মত দেন।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি মনে করি, ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারণ হওয়া উচিত। নির্বাচন সংস্কার কমিশন কী সুপারিশ করবে, তা আমার জানা নেই। কিন্তু দেশের বেশির ভাগ মানুষ যদি কমিশনের সুপারিশ করা বয়স পছন্দ করে, ঐকমত্যে পৌঁছার জন্য আমি তা মেনে নেব।’
তবে ড. ইউনূস বা এনসিপির এই প্রস্তাব বাস্তবসম্মত নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ১৮ বছরের নিচে অর্থাৎ অপ্রাপ্তবয়স্কদের ভোটার ক্ষেত্রে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইনি বাধা এবং শিশু অধিকার লঙ্ঘনের কথা তুলে ধরেছেন আইনজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে তিনজন বিশেষজ্ঞ আজকের পত্রিকাকে তাঁদের অভিমত জানিয়েছেন।

এটা করতে হলে সাংবিধানিক পরিবর্তন ও ঐকমত্য লাগবে: ড. আব্দুল আলীম
১৬ বছর বয়সীদের ভোটার করতে হলে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। এটি করতে হলে সংসদ লাগবে। তার আগে ১৬ বছর বয়সীদের ভোটার করা হবে কি না সে বিষয়ে ঐকমত্য লাগবে বলে মনে করেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম।
এ বিষয়ে ড. মো. আব্দুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্লোভেনিয়ায় ১৬ বছর বয়সী যদি কেউ চাকরিজীবী হয়, তখন তাকে ভোট দিতে দেওয়া হয়। আর এস্তোনিয়ায় ১৬ বছর বয়সীদের শুধু স্থানীয় সরকার নির্বাচন ভোট দিতে দেওয়া হয়। আমি দু-একটি দেশের উদাহরণ জানি, যেখানে ভোটারের বয়স ১৭ আছে। এ রকম একটি দেশ হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। সেখানে বিয়ের বয়সও ১৭। এ ছাড়া বেশির ভাগ দেশে ভোটার হওয়ার বয়স ১৮। তারপরও যেহেতু ছাত্ররা আন্দোলনে নেতৃত্বের ভূমিকায় ছিলেন, তাই তাঁরা মনে করছেন ১৬-তেই ম্যাচিউরড হয়ে যাচ্ছেন।
সংবিধান নতুন করে লেখা বা সংশোধন সংসদ ছাড়া হবে না উল্লেখ করে আব্দুল আলীম বলেন, আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) অথবা সীমানা নির্ধারণ আইন সংশোধন অধ্যাদেশ দিয়েই করা যায়। কিন্তু সংবিধানে তো ভোটার (১৮ বছর) ও প্রার্থী (২৫ বছর) হওয়ার বয়স বলা আছে। কাজেই সংবিধানের কোনো জিনিস পরিবর্তন হলে সংসদ দরকার হয়।
ভোটারের বয়স ১৬ বছর করার বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? জানতে চাইলে আব্দুল আলীম বলেন, ‘আমি সরাসরি এ বিষয়ে কিছু বললাম না। তবে এটি অসম্ভব বলে কিছু না। কিন্তু এটি করতে হলে ঐকমত্য লাগবে। প্রার্থী হওয়ার বয়স ২৩-এর বিষয়ে এই নির্বাচন বিশেষজ্ঞের মত, ২৩, ২৪, ২৫ কাছাকাছি। আমার মনে হয়, যেটি আছে, ঠিক আছে।’

অযৌক্তিক প্রস্তাব, শিশুরা অধিকার লঙ্ঘন হবে: ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া
১৬ বছর বয়সীদের ভোটার করা হলে প্রটেকশনের ক্ষেত্রে শিশুরা বড় আকারে অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
এই আইনজীবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেখুন এগুলো শিশুতোষ আলাপ। শিশুরা সম্পত্তির মালিক হতে পারে, কিন্তু আইন অনুযায়ী সরাসরি বিক্রি বা অন্য কিছু করতে পারে না। অভিভাবকের মাধ্যমে করতে হয়। অভিভাবকেরাও নিজে থেকে কিছু করতে পারেন না, আদালত থেকে অনুমতি নিয়ে সেটি যদি শিশুর রক্ষণাবেক্ষণ বা বড় করার জন্য ভরণপোষণের জন্য প্রয়োজন হয় তবে করতে পারেন।
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, সম্পত্তির অধিকার থেকে শুরু করে কোনো কিছুতেই শিশুর নিজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার আইনগত স্বীকৃতি কোথাও নেই। সেখানে ভোট দেওয়ার মতো বিষয়ে শিশু কীভাবে দেবে? ২০১৩ সালের শিশু আইনে সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে ১৮ বছর পর্যন্ত শিশু। ১৮ বছর হওয়ার পর তার ভোট দেওয়ার অধিকারসহ অন্যান্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার তৈরি হচ্ছে। ১৬ বছর করার যে দাবি, এটি আসলে অর্বাচিন দাবি। এগুলো বিবেচনায় নেওয়ার মতো কোনো সুযোগ নেই।
ভোটারের বয়স কমাতে থাকলে শিশুর প্রটেকশনের জায়গাটা কমে আসবে উল্লেখ করে এই আইনজীবী বলেন, তারা বুঝছে না আইনের দিকে যে ঝুঁকিটা তৈরি হবে, সেটি সামাল দিতে পারবে না। শিশু আইনে তাদের যাতে জেলের মধ্যে না রাখে, তার জন্য শাস্তি না দিয়ে সংশোধন করার জন্য সংশোধনাগার তৈরি করা হয়েছে। শিশুর প্রটেকশনের জন্য জাতিসংঘের শিশুসনদে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছে। সেটিতে স্বাক্ষর করায় ১৯৭৯ সালের আইন পরিবর্তন করে ২০১৩ সালে নতুন আইন করা হয়েছে। সেখানে শিশুদের প্রটেকশনের ব্যাপার আছে। সেই প্রটেকশন সব উঠে যাবে যখন ভোটার হওয়ার বয়স কমিয়ে ১৬-তে নিয়ে আসা হবে।
জ্যোতির্ময় বড়ুয়ার মতে, ‘১৬ বছর বয়সে সবার মানসিক পরিপক্বতা এতটা কোনোভাবেই হয় না। আমাদের দেশের যে পরিবেশ-পরিস্থিতি তাতে সব ভালো কাজ নয়, সব খারাপ কাজের দায়ভার তার ঘাড়ে পড়বে। এখন আমরা বিতর্ক করতে চাই বা পারি যে এটি তো শিশু আদালতে যাবে, ওতো শিশু, সবকিছু বিবেচনায় ভোটারের বয়স ১৬ বছর করার দাবি আমি অযৌক্তিক বলে মনে করি।’
২৩ বছর বয়সে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাবের বিষয়ে এই আইনজীবী বলেন, ‘একটি ছেলে আসলে ২৩ বছর বয়সে পড়াশোনা করে মাত্র বের হয়। সে আসলে তখন রাজনীতির কী বোঝে? পরিপক্ব সিদ্ধান্ত নিতে গেলে তো একটি বয়সের প্রয়োজন হয়। অন্যরা যে পরামর্শই দিক, আমি মনে করি প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ২৫ বছর এবং ভোটার হওয়ার বয়স ১৮ বছর—এটিই ঠিক আছে।’

আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক প্রস্তাব: ড. সাব্বির আহমেদ
ভোটের মতো বিষয়ে ১৬ বছরের একটি ছেলে বা মেয়ে সঠিকভাবে মতামত দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ। তাঁর মতে, ১৬ বছরে ভোটার করার উদ্যোগটি সঠিক নয়। বরং ১৮ বছর বয়স যেটি আছে, সেটি ঠিকই আছে।
অধ্যাপক সাব্বির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আরেকটি হচ্ছে, ১৬ বছর আপনি কেমনে করেন? আন্তর্জাতিকভাবে শিশুদের সংজ্ঞা আমি যতটুকু জানি, সেটি ১৬ বছর কোনোভাবেই আসে না। সুতরাং এটি করলে দেশীয় আইনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইনকে সাংঘর্ষিক জায়গায় নিয়ে যাবেন। আমার কাছে যেটি বড় জিনিস মনে হয়, আমি মনে করি ভোটের মতো বিষয়ে একটি ১৬ বছরের ছেলে বা মেয়ে সঠিক মতামত দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। এটি আমি মনে করি। এই ধরনের সিদ্ধান্ত সঠিক নয়।’
প্রার্থী হওয়ার বয়স ২৩ বছর করার বিষয়ে এই অধ্যাপক বলেন, সংসদ সদস্য হওয়ার বয়স বর্তমানে ২৫ আছে। ২৩ বছর বয়সে একজনের পড়াশোনাই তো সঠিকভাবে শেষ হয় না অনার্স, মাস্টার্স। তো এটি করার মাধ্যমে তরুণদের পড়াশোনার জায়গা থেকে নিরুৎসাহিত করা হবে। ২৩ বছর বয়সের একজন যুবকের ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট বিচক্ষণতা থাকে বলে আমার মনে হয় না। তারপরও ভোটার হওয়ার বয়স ১৮ এবং প্রার্থী হওয়ার বয়স ২৫ যেটি আছে, সেটিই সঠিক।

রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
১৭ মিনিট আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
১১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা রোধে বেতন বৃদ্ধির যৌক্তিক দাবি পে কমিশনের কাছে উত্থাপন করা হয়েছে।
বাহিনীর বিবৃতি অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর রাতে নাইট শিফটে (রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৩০ মিনিট) দায়িত্ব পালনকালে অভিযুক্ত অঙ্গীভূত আনসার সদস্য জেনারুল ইসলাম লোভের বশবর্তী হয়ে একটি অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। তিনি ব্যক্তিগত প্রয়োজনের কথা বলে পোড়া ভবনের ভেতরে ভস্মীভূত দ্রব্যাদি থেকে কিছু বাটন ফোন লুকিয়ে বের করার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁকে ঘটনাস্থলেই হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং বাহিনীর জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখতে, সংশ্লিষ্ট আনসার সদস্যকে সঙ্গে সঙ্গে চাকরি থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। উপপরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এত দ্রুততম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাহিনীর সদস্যদের দীর্ঘদিনের অনৈতিক চর্চার ক্ষেত্রগুলো হ্রাস করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলো।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাহিনী মনে করে, রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে স্বল্প বেতনের মাধ্যমে দিবারাত্রি ডিউটি শেষে জীবিকার মৌলিক প্রয়োজনগুলো মেটানো অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের মনস্তাত্ত্বিক প্রেষণার অন্যতম নিয়ামক। এ কারণেই বাহিনীর পক্ষ থেকে সদস্যদের নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে মনস্তাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে বাহিনীর প্রধান পে কমিশন চেয়ারম্যানের কাছে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের যৌক্তিক বেতন বৃদ্ধির আবেদন করেছেন। বাহিনীর প্রত্যাশা, বেতন বৃদ্ধি হলে সংবেদনশীল ও ঝুঁকিপূর্ণ ডিউটির ক্ষেত্রে সদস্যরা আরও বেশি নিবেদিত ও নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে অনুপ্রাণিত হবেন।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কেপিআই এলাকায় দক্ষতা, সততা ও পেশাদারির সঙ্গে দীর্ঘকাল ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, দ্রুততর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি সদস্যদের জন্য সার্বিক কল্যাণধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপে সদস্যদের সম্পৃক্ততা ধীরে ধীরে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুনেও অক্ষত স্ট্রংরুমের ভল্ট থেকে চুরি হয়েছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই কমপ্লেক্সের স্ট্রংরুম গত রোববার দুপুরে নিয়মিত পরিদর্শনের সময় ভল্ট থেকে অস্ত্রগুলো খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।

রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা রোধে বেতন বৃদ্ধির যৌক্তিক দাবি পে কমিশনের কাছে উত্থাপন করা হয়েছে।
বাহিনীর বিবৃতি অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর রাতে নাইট শিফটে (রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৩০ মিনিট) দায়িত্ব পালনকালে অভিযুক্ত অঙ্গীভূত আনসার সদস্য জেনারুল ইসলাম লোভের বশবর্তী হয়ে একটি অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। তিনি ব্যক্তিগত প্রয়োজনের কথা বলে পোড়া ভবনের ভেতরে ভস্মীভূত দ্রব্যাদি থেকে কিছু বাটন ফোন লুকিয়ে বের করার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁকে ঘটনাস্থলেই হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং বাহিনীর জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখতে, সংশ্লিষ্ট আনসার সদস্যকে সঙ্গে সঙ্গে চাকরি থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। উপপরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এত দ্রুততম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাহিনীর সদস্যদের দীর্ঘদিনের অনৈতিক চর্চার ক্ষেত্রগুলো হ্রাস করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলো।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাহিনী মনে করে, রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে স্বল্প বেতনের মাধ্যমে দিবারাত্রি ডিউটি শেষে জীবিকার মৌলিক প্রয়োজনগুলো মেটানো অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের মনস্তাত্ত্বিক প্রেষণার অন্যতম নিয়ামক। এ কারণেই বাহিনীর পক্ষ থেকে সদস্যদের নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে মনস্তাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে বাহিনীর প্রধান পে কমিশন চেয়ারম্যানের কাছে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের যৌক্তিক বেতন বৃদ্ধির আবেদন করেছেন। বাহিনীর প্রত্যাশা, বেতন বৃদ্ধি হলে সংবেদনশীল ও ঝুঁকিপূর্ণ ডিউটির ক্ষেত্রে সদস্যরা আরও বেশি নিবেদিত ও নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে অনুপ্রাণিত হবেন।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কেপিআই এলাকায় দক্ষতা, সততা ও পেশাদারির সঙ্গে দীর্ঘকাল ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, দ্রুততর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি সদস্যদের জন্য সার্বিক কল্যাণধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপে সদস্যদের সম্পৃক্ততা ধীরে ধীরে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুনেও অক্ষত স্ট্রংরুমের ভল্ট থেকে চুরি হয়েছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই কমপ্লেক্সের স্ট্রংরুম গত রোববার দুপুরে নিয়মিত পরিদর্শনের সময় ভল্ট থেকে অস্ত্রগুলো খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।

ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে বয়স ১৬ বছর করার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রাজনৈতিক অঙ্গনে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে তিনজন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন তাঁদের অভিমত।
২৪ মার্চ ২০২৫
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
১১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
১৪ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
রাইডশেয়ারিং সেবার নীতিমালা-২০১৭ সংশোধন করে বিআরটিএ ২ নভেম্বর প্রস্তাবটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আগে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস গাইডলাইন-২০১০ অনুযায়ী রাইড শেয়ারিংয়ের ভাড়া নির্ধারিত থাকলেও তা নতুনভাবে নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত আগস্টে গঠিত বিআরটিএর কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই প্রস্তাব করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিআরটিএর প্রস্তাবিত ভাড়ার কাঠামো অনুযায়ী মাইক্রোবাস, মোটরকার/জিপ, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ২ কিলোমিটারের মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। মাইক্রোবাসের ২ কিলোমিটারের সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ১১০ টাকা, মোটরকার ও জিপের ১১০ টাকা, অটোরিকশার ৭০ টাকা এবং মোটরসাইকেলের ৬৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি যানের প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়ার সঙ্গে ২০ টাকা বুকিং ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৮ টাকা। ভ্রমণ চলাকালে প্রতি মিনিটের ভাড়া ২ টাকা। মোটরকার ও জিপে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। অটোরিকশার প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারে ১৮ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। মোটরসাইকেলের প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ১ টাকা। মোটরসাইকেলের আগে প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়া ছিল ৮৫ টাকা।
রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর কমিশনের হারও কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিআরটিএ। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা ভাড়ার সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ কমিশন নিতে পারবে। আগে এই হার ছিল ৩০ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাইড শেয়ারিংয়ের নানা বিষয়ে একটি আবেদন করেছিলেন রাইডরা। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পরে এটা নিয়ে আমাদের একটি কমিটি হয়েছিল। ওই কমিটি রাইডশেয়ারিংয়ের নানা বিষয় পর্যালোচনা করেছে।’
বিআরটিএ সূত্র জানায়, রাইডশেয়ারিং সেবার প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী যাত্রী বা চালক কেউ ট্রিপ বাতিল করলে নির্দিষ্ট সময়ের পর বাতিল চার্জ প্রযোজ্য হবে। যাত্রী অনুরোধ পাঠানোর পর চালক গ্রহণ করে যাত্রীর অভিমুখে রওনা হওয়ার পর ৩ মিনিটের মধ্যে ট্রিপ বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। তবে ওই সময়ের পর বাতিল করলে সম্ভাব্য ভাড়ার ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা (যেটি কম) ক্যানসেলেশন চার্জ হিসেবে নেওয়া হবে, যা চালক ও রাইডশেয়ারিং কোম্পানি সমানভাবে ভাগ করবে।
চালকও অনুরোধ গ্রহণের পর ৩ মিনিটের মধ্যে বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। কিন্তু এর পর বাতিল করলে তাঁর কাছ থেকেও একই হারে চার্জ কাটা হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাইড শেয়ারিংয়ে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ও কমিশন কমানো যাত্রীদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে। তবে বাস্তবায়ন ও তদারকি নিশ্চিত করাই মূল চ্যালেঞ্জ। এসব নিয়ম শুধু কাগজে নয়, বাস্তবেও কার্যকর করতে হবে।

রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
রাইডশেয়ারিং সেবার নীতিমালা-২০১৭ সংশোধন করে বিআরটিএ ২ নভেম্বর প্রস্তাবটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আগে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস গাইডলাইন-২০১০ অনুযায়ী রাইড শেয়ারিংয়ের ভাড়া নির্ধারিত থাকলেও তা নতুনভাবে নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত আগস্টে গঠিত বিআরটিএর কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই প্রস্তাব করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিআরটিএর প্রস্তাবিত ভাড়ার কাঠামো অনুযায়ী মাইক্রোবাস, মোটরকার/জিপ, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ২ কিলোমিটারের মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। মাইক্রোবাসের ২ কিলোমিটারের সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ১১০ টাকা, মোটরকার ও জিপের ১১০ টাকা, অটোরিকশার ৭০ টাকা এবং মোটরসাইকেলের ৬৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি যানের প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়ার সঙ্গে ২০ টাকা বুকিং ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৮ টাকা। ভ্রমণ চলাকালে প্রতি মিনিটের ভাড়া ২ টাকা। মোটরকার ও জিপে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। অটোরিকশার প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারে ১৮ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। মোটরসাইকেলের প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ১ টাকা। মোটরসাইকেলের আগে প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়া ছিল ৮৫ টাকা।
রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর কমিশনের হারও কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিআরটিএ। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা ভাড়ার সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ কমিশন নিতে পারবে। আগে এই হার ছিল ৩০ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাইড শেয়ারিংয়ের নানা বিষয়ে একটি আবেদন করেছিলেন রাইডরা। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পরে এটা নিয়ে আমাদের একটি কমিটি হয়েছিল। ওই কমিটি রাইডশেয়ারিংয়ের নানা বিষয় পর্যালোচনা করেছে।’
বিআরটিএ সূত্র জানায়, রাইডশেয়ারিং সেবার প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী যাত্রী বা চালক কেউ ট্রিপ বাতিল করলে নির্দিষ্ট সময়ের পর বাতিল চার্জ প্রযোজ্য হবে। যাত্রী অনুরোধ পাঠানোর পর চালক গ্রহণ করে যাত্রীর অভিমুখে রওনা হওয়ার পর ৩ মিনিটের মধ্যে ট্রিপ বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। তবে ওই সময়ের পর বাতিল করলে সম্ভাব্য ভাড়ার ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা (যেটি কম) ক্যানসেলেশন চার্জ হিসেবে নেওয়া হবে, যা চালক ও রাইডশেয়ারিং কোম্পানি সমানভাবে ভাগ করবে।
চালকও অনুরোধ গ্রহণের পর ৩ মিনিটের মধ্যে বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। কিন্তু এর পর বাতিল করলে তাঁর কাছ থেকেও একই হারে চার্জ কাটা হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাইড শেয়ারিংয়ে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ও কমিশন কমানো যাত্রীদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে। তবে বাস্তবায়ন ও তদারকি নিশ্চিত করাই মূল চ্যালেঞ্জ। এসব নিয়ম শুধু কাগজে নয়, বাস্তবেও কার্যকর করতে হবে।

ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে বয়স ১৬ বছর করার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রাজনৈতিক অঙ্গনে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে তিনজন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন তাঁদের অভিমত।
২৪ মার্চ ২০২৫
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
১৭ মিনিট আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘অতি সম্প্রতি মহলবিশেষের পক্ষ থেকে সংঘবদ্ধ অপপ্রচারে বলা হচ্ছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আপ্যায়ন বাবদ ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। এটি একটি পরিকল্পিত প্রপাগান্ডা, যা প্রচারকারীরা কমিশনের কোনো ভাষ্য বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই চালাচ্ছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২০২৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরু করে। ২০২৪-২৫ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কমিশনের মোট বাজেট ছিল ৭ কোটি ২৩ লাখ ৩১ হাজার ২৬ টাকা। এর মধ্যে ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার ১২৬ টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বাজেটের মধ্যে আপ্যায়ন খাতে বরাদ্দ ছিল ৬৩ লাখ টাকা, যার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮৫ টাকা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, আপ্যায়ন খাতের অধিকাংশ ব্যয় হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও কমিশনের বিভিন্ন বৈঠক চলাকালে। এসব বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি, তাঁদের সহযোগী, সাংবাদিক, কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
প্রথম পর্যায়ে গত ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৪৪টি বৈঠক হয়, যেখানে ব্যয় হয় ৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ২৩টি বৈঠক হয়। এতে মোট ব্যয় হয় ২৮ লাখ ৮৩ হাজার ১০০ টাকা। এই বৈঠকগুলোর বেশির ভাগই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলেছে। ফলে নাশতার পাশাপাশি দুপুর ও রাতের খাবারেরও ব্যবস্থা করতে হয়েছে। গড়ে প্রতিদিনের ব্যয় ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকার কম।
তৃতীয় পর্যায়ে সাতটি বৈঠকে ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন, এতে ব্যয় হয় ৭ লাখ ৮ হাজার ৬০০ টাকা।
এ ছাড়া কমিশনের অভ্যন্তরীণ সভা হয়েছে ৫০টি, যার অনেকগুলোই দিনব্যাপী বা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনুষ্ঠিত হয়। এই বাবদ মোট ব্যয় হয় ১ লাখ ৫ হাজার ৫২০ টাকা।
রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক, নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠক এবং তিনটি সংবাদ সম্মেলনসহ মোট ১৩টি সভায় ব্যয় হয় ২ লাখ ৩৪০ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ১৩টি, যেখানে আপ্যায়ন বাবদ ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ৯৬০ টাকা। প্রেস উইং জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা এসব বৈঠকের জন্য কোনো ভাতা বা সম্মানী নেননি।
এ ছাড়া গত ৯ মাসে অতিথি আপ্যায়নের জন্য ব্যয় হয়েছে ২ লাখ টাকা। এসব অতিথির মধ্যে ছিলেন বিদেশি কূটনীতিক, দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতা, সম্পাদক, সাংবাদিক ও অন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘উল্লিখিত বিস্তারিত হিসাব থেকে এটি স্পষ্ট যে, ৮৩ কোটি টাকার দাবি শুধু মিথ্যাচার নয়, বরং ঐকমত্য কমিশন ও তার কার্যক্রমকে হেয় করার একটি সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিত অপপ্রয়াস।’
কমিশনের দাবি, তারা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছে, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত দৈনন্দিন সংবাদ থেকেই স্পষ্ট। সাংবাদিকেরা নির্বিঘ্নে কমিশন কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পেরেছেন, কমিশনের সহসভাপতি ও সদস্যরা নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমকে তথ্য দিয়েছেন এবং প্রেস ব্রিফিং করেছেন।
এ ছাড়া, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনাগুলো সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছে।
কমিশন আশা প্রকাশ করেছে, যে অসাধু মহল এই প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে, তারা অবিলম্বে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কমিশন তার দায়িত্ব পালনে দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের সহযোগিতা পেয়েছে এবং আশা করে গণমাধ্যমগুলো ভবিষ্যতেও সঠিক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা করবে।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘অতি সম্প্রতি মহলবিশেষের পক্ষ থেকে সংঘবদ্ধ অপপ্রচারে বলা হচ্ছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আপ্যায়ন বাবদ ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। এটি একটি পরিকল্পিত প্রপাগান্ডা, যা প্রচারকারীরা কমিশনের কোনো ভাষ্য বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই চালাচ্ছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২০২৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরু করে। ২০২৪-২৫ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কমিশনের মোট বাজেট ছিল ৭ কোটি ২৩ লাখ ৩১ হাজার ২৬ টাকা। এর মধ্যে ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার ১২৬ টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বাজেটের মধ্যে আপ্যায়ন খাতে বরাদ্দ ছিল ৬৩ লাখ টাকা, যার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮৫ টাকা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, আপ্যায়ন খাতের অধিকাংশ ব্যয় হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও কমিশনের বিভিন্ন বৈঠক চলাকালে। এসব বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি, তাঁদের সহযোগী, সাংবাদিক, কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
প্রথম পর্যায়ে গত ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৪৪টি বৈঠক হয়, যেখানে ব্যয় হয় ৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ২৩টি বৈঠক হয়। এতে মোট ব্যয় হয় ২৮ লাখ ৮৩ হাজার ১০০ টাকা। এই বৈঠকগুলোর বেশির ভাগই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলেছে। ফলে নাশতার পাশাপাশি দুপুর ও রাতের খাবারেরও ব্যবস্থা করতে হয়েছে। গড়ে প্রতিদিনের ব্যয় ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকার কম।
তৃতীয় পর্যায়ে সাতটি বৈঠকে ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন, এতে ব্যয় হয় ৭ লাখ ৮ হাজার ৬০০ টাকা।
এ ছাড়া কমিশনের অভ্যন্তরীণ সভা হয়েছে ৫০টি, যার অনেকগুলোই দিনব্যাপী বা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনুষ্ঠিত হয়। এই বাবদ মোট ব্যয় হয় ১ লাখ ৫ হাজার ৫২০ টাকা।
রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক, নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠক এবং তিনটি সংবাদ সম্মেলনসহ মোট ১৩টি সভায় ব্যয় হয় ২ লাখ ৩৪০ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ১৩টি, যেখানে আপ্যায়ন বাবদ ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ৯৬০ টাকা। প্রেস উইং জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা এসব বৈঠকের জন্য কোনো ভাতা বা সম্মানী নেননি।
এ ছাড়া গত ৯ মাসে অতিথি আপ্যায়নের জন্য ব্যয় হয়েছে ২ লাখ টাকা। এসব অতিথির মধ্যে ছিলেন বিদেশি কূটনীতিক, দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতা, সম্পাদক, সাংবাদিক ও অন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘উল্লিখিত বিস্তারিত হিসাব থেকে এটি স্পষ্ট যে, ৮৩ কোটি টাকার দাবি শুধু মিথ্যাচার নয়, বরং ঐকমত্য কমিশন ও তার কার্যক্রমকে হেয় করার একটি সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিত অপপ্রয়াস।’
কমিশনের দাবি, তারা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছে, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত দৈনন্দিন সংবাদ থেকেই স্পষ্ট। সাংবাদিকেরা নির্বিঘ্নে কমিশন কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পেরেছেন, কমিশনের সহসভাপতি ও সদস্যরা নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমকে তথ্য দিয়েছেন এবং প্রেস ব্রিফিং করেছেন।
এ ছাড়া, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনাগুলো সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছে।
কমিশন আশা প্রকাশ করেছে, যে অসাধু মহল এই প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে, তারা অবিলম্বে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কমিশন তার দায়িত্ব পালনে দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের সহযোগিতা পেয়েছে এবং আশা করে গণমাধ্যমগুলো ভবিষ্যতেও সঠিক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা করবে।’

ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে বয়স ১৬ বছর করার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রাজনৈতিক অঙ্গনে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে তিনজন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন তাঁদের অভিমত।
২৪ মার্চ ২০২৫
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
১৭ মিনিট আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
১১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক তাঁদের ব্যবস্থাপত্রে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) অনুমোদিত ও নিবন্ধিত নয় এমন ওষুধ লিখে আসছেন। এতে রোগীদের স্বাস্থ্য বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বিষয়টি তদন্তে মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবু হেনা চৌধুরীকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন ফার্মাকোলজি বিভাগের সভাপতি ডা. ইলোরা শারমিন এবং উপ-রেজিস্ট্রার (আইন) ডা. আবু হেনা হেলাল উদ্দিন আহমেদ। সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক (আইন) অ্যাডভোকেট তানিয়া আক্তার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএমইউর চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ওষুধ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। কোনো ওষুধ, ভিটামিন, মিনারেল বা সাপ্লিমেন্টের নাম প্রেসক্রিপশনে লেখা হলে তা আইনভঙ্গের শামিল কি না এবং হলে কী ধরনের আইনি প্রতিকার বা শাস্তি প্রযোজ্য হতে পারে, তা নির্ধারণ করে প্রচলিত আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে কমিটি। এ ক্ষেত্রে প্রামাণ্য আইন হিসেবে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩’ এবং ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’ উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে—যেসব ভিটামিন, মিনারেল সাপ্লিমেন্ট ও হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট বিদেশ থেকে আমদানি হয়, সেগুলো ডিজিডিএ ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কীভাবে যাচাই-বাছাই করে, কিংবা এসব পণ্য ব্যবহারের অনুমোদন দেয় কি না, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ডিজিডিএর ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা সহজেই পাওয়া যায়। এই বিষয়ে চিকিৎসকদের সচেতন করতে আইটি সেকশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রতিকার হিসেবে বিএমইউর চিকিৎসকেরা যেন অননুমোদিত ওষুধ প্রেসক্রিপশনে না লেখেন সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট ছাপানো এবং সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অনিবন্ধিত ওষুধ লিখলে সম্ভাব্য শাস্তির বিষয়েও চিকিৎসকদের অবহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ, বহির্বিভাগ এবং প্রবেশদ্বারগুলোতে বড় সাইনবোর্ড স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি পাঠানো এবং ডিজিডিএ ও বিএসটিআই কর্তৃক নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা বিভাগ ও বহির্বিভাগে সরবরাহের সুপারিশও করা হয়েছে।

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক তাঁদের ব্যবস্থাপত্রে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) অনুমোদিত ও নিবন্ধিত নয় এমন ওষুধ লিখে আসছেন। এতে রোগীদের স্বাস্থ্য বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বিষয়টি তদন্তে মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবু হেনা চৌধুরীকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন ফার্মাকোলজি বিভাগের সভাপতি ডা. ইলোরা শারমিন এবং উপ-রেজিস্ট্রার (আইন) ডা. আবু হেনা হেলাল উদ্দিন আহমেদ। সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক (আইন) অ্যাডভোকেট তানিয়া আক্তার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএমইউর চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ওষুধ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। কোনো ওষুধ, ভিটামিন, মিনারেল বা সাপ্লিমেন্টের নাম প্রেসক্রিপশনে লেখা হলে তা আইনভঙ্গের শামিল কি না এবং হলে কী ধরনের আইনি প্রতিকার বা শাস্তি প্রযোজ্য হতে পারে, তা নির্ধারণ করে প্রচলিত আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে কমিটি। এ ক্ষেত্রে প্রামাণ্য আইন হিসেবে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩’ এবং ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’ উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে—যেসব ভিটামিন, মিনারেল সাপ্লিমেন্ট ও হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট বিদেশ থেকে আমদানি হয়, সেগুলো ডিজিডিএ ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কীভাবে যাচাই-বাছাই করে, কিংবা এসব পণ্য ব্যবহারের অনুমোদন দেয় কি না, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ডিজিডিএর ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা সহজেই পাওয়া যায়। এই বিষয়ে চিকিৎসকদের সচেতন করতে আইটি সেকশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রতিকার হিসেবে বিএমইউর চিকিৎসকেরা যেন অননুমোদিত ওষুধ প্রেসক্রিপশনে না লেখেন সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট ছাপানো এবং সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অনিবন্ধিত ওষুধ লিখলে সম্ভাব্য শাস্তির বিষয়েও চিকিৎসকদের অবহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ, বহির্বিভাগ এবং প্রবেশদ্বারগুলোতে বড় সাইনবোর্ড স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি পাঠানো এবং ডিজিডিএ ও বিএসটিআই কর্তৃক নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা বিভাগ ও বহির্বিভাগে সরবরাহের সুপারিশও করা হয়েছে।

ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে বয়স ১৬ বছর করার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রাজনৈতিক অঙ্গনে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে তিনজন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন তাঁদের অভিমত।
২৪ মার্চ ২০২৫
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
১৭ মিনিট আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
১১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগে