অনলাইন ডেস্ক
প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪-এ সাধারণ মানুষকে ‘ধোঁকা দেওয়া ও বোকা বানানোর’ অপচেষ্টা হয়েছে বলে মনে করছে দুর্নীতি-অনিয়ম নজরদারি করা সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ (টিআইবি)। তারা মনে করছে, জনস্বার্থের প্রতিফলন না করে এটি বরং বাক্-স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করবে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে ‘প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪: পর্যালোচনা ও সুপারিশ’ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ সম্পর্কে পর্যালোচনা ও সুপারিশ উপস্থাপন করেন মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মালয়ের আইন ও উদীয়মান প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ এরশাদুল করিম। তিনি বিগত সরকারের নিন্দিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করে অধ্যাদেশ প্রণয়নের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের জনসাধারণকে মতামত নেওয়ার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে ‘গভীর হতাশা এবং উদ্বেগের’ সঙ্গে বলেন, উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন পাওয়া অধ্যাদেশে জনসাধারণের জন্য প্রচারিত খসড়ার বাইরের এমন অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা আইন প্রণয়নের সাধারণ চর্চার পরিপন্থী। এরশাদুল করিম বলেন, ‘ব্যাপারটিকে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেওয়া এবং বোকা বানানোর একটি অপচেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।’
সংবাদ সম্মেলনের পর্যালোচনায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশে সাইবার নিরাপত্তা, সাইবার অপরাধ, সাইবার সুরক্ষা এবং মানুষের মতপ্রকাশের অধিকার-সম্পর্কিত বিধানগুলো একত্র করে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া অধ্যাদেশ প্রণয়নের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের প্রাধান্য দিয়ে ‘জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি’ গঠনের প্রস্তাব করে ভবিষ্যতে এর প্রকৃত এবং যথাযথ প্রয়োগকে প্রশ্নবিদ্ধ ও দুর্বল করে ফেলা হয়েছে। এতে বলা হয়, বর্তমান অধ্যাদেশে অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলোকে যথাযথভাবে আইনি কাঠামোর মধ্যে বিবেচনা করার জন্য কমপক্ষে তিনটি আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। ১. কম্পিউটার বা সাইবার অপরাধ কিংবা কম্পিউটার অপব্যবহার আইন, ২. মূলত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোগুলো রক্ষায় সাইবার নিরাপত্তা আইন এবং ৩. অনলাইন সুরক্ষা আইন, যাতে অনলাইনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়গুলো থাকবে।
পর্যালোচনায় বলা হয়, সরকারি তথ্য, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক তথ্য ও জনগণের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আইনি কাঠামো ঠিক করা না হলে সাইবার সুরক্ষার বিষয়টি কোনোভাবেই সম্পূর্ণ হবে না। তাই এই অধ্যাদেশকে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ হিসেবে বিবেচনা করা ঠিক হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাদেশের বিভিন্ন ধারার কিছু ‘অসংগতি’ও তুলে ধরা হয়। ধারা ৪৬ সম্পর্কে বলা হয়, ‘এই ধারার অধীনে ধারা ১৯-কে আমলযোগ্য এবং অজামিনযোগ্য করা হয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি, ধারা ১৯(১) এর দফা (ঙ) ও (চ) পুনর্বিবেচনা করা উচিত। এই বিধানগুলোতে অন্তর্ভুক্ত কাজগুলো একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারীর জন্য বিরক্তিকর হতে পারে, কিন্তু এগুলো সাধারণত কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা সাইবার জগতের ভৌত অবকাঠামোর ক্ষতি সাধন করে না বলে এগুলোকে ভিন্ন অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে এগুলোও অ-আমলযোগ্য এবং জামিনযোগ্য করা যুক্তিযুক্ত।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ বাতিল করে এর পরিবর্তে নতুন একটি অধ্যাদেশ করার উদ্যোগকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু আইন অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় তড়িঘড়ি করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়াটা আমরা সমর্থন করি না।’
এ সময় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এটার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের আপত্তি আছে। এ ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে আমরা এমনটা আশা করি না। এই ধরনের আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আইন কমিশনকে কেন সম্পৃক্ত করা হলো না?’
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এটা একটা জগাখিচুড়ি আইন হয়েছে। ফলে সাইবার সুরক্ষার নামে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন এবং সাইবার সিকিউরিটি আইনের পুনরাবৃত্তি আমরা দেখতে পাচ্ছি। অধিকারভিত্তিক কিছু এই অধ্যাদেশে আমরা দেখতে পাই না। বাক্-স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে মনে করি। এটা জনস্বার্থের প্রতিফলন করবে না; বরং বাক্-স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের এবং আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডিরেক্টর মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪-এ সাধারণ মানুষকে ‘ধোঁকা দেওয়া ও বোকা বানানোর’ অপচেষ্টা হয়েছে বলে মনে করছে দুর্নীতি-অনিয়ম নজরদারি করা সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ (টিআইবি)। তারা মনে করছে, জনস্বার্থের প্রতিফলন না করে এটি বরং বাক্-স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করবে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে ‘প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪: পর্যালোচনা ও সুপারিশ’ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ সম্পর্কে পর্যালোচনা ও সুপারিশ উপস্থাপন করেন মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মালয়ের আইন ও উদীয়মান প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ এরশাদুল করিম। তিনি বিগত সরকারের নিন্দিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করে অধ্যাদেশ প্রণয়নের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের জনসাধারণকে মতামত নেওয়ার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে ‘গভীর হতাশা এবং উদ্বেগের’ সঙ্গে বলেন, উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন পাওয়া অধ্যাদেশে জনসাধারণের জন্য প্রচারিত খসড়ার বাইরের এমন অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা আইন প্রণয়নের সাধারণ চর্চার পরিপন্থী। এরশাদুল করিম বলেন, ‘ব্যাপারটিকে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেওয়া এবং বোকা বানানোর একটি অপচেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।’
সংবাদ সম্মেলনের পর্যালোচনায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশে সাইবার নিরাপত্তা, সাইবার অপরাধ, সাইবার সুরক্ষা এবং মানুষের মতপ্রকাশের অধিকার-সম্পর্কিত বিধানগুলো একত্র করে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া অধ্যাদেশ প্রণয়নের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের প্রাধান্য দিয়ে ‘জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি’ গঠনের প্রস্তাব করে ভবিষ্যতে এর প্রকৃত এবং যথাযথ প্রয়োগকে প্রশ্নবিদ্ধ ও দুর্বল করে ফেলা হয়েছে। এতে বলা হয়, বর্তমান অধ্যাদেশে অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলোকে যথাযথভাবে আইনি কাঠামোর মধ্যে বিবেচনা করার জন্য কমপক্ষে তিনটি আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। ১. কম্পিউটার বা সাইবার অপরাধ কিংবা কম্পিউটার অপব্যবহার আইন, ২. মূলত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোগুলো রক্ষায় সাইবার নিরাপত্তা আইন এবং ৩. অনলাইন সুরক্ষা আইন, যাতে অনলাইনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়গুলো থাকবে।
পর্যালোচনায় বলা হয়, সরকারি তথ্য, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক তথ্য ও জনগণের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আইনি কাঠামো ঠিক করা না হলে সাইবার সুরক্ষার বিষয়টি কোনোভাবেই সম্পূর্ণ হবে না। তাই এই অধ্যাদেশকে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ হিসেবে বিবেচনা করা ঠিক হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাদেশের বিভিন্ন ধারার কিছু ‘অসংগতি’ও তুলে ধরা হয়। ধারা ৪৬ সম্পর্কে বলা হয়, ‘এই ধারার অধীনে ধারা ১৯-কে আমলযোগ্য এবং অজামিনযোগ্য করা হয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি, ধারা ১৯(১) এর দফা (ঙ) ও (চ) পুনর্বিবেচনা করা উচিত। এই বিধানগুলোতে অন্তর্ভুক্ত কাজগুলো একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারীর জন্য বিরক্তিকর হতে পারে, কিন্তু এগুলো সাধারণত কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা সাইবার জগতের ভৌত অবকাঠামোর ক্ষতি সাধন করে না বলে এগুলোকে ভিন্ন অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে এগুলোও অ-আমলযোগ্য এবং জামিনযোগ্য করা যুক্তিযুক্ত।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ বাতিল করে এর পরিবর্তে নতুন একটি অধ্যাদেশ করার উদ্যোগকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু আইন অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় তড়িঘড়ি করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়াটা আমরা সমর্থন করি না।’
এ সময় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এটার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের আপত্তি আছে। এ ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে আমরা এমনটা আশা করি না। এই ধরনের আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আইন কমিশনকে কেন সম্পৃক্ত করা হলো না?’
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এটা একটা জগাখিচুড়ি আইন হয়েছে। ফলে সাইবার সুরক্ষার নামে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন এবং সাইবার সিকিউরিটি আইনের পুনরাবৃত্তি আমরা দেখতে পাচ্ছি। অধিকারভিত্তিক কিছু এই অধ্যাদেশে আমরা দেখতে পাই না। বাক্-স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে মনে করি। এটা জনস্বার্থের প্রতিফলন করবে না; বরং বাক্-স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের এবং আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডিরেক্টর মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
সব ধরনের ওষুধের মধ্যে দেশে পরিপাকতন্ত্রের জটিলতাবিষয়ক ওষুধ বিক্রিতে রয়েছে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্থানে। সরকারি গবেষণায় উঠে এসেছে, এসব ওষুধ বিক্রির অঙ্ক বছরে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, জনসংখ্যার একটা বিশাল অংশ পরিপাকতন্ত্রের সমস্যায় ভুগছে।
৭ ঘণ্টা আগেবর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই পুলিশকে স্বাধীন ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য পদক্ষেপ নিতে প্রস্তাব দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এ জন্য তাঁরা দ্রুত স্বাধীন কমিশন গঠনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জোর দাবি জানান। পুলিশ সংস্কার কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে ‘স্বাধীন কমিশন’ গঠনের...
৭ ঘণ্টা আগেতিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতিতে নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ দাবি করেন।
৮ ঘণ্টা আগেপ্রশিক্ষণ, সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন এবং গবেষণার মাধ্যমে শ্রম অধিকার, শ্রম নীতিমালা, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক, শ্রম অসন্তোষ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের...
৯ ঘণ্টা আগে