নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়া হলে ৫ চিকিৎসককে বদলি করে দিয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতারা। তাঁরা গুলিবিদ্ধ রোগীদের চিকিৎসায় বাধা দেন, অতি-উৎসাহী হয়ে চিকিৎসা দিতে বারণ করেন এবং গুলিবিদ্ধদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে অভিহিত করেন। চিকিৎসা দেওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতারা অস্ত্রসহ হাসপাতালে ঢুকে রোগীদের পরিচয় জানতে চাইতেন। তখন রোগীরা তাঁদের পরিচয় প্রকাশ না করতে চিকিৎসকদের অনুরোধ করতেন।
আজ মঙ্গলবার মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগের আবাসিক সার্জন মোস্তাক আহমেদ এসব কথা বলেন।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
শেখ হাসিনা ছাড়া এই মামলার অন্য দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক; চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়েছেন।
আজ শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। সাক্ষ্য নেওয়া শেষে সাক্ষীদের জেরা করেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
ট্রাইব্যুনালকে মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘২০২৪ সালের ১৯, ২০, ২১ জুলাই এবং ৪ ও ৫ আগস্ট বেশিসংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা দেই। ক্যাজুয়ালটি বিভাগে চাকরি করার সুবাদে আমি আগেও গুলিবিদ্ধ রোগীদের চিকিৎসা করি। বেশির ভাগ গুলিবিদ্ধ রোগীর গুলির ডিরেকশন ছিল ওপর থেকে নিচের দিকে। সাধারণত গুলির ডিরেকশন থাকে নিচ থেকে ওপরের দিকে বা সমান্তরালভাবে। রোগীরা জানান, তাঁদের উঁচু জায়গা থেকে বা হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হয়েছে। কোনো কোনো রোগীর ক্ষেত্রে মাথায় গুলি লেগে তা পিঠ দিয়ে বের হয়ে যায়।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার এই সাক্ষী বলেন, ‘আন্দোলন চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলসংলগ্ন গেট দিয়ে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স গেলে ছাত্রলীগের ছেলেরা সেগুলো থামিয়ে রোগীর পরিচয় জানতে চাইতেন। ছাত্র পরিচয় পেলে তাদের হাসপাতালে প্রবেশে বাধা দিত।’
জুলাই-আগস্টের নৃশংসতার জন্য শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ সংশ্লিষ্টদের বিচারের দাবি জানান মোস্তাক আহমেদ।
এদিন আরও সাক্ষ্য দেন মিটফোর্ড হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মফিজুর রহমান ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের সহকারী সার্জন মনিরুল ইসলাম।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়া হলে ৫ চিকিৎসককে বদলি করে দিয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতারা। তাঁরা গুলিবিদ্ধ রোগীদের চিকিৎসায় বাধা দেন, অতি-উৎসাহী হয়ে চিকিৎসা দিতে বারণ করেন এবং গুলিবিদ্ধদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে অভিহিত করেন। চিকিৎসা দেওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতারা অস্ত্রসহ হাসপাতালে ঢুকে রোগীদের পরিচয় জানতে চাইতেন। তখন রোগীরা তাঁদের পরিচয় প্রকাশ না করতে চিকিৎসকদের অনুরোধ করতেন।
আজ মঙ্গলবার মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগের আবাসিক সার্জন মোস্তাক আহমেদ এসব কথা বলেন।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
শেখ হাসিনা ছাড়া এই মামলার অন্য দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক; চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়েছেন।
আজ শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। সাক্ষ্য নেওয়া শেষে সাক্ষীদের জেরা করেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
ট্রাইব্যুনালকে মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘২০২৪ সালের ১৯, ২০, ২১ জুলাই এবং ৪ ও ৫ আগস্ট বেশিসংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা দেই। ক্যাজুয়ালটি বিভাগে চাকরি করার সুবাদে আমি আগেও গুলিবিদ্ধ রোগীদের চিকিৎসা করি। বেশির ভাগ গুলিবিদ্ধ রোগীর গুলির ডিরেকশন ছিল ওপর থেকে নিচের দিকে। সাধারণত গুলির ডিরেকশন থাকে নিচ থেকে ওপরের দিকে বা সমান্তরালভাবে। রোগীরা জানান, তাঁদের উঁচু জায়গা থেকে বা হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হয়েছে। কোনো কোনো রোগীর ক্ষেত্রে মাথায় গুলি লেগে তা পিঠ দিয়ে বের হয়ে যায়।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার এই সাক্ষী বলেন, ‘আন্দোলন চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলসংলগ্ন গেট দিয়ে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স গেলে ছাত্রলীগের ছেলেরা সেগুলো থামিয়ে রোগীর পরিচয় জানতে চাইতেন। ছাত্র পরিচয় পেলে তাদের হাসপাতালে প্রবেশে বাধা দিত।’
জুলাই-আগস্টের নৃশংসতার জন্য শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ সংশ্লিষ্টদের বিচারের দাবি জানান মোস্তাক আহমেদ।
এদিন আরও সাক্ষ্য দেন মিটফোর্ড হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মফিজুর রহমান ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের সহকারী সার্জন মনিরুল ইসলাম।
বিটিআরসির নতুন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিচার বিভাগের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান সরদার। আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিটিআরসি এক বার্তায় এ কথা জানায়। এর আগে, ২৪ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
৪৩ মিনিট আগেসংস্কারের পক্ষে জনমত তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কারের বিষয়ে কর্ণপাত না করে, তবে এর মাশুল তাদেরই দিতে হবে। এমনকি শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করলে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়বদ্ধতা বাড়বে।’
১ ঘণ্টা আগেকর্মসূচির বিষয়ে মোর্চাভুক্ত সংগঠন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘তিন দফা দাবিতে আমরা গত মে মাসের শেষ দিকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার শিক্ষক নেতাদের ডেকে বৈঠক করেন।
১ ঘণ্টা আগেরাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদসহ ও সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেডের চেয়ারম্যানসহ সাতজনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ২৪ লাখ ৫২ হাজার ৬৫২ টাকার রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে এই মামলা দায়ের
১ ঘণ্টা আগে