শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা

বৃহস্পতিবার বইমেলায় ঢুকতেই চোখে পড়ল একদল তরুণ-তরুণী। মেয়েদের মাথায় ফুলের টায়রা, পরনে হলুদ-লাল শাড়ি। হাতে জড়ানো হলুদ গাঁদা ফুলের মালা। কারও মুঠোয় লাল গোলাপ কিংবা জারবেরার তোড়া। ছেলেদের কারও কারও পরনে পাঞ্জাবি। নানাভাবে পোজ দিয়ে ছবি তুলছিলেন উচ্ছ্বল ওই তরুণ-তরুণীরা।
আজ বসন্ত ঋতুর প্রথম মাস ফাল্গুনের প্রথম দিন। গতকাল ছিল মাঘের শেষ। এক দিন আগেই কাল বইমেলায় বয়ে গেল ফাগুন হাওয়া। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আফসান হাসান তাঁর বন্ধুর ছবি তুলে দিচ্ছিলেন। বললেন, ‘আমরা উৎসব পছন্দ করি। ঘুরে বেড়াতে ভালো লাগে। বইমেলায় সেই আনন্দ আরও বেশি হয়। বসন্ত আসবে ঘুরতে বের হব না, তা তো হয় না।’
বর্ণিল পোশাক পরে মেলায় ঘোরাঘুরি করা ফুর্তিবাজদের অনেককে বইও কিনতে দেখা গেছে কাল। কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী জারিন তাবাসসুমের হাতে রকিব হাসানের রহস্য-রোমাঞ্চের বই ‘লাল পাহাড়ের আতংক’। বান্ধবীদের বলছিলেন জারিন, এ বইটা শেষ হলেই রকিব হাসানের সব বই পড়ে ফেলা হবে তাঁর। রহস্য-রোমাঞ্চ আর অ্যাডভেঞ্চার কাহিনি তাঁর কতটা পছন্দ–এ কথাতেই স্পষ্ট।
ফরিদপুর থেকে এসেছেন তিন বন্ধু দেবাশীষ কর, তামিম হাসান আর হাসিবুল ইসলাম। সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র সবাই। তিন বন্ধু জানালেন, ধ্রুপদি সাহিত্যের কয়েকটি কিনেছেন তাঁরা। তার মধ্যে বিভূতিভূষণ, জীবনানন্দ দাশের বই আছে। এ ছাড়া চলচ্চিত্রের কৃতী মানুষ মৃণাল সেন ও চার্লি চ্যাপলিনকে নিয়ে বই কিনেছেন। বই আর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের অন্যরকম পরিবেশ–এ দুয়ের টানে দূর হলেও মেলায় আসেন তাঁরা।
গতকাল বইমেলায় ভিড় খুব একটা ছিল না। তবে দর্শনার্থীদের মধ্যে তরুণদের সংখ্যা ছিল বেশি। বই কতটা বিক্রি হচ্ছে তার খবর জানালেন ইউপিএলের বিক্রয়কর্মী নুরুল ইসলাম। বললেন, ‘মোটামুটি বিক্রি হচ্ছে। বেশির ভাগই তো ছবি তোলে, খাওয়াদাওয়া করে চলে যায়। বই কেনার পাঠক আলাদা। তাদের কম দেখতে পাচ্ছি আজ।’
নতুন বইয়ের খোঁজে
সিরাজ সিকদার বাংলাদেশে কট্টর বামপন্থী রাজনীতির এক আলোচিত চরিত্র। ১৯৬৮ সালে পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। তখনকার অতি দুর্গম পার্বত্য চট্টগ্রামে ছিল সিরাজ সিকদার এবং তাঁর সংগ্রামী তৎপরতার এক অজানা অধ্যায়। সেই অধ্যায়কেই পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টির তিন সদস্য সুদত্ত বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা, অনন্ত সিংহ ও অং চিং। ‘পাহাড়ের লাল আখ্যান: পার্বত্য চট্টগ্রামে সিরাজ সিকদার ও পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি’ নামের এই বই প্রকাশ করেছে আদর্শ।
দেশভাগ পরবর্তী বাংলার সাত কবির কাব্য ভাষা নির্মাণ আর তাঁদের শিল্প-সাহিত্যের পথচলা নিয়ে ‘আড়ে বিভঙ্গে বিচার’ নামের বইতে আলোচনা করেছেন আবুল ফজল। বইটিতে আলোচিত কবিরা হলেন শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়, শঙ্খ ঘোষ, অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, বিনয় মজুমদার ও উৎপলকুমার বসু। প্রকাশ করেছে কথাপ্রকাশ।
পারিবারিকভাবে সংগীত শিক্ষা এবং গুরুশিষ্য পরম্পরায় সংগীতের তালিম নিয়ে রীনাত ফওজিয়ার বই ‘গুরুশিষ্য পরম্পরায় ওস্তাদ খুরশিদ খান’ প্রকাশ করেছে মেঘদূত প্রকাশনী। সেতার শিল্পী রীনাত ফওজিয়া সংগীতের তালিম নিয়েছেন ফুফাতো ভাই ওস্তাদ খুরশিদ খানের কাছে। ওস্তাদ খুরশিদ খান প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ আয়েত আলী খানের নাতি।
গতকাল মেলায় নতুন বই এসেছে ৮৫টি। এ পর্যন্ত মোট বই প্রকাশিত হয়েছে ১ হাজার ২টি।
আয়োজন
গতকাল মূলমঞ্চে ছিল ‘ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থান : প্রেক্ষাপট ও অভিমুখ’ শীর্ষক আলোচনা। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সারোয়ার তুষার। আলোচনা করেন যোবায়ের আল মাহমুদ এবং নুসরাত সাবিনা চৌধুরী। সভাপতি ছিলেন মাহবুব মোর্শেদ।
সারোয়ার তুষার বলেন, এ অঞ্চলের প্রত্যেকটি ঐতিহাসিক পর্বে ছাত্রসমাজ এগিয়ে এসেছে এবং রাজনৈতিক পরিণতির অভিমুখ নির্ধারণ করেছে। বৃহত্তর জনগণ ছাত্রশক্তির ডাকে সাড়া দিয়েছে এবং গণ-অভ্যুত্থান সৃষ্টি করেছে। জুলাই অভ্যুত্থানের বিজয়ী ছাত্রশক্তি এ ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন। তাই এবার তারা রাষ্ট্র ও সাংবিধানিক ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন করতে চায়।
লেখক বলছি মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি ফাতিমা তামান্না এবং কবি মুহাম্মদ আবদুল বাতেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী রবিউল আলম ও নাসিম আহমেদ। গতকাল ছিল শাকিল আহমেদের পরিচালনায় ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবৃত্তি সংসদ’ এবং সারমিন ইসলাম জুঁইয়ের পরিচালনায় আবৃত্তি সংগঠন ‘ঋদ্ধস্বর আবৃত্তি একাডেমি’র পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী ফেরদৌস আরা, অনন্যা আচার্য, ফাহমি ফেরদৌস, ফারহানা শিরিন, সঞ্জয় কবিরাজ, নিপা ভট্টাচার্য, ইন্দিরা রুদ্র এবং কাজী মুয়ীদ শাহরিয়ার সিরাজ জয়।
আজ শুক্রবার অমর একুশে বইমেলার ১৪তম দিনে মেলা শুরু হবে বেলা ১১টায়। শবে বরাত উপলক্ষে রাত ৯টার পরিবর্তে মেলা চলবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। আজ বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘স্মরণ: আহমদ ছফা’ শীর্ষক আলোচনা। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন তাহমিদাল জামি। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন নূরুল আনোয়ার এবং সাজ্জাদ শরিফ। সভাপতিত্ব করবেন সলিমুল্লাহ খান।

বৃহস্পতিবার বইমেলায় ঢুকতেই চোখে পড়ল একদল তরুণ-তরুণী। মেয়েদের মাথায় ফুলের টায়রা, পরনে হলুদ-লাল শাড়ি। হাতে জড়ানো হলুদ গাঁদা ফুলের মালা। কারও মুঠোয় লাল গোলাপ কিংবা জারবেরার তোড়া। ছেলেদের কারও কারও পরনে পাঞ্জাবি। নানাভাবে পোজ দিয়ে ছবি তুলছিলেন উচ্ছ্বল ওই তরুণ-তরুণীরা।
আজ বসন্ত ঋতুর প্রথম মাস ফাল্গুনের প্রথম দিন। গতকাল ছিল মাঘের শেষ। এক দিন আগেই কাল বইমেলায় বয়ে গেল ফাগুন হাওয়া। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আফসান হাসান তাঁর বন্ধুর ছবি তুলে দিচ্ছিলেন। বললেন, ‘আমরা উৎসব পছন্দ করি। ঘুরে বেড়াতে ভালো লাগে। বইমেলায় সেই আনন্দ আরও বেশি হয়। বসন্ত আসবে ঘুরতে বের হব না, তা তো হয় না।’
বর্ণিল পোশাক পরে মেলায় ঘোরাঘুরি করা ফুর্তিবাজদের অনেককে বইও কিনতে দেখা গেছে কাল। কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী জারিন তাবাসসুমের হাতে রকিব হাসানের রহস্য-রোমাঞ্চের বই ‘লাল পাহাড়ের আতংক’। বান্ধবীদের বলছিলেন জারিন, এ বইটা শেষ হলেই রকিব হাসানের সব বই পড়ে ফেলা হবে তাঁর। রহস্য-রোমাঞ্চ আর অ্যাডভেঞ্চার কাহিনি তাঁর কতটা পছন্দ–এ কথাতেই স্পষ্ট।
ফরিদপুর থেকে এসেছেন তিন বন্ধু দেবাশীষ কর, তামিম হাসান আর হাসিবুল ইসলাম। সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র সবাই। তিন বন্ধু জানালেন, ধ্রুপদি সাহিত্যের কয়েকটি কিনেছেন তাঁরা। তার মধ্যে বিভূতিভূষণ, জীবনানন্দ দাশের বই আছে। এ ছাড়া চলচ্চিত্রের কৃতী মানুষ মৃণাল সেন ও চার্লি চ্যাপলিনকে নিয়ে বই কিনেছেন। বই আর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের অন্যরকম পরিবেশ–এ দুয়ের টানে দূর হলেও মেলায় আসেন তাঁরা।
গতকাল বইমেলায় ভিড় খুব একটা ছিল না। তবে দর্শনার্থীদের মধ্যে তরুণদের সংখ্যা ছিল বেশি। বই কতটা বিক্রি হচ্ছে তার খবর জানালেন ইউপিএলের বিক্রয়কর্মী নুরুল ইসলাম। বললেন, ‘মোটামুটি বিক্রি হচ্ছে। বেশির ভাগই তো ছবি তোলে, খাওয়াদাওয়া করে চলে যায়। বই কেনার পাঠক আলাদা। তাদের কম দেখতে পাচ্ছি আজ।’
নতুন বইয়ের খোঁজে
সিরাজ সিকদার বাংলাদেশে কট্টর বামপন্থী রাজনীতির এক আলোচিত চরিত্র। ১৯৬৮ সালে পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। তখনকার অতি দুর্গম পার্বত্য চট্টগ্রামে ছিল সিরাজ সিকদার এবং তাঁর সংগ্রামী তৎপরতার এক অজানা অধ্যায়। সেই অধ্যায়কেই পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টির তিন সদস্য সুদত্ত বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা, অনন্ত সিংহ ও অং চিং। ‘পাহাড়ের লাল আখ্যান: পার্বত্য চট্টগ্রামে সিরাজ সিকদার ও পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি’ নামের এই বই প্রকাশ করেছে আদর্শ।
দেশভাগ পরবর্তী বাংলার সাত কবির কাব্য ভাষা নির্মাণ আর তাঁদের শিল্প-সাহিত্যের পথচলা নিয়ে ‘আড়ে বিভঙ্গে বিচার’ নামের বইতে আলোচনা করেছেন আবুল ফজল। বইটিতে আলোচিত কবিরা হলেন শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়, শঙ্খ ঘোষ, অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, বিনয় মজুমদার ও উৎপলকুমার বসু। প্রকাশ করেছে কথাপ্রকাশ।
পারিবারিকভাবে সংগীত শিক্ষা এবং গুরুশিষ্য পরম্পরায় সংগীতের তালিম নিয়ে রীনাত ফওজিয়ার বই ‘গুরুশিষ্য পরম্পরায় ওস্তাদ খুরশিদ খান’ প্রকাশ করেছে মেঘদূত প্রকাশনী। সেতার শিল্পী রীনাত ফওজিয়া সংগীতের তালিম নিয়েছেন ফুফাতো ভাই ওস্তাদ খুরশিদ খানের কাছে। ওস্তাদ খুরশিদ খান প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ আয়েত আলী খানের নাতি।
গতকাল মেলায় নতুন বই এসেছে ৮৫টি। এ পর্যন্ত মোট বই প্রকাশিত হয়েছে ১ হাজার ২টি।
আয়োজন
গতকাল মূলমঞ্চে ছিল ‘ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থান : প্রেক্ষাপট ও অভিমুখ’ শীর্ষক আলোচনা। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সারোয়ার তুষার। আলোচনা করেন যোবায়ের আল মাহমুদ এবং নুসরাত সাবিনা চৌধুরী। সভাপতি ছিলেন মাহবুব মোর্শেদ।
সারোয়ার তুষার বলেন, এ অঞ্চলের প্রত্যেকটি ঐতিহাসিক পর্বে ছাত্রসমাজ এগিয়ে এসেছে এবং রাজনৈতিক পরিণতির অভিমুখ নির্ধারণ করেছে। বৃহত্তর জনগণ ছাত্রশক্তির ডাকে সাড়া দিয়েছে এবং গণ-অভ্যুত্থান সৃষ্টি করেছে। জুলাই অভ্যুত্থানের বিজয়ী ছাত্রশক্তি এ ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন। তাই এবার তারা রাষ্ট্র ও সাংবিধানিক ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন করতে চায়।
লেখক বলছি মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি ফাতিমা তামান্না এবং কবি মুহাম্মদ আবদুল বাতেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী রবিউল আলম ও নাসিম আহমেদ। গতকাল ছিল শাকিল আহমেদের পরিচালনায় ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবৃত্তি সংসদ’ এবং সারমিন ইসলাম জুঁইয়ের পরিচালনায় আবৃত্তি সংগঠন ‘ঋদ্ধস্বর আবৃত্তি একাডেমি’র পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী ফেরদৌস আরা, অনন্যা আচার্য, ফাহমি ফেরদৌস, ফারহানা শিরিন, সঞ্জয় কবিরাজ, নিপা ভট্টাচার্য, ইন্দিরা রুদ্র এবং কাজী মুয়ীদ শাহরিয়ার সিরাজ জয়।
আজ শুক্রবার অমর একুশে বইমেলার ১৪তম দিনে মেলা শুরু হবে বেলা ১১টায়। শবে বরাত উপলক্ষে রাত ৯টার পরিবর্তে মেলা চলবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। আজ বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘স্মরণ: আহমদ ছফা’ শীর্ষক আলোচনা। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন তাহমিদাল জামি। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন নূরুল আনোয়ার এবং সাজ্জাদ শরিফ। সভাপতিত্ব করবেন সলিমুল্লাহ খান।
শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা

বৃহস্পতিবার বইমেলায় ঢুকতেই চোখে পড়ল একদল তরুণ-তরুণী। মেয়েদের মাথায় ফুলের টায়রা, পরনে হলুদ-লাল শাড়ি। হাতে জড়ানো হলুদ গাঁদা ফুলের মালা। কারও মুঠোয় লাল গোলাপ কিংবা জারবেরার তোড়া। ছেলেদের কারও কারও পরনে পাঞ্জাবি। নানাভাবে পোজ দিয়ে ছবি তুলছিলেন উচ্ছ্বল ওই তরুণ-তরুণীরা।
আজ বসন্ত ঋতুর প্রথম মাস ফাল্গুনের প্রথম দিন। গতকাল ছিল মাঘের শেষ। এক দিন আগেই কাল বইমেলায় বয়ে গেল ফাগুন হাওয়া। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আফসান হাসান তাঁর বন্ধুর ছবি তুলে দিচ্ছিলেন। বললেন, ‘আমরা উৎসব পছন্দ করি। ঘুরে বেড়াতে ভালো লাগে। বইমেলায় সেই আনন্দ আরও বেশি হয়। বসন্ত আসবে ঘুরতে বের হব না, তা তো হয় না।’
বর্ণিল পোশাক পরে মেলায় ঘোরাঘুরি করা ফুর্তিবাজদের অনেককে বইও কিনতে দেখা গেছে কাল। কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী জারিন তাবাসসুমের হাতে রকিব হাসানের রহস্য-রোমাঞ্চের বই ‘লাল পাহাড়ের আতংক’। বান্ধবীদের বলছিলেন জারিন, এ বইটা শেষ হলেই রকিব হাসানের সব বই পড়ে ফেলা হবে তাঁর। রহস্য-রোমাঞ্চ আর অ্যাডভেঞ্চার কাহিনি তাঁর কতটা পছন্দ–এ কথাতেই স্পষ্ট।
ফরিদপুর থেকে এসেছেন তিন বন্ধু দেবাশীষ কর, তামিম হাসান আর হাসিবুল ইসলাম। সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র সবাই। তিন বন্ধু জানালেন, ধ্রুপদি সাহিত্যের কয়েকটি কিনেছেন তাঁরা। তার মধ্যে বিভূতিভূষণ, জীবনানন্দ দাশের বই আছে। এ ছাড়া চলচ্চিত্রের কৃতী মানুষ মৃণাল সেন ও চার্লি চ্যাপলিনকে নিয়ে বই কিনেছেন। বই আর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের অন্যরকম পরিবেশ–এ দুয়ের টানে দূর হলেও মেলায় আসেন তাঁরা।
গতকাল বইমেলায় ভিড় খুব একটা ছিল না। তবে দর্শনার্থীদের মধ্যে তরুণদের সংখ্যা ছিল বেশি। বই কতটা বিক্রি হচ্ছে তার খবর জানালেন ইউপিএলের বিক্রয়কর্মী নুরুল ইসলাম। বললেন, ‘মোটামুটি বিক্রি হচ্ছে। বেশির ভাগই তো ছবি তোলে, খাওয়াদাওয়া করে চলে যায়। বই কেনার পাঠক আলাদা। তাদের কম দেখতে পাচ্ছি আজ।’
নতুন বইয়ের খোঁজে
সিরাজ সিকদার বাংলাদেশে কট্টর বামপন্থী রাজনীতির এক আলোচিত চরিত্র। ১৯৬৮ সালে পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। তখনকার অতি দুর্গম পার্বত্য চট্টগ্রামে ছিল সিরাজ সিকদার এবং তাঁর সংগ্রামী তৎপরতার এক অজানা অধ্যায়। সেই অধ্যায়কেই পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টির তিন সদস্য সুদত্ত বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা, অনন্ত সিংহ ও অং চিং। ‘পাহাড়ের লাল আখ্যান: পার্বত্য চট্টগ্রামে সিরাজ সিকদার ও পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি’ নামের এই বই প্রকাশ করেছে আদর্শ।
দেশভাগ পরবর্তী বাংলার সাত কবির কাব্য ভাষা নির্মাণ আর তাঁদের শিল্প-সাহিত্যের পথচলা নিয়ে ‘আড়ে বিভঙ্গে বিচার’ নামের বইতে আলোচনা করেছেন আবুল ফজল। বইটিতে আলোচিত কবিরা হলেন শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়, শঙ্খ ঘোষ, অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, বিনয় মজুমদার ও উৎপলকুমার বসু। প্রকাশ করেছে কথাপ্রকাশ।
পারিবারিকভাবে সংগীত শিক্ষা এবং গুরুশিষ্য পরম্পরায় সংগীতের তালিম নিয়ে রীনাত ফওজিয়ার বই ‘গুরুশিষ্য পরম্পরায় ওস্তাদ খুরশিদ খান’ প্রকাশ করেছে মেঘদূত প্রকাশনী। সেতার শিল্পী রীনাত ফওজিয়া সংগীতের তালিম নিয়েছেন ফুফাতো ভাই ওস্তাদ খুরশিদ খানের কাছে। ওস্তাদ খুরশিদ খান প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ আয়েত আলী খানের নাতি।
গতকাল মেলায় নতুন বই এসেছে ৮৫টি। এ পর্যন্ত মোট বই প্রকাশিত হয়েছে ১ হাজার ২টি।
আয়োজন
গতকাল মূলমঞ্চে ছিল ‘ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থান : প্রেক্ষাপট ও অভিমুখ’ শীর্ষক আলোচনা। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সারোয়ার তুষার। আলোচনা করেন যোবায়ের আল মাহমুদ এবং নুসরাত সাবিনা চৌধুরী। সভাপতি ছিলেন মাহবুব মোর্শেদ।
সারোয়ার তুষার বলেন, এ অঞ্চলের প্রত্যেকটি ঐতিহাসিক পর্বে ছাত্রসমাজ এগিয়ে এসেছে এবং রাজনৈতিক পরিণতির অভিমুখ নির্ধারণ করেছে। বৃহত্তর জনগণ ছাত্রশক্তির ডাকে সাড়া দিয়েছে এবং গণ-অভ্যুত্থান সৃষ্টি করেছে। জুলাই অভ্যুত্থানের বিজয়ী ছাত্রশক্তি এ ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন। তাই এবার তারা রাষ্ট্র ও সাংবিধানিক ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন করতে চায়।
লেখক বলছি মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি ফাতিমা তামান্না এবং কবি মুহাম্মদ আবদুল বাতেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী রবিউল আলম ও নাসিম আহমেদ। গতকাল ছিল শাকিল আহমেদের পরিচালনায় ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবৃত্তি সংসদ’ এবং সারমিন ইসলাম জুঁইয়ের পরিচালনায় আবৃত্তি সংগঠন ‘ঋদ্ধস্বর আবৃত্তি একাডেমি’র পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী ফেরদৌস আরা, অনন্যা আচার্য, ফাহমি ফেরদৌস, ফারহানা শিরিন, সঞ্জয় কবিরাজ, নিপা ভট্টাচার্য, ইন্দিরা রুদ্র এবং কাজী মুয়ীদ শাহরিয়ার সিরাজ জয়।
আজ শুক্রবার অমর একুশে বইমেলার ১৪তম দিনে মেলা শুরু হবে বেলা ১১টায়। শবে বরাত উপলক্ষে রাত ৯টার পরিবর্তে মেলা চলবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। আজ বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘স্মরণ: আহমদ ছফা’ শীর্ষক আলোচনা। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন তাহমিদাল জামি। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন নূরুল আনোয়ার এবং সাজ্জাদ শরিফ। সভাপতিত্ব করবেন সলিমুল্লাহ খান।

বৃহস্পতিবার বইমেলায় ঢুকতেই চোখে পড়ল একদল তরুণ-তরুণী। মেয়েদের মাথায় ফুলের টায়রা, পরনে হলুদ-লাল শাড়ি। হাতে জড়ানো হলুদ গাঁদা ফুলের মালা। কারও মুঠোয় লাল গোলাপ কিংবা জারবেরার তোড়া। ছেলেদের কারও কারও পরনে পাঞ্জাবি। নানাভাবে পোজ দিয়ে ছবি তুলছিলেন উচ্ছ্বল ওই তরুণ-তরুণীরা।
আজ বসন্ত ঋতুর প্রথম মাস ফাল্গুনের প্রথম দিন। গতকাল ছিল মাঘের শেষ। এক দিন আগেই কাল বইমেলায় বয়ে গেল ফাগুন হাওয়া। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আফসান হাসান তাঁর বন্ধুর ছবি তুলে দিচ্ছিলেন। বললেন, ‘আমরা উৎসব পছন্দ করি। ঘুরে বেড়াতে ভালো লাগে। বইমেলায় সেই আনন্দ আরও বেশি হয়। বসন্ত আসবে ঘুরতে বের হব না, তা তো হয় না।’
বর্ণিল পোশাক পরে মেলায় ঘোরাঘুরি করা ফুর্তিবাজদের অনেককে বইও কিনতে দেখা গেছে কাল। কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী জারিন তাবাসসুমের হাতে রকিব হাসানের রহস্য-রোমাঞ্চের বই ‘লাল পাহাড়ের আতংক’। বান্ধবীদের বলছিলেন জারিন, এ বইটা শেষ হলেই রকিব হাসানের সব বই পড়ে ফেলা হবে তাঁর। রহস্য-রোমাঞ্চ আর অ্যাডভেঞ্চার কাহিনি তাঁর কতটা পছন্দ–এ কথাতেই স্পষ্ট।
ফরিদপুর থেকে এসেছেন তিন বন্ধু দেবাশীষ কর, তামিম হাসান আর হাসিবুল ইসলাম। সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র সবাই। তিন বন্ধু জানালেন, ধ্রুপদি সাহিত্যের কয়েকটি কিনেছেন তাঁরা। তার মধ্যে বিভূতিভূষণ, জীবনানন্দ দাশের বই আছে। এ ছাড়া চলচ্চিত্রের কৃতী মানুষ মৃণাল সেন ও চার্লি চ্যাপলিনকে নিয়ে বই কিনেছেন। বই আর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের অন্যরকম পরিবেশ–এ দুয়ের টানে দূর হলেও মেলায় আসেন তাঁরা।
গতকাল বইমেলায় ভিড় খুব একটা ছিল না। তবে দর্শনার্থীদের মধ্যে তরুণদের সংখ্যা ছিল বেশি। বই কতটা বিক্রি হচ্ছে তার খবর জানালেন ইউপিএলের বিক্রয়কর্মী নুরুল ইসলাম। বললেন, ‘মোটামুটি বিক্রি হচ্ছে। বেশির ভাগই তো ছবি তোলে, খাওয়াদাওয়া করে চলে যায়। বই কেনার পাঠক আলাদা। তাদের কম দেখতে পাচ্ছি আজ।’
নতুন বইয়ের খোঁজে
সিরাজ সিকদার বাংলাদেশে কট্টর বামপন্থী রাজনীতির এক আলোচিত চরিত্র। ১৯৬৮ সালে পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। তখনকার অতি দুর্গম পার্বত্য চট্টগ্রামে ছিল সিরাজ সিকদার এবং তাঁর সংগ্রামী তৎপরতার এক অজানা অধ্যায়। সেই অধ্যায়কেই পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টির তিন সদস্য সুদত্ত বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা, অনন্ত সিংহ ও অং চিং। ‘পাহাড়ের লাল আখ্যান: পার্বত্য চট্টগ্রামে সিরাজ সিকদার ও পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি’ নামের এই বই প্রকাশ করেছে আদর্শ।
দেশভাগ পরবর্তী বাংলার সাত কবির কাব্য ভাষা নির্মাণ আর তাঁদের শিল্প-সাহিত্যের পথচলা নিয়ে ‘আড়ে বিভঙ্গে বিচার’ নামের বইতে আলোচনা করেছেন আবুল ফজল। বইটিতে আলোচিত কবিরা হলেন শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়, শঙ্খ ঘোষ, অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, বিনয় মজুমদার ও উৎপলকুমার বসু। প্রকাশ করেছে কথাপ্রকাশ।
পারিবারিকভাবে সংগীত শিক্ষা এবং গুরুশিষ্য পরম্পরায় সংগীতের তালিম নিয়ে রীনাত ফওজিয়ার বই ‘গুরুশিষ্য পরম্পরায় ওস্তাদ খুরশিদ খান’ প্রকাশ করেছে মেঘদূত প্রকাশনী। সেতার শিল্পী রীনাত ফওজিয়া সংগীতের তালিম নিয়েছেন ফুফাতো ভাই ওস্তাদ খুরশিদ খানের কাছে। ওস্তাদ খুরশিদ খান প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ আয়েত আলী খানের নাতি।
গতকাল মেলায় নতুন বই এসেছে ৮৫টি। এ পর্যন্ত মোট বই প্রকাশিত হয়েছে ১ হাজার ২টি।
আয়োজন
গতকাল মূলমঞ্চে ছিল ‘ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থান : প্রেক্ষাপট ও অভিমুখ’ শীর্ষক আলোচনা। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সারোয়ার তুষার। আলোচনা করেন যোবায়ের আল মাহমুদ এবং নুসরাত সাবিনা চৌধুরী। সভাপতি ছিলেন মাহবুব মোর্শেদ।
সারোয়ার তুষার বলেন, এ অঞ্চলের প্রত্যেকটি ঐতিহাসিক পর্বে ছাত্রসমাজ এগিয়ে এসেছে এবং রাজনৈতিক পরিণতির অভিমুখ নির্ধারণ করেছে। বৃহত্তর জনগণ ছাত্রশক্তির ডাকে সাড়া দিয়েছে এবং গণ-অভ্যুত্থান সৃষ্টি করেছে। জুলাই অভ্যুত্থানের বিজয়ী ছাত্রশক্তি এ ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন। তাই এবার তারা রাষ্ট্র ও সাংবিধানিক ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন করতে চায়।
লেখক বলছি মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি ফাতিমা তামান্না এবং কবি মুহাম্মদ আবদুল বাতেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী রবিউল আলম ও নাসিম আহমেদ। গতকাল ছিল শাকিল আহমেদের পরিচালনায় ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবৃত্তি সংসদ’ এবং সারমিন ইসলাম জুঁইয়ের পরিচালনায় আবৃত্তি সংগঠন ‘ঋদ্ধস্বর আবৃত্তি একাডেমি’র পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী ফেরদৌস আরা, অনন্যা আচার্য, ফাহমি ফেরদৌস, ফারহানা শিরিন, সঞ্জয় কবিরাজ, নিপা ভট্টাচার্য, ইন্দিরা রুদ্র এবং কাজী মুয়ীদ শাহরিয়ার সিরাজ জয়।
আজ শুক্রবার অমর একুশে বইমেলার ১৪তম দিনে মেলা শুরু হবে বেলা ১১টায়। শবে বরাত উপলক্ষে রাত ৯টার পরিবর্তে মেলা চলবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। আজ বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘স্মরণ: আহমদ ছফা’ শীর্ষক আলোচনা। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন তাহমিদাল জামি। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন নূরুল আনোয়ার এবং সাজ্জাদ শরিফ। সভাপতিত্ব করবেন সলিমুল্লাহ খান।

শিরীন হক বলেন, ‘গালাগাল আর তর্ক-বিতর্ক এক নয়। তর্ক-বিতর্ক গ্রহণযোগ্য, গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং সেটা একটা দুঃখের বিষয় ছিল। আরও দুঃখের বিষয় ছিল, সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কোনো রকমের আওয়াজ শুনলাম না। কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।
২৫ মিনিট আগে
তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষকেরা।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্ত ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। দলটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে জাতির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য ‘অস্তিত্বের হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক বলেছেন, ‘যেদিন আমরা প্রতিবেদন জমা দিলাম, সেদিন ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম, এই প্রতিবেদন নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক হবে, অনেক সমালোচনা হবে। আমরা সবটাকেই স্বাগত জানাই। কারণ আমরা মনে করি, তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়েই অনেক বিষয় নিষ্পত্তি হবে। কিন্তু দেখলাম, আমাদের গালাগাল করা হচ্ছে। সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।’
জাতীয় নারীশক্তির উদ্যোগে আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘নারীর কণ্ঠে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শিরীন হক বলেন, ‘গালাগাল আর তর্ক-বিতর্ক এক নয়। তর্ক-বিতর্ক গ্রহণযোগ্য; গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং সেটা একটা দুঃখের বিষয় ছিল। আরও দুঃখের বিষয় ছিল, সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কোনো রকমের আওয়াজ শুনলাম না। কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।’
এই নারী অধিকারকর্মী অভিযোগ করেন, জুলাই সনদের পুরো প্রক্রিয়া ‘নারীবর্জিত’ ছিল। তাই তিনি এবং তাঁর কমিশন এটি গ্রহণ করেন না।
শিরীন হক বলেন, ‘সেদিন (জুলাই সনদ সইয়ের দিন) দক্ষিণ প্লাজায় আমি উপস্থিত ছিলাম। তখনই আমি পোস্ট করেছি, আজ আবারও সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় পুরুষ শাসন কায়েম হলো। কোনো নারীর কথা নেই, কোনো নারীকে রাখা হয়নি, কোনো নারী সংগঠনকে ডাকা হয়নি। এটি শুধু আমাদের ব্যথিতই করেনি; গভীর উদ্বেগও সৃষ্টি করেছে। এ পরিস্থিতি আমাদের কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে আমার ভয় রয়েছে। তাই আপনারা যতই বাস্তবায়নের কথা ভাবুন, আমি এই সনদ গ্রহণ করি না। এ সনদের প্রতি আমার কোনো সম্মান নেই।’
জুলাই অভ্যুত্থানে নারীদের অবদান থাকলেও পরবর্তী সময়ে তাদের ‘বঞ্চিত করা হয়েছে’ বলেও অভিযোগ করেন নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা ও মানবাধিকারকর্মী শিরীন হক। তিনি বলেন, ‘যখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বললেন, “রাজাকারের বাচ্চা”, তখন রোকেয়া হলের মেয়েরা রাত ১২টায় গেট ভেঙে বেরিয়েছিল। মেয়েরা বেরোনোতেই কিন্তু আন্দোলন বেগ পেল। তারপর ছেলেরা বেরিয়েছিল। এই যে মেয়েগুলো বের হলো, গুটিকয়েক মেয়ে ছাড়া তাদেরকে পরে আর দেখলাম না। এই যে এত সিদ্ধান্ত হচ্ছে, কোনো টেবিলে তো মেয়েরা নেই। পলিসি টেবিলে মেয়েরা নেই। একটার পর একটা অধ্যাদেশ পাস হচ্ছে—কয়টা মেয়ে সেখানে ইনভলভড? আমাদের দেশে তো অনেক নারী আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। আমরা না হয় বাদ গেলাম, তাঁরা তো থাকতে পারতেন। মাঝে মাঝে আমার মনে হয়, আমরা তিন পা এগিয়ে, চার পা পিছিয়ে গেলাম।’
আলোচনা সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা বলেন, রাজনীতির মূল পরিসরে বলা হয়—যোগ্য নারী প্রার্থী কোথায় পাব? যোগ্য নারী জনপ্রতিনিধি নাকি পাওয়া যায় না। ২০২৫ সালে এসেও রাজনীতির মেইনস্ট্রিমে রাজনীতিবিদেরা এ রকম কথা বলছেন।
সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব নিয়ে তাসনিম জারা বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের একটা প্রস্তাব ছিল, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের একটা প্রস্তাব ছিল। একটা প্রস্তাব ছিল যে, সংরক্ষিত আসন ৫০ থেকে ১০০-তে উন্নীত হবে এবং ১০০ আসনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নারীরা সংসদে যাবে। পদ্ধতি দুইটা কমিশনের দুই রকম ছিল। সেটা জুলাই সনদে এভাবে আসেনি। কারণ রাজনীতিবিদেরা এ জায়গায় একমত হতে পারেননি। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। বিএনপি ২০০১ সালে তাদের ইশতেহারে বলেছিল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের কথা। ২০২৫ সালে এসে তারা বলছে, এটা সম্ভব নয়। ২০০১ সালে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ছিল, তখন যদি সেটার বাস্তবতা থেকে থাকে, ’২৫ সালে তো আরও বেশি বাস্তবতা থাকার কথা।
সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির প্রধান তাসলিমা আখতার, এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন প্রমুখ।

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক বলেছেন, ‘যেদিন আমরা প্রতিবেদন জমা দিলাম, সেদিন ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম, এই প্রতিবেদন নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক হবে, অনেক সমালোচনা হবে। আমরা সবটাকেই স্বাগত জানাই। কারণ আমরা মনে করি, তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়েই অনেক বিষয় নিষ্পত্তি হবে। কিন্তু দেখলাম, আমাদের গালাগাল করা হচ্ছে। সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।’
জাতীয় নারীশক্তির উদ্যোগে আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘নারীর কণ্ঠে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শিরীন হক বলেন, ‘গালাগাল আর তর্ক-বিতর্ক এক নয়। তর্ক-বিতর্ক গ্রহণযোগ্য; গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং সেটা একটা দুঃখের বিষয় ছিল। আরও দুঃখের বিষয় ছিল, সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কোনো রকমের আওয়াজ শুনলাম না। কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।’
এই নারী অধিকারকর্মী অভিযোগ করেন, জুলাই সনদের পুরো প্রক্রিয়া ‘নারীবর্জিত’ ছিল। তাই তিনি এবং তাঁর কমিশন এটি গ্রহণ করেন না।
শিরীন হক বলেন, ‘সেদিন (জুলাই সনদ সইয়ের দিন) দক্ষিণ প্লাজায় আমি উপস্থিত ছিলাম। তখনই আমি পোস্ট করেছি, আজ আবারও সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় পুরুষ শাসন কায়েম হলো। কোনো নারীর কথা নেই, কোনো নারীকে রাখা হয়নি, কোনো নারী সংগঠনকে ডাকা হয়নি। এটি শুধু আমাদের ব্যথিতই করেনি; গভীর উদ্বেগও সৃষ্টি করেছে। এ পরিস্থিতি আমাদের কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে আমার ভয় রয়েছে। তাই আপনারা যতই বাস্তবায়নের কথা ভাবুন, আমি এই সনদ গ্রহণ করি না। এ সনদের প্রতি আমার কোনো সম্মান নেই।’
জুলাই অভ্যুত্থানে নারীদের অবদান থাকলেও পরবর্তী সময়ে তাদের ‘বঞ্চিত করা হয়েছে’ বলেও অভিযোগ করেন নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা ও মানবাধিকারকর্মী শিরীন হক। তিনি বলেন, ‘যখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বললেন, “রাজাকারের বাচ্চা”, তখন রোকেয়া হলের মেয়েরা রাত ১২টায় গেট ভেঙে বেরিয়েছিল। মেয়েরা বেরোনোতেই কিন্তু আন্দোলন বেগ পেল। তারপর ছেলেরা বেরিয়েছিল। এই যে মেয়েগুলো বের হলো, গুটিকয়েক মেয়ে ছাড়া তাদেরকে পরে আর দেখলাম না। এই যে এত সিদ্ধান্ত হচ্ছে, কোনো টেবিলে তো মেয়েরা নেই। পলিসি টেবিলে মেয়েরা নেই। একটার পর একটা অধ্যাদেশ পাস হচ্ছে—কয়টা মেয়ে সেখানে ইনভলভড? আমাদের দেশে তো অনেক নারী আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। আমরা না হয় বাদ গেলাম, তাঁরা তো থাকতে পারতেন। মাঝে মাঝে আমার মনে হয়, আমরা তিন পা এগিয়ে, চার পা পিছিয়ে গেলাম।’
আলোচনা সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা বলেন, রাজনীতির মূল পরিসরে বলা হয়—যোগ্য নারী প্রার্থী কোথায় পাব? যোগ্য নারী জনপ্রতিনিধি নাকি পাওয়া যায় না। ২০২৫ সালে এসেও রাজনীতির মেইনস্ট্রিমে রাজনীতিবিদেরা এ রকম কথা বলছেন।
সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব নিয়ে তাসনিম জারা বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের একটা প্রস্তাব ছিল, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের একটা প্রস্তাব ছিল। একটা প্রস্তাব ছিল যে, সংরক্ষিত আসন ৫০ থেকে ১০০-তে উন্নীত হবে এবং ১০০ আসনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নারীরা সংসদে যাবে। পদ্ধতি দুইটা কমিশনের দুই রকম ছিল। সেটা জুলাই সনদে এভাবে আসেনি। কারণ রাজনীতিবিদেরা এ জায়গায় একমত হতে পারেননি। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। বিএনপি ২০০১ সালে তাদের ইশতেহারে বলেছিল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের কথা। ২০২৫ সালে এসে তারা বলছে, এটা সম্ভব নয়। ২০০১ সালে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ছিল, তখন যদি সেটার বাস্তবতা থেকে থাকে, ’২৫ সালে তো আরও বেশি বাস্তবতা থাকার কথা।
সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির প্রধান তাসলিমা আখতার, এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন প্রমুখ।

বৃহস্পতিবার বইমেলায় ঢুকতেই চোখে পড়ল একদল তরুণ-তরুণী। মেয়েদের মাথায় ফুলের টায়রা, পরনে হলুদ-লাল শাড়ি। হাতে জড়ানো হলুদ গাঁদা ফুলের মালা। কারও মুঠোয় লাল গোলাপ কিংবা জারবেরার তোড়া। ছেলেদের কারও কারও পরনে পাঞ্জাবি। নানাভাবে পোজ দিয়ে ছবি তুলছিলেন উচ্ছ্বল ওই তরুণ-তরুণীরা।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষকেরা।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্ত ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। দলটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে জাতির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য ‘অস্তিত্বের হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার এলাকা পরিবর্তনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
এর আগে ৪ নভেম্বর ইসির জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরীর সই করা এ-সংক্রান্ত চিঠি সব উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়।
আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন নিষ্পত্তি-সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার আগে আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন দাখিল ও দাখিল করা আবেদন নিষ্পত্তি করতে বিস্তারিত সময়সূচির অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে হলে ফরম-১৩ পূরণ করে যে এলাকায় যেতে ইচ্ছুক, সংশ্লিষ্ট সেই উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন জমা দিতে হবে।
এরই মধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে ইসি। দাবি-আপত্তি শেষে আগামী ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আগামী ডিসেম্বরের শুরুর দিকে তফসিল ঘোষণা করে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে কমিশন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার এলাকা পরিবর্তনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
এর আগে ৪ নভেম্বর ইসির জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরীর সই করা এ-সংক্রান্ত চিঠি সব উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়।
আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন নিষ্পত্তি-সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার আগে আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন দাখিল ও দাখিল করা আবেদন নিষ্পত্তি করতে বিস্তারিত সময়সূচির অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে হলে ফরম-১৩ পূরণ করে যে এলাকায় যেতে ইচ্ছুক, সংশ্লিষ্ট সেই উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন জমা দিতে হবে।
এরই মধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে ইসি। দাবি-আপত্তি শেষে আগামী ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আগামী ডিসেম্বরের শুরুর দিকে তফসিল ঘোষণা করে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে কমিশন।

বৃহস্পতিবার বইমেলায় ঢুকতেই চোখে পড়ল একদল তরুণ-তরুণী। মেয়েদের মাথায় ফুলের টায়রা, পরনে হলুদ-লাল শাড়ি। হাতে জড়ানো হলুদ গাঁদা ফুলের মালা। কারও মুঠোয় লাল গোলাপ কিংবা জারবেরার তোড়া। ছেলেদের কারও কারও পরনে পাঞ্জাবি। নানাভাবে পোজ দিয়ে ছবি তুলছিলেন উচ্ছ্বল ওই তরুণ-তরুণীরা।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
শিরীন হক বলেন, ‘গালাগাল আর তর্ক-বিতর্ক এক নয়। তর্ক-বিতর্ক গ্রহণযোগ্য, গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং সেটা একটা দুঃখের বিষয় ছিল। আরও দুঃখের বিষয় ছিল, সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কোনো রকমের আওয়াজ শুনলাম না। কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।
২৫ মিনিট আগে
দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষকেরা।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্ত ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। দলটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে জাতির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য ‘অস্তিত্বের হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষকেরা।
প্রাথমিক শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাছুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, দাবি বাস্তবায়ন ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে রোববার শহীদ মিনারে অবস্থানের পাশাপাশি সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে।

এদিকে আজ শনিবার শিক্ষকদের ‘কলম সমর্পণ’ কর্মসূচি সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ ভন্ডুল করে দেওয়া হয়েছে। আজ বিকেলে শিক্ষকেরা কলম সমর্পণ কর্মসূচি পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলে ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়।
জানতে চাইলে আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্ল্যাটফর্ম ‘প্রাথমিক শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাছুদ বলেন, ‘কলম সমর্পণ কর্মসূচি শেষে আমাদের শহীদ মিনারে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশি হামলায় শাহবাগে অনেক শিক্ষক আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।’
এ বিষয়ে ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিকেল ৫টায় দেওয়া এক বিবৃতিতে জানান, পুলিশের নির্দেশনা অমান্যকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পরবর্তী সময় পুলিশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও সংলগ্ন এলাকায় সব প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হলেও আন্দোলনকারীরা তা উপেক্ষা করে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আজ সকাল থেকে তিন দফা দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। দশম গ্রেডে বেতন ছাড়াও তাঁদের বাকি দুই দাবি হলো—চাকরির ১০ ও ১৬ বছরে উচ্চতর গ্রেড পাওয়া নিয়ে জটিলতা নিরসন এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ নামে চার শিক্ষক সংগঠনের মোর্চার ব্যানারে এসব কর্মসূচি পালন করছে। প্রাথমিক শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ ছাড়াও এই মোর্চায় আছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম-শাহিন), বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি এবং বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (শাহিন-লিপি)।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭। এসব বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত আছেন।
গত ২৪ এপ্রিল ১১তম গ্রেডে বেতন পাওয়া প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডে বেতন পাওয়া শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এ উদ্যোগে সন্তুষ্ট নন সহকারী শিক্ষকেরা। পরে আজ থেকে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয় ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’।
এদিকে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের আরেকাংশ ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে একাদশ গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেড নিয়ে জটিলতা নিরসন ও শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিত করতে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছেন। এর তিন দাবি মানা না হলে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং ২৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে দাবি আদায়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি বা ঘোষণা না এলে পরীক্ষা বর্জন এবং ১১ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণাও দিয়েছেন তাঁরা।

দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষকেরা।
প্রাথমিক শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাছুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, দাবি বাস্তবায়ন ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে রোববার শহীদ মিনারে অবস্থানের পাশাপাশি সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে।

এদিকে আজ শনিবার শিক্ষকদের ‘কলম সমর্পণ’ কর্মসূচি সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ ভন্ডুল করে দেওয়া হয়েছে। আজ বিকেলে শিক্ষকেরা কলম সমর্পণ কর্মসূচি পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলে ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়।
জানতে চাইলে আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্ল্যাটফর্ম ‘প্রাথমিক শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাছুদ বলেন, ‘কলম সমর্পণ কর্মসূচি শেষে আমাদের শহীদ মিনারে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশি হামলায় শাহবাগে অনেক শিক্ষক আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।’
এ বিষয়ে ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিকেল ৫টায় দেওয়া এক বিবৃতিতে জানান, পুলিশের নির্দেশনা অমান্যকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পরবর্তী সময় পুলিশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও সংলগ্ন এলাকায় সব প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হলেও আন্দোলনকারীরা তা উপেক্ষা করে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আজ সকাল থেকে তিন দফা দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। দশম গ্রেডে বেতন ছাড়াও তাঁদের বাকি দুই দাবি হলো—চাকরির ১০ ও ১৬ বছরে উচ্চতর গ্রেড পাওয়া নিয়ে জটিলতা নিরসন এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ নামে চার শিক্ষক সংগঠনের মোর্চার ব্যানারে এসব কর্মসূচি পালন করছে। প্রাথমিক শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ ছাড়াও এই মোর্চায় আছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম-শাহিন), বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি এবং বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (শাহিন-লিপি)।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭। এসব বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত আছেন।
গত ২৪ এপ্রিল ১১তম গ্রেডে বেতন পাওয়া প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডে বেতন পাওয়া শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এ উদ্যোগে সন্তুষ্ট নন সহকারী শিক্ষকেরা। পরে আজ থেকে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয় ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’।
এদিকে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের আরেকাংশ ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে একাদশ গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেড নিয়ে জটিলতা নিরসন ও শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিত করতে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছেন। এর তিন দাবি মানা না হলে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং ২৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে দাবি আদায়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি বা ঘোষণা না এলে পরীক্ষা বর্জন এবং ১১ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণাও দিয়েছেন তাঁরা।

বৃহস্পতিবার বইমেলায় ঢুকতেই চোখে পড়ল একদল তরুণ-তরুণী। মেয়েদের মাথায় ফুলের টায়রা, পরনে হলুদ-লাল শাড়ি। হাতে জড়ানো হলুদ গাঁদা ফুলের মালা। কারও মুঠোয় লাল গোলাপ কিংবা জারবেরার তোড়া। ছেলেদের কারও কারও পরনে পাঞ্জাবি। নানাভাবে পোজ দিয়ে ছবি তুলছিলেন উচ্ছ্বল ওই তরুণ-তরুণীরা।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
শিরীন হক বলেন, ‘গালাগাল আর তর্ক-বিতর্ক এক নয়। তর্ক-বিতর্ক গ্রহণযোগ্য, গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং সেটা একটা দুঃখের বিষয় ছিল। আরও দুঃখের বিষয় ছিল, সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কোনো রকমের আওয়াজ শুনলাম না। কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।
২৫ মিনিট আগে
তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্ত ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। দলটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে জাতির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য ‘অস্তিত্বের হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্ত ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। দলটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে জাতির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য ‘অস্তিত্বের হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
আজ শনিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ট্রেস কনসাল্টিং আয়োজিত ‘রাজনৈতিক দলগুলো কীভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে জনগণের আকাঙ্ক্ষা নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিফলিত করতে পারে’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, “শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিষয়ে এখন সবার একটি স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া জরুরি। তিনি এখনো জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।”
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রেস সচিব বলেন, “তিনি বাংলাদেশের জনগণকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। আমি মনে করি, এই বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য অস্তিত্বের হুমকি। একজন মানুষকে যখন ‘সন্ত্রাসী’ বলা হয়, তখন আসলে তাঁকে হত্যাযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তিনি কি ১৮ কোটি মানুষকে শত্রু ঘোষণা করে আবার ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা করছেন?”
সাংবাদিক এনায়েতুল্লাহ খানের বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘এনায়েতুল্লাহ খান একসময় লিখেছিলেন— ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিব ৬ কোটি ৫০ লাখ মানুষকে কোলাবরেটরস বা রাজাকার বানিয়েছিলেন, আর এখন তাঁর মেয়ে ১৮ কোটি মানুষকে সন্ত্রাসী বলছেন! এটা কল্পনাতীত।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ‘সরকার ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ নিয়ে কোনো দ্বিধা-সংকোচ থাকা উচিত নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘শাসন ব্যবস্থা ও জুলাই সনদ নিয়ে বিতর্ক সুস্থ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ। সারা বিশ্বে সংবিধান সংক্রান্ত বিতর্কে সময় লাগে, কখনো তা দশক ধরেও চলে। রাতারাতি কোনো সমাধান চাপিয়ে দেওয়া যায় না।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘যদি রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত না নিতে পারে, তাহলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনিশ্চয়তা দূর করতে ম্যান্ডেট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা এখন একটি ফ্র্যাকচারড পলিটিক্যাল সিচুয়েশন দেখছি। এখন ডান, বাম ও মধ্যপন্থী সব পক্ষের অংশগ্রহণে গণতান্ত্রিক সমাধান প্রয়োজন।’
অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ট্রেস-এর সিইও ফুয়াদ এম খালিদ হোসেন, বাংলাদেশ কটন ও কনফেকশনরি এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)-এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম।
প্যানেল আলোচনায় সঞ্চালনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. সাহাব এনাম খান। এতে কূটনীতিক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা ছিলেন।

রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্ত ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। দলটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে জাতির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য ‘অস্তিত্বের হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
আজ শনিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ট্রেস কনসাল্টিং আয়োজিত ‘রাজনৈতিক দলগুলো কীভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে জনগণের আকাঙ্ক্ষা নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিফলিত করতে পারে’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, “শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিষয়ে এখন সবার একটি স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া জরুরি। তিনি এখনো জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।”
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রেস সচিব বলেন, “তিনি বাংলাদেশের জনগণকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। আমি মনে করি, এই বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য অস্তিত্বের হুমকি। একজন মানুষকে যখন ‘সন্ত্রাসী’ বলা হয়, তখন আসলে তাঁকে হত্যাযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তিনি কি ১৮ কোটি মানুষকে শত্রু ঘোষণা করে আবার ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা করছেন?”
সাংবাদিক এনায়েতুল্লাহ খানের বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘এনায়েতুল্লাহ খান একসময় লিখেছিলেন— ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিব ৬ কোটি ৫০ লাখ মানুষকে কোলাবরেটরস বা রাজাকার বানিয়েছিলেন, আর এখন তাঁর মেয়ে ১৮ কোটি মানুষকে সন্ত্রাসী বলছেন! এটা কল্পনাতীত।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ‘সরকার ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ নিয়ে কোনো দ্বিধা-সংকোচ থাকা উচিত নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘শাসন ব্যবস্থা ও জুলাই সনদ নিয়ে বিতর্ক সুস্থ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ। সারা বিশ্বে সংবিধান সংক্রান্ত বিতর্কে সময় লাগে, কখনো তা দশক ধরেও চলে। রাতারাতি কোনো সমাধান চাপিয়ে দেওয়া যায় না।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘যদি রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত না নিতে পারে, তাহলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনিশ্চয়তা দূর করতে ম্যান্ডেট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা এখন একটি ফ্র্যাকচারড পলিটিক্যাল সিচুয়েশন দেখছি। এখন ডান, বাম ও মধ্যপন্থী সব পক্ষের অংশগ্রহণে গণতান্ত্রিক সমাধান প্রয়োজন।’
অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ট্রেস-এর সিইও ফুয়াদ এম খালিদ হোসেন, বাংলাদেশ কটন ও কনফেকশনরি এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)-এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম।
প্যানেল আলোচনায় সঞ্চালনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. সাহাব এনাম খান। এতে কূটনীতিক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা ছিলেন।

বৃহস্পতিবার বইমেলায় ঢুকতেই চোখে পড়ল একদল তরুণ-তরুণী। মেয়েদের মাথায় ফুলের টায়রা, পরনে হলুদ-লাল শাড়ি। হাতে জড়ানো হলুদ গাঁদা ফুলের মালা। কারও মুঠোয় লাল গোলাপ কিংবা জারবেরার তোড়া। ছেলেদের কারও কারও পরনে পাঞ্জাবি। নানাভাবে পোজ দিয়ে ছবি তুলছিলেন উচ্ছ্বল ওই তরুণ-তরুণীরা।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
শিরীন হক বলেন, ‘গালাগাল আর তর্ক-বিতর্ক এক নয়। তর্ক-বিতর্ক গ্রহণযোগ্য, গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং সেটা একটা দুঃখের বিষয় ছিল। আরও দুঃখের বিষয় ছিল, সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কোনো রকমের আওয়াজ শুনলাম না। কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।
২৫ মিনিট আগে
তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষকেরা।
৩ ঘণ্টা আগে