আজাদুল আদনান, ঢাকা
কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েও থামানো যাচ্ছে না করোনার তাণ্ডব। প্রতিদিনই রেকর্ড সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। গতকাল এক দিনে সারা দেশে ১৬৩ জন মারা গেছেন। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ১৬৪। তবে সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে আক্রান্তের সংখ্যা। গতকাল সারা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৫২৫ জন।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, করোনা সংক্রমণ এখন শীর্ষবিন্দুতে। কঠোর বিধিনিষেধ জারি থাকলেও চলমান ঊর্ধ্বমুখী অবস্থা অব্যাহত থাকবে আরও অন্তত দুই সপ্তাহ। এই সময়ে ভাইরাসটির তীব্রতা আরও কয়েক গুণ বাড়তে পারে।
করোনার সংক্রমণ সামনে আরও বেপরোয়া রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন রোগতত্ত্ববিদেরা। নিয়ম অনুযায়ী, ১ জুলাইয়ের সর্বাত্মক লকডাউনের আগের অবস্থার কারণে চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ভয়ংকর রূপ দেখাতে পারে করোনা। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা কমতে থাকবে। বর্তমানে পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে করোনার ভারতীয় ধরন বা ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট। শুধু জুনেই আক্রান্ত ব্যক্তিদের ৭৮ শতাংশই এই ধরনের শিকার হয়েছেন।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন বলছেন, বর্তমানে যে সংক্রমণের উচ্চমাত্রা দেখা যাচ্ছে, বিধিনিষেধের মধ্যেই আগামী কয়েক দিন তা বাড়তে থাকবে। সংক্রমণ বর্তমানে শীর্ষবিন্দুতে রয়েছে। সামনের পরিস্থিতি আরও জটিল হবে। চলতি মাসের মাঝামাঝিতে গিয়ে এটা নামতে পারে।
আজকের পত্রিকাকে ড. মুশতাক বলেন, ‘প্রথম ঢেউয়ের পর দ্বিতীয় ঢেউও আমরা অতিক্রম করেছি। বিধিনিষেধের অষ্টম-দশম দিনে শনাক্ত ও প্রাণহানির হার আরও বাড়বে। বিধিনিষেধের ১৪ দিনে সবচেয়ে বেশি রোগীর দেখা মিলবে সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে। নিষেধাজ্ঞার সময় পেরিয়ে গেলে আশা করি নেমে যাবে। তবে মৃত্যুর হার তিন সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়তে থাকবে। ১৮ জুলাই পর্যন্ত যা স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে ২১ জুলাই থেকে কমার সম্ভাবনা আছে।’
মুশতাক হোসেন বলেন, ‘সামনের ঈদকে ঘিরে ঝুঁকি বাড়ছে। পশুর হাটে অধিক জনসমাগমের চিত্র দেখা যাবে। এতে করে আবারও সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হবে।’
বর্তমানে সংক্রমণের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ঢাকার বাইরের জেলাগুলো। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। ৩৫টি জেলায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) পাশাপাশি অন্তত ৮ জেলায় নেই সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা। এ অবস্থায় অস্থায়ী হাসপাতাল গড়ার বিকল্প নেই জানিয়ে মুশতাক হোসেন বলেন, যেখানে আক্রান্তের হার বেশি সেখানে কমিউনিটি সেন্টার, স্কুল কিংবা খোলা মাঠে দ্রুত অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপন করতে হবে।
জনস্বাস্থ্যবিদ আবু জামিল ফয়সাল বলছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর লকডাউন হলেও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। সবকিছুই চলছে। শহর–গ্রামে কোনো কিছুই থেমে নেই। অন্যদিকে রাজশাহী ও খুলনায় অক্সিজেনের অভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে। আর লকডাউন দিয়েই ক্ষান্ত থাকছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েও থামানো যাচ্ছে না করোনার তাণ্ডব। প্রতিদিনই রেকর্ড সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। গতকাল এক দিনে সারা দেশে ১৬৩ জন মারা গেছেন। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ১৬৪। তবে সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে আক্রান্তের সংখ্যা। গতকাল সারা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৫২৫ জন।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, করোনা সংক্রমণ এখন শীর্ষবিন্দুতে। কঠোর বিধিনিষেধ জারি থাকলেও চলমান ঊর্ধ্বমুখী অবস্থা অব্যাহত থাকবে আরও অন্তত দুই সপ্তাহ। এই সময়ে ভাইরাসটির তীব্রতা আরও কয়েক গুণ বাড়তে পারে।
করোনার সংক্রমণ সামনে আরও বেপরোয়া রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন রোগতত্ত্ববিদেরা। নিয়ম অনুযায়ী, ১ জুলাইয়ের সর্বাত্মক লকডাউনের আগের অবস্থার কারণে চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ভয়ংকর রূপ দেখাতে পারে করোনা। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা কমতে থাকবে। বর্তমানে পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে করোনার ভারতীয় ধরন বা ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট। শুধু জুনেই আক্রান্ত ব্যক্তিদের ৭৮ শতাংশই এই ধরনের শিকার হয়েছেন।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন বলছেন, বর্তমানে যে সংক্রমণের উচ্চমাত্রা দেখা যাচ্ছে, বিধিনিষেধের মধ্যেই আগামী কয়েক দিন তা বাড়তে থাকবে। সংক্রমণ বর্তমানে শীর্ষবিন্দুতে রয়েছে। সামনের পরিস্থিতি আরও জটিল হবে। চলতি মাসের মাঝামাঝিতে গিয়ে এটা নামতে পারে।
আজকের পত্রিকাকে ড. মুশতাক বলেন, ‘প্রথম ঢেউয়ের পর দ্বিতীয় ঢেউও আমরা অতিক্রম করেছি। বিধিনিষেধের অষ্টম-দশম দিনে শনাক্ত ও প্রাণহানির হার আরও বাড়বে। বিধিনিষেধের ১৪ দিনে সবচেয়ে বেশি রোগীর দেখা মিলবে সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে। নিষেধাজ্ঞার সময় পেরিয়ে গেলে আশা করি নেমে যাবে। তবে মৃত্যুর হার তিন সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়তে থাকবে। ১৮ জুলাই পর্যন্ত যা স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে ২১ জুলাই থেকে কমার সম্ভাবনা আছে।’
মুশতাক হোসেন বলেন, ‘সামনের ঈদকে ঘিরে ঝুঁকি বাড়ছে। পশুর হাটে অধিক জনসমাগমের চিত্র দেখা যাবে। এতে করে আবারও সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হবে।’
বর্তমানে সংক্রমণের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ঢাকার বাইরের জেলাগুলো। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। ৩৫টি জেলায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) পাশাপাশি অন্তত ৮ জেলায় নেই সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা। এ অবস্থায় অস্থায়ী হাসপাতাল গড়ার বিকল্প নেই জানিয়ে মুশতাক হোসেন বলেন, যেখানে আক্রান্তের হার বেশি সেখানে কমিউনিটি সেন্টার, স্কুল কিংবা খোলা মাঠে দ্রুত অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপন করতে হবে।
জনস্বাস্থ্যবিদ আবু জামিল ফয়সাল বলছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর লকডাউন হলেও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। সবকিছুই চলছে। শহর–গ্রামে কোনো কিছুই থেমে নেই। অন্যদিকে রাজশাহী ও খুলনায় অক্সিজেনের অভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে। আর লকডাউন দিয়েই ক্ষান্ত থাকছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
নির্বাচনের নামে দেশের জনগণকে তিনবার ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে— এই অভিযোগ তুলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনজন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, একাধিক সাবেক কমিশনার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের
১ সেকেন্ড আগেসরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে থাকা সচিবালয়ের কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে পর্যালোচনা কমিটি। তাঁদের সঙ্গে আগামী বুধবার ফের বৈঠক করবে কমিটি।
১ ঘণ্টা আগেসাক্ষাৎকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যে ভাষাগত, সাংস্কৃতিক ও অভিন্ন মূল্যবোধকেন্দ্রিক আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে, তা অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের ঊর্ধ্বে বলে উল্লেখ করেন। তিনি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
২ ঘণ্টা আগেভোট কারচুপি, সাজানো ও প্রহসনের নির্বাচনের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন...
৩ ঘণ্টা আগে