উচ্চপর্যায়ের কর্মশালা
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

সরকারি প্রকল্পের পরিকল্পনা গ্রহণ থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন শেষ হওয়া পর্যন্ত সময়ে নানা ধাপে অনিয়ম-দুর্নীতি ও সমন্বয়হীনতার অভিযোগ নতুন নয়। এতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রকল্প বাস্তবায়নে কালক্ষেপণ হয়, বেড়ে যায় প্রকল্পের ব্যয়। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রকল্প পরিকল্পনা, অনুমোদন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধানের পথ খুঁজছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এ লক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে উচ্চপর্যায়ের এক কর্মশালার আয়োজন করে সরকার। সাড়ে চার ঘণ্টা চলা ওই কর্মশালায় প্রকল্প বাস্তবায়নের নানা সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। সমস্যা সমাধানে উঠে এসেছে একগুচ্ছ সুপারিশ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উদ্যোগে এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় সরকারের উপদেষ্টাগণ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, সিনিয়র সচিব, সচিব এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন। পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এবং অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ কর্মশালায় চালকের ভূমিকায় ছিলেন। কর্মশালা শেষে সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা সুনির্দিষ্ট প্রকল্প নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা শেষ করায় জোর দিয়েছেন। যোগ্য ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) পুল গঠনসহ সরকারি প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে একগুচ্ছ সুপারিশ করেছেন তাঁরা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ গতকাল সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘কর্মশালায় প্রকল্পবিষয়ক নিয়মকানুনগুলো সম্পর্কে সবাইকে জানানো হয়েছে। যার যতটুকু কনফিউশন বা সমস্যা ছিল সেগুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। উপদেষ্টাসহ কর্মশালায় অংশ নেওয়া সবাই তাদের মতামত দিয়েছেন। প্রকল্প ব্যবস্থাপনা আরও স্মুথ ও স্মার্ট হোক, আমরা সবাই এটা চেয়েছি। এ জন্য এ বিষয়ে যেসব পয়েন্ট উঠে এসেছে, সেসব পয়েন্টের ওপর সবাই কথা বলেছেন।’
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিগত সরকারের সময় রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। অনেক প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা হচ্ছে। কিছু প্রকল্পের কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রকল্পের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪৫৪টি। এসব প্রকল্পের মধ্যে ৬৬৮টি প্রকল্প পরিদর্শন করা হয়েছে। নিবিড় পরিবীক্ষণ করা হয়েছে ৫৫টি। আর প্রভাব মূল্যায়ন করা হয়েছে ২১টির।
গতকালের কর্মশালায় প্রকল্প গ্রহণ থেকে শুরু করে বাস্তবায়নের কোন কোন পর্যায়ে প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা সুবিধা নেওয়ার সুযোগ পান, সেসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া কোনো প্রকল্প অনুমোদনপ্রক্রিয়ায় সরকারি কর্মকর্তারা আইন-বিধি অনুযায়ী কেন আপত্তি জানান না, সেসব নিয়েও কথা হয়েছে। উপদেষ্টারা ও বিশেষ সহকারীরা এ বিষয়ে তাঁদের মতামত দিয়েছেন। আইন ও বিধিতে কোনো ফাঁক থাকলে সেগুলো দূর করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আওয়ামী লীগ আমলে বঞ্চিত কেউ কেউ একসঙ্গে চারটি পদোন্নতি পেয়ে সচিব হয়েছেন। কোনো কোনো কর্মকর্তা দুটি, কেউ কেউ তিনটি পদোন্নতি পেয়ে যুগ্ম সচিব বা অতিরিক্ত সচিব হয়েছেন। সরকারের নীতিনির্ধারণী বিষয়গুলোর সঙ্গে তাঁদের কাজের তেমন অভিজ্ঞতা নেই। ফলে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে প্রকল্প থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে কীভাবে তদারকি করতে হয়, সে বিষয়ে কর্মশালায় তাঁদের সার্বিক ধারণা দেওয়া হয়েছে।
কর্মশালায় অংশ নেওয়া একজন কর্মকর্তা জানান, বড় প্রকল্পগুলোতে অনিয়ম-দুর্নীতি করতে অনেক সময় পছন্দের ব্যক্তিকে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। যেকোনো কর্মকর্তাকে চাইলেই যাতে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিতে না পারে, কর্মশালায় সেই পথ বন্ধ করার সুপারিশ এসেছে। এ জন্য যোগ্য ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের নিয়ে পিডি পুল করে পুলভুক্তদের ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট, প্রকিউরমেন্ট ম্যানেজমেন্ট এবং প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট-বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থার সুপারিশ এসেছে।
চিহ্নিত হয়েছে যেসব সমস্যা
প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে একটি সমস্যার কথা প্রায় শোনা যায়। তা হলো যথাযথ সম্ভাব্যতার সমীক্ষা না করেই প্রকল্প গ্রহণ। গতকালের কর্মশালাতেও এই সমস্যাটি উঠে এসেছে। অংশীদারদের পরামর্শ না থাকা, ভৌত কাজের যথাযথ এবং স্ট্রাকচারাল ডিজাইন না থাকায় প্রকল্প বাস্তবায়ন পর্যায়ে সমস্যা দেখা দেয় বলে এতে জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া প্রকল্পের সঠিক লজিক্যাল ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়ন না করা, প্রকল্প প্রাক্কলনে অযৌক্তিক ব্যয় নির্ধারণ, পরিবেশগত বিষয় বিবেচনায় না নেওয়া, মাস্টারপ্ল্যান অনুসরণ না করা, পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ওপর অধিক মাত্রায় নির্ভরশীলতাকে সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
চিহ্নিত হওয়া অন্য সমস্যাগুলোর মধ্যে আছে—পূর্ণকালীন প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ না করা, একই ব্যক্তির একাধিক প্রকল্পে দায়িত্ব পালন, অভিজ্ঞ প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ না করা, ঘনঘন প্রকল্প পরিচালক বদলি, ভূমি অধিগ্রহণ এবং ইউটিলিটি সার্ভিস শিফটিং-সংক্রান্ত সমন্বয়হীনতা, প্রকল্পের এক্সটার্নাল অডিট নিয়মিত না হওয়া এবং বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সম্মতি পেতে বিলম্ব হওয়া।
এ ছাড়া প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্বীকৃত মডেল ব্যবহার না করা, পিইসি বা ডিপিইসির সভায় আইএমইডির প্রতিনিধির মতামত যথাযথভাবে প্রতিফলন না হওয়া; প্রকল্পের ওয়ার্কপ্ল্যান এবং প্রকিউরমেন্ট যথাযথভাবে প্রণয়ন, সঠিকভাবে অনুসরণ ও মনিটরিং না করাকেও সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এর বাইরে ব্যয় না বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব যথাসময়ে না পাওয়া, আইএমইডির ই-পিএমআইএস সফটওয়্যারে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সব তথ্য যথাসময়ে আপলোড না করা, যথাসময়ে প্রকল্প সমাপ্তির প্রতিবেদন আইএমইডিতে দাখিল না করা, সমাপ্ত প্রকল্পের আওতায় সৃষ্ট অবকাঠামো ও সংগৃহীত যন্ত্রপাতি যথাযথভাবে সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ না করা, প্রকল্পবিশেষ জনবলের সংস্থান না থাকা এবং যথাসময়ে জনবল নিয়োগ না করাকে সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সমাধানের পথ
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলো সমাধানে বেশ কিছু সুপারিশও উঠে এসেছে গতকালের উচ্চপর্যায়ের কর্মশালায়। বাস্তুগত বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা; মাস্টারপ্ল্যান অনুসরণ করে নির্মাণবিষয়ক ড্রয়িং ডিজাইন করা; সংস্থার সক্ষমতা বিবেচনা করে যুক্তিসংগতভাবে প্রকল্প গ্রহণ এবং প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট কম্পোনেন্ট রাখা, প্রস্তাবিত প্রকল্প দলিলের সংযোজনীতে কী প্রক্রিয়ায় মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে, তা তুলে ধরার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রকল্প সমাপ্তির তিন মাসের মধ্যে পিসিআর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ কর্তৃক আইএমইডিতে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করা, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বাজেটের অধীন প্রকল্পের আওতায় সৃষ্ট অবকাঠামো এবং সংগৃহীত যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রকল্পের সুফল টেকসই করার লক্ষ্যে জনবল কাঠামো অনুমোদন ও প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগে সংস্থা কর্তৃক যথাসময়ে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ এসেছে। ভূমি অধিগ্রহণ এবং ইউটিলিটি সার্ভিস শিফটিং-সংক্রান্ত পৃথক প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা এবং সেসব সমাধানের আলোচনা-পর্যালোচনার পর কর্মশালায় প্রকল্প নেওয়ার আগে টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করে পরিকল্পনা বিভাগের গাইডলাইন মোতাবেক সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রস্তুতির ব্যবস্থা করার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক নিয়োগসংক্রান্ত পরিপত্র অনুযায়ী পরিচালক নিয়োগ, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে পিডি পুল গঠন করা এবং পুলভুক্ত কর্মকর্তাদের ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট, প্রকিউরমেন্ট ম্যানেজমেন্ট ও প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট-বিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ; প্রকল্প বাস্তবায়নে নিবিড় মনিটর নিশ্চিত করা; আইএমইডির ই-পিএমআইএস সফটওয়্যারে সব প্রকল্পের তথ্য হালনাগাদ নিশ্চিত করা; প্রকল্পের পিএলসি ও পিআইসি সভা করা ও সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন মনিটরিং করা এবং প্রকল্প শেষ হওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে টেকসইকরণের জন্য সাংগঠনিক কাঠামো এবং জনবল নিয়োগের বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সুপারিশ উঠে এসেছে কর্মশালায়।
এতে অংশ নেওয়া একজন কর্মকর্তা বলেন, উচ্চপর্যায়ের কর্মশালা থেকে যেসব সুপারিশ এসেছে, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে সেগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সহযোগিতা নেবে তারা। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সমস্যার সমাধানে কোন কোন সরকারি দপ্তরকে কী কী কাজ করতে হবে, সেগুলো নির্ধারণ করে দিয়ে দ্রুত তা সমাধানের নির্দেশনা দেওয়া হবে।

সরকারি প্রকল্পের পরিকল্পনা গ্রহণ থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন শেষ হওয়া পর্যন্ত সময়ে নানা ধাপে অনিয়ম-দুর্নীতি ও সমন্বয়হীনতার অভিযোগ নতুন নয়। এতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রকল্প বাস্তবায়নে কালক্ষেপণ হয়, বেড়ে যায় প্রকল্পের ব্যয়। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রকল্প পরিকল্পনা, অনুমোদন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধানের পথ খুঁজছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এ লক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে উচ্চপর্যায়ের এক কর্মশালার আয়োজন করে সরকার। সাড়ে চার ঘণ্টা চলা ওই কর্মশালায় প্রকল্প বাস্তবায়নের নানা সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। সমস্যা সমাধানে উঠে এসেছে একগুচ্ছ সুপারিশ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উদ্যোগে এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় সরকারের উপদেষ্টাগণ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, সিনিয়র সচিব, সচিব এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন। পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এবং অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ কর্মশালায় চালকের ভূমিকায় ছিলেন। কর্মশালা শেষে সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা সুনির্দিষ্ট প্রকল্প নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা শেষ করায় জোর দিয়েছেন। যোগ্য ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) পুল গঠনসহ সরকারি প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে একগুচ্ছ সুপারিশ করেছেন তাঁরা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ গতকাল সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘কর্মশালায় প্রকল্পবিষয়ক নিয়মকানুনগুলো সম্পর্কে সবাইকে জানানো হয়েছে। যার যতটুকু কনফিউশন বা সমস্যা ছিল সেগুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। উপদেষ্টাসহ কর্মশালায় অংশ নেওয়া সবাই তাদের মতামত দিয়েছেন। প্রকল্প ব্যবস্থাপনা আরও স্মুথ ও স্মার্ট হোক, আমরা সবাই এটা চেয়েছি। এ জন্য এ বিষয়ে যেসব পয়েন্ট উঠে এসেছে, সেসব পয়েন্টের ওপর সবাই কথা বলেছেন।’
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিগত সরকারের সময় রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। অনেক প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা হচ্ছে। কিছু প্রকল্পের কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রকল্পের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪৫৪টি। এসব প্রকল্পের মধ্যে ৬৬৮টি প্রকল্প পরিদর্শন করা হয়েছে। নিবিড় পরিবীক্ষণ করা হয়েছে ৫৫টি। আর প্রভাব মূল্যায়ন করা হয়েছে ২১টির।
গতকালের কর্মশালায় প্রকল্প গ্রহণ থেকে শুরু করে বাস্তবায়নের কোন কোন পর্যায়ে প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা সুবিধা নেওয়ার সুযোগ পান, সেসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া কোনো প্রকল্প অনুমোদনপ্রক্রিয়ায় সরকারি কর্মকর্তারা আইন-বিধি অনুযায়ী কেন আপত্তি জানান না, সেসব নিয়েও কথা হয়েছে। উপদেষ্টারা ও বিশেষ সহকারীরা এ বিষয়ে তাঁদের মতামত দিয়েছেন। আইন ও বিধিতে কোনো ফাঁক থাকলে সেগুলো দূর করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আওয়ামী লীগ আমলে বঞ্চিত কেউ কেউ একসঙ্গে চারটি পদোন্নতি পেয়ে সচিব হয়েছেন। কোনো কোনো কর্মকর্তা দুটি, কেউ কেউ তিনটি পদোন্নতি পেয়ে যুগ্ম সচিব বা অতিরিক্ত সচিব হয়েছেন। সরকারের নীতিনির্ধারণী বিষয়গুলোর সঙ্গে তাঁদের কাজের তেমন অভিজ্ঞতা নেই। ফলে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে প্রকল্প থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে কীভাবে তদারকি করতে হয়, সে বিষয়ে কর্মশালায় তাঁদের সার্বিক ধারণা দেওয়া হয়েছে।
কর্মশালায় অংশ নেওয়া একজন কর্মকর্তা জানান, বড় প্রকল্পগুলোতে অনিয়ম-দুর্নীতি করতে অনেক সময় পছন্দের ব্যক্তিকে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। যেকোনো কর্মকর্তাকে চাইলেই যাতে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিতে না পারে, কর্মশালায় সেই পথ বন্ধ করার সুপারিশ এসেছে। এ জন্য যোগ্য ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের নিয়ে পিডি পুল করে পুলভুক্তদের ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট, প্রকিউরমেন্ট ম্যানেজমেন্ট এবং প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট-বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থার সুপারিশ এসেছে।
চিহ্নিত হয়েছে যেসব সমস্যা
প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে একটি সমস্যার কথা প্রায় শোনা যায়। তা হলো যথাযথ সম্ভাব্যতার সমীক্ষা না করেই প্রকল্প গ্রহণ। গতকালের কর্মশালাতেও এই সমস্যাটি উঠে এসেছে। অংশীদারদের পরামর্শ না থাকা, ভৌত কাজের যথাযথ এবং স্ট্রাকচারাল ডিজাইন না থাকায় প্রকল্প বাস্তবায়ন পর্যায়ে সমস্যা দেখা দেয় বলে এতে জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া প্রকল্পের সঠিক লজিক্যাল ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়ন না করা, প্রকল্প প্রাক্কলনে অযৌক্তিক ব্যয় নির্ধারণ, পরিবেশগত বিষয় বিবেচনায় না নেওয়া, মাস্টারপ্ল্যান অনুসরণ না করা, পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ওপর অধিক মাত্রায় নির্ভরশীলতাকে সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
চিহ্নিত হওয়া অন্য সমস্যাগুলোর মধ্যে আছে—পূর্ণকালীন প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ না করা, একই ব্যক্তির একাধিক প্রকল্পে দায়িত্ব পালন, অভিজ্ঞ প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ না করা, ঘনঘন প্রকল্প পরিচালক বদলি, ভূমি অধিগ্রহণ এবং ইউটিলিটি সার্ভিস শিফটিং-সংক্রান্ত সমন্বয়হীনতা, প্রকল্পের এক্সটার্নাল অডিট নিয়মিত না হওয়া এবং বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সম্মতি পেতে বিলম্ব হওয়া।
এ ছাড়া প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্বীকৃত মডেল ব্যবহার না করা, পিইসি বা ডিপিইসির সভায় আইএমইডির প্রতিনিধির মতামত যথাযথভাবে প্রতিফলন না হওয়া; প্রকল্পের ওয়ার্কপ্ল্যান এবং প্রকিউরমেন্ট যথাযথভাবে প্রণয়ন, সঠিকভাবে অনুসরণ ও মনিটরিং না করাকেও সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এর বাইরে ব্যয় না বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব যথাসময়ে না পাওয়া, আইএমইডির ই-পিএমআইএস সফটওয়্যারে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সব তথ্য যথাসময়ে আপলোড না করা, যথাসময়ে প্রকল্প সমাপ্তির প্রতিবেদন আইএমইডিতে দাখিল না করা, সমাপ্ত প্রকল্পের আওতায় সৃষ্ট অবকাঠামো ও সংগৃহীত যন্ত্রপাতি যথাযথভাবে সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ না করা, প্রকল্পবিশেষ জনবলের সংস্থান না থাকা এবং যথাসময়ে জনবল নিয়োগ না করাকে সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সমাধানের পথ
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলো সমাধানে বেশ কিছু সুপারিশও উঠে এসেছে গতকালের উচ্চপর্যায়ের কর্মশালায়। বাস্তুগত বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা; মাস্টারপ্ল্যান অনুসরণ করে নির্মাণবিষয়ক ড্রয়িং ডিজাইন করা; সংস্থার সক্ষমতা বিবেচনা করে যুক্তিসংগতভাবে প্রকল্প গ্রহণ এবং প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট কম্পোনেন্ট রাখা, প্রস্তাবিত প্রকল্প দলিলের সংযোজনীতে কী প্রক্রিয়ায় মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে, তা তুলে ধরার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রকল্প সমাপ্তির তিন মাসের মধ্যে পিসিআর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ কর্তৃক আইএমইডিতে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করা, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বাজেটের অধীন প্রকল্পের আওতায় সৃষ্ট অবকাঠামো এবং সংগৃহীত যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রকল্পের সুফল টেকসই করার লক্ষ্যে জনবল কাঠামো অনুমোদন ও প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগে সংস্থা কর্তৃক যথাসময়ে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ এসেছে। ভূমি অধিগ্রহণ এবং ইউটিলিটি সার্ভিস শিফটিং-সংক্রান্ত পৃথক প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা এবং সেসব সমাধানের আলোচনা-পর্যালোচনার পর কর্মশালায় প্রকল্প নেওয়ার আগে টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করে পরিকল্পনা বিভাগের গাইডলাইন মোতাবেক সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রস্তুতির ব্যবস্থা করার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক নিয়োগসংক্রান্ত পরিপত্র অনুযায়ী পরিচালক নিয়োগ, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে পিডি পুল গঠন করা এবং পুলভুক্ত কর্মকর্তাদের ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট, প্রকিউরমেন্ট ম্যানেজমেন্ট ও প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট-বিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ; প্রকল্প বাস্তবায়নে নিবিড় মনিটর নিশ্চিত করা; আইএমইডির ই-পিএমআইএস সফটওয়্যারে সব প্রকল্পের তথ্য হালনাগাদ নিশ্চিত করা; প্রকল্পের পিএলসি ও পিআইসি সভা করা ও সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন মনিটরিং করা এবং প্রকল্প শেষ হওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে টেকসইকরণের জন্য সাংগঠনিক কাঠামো এবং জনবল নিয়োগের বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সুপারিশ উঠে এসেছে কর্মশালায়।
এতে অংশ নেওয়া একজন কর্মকর্তা বলেন, উচ্চপর্যায়ের কর্মশালা থেকে যেসব সুপারিশ এসেছে, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে সেগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সহযোগিতা নেবে তারা। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সমস্যার সমাধানে কোন কোন সরকারি দপ্তরকে কী কী কাজ করতে হবে, সেগুলো নির্ধারণ করে দিয়ে দ্রুত তা সমাধানের নির্দেশনা দেওয়া হবে।

পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া
১৪ মিনিট আগে
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
৩ ঘণ্টা আগে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মহান বিজয় দিবসের ৫৪তম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে ৫৪টি জাতীয় পতাকা উড়িয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ৫৪ জন প্যারাট্রুপার। এই দলে থাকবেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে স্কাই ডাইভিং করবেন তিনি।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানাই।’
এদিন একই পেজে দেওয়া আরেক পোস্টে বলা হয়, ‘এই বিজয় দিবসে চলে আসুন দলে দলে, এক অবিস্মরণীয় এয়ার শো দেখতে। বিজয়ের ৫৪তম বছরে, ৫৪ জন প্যারাট্রুপার, ৫৪টি জাতীয় পতাকা হাতে বিমান থেকে অবতরণ করবেন, গড়বেন বিশ্ব রেকর্ড। এয়ার শো উপভোগ করতে ব্যবহার করবেন আইডিবির উল্টো পাশের তালতলা গেট। গেট খোলা হবে ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৮টায়। ১০টার মধ্যেই সবাইকে নির্ধারিত স্থানে সমবেত হওয়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং গত সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে স্বাধীনতার ৫৪ বছর উদ্যাপনে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার পতাকা হাতে স্কাই ডাইভিং করবেন। এটি হবে বিশ্বের বুকে সর্বাধিক পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং, যা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়বে।

মহান বিজয় দিবসের ৫৪তম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে ৫৪টি জাতীয় পতাকা উড়িয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ৫৪ জন প্যারাট্রুপার। এই দলে থাকবেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে স্কাই ডাইভিং করবেন তিনি।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানাই।’
এদিন একই পেজে দেওয়া আরেক পোস্টে বলা হয়, ‘এই বিজয় দিবসে চলে আসুন দলে দলে, এক অবিস্মরণীয় এয়ার শো দেখতে। বিজয়ের ৫৪তম বছরে, ৫৪ জন প্যারাট্রুপার, ৫৪টি জাতীয় পতাকা হাতে বিমান থেকে অবতরণ করবেন, গড়বেন বিশ্ব রেকর্ড। এয়ার শো উপভোগ করতে ব্যবহার করবেন আইডিবির উল্টো পাশের তালতলা গেট। গেট খোলা হবে ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৮টায়। ১০টার মধ্যেই সবাইকে নির্ধারিত স্থানে সমবেত হওয়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং গত সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে স্বাধীনতার ৫৪ বছর উদ্যাপনে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার পতাকা হাতে স্কাই ডাইভিং করবেন। এটি হবে বিশ্বের বুকে সর্বাধিক পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং, যা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়বে।

সরকারি প্রকল্পের পরিকল্পনা গ্রহণ থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন শেষ হওয়া পর্যন্ত সময়ে নানা ধাপে অনিয়ম-দুর্নীতি ও সমন্বয়হীনতার অভিযোগ নতুন নয়। এতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রকল্প বাস্তবায়নে কালক্ষেপণ হয়, বেড়ে যায় প্রকল্পের ব্যয়। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রকল্প পরিকল্পনা, অনুমোদন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার সমস্যা...
২০ আগস্ট ২০২৫
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
৩ ঘণ্টা আগে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল সরবরাহ করবে পুলিশ।
আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।
এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল সরবরাহ করবে পুলিশ।
আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।
এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

সরকারি প্রকল্পের পরিকল্পনা গ্রহণ থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন শেষ হওয়া পর্যন্ত সময়ে নানা ধাপে অনিয়ম-দুর্নীতি ও সমন্বয়হীনতার অভিযোগ নতুন নয়। এতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রকল্প বাস্তবায়নে কালক্ষেপণ হয়, বেড়ে যায় প্রকল্পের ব্যয়। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রকল্প পরিকল্পনা, অনুমোদন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার সমস্যা...
২০ আগস্ট ২০২৫
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া
১৪ মিনিট আগে
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
৩ ঘণ্টা আগে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ রোববার সকালে প্রণয় ভার্মাকে তলব করে দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অব্যাহত উসকানিমূলক বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্বেগের বিষয়টিও জানিয়ে দেওয়া হয়।
গত শুক্রবার ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের সমর্থক ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তিনি এখনো সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। ওসমান হাদিকে গুলিবর্ষণকারী ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওসমান হাদি হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রতিরোধে ভারতের সহযোগিতাও কামনা করা হয়েছে। তাঁরা যদি ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে সক্ষমও হন, তবে তাঁদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানানো হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। জুলাই আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে গত ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর তাঁকে ফেরত দিতে নয়াদিল্লিকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। তবে তাতে দিল্লির কোনো সাড়া মেলেনি। তা ছাড়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি বন্ধ করার আহ্বানে সাড়া দেয়নি ভারত।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরও শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি অব্যাহত রয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে আবার ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করা হলো। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তাঁকে ডেকে নিয়ে সরকারের পক্ষে উদ্বেগ তুলে ধরেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।
ভারতের হাইকমিশনারকে বলা হয়, পলাতক শেখ হাসিনাকে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, যার মাধ্যমে তিনি তাঁর সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসন্ন নির্বাচন বানচালে প্ররোচিত করছেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পলাতক নেতা–কর্মীরা ভারতে বসে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন বানচালে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও প্রণয় ভার্মাকে জানানো হয়। এসব সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও জানানো হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত শেখ হাসিনা,ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও আবার জানানো হয় ভারতের হাইকমিশনারকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা প্রকাশ করেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবে ভারত সরকার। ভারতের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এমন প্রত্যাশা ভারতের রয়েছে এবং এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে তাঁর দেশ প্রস্তুত।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ রোববার সকালে প্রণয় ভার্মাকে তলব করে দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অব্যাহত উসকানিমূলক বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্বেগের বিষয়টিও জানিয়ে দেওয়া হয়।
গত শুক্রবার ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের সমর্থক ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তিনি এখনো সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। ওসমান হাদিকে গুলিবর্ষণকারী ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওসমান হাদি হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রতিরোধে ভারতের সহযোগিতাও কামনা করা হয়েছে। তাঁরা যদি ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে সক্ষমও হন, তবে তাঁদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানানো হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। জুলাই আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে গত ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর তাঁকে ফেরত দিতে নয়াদিল্লিকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। তবে তাতে দিল্লির কোনো সাড়া মেলেনি। তা ছাড়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি বন্ধ করার আহ্বানে সাড়া দেয়নি ভারত।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরও শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি অব্যাহত রয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে আবার ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করা হলো। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তাঁকে ডেকে নিয়ে সরকারের পক্ষে উদ্বেগ তুলে ধরেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।
ভারতের হাইকমিশনারকে বলা হয়, পলাতক শেখ হাসিনাকে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, যার মাধ্যমে তিনি তাঁর সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসন্ন নির্বাচন বানচালে প্ররোচিত করছেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পলাতক নেতা–কর্মীরা ভারতে বসে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন বানচালে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও প্রণয় ভার্মাকে জানানো হয়। এসব সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও জানানো হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত শেখ হাসিনা,ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও আবার জানানো হয় ভারতের হাইকমিশনারকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা প্রকাশ করেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবে ভারত সরকার। ভারতের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এমন প্রত্যাশা ভারতের রয়েছে এবং এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে তাঁর দেশ প্রস্তুত।

সরকারি প্রকল্পের পরিকল্পনা গ্রহণ থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন শেষ হওয়া পর্যন্ত সময়ে নানা ধাপে অনিয়ম-দুর্নীতি ও সমন্বয়হীনতার অভিযোগ নতুন নয়। এতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রকল্প বাস্তবায়নে কালক্ষেপণ হয়, বেড়ে যায় প্রকল্পের ব্যয়। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রকল্প পরিকল্পনা, অনুমোদন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার সমস্যা...
২০ আগস্ট ২০২৫
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া
১৪ মিনিট আগে
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।
১ ঘণ্টা আগে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যেন বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করা হয়।
একই সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং তাঁরা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাঁদের যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করে।
আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের কাছে এসব অনুরোধ জানানো হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন অনতিবিলম্বে তাঁর এবং ভারতে পলাতক তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের এসব ফ্যাসিস্ট টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল পুলিশ সরবরাহ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী ও তাঁর সহযোগীদের পুলিশ এরই মধ্যে শনাক্ত করেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য হামলার দিন রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ এরই মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।
এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে এরই মধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যেন বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করা হয়।
একই সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং তাঁরা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাঁদের যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করে।
আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের কাছে এসব অনুরোধ জানানো হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন অনতিবিলম্বে তাঁর এবং ভারতে পলাতক তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের এসব ফ্যাসিস্ট টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল পুলিশ সরবরাহ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী ও তাঁর সহযোগীদের পুলিশ এরই মধ্যে শনাক্ত করেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য হামলার দিন রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ এরই মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।
এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে এরই মধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

সরকারি প্রকল্পের পরিকল্পনা গ্রহণ থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন শেষ হওয়া পর্যন্ত সময়ে নানা ধাপে অনিয়ম-দুর্নীতি ও সমন্বয়হীনতার অভিযোগ নতুন নয়। এতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রকল্প বাস্তবায়নে কালক্ষেপণ হয়, বেড়ে যায় প্রকল্পের ব্যয়। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রকল্প পরিকল্পনা, অনুমোদন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার সমস্যা...
২০ আগস্ট ২০২৫
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া
১৪ মিনিট আগে
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
৩ ঘণ্টা আগে