Ajker Patrika

সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাতায়াত আজ থেকে ৯ মাস বন্ধ

বাসস, ঢাকা  
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬: ৫৮
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সেন্টমার্টিনে যে কোনো প্রকার পর্যটক যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা আজ শনিবার থেকে কার্যকর হয়েছে। দেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্টমার্টিনে আগামী ৯ মাস কোনো পর্যটক যেতে পারবেন না। পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলও বন্ধ থাকবে।

সরকারি বিধিনিষেধের অংশ হিসেবে এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে স্থানীয় প্রশাসন। এর আগে ডিসেম্বর মাস থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাতায়াতে নিবন্ধনের নিয়ম চালু করে পর্যটক যাতায়াত সীমিত করা হয়।

ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটির (ইয়েস) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুজিবুল হকের নেতৃত্বে সম্প্রতি পরিবেশবাদীদের ১০ সদস্যের একটি দল সেন্টমার্টিন দ্বীপ ঘুরে এসেছেন। তারা জানান, পর্যটক সীমিত করায় দ্বীপে যত্রতত্র ওয়ান টাইম প্লাস্টিকের ব্যবহার, নানাভাবে পরিবেশ দূষণ এবং নির্বিচারে প্রবাল-কোরাল-পাথর উত্তোলন কমে এসেছে।

অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক বলেন, সেন্টমার্টিনে যে অবৈধ হোটেল-রিসোর্ট নির্মিত হয়েছে বা হচ্ছে, তা প্রশাসনের কারও অজানা নয়। তারপরও আশার বাণী হচ্ছে-গত ডিসেম্বর থেকে পর্যটক সীমিতকরণের পর সেন্টমার্টিন দ্বীপে একদিকে যেমন ওয়ান টাইম প্লাস্টিকের ব্যবহার কমে গেছে, অন্যদিকে দ্বীপের সার্বিক পরিবেশ-প্রতিবেশ অনেকটা দূষণমুক্ত হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা একটা পরিচ্ছন্ন দ্বীপ পাচ্ছেন। যা সরকারের পাশাপাশি পরিবেশবাদীদের একটা বড় সাফল্য।

ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাতায়াত বন্ধের পর দ্বীপ সম্পর্কে কী পরিকল্পনা করা হচ্ছে, তা নিয়ে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জানা যায়, পর্যটক যাতায়াত বন্ধ থাকার সময়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপ সুরক্ষায় মাসব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে পরিবেশ অধিদপ্তর। এই কর্মসূচিতে দ্বীপটিকে কয়েক ভাগে বিভক্ত করে প্লাস্টিক বোতলসহ ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারে অভিযান চালানো হবে। এর বাইরে পর্যটক নিষেধাজ্ঞার সময়ে বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে বিশুদ্ধ খাবার পানি উৎপাদন ও সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ছাড়া বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং একই সময়ে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় স্থানীয় লোকজনকে সচেতন করার পরিকল্পনাও রয়েছে প্রশাসনের।

পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, ‘পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। এরপর কেউ সেন্টমার্টিন যাচ্ছেন কি না, তা নজরদারিতে রাখা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময়ে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে ২ ফেব্রুয়ারি অনলাইনে মিটিং ডাকা হয়েছে। সেখানেই সেন্ট মার্টিনের বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।’

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপ সুরক্ষায় যে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, তা ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। পর্যটক যাতায়াত বন্ধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের বিকল্প জীবিকার বিষয়টিও ভেবে দেখা হচ্ছে।’

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত গত দুই মাসে ১ লাখ ২০ হাজার পর্যটক সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ করেছেন। এ সময় ভ্রমণের আগে অনলাইনে নিবন্ধন সম্পন্ন করে ট্রাভেল পাস নিয়ে সেন্ট মার্টিন যেতে হয়েছে পর্যটকদের। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ছিল, নভেম্বর মাসে পর্যটকেরা দ্বীপটিতে দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসবেন। তবে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে দৈনিক দুই হাজার পর্যটকের জন্য সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ ও সেখানে রাত যাপনের সুযোগ রাখা হয়।

কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, সেন্টমার্টিনের সুরক্ষার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার আগে দ্বীপের বাসিন্দা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, পরিবেশকর্মীসহ অংশীজনদের নিয়ে বৈঠক করতে হবে। সেন্টমার্টিনে অবৈধভাবে ২৩০টি হোটেল-রিসোর্ট-কটেজ রেস্তোরাঁ তৈরি হয়েছে। দ্বীপবাসীর কল্যাণে তাদের অবদান কতটুকু তা খতিয়ে দেখতে হবে। পর্যটন বন্ধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দ্বীপের মানুষের বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

আগে পর্যটকবাহী ১২ টির বেশি জাহাজ সেন্ট মার্টিন জেটিঘাটে ভিড়লে শক্তিশালী পাখার ঘূর্ণিপাকে সমুদ্রতলের বালু নীল জলের স্বচ্ছ পানিতে মিশে ঘোলাটে আকার ধারণ করত। এসব বালু ও পলিথিনসহ বর্জ্যে মারা যেত প্রবাল-শৈবাল। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কক্সবাজার শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম নজরুল ইসলাম বলেন, পর্যটকের কারণে দ্বীপের কিছু প্রভাবশালী লাভবান হলেও সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্যের তেমন পরিবর্তন হয় না। অতিরিক্ত পর্যটকের উপস্থিতির কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে উল্টো তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

সাধারণত জুন, জুলাই, আগস্ট-এই তিন মাসে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় পর্যটক ও সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা সেন্টমার্টিনে তেমন যান না। এই সময়টাতে প্রভাবশালীরা দ্বীপের ভ্রমণ নিষিদ্ধ এলাকায় রিসোর্টসহ নানা অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে আসছেন। এসব স্থাপনায় ব্যবহৃত হয় সৈকত থেকে তুলে আনা পাথর।

পরিবেশকর্মীরা বলছেন, এবার যাতে পর্যটক না থাকার সময়ে কেউ এ ধরনের স্থাপনা তৈরি করতে না পারেন সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তর ১৯৯৯ সালে সেন্টমার্টিনকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে।

সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি বন্য প্রাণী আইন অনুযায়ী—সেন্টমার্টিন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের ১ হাজার ৭৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০২০ সালের আগস্টে সেখানে প্রথম পর্যটক নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সরকারের তরফ থেকে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেসকে (সিইজিআইএস) একটি সমীক্ষা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

প্রতিষ্ঠানটি গবেষণা শেষে জানায়, দ্বীপটিতে কোনোভাবেই পর্যটকদের রাতে থাকার অনুমতি দেওয়া ঠিক হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বক্তৃতাটা শুনি নাই, এ মুহূর্তে মতামত দিতে চাই না—একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট প্রসঙ্গে সিইসি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। ফাইল ছবি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। ফাইল ছবি

একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনে সরকারের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর এ বিষয়ে মতামত জানাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়গুলো জানলে তখন আমরা বিচার-বিশ্লেষণ করে কমিশনে বসে আলাপ-আলোচনা করে একটা মতামত দিতে পারব। এ বিষয়ে এ মুহূর্তে কোনো মতামত দেওয়া যথার্থ হবে না।’

এ দিন দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে তিনি জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে বলেন, গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারিতে একই দিনে হবে।

প্রধান উপদেষ্টার এ ঘোষণার কথা তুলে ধরে এক সাংবাদিক সিইসির কাছে জানতে চান—একই দিনে দুটি ভোটের কারণে নির্বাচনে প্রভাব পড়বে কি না কিংবা কোনো চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে কি না।

জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমার বক্তৃতাটা (প্রধান উপদেষ্টার) শোনার সুযোগ হয় নাই। আমি আপনাদের সঙ্গে এখানে মিটিংয়ে ছিলাম। আমি এটা শুনি নাই।’

সিইসি বলেন, ‘একটা জিনিস, যেটা আমি শুনি নাই, উনি কোন লাইনে বলেছেন, কী বলেছেন আর উনাদের প্রস্তাবটা কী, তা বিস্তারিত না জেনে মন্তব্য করা ঠিক না। আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে জানলে কমিশন আলোচনা করে মতামত দিতে পারবে। আমি বক্তৃতাটা শুনি নাই। তাই এ মুহূর্তে কোনো মতামত দিতে চাই না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল নিয়ে রুল শুনানি ১৯ নভেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি নিয়ে জারি করা রুল শুনানির জন্য ১৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের পক্ষ থেকে রিট করা হয়েছিল।

রিট আবেদনকারীর আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, ‘চুক্তি-সম্পর্কিত পুরো প্রক্রিয়ায় স্থিতাবস্থা চেয়েছিলাম। রুল নিষ্পত্তির আগপর্যন্ত কিছু করা হবে না বলে মৌখিকভাবে আদালতকে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাফ কবলা দলিলের জমি–ফ্ল্যাট হস্তান্তরে ফি নিলে ডেভেলপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সাফ কবলা দলিলের জমি–ফ্ল্যাট হস্তান্তরে ফি নিলে ডেভেলপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

সাফ কবলা দলিলমূলে বিক্রি বা হস্তান্তর করা ফ্ল্যাট বা জমি আবার বিক্রয়, হস্তান্তর বা নামজারির অনুমোদনের সময় ক্রেতাদের কাছ থেকে কোনো অর্থ নিলে রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিক্রেতা ও ক্রেতাদের হয়রানি ও দুর্ভোগ দূর করার জন্য সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে গতকাল বুধবার (১২ নভেম্বর) গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

সরকারের সিদ্ধান্ত তুলে ধরে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার সাফ কবলা দলিলমূলে বিক্রিত ও হস্তান্তরিত ভূমি অথবা ফ্ল্যাট পরবর্তী সময়ে পুনঃবিক্রয় বা হস্তান্তরকালে বিক্রয়, হস্তান্তর বা নামজারির অনুমোদনের নামে ক্রেতাদের হয়রানি এবং তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায় সম্পূর্ণ আইনবহির্ভূত।

তাই কোনো ডেভেলপার ভূমি বা ফ্ল্যাটের পরবর্তী হস্তান্তরকালে বিক্রয় অনুমোদন প্রদান, নামজারি বা অন্য যেকোনো নামেই হোক না কেন, ক্রেতা বা বিক্রেতার কাছ থেকে কোনো অর্থ আদায় করতে পারবে না। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই আদেশ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন ও রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা বিধিমালাসহ প্রচলিত অন্যান্য আইন এবং সংশ্লিষ্ট বিধিবিধানের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মালয়েশিয়াগামী শ্রমিকদের ৩১৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ, এবার ৫ এজেন্সির বিরুদ্ধে মামলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মালয়েশিয়াগামী শ্রমিকদের ৩১৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ, এবার ৫ এজেন্সির বিরুদ্ধে মামলা

মালয়েশিয়াগামী শ্রমিকদের থেকে সরকারনির্ধারিত ফির চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি অর্থ আদায়ের অভিযোগে আরও পাঁচটি রিক্রুটিং এজেন্সির ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব মামলায় ৩১৪ কোটি ৩৪ লাখ ৭২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মো. আক্তার হোসেন বলেন, মালয়েশিয়াগামী ১৮ হাজার ৭৬৭ জন শ্রমিকের কাছ থেকে সরকারনির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে পাঁচ গুণ বেশি অর্থ আদায় করে ওই পাঁচ এজেন্সি।

গত মঙ্গলবার চারটি রিক্রুটিং এজেন্সির পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। একই অভিযোগে ৬ নভেম্বর ৬টি এজেন্সির ১১ জন এবং ১৪ সেপ্টেম্বর ১৩টি এজেন্সির কর্তাব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

এবার জিএমজি ট্রেডিং (প্রা.) লিমিটেড, দ্য জিএমজি ট্রেডিং অ্যাসোসিয়েট, কিউকে কুইক এক্সপ্রেস লিমিটেড, এম ই এফ গ্লোবাল বাংলাদেশসহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, পরিচালকসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের ৩১৪ কোটি ৩৪ লাখ ৭২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে মামলার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছে দুদক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত