সৌগত বসু, ঢাকা

রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ২০১৩ সালে ৫০টি ‘আর্টিকুলেটেড’ বাস কিনেছিল। বলা হয়েছিল, ভারতীয় ঋণের আওতায় কেনা এ বাসগুলো ঢাকার গণপরিবহনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। কিন্তু মাত্র সাত বছরের মধ্যেই ৪৩টি বাস অকেজো হয়ে পড়ে, যা অনেককে মনে করিয়ে দিতে পারে আড়াই দশক আগে সুইডেন থেকে কেনা বিশ্বখ্যাত ভলভো বাসের অভিজ্ঞতার কথা।
রাষ্ট্রীয় সম্পদের প্রতি অযত্ন-অবহেলা সরকারি এ প্রতিষ্ঠানে জেঁকে থাকা গাফিলতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির একটি দিক মাত্র। গত কয়েক বছর আগের অনিয়ম-দুর্নীতির জের বিআরটিসি এখনো টেনে চলেছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে তার মূল লক্ষ্য—যাত্রীসেবা।
আর্টিকুলেটেডে ভলভোর ছায়া
প্রচলিত বাসের প্রায় দ্বিগুণ দৈর্ঘ্যের ‘আর্টিকুলেটেড’ বাসের কাঠামোর জন্য বিদেশে জনসাধারণের কাছে বেন্ডি, স্ট্রেচ, স্লিংকি ইত্যাদি নামে পরিচিত।
বৈধ দৈর্ঘ্যের মধ্যে থেকে এই বাসে তুলনামূলকভাবে বেশি যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হওয়ায় এটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তুলনামূলক সরু রাস্তায় চালানো কিছুটা সমস্যা হওয়ায় অবশ্য বিশ্বের অনেক শহর থেকে দুটি অংশ জুড়ে তৈরি করা এ বাস তুলে দেওয়া হয়েছে।
২০১৩ সালে কেনা ৫০টি আর্টিকুলেটেড বাসের মধ্যে বিআরটিসি ২০২২ সালে ২৭টি আবার চালু করে। বাকি বাসগুলো এখনো ডিপোতে পড়ে রয়েছে। এসব নিয়ে গত ১৫ বছরে সংস্থাটির বহরে যুক্ত হয়েছে মোট ১ হাজার ৫৫৮টি বাস। এর মধ্যে কাগজে-কলমেই চালু আছে ১ হাজার ২৪৪টি। আর চারটি প্রকল্পে এসব বাস কেনায় খরচ হয়েছে প্রায় ১৩০০ কোটি টাকা। এ সময়ে অনেক বাস নষ্ট হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় কিছু ‘ভাঙারি’ হিসেবে কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে। যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বা সময়মতো মেরামত না করায় গাড়ি অচল পড়ে থাকায় যাত্রীসেবা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বিআরটিসির আয়ে প্রভাব পড়েছে। দায়দেনা শোধে অসুবিধা ও কর্মীদের বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়াসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত সংস্থাটি।
বিআরটিসিসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এখন আরও ৮টি আর্টিকুলেটেড বাস সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব বাসের দুটি অংশের মাঝখানে থাকা রাবারের সংযোগটি জার্মানিতে তৈরি।
চাহিদা নিতান্ত সীমিত বলে এগুলো স্থানীয় বাজারে সাধারণত পাওয়া যায় না। প্রতিটি বাসের নতুন সংযোগের মূল্য ৩৩ লাখ টাকার বেশি। তবে দেশি প্রযুক্তিতে মাত্র ৪০ হাজার টাকায় পুরোনোগুলো মেরামত করা হচ্ছে।
বিআরটিসি অনেক ঘটা করে ২০০১-০২ সালে সুইডেনের বিশ্বখ্যাত ভলভো কোম্পানির ৫০টি আধুনিক দোতলা বাস ঢাকার রাস্তায় নামিয়েছিল। অত্যাধুনিক বাসগুলোয় যাত্রা বেশ আরামদায়ক হওয়ায় তা প্রশংসিত হয়েছিল। তবে ইজারা ব্যবস্থাপনার ত্রুটি এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যেই বাসগুলো একে একে অকেজো হয়ে পড়ে।
দামি বা বিশেষ কোম্পানির গাড়ি ছাড়াও সাধারণভাবেই রাষ্ট্রীয় এ কোম্পানির গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারে অবহেলার অভিযোগ পুরোনো। সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক কয়েক বছরে চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, মতিঝিল, কল্যাণপুর, মিরপুর, জোয়ারসাহারা, গাজীপুরসহ বিভিন্ন ডিপোতে ১৩৯টি বাস অকেজো হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে পড়ে ছিল। এ বাসগুলোর অনেক যন্ত্রাংশ মেরামতযোগ্য হলেও পড়ে থেকে বাইরের অংশ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সরকারি সম্পদের অপচয় হয়েছে।
তিন অর্থবছরের অনিয়ম ভোগাচ্ছে
পরিবহন নিরীক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজধানীর তেজগাঁওসহ বিআরটিসির বিভিন্ন বাস ডিপোর ব্যবস্থাপক ও কর্মকর্তারা ২০১৭-১৮ থেকে ২০১৯-২০ সাল পর্যন্ত তিন অর্থবছরে ৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। চালক, কন্ডাক্টর ও লিজগ্রহণকারী বাইরের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব যথাযথভাবে ব্যাংকে জমা না করায় এই আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। নিরীক্ষা প্রতিবেদন বলছে, কেবল ওই তিন অর্থবছরে বিআরটিসির মোট দুর্নীতির অঙ্ক ২৪ কোটি ৬২ লাখ টাকার বেশি। মামলা-মোকদ্দমার কারণে প্রাপ্য আদায়েও বিআরটিসি সমস্যায় পড়ছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, কল্যাণপুর বাস ডিপোর ৩৭টি দোকানের বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। ব্যবসার ধরন পরিবর্তনের ফি না জমা হয়নি। ফুলবাড়িয়া সিবিএস-২ মার্কেটের বকেয়া ভাড়া আদায়ে জটিলতা রয়েছে। এসব ব্যর্থতার পেছনে বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়ের এস্টেট বিভাগের কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। মতিঝিল, কল্যাণপুর, জোয়ারসাহারা, বরিশাল, খুলনা, বগুড়া বাস ডিপো ও প্রধান কার্যালয় ইজারা বাবদ ৬ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে বিআরটিসি। আন্তর্জাতিক রুটে শ্যামলী পরিবহন, রয়েল কোচ ও এন আর ট্রাভেলস তিন বছরে ২৪ লাখ ৬১ হাজার টাকার রয়্যালটি ফি বকেয়া রেখেছে, যা করোনার কারণ দেখিয়ে পরিশোধ করা হয়নি।
সংস্থাটির সূত্র বলছে, সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভুঁইয়া ও মো. এহসান এলাহীর সময়ের এসব দুর্নীতির দায় এখনো টানতে হচ্ছে বিআরটিসিকে। বর্তমান চেয়ারম্যানের ঠিক আগে পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করা এই দুজনের সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিআরটিসির দেনা দাঁড়িয়েছিল ১০১ কোটি টাকা। গত চার বছরে তা থেকে ৯২ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
দেনা মেটাতে বাসভাড়া
রাজধানীর অনেক সাধারণ বাসযাত্রীর অভিযোগ, ঢাকার পথে এই সরকারি সংস্থার গাড়ি খুব বেশি রুটে দেখা যায় না। আবার হুটহাট রুট পরিবর্তনেরও নজির আছে। বিআরটিসির সূত্র বলছে, দেনা শোধের চাপের কারণে যাত্রীসেবায় কিছুটা কম গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে বাসভাড়া দেওয়া হচ্ছে। রাজধানীর পথে এখন তাদের ৫৫০টি গাড়ি যাত্রী পরিবহন করে। তবে এসব গাড়ি থেকে বেশি আয় হয় না। ১৭২টি গাড়ি সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম গত সোমবার আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে ১৭২টি বাসভাড়া দেওয়ার বিষয়টি সত্যি বলে নিশ্চিত করেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছরে যে পরিমাণ দেনা হয়েছে, তা শোধ করতে অর্থ দরকার। সরকারি প্রতিষ্ঠানে বাসভাড়া দিয়ে ভালো আয় হচ্ছে। গত মাসে ১২ কোটি টাকা বেতন দেওয়া হয়েছে। প্রায় আড়াই কোটি টাকা লাভ হয়েছে।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, সাবেক কর্মকর্তাদের অনিয়মে বিআরটিসিতে বড় অঙ্কের বকেয়া ছিল। ২০২১ সাল থেকে তা এখন পর্যন্ত ৯ কোটিতে নামানো হয়েছে। বিভাগীয় মামলা ও চাপ প্রয়োগে পুরোনো বকেয়া আদায়ের চেষ্টা চলছে, তবে পুরোটা আদায় কঠিন। এস্টেট ডিপার্টমেন্টের জটিলতা ও অনিয়ম চরমে পৌঁছেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটি ঠিক করার চেষ্টা চলছে।
লিজ আর দেওয়া হবে না
সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়ার বাইরে বর্তমানে বেসরকারি কোম্পানির হাতেও ১৯টি বিআরটিসির বাস লিজ দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি দেখেন, নিয়ম ভেঙে বিআরটিসির বাস বেসরকারি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ লিজ প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে বন্ধ করা হবে। মেয়াদ শেষ হলে আর নবায়ন করা হবে না। এসব লিজ মালিক বছরের পর বছর রাজস্ব না দিয়ে বিআরটিসিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে যুক্ত বাসগুলোও অবহেলায় ভাঙারিতে পরিণত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক যোগাযোগ ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত তিন অর্থবছরে বিআরটিসির পরিচালনা কমিটি সংকট নিরসনে বড় ভূমিকা রেখেছে। তবে বিআরটিসি যতই লাভজনক প্রতিষ্ঠান হোক না কেন, তাদের প্রধান কাজ জনগণকে সেবা দেওয়া। সেখানে তাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত। ইজারা দিয়ে লাভ করা মুখ্য লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়।
অধ্যাপক হাদিউজ্জামান আরও বলেন, বিআরটিসির যে কাঠামোগত সক্ষমতা আছে, তা দেশের অন্য কোনো বাস কোম্পানির নেই। সেটা কাজে লাগাতে হবে। বিআরটিসির একটা প্রবণতা আছে, রুট সংখ্যা বাড়ানো। কিন্তু অনেক রুটে দরকার মতো বাস থাকে না। এদিকে নজর দিতে হবে।

রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ২০১৩ সালে ৫০টি ‘আর্টিকুলেটেড’ বাস কিনেছিল। বলা হয়েছিল, ভারতীয় ঋণের আওতায় কেনা এ বাসগুলো ঢাকার গণপরিবহনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। কিন্তু মাত্র সাত বছরের মধ্যেই ৪৩টি বাস অকেজো হয়ে পড়ে, যা অনেককে মনে করিয়ে দিতে পারে আড়াই দশক আগে সুইডেন থেকে কেনা বিশ্বখ্যাত ভলভো বাসের অভিজ্ঞতার কথা।
রাষ্ট্রীয় সম্পদের প্রতি অযত্ন-অবহেলা সরকারি এ প্রতিষ্ঠানে জেঁকে থাকা গাফিলতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির একটি দিক মাত্র। গত কয়েক বছর আগের অনিয়ম-দুর্নীতির জের বিআরটিসি এখনো টেনে চলেছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে তার মূল লক্ষ্য—যাত্রীসেবা।
আর্টিকুলেটেডে ভলভোর ছায়া
প্রচলিত বাসের প্রায় দ্বিগুণ দৈর্ঘ্যের ‘আর্টিকুলেটেড’ বাসের কাঠামোর জন্য বিদেশে জনসাধারণের কাছে বেন্ডি, স্ট্রেচ, স্লিংকি ইত্যাদি নামে পরিচিত।
বৈধ দৈর্ঘ্যের মধ্যে থেকে এই বাসে তুলনামূলকভাবে বেশি যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হওয়ায় এটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তুলনামূলক সরু রাস্তায় চালানো কিছুটা সমস্যা হওয়ায় অবশ্য বিশ্বের অনেক শহর থেকে দুটি অংশ জুড়ে তৈরি করা এ বাস তুলে দেওয়া হয়েছে।
২০১৩ সালে কেনা ৫০টি আর্টিকুলেটেড বাসের মধ্যে বিআরটিসি ২০২২ সালে ২৭টি আবার চালু করে। বাকি বাসগুলো এখনো ডিপোতে পড়ে রয়েছে। এসব নিয়ে গত ১৫ বছরে সংস্থাটির বহরে যুক্ত হয়েছে মোট ১ হাজার ৫৫৮টি বাস। এর মধ্যে কাগজে-কলমেই চালু আছে ১ হাজার ২৪৪টি। আর চারটি প্রকল্পে এসব বাস কেনায় খরচ হয়েছে প্রায় ১৩০০ কোটি টাকা। এ সময়ে অনেক বাস নষ্ট হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় কিছু ‘ভাঙারি’ হিসেবে কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে। যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বা সময়মতো মেরামত না করায় গাড়ি অচল পড়ে থাকায় যাত্রীসেবা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বিআরটিসির আয়ে প্রভাব পড়েছে। দায়দেনা শোধে অসুবিধা ও কর্মীদের বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়াসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত সংস্থাটি।
বিআরটিসিসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এখন আরও ৮টি আর্টিকুলেটেড বাস সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব বাসের দুটি অংশের মাঝখানে থাকা রাবারের সংযোগটি জার্মানিতে তৈরি।
চাহিদা নিতান্ত সীমিত বলে এগুলো স্থানীয় বাজারে সাধারণত পাওয়া যায় না। প্রতিটি বাসের নতুন সংযোগের মূল্য ৩৩ লাখ টাকার বেশি। তবে দেশি প্রযুক্তিতে মাত্র ৪০ হাজার টাকায় পুরোনোগুলো মেরামত করা হচ্ছে।
বিআরটিসি অনেক ঘটা করে ২০০১-০২ সালে সুইডেনের বিশ্বখ্যাত ভলভো কোম্পানির ৫০টি আধুনিক দোতলা বাস ঢাকার রাস্তায় নামিয়েছিল। অত্যাধুনিক বাসগুলোয় যাত্রা বেশ আরামদায়ক হওয়ায় তা প্রশংসিত হয়েছিল। তবে ইজারা ব্যবস্থাপনার ত্রুটি এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যেই বাসগুলো একে একে অকেজো হয়ে পড়ে।
দামি বা বিশেষ কোম্পানির গাড়ি ছাড়াও সাধারণভাবেই রাষ্ট্রীয় এ কোম্পানির গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারে অবহেলার অভিযোগ পুরোনো। সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক কয়েক বছরে চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, মতিঝিল, কল্যাণপুর, মিরপুর, জোয়ারসাহারা, গাজীপুরসহ বিভিন্ন ডিপোতে ১৩৯টি বাস অকেজো হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে পড়ে ছিল। এ বাসগুলোর অনেক যন্ত্রাংশ মেরামতযোগ্য হলেও পড়ে থেকে বাইরের অংশ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সরকারি সম্পদের অপচয় হয়েছে।
তিন অর্থবছরের অনিয়ম ভোগাচ্ছে
পরিবহন নিরীক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজধানীর তেজগাঁওসহ বিআরটিসির বিভিন্ন বাস ডিপোর ব্যবস্থাপক ও কর্মকর্তারা ২০১৭-১৮ থেকে ২০১৯-২০ সাল পর্যন্ত তিন অর্থবছরে ৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। চালক, কন্ডাক্টর ও লিজগ্রহণকারী বাইরের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব যথাযথভাবে ব্যাংকে জমা না করায় এই আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। নিরীক্ষা প্রতিবেদন বলছে, কেবল ওই তিন অর্থবছরে বিআরটিসির মোট দুর্নীতির অঙ্ক ২৪ কোটি ৬২ লাখ টাকার বেশি। মামলা-মোকদ্দমার কারণে প্রাপ্য আদায়েও বিআরটিসি সমস্যায় পড়ছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, কল্যাণপুর বাস ডিপোর ৩৭টি দোকানের বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। ব্যবসার ধরন পরিবর্তনের ফি না জমা হয়নি। ফুলবাড়িয়া সিবিএস-২ মার্কেটের বকেয়া ভাড়া আদায়ে জটিলতা রয়েছে। এসব ব্যর্থতার পেছনে বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়ের এস্টেট বিভাগের কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। মতিঝিল, কল্যাণপুর, জোয়ারসাহারা, বরিশাল, খুলনা, বগুড়া বাস ডিপো ও প্রধান কার্যালয় ইজারা বাবদ ৬ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে বিআরটিসি। আন্তর্জাতিক রুটে শ্যামলী পরিবহন, রয়েল কোচ ও এন আর ট্রাভেলস তিন বছরে ২৪ লাখ ৬১ হাজার টাকার রয়্যালটি ফি বকেয়া রেখেছে, যা করোনার কারণ দেখিয়ে পরিশোধ করা হয়নি।
সংস্থাটির সূত্র বলছে, সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভুঁইয়া ও মো. এহসান এলাহীর সময়ের এসব দুর্নীতির দায় এখনো টানতে হচ্ছে বিআরটিসিকে। বর্তমান চেয়ারম্যানের ঠিক আগে পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করা এই দুজনের সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিআরটিসির দেনা দাঁড়িয়েছিল ১০১ কোটি টাকা। গত চার বছরে তা থেকে ৯২ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
দেনা মেটাতে বাসভাড়া
রাজধানীর অনেক সাধারণ বাসযাত্রীর অভিযোগ, ঢাকার পথে এই সরকারি সংস্থার গাড়ি খুব বেশি রুটে দেখা যায় না। আবার হুটহাট রুট পরিবর্তনেরও নজির আছে। বিআরটিসির সূত্র বলছে, দেনা শোধের চাপের কারণে যাত্রীসেবায় কিছুটা কম গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে বাসভাড়া দেওয়া হচ্ছে। রাজধানীর পথে এখন তাদের ৫৫০টি গাড়ি যাত্রী পরিবহন করে। তবে এসব গাড়ি থেকে বেশি আয় হয় না। ১৭২টি গাড়ি সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম গত সোমবার আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে ১৭২টি বাসভাড়া দেওয়ার বিষয়টি সত্যি বলে নিশ্চিত করেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছরে যে পরিমাণ দেনা হয়েছে, তা শোধ করতে অর্থ দরকার। সরকারি প্রতিষ্ঠানে বাসভাড়া দিয়ে ভালো আয় হচ্ছে। গত মাসে ১২ কোটি টাকা বেতন দেওয়া হয়েছে। প্রায় আড়াই কোটি টাকা লাভ হয়েছে।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, সাবেক কর্মকর্তাদের অনিয়মে বিআরটিসিতে বড় অঙ্কের বকেয়া ছিল। ২০২১ সাল থেকে তা এখন পর্যন্ত ৯ কোটিতে নামানো হয়েছে। বিভাগীয় মামলা ও চাপ প্রয়োগে পুরোনো বকেয়া আদায়ের চেষ্টা চলছে, তবে পুরোটা আদায় কঠিন। এস্টেট ডিপার্টমেন্টের জটিলতা ও অনিয়ম চরমে পৌঁছেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটি ঠিক করার চেষ্টা চলছে।
লিজ আর দেওয়া হবে না
সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়ার বাইরে বর্তমানে বেসরকারি কোম্পানির হাতেও ১৯টি বিআরটিসির বাস লিজ দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি দেখেন, নিয়ম ভেঙে বিআরটিসির বাস বেসরকারি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ লিজ প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে বন্ধ করা হবে। মেয়াদ শেষ হলে আর নবায়ন করা হবে না। এসব লিজ মালিক বছরের পর বছর রাজস্ব না দিয়ে বিআরটিসিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে যুক্ত বাসগুলোও অবহেলায় ভাঙারিতে পরিণত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক যোগাযোগ ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত তিন অর্থবছরে বিআরটিসির পরিচালনা কমিটি সংকট নিরসনে বড় ভূমিকা রেখেছে। তবে বিআরটিসি যতই লাভজনক প্রতিষ্ঠান হোক না কেন, তাদের প্রধান কাজ জনগণকে সেবা দেওয়া। সেখানে তাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত। ইজারা দিয়ে লাভ করা মুখ্য লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়।
অধ্যাপক হাদিউজ্জামান আরও বলেন, বিআরটিসির যে কাঠামোগত সক্ষমতা আছে, তা দেশের অন্য কোনো বাস কোম্পানির নেই। সেটা কাজে লাগাতে হবে। বিআরটিসির একটা প্রবণতা আছে, রুট সংখ্যা বাড়ানো। কিন্তু অনেক রুটে দরকার মতো বাস থাকে না। এদিকে নজর দিতে হবে।
সৌগত বসু, ঢাকা

রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ২০১৩ সালে ৫০টি ‘আর্টিকুলেটেড’ বাস কিনেছিল। বলা হয়েছিল, ভারতীয় ঋণের আওতায় কেনা এ বাসগুলো ঢাকার গণপরিবহনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। কিন্তু মাত্র সাত বছরের মধ্যেই ৪৩টি বাস অকেজো হয়ে পড়ে, যা অনেককে মনে করিয়ে দিতে পারে আড়াই দশক আগে সুইডেন থেকে কেনা বিশ্বখ্যাত ভলভো বাসের অভিজ্ঞতার কথা।
রাষ্ট্রীয় সম্পদের প্রতি অযত্ন-অবহেলা সরকারি এ প্রতিষ্ঠানে জেঁকে থাকা গাফিলতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির একটি দিক মাত্র। গত কয়েক বছর আগের অনিয়ম-দুর্নীতির জের বিআরটিসি এখনো টেনে চলেছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে তার মূল লক্ষ্য—যাত্রীসেবা।
আর্টিকুলেটেডে ভলভোর ছায়া
প্রচলিত বাসের প্রায় দ্বিগুণ দৈর্ঘ্যের ‘আর্টিকুলেটেড’ বাসের কাঠামোর জন্য বিদেশে জনসাধারণের কাছে বেন্ডি, স্ট্রেচ, স্লিংকি ইত্যাদি নামে পরিচিত।
বৈধ দৈর্ঘ্যের মধ্যে থেকে এই বাসে তুলনামূলকভাবে বেশি যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হওয়ায় এটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তুলনামূলক সরু রাস্তায় চালানো কিছুটা সমস্যা হওয়ায় অবশ্য বিশ্বের অনেক শহর থেকে দুটি অংশ জুড়ে তৈরি করা এ বাস তুলে দেওয়া হয়েছে।
২০১৩ সালে কেনা ৫০টি আর্টিকুলেটেড বাসের মধ্যে বিআরটিসি ২০২২ সালে ২৭টি আবার চালু করে। বাকি বাসগুলো এখনো ডিপোতে পড়ে রয়েছে। এসব নিয়ে গত ১৫ বছরে সংস্থাটির বহরে যুক্ত হয়েছে মোট ১ হাজার ৫৫৮টি বাস। এর মধ্যে কাগজে-কলমেই চালু আছে ১ হাজার ২৪৪টি। আর চারটি প্রকল্পে এসব বাস কেনায় খরচ হয়েছে প্রায় ১৩০০ কোটি টাকা। এ সময়ে অনেক বাস নষ্ট হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় কিছু ‘ভাঙারি’ হিসেবে কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে। যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বা সময়মতো মেরামত না করায় গাড়ি অচল পড়ে থাকায় যাত্রীসেবা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বিআরটিসির আয়ে প্রভাব পড়েছে। দায়দেনা শোধে অসুবিধা ও কর্মীদের বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়াসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত সংস্থাটি।
বিআরটিসিসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এখন আরও ৮টি আর্টিকুলেটেড বাস সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব বাসের দুটি অংশের মাঝখানে থাকা রাবারের সংযোগটি জার্মানিতে তৈরি।
চাহিদা নিতান্ত সীমিত বলে এগুলো স্থানীয় বাজারে সাধারণত পাওয়া যায় না। প্রতিটি বাসের নতুন সংযোগের মূল্য ৩৩ লাখ টাকার বেশি। তবে দেশি প্রযুক্তিতে মাত্র ৪০ হাজার টাকায় পুরোনোগুলো মেরামত করা হচ্ছে।
বিআরটিসি অনেক ঘটা করে ২০০১-০২ সালে সুইডেনের বিশ্বখ্যাত ভলভো কোম্পানির ৫০টি আধুনিক দোতলা বাস ঢাকার রাস্তায় নামিয়েছিল। অত্যাধুনিক বাসগুলোয় যাত্রা বেশ আরামদায়ক হওয়ায় তা প্রশংসিত হয়েছিল। তবে ইজারা ব্যবস্থাপনার ত্রুটি এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যেই বাসগুলো একে একে অকেজো হয়ে পড়ে।
দামি বা বিশেষ কোম্পানির গাড়ি ছাড়াও সাধারণভাবেই রাষ্ট্রীয় এ কোম্পানির গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারে অবহেলার অভিযোগ পুরোনো। সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক কয়েক বছরে চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, মতিঝিল, কল্যাণপুর, মিরপুর, জোয়ারসাহারা, গাজীপুরসহ বিভিন্ন ডিপোতে ১৩৯টি বাস অকেজো হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে পড়ে ছিল। এ বাসগুলোর অনেক যন্ত্রাংশ মেরামতযোগ্য হলেও পড়ে থেকে বাইরের অংশ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সরকারি সম্পদের অপচয় হয়েছে।
তিন অর্থবছরের অনিয়ম ভোগাচ্ছে
পরিবহন নিরীক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজধানীর তেজগাঁওসহ বিআরটিসির বিভিন্ন বাস ডিপোর ব্যবস্থাপক ও কর্মকর্তারা ২০১৭-১৮ থেকে ২০১৯-২০ সাল পর্যন্ত তিন অর্থবছরে ৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। চালক, কন্ডাক্টর ও লিজগ্রহণকারী বাইরের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব যথাযথভাবে ব্যাংকে জমা না করায় এই আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। নিরীক্ষা প্রতিবেদন বলছে, কেবল ওই তিন অর্থবছরে বিআরটিসির মোট দুর্নীতির অঙ্ক ২৪ কোটি ৬২ লাখ টাকার বেশি। মামলা-মোকদ্দমার কারণে প্রাপ্য আদায়েও বিআরটিসি সমস্যায় পড়ছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, কল্যাণপুর বাস ডিপোর ৩৭টি দোকানের বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। ব্যবসার ধরন পরিবর্তনের ফি না জমা হয়নি। ফুলবাড়িয়া সিবিএস-২ মার্কেটের বকেয়া ভাড়া আদায়ে জটিলতা রয়েছে। এসব ব্যর্থতার পেছনে বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়ের এস্টেট বিভাগের কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। মতিঝিল, কল্যাণপুর, জোয়ারসাহারা, বরিশাল, খুলনা, বগুড়া বাস ডিপো ও প্রধান কার্যালয় ইজারা বাবদ ৬ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে বিআরটিসি। আন্তর্জাতিক রুটে শ্যামলী পরিবহন, রয়েল কোচ ও এন আর ট্রাভেলস তিন বছরে ২৪ লাখ ৬১ হাজার টাকার রয়্যালটি ফি বকেয়া রেখেছে, যা করোনার কারণ দেখিয়ে পরিশোধ করা হয়নি।
সংস্থাটির সূত্র বলছে, সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভুঁইয়া ও মো. এহসান এলাহীর সময়ের এসব দুর্নীতির দায় এখনো টানতে হচ্ছে বিআরটিসিকে। বর্তমান চেয়ারম্যানের ঠিক আগে পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করা এই দুজনের সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিআরটিসির দেনা দাঁড়িয়েছিল ১০১ কোটি টাকা। গত চার বছরে তা থেকে ৯২ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
দেনা মেটাতে বাসভাড়া
রাজধানীর অনেক সাধারণ বাসযাত্রীর অভিযোগ, ঢাকার পথে এই সরকারি সংস্থার গাড়ি খুব বেশি রুটে দেখা যায় না। আবার হুটহাট রুট পরিবর্তনেরও নজির আছে। বিআরটিসির সূত্র বলছে, দেনা শোধের চাপের কারণে যাত্রীসেবায় কিছুটা কম গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে বাসভাড়া দেওয়া হচ্ছে। রাজধানীর পথে এখন তাদের ৫৫০টি গাড়ি যাত্রী পরিবহন করে। তবে এসব গাড়ি থেকে বেশি আয় হয় না। ১৭২টি গাড়ি সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম গত সোমবার আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে ১৭২টি বাসভাড়া দেওয়ার বিষয়টি সত্যি বলে নিশ্চিত করেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছরে যে পরিমাণ দেনা হয়েছে, তা শোধ করতে অর্থ দরকার। সরকারি প্রতিষ্ঠানে বাসভাড়া দিয়ে ভালো আয় হচ্ছে। গত মাসে ১২ কোটি টাকা বেতন দেওয়া হয়েছে। প্রায় আড়াই কোটি টাকা লাভ হয়েছে।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, সাবেক কর্মকর্তাদের অনিয়মে বিআরটিসিতে বড় অঙ্কের বকেয়া ছিল। ২০২১ সাল থেকে তা এখন পর্যন্ত ৯ কোটিতে নামানো হয়েছে। বিভাগীয় মামলা ও চাপ প্রয়োগে পুরোনো বকেয়া আদায়ের চেষ্টা চলছে, তবে পুরোটা আদায় কঠিন। এস্টেট ডিপার্টমেন্টের জটিলতা ও অনিয়ম চরমে পৌঁছেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটি ঠিক করার চেষ্টা চলছে।
লিজ আর দেওয়া হবে না
সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়ার বাইরে বর্তমানে বেসরকারি কোম্পানির হাতেও ১৯টি বিআরটিসির বাস লিজ দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি দেখেন, নিয়ম ভেঙে বিআরটিসির বাস বেসরকারি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ লিজ প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে বন্ধ করা হবে। মেয়াদ শেষ হলে আর নবায়ন করা হবে না। এসব লিজ মালিক বছরের পর বছর রাজস্ব না দিয়ে বিআরটিসিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে যুক্ত বাসগুলোও অবহেলায় ভাঙারিতে পরিণত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক যোগাযোগ ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত তিন অর্থবছরে বিআরটিসির পরিচালনা কমিটি সংকট নিরসনে বড় ভূমিকা রেখেছে। তবে বিআরটিসি যতই লাভজনক প্রতিষ্ঠান হোক না কেন, তাদের প্রধান কাজ জনগণকে সেবা দেওয়া। সেখানে তাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত। ইজারা দিয়ে লাভ করা মুখ্য লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়।
অধ্যাপক হাদিউজ্জামান আরও বলেন, বিআরটিসির যে কাঠামোগত সক্ষমতা আছে, তা দেশের অন্য কোনো বাস কোম্পানির নেই। সেটা কাজে লাগাতে হবে। বিআরটিসির একটা প্রবণতা আছে, রুট সংখ্যা বাড়ানো। কিন্তু অনেক রুটে দরকার মতো বাস থাকে না। এদিকে নজর দিতে হবে।

রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ২০১৩ সালে ৫০টি ‘আর্টিকুলেটেড’ বাস কিনেছিল। বলা হয়েছিল, ভারতীয় ঋণের আওতায় কেনা এ বাসগুলো ঢাকার গণপরিবহনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। কিন্তু মাত্র সাত বছরের মধ্যেই ৪৩টি বাস অকেজো হয়ে পড়ে, যা অনেককে মনে করিয়ে দিতে পারে আড়াই দশক আগে সুইডেন থেকে কেনা বিশ্বখ্যাত ভলভো বাসের অভিজ্ঞতার কথা।
রাষ্ট্রীয় সম্পদের প্রতি অযত্ন-অবহেলা সরকারি এ প্রতিষ্ঠানে জেঁকে থাকা গাফিলতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির একটি দিক মাত্র। গত কয়েক বছর আগের অনিয়ম-দুর্নীতির জের বিআরটিসি এখনো টেনে চলেছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে তার মূল লক্ষ্য—যাত্রীসেবা।
আর্টিকুলেটেডে ভলভোর ছায়া
প্রচলিত বাসের প্রায় দ্বিগুণ দৈর্ঘ্যের ‘আর্টিকুলেটেড’ বাসের কাঠামোর জন্য বিদেশে জনসাধারণের কাছে বেন্ডি, স্ট্রেচ, স্লিংকি ইত্যাদি নামে পরিচিত।
বৈধ দৈর্ঘ্যের মধ্যে থেকে এই বাসে তুলনামূলকভাবে বেশি যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হওয়ায় এটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তুলনামূলক সরু রাস্তায় চালানো কিছুটা সমস্যা হওয়ায় অবশ্য বিশ্বের অনেক শহর থেকে দুটি অংশ জুড়ে তৈরি করা এ বাস তুলে দেওয়া হয়েছে।
২০১৩ সালে কেনা ৫০টি আর্টিকুলেটেড বাসের মধ্যে বিআরটিসি ২০২২ সালে ২৭টি আবার চালু করে। বাকি বাসগুলো এখনো ডিপোতে পড়ে রয়েছে। এসব নিয়ে গত ১৫ বছরে সংস্থাটির বহরে যুক্ত হয়েছে মোট ১ হাজার ৫৫৮টি বাস। এর মধ্যে কাগজে-কলমেই চালু আছে ১ হাজার ২৪৪টি। আর চারটি প্রকল্পে এসব বাস কেনায় খরচ হয়েছে প্রায় ১৩০০ কোটি টাকা। এ সময়ে অনেক বাস নষ্ট হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় কিছু ‘ভাঙারি’ হিসেবে কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে। যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বা সময়মতো মেরামত না করায় গাড়ি অচল পড়ে থাকায় যাত্রীসেবা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বিআরটিসির আয়ে প্রভাব পড়েছে। দায়দেনা শোধে অসুবিধা ও কর্মীদের বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়াসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত সংস্থাটি।
বিআরটিসিসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এখন আরও ৮টি আর্টিকুলেটেড বাস সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব বাসের দুটি অংশের মাঝখানে থাকা রাবারের সংযোগটি জার্মানিতে তৈরি।
চাহিদা নিতান্ত সীমিত বলে এগুলো স্থানীয় বাজারে সাধারণত পাওয়া যায় না। প্রতিটি বাসের নতুন সংযোগের মূল্য ৩৩ লাখ টাকার বেশি। তবে দেশি প্রযুক্তিতে মাত্র ৪০ হাজার টাকায় পুরোনোগুলো মেরামত করা হচ্ছে।
বিআরটিসি অনেক ঘটা করে ২০০১-০২ সালে সুইডেনের বিশ্বখ্যাত ভলভো কোম্পানির ৫০টি আধুনিক দোতলা বাস ঢাকার রাস্তায় নামিয়েছিল। অত্যাধুনিক বাসগুলোয় যাত্রা বেশ আরামদায়ক হওয়ায় তা প্রশংসিত হয়েছিল। তবে ইজারা ব্যবস্থাপনার ত্রুটি এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যেই বাসগুলো একে একে অকেজো হয়ে পড়ে।
দামি বা বিশেষ কোম্পানির গাড়ি ছাড়াও সাধারণভাবেই রাষ্ট্রীয় এ কোম্পানির গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারে অবহেলার অভিযোগ পুরোনো। সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক কয়েক বছরে চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, মতিঝিল, কল্যাণপুর, মিরপুর, জোয়ারসাহারা, গাজীপুরসহ বিভিন্ন ডিপোতে ১৩৯টি বাস অকেজো হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে পড়ে ছিল। এ বাসগুলোর অনেক যন্ত্রাংশ মেরামতযোগ্য হলেও পড়ে থেকে বাইরের অংশ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সরকারি সম্পদের অপচয় হয়েছে।
তিন অর্থবছরের অনিয়ম ভোগাচ্ছে
পরিবহন নিরীক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজধানীর তেজগাঁওসহ বিআরটিসির বিভিন্ন বাস ডিপোর ব্যবস্থাপক ও কর্মকর্তারা ২০১৭-১৮ থেকে ২০১৯-২০ সাল পর্যন্ত তিন অর্থবছরে ৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। চালক, কন্ডাক্টর ও লিজগ্রহণকারী বাইরের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব যথাযথভাবে ব্যাংকে জমা না করায় এই আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। নিরীক্ষা প্রতিবেদন বলছে, কেবল ওই তিন অর্থবছরে বিআরটিসির মোট দুর্নীতির অঙ্ক ২৪ কোটি ৬২ লাখ টাকার বেশি। মামলা-মোকদ্দমার কারণে প্রাপ্য আদায়েও বিআরটিসি সমস্যায় পড়ছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, কল্যাণপুর বাস ডিপোর ৩৭টি দোকানের বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। ব্যবসার ধরন পরিবর্তনের ফি না জমা হয়নি। ফুলবাড়িয়া সিবিএস-২ মার্কেটের বকেয়া ভাড়া আদায়ে জটিলতা রয়েছে। এসব ব্যর্থতার পেছনে বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়ের এস্টেট বিভাগের কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। মতিঝিল, কল্যাণপুর, জোয়ারসাহারা, বরিশাল, খুলনা, বগুড়া বাস ডিপো ও প্রধান কার্যালয় ইজারা বাবদ ৬ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে বিআরটিসি। আন্তর্জাতিক রুটে শ্যামলী পরিবহন, রয়েল কোচ ও এন আর ট্রাভেলস তিন বছরে ২৪ লাখ ৬১ হাজার টাকার রয়্যালটি ফি বকেয়া রেখেছে, যা করোনার কারণ দেখিয়ে পরিশোধ করা হয়নি।
সংস্থাটির সূত্র বলছে, সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভুঁইয়া ও মো. এহসান এলাহীর সময়ের এসব দুর্নীতির দায় এখনো টানতে হচ্ছে বিআরটিসিকে। বর্তমান চেয়ারম্যানের ঠিক আগে পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করা এই দুজনের সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিআরটিসির দেনা দাঁড়িয়েছিল ১০১ কোটি টাকা। গত চার বছরে তা থেকে ৯২ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
দেনা মেটাতে বাসভাড়া
রাজধানীর অনেক সাধারণ বাসযাত্রীর অভিযোগ, ঢাকার পথে এই সরকারি সংস্থার গাড়ি খুব বেশি রুটে দেখা যায় না। আবার হুটহাট রুট পরিবর্তনেরও নজির আছে। বিআরটিসির সূত্র বলছে, দেনা শোধের চাপের কারণে যাত্রীসেবায় কিছুটা কম গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে বাসভাড়া দেওয়া হচ্ছে। রাজধানীর পথে এখন তাদের ৫৫০টি গাড়ি যাত্রী পরিবহন করে। তবে এসব গাড়ি থেকে বেশি আয় হয় না। ১৭২টি গাড়ি সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম গত সোমবার আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে ১৭২টি বাসভাড়া দেওয়ার বিষয়টি সত্যি বলে নিশ্চিত করেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছরে যে পরিমাণ দেনা হয়েছে, তা শোধ করতে অর্থ দরকার। সরকারি প্রতিষ্ঠানে বাসভাড়া দিয়ে ভালো আয় হচ্ছে। গত মাসে ১২ কোটি টাকা বেতন দেওয়া হয়েছে। প্রায় আড়াই কোটি টাকা লাভ হয়েছে।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, সাবেক কর্মকর্তাদের অনিয়মে বিআরটিসিতে বড় অঙ্কের বকেয়া ছিল। ২০২১ সাল থেকে তা এখন পর্যন্ত ৯ কোটিতে নামানো হয়েছে। বিভাগীয় মামলা ও চাপ প্রয়োগে পুরোনো বকেয়া আদায়ের চেষ্টা চলছে, তবে পুরোটা আদায় কঠিন। এস্টেট ডিপার্টমেন্টের জটিলতা ও অনিয়ম চরমে পৌঁছেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটি ঠিক করার চেষ্টা চলছে।
লিজ আর দেওয়া হবে না
সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়ার বাইরে বর্তমানে বেসরকারি কোম্পানির হাতেও ১৯টি বিআরটিসির বাস লিজ দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি দেখেন, নিয়ম ভেঙে বিআরটিসির বাস বেসরকারি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ লিজ প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে বন্ধ করা হবে। মেয়াদ শেষ হলে আর নবায়ন করা হবে না। এসব লিজ মালিক বছরের পর বছর রাজস্ব না দিয়ে বিআরটিসিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে যুক্ত বাসগুলোও অবহেলায় ভাঙারিতে পরিণত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক যোগাযোগ ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত তিন অর্থবছরে বিআরটিসির পরিচালনা কমিটি সংকট নিরসনে বড় ভূমিকা রেখেছে। তবে বিআরটিসি যতই লাভজনক প্রতিষ্ঠান হোক না কেন, তাদের প্রধান কাজ জনগণকে সেবা দেওয়া। সেখানে তাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত। ইজারা দিয়ে লাভ করা মুখ্য লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়।
অধ্যাপক হাদিউজ্জামান আরও বলেন, বিআরটিসির যে কাঠামোগত সক্ষমতা আছে, তা দেশের অন্য কোনো বাস কোম্পানির নেই। সেটা কাজে লাগাতে হবে। বিআরটিসির একটা প্রবণতা আছে, রুট সংখ্যা বাড়ানো। কিন্তু অনেক রুটে দরকার মতো বাস থাকে না। এদিকে নজর দিতে হবে।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
৪৪ মিনিট আগে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
২ ঘণ্টা আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ রোববার সকালে প্রণয় ভার্মাকে তলব করে দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অব্যাহত উসকানিমূলক বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্বেগের বিষয়টিও জানিয়ে দেওয়া হয়।
গত শুক্রবার ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের সমর্থক ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তিনি এখনো সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। ওসমান হাদিকে গুলিবর্ষণকারী ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওসমান হাদি হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রতিরোধে ভারতের সহযোগিতাও কামনা করা হয়েছে। তাঁরা যদি ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে সক্ষমও হন, তবে তাঁদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানানো হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। জুলাই আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে গত ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর তাঁকে ফেরত দিতে নয়াদিল্লিকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। তবে তাতে দিল্লির কোনো সাড়া মেলেনি। তা ছাড়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি বন্ধ করার আহ্বানে সাড়া দেয়নি ভারত।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরও শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি অব্যাহত রয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে আবার ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করা হলো। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তাঁকে ডেকে নিয়ে সরকারের পক্ষে উদ্বেগ তুলে ধরেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।
ভারতের হাইকমিশনারকে বলা হয়, পলাতক শেখ হাসিনাকে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, যার মাধ্যমে তিনি তাঁর সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসন্ন নির্বাচন বানচালে প্ররোচিত করছেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পলাতক নেতা–কর্মীরা ভারতে বসে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন বানচালে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও প্রণয় ভার্মাকে জানানো হয়। এসব সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও জানানো হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত শেখ হাসিনা,ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও আবার জানানো হয় ভারতের হাইকমিশনারকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা প্রকাশ করেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবে ভারত সরকার। ভারতের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এমন প্রত্যাশা ভারতের রয়েছে এবং এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে তাঁর দেশ প্রস্তুত।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ রোববার সকালে প্রণয় ভার্মাকে তলব করে দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অব্যাহত উসকানিমূলক বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্বেগের বিষয়টিও জানিয়ে দেওয়া হয়।
গত শুক্রবার ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের সমর্থক ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তিনি এখনো সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। ওসমান হাদিকে গুলিবর্ষণকারী ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওসমান হাদি হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রতিরোধে ভারতের সহযোগিতাও কামনা করা হয়েছে। তাঁরা যদি ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে সক্ষমও হন, তবে তাঁদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানানো হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। জুলাই আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে গত ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর তাঁকে ফেরত দিতে নয়াদিল্লিকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। তবে তাতে দিল্লির কোনো সাড়া মেলেনি। তা ছাড়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি বন্ধ করার আহ্বানে সাড়া দেয়নি ভারত।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরও শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি অব্যাহত রয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে আবার ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করা হলো। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তাঁকে ডেকে নিয়ে সরকারের পক্ষে উদ্বেগ তুলে ধরেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।
ভারতের হাইকমিশনারকে বলা হয়, পলাতক শেখ হাসিনাকে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, যার মাধ্যমে তিনি তাঁর সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসন্ন নির্বাচন বানচালে প্ররোচিত করছেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পলাতক নেতা–কর্মীরা ভারতে বসে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন বানচালে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও প্রণয় ভার্মাকে জানানো হয়। এসব সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও জানানো হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত শেখ হাসিনা,ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও আবার জানানো হয় ভারতের হাইকমিশনারকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা প্রকাশ করেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবে ভারত সরকার। ভারতের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এমন প্রত্যাশা ভারতের রয়েছে এবং এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে তাঁর দেশ প্রস্তুত।

রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ২০১৩ সালে ৫০টি ‘আর্টিকুলেটেড’ বাস কিনেছিল। বলা হয়েছিল, ভারতীয় ঋণের আওতায় কেনা এ বাসগুলো ঢাকার গণপরিবহনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। কিন্তু মাত্র সাত বছরের মধ্যেই ৪৩টি বাস অকেজো হয়ে পড়ে, যা অনেককে মনে করিয়ে দিতে পারে আড়াই দশক আগে সুইডেন থেকে কেনা বিশ
৩০ নভেম্বর ২০২৪
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
২ ঘণ্টা আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যেন বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করা হয়।
একই সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং তাঁরা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাঁদের যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করে।
আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের কাছে এসব অনুরোধ জানানো হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন অনতিবিলম্বে তাঁর এবং ভারতে পলাতক তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের এসব ফ্যাসিস্ট টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল পুলিশ সরবরাহ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী ও তাঁর সহযোগীদের পুলিশ এরই মধ্যে শনাক্ত করেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য হামলার দিন রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ এরই মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।
এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে এরই মধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যেন বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করা হয়।
একই সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং তাঁরা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাঁদের যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করে।
আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের কাছে এসব অনুরোধ জানানো হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন অনতিবিলম্বে তাঁর এবং ভারতে পলাতক তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের এসব ফ্যাসিস্ট টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল পুলিশ সরবরাহ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী ও তাঁর সহযোগীদের পুলিশ এরই মধ্যে শনাক্ত করেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য হামলার দিন রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ এরই মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।
এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে এরই মধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ২০১৩ সালে ৫০টি ‘আর্টিকুলেটেড’ বাস কিনেছিল। বলা হয়েছিল, ভারতীয় ঋণের আওতায় কেনা এ বাসগুলো ঢাকার গণপরিবহনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। কিন্তু মাত্র সাত বছরের মধ্যেই ৪৩টি বাস অকেজো হয়ে পড়ে, যা অনেককে মনে করিয়ে দিতে পারে আড়াই দশক আগে সুইডেন থেকে কেনা বিশ
৩০ নভেম্বর ২০২৪
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
৪৪ মিনিট আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২১ ডিসেম্বর।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
মামলার ১৭ আসামির মধ্যে আজ শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন ১০ সেনা কর্মকর্তা।
তাঁরা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।
আসামিদের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষা-বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন পলাতক রয়েছেন।
র্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন।
পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জন ব্যক্তিকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২১ ডিসেম্বর।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
মামলার ১৭ আসামির মধ্যে আজ শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন ১০ সেনা কর্মকর্তা।
তাঁরা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।
আসামিদের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষা-বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন পলাতক রয়েছেন।
র্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন।
পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জন ব্যক্তিকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ২০১৩ সালে ৫০টি ‘আর্টিকুলেটেড’ বাস কিনেছিল। বলা হয়েছিল, ভারতীয় ঋণের আওতায় কেনা এ বাসগুলো ঢাকার গণপরিবহনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। কিন্তু মাত্র সাত বছরের মধ্যেই ৪৩টি বাস অকেজো হয়ে পড়ে, যা অনেককে মনে করিয়ে দিতে পারে আড়াই দশক আগে সুইডেন থেকে কেনা বিশ
৩০ নভেম্বর ২০২৪
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
৪৪ মিনিট আগে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
২ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার বিকেল ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন ইসির সিনিয়র সচিব।
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
এর আগে গতকাল শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইসির নিজস্ব তিন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ের সব অফিস ও কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
গত শুক্রবার বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করছে ইসি।

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার বিকেল ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন ইসির সিনিয়র সচিব।
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
এর আগে গতকাল শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইসির নিজস্ব তিন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ের সব অফিস ও কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
গত শুক্রবার বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করছে ইসি।

রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ২০১৩ সালে ৫০টি ‘আর্টিকুলেটেড’ বাস কিনেছিল। বলা হয়েছিল, ভারতীয় ঋণের আওতায় কেনা এ বাসগুলো ঢাকার গণপরিবহনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। কিন্তু মাত্র সাত বছরের মধ্যেই ৪৩টি বাস অকেজো হয়ে পড়ে, যা অনেককে মনে করিয়ে দিতে পারে আড়াই দশক আগে সুইডেন থেকে কেনা বিশ
৩০ নভেম্বর ২০২৪
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
৪৪ মিনিট আগে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
২ ঘণ্টা আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
৩ ঘণ্টা আগে