ডব্লিউএমওর প্রতিবেদন
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারে জলবায়ু পরিবর্তন, এল নিনোর প্রভাবে বিপর্যস্ত আবহাওয়া। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) পানিসম্পদ নিয়ে নতুন তথ্য হাজির করেছে। সংস্থাটি বলছে, বিশ্বজুড়ে পানিচক্র অস্থিতিশীল এবং ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। এতে করে বড় পরিবর্তন এসেছে বন্যা ও খরায়। ফলে বিশ্বজুড়ে ভুগছে অর্থনীতি ও সমাজ। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি জটিল পদ্ধতিতে পানি পৃথিবীর এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রবাহিত হয়। সাধারণভাবে দেখা যায় পানি বাষ্প হয়ে আকাশে উড়ে যাচ্ছে নদী, লেকসহ বিভিন্ন জলাধার থেকে। এই জলীয় বাষ্প এক স্থান থেকে উড়ে অন্য স্থানে যাচ্ছে এবং বৃষ্টি কিংবা তুষার হয়ে ঝরে পড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই তুষারপাত ও বৃষ্টিতেও এসেছে বড় পরিবর্তন। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের কারণে বাড়ছে জলবায়ু পরিবর্তন। আর এই পরিবর্তনের কারণে বদলে যাচ্ছে পানিচক্রের স্থিতিশীলতা।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার নতুন এই প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছর বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ নদীতে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক ছিল না। এসব নদীতে হয় পানি একেবারে কম, নয়তো অনেক বেশি ছিল। বিভিন্ন স্থানের স্বাদু পানির উৎস যেমন ঝরনা, নদী, তুষার, বরফ, হ্রদ, জলাধার, ভূগর্ভস্থ জলের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের বেশ কয়েকটি অঞ্চল ব্যাপক পানির সংকটে ভুগেছে। বছরটি ছিল উষ্ণতম বছর। গত বছর আমাজন বনাঞ্চলের নদীগুলোতেও পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে নেমে গিয়েছিল। অন্যদিকে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চল ভয়ংকরভাবে খরার মুখোমুখি হয়েছিল। এই অঞ্চলের দেশগুলোর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে হাতিসহ বিভিন্ন প্রাণী হত্যা করা তাদের জন্য অনিবার্য হয়ে পড়েছিল। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের তিন প্রতিবেশী অঙ্গরাজ্য টেক্সাস, ওকলাহোমা ও কানসাসের ফসল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পানির অভাবে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বাদু পানির জলাধার হিসেবে বিবেচনা করা এমন লেক রয়েছে ৭৫টি। অধিক তাপমাত্রার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ৭৫টি লেকে পানির মান খারাপ হয়েছে গত বছর।
গত বছরের আবহাওয়াকে অস্বাভাবিক হিসেবেই বিবেচনা করছেন বিজ্ঞানীরা। এ প্রসঙ্গে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার জলবিদ্যা, জল এবং ক্রায়োস্ফিয়ার বিভাগের পরিচালক স্টেফান উহলেনব্রুক বলেন, অধিক গরম ও খরার পরও বিভিন্ন স্থানে প্রচুর বন্যা হয়েছে। এমনকি অন্যান্য বছরের তুলনায় গত বছর বন্যা বেশি হয়েছে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুসারে, ২০১৩ সালের পর গত বছর ইউরোপে সবচেয়ে বড় বন্যা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে হারিকেনের পর বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ২৩০ জনের। পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় বন্যায় প্রায় দেড় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে গত বছর।
এদিকে বিশ্লেষকেরা বলছেন, গত বছরের বিরূপ আবহাওয়ায় ভুগেছে বিভিন্ন অঞ্চলের হিমবাহগুলো। তিন বছর ধরেই হিমবাহ ব্যাপক পরিমাণে গলছে। তবে গত বছরই গলেছে প্রায় ৪৫০ গিগাটন বরফ। আকারের দিক থেকে বিবেচনা করলে ৪ দশমিক ৩ মাইল লম্বা, ৪ দশমিক ৩ মাইল প্রস্থ এবং ৪ দশমিক ৩ মাইল গভীরতার বরফ গলেছে গত বছর। আবহাওয়া সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এলাকার বরফ যেমন গলেছে, তেমনি স্বালবার্ড এলাকার এবং উত্তর এশিয়ার বরফও গলেছে।
গবেষকেরা বলছেন, বরফ গলার কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে এবং ঝুঁকি বাড়ছে বন্যার। এ ছাড়া বিদ্যুৎ, সেচ এবং পানীয় জলের জন্য হিমবাহের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোকেও হুমকির মুখে ফেলেছে এই বরফগলা।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার কর্মকর্তা স্টেফান উহলেনব্রুক বলেন, পানিচক্রের এই অস্বাভাবিক পরিবর্তনের কারণে ঠিক কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা আসলে নিরূপণ করা কঠিন। তবে এটুকু বলা যেতে পারে, অস্বাভাবিক বন্যার কারণেই কয়েক শ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া স্বাদু পানির উৎস কমে যাচ্ছে এমন পরিবর্তনের কারণে।
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারে জলবায়ু পরিবর্তন, এল নিনোর প্রভাবে বিপর্যস্ত আবহাওয়া। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) পানিসম্পদ নিয়ে নতুন তথ্য হাজির করেছে। সংস্থাটি বলছে, বিশ্বজুড়ে পানিচক্র অস্থিতিশীল এবং ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। এতে করে বড় পরিবর্তন এসেছে বন্যা ও খরায়। ফলে বিশ্বজুড়ে ভুগছে অর্থনীতি ও সমাজ। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি জটিল পদ্ধতিতে পানি পৃথিবীর এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রবাহিত হয়। সাধারণভাবে দেখা যায় পানি বাষ্প হয়ে আকাশে উড়ে যাচ্ছে নদী, লেকসহ বিভিন্ন জলাধার থেকে। এই জলীয় বাষ্প এক স্থান থেকে উড়ে অন্য স্থানে যাচ্ছে এবং বৃষ্টি কিংবা তুষার হয়ে ঝরে পড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই তুষারপাত ও বৃষ্টিতেও এসেছে বড় পরিবর্তন। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের কারণে বাড়ছে জলবায়ু পরিবর্তন। আর এই পরিবর্তনের কারণে বদলে যাচ্ছে পানিচক্রের স্থিতিশীলতা।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার নতুন এই প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছর বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ নদীতে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক ছিল না। এসব নদীতে হয় পানি একেবারে কম, নয়তো অনেক বেশি ছিল। বিভিন্ন স্থানের স্বাদু পানির উৎস যেমন ঝরনা, নদী, তুষার, বরফ, হ্রদ, জলাধার, ভূগর্ভস্থ জলের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের বেশ কয়েকটি অঞ্চল ব্যাপক পানির সংকটে ভুগেছে। বছরটি ছিল উষ্ণতম বছর। গত বছর আমাজন বনাঞ্চলের নদীগুলোতেও পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে নেমে গিয়েছিল। অন্যদিকে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চল ভয়ংকরভাবে খরার মুখোমুখি হয়েছিল। এই অঞ্চলের দেশগুলোর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে হাতিসহ বিভিন্ন প্রাণী হত্যা করা তাদের জন্য অনিবার্য হয়ে পড়েছিল। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের তিন প্রতিবেশী অঙ্গরাজ্য টেক্সাস, ওকলাহোমা ও কানসাসের ফসল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পানির অভাবে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বাদু পানির জলাধার হিসেবে বিবেচনা করা এমন লেক রয়েছে ৭৫টি। অধিক তাপমাত্রার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ৭৫টি লেকে পানির মান খারাপ হয়েছে গত বছর।
গত বছরের আবহাওয়াকে অস্বাভাবিক হিসেবেই বিবেচনা করছেন বিজ্ঞানীরা। এ প্রসঙ্গে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার জলবিদ্যা, জল এবং ক্রায়োস্ফিয়ার বিভাগের পরিচালক স্টেফান উহলেনব্রুক বলেন, অধিক গরম ও খরার পরও বিভিন্ন স্থানে প্রচুর বন্যা হয়েছে। এমনকি অন্যান্য বছরের তুলনায় গত বছর বন্যা বেশি হয়েছে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুসারে, ২০১৩ সালের পর গত বছর ইউরোপে সবচেয়ে বড় বন্যা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে হারিকেনের পর বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ২৩০ জনের। পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় বন্যায় প্রায় দেড় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে গত বছর।
এদিকে বিশ্লেষকেরা বলছেন, গত বছরের বিরূপ আবহাওয়ায় ভুগেছে বিভিন্ন অঞ্চলের হিমবাহগুলো। তিন বছর ধরেই হিমবাহ ব্যাপক পরিমাণে গলছে। তবে গত বছরই গলেছে প্রায় ৪৫০ গিগাটন বরফ। আকারের দিক থেকে বিবেচনা করলে ৪ দশমিক ৩ মাইল লম্বা, ৪ দশমিক ৩ মাইল প্রস্থ এবং ৪ দশমিক ৩ মাইল গভীরতার বরফ গলেছে গত বছর। আবহাওয়া সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এলাকার বরফ যেমন গলেছে, তেমনি স্বালবার্ড এলাকার এবং উত্তর এশিয়ার বরফও গলেছে।
গবেষকেরা বলছেন, বরফ গলার কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে এবং ঝুঁকি বাড়ছে বন্যার। এ ছাড়া বিদ্যুৎ, সেচ এবং পানীয় জলের জন্য হিমবাহের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোকেও হুমকির মুখে ফেলেছে এই বরফগলা।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার কর্মকর্তা স্টেফান উহলেনব্রুক বলেন, পানিচক্রের এই অস্বাভাবিক পরিবর্তনের কারণে ঠিক কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা আসলে নিরূপণ করা কঠিন। তবে এটুকু বলা যেতে পারে, অস্বাভাবিক বন্যার কারণেই কয়েক শ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া স্বাদু পানির উৎস কমে যাচ্ছে এমন পরিবর্তনের কারণে।
জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো সাংবিধানিক আদেশে বাস্তবায়ন করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যেটির বৈধতা দিতে জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট করার মতামত তাঁদের। বিএনপি বলছে, গণভোট হতে পারে; তবে তা হতে হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর। কিন্তু জায়ামাতে ইসলামী ও জাতীয়...
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে মেশিনের সহায়তায় ভোট গণনা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগেনির্বাচনের দায়িত্বে অবহেলার জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জেল-জরিমানার পরিমাণ বাড়াতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, দায়িত্বে অবহেলাকারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করলে তাদের বিরুদ্ধেও শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তার জন্য আন্তর্জাতিক মানের একটি নতুন বাহিনী গঠনের পথে হাঁটছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে এয়ার গার্ড অব বাংলাদেশ (এজিবি) নামে নতুন এই বাহিনী গঠনের বিষয়ে একটি আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগে