Ajker Patrika

এবার জানুয়ারিতেই বই পাবে শিক্ষার্থীরা, জানালেন অর্থ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০: ৪৩
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি

আগামী শিক্ষাবর্ষে জানুয়ারি মাসেই শিক্ষার্থীদের হাতে বোর্ডের নতুন বই তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। আজ রোববার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভার পর সাংবাদিকদের অর্থ উপদেষ্টা একথা বলেন।

গত জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে দেরি হয়েছিল। উপদেষ্টা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের অর্থ উপদেষ্টা এ বিষয়ে বলেন, ‘গত বছর বই ছাপানোর কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল নভেম্বর মাসে। এবার শিক্ষার্থীরা যেন জানুয়ারি মাসেই নতুন বই পায়, সে জন্য সেপ্টেম্বর মাসেই কার্যাদেশ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কিছু দেওয়াও হয়েছে। যাচাই-বাছাই করে বাকিগুলো সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেওয়া হবে।’

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের হাতে ১ জানুয়ারি নতুন বই তুলে দেওয়ার কথা। তবে আমরা যাচাই করে দেখতে চাই; যারা এর আগে কাজ পেয়েছিল, তাদের বইয়ের মান কেমন ছিল, কাগজ কেমন ছিল, একচেটিয়াভাবে কেউ কাজ পাচ্ছে কি না। এ জন্যই নবম-দশম শ্রেণির বইয়ের বিষয়ে একটি প্রস্তাব প্রত্যাহার করা হয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, পাঠ্যবই নিয়ে অনিয়মের সংবাদ মাঝেমধ্যে পাওয়া যায়। যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাদের চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। বই ছাপানোর জন্য কোন কোন প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত এ মাসেই নেওয়া হবে।

গতকাল সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত কমিটির সভা ও অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত কমিটির সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের নবম শ্রেণি ও দশম শ্রেণির আংশিকের জন্য ৪৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে ৫ কোটির কিছু বেশি বই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের একটি প্রস্তাব তোলে। এ জন্য উন্মুক্ত দরপত্র (ইজিপি) আহ্বান করা হলে ৭১৮টি দরপত্র জমা পড়ে। এর মধ্যে ৫৯৩টি দরপত্র কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। তবে সভায় কমিটি প্রস্তাবটি আরও যাচাই করতে বলে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

এদিকে অর্থনীতিসংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মাঠপর্যায়ে সব রুটিন ইপিআই টিকার নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) কেনার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত