আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ এবং তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় ফজরের পর তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর সংক্রমণ, নিউমোনিয়া এবং কিডনি, লিভার, আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসের মতো পুরোনো নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। গত ২৩ নভেম্বর রাতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার পারিবারিক নাম খালেদা খানম পুতুল। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিন বোন এবং দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়। তাঁর দাদা হাজী সালামত আলী, নানা জলপাইগুড়ির তোয়াবুর রহমান। বাবা ইস্কান্দার মজুমদার এবং মা বেগম তৈয়বা মজুমদার। দিনাজপুর শহরের মুদিপাড়ায় তাঁর জন্ম। আদি পৈতৃক নিবাস ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মজুমদার বাড়ি।
খালেদা জিয়া পাঁচ বছর বয়সে দিনাজপুরের মিশন স্কুলে ভর্তি হন। এরপর তিনি দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৯৬০ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। একই বছর তিনি জিয়াউর রহমানকে বিয়ে করেন। এর পর থেকে তিনি খালেদা জিয়া বা বেগম খালেদা জিয়া নামে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি স্বামীর সঙ্গে পশ্চিম পাকিস্তানে বসবাস শুরুর আগে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত দিনাজপুরের সুরেন্দ্রনাথ কলেজে পড়াশোনা করেন।
১৯৬০ সালের আগস্টে যখন জিয়াউর রহমানের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বিয়ে হয়, তখন জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন। ডিএফআইয়ের কর্মকর্তা হিসেবে তখন দিনাজপুরে কর্মরত ছিলেন। খালেদা জিয়ার এক ভাই মেজর (অব.) সাঈদ এস্কান্দার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল থেকে ফেনী-১ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন।
খালেদা জিয়ার দুই ছেলের মধ্যে বড় তারেক রহমান বর্তমানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তাঁর কনিষ্ঠ ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি মালায়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
৩০ মে, ১৯৮১ সাল। যখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হলো, তখন খালেদা জিয়া ছিলেন নিতান্তই একজন গৃহবধূ। দুই শিশুসন্তান তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানকে নিয়ে ঢাকা সেনানিবাসে কাটছিল তাঁর সাধারণ জীবন। রাজনীতি, ক্ষমতা বা দলের নেতৃত্ব—কোনো কিছুর প্রতিই তাঁর কোনো আগ্রহ ছিল না। কিন্তু ভাগ্য তাঁকে টেনে নিয়ে গেল এক কঠিন রাজনৈতিক পথে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে।
জিয়াউর রহমানের আকস্মিক মৃত্যুতে তাঁর প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি তখন বিপর্যস্ত এবং নেতৃত্বশূন্য। দলের নেতারা ছিলেন দ্বিধাগ্রস্ত, আর তাঁদের মধ্যে কোন্দলও ছিল প্রবল। এই পরিস্থিতিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আব্দুস সাত্তার অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রায় ৭৮ বছর বয়সী এবং রাজনৈতিকভাবে দুর্বল হিসেবে বিবেচিত আব্দুস সাত্তারকে সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পছন্দ করতেন। কারণ, তাঁরা জানতেন, তাঁর দুর্বল চিত্তের কারণে সামরিক বাহিনীর জন্য ক্ষমতা দখল করা সহজ হবে।

বিএনপিতে যখন কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব ঠিক করার আলোচনা চলছিল, ঠিক তখনই সামরিক ও শাসকচক্রের মনে সবচেয়ে বড় ভয় তৈরি হয় খালেদা জিয়াকে নিয়ে। কারণ, দলের একটি অংশ মনে করত, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার জন্য খালেদা জিয়াই ছিলেন সে সময়ের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি। প্রয়াত বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ তাঁর 'চলমান ইতিহাস: জীবনের কিছু সময় কিছু কথা' বইতে লিখেছেন, ‘বেগম জিয়া যদি প্রতিদ্বন্দ্বী হতে চাইতেন, তাহলে অন্য কারো প্রার্থী হওয়ার তখন আর প্রশ্ন উঠতো না।’ কিন্তু সেনাপ্রধান জেনারেল এইচ এম এরশাদের ইচ্ছানুযায়ী তড়িঘড়ি করে বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়।
জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের মানসিক ধকল এবং পারিবারিক অনীহার কারণে খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে আসার কোনো আগ্রহ ছিল না। তিনি হয়তো ভাবতে শুরু করেছিলেন, রাজনীতি মানুষকে করুণ পরিণতির দিকে ঠেলে দেয়। তাঁর বাবাও মেয়ের রাজনীতিতে আসার বিষয়ে আগ্রহী ছিলেন না।
তবে বিচারপতি সাত্তারের বার্ধক্য এবং দল পরিচালনায় অসন্তোষের কারণে তৎকালীন বিএনপির একাংশ তাঁকে রাজনীতিতে আনার পরিকল্পনা করে। দলের নেতা-কর্মীরা দিনের পর দিন তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে তিনি দলের হাল না ধরলে বিএনপি টিকবে না। দলীয় ঐক্যের জন্য 'আপস ফর্মুলা' হিসেবে তাঁকে বেছে নেওয়া হয়। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তৎকালীন সেনাপ্রধান এইচ এম এরশাদ খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন। কারণ, তিনি ক্ষমতা দখলের দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন এবং জানতেন, খালেদা জিয়া রাজনীতিতে এলে পরিস্থিতি সামলানো কঠিন হবে।
কর্নেল (অব.) আকবর হোসেন, নুরুল ইসলাম শিশু, এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, জমির উদ্দিন সরকার এবং মওদুদ আহমদের মতো সিনিয়র নেতারা তাঁকে রাজনীতিতে আনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

অবশেষে ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে খালেদা জিয়ার আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটে এবং তিনি বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ লাভ করেন। একই বছর ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনকালে তিনি প্রথম রাজনৈতিক বক্তব্য দেন।
১৯৮২ সালের ২১ জানুয়ারি বিএনপির চেয়ারম্যান নির্বাচনকে ঘিরে আবার চরম বিভক্তি দেখা দেয়। খালেদা জিয়া এবং রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তার—উভয়ই প্রার্থী হন। বিচারপতি সাত্তার তাঁকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার অনুরোধ জানালেও খালেদা জিয়া তা গ্রহণ করেননি। শেষ পর্যন্ত দলের ঐক্যের স্বার্থে তিনি তাঁর প্রার্থীর পদ প্রত্যাহার করেন।
কিন্তু এই রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তৎকালীন সেনাপ্রধান এইচ এম এরশাদ সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। সাত্তারের রাজনৈতিক গুরুত্ব এতে সম্পূর্ণ ফুরিয়ে যায়। আনুষ্ঠানিক চেয়ারম্যান সাত্তার থাকলেও দল পরিচালনায় খালেদা জিয়ার প্রভাব বাড়তে থাকে।
১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে তিনি দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারপারসন হন এবং এপ্রিলের প্রথম দিকে বর্ধিত সভায় ভাষণ দেন। এক বছরের মধ্যেই, ১৯৮৪ সালের ১০ই মে তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন। মওদুদ আহমদ দাবি করেন, এই পদে তাঁকে দেখতে সামরিক বা গোয়েন্দা বিভাগ কেউই চায়নি, কিন্তু দলের কর্মীদের চাপে তা শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়।

চেয়ারম্যান হওয়ার পর খালেদা জিয়া এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে তাঁর আপসহীন নেতৃত্ব তাঁকে দেশজুড়ে ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় তাঁকে কয়েকবার আটক করা হলেও তিনি আন্দোলন থেকে সরে যাননি।
জেনারেল এরশাদের পতনের পর, ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির বিজয় লাভ করে। রাজনীতিতে আসার মাত্র ১০ বছরের মধ্যেই দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। তাঁর নেতৃত্বেই বিএনপি ১৯৯১-৯৬ এবং ২০০১-০৬—দুই মেয়াদে সরকার পরিচালনা করে।
রাজনৈতিক জীবনে যতগুলো নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, খালেদা জিয়া তার সবগুলোতে জয়ী হয়েছেন। তবে ২০০১ সালে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর তাঁর সরকার একের পর এক বিতর্কের মুখে পড়ে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলের ভরাডুবি হয় এবং বিএনপি রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়ে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের পর দলটি আরও গভীর সংকটে নিপতিত হয়। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুর্নীতির মামলাগুলো শেষ জীবনে তাঁর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি।
২০১৮ সাল থেকে তিনি কারাবন্দি হন এবং পরে নির্বাহী আদেশে কারাগারের বাইরে থাকলেও নানা বিধিনিষেধের কারণে রাজনীতিতে অংশ নিতে বা বিদেশ যেতে পারেননি। এমন চিকিৎসার জন্যও তাঁকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেয়নি আওয়ামী লীগ সরকার। অবশেষে গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা মওকুফ করা হয়। এরপর ৭ আগস্ট তিনি মুক্তি পান।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক গৃহবধূর এমন চমকপ্রদ উত্থান ও আপসহীন সংগ্রাম বহু বিতর্ক সত্ত্বেও ইতিহাসের পাতায় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তথ্যসূত্র: 'বিএনপি: সময়-অসময়', লেখক: মহিউদ্দিন আহমদ; 'চলমান ইতিহাস: জীবনের কিছু সময় কিছু কথা', মওদুদ আহমদ, বিবিসি

বাংলাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ এবং তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় ফজরের পর তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর সংক্রমণ, নিউমোনিয়া এবং কিডনি, লিভার, আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসের মতো পুরোনো নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। গত ২৩ নভেম্বর রাতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার পারিবারিক নাম খালেদা খানম পুতুল। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিন বোন এবং দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়। তাঁর দাদা হাজী সালামত আলী, নানা জলপাইগুড়ির তোয়াবুর রহমান। বাবা ইস্কান্দার মজুমদার এবং মা বেগম তৈয়বা মজুমদার। দিনাজপুর শহরের মুদিপাড়ায় তাঁর জন্ম। আদি পৈতৃক নিবাস ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মজুমদার বাড়ি।
খালেদা জিয়া পাঁচ বছর বয়সে দিনাজপুরের মিশন স্কুলে ভর্তি হন। এরপর তিনি দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৯৬০ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। একই বছর তিনি জিয়াউর রহমানকে বিয়ে করেন। এর পর থেকে তিনি খালেদা জিয়া বা বেগম খালেদা জিয়া নামে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি স্বামীর সঙ্গে পশ্চিম পাকিস্তানে বসবাস শুরুর আগে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত দিনাজপুরের সুরেন্দ্রনাথ কলেজে পড়াশোনা করেন।
১৯৬০ সালের আগস্টে যখন জিয়াউর রহমানের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বিয়ে হয়, তখন জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন। ডিএফআইয়ের কর্মকর্তা হিসেবে তখন দিনাজপুরে কর্মরত ছিলেন। খালেদা জিয়ার এক ভাই মেজর (অব.) সাঈদ এস্কান্দার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল থেকে ফেনী-১ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন।
খালেদা জিয়ার দুই ছেলের মধ্যে বড় তারেক রহমান বর্তমানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তাঁর কনিষ্ঠ ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি মালায়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
৩০ মে, ১৯৮১ সাল। যখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হলো, তখন খালেদা জিয়া ছিলেন নিতান্তই একজন গৃহবধূ। দুই শিশুসন্তান তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানকে নিয়ে ঢাকা সেনানিবাসে কাটছিল তাঁর সাধারণ জীবন। রাজনীতি, ক্ষমতা বা দলের নেতৃত্ব—কোনো কিছুর প্রতিই তাঁর কোনো আগ্রহ ছিল না। কিন্তু ভাগ্য তাঁকে টেনে নিয়ে গেল এক কঠিন রাজনৈতিক পথে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে।
জিয়াউর রহমানের আকস্মিক মৃত্যুতে তাঁর প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি তখন বিপর্যস্ত এবং নেতৃত্বশূন্য। দলের নেতারা ছিলেন দ্বিধাগ্রস্ত, আর তাঁদের মধ্যে কোন্দলও ছিল প্রবল। এই পরিস্থিতিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আব্দুস সাত্তার অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রায় ৭৮ বছর বয়সী এবং রাজনৈতিকভাবে দুর্বল হিসেবে বিবেচিত আব্দুস সাত্তারকে সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পছন্দ করতেন। কারণ, তাঁরা জানতেন, তাঁর দুর্বল চিত্তের কারণে সামরিক বাহিনীর জন্য ক্ষমতা দখল করা সহজ হবে।

বিএনপিতে যখন কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব ঠিক করার আলোচনা চলছিল, ঠিক তখনই সামরিক ও শাসকচক্রের মনে সবচেয়ে বড় ভয় তৈরি হয় খালেদা জিয়াকে নিয়ে। কারণ, দলের একটি অংশ মনে করত, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার জন্য খালেদা জিয়াই ছিলেন সে সময়ের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি। প্রয়াত বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ তাঁর 'চলমান ইতিহাস: জীবনের কিছু সময় কিছু কথা' বইতে লিখেছেন, ‘বেগম জিয়া যদি প্রতিদ্বন্দ্বী হতে চাইতেন, তাহলে অন্য কারো প্রার্থী হওয়ার তখন আর প্রশ্ন উঠতো না।’ কিন্তু সেনাপ্রধান জেনারেল এইচ এম এরশাদের ইচ্ছানুযায়ী তড়িঘড়ি করে বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়।
জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের মানসিক ধকল এবং পারিবারিক অনীহার কারণে খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে আসার কোনো আগ্রহ ছিল না। তিনি হয়তো ভাবতে শুরু করেছিলেন, রাজনীতি মানুষকে করুণ পরিণতির দিকে ঠেলে দেয়। তাঁর বাবাও মেয়ের রাজনীতিতে আসার বিষয়ে আগ্রহী ছিলেন না।
তবে বিচারপতি সাত্তারের বার্ধক্য এবং দল পরিচালনায় অসন্তোষের কারণে তৎকালীন বিএনপির একাংশ তাঁকে রাজনীতিতে আনার পরিকল্পনা করে। দলের নেতা-কর্মীরা দিনের পর দিন তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে তিনি দলের হাল না ধরলে বিএনপি টিকবে না। দলীয় ঐক্যের জন্য 'আপস ফর্মুলা' হিসেবে তাঁকে বেছে নেওয়া হয়। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তৎকালীন সেনাপ্রধান এইচ এম এরশাদ খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন। কারণ, তিনি ক্ষমতা দখলের দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন এবং জানতেন, খালেদা জিয়া রাজনীতিতে এলে পরিস্থিতি সামলানো কঠিন হবে।
কর্নেল (অব.) আকবর হোসেন, নুরুল ইসলাম শিশু, এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, জমির উদ্দিন সরকার এবং মওদুদ আহমদের মতো সিনিয়র নেতারা তাঁকে রাজনীতিতে আনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

অবশেষে ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে খালেদা জিয়ার আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটে এবং তিনি বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ লাভ করেন। একই বছর ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনকালে তিনি প্রথম রাজনৈতিক বক্তব্য দেন।
১৯৮২ সালের ২১ জানুয়ারি বিএনপির চেয়ারম্যান নির্বাচনকে ঘিরে আবার চরম বিভক্তি দেখা দেয়। খালেদা জিয়া এবং রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তার—উভয়ই প্রার্থী হন। বিচারপতি সাত্তার তাঁকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার অনুরোধ জানালেও খালেদা জিয়া তা গ্রহণ করেননি। শেষ পর্যন্ত দলের ঐক্যের স্বার্থে তিনি তাঁর প্রার্থীর পদ প্রত্যাহার করেন।
কিন্তু এই রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তৎকালীন সেনাপ্রধান এইচ এম এরশাদ সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। সাত্তারের রাজনৈতিক গুরুত্ব এতে সম্পূর্ণ ফুরিয়ে যায়। আনুষ্ঠানিক চেয়ারম্যান সাত্তার থাকলেও দল পরিচালনায় খালেদা জিয়ার প্রভাব বাড়তে থাকে।
১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে তিনি দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারপারসন হন এবং এপ্রিলের প্রথম দিকে বর্ধিত সভায় ভাষণ দেন। এক বছরের মধ্যেই, ১৯৮৪ সালের ১০ই মে তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন। মওদুদ আহমদ দাবি করেন, এই পদে তাঁকে দেখতে সামরিক বা গোয়েন্দা বিভাগ কেউই চায়নি, কিন্তু দলের কর্মীদের চাপে তা শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়।

চেয়ারম্যান হওয়ার পর খালেদা জিয়া এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে তাঁর আপসহীন নেতৃত্ব তাঁকে দেশজুড়ে ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় তাঁকে কয়েকবার আটক করা হলেও তিনি আন্দোলন থেকে সরে যাননি।
জেনারেল এরশাদের পতনের পর, ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির বিজয় লাভ করে। রাজনীতিতে আসার মাত্র ১০ বছরের মধ্যেই দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। তাঁর নেতৃত্বেই বিএনপি ১৯৯১-৯৬ এবং ২০০১-০৬—দুই মেয়াদে সরকার পরিচালনা করে।
রাজনৈতিক জীবনে যতগুলো নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, খালেদা জিয়া তার সবগুলোতে জয়ী হয়েছেন। তবে ২০০১ সালে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর তাঁর সরকার একের পর এক বিতর্কের মুখে পড়ে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলের ভরাডুবি হয় এবং বিএনপি রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়ে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের পর দলটি আরও গভীর সংকটে নিপতিত হয়। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুর্নীতির মামলাগুলো শেষ জীবনে তাঁর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি।
২০১৮ সাল থেকে তিনি কারাবন্দি হন এবং পরে নির্বাহী আদেশে কারাগারের বাইরে থাকলেও নানা বিধিনিষেধের কারণে রাজনীতিতে অংশ নিতে বা বিদেশ যেতে পারেননি। এমন চিকিৎসার জন্যও তাঁকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেয়নি আওয়ামী লীগ সরকার। অবশেষে গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা মওকুফ করা হয়। এরপর ৭ আগস্ট তিনি মুক্তি পান।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক গৃহবধূর এমন চমকপ্রদ উত্থান ও আপসহীন সংগ্রাম বহু বিতর্ক সত্ত্বেও ইতিহাসের পাতায় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তথ্যসূত্র: 'বিএনপি: সময়-অসময়', লেখক: মহিউদ্দিন আহমদ; 'চলমান ইতিহাস: জীবনের কিছু সময় কিছু কথা', মওদুদ আহমদ, বিবিসি

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
২ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—প্রথমবারের মতো প্রবাসীদের জন্য ভোটাধিকার চালু করা। এর ফলে তাঁরা প্রবাসে থেকেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হবে। তাই তাঁর লাশবাহী গাড়ি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা পর্যন্ত নেওয়া, জানাজা ও দাফন ঘিরে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিরাপত্তা
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।
সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।
সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর সংক্রমণ, নিউমোনিয়া এবং কিডনি, লিভার, আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসের মতো পুরোনো নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর সংক্রমণ, নিউমোনিয়া এবং কিডন
১৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
২ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—প্রথমবারের মতো প্রবাসীদের জন্য ভোটাধিকার চালু করা। এর ফলে তাঁরা প্রবাসে থেকেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হবে। তাই তাঁর লাশবাহী গাড়ি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা পর্যন্ত নেওয়া, জানাজা ও দাফন ঘিরে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিরাপত্তা
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।
এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
Sardar Ayaz Sadiq, Speaker, National Assembly of Pakistan, will represent Pakistan tomorrow at the funeral of Late Begum Khaleda Zia in Dhaka, Bangladesh. https://t.co/BBV93jK5a7
— Ishaq Dar (@MIshaqDar50) December 30, 2025

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।
এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
Sardar Ayaz Sadiq, Speaker, National Assembly of Pakistan, will represent Pakistan tomorrow at the funeral of Late Begum Khaleda Zia in Dhaka, Bangladesh. https://t.co/BBV93jK5a7
— Ishaq Dar (@MIshaqDar50) December 30, 2025

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর সংক্রমণ, নিউমোনিয়া এবং কিডনি, লিভার, আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসের মতো পুরোনো নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর সংক্রমণ, নিউমোনিয়া এবং কিডন
১৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—প্রথমবারের মতো প্রবাসীদের জন্য ভোটাধিকার চালু করা। এর ফলে তাঁরা প্রবাসে থেকেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হবে। তাই তাঁর লাশবাহী গাড়ি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা পর্যন্ত নেওয়া, জানাজা ও দাফন ঘিরে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিরাপত্তা
৫ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

প্রবাসীরা জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিজয় অর্জনে প্রবাসীদের সমর্থন ও ত্যাগ অতুলনীয়। তাঁদের কল্যাণে সরকার বদ্ধপরিকর।
আজ মঙ্গলবার প্রবাসী কল্যাণ ভবনে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বিনিয়োগ ও রেমিট্যান্সের সর্বোত্তম ব্যবহারবিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—প্রথমবারের মতো প্রবাসীদের জন্য ভোটাধিকার চালু করা। এর ফলে তাঁরা প্রবাসে থেকেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। এ ছাড়া মালয়েশিয়ায় প্রবাসী কর্মীদের জন্য মাল্টিভিসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সৌদি আরবের সঙ্গে সাধারণ কর্মী নিয়োগ-সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে দক্ষ কর্মী নিয়োগ বাড়বে এবং কর্মী ও নিয়োগকর্তার অধিকার ও স্বার্থ অধিকতর সুরক্ষিত হবে।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে কর্মী পাঠানো শুরু করেছি। দক্ষতার ভিত্তিতে শ্রমিক পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জর্ডানে নারী শ্রমিকদের বিনা ফি-তে ও জরিমানা ছাড়া রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রবাসীরা দেশে আসার সময় আগে একটি মোবাইল ফোন আনতে পারতেন। আমরা এটি বাড়িয়ে দুটি আনতে পারার সুযোগ করেছি। এ ছাড়া বিমানবন্দরে প্রবাসীদের জন্য প্রবাসী লাউঞ্জ স্থাপন করা হয়েছে এবং আংশিক মালিকানায় হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে এ ধারা অব্যাহত থাকলে প্রবাসীদের কল্যাণে মাইলফলক অগ্রগতি অর্জিত হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। এ ছাড়া বক্তব্য দেন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক ব্যারিস্টার মো. গোলাম সরওয়ার ভূঁইয়া ও ইফাদের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. আই আর ভ্যালেন্টাইন।

প্রবাসীরা জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিজয় অর্জনে প্রবাসীদের সমর্থন ও ত্যাগ অতুলনীয়। তাঁদের কল্যাণে সরকার বদ্ধপরিকর।
আজ মঙ্গলবার প্রবাসী কল্যাণ ভবনে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বিনিয়োগ ও রেমিট্যান্সের সর্বোত্তম ব্যবহারবিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—প্রথমবারের মতো প্রবাসীদের জন্য ভোটাধিকার চালু করা। এর ফলে তাঁরা প্রবাসে থেকেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। এ ছাড়া মালয়েশিয়ায় প্রবাসী কর্মীদের জন্য মাল্টিভিসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সৌদি আরবের সঙ্গে সাধারণ কর্মী নিয়োগ-সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে দক্ষ কর্মী নিয়োগ বাড়বে এবং কর্মী ও নিয়োগকর্তার অধিকার ও স্বার্থ অধিকতর সুরক্ষিত হবে।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে কর্মী পাঠানো শুরু করেছি। দক্ষতার ভিত্তিতে শ্রমিক পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জর্ডানে নারী শ্রমিকদের বিনা ফি-তে ও জরিমানা ছাড়া রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রবাসীরা দেশে আসার সময় আগে একটি মোবাইল ফোন আনতে পারতেন। আমরা এটি বাড়িয়ে দুটি আনতে পারার সুযোগ করেছি। এ ছাড়া বিমানবন্দরে প্রবাসীদের জন্য প্রবাসী লাউঞ্জ স্থাপন করা হয়েছে এবং আংশিক মালিকানায় হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে এ ধারা অব্যাহত থাকলে প্রবাসীদের কল্যাণে মাইলফলক অগ্রগতি অর্জিত হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। এ ছাড়া বক্তব্য দেন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক ব্যারিস্টার মো. গোলাম সরওয়ার ভূঁইয়া ও ইফাদের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. আই আর ভ্যালেন্টাইন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর সংক্রমণ, নিউমোনিয়া এবং কিডনি, লিভার, আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসের মতো পুরোনো নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর সংক্রমণ, নিউমোনিয়া এবং কিডন
১৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হবে। তাই তাঁর লাশবাহী গাড়ি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা পর্যন্ত নেওয়া, জানাজা ও দাফন ঘিরে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিরাপত্তা
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হবে। তাই তাঁর লাশবাহী গাড়ি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা পর্যন্ত নেওয়া, জানাজা ও দাফন ঘিরে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার ১০ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন থাকবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব তথ্য জানান।
শফিকুল আলম বলেন, খালেদা জিয়ার লাশবাহী গাড়িকে ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। ১০ হাজারের বেশি পুলিশ ও এপিবিএন সদস্য থাকবেন। কিছু কিছু জায়গায় সেনাবাহিনীর সদস্যও থাকবেন।
প্রেস সচিব বলেন, খালেদা জিয়া তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। আপসহীন নেত্রী। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। দেশের জন্য তিনি যা করেছেন, এটা অতুলনীয়। এভারকেয়ার থেকে খালেদা জিয়ার লাশবাহী গাড়ি সংসদে ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আসা পর্যন্ত জানাজা এবং দাফন—সবকিছু পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হবে। তাঁর জানাজা, দাফনসহ প্রতিটি অনুষ্ঠান সুচারুভাবে করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে সরকার। এ জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে সহযোগিতা দেওয়া হবে।
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় খালেদা জিয়ার জানাজা, দাফন, সাধারণ জনগণের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনসহ সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্বে করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সভা শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নিরাপত্তা টিমের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ কে এম শামসুল ইসলাম সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
সার্বিক কার্যক্রম ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা নেই জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, আগামীকাল সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ডিএমপির ১০ হাজারের বেশি পুলিশ, এপিবিএন এবং অন্য নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা থাকবেন। কিছু কিছু জায়গায় সেনাবাহিনীর তরফ থেকে একটা ব্যবস্থাপনা থাকবে।
নিরাপত্তার বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, পুলিশ, নিরাপত্তা সংস্থার তরফ থেকে প্রত্যেকটা বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। কিছুদিন আগে একটি বড় জানাজা হয়েছে। ফলে পুলিশের এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর নিজেদের মধ্যে কিছু প্রস্তুতি আগে থেকেই ছিল, এখন আরও বড় আকারে প্রস্তুতি নেওয়া যাবে।
শফিকুল আলম বলেন, আগামীকাল সকালে তাঁর লাশবাহী গাড়ি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে সংসদ ভবন এলাকায় নেওয়া হবে। নেওয়ার পথে রাস্তার দুই পাশে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা করা হবে। তবে কখন লাশ সংসদ ভবন এলাকায় নেওয়া হবে, তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। রাষ্ট্রীয় সম্মানে তাঁকে নিয়ে আসা হবে।
প্রেস সচিব বলেন, খালেদা জিয়ার জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা ও কূটনীতিকেরা উপস্থিত থাকবেন। কিছুদিন আগে সংসদ ভবন এলাকায় বড় একটি জানাজা হয়েছে। খালেদা জিয়ার জানাজা আরও বড় আকারে হবে। সে আলোকে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তুতিতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শামসুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়া শুধু বিএনপির নেত্রী ছিলেন না, তিনি জাতীয় নেত্রী ছিলেন। বিএনপির দলীয় অবস্থান থেকে সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে তাঁকে প্রাপ্য সম্মান দিতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
শামসুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়ার লাশ যখন এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা নেওয়া হবে, তখন রাস্তার দুপাশে জনসাধারণ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁকে শ্রদ্ধা জানাবেন।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হবে। তাই তাঁর লাশবাহী গাড়ি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা পর্যন্ত নেওয়া, জানাজা ও দাফন ঘিরে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার ১০ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন থাকবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব তথ্য জানান।
শফিকুল আলম বলেন, খালেদা জিয়ার লাশবাহী গাড়িকে ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। ১০ হাজারের বেশি পুলিশ ও এপিবিএন সদস্য থাকবেন। কিছু কিছু জায়গায় সেনাবাহিনীর সদস্যও থাকবেন।
প্রেস সচিব বলেন, খালেদা জিয়া তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। আপসহীন নেত্রী। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। দেশের জন্য তিনি যা করেছেন, এটা অতুলনীয়। এভারকেয়ার থেকে খালেদা জিয়ার লাশবাহী গাড়ি সংসদে ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আসা পর্যন্ত জানাজা এবং দাফন—সবকিছু পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হবে। তাঁর জানাজা, দাফনসহ প্রতিটি অনুষ্ঠান সুচারুভাবে করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে সরকার। এ জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে সহযোগিতা দেওয়া হবে।
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় খালেদা জিয়ার জানাজা, দাফন, সাধারণ জনগণের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনসহ সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্বে করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সভা শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নিরাপত্তা টিমের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ কে এম শামসুল ইসলাম সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
সার্বিক কার্যক্রম ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা নেই জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, আগামীকাল সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ডিএমপির ১০ হাজারের বেশি পুলিশ, এপিবিএন এবং অন্য নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা থাকবেন। কিছু কিছু জায়গায় সেনাবাহিনীর তরফ থেকে একটা ব্যবস্থাপনা থাকবে।
নিরাপত্তার বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, পুলিশ, নিরাপত্তা সংস্থার তরফ থেকে প্রত্যেকটা বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। কিছুদিন আগে একটি বড় জানাজা হয়েছে। ফলে পুলিশের এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর নিজেদের মধ্যে কিছু প্রস্তুতি আগে থেকেই ছিল, এখন আরও বড় আকারে প্রস্তুতি নেওয়া যাবে।
শফিকুল আলম বলেন, আগামীকাল সকালে তাঁর লাশবাহী গাড়ি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে সংসদ ভবন এলাকায় নেওয়া হবে। নেওয়ার পথে রাস্তার দুই পাশে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা করা হবে। তবে কখন লাশ সংসদ ভবন এলাকায় নেওয়া হবে, তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। রাষ্ট্রীয় সম্মানে তাঁকে নিয়ে আসা হবে।
প্রেস সচিব বলেন, খালেদা জিয়ার জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা ও কূটনীতিকেরা উপস্থিত থাকবেন। কিছুদিন আগে সংসদ ভবন এলাকায় বড় একটি জানাজা হয়েছে। খালেদা জিয়ার জানাজা আরও বড় আকারে হবে। সে আলোকে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তুতিতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শামসুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়া শুধু বিএনপির নেত্রী ছিলেন না, তিনি জাতীয় নেত্রী ছিলেন। বিএনপির দলীয় অবস্থান থেকে সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে তাঁকে প্রাপ্য সম্মান দিতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
শামসুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়ার লাশ যখন এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা নেওয়া হবে, তখন রাস্তার দুপাশে জনসাধারণ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁকে শ্রদ্ধা জানাবেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর সংক্রমণ, নিউমোনিয়া এবং কিডনি, লিভার, আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসের মতো পুরোনো নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর সংক্রমণ, নিউমোনিয়া এবং কিডন
১৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
২ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—প্রথমবারের মতো প্রবাসীদের জন্য ভোটাধিকার চালু করা। এর ফলে তাঁরা প্রবাসে থেকেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
৫ ঘণ্টা আগে