Ajker Patrika

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হত্যা ও নাশকতা

আ.লীগ সরকারের করা ২৬৫ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন

আমানুর রহমান রনি, ঢাকা 
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২: ১৬
রেলপথ এবং মানুষের চলাচলে বিঘ্ন করে, জনগণকে জিম্মি করে এ কেমন আন্দোলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
রেলপথ এবং মানুষের চলাচলে বিঘ্ন করে, জনগণকে জিম্মি করে এ কেমন আন্দোলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

আওয়ামী লীগের শাসনামলের শেষ পর্যায়ে রাজধানীতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় ডিএমপিভুক্ত এলাকায় করা হত্যা ও নাশকতার ২৮৬টি মামলার মধ্যে ২৬৫টির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ২২৫টি নাশকতার মামলা এবং ৪০টি হত্যা মামলা।

পুলিশের করা নাশকতার মামলায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়েছিল। কোনো কোনো নিহতের পরিবার মামলা করলেও অভিযোগ রয়েছে, সেগুলোর এজাহার নিজেদের ইচ্ছেমতো তৈরি করেছিল পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) বলেছে, অসত্য তথ্য দিয়ে এসব মামলা করা হয়েছিল। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে চেয়েছিল, সেভাবেই মামলা হয়েছে। বিএনপি, জামায়াত এবং কোটাবিরোধী আন্দোলনের নেতা-কর্মীসহ লক্ষাধিক আসামি করা হয়েছিল এসব মামলায়। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে তাঁরা এসব মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার এসব মামলা প্রত্যাহার ও সমাধানের উদ্যোগ নেয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, অসত্য তথ্য দিয়ে ইচ্ছেমতো এসব মামলার আসামি করা হয়েছিল। হতাহতের স্বজনেরা কেবল স্বাক্ষর করতেন। তাই এগুলোর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। মামলাগুলোর বেশির ভাগে জ্ঞাত, অজ্ঞাত—উভয় ধরনের আসামি ছিল। প্রতিটি মামলায় আসামি ছিল ৩৫০ থেকে ৫০০ জন পর্যন্ত। রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীর পাশাপাশি অনেক সাধারণ মানুষও মামলায় অন্তর্ভুক্ত হয়।

ডিএমপি জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে মামলাগুলোর চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তার আলোকে তদন্ত ও পর্যালোচনার পর পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। এতে লক্ষাধিক মানুষ এসব মামলার জটিলতা থেকে মুক্তি পেয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীতে প্রথম নিহতের ঘটনা ঘটে ১৬ জুলাই। সেদিন মিরপুর রোডে হকার শাহজাহান আলীসহ দুজন নিহত হন। শাহজাহানের মা আয়েশা বেগমকে বাদী করে নিউমার্কেট থানায় ১৭ জুলাই হত্যা মামলা করানো হয়। এতে বিএনপি এবং জামায়াতের নেতা ও অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়। মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, কোটাবিরোধী অজ্ঞাতনামা আন্দোলনকারী, জামায়াত-শিবির ও বিএনপির সশস্ত্র লোকজন এক হয়ে শাহজাহানকে আক্রমণ করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গত ১৭ জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত কথিত নাশকতা ও হত্যার ঘটনায় রাজধানীতে করা ২৮৬টি মামলার এজাহারের বক্তব্য প্রায় অভিন্ন। এজাহার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এতে নাশকতা, হত্যা ইত্যাদিতে বিএনপি, জামায়াত এবং তাদের অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতারা জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তাঁদের নির্দেশেই সন্ত্রাসী বা দুষ্কৃতকারীরা পুলিশকে আক্রমণ করে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কর্মসূচিতে সাধারণত পুলিশের পাশাপাশি সরকারি দলের সঙ্গে যুক্ত ছাত্রলীগ, যুবলীগের কর্মীরা হামলা করলেও মামলা হয়েছে উল্টো আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। ২৮৬টি মামলার মধ্যে ৬১টি হত্যা মামলা।

নিহতদের স্বজনেরা এখন অভিযোগ করছেন, এসব এজাহার তাঁরা দেননি। নামীয় ও অজ্ঞাতনামা বিএনপি, জামায়াত ও কোটা আন্দোলনকারীদের সবার নামও তাঁরা জানেন না। সব এজাহার পুলিশ নিজেদের ইচ্ছেমতো দিয়েছে।

ডিএমপির তথ্যানুযায়ী, চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া ২৬৫টি মামলার মধ্যে ৪০টি হত্যা এবং ২২৫টি নাশকতার মামলা। তবে এখনো ২১টি হত্যা মামলা তদন্তাধীন। কয়েকটিতে সংশোধিত ও সম্পূরক এজাহার দিয়ে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়েছে। শীর্ষ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকে ওই সংশোধিত এজাহার অনুযায়ী গ্রেপ্তারও দেখানো হয়েছে। সম্পূরক এজাহারের মধ্যে নিউমার্কেট থানায় শাহজাহান হত্যা মামলা একটি। এ মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে শাহজাহানের মা আয়েশা বেগম বলেন, তাঁর ছেলেকে সরকারি দলের লোকজন হত্যা করেছে। পুলিশ তাকে না জানিয়ে অন্য লোকদের আসামি করেছিল।

একইভাবে গত ১৯ জুলাই পল্টনে রিকশাচালক কামাল মিয়া নিহতের ঘটনায় পরদিন পল্টন থানায় মামলা করেন তাঁর স্ত্রী ফাতেমা খাতুন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২০ আগস্ট সম্পূরক এজাহার দেন বাদী। এতে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আইজিসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা মিলিয়ে ১৩ জনকে আসামি করা হয়। নতুন এজাহারের বিষয়ে জানতে চাইলে ফাতেমা খাতুন বলেন, আগের মামলার বিষয়ে তিনি জানতেন না। এবার ‘জেনে বুঝে’ এজাহার দিয়েছেন।

ডিএমপির জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার উপপুলিশ কমিশনার তালিবুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, কোনো মামলার ঘটনা ও আসামি সত্যি না হলে পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা তা উল্লেখ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। আর যদি সত্যতা পাওয়া যায়, তাহলে সেভাবেই প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এসব মামলার ক্ষেত্রে ভুল আসামি ও ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল। তাই সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মেট্রোরেলের তিন প্যাকেজের চুক্তি বাতিল করতে চায় ডিএমটিসিএল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঠিকাদারদের প্রস্তাবিত দর বেশি হওয়ায় মেট্রোরেলের লাইন ৫-এর একটি ও লাইন ১-এর দুটি প্যাকেজের চুক্তি বাতিল করতে চায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘লাইন ৫-এর একটা ও লাইন ১-এর দুটি প্যাকেজের চুক্তি বাতিল করার জন্য আমরা জানিয়েছি, কারণ, প্যাকেজগুলোর দর অনেক বেশি। আমরা শুধু কন্ট্যাক্ট প্যাকেজগুলোর রিভিউ করছি। প্রকল্প বাতিল করছি না।’

আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে মেট্রোরেলের উত্তরা ডিপোতে রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোডের (আরআরআর) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ।

ফারুক আহমেদ বলেন, ‘এমআরটি লাইন ৫-এর একটি প্যাকেজে এখন পর্যন্ত ঠিকাদারের কাছ থেকে যে দর প্রস্তাব পাওয়া গেছে, তা ডিপিপির প্রাক্কলিত ব্যয় থেকে প্রায় আড়াই শ গুণ বেশি। লাইন ১-এর সবগুলো প্যাকেজেরই ডিপিপি থেকে ৩০ থেকে ৪০ গুণ বেশি দর ধরা হয়েছে। এখন এত বেশি মূল্যে মেট্রো করা উচিত কি না, সে প্রশ্ন আমার-আপনাদের কাছে।’

ফারুক আহমেদ আরও বলেন, ‘লাইন ৫ ও ২—দুটি প্রকল্পেরই সবগুলো প্যাকেজ রিভিউ করা হচ্ছে, ব্যয় কমানোর জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করা হচ্ছে। তবে লাইন ৫-এর একটা ও লাইন ১-এর দুটি প্যাকেজের চুক্তি বাতিল করার জন্য আমরা জানিয়েছি, কারণ, প্যাকেজগুলোর দর অনেক বেশি। আমরা শুধু কন্ট্যাক্ট প্যাকেজগুলোর রিভিউ করছি। প্রকল্প বাতিল করছি না।’

মেট্রোতে মনিটরিং টিম করা হচ্ছে জানিয়ে ডিএমটিসিএল এমডি বলেন, ‘লাইন ১ ও ৫-এর ব্যয় মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এর জন্য একটা শক্তিশালী মনিটরিং টিম তৈরি করা হচ্ছে। তারা শুধু কাজের পারফরম্যান্স, অগ্রগতি ও ব্যয় মনিটরিং করবে। আশা করছি, আগামী বছর থেকে এটা করতে পারব।’

মেট্রোর এমডি নিয়োগের বিষয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমি বাংলাদেশি নাগরিক, আমার যদি এখানে কাজ করার অধিকার না থাকে, অন্য অনেক সংস্থার এমডি-সিও আছে, যারা বিদেশি। আধার কার্ড হলো আইডেন্টি কার্ড। ভারতে যেকোনো বিদেশি থাকতে হলে এ কার্ড নিতে হয়। এটার সঙ্গে নাগরিকত্বের কোনো সম্পর্ক নাই। আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করেছি। বাংলাদেশে আমার নিয়োগ সবচেয়ে স্বচ্ছ হয়েছে।’

মেট্রো বেয়ারিং প্যাড পড়ার তদন্ত কমিটির বিষয়ে এমডি বলেন, ‘তদন্ত কমিটির মেয়াদ আর দুই সপ্তাহের মতো বাড়ানো হয়েছে এবং তদন্ত কমিটিতে তিনজন সদস্য নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দিলে বোঝা যাবে কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছিল। তা ছাড়া আমাদের হাতে কোনো অতিরিক্ত বেয়ারিং প্যাড নেই। নতুন বেয়ারিং প্যাড আনার অর্ডার দেওয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারির মধ্যে চলে আসবে।’

মেট্রোর সাম্প্রতিক সময়ের নিরাপত্তার বিষয়ে এমডি বলেন, ‘মেট্রোর সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সবাইকে স্টেশনে পাঠানো হচ্ছে নজরদারি করার জন্য। মেট্রো স্টেশনে বডি চেক করে ঢোকানো হচ্ছে যাত্রীদের। পুলিশ-আর্মির সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। স্টেশনের নিচে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

মেট্রোর কমলাপুর ট্রেন চালুর বিষয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল ২০২৭ সালের জানুয়ারি মাসে বাণিজ্যিকভাবে চালু হতে পারে। ২০২৬ সালে ট্রায়াল রানসহ বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হবে।

লাইন ৬-এর অপারেশনের বিষয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মেট্রো অপারেশনের ক্ষেত্রে আগে পিক টাইম ছয় মিনিট ছিল, সেটাকে নামিয়ে পাঁচ মিনিট করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের শেষে এটাকে ৪.১৫ মিনিটের মধ্যে আনার চেষ্টা করছি। এর জন্য ট্রায়াল চলছে। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ এক দিনে ৪ লাখ ৮০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে। এটা আগামী দিনে ৫ লাখে যাবে। এ ছাড়া এমআরটি পাস আরও কেনার জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে।’

আলোচনা সভায় ডিএমটিএমএলের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও আরআরআর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ওকে/কবির

ফাইল ছবি

জাতীয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সুপ্রিম কোর্টে সেনা মোতায়েন চেয়ে সেনাসদরে চিঠি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় রায়ের তারিখ ঘোষণা উপলক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় পর্যাপ্তসংখ্যক সেনাসদস্য মোতায়েন করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে সেনাসদরে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সূত্র বলছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও মামলাটির সংবেদনশীলতার কারণে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। এতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি বা নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যার কারণে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যাপ্তসংখ্যক সেনাসদস্য মোতায়েন করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এবার ইসির সীমানার মধ্যে চারটি বোমাসদৃশ বস্তু, ফুটিয়ে পুলিশ বলল ‘পটকা’

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৭
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সীমানার ভেতর থেকে চারটি বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। এতে ইসির কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

এর আগে ইসিতে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছিল।

এ বিষয়ে ইসির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সহিদ আব্দুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন, সকাল ১০টার দিকে চকলেট বোমাসদৃশ চারটি বস্তু দেখা যায়। পরে পুলিশ এসে সেগুলো উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘লাল টেপ মোড়ানো চারটি বোমাসদ্যৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা সেগুলোর বিস্ফোরণ ঘটিয়েছি। বিস্ফোরণের মাত্রা দেখে বুঝেছি, সেগুলো পটকা। এগুলোর শব্দের মাত্রা কম ছিল।’

ওসি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, স্থানীয়ভাবে এগুলো তৈরি। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে কেউ এসব পটকা রেখে গেছে।

জানা গেছে, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশনের বাউন্ডারির ভেতরে চারটি চকলেট বোমা পড়ে ছিল। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সেখানে কাজ করার সময় সেগুলো দেখতে পেয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। পরে শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করে।

এর আগে ২৫ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে ‘ককটেল বিস্ফোরণের’ পর ‘ধাওয়া দিয়ে’ এক যুবককে আটক করার কথা জানায় পুলিশ। এসব ঘটনায় স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানটির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারতীয় দূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব, গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার কথা বলা বন্ধের অনুরোধ

বাসস, ঢাকা  
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ০৬
ভারতীয় দূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব, গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার কথা বলা বন্ধের অনুরোধ

ভারত সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত ও পলাতক নেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশটির মূলধারার গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়ের সুযোগ দেওয়ায় বাংলাদেশ আজ ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার পবন বাদেহকে আনুষ্ঠানিকভাবে তলব করে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় এক উচ্চপদস্থ কূটনৈতিক সূত্র বাসসকে এ খবর জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায় যে, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচারাধীন এক কুখ্যাত পলাতক আসামিকে আশ্রয় দেওয়া এবং তাঁকে বাংলাদেশবিরোধী বিদ্বেষ ছড়ানো ও দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকানি দেওয়ার মতো বক্তব্য প্রচারের সুযোগ করে দেওয়া দুই দেশের গঠনমূলক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য ‘অসহায়ক ও অনভিপ্রেত’।

ভারতীয় কূটনীতিককে অনুরোধ জানানো হয়, যেন তিনি নয়াদিল্লিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার গণমাধ্যমে প্রবেশাধিকার তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করার অনুরোধ পৌঁছে দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত