Ajker Patrika

‘জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধদের চিকিৎসা দেওয়ায় ৫ চিকিৎসককে বদলি করা হয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধদের চিকিৎসা দেওয়ায় ৫ চিকিৎসককে বদলি করা হয়’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়া হলে ৫ চিকিৎসককে বদলি করে দিয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতারা। তাঁরা গুলিবিদ্ধ রোগীদের চিকিৎসায় বাধা দেন, অতি-উৎসাহী হয়ে চিকিৎসা দিতে বারণ করেন এবং গুলিবিদ্ধদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে অভিহিত করেন। চিকিৎসা দেওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতারা অস্ত্রসহ হাসপাতালে ঢুকে রোগীদের পরিচয় জানতে চাইতেন। তখন রোগীরা তাঁদের পরিচয় প্রকাশ না করতে চিকিৎসকদের অনুরোধ করতেন।

আজ মঙ্গলবার মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগের আবাসিক সার্জন মোস্তাক আহমেদ এসব কথা বলেন।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

শেখ হাসিনা ছাড়া এই মামলার অন্য দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক; চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়েছেন।

আজ শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। সাক্ষ্য নেওয়া শেষে সাক্ষীদের জেরা করেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।

ট্রাইব্যুনালকে মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘২০২৪ সালের ১৯, ২০, ২১ জুলাই এবং ৪ ও ৫ আগস্ট বেশিসংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা দেই। ক্যাজুয়ালটি বিভাগে চাকরি করার সুবাদে আমি আগেও গুলিবিদ্ধ রোগীদের চিকিৎসা করি। বেশির ভাগ গুলিবিদ্ধ রোগীর গুলির ডিরেকশন ছিল ওপর থেকে নিচের দিকে। সাধারণত গুলির ডিরেকশন থাকে নিচ থেকে ওপরের দিকে বা সমান্তরালভাবে। রোগীরা জানান, তাঁদের উঁচু জায়গা থেকে বা হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হয়েছে। কোনো কোনো রোগীর ক্ষেত্রে মাথায় গুলি লেগে তা পিঠ দিয়ে বের হয়ে যায়।’

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার এই সাক্ষী বলেন, ‘আন্দোলন চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলসংলগ্ন গেট দিয়ে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স গেলে ছাত্রলীগের ছেলেরা সেগুলো থামিয়ে রোগীর পরিচয় জানতে চাইতেন। ছাত্র পরিচয় পেলে তাদের হাসপাতালে প্রবেশে বাধা দিত।’

জুলাই-আগস্টের নৃশংসতার জন্য শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ সংশ্লিষ্টদের বিচারের দাবি জানান মোস্তাক আহমেদ।

এদিন আরও সাক্ষ্য দেন মিটফোর্ড হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মফিজুর রহমান ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের সহকারী সার্জন মনিরুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

কুমিল্লায় দুই ট্যাংকে পানি, তদন্ত শেষ হয়নি ১ মাসে

জিন সম্পাদনায় নতুন সাফল্য, ডায়াবেটিস রোগীদের আর ইনসুলিন নিতে হবে না

অবৈধ মোবাইল দিয়ে বন্দীরা আমাকে কল করেন, এটা বিস্ময়কর: কারা মহাপরিদর্শক

কনস্যুলেটে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হামলা, ব্যবস্থা নিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে চিঠি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত