আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান দাবি করেছেন, ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশে বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে। কিন্তু সেই অনুযায়ী এখন পর্যন্ত বিপ্লবের ঘোষণাপত্র না আসায় দেশ বিপদের মধ্যে রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় নাগরিক কমিটির সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল উইং এর আয়োজন করে।
‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত: জুলাই ঘোষণাপত্র, গণপরিষদ ও সংবিধান’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান।
এ এফ এম আব্দুর রহমান বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশেই বিপ্লবের পর বিপ্লবী পরিষদ হয়। সেই বিপ্লবী পরিষদ তার ক্ষমতা নেয় একটি প্রোক্লেমেশনের মাধ্যমে। বিপ্লব কিন্তু সংবিধান মেনে হয় না। পৃথিবীতে যত বিপ্লব হয়েছে, সেই বিপ্লব একটি নতুন লিগ্যাল অর্ডার তৈরি করেছে। সেই লিগ্যাল অর্ডারের যে ভিত্তিভূমি, তা সমূলে গ্রহণ করতে হয় প্রোক্লেমেশন অব রেভল্যুশনের মাধ্যমে। প্রোক্লেমেশন অব রেভল্যুশন সেই বিপ্লবী পরিষদকে ক্ষমতা দেয়। সেই প্রোক্লেমেশনের পক্ষে থাকে সমস্ত জনগণ। কিন্তু এই প্রোক্লেমেশনটা আমাদের এখনো ঘোষণা করা হয়নি। এটা ঘোষণা না করায় যে কত বড় বিপদ রয়ে গেছে, সেটা আপনারা (অন্তর্বর্তী সরকার) এখনো খেয়াল করছেন না কেন? বর্তমান সংবিধান দিয়ে চলছেন আপনারা। সংবিধানের কোনো অস্তিত্ব নেই।’
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, এবি পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার প্রমুখ।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান বলেন, সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদবলে আপিল বিভাগ থেকে একটি মতামত নিয়েছেন। ১০৬-এ কি বলা হয়েছে? এমন আইনগত প্রশ্ন উত্থাপন হয়েছে, যা রাষ্ট্রপতি মনে করছেন, আপিল বিভাগ থেকে মতামত গ্রহণ করা আবশ্যক। বিপ্লব কি আইনের প্রশ্ন? যে সরকারকে আমরা ঝেঁটিয়ে বিদায় করেছি, সেই বিপ্লব কি আইনের প্রশ্ন? তাহলে কিসের ভিত্তিতে আইনের এমন প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে? যা ১০৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে মতামত দিতে হবে? ১০৬-এর কোনো ভিত্তি নেই।
তিনি বলেন, ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সকে যারা ২১ বছর পর এসে ফেলে দিয়ে শত শত লোককে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে, তারা যদি আবার ক্ষমতায় আসতে পারে, তাহলে কি আপনাদের ফাঁসি দেবে না কি আদর করবে? ফাঁসিতে ঝোলাবে।’
ফাঁসিতে যাতে ঝোলাতে না পারে, এটা আমাদের চিন্তা করতে হবে। ৮ আগস্ট থেকে সব কর্তৃপক্ষকে বলছি, প্রোক্লেমেশন করেন। না হলে বিপদ আছে। তাদের ধারণা, ১০৬ অনুচ্ছেদ ভিত্তি। ১০৬ ভিত্তিভূমি নয়। সুতরাং প্রোক্লেমেশন হতে হবে।
এ এফ এম আব্দুর রহমান বলেন, একটা সরকার পরিবর্তন হয় কীভাবে? নিয়মিত ও অনিয়মিত—দুইভাবে। নিয়মিত পরিবর্তন হলো নির্বাচনের মাধ্যমে। আর অনিয়মিত পরিবর্তন হয় তিনভাবে—আন্দোলন, অভ্যুত্থান ও বিপ্লব। আন্দোলন তখনই হয়, যখন একটি সরকারকে পরিবর্তন করার জন্য বিরোধী দল ও জনগণ মিলে রাস্তায় আন্দোলন করে। সেই আন্দোলনকে সম্মান দেখিয়ে সরকার পদত্যাগ করে নির্বাচন দেয়।
আরেকটি পরিবর্তনের উপায় হচ্ছে সামরিক অভ্যুত্থান। এটি বহুবার দেখেছি। আরেকটি হচ্ছে বিপ্লব। বিপ্লব হচ্ছে এমন একটি স্বৈরাচারকে হটানো। সমগ্র দেশের জনগণ যখন রাস্তায় নেমে এসে রক্তাক্ত অথবা অন্য কোনোভাবে একটা স্বৈরাচারকে টেনে নামায়, সেটাকে বলে বিপ্লব।
তিনি আরও বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট বিপ্লব আমরা দেখেছি। ৫ আগস্ট যে সরকারের পতন হয়েছে, সেটা ছিল একটা গোখরো সাপ। সমগ্র জাতিকে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে এই সাপ ১৬ বছর ধরে চুষে চুষে খেয়েছে। সেই সাপটাকে আমরা ছাড়িয়েছি। এই সাপকে আমরা কোনোভাবেই আর আনতে চাই না। সেই সাপ না, আর যারা সাপ হতে চায়, তাদেরও না। আমরা সাপুড়ের ভূমিকা পালন করব। বাংলাদেশের জনগণ জানে, আন্দোলন কীভাবে করতে হয়, বিপ্লব কীভাবে করতে হয়। আমরা সেই বিপ্লবের সৈনিক। একটি সাপকে ফেলে দেওয়ার জন্য ২ হাজারের বেশি তাজা প্রাণ ঝরে গেছে। সেই সাপ পালিয়ে গেছে তার ঠিক খোপে।’
গণপরিষদ নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে সাবেক এই বিচারপতি বলেন, গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে তারা একটা সংবিধান তৈরি করবে। তখন একটি আইনগত ভিত্তি পেয়ে যাবেন। এই নির্বাচন কমিশন গণপরিষদ নির্বাচন করবে। পরে তারা জনগণের মতামত নিয়ে একটি সংবিধান তৈরি করবে। যেদিন সংবিধান গৃহীত হবে, সেদিন গণপরিষদ একটা পার্লামেন্টে পরিণত হবে। নতুন করে নির্বাচন করতে হবে না। তাহলে প্রোক্লেমেশনের মাধ্যমে আইনগত ভিত্তিটা পাব। এরপর গণপরিষদ নির্বাচন করব। গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সংবিধান পাব। সংবিধানের মাধ্যমে একটি সংসদ পাব। সেই সংসদের মাধ্যমে সরকার গঠিত হবে। আর বর্তমান সরকার তখন বিদায় নেবে। কিন্তু আপনারা যে পথে হাঁটছেন, তা অত্যন্ত বিপজ্জনক। সুতরাং এখনো সময় আছে, ভূতাপূর্বভাবে প্রোক্লেমেশনটি করেন, কোনো অসুবিধা নেই।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, বর্তমান সংবিধানে একজন ব্যক্তিকে জাতির পিতা ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা নতুন সংবিধানে ফাউন্ডিং ফাদার্স করতে চাই। আমরা এক ব্যক্তি থেকে সবার মাঝে ইতিহাস ভাগ করতে চাই। আমরা চাই সরকার আমাদের ডিক্লারেশনকে প্রকাশ করবে। যদিও আমরা কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখছি না। খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থান, শিক্ষা—এসব সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসেবে থাকতে হবে। নতুন সংবিধানের জন্য গণপরিষদ নির্বাচন হতে হবে; যারা সংবিধান রচনা করবে এবং আইনসভার দায়িত্ব নেবে। রাজনৈতিক দলগুলোর এই গণপরিষদ নির্বাচন নিয়ে কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। কারণ, দুটি নির্বাচন একই সঙ্গে হতে পারে।

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান দাবি করেছেন, ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশে বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে। কিন্তু সেই অনুযায়ী এখন পর্যন্ত বিপ্লবের ঘোষণাপত্র না আসায় দেশ বিপদের মধ্যে রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় নাগরিক কমিটির সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল উইং এর আয়োজন করে।
‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত: জুলাই ঘোষণাপত্র, গণপরিষদ ও সংবিধান’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান।
এ এফ এম আব্দুর রহমান বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশেই বিপ্লবের পর বিপ্লবী পরিষদ হয়। সেই বিপ্লবী পরিষদ তার ক্ষমতা নেয় একটি প্রোক্লেমেশনের মাধ্যমে। বিপ্লব কিন্তু সংবিধান মেনে হয় না। পৃথিবীতে যত বিপ্লব হয়েছে, সেই বিপ্লব একটি নতুন লিগ্যাল অর্ডার তৈরি করেছে। সেই লিগ্যাল অর্ডারের যে ভিত্তিভূমি, তা সমূলে গ্রহণ করতে হয় প্রোক্লেমেশন অব রেভল্যুশনের মাধ্যমে। প্রোক্লেমেশন অব রেভল্যুশন সেই বিপ্লবী পরিষদকে ক্ষমতা দেয়। সেই প্রোক্লেমেশনের পক্ষে থাকে সমস্ত জনগণ। কিন্তু এই প্রোক্লেমেশনটা আমাদের এখনো ঘোষণা করা হয়নি। এটা ঘোষণা না করায় যে কত বড় বিপদ রয়ে গেছে, সেটা আপনারা (অন্তর্বর্তী সরকার) এখনো খেয়াল করছেন না কেন? বর্তমান সংবিধান দিয়ে চলছেন আপনারা। সংবিধানের কোনো অস্তিত্ব নেই।’
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, এবি পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার প্রমুখ।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান বলেন, সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদবলে আপিল বিভাগ থেকে একটি মতামত নিয়েছেন। ১০৬-এ কি বলা হয়েছে? এমন আইনগত প্রশ্ন উত্থাপন হয়েছে, যা রাষ্ট্রপতি মনে করছেন, আপিল বিভাগ থেকে মতামত গ্রহণ করা আবশ্যক। বিপ্লব কি আইনের প্রশ্ন? যে সরকারকে আমরা ঝেঁটিয়ে বিদায় করেছি, সেই বিপ্লব কি আইনের প্রশ্ন? তাহলে কিসের ভিত্তিতে আইনের এমন প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে? যা ১০৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে মতামত দিতে হবে? ১০৬-এর কোনো ভিত্তি নেই।
তিনি বলেন, ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সকে যারা ২১ বছর পর এসে ফেলে দিয়ে শত শত লোককে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে, তারা যদি আবার ক্ষমতায় আসতে পারে, তাহলে কি আপনাদের ফাঁসি দেবে না কি আদর করবে? ফাঁসিতে ঝোলাবে।’
ফাঁসিতে যাতে ঝোলাতে না পারে, এটা আমাদের চিন্তা করতে হবে। ৮ আগস্ট থেকে সব কর্তৃপক্ষকে বলছি, প্রোক্লেমেশন করেন। না হলে বিপদ আছে। তাদের ধারণা, ১০৬ অনুচ্ছেদ ভিত্তি। ১০৬ ভিত্তিভূমি নয়। সুতরাং প্রোক্লেমেশন হতে হবে।
এ এফ এম আব্দুর রহমান বলেন, একটা সরকার পরিবর্তন হয় কীভাবে? নিয়মিত ও অনিয়মিত—দুইভাবে। নিয়মিত পরিবর্তন হলো নির্বাচনের মাধ্যমে। আর অনিয়মিত পরিবর্তন হয় তিনভাবে—আন্দোলন, অভ্যুত্থান ও বিপ্লব। আন্দোলন তখনই হয়, যখন একটি সরকারকে পরিবর্তন করার জন্য বিরোধী দল ও জনগণ মিলে রাস্তায় আন্দোলন করে। সেই আন্দোলনকে সম্মান দেখিয়ে সরকার পদত্যাগ করে নির্বাচন দেয়।
আরেকটি পরিবর্তনের উপায় হচ্ছে সামরিক অভ্যুত্থান। এটি বহুবার দেখেছি। আরেকটি হচ্ছে বিপ্লব। বিপ্লব হচ্ছে এমন একটি স্বৈরাচারকে হটানো। সমগ্র দেশের জনগণ যখন রাস্তায় নেমে এসে রক্তাক্ত অথবা অন্য কোনোভাবে একটা স্বৈরাচারকে টেনে নামায়, সেটাকে বলে বিপ্লব।
তিনি আরও বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট বিপ্লব আমরা দেখেছি। ৫ আগস্ট যে সরকারের পতন হয়েছে, সেটা ছিল একটা গোখরো সাপ। সমগ্র জাতিকে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে এই সাপ ১৬ বছর ধরে চুষে চুষে খেয়েছে। সেই সাপটাকে আমরা ছাড়িয়েছি। এই সাপকে আমরা কোনোভাবেই আর আনতে চাই না। সেই সাপ না, আর যারা সাপ হতে চায়, তাদেরও না। আমরা সাপুড়ের ভূমিকা পালন করব। বাংলাদেশের জনগণ জানে, আন্দোলন কীভাবে করতে হয়, বিপ্লব কীভাবে করতে হয়। আমরা সেই বিপ্লবের সৈনিক। একটি সাপকে ফেলে দেওয়ার জন্য ২ হাজারের বেশি তাজা প্রাণ ঝরে গেছে। সেই সাপ পালিয়ে গেছে তার ঠিক খোপে।’
গণপরিষদ নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে সাবেক এই বিচারপতি বলেন, গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে তারা একটা সংবিধান তৈরি করবে। তখন একটি আইনগত ভিত্তি পেয়ে যাবেন। এই নির্বাচন কমিশন গণপরিষদ নির্বাচন করবে। পরে তারা জনগণের মতামত নিয়ে একটি সংবিধান তৈরি করবে। যেদিন সংবিধান গৃহীত হবে, সেদিন গণপরিষদ একটা পার্লামেন্টে পরিণত হবে। নতুন করে নির্বাচন করতে হবে না। তাহলে প্রোক্লেমেশনের মাধ্যমে আইনগত ভিত্তিটা পাব। এরপর গণপরিষদ নির্বাচন করব। গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সংবিধান পাব। সংবিধানের মাধ্যমে একটি সংসদ পাব। সেই সংসদের মাধ্যমে সরকার গঠিত হবে। আর বর্তমান সরকার তখন বিদায় নেবে। কিন্তু আপনারা যে পথে হাঁটছেন, তা অত্যন্ত বিপজ্জনক। সুতরাং এখনো সময় আছে, ভূতাপূর্বভাবে প্রোক্লেমেশনটি করেন, কোনো অসুবিধা নেই।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, বর্তমান সংবিধানে একজন ব্যক্তিকে জাতির পিতা ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা নতুন সংবিধানে ফাউন্ডিং ফাদার্স করতে চাই। আমরা এক ব্যক্তি থেকে সবার মাঝে ইতিহাস ভাগ করতে চাই। আমরা চাই সরকার আমাদের ডিক্লারেশনকে প্রকাশ করবে। যদিও আমরা কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখছি না। খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থান, শিক্ষা—এসব সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসেবে থাকতে হবে। নতুন সংবিধানের জন্য গণপরিষদ নির্বাচন হতে হবে; যারা সংবিধান রচনা করবে এবং আইনসভার দায়িত্ব নেবে। রাজনৈতিক দলগুলোর এই গণপরিষদ নির্বাচন নিয়ে কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। কারণ, দুটি নির্বাচন একই সঙ্গে হতে পারে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান দাবি করেছেন, ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশে বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে। কিন্তু সেই অনুযায়ী এখন পর্যন্ত বিপ্লবের ঘোষণাপত্র না আসায় দেশ বিপদের মধ্যে রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় নাগরিক কমিটির সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল উইং এর আয়োজন করে।
‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত: জুলাই ঘোষণাপত্র, গণপরিষদ ও সংবিধান’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান।
এ এফ এম আব্দুর রহমান বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশেই বিপ্লবের পর বিপ্লবী পরিষদ হয়। সেই বিপ্লবী পরিষদ তার ক্ষমতা নেয় একটি প্রোক্লেমেশনের মাধ্যমে। বিপ্লব কিন্তু সংবিধান মেনে হয় না। পৃথিবীতে যত বিপ্লব হয়েছে, সেই বিপ্লব একটি নতুন লিগ্যাল অর্ডার তৈরি করেছে। সেই লিগ্যাল অর্ডারের যে ভিত্তিভূমি, তা সমূলে গ্রহণ করতে হয় প্রোক্লেমেশন অব রেভল্যুশনের মাধ্যমে। প্রোক্লেমেশন অব রেভল্যুশন সেই বিপ্লবী পরিষদকে ক্ষমতা দেয়। সেই প্রোক্লেমেশনের পক্ষে থাকে সমস্ত জনগণ। কিন্তু এই প্রোক্লেমেশনটা আমাদের এখনো ঘোষণা করা হয়নি। এটা ঘোষণা না করায় যে কত বড় বিপদ রয়ে গেছে, সেটা আপনারা (অন্তর্বর্তী সরকার) এখনো খেয়াল করছেন না কেন? বর্তমান সংবিধান দিয়ে চলছেন আপনারা। সংবিধানের কোনো অস্তিত্ব নেই।’
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, এবি পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার প্রমুখ।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান বলেন, সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদবলে আপিল বিভাগ থেকে একটি মতামত নিয়েছেন। ১০৬-এ কি বলা হয়েছে? এমন আইনগত প্রশ্ন উত্থাপন হয়েছে, যা রাষ্ট্রপতি মনে করছেন, আপিল বিভাগ থেকে মতামত গ্রহণ করা আবশ্যক। বিপ্লব কি আইনের প্রশ্ন? যে সরকারকে আমরা ঝেঁটিয়ে বিদায় করেছি, সেই বিপ্লব কি আইনের প্রশ্ন? তাহলে কিসের ভিত্তিতে আইনের এমন প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে? যা ১০৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে মতামত দিতে হবে? ১০৬-এর কোনো ভিত্তি নেই।
তিনি বলেন, ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সকে যারা ২১ বছর পর এসে ফেলে দিয়ে শত শত লোককে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে, তারা যদি আবার ক্ষমতায় আসতে পারে, তাহলে কি আপনাদের ফাঁসি দেবে না কি আদর করবে? ফাঁসিতে ঝোলাবে।’
ফাঁসিতে যাতে ঝোলাতে না পারে, এটা আমাদের চিন্তা করতে হবে। ৮ আগস্ট থেকে সব কর্তৃপক্ষকে বলছি, প্রোক্লেমেশন করেন। না হলে বিপদ আছে। তাদের ধারণা, ১০৬ অনুচ্ছেদ ভিত্তি। ১০৬ ভিত্তিভূমি নয়। সুতরাং প্রোক্লেমেশন হতে হবে।
এ এফ এম আব্দুর রহমান বলেন, একটা সরকার পরিবর্তন হয় কীভাবে? নিয়মিত ও অনিয়মিত—দুইভাবে। নিয়মিত পরিবর্তন হলো নির্বাচনের মাধ্যমে। আর অনিয়মিত পরিবর্তন হয় তিনভাবে—আন্দোলন, অভ্যুত্থান ও বিপ্লব। আন্দোলন তখনই হয়, যখন একটি সরকারকে পরিবর্তন করার জন্য বিরোধী দল ও জনগণ মিলে রাস্তায় আন্দোলন করে। সেই আন্দোলনকে সম্মান দেখিয়ে সরকার পদত্যাগ করে নির্বাচন দেয়।
আরেকটি পরিবর্তনের উপায় হচ্ছে সামরিক অভ্যুত্থান। এটি বহুবার দেখেছি। আরেকটি হচ্ছে বিপ্লব। বিপ্লব হচ্ছে এমন একটি স্বৈরাচারকে হটানো। সমগ্র দেশের জনগণ যখন রাস্তায় নেমে এসে রক্তাক্ত অথবা অন্য কোনোভাবে একটা স্বৈরাচারকে টেনে নামায়, সেটাকে বলে বিপ্লব।
তিনি আরও বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট বিপ্লব আমরা দেখেছি। ৫ আগস্ট যে সরকারের পতন হয়েছে, সেটা ছিল একটা গোখরো সাপ। সমগ্র জাতিকে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে এই সাপ ১৬ বছর ধরে চুষে চুষে খেয়েছে। সেই সাপটাকে আমরা ছাড়িয়েছি। এই সাপকে আমরা কোনোভাবেই আর আনতে চাই না। সেই সাপ না, আর যারা সাপ হতে চায়, তাদেরও না। আমরা সাপুড়ের ভূমিকা পালন করব। বাংলাদেশের জনগণ জানে, আন্দোলন কীভাবে করতে হয়, বিপ্লব কীভাবে করতে হয়। আমরা সেই বিপ্লবের সৈনিক। একটি সাপকে ফেলে দেওয়ার জন্য ২ হাজারের বেশি তাজা প্রাণ ঝরে গেছে। সেই সাপ পালিয়ে গেছে তার ঠিক খোপে।’
গণপরিষদ নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে সাবেক এই বিচারপতি বলেন, গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে তারা একটা সংবিধান তৈরি করবে। তখন একটি আইনগত ভিত্তি পেয়ে যাবেন। এই নির্বাচন কমিশন গণপরিষদ নির্বাচন করবে। পরে তারা জনগণের মতামত নিয়ে একটি সংবিধান তৈরি করবে। যেদিন সংবিধান গৃহীত হবে, সেদিন গণপরিষদ একটা পার্লামেন্টে পরিণত হবে। নতুন করে নির্বাচন করতে হবে না। তাহলে প্রোক্লেমেশনের মাধ্যমে আইনগত ভিত্তিটা পাব। এরপর গণপরিষদ নির্বাচন করব। গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সংবিধান পাব। সংবিধানের মাধ্যমে একটি সংসদ পাব। সেই সংসদের মাধ্যমে সরকার গঠিত হবে। আর বর্তমান সরকার তখন বিদায় নেবে। কিন্তু আপনারা যে পথে হাঁটছেন, তা অত্যন্ত বিপজ্জনক। সুতরাং এখনো সময় আছে, ভূতাপূর্বভাবে প্রোক্লেমেশনটি করেন, কোনো অসুবিধা নেই।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, বর্তমান সংবিধানে একজন ব্যক্তিকে জাতির পিতা ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা নতুন সংবিধানে ফাউন্ডিং ফাদার্স করতে চাই। আমরা এক ব্যক্তি থেকে সবার মাঝে ইতিহাস ভাগ করতে চাই। আমরা চাই সরকার আমাদের ডিক্লারেশনকে প্রকাশ করবে। যদিও আমরা কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখছি না। খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থান, শিক্ষা—এসব সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসেবে থাকতে হবে। নতুন সংবিধানের জন্য গণপরিষদ নির্বাচন হতে হবে; যারা সংবিধান রচনা করবে এবং আইনসভার দায়িত্ব নেবে। রাজনৈতিক দলগুলোর এই গণপরিষদ নির্বাচন নিয়ে কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। কারণ, দুটি নির্বাচন একই সঙ্গে হতে পারে।

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান দাবি করেছেন, ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশে বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে। কিন্তু সেই অনুযায়ী এখন পর্যন্ত বিপ্লবের ঘোষণাপত্র না আসায় দেশ বিপদের মধ্যে রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় নাগরিক কমিটির সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল উইং এর আয়োজন করে।
‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত: জুলাই ঘোষণাপত্র, গণপরিষদ ও সংবিধান’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান।
এ এফ এম আব্দুর রহমান বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশেই বিপ্লবের পর বিপ্লবী পরিষদ হয়। সেই বিপ্লবী পরিষদ তার ক্ষমতা নেয় একটি প্রোক্লেমেশনের মাধ্যমে। বিপ্লব কিন্তু সংবিধান মেনে হয় না। পৃথিবীতে যত বিপ্লব হয়েছে, সেই বিপ্লব একটি নতুন লিগ্যাল অর্ডার তৈরি করেছে। সেই লিগ্যাল অর্ডারের যে ভিত্তিভূমি, তা সমূলে গ্রহণ করতে হয় প্রোক্লেমেশন অব রেভল্যুশনের মাধ্যমে। প্রোক্লেমেশন অব রেভল্যুশন সেই বিপ্লবী পরিষদকে ক্ষমতা দেয়। সেই প্রোক্লেমেশনের পক্ষে থাকে সমস্ত জনগণ। কিন্তু এই প্রোক্লেমেশনটা আমাদের এখনো ঘোষণা করা হয়নি। এটা ঘোষণা না করায় যে কত বড় বিপদ রয়ে গেছে, সেটা আপনারা (অন্তর্বর্তী সরকার) এখনো খেয়াল করছেন না কেন? বর্তমান সংবিধান দিয়ে চলছেন আপনারা। সংবিধানের কোনো অস্তিত্ব নেই।’
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, এবি পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার প্রমুখ।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান বলেন, সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদবলে আপিল বিভাগ থেকে একটি মতামত নিয়েছেন। ১০৬-এ কি বলা হয়েছে? এমন আইনগত প্রশ্ন উত্থাপন হয়েছে, যা রাষ্ট্রপতি মনে করছেন, আপিল বিভাগ থেকে মতামত গ্রহণ করা আবশ্যক। বিপ্লব কি আইনের প্রশ্ন? যে সরকারকে আমরা ঝেঁটিয়ে বিদায় করেছি, সেই বিপ্লব কি আইনের প্রশ্ন? তাহলে কিসের ভিত্তিতে আইনের এমন প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে? যা ১০৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে মতামত দিতে হবে? ১০৬-এর কোনো ভিত্তি নেই।
তিনি বলেন, ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সকে যারা ২১ বছর পর এসে ফেলে দিয়ে শত শত লোককে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে, তারা যদি আবার ক্ষমতায় আসতে পারে, তাহলে কি আপনাদের ফাঁসি দেবে না কি আদর করবে? ফাঁসিতে ঝোলাবে।’
ফাঁসিতে যাতে ঝোলাতে না পারে, এটা আমাদের চিন্তা করতে হবে। ৮ আগস্ট থেকে সব কর্তৃপক্ষকে বলছি, প্রোক্লেমেশন করেন। না হলে বিপদ আছে। তাদের ধারণা, ১০৬ অনুচ্ছেদ ভিত্তি। ১০৬ ভিত্তিভূমি নয়। সুতরাং প্রোক্লেমেশন হতে হবে।
এ এফ এম আব্দুর রহমান বলেন, একটা সরকার পরিবর্তন হয় কীভাবে? নিয়মিত ও অনিয়মিত—দুইভাবে। নিয়মিত পরিবর্তন হলো নির্বাচনের মাধ্যমে। আর অনিয়মিত পরিবর্তন হয় তিনভাবে—আন্দোলন, অভ্যুত্থান ও বিপ্লব। আন্দোলন তখনই হয়, যখন একটি সরকারকে পরিবর্তন করার জন্য বিরোধী দল ও জনগণ মিলে রাস্তায় আন্দোলন করে। সেই আন্দোলনকে সম্মান দেখিয়ে সরকার পদত্যাগ করে নির্বাচন দেয়।
আরেকটি পরিবর্তনের উপায় হচ্ছে সামরিক অভ্যুত্থান। এটি বহুবার দেখেছি। আরেকটি হচ্ছে বিপ্লব। বিপ্লব হচ্ছে এমন একটি স্বৈরাচারকে হটানো। সমগ্র দেশের জনগণ যখন রাস্তায় নেমে এসে রক্তাক্ত অথবা অন্য কোনোভাবে একটা স্বৈরাচারকে টেনে নামায়, সেটাকে বলে বিপ্লব।
তিনি আরও বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট বিপ্লব আমরা দেখেছি। ৫ আগস্ট যে সরকারের পতন হয়েছে, সেটা ছিল একটা গোখরো সাপ। সমগ্র জাতিকে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে এই সাপ ১৬ বছর ধরে চুষে চুষে খেয়েছে। সেই সাপটাকে আমরা ছাড়িয়েছি। এই সাপকে আমরা কোনোভাবেই আর আনতে চাই না। সেই সাপ না, আর যারা সাপ হতে চায়, তাদেরও না। আমরা সাপুড়ের ভূমিকা পালন করব। বাংলাদেশের জনগণ জানে, আন্দোলন কীভাবে করতে হয়, বিপ্লব কীভাবে করতে হয়। আমরা সেই বিপ্লবের সৈনিক। একটি সাপকে ফেলে দেওয়ার জন্য ২ হাজারের বেশি তাজা প্রাণ ঝরে গেছে। সেই সাপ পালিয়ে গেছে তার ঠিক খোপে।’
গণপরিষদ নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে সাবেক এই বিচারপতি বলেন, গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে তারা একটা সংবিধান তৈরি করবে। তখন একটি আইনগত ভিত্তি পেয়ে যাবেন। এই নির্বাচন কমিশন গণপরিষদ নির্বাচন করবে। পরে তারা জনগণের মতামত নিয়ে একটি সংবিধান তৈরি করবে। যেদিন সংবিধান গৃহীত হবে, সেদিন গণপরিষদ একটা পার্লামেন্টে পরিণত হবে। নতুন করে নির্বাচন করতে হবে না। তাহলে প্রোক্লেমেশনের মাধ্যমে আইনগত ভিত্তিটা পাব। এরপর গণপরিষদ নির্বাচন করব। গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সংবিধান পাব। সংবিধানের মাধ্যমে একটি সংসদ পাব। সেই সংসদের মাধ্যমে সরকার গঠিত হবে। আর বর্তমান সরকার তখন বিদায় নেবে। কিন্তু আপনারা যে পথে হাঁটছেন, তা অত্যন্ত বিপজ্জনক। সুতরাং এখনো সময় আছে, ভূতাপূর্বভাবে প্রোক্লেমেশনটি করেন, কোনো অসুবিধা নেই।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, বর্তমান সংবিধানে একজন ব্যক্তিকে জাতির পিতা ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা নতুন সংবিধানে ফাউন্ডিং ফাদার্স করতে চাই। আমরা এক ব্যক্তি থেকে সবার মাঝে ইতিহাস ভাগ করতে চাই। আমরা চাই সরকার আমাদের ডিক্লারেশনকে প্রকাশ করবে। যদিও আমরা কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখছি না। খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থান, শিক্ষা—এসব সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসেবে থাকতে হবে। নতুন সংবিধানের জন্য গণপরিষদ নির্বাচন হতে হবে; যারা সংবিধান রচনা করবে এবং আইনসভার দায়িত্ব নেবে। রাজনৈতিক দলগুলোর এই গণপরিষদ নির্বাচন নিয়ে কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। কারণ, দুটি নির্বাচন একই সঙ্গে হতে পারে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অনৈক্য-বিভেদ দূর করে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে আজ বুধবার কেটে যাচ্ছে দুই দিন। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
৯ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে...
১৬ ঘণ্টা আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অনৈক্য-বিভেদ দূর করে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে আজ বুধবার কেটে যাচ্ছে দুই দিন। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
দলগুলোর পক্ষ থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত আলোচনার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সরকারের অনুরোধের এক দিন আগে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে অন্য দলগুলোর প্রতি আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছিল মুখে মুখে। কিন্তু এ আহ্বান বাস্তবায়নে গতকাল পর্যন্ত কার্যত কোনো উদ্যোগ নেয়নি দলটি।
জামায়াত তবু আহ্বান জানিয়েছে। বিএনপি নিজের দিক থেকে কোনো কথা বলেনি, উদ্যোগও নেয়নি। বরং সরকারের আহ্বানে দলটি সাড়া দিতে চাইছে না বলে দলটির সূত্র জানিয়েছে। আর সংকট সমাধানে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণতন্ত্র মঞ্চ।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে সংকট কাটাতে গত সোমবার জরুরি বৈঠকে বসে উপদেষ্টা পরিষদ। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, এ নিয়ে সরকারের দিক থেকে আর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে না। এখন রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সমঝোতায় আসুক। এ জন্য দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়। এর মধ্যে দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে সরকার নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত দেবে।
জুলাই সনদ ইস্যুতে গত মার্চ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আলোচনা করছে। সেখানে অনেক ইস্যুতে একমত হলেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে বিএনপিসহ বেশ কিছু দলের আপত্তি ছিল। ৩১ আগস্ট শেষ হওয়া দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, নির্বাচনে বিজয়ী হলে আপত্তি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে দলগুলো। তবে সে সময় গণভোট নিয়ে আলোচনা হয়নি। বাস্তবায়ন প্রশ্নে তৃতীয় ধাপে পাঁচ দিন সংলাপ করে দলগুলো। সেখানে গণভোটের বিষয়ে একমত হয় তারা। তবে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে দলগুলো সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
গত ৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সংলাপে জানানো হয়, দলগুলোর মত ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে সরকারের কাছে কমিশন বাস্তবায়নের উপায় জমা দেবে; যেখানে বিশেষজ্ঞরা গণভোটে আপত্তি না রাখার বিষয়ে মত দেন। তাঁদের যুক্তি ছিল, জনগণ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, সেখানে আপত্তির বিধান রাখা যুক্তিযুক্ত না। ২৭ অক্টোবর সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেয় কমিশন। এরপর শুরু হয় নতুন বিতর্ক। ছয় মাসে যেখানে দলগুলো একমত হতে পারেনি, সেখানে এক সপ্তাহে দলগুলো আলোচনা করে ঐক্যবদ্ধ হবে, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
আলোচনার উদ্যোগ নেবে না বিএনপি
আলোচনা করে সমঝোতায় আসতে সরকারের অনুরোধে বিএনপি কোনো উদ্যোগ নেবে না বলে দলটির একাধিক সূত্র গতকাল জানিয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলছেন, বাস্তবায়ন আদেশে তাদের ওপর অনেক কিছু চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এখন আলোচনার নামে দায়ভার চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
সরকারের এমন অনুরোধে তাদের দল সাড়া দেবে না। এ জন্য আলোচনায় বসার জন্য কোনো দলকে ডাকবে না বিএনপি। কেউ আলোচনার জন্য দাওয়াত দিলে বিবেচনা করা হবে কি না, দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে একসঙ্গে বসার বিষয়ে যে অনুরোধ করেছে, এ ব্যাপারে আমরা কোনো আলোচনা করতে পারিনি। সোমবার দলের প্রার্থী মনোনয়ন এবং প্রেস ব্রিফিং নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আলোচনার সুযোগ হয়নি। আলোচনা করে তারপর জানানো হবে।’
আহ্বান জানিয়েছে জামায়াত
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত জামায়াতে ইসলামী। যদিও সরকারের আহ্বানের আগেই আলোচনার জন্য অন্য দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা। তবে দলটির অনুরোধে গতকাল পর্যন্ত কোনো দল সাড়া দেয়নি বলে জানা গেছে।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ গতকাল বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছে একসঙ্গে বসার। সরকারের আগেই আমরা আহ্বান করেছি। এখনো কারও সাড়া পাইনি আমরা, হয়তো সামনে পাব।’
এর আগে গত রোববার রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সঙ্গে কোনো ঝগড়ায় লিপ্ত হতে চায় না। যা-ই করছেন, এবার বন্ধ করুন। আসুন, আমরা একসঙ্গে বসি। দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি।’
আর গতকাল মঙ্গলবার বিদেশ সফর শেষে ঢাকায় ফিরে বিমানবন্দরে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘সরকার অনুরোধ করেছে, এক সপ্তাহ সময়ের ভেতরে রাজনৈতিক দলগুলো বসে যদি একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে, সরকারের জন্য এটা ভালো। আমরাই সবার আগে আমাদের নায়েবে আমিরের মাধ্যমে আহ্বান জানিয়েছি যে আসুন, আমরা খোলামেলা আলোচনা করে একটা সমাধানে পৌঁছাই দেশ ও জাতির স্বার্থে। আমরা আশা করি, অন্যরা আমাদের এই আহ্বানে সাড়া দেবেন।’
সরকারের কোর্টে বল ঠেলছে এনসিপি
রাজনৈতিক দলগুলোর কোর্টে বল ঠেলে না দিয়ে সরকারকেই জুলাই সনদ আদেশ জারির উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করে এনসিপি। তবে প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনায় যেতে তাঁরা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা। যদিও এখন পর্যন্ত এনসিপি কোনো রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেয়নি বলে জানা গেছে। আবার এনসিপিকেও কেউ প্রস্তাব দেয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলাপ চলছে। বাস্তবায়ন আদেশ জারির জন্য সরকারের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চাপ প্রয়োগ করছে এনসিপি।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘সংস্কার বাস্তবায়নের বিষয়ে সরকার বা ঐকমত্য কমিশনকে রেফারি করেছে অনেকে। কিন্তু আমরা দেখি, সরকার ও ঐকমত্য কমিশন সংস্কার বাস্তবায়নের ব্যাপারে রেফারি না। তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী। তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে সংস্কারের পক্ষে। যদি তারা সংস্কারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা তাদের ম্যান্ডেট থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবে। সরকারের এখন দায়িত্ব হলো ঐকমত্য কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেই প্রস্তাবে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করা।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘জুলাই সনদের বিষয়ে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। তবে প্রয়োজনে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত আছি।’
গণতন্ত্র মঞ্চের ভাবনা
জুলাই সনদকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অচলাবস্থার জন্য ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং অন্তর্বর্তী সরকারই দায়ী বলে জানিয়েছে ৬টি রাজনৈতিক দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। মঞ্চের নেতারা বলেছেন, এই সংকট সমাধানের দায়িত্বও সরকারকেই নিতে হবে। একই সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরির চেষ্টায় ধারাবাহিক আলোচনা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘এই সংকট সমাধানের জন্য সরকারের যে উদ্যোগ নেওয়া দরকার ছিল, তা না নিয়ে সরকার অনেকটা মান-অভিমানের মতো অবস্থান নিয়েছে। সরকারের এমন মনোভাব মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। সংস্কার কি হবে না? সংস্কার না হলে নির্বাচন কি হবে? যাদের আমরা পরাজিত করেছি, তারা আবার ফিরে আসবে?’
আর নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমদুর রহমান মান্না এক বিবৃতিতে বলেছেন, সরকার কোনোভাবেই দায়িত্ব এড়াতে পারে না। সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। সরকারকে রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করে সমাধানের পথ তৈরি করতে হবে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অনৈক্য-বিভেদ দূর করে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে আজ বুধবার কেটে যাচ্ছে দুই দিন। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
দলগুলোর পক্ষ থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত আলোচনার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সরকারের অনুরোধের এক দিন আগে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে অন্য দলগুলোর প্রতি আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছিল মুখে মুখে। কিন্তু এ আহ্বান বাস্তবায়নে গতকাল পর্যন্ত কার্যত কোনো উদ্যোগ নেয়নি দলটি।
জামায়াত তবু আহ্বান জানিয়েছে। বিএনপি নিজের দিক থেকে কোনো কথা বলেনি, উদ্যোগও নেয়নি। বরং সরকারের আহ্বানে দলটি সাড়া দিতে চাইছে না বলে দলটির সূত্র জানিয়েছে। আর সংকট সমাধানে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণতন্ত্র মঞ্চ।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে সংকট কাটাতে গত সোমবার জরুরি বৈঠকে বসে উপদেষ্টা পরিষদ। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, এ নিয়ে সরকারের দিক থেকে আর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে না। এখন রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সমঝোতায় আসুক। এ জন্য দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়। এর মধ্যে দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে সরকার নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত দেবে।
জুলাই সনদ ইস্যুতে গত মার্চ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আলোচনা করছে। সেখানে অনেক ইস্যুতে একমত হলেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে বিএনপিসহ বেশ কিছু দলের আপত্তি ছিল। ৩১ আগস্ট শেষ হওয়া দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, নির্বাচনে বিজয়ী হলে আপত্তি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে দলগুলো। তবে সে সময় গণভোট নিয়ে আলোচনা হয়নি। বাস্তবায়ন প্রশ্নে তৃতীয় ধাপে পাঁচ দিন সংলাপ করে দলগুলো। সেখানে গণভোটের বিষয়ে একমত হয় তারা। তবে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে দলগুলো সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
গত ৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সংলাপে জানানো হয়, দলগুলোর মত ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে সরকারের কাছে কমিশন বাস্তবায়নের উপায় জমা দেবে; যেখানে বিশেষজ্ঞরা গণভোটে আপত্তি না রাখার বিষয়ে মত দেন। তাঁদের যুক্তি ছিল, জনগণ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, সেখানে আপত্তির বিধান রাখা যুক্তিযুক্ত না। ২৭ অক্টোবর সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেয় কমিশন। এরপর শুরু হয় নতুন বিতর্ক। ছয় মাসে যেখানে দলগুলো একমত হতে পারেনি, সেখানে এক সপ্তাহে দলগুলো আলোচনা করে ঐক্যবদ্ধ হবে, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
আলোচনার উদ্যোগ নেবে না বিএনপি
আলোচনা করে সমঝোতায় আসতে সরকারের অনুরোধে বিএনপি কোনো উদ্যোগ নেবে না বলে দলটির একাধিক সূত্র গতকাল জানিয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলছেন, বাস্তবায়ন আদেশে তাদের ওপর অনেক কিছু চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এখন আলোচনার নামে দায়ভার চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
সরকারের এমন অনুরোধে তাদের দল সাড়া দেবে না। এ জন্য আলোচনায় বসার জন্য কোনো দলকে ডাকবে না বিএনপি। কেউ আলোচনার জন্য দাওয়াত দিলে বিবেচনা করা হবে কি না, দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে একসঙ্গে বসার বিষয়ে যে অনুরোধ করেছে, এ ব্যাপারে আমরা কোনো আলোচনা করতে পারিনি। সোমবার দলের প্রার্থী মনোনয়ন এবং প্রেস ব্রিফিং নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আলোচনার সুযোগ হয়নি। আলোচনা করে তারপর জানানো হবে।’
আহ্বান জানিয়েছে জামায়াত
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত জামায়াতে ইসলামী। যদিও সরকারের আহ্বানের আগেই আলোচনার জন্য অন্য দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা। তবে দলটির অনুরোধে গতকাল পর্যন্ত কোনো দল সাড়া দেয়নি বলে জানা গেছে।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ গতকাল বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছে একসঙ্গে বসার। সরকারের আগেই আমরা আহ্বান করেছি। এখনো কারও সাড়া পাইনি আমরা, হয়তো সামনে পাব।’
এর আগে গত রোববার রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সঙ্গে কোনো ঝগড়ায় লিপ্ত হতে চায় না। যা-ই করছেন, এবার বন্ধ করুন। আসুন, আমরা একসঙ্গে বসি। দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি।’
আর গতকাল মঙ্গলবার বিদেশ সফর শেষে ঢাকায় ফিরে বিমানবন্দরে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘সরকার অনুরোধ করেছে, এক সপ্তাহ সময়ের ভেতরে রাজনৈতিক দলগুলো বসে যদি একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে, সরকারের জন্য এটা ভালো। আমরাই সবার আগে আমাদের নায়েবে আমিরের মাধ্যমে আহ্বান জানিয়েছি যে আসুন, আমরা খোলামেলা আলোচনা করে একটা সমাধানে পৌঁছাই দেশ ও জাতির স্বার্থে। আমরা আশা করি, অন্যরা আমাদের এই আহ্বানে সাড়া দেবেন।’
সরকারের কোর্টে বল ঠেলছে এনসিপি
রাজনৈতিক দলগুলোর কোর্টে বল ঠেলে না দিয়ে সরকারকেই জুলাই সনদ আদেশ জারির উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করে এনসিপি। তবে প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনায় যেতে তাঁরা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা। যদিও এখন পর্যন্ত এনসিপি কোনো রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেয়নি বলে জানা গেছে। আবার এনসিপিকেও কেউ প্রস্তাব দেয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলাপ চলছে। বাস্তবায়ন আদেশ জারির জন্য সরকারের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চাপ প্রয়োগ করছে এনসিপি।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘সংস্কার বাস্তবায়নের বিষয়ে সরকার বা ঐকমত্য কমিশনকে রেফারি করেছে অনেকে। কিন্তু আমরা দেখি, সরকার ও ঐকমত্য কমিশন সংস্কার বাস্তবায়নের ব্যাপারে রেফারি না। তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী। তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে সংস্কারের পক্ষে। যদি তারা সংস্কারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা তাদের ম্যান্ডেট থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবে। সরকারের এখন দায়িত্ব হলো ঐকমত্য কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেই প্রস্তাবে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করা।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘জুলাই সনদের বিষয়ে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। তবে প্রয়োজনে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত আছি।’
গণতন্ত্র মঞ্চের ভাবনা
জুলাই সনদকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অচলাবস্থার জন্য ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং অন্তর্বর্তী সরকারই দায়ী বলে জানিয়েছে ৬টি রাজনৈতিক দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। মঞ্চের নেতারা বলেছেন, এই সংকট সমাধানের দায়িত্বও সরকারকেই নিতে হবে। একই সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরির চেষ্টায় ধারাবাহিক আলোচনা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘এই সংকট সমাধানের জন্য সরকারের যে উদ্যোগ নেওয়া দরকার ছিল, তা না নিয়ে সরকার অনেকটা মান-অভিমানের মতো অবস্থান নিয়েছে। সরকারের এমন মনোভাব মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। সংস্কার কি হবে না? সংস্কার না হলে নির্বাচন কি হবে? যাদের আমরা পরাজিত করেছি, তারা আবার ফিরে আসবে?’
আর নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমদুর রহমান মান্না এক বিবৃতিতে বলেছেন, সরকার কোনোভাবেই দায়িত্ব এড়াতে পারে না। সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। সরকারকে রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করে সমাধানের পথ তৈরি করতে হবে।

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান বলেছেন, ‘পৃথিবীর সব দেশে বিপ্লবের পর বিপ্লবী পরিষদ হয়। সেই বিপ্লবী পরিষদ তার ক্ষমতা নেয় একটি প্রোক্লেমেশনের মাধ্যমে। বিপ্লব কিন্তু সংবিধান মেনে হয় না। পৃথিবীতে যত বিপ্লব হয়েছে, সেই বিপ্লব একটি নতুন লিগ্যাল অর্ডার তৈরি করেছে।
১৪ জানুয়ারি ২০২৫
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে...
১৬ ঘণ্টা আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে এমনটি জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে।
সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২ হাজার ৫০০ ক্লাস্টারে সমসংখ্যক শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি সচিব কমিটির সুপারিশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
সচিব কমিটি মনে করে, প্রকল্পটির পরিকল্পনায় ত্রুটি ছিল। এত অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না এবং এতে বৈষম্যের সৃষ্টি হবে। সারা দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের অধিকাংশেই প্রস্তাবিত নিয়োগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ক্লাস্টারভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলে একই শিক্ষককে ২০টির বেশি বিদ্যালয়ে যুগপৎভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এর ফলে তাঁর পক্ষে কর্মঘণ্টা ম্যানেজ করা সম্ভব হবে না বলে সচিব কমিটি মনে করে।
পরে অর্থের সংস্থান সাপেক্ষে সব স্কুলে এ রকম নতুন বিষয়ের শিক্ষকের পদ সৃজন ও সেসব পদে নিয়োগদানের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে কমিটি অভিমত ব্যক্ত করেছে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে এমনটি জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে।
সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২ হাজার ৫০০ ক্লাস্টারে সমসংখ্যক শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি সচিব কমিটির সুপারিশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
সচিব কমিটি মনে করে, প্রকল্পটির পরিকল্পনায় ত্রুটি ছিল। এত অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না এবং এতে বৈষম্যের সৃষ্টি হবে। সারা দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের অধিকাংশেই প্রস্তাবিত নিয়োগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ক্লাস্টারভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলে একই শিক্ষককে ২০টির বেশি বিদ্যালয়ে যুগপৎভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এর ফলে তাঁর পক্ষে কর্মঘণ্টা ম্যানেজ করা সম্ভব হবে না বলে সচিব কমিটি মনে করে।
পরে অর্থের সংস্থান সাপেক্ষে সব স্কুলে এ রকম নতুন বিষয়ের শিক্ষকের পদ সৃজন ও সেসব পদে নিয়োগদানের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে কমিটি অভিমত ব্যক্ত করেছে।

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান বলেছেন, ‘পৃথিবীর সব দেশে বিপ্লবের পর বিপ্লবী পরিষদ হয়। সেই বিপ্লবী পরিষদ তার ক্ষমতা নেয় একটি প্রোক্লেমেশনের মাধ্যমে। বিপ্লব কিন্তু সংবিধান মেনে হয় না। পৃথিবীতে যত বিপ্লব হয়েছে, সেই বিপ্লব একটি নতুন লিগ্যাল অর্ডার তৈরি করেছে।
১৪ জানুয়ারি ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অনৈক্য-বিভেদ দূর করে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে আজ বুধবার কেটে যাচ্ছে দুই দিন। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
৯ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে...
১৬ ঘণ্টা আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে ফুল কোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় তাঁদের পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদোন্নতির জন্য প্যানেলে ছিলেন– অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদের জন্য ৩৪৫ জন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে ২০৭ এবং সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫৫১ জন। সব মিলিয়ে পদোন্নতির প্যানেলে ১ হাজার ১০৩ জন বিচারিক কর্মকর্তার নাম থাকলেও নানা কারণে বেশ কয়েকজনের নাম অনুমোদন হয়নি।
২০২৬ সালের সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডারও ফুল কোর্ট সভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তবে সরকারি ক্যালেন্ডার এখনো প্রকাশিত না হওয়ায় তা অনুমোদিত হয়নি।
সম্প্রতি ১ হাজার ১০৩ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়। পদোন্নতির প্যানেলে ছিল কয়েকজন বিতর্কিত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার নাম, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধান চলমান।
বিচারকদের পদোন্নতি যেভাবে হয়
সব মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতির জন্য ডিপিসি (বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি) থাকে। ওই কমিটি পদোন্নতির প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে এক দিনেই প্যানেলের সবার পদোন্নতির জিও জারি করা হয়।
তবে বিচারকদের ক্ষেত্রে প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়। বাছাই কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় ওঠে। সভায় অনুমোদন পাওয়ার পর তা আবার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় থেকে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে ওই প্যানেল আইন মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত থাকে এবং পদ খালি হওয়ার পর সময়ে সময়ে জিও জারি করা হয়।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা ২০০৭ অনুযায়ী, সিনিয়র সহকারী জজ পদে পদোন্নতির জন্য সহকারী জজদের এই পদে চার বছর দায়িত্ব পালনের শর্ত পূরণ করতে হয়। সিনিয়র সহকারী জজদের যুগ্ম জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর, যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর এবং অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছরের শর্ত পূরণ করতে হয়। তবে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হয় না। অনেকেই বছরের পর বছর প্যানেলভুক্ত হয়ে থাকেন।

সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে ফুল কোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় তাঁদের পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদোন্নতির জন্য প্যানেলে ছিলেন– অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদের জন্য ৩৪৫ জন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে ২০৭ এবং সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫৫১ জন। সব মিলিয়ে পদোন্নতির প্যানেলে ১ হাজার ১০৩ জন বিচারিক কর্মকর্তার নাম থাকলেও নানা কারণে বেশ কয়েকজনের নাম অনুমোদন হয়নি।
২০২৬ সালের সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডারও ফুল কোর্ট সভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তবে সরকারি ক্যালেন্ডার এখনো প্রকাশিত না হওয়ায় তা অনুমোদিত হয়নি।
সম্প্রতি ১ হাজার ১০৩ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়। পদোন্নতির প্যানেলে ছিল কয়েকজন বিতর্কিত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার নাম, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধান চলমান।
বিচারকদের পদোন্নতি যেভাবে হয়
সব মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতির জন্য ডিপিসি (বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি) থাকে। ওই কমিটি পদোন্নতির প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে এক দিনেই প্যানেলের সবার পদোন্নতির জিও জারি করা হয়।
তবে বিচারকদের ক্ষেত্রে প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়। বাছাই কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় ওঠে। সভায় অনুমোদন পাওয়ার পর তা আবার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় থেকে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে ওই প্যানেল আইন মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত থাকে এবং পদ খালি হওয়ার পর সময়ে সময়ে জিও জারি করা হয়।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা ২০০৭ অনুযায়ী, সিনিয়র সহকারী জজ পদে পদোন্নতির জন্য সহকারী জজদের এই পদে চার বছর দায়িত্ব পালনের শর্ত পূরণ করতে হয়। সিনিয়র সহকারী জজদের যুগ্ম জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর, যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর এবং অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছরের শর্ত পূরণ করতে হয়। তবে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হয় না। অনেকেই বছরের পর বছর প্যানেলভুক্ত হয়ে থাকেন।

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান বলেছেন, ‘পৃথিবীর সব দেশে বিপ্লবের পর বিপ্লবী পরিষদ হয়। সেই বিপ্লবী পরিষদ তার ক্ষমতা নেয় একটি প্রোক্লেমেশনের মাধ্যমে। বিপ্লব কিন্তু সংবিধান মেনে হয় না। পৃথিবীতে যত বিপ্লব হয়েছে, সেই বিপ্লব একটি নতুন লিগ্যাল অর্ডার তৈরি করেছে।
১৪ জানুয়ারি ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অনৈক্য-বিভেদ দূর করে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে আজ বুধবার কেটে যাচ্ছে দুই দিন। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
৯ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর স্ত্রী নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে ৪৫ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও ৪৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার দুদকের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, অভিযুক্ত নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
এ ছাড়া ২০১৯ সালের মে থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত নুরজাহান বেগমের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের একটি হিসাবে ৪৩ কোটি ৩১ লাখ ৪৭ হাজার ৮০৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করেছে দুদক।
এ তথ্য আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যাচাই করা হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এর আগেও অবৈধ সম্পদ অর্জন, ফেনী ও ঢাকায় নামে-বেনামে জমি ও ভবন ক্রয় এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে একাধিক তদন্ত চলছে।
সূত্রটি আরও জানায়, দুদকে পাঠানো সম্পদ বিবরণীতে ঘোষিত তথ্য ও বাস্তব সম্পদের মধ্যে বিশাল অমিল পাওয়া যায়। এর ধারাবাহিকতায় নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফেনী-২ আসন থেকে টানা তিনবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নিজাম উদ্দিন হাজারী। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দখলদারত্বের অভিযোগ রয়েছে।

ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর স্ত্রী নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে ৪৫ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও ৪৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার দুদকের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, অভিযুক্ত নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
এ ছাড়া ২০১৯ সালের মে থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত নুরজাহান বেগমের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের একটি হিসাবে ৪৩ কোটি ৩১ লাখ ৪৭ হাজার ৮০৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করেছে দুদক।
এ তথ্য আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যাচাই করা হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এর আগেও অবৈধ সম্পদ অর্জন, ফেনী ও ঢাকায় নামে-বেনামে জমি ও ভবন ক্রয় এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে একাধিক তদন্ত চলছে।
সূত্রটি আরও জানায়, দুদকে পাঠানো সম্পদ বিবরণীতে ঘোষিত তথ্য ও বাস্তব সম্পদের মধ্যে বিশাল অমিল পাওয়া যায়। এর ধারাবাহিকতায় নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফেনী-২ আসন থেকে টানা তিনবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নিজাম উদ্দিন হাজারী। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দখলদারত্বের অভিযোগ রয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান বলেছেন, ‘পৃথিবীর সব দেশে বিপ্লবের পর বিপ্লবী পরিষদ হয়। সেই বিপ্লবী পরিষদ তার ক্ষমতা নেয় একটি প্রোক্লেমেশনের মাধ্যমে। বিপ্লব কিন্তু সংবিধান মেনে হয় না। পৃথিবীতে যত বিপ্লব হয়েছে, সেই বিপ্লব একটি নতুন লিগ্যাল অর্ডার তৈরি করেছে।
১৪ জানুয়ারি ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অনৈক্য-বিভেদ দূর করে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে আজ বুধবার কেটে যাচ্ছে দুই দিন। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
৯ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে...
১৬ ঘণ্টা আগে