নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ‘ইতিহাসের সেরা ভোট’ উপহার দেওয়ার প্রত্যয় রাখলেও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখছে এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এই লক্ষ্যে কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ার করে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের নৈতিকতা, পেশাদারি ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। একই সঙ্গে ‘বিতর্কিত ভোটের’ কারণে সাবেক দুই সিইসির এখন কারাবাস ও জুতার মালা পরানোর ঘটনাও তুলে ধরেন নির্বাচন কমিশনাররা।
আজ শুক্রবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ‘ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কোর প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ’ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন সিইসি। এ সময় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির সিনিয়র সচিব ও ইটিআই মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিরপেক্ষ হোন, প্রশিক্ষণের ওপর সফলতা নির্ভর করবে উল্লেখ করে সিইসি ভোটগ্রহণে সম্পৃক্ত নির্বাচন কর্মকর্তাদের আইন, বিধি জানার পাশাপাশি নৈতিকতা, সততার সঙ্গে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার নির্দেশনা দেন। কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাঠ পর্যায়ে যেন সঠিকভাবে প্রশিক্ষণের প্রতিফলন ঘটে, সে বিষয়ে নজর রাখার তাগিদ দেন এবং এআইয়ের অপব্যবহার রোধে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আমাদের সামনে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে, যা আমরা এখনো জানি না। অপতথ্য, মিথ্যা তথ্য নিয়ে চ্যালেঞ্জ আসবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাতে এটা প্রপারলি অ্যাড্রেস হয়, সেই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। আইনকানুনের বিষয়ে জানতে হবে। যেকোনো ধরনের নতুন চ্যালেঞ্জ এলে তা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ট্রেনিংকে সিরিয়াসলি নিতে হবে।
তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের ওপর আমাদের সফলতা নির্ভর করছে। প্রশিক্ষণের বটমলাইন হচ্ছে—প্রোফেশনালিজম, প্রোফেশনালিজম, প্রোফেশনালিজম অ্যান্ড নিউট্রালিটি, নিউট্রালিটি, নিউট্রালিটি।
সাবেক দুই সিইসির পরিণতি দুঃখজনক, বিশ্লেষণ দরকার—জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘আমার সহকর্মী বলে গেলেন নির্বাচনটা ঝুঁকিপূর্ণ হবে। এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জুতার মালা পরানো হয়েছে। আরেকটু যোগ করে যদি বলি, আরেকজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারও বর্তমানে কারান্তরে রয়েছেন। দুঃখজনক! এ পরিস্থিতির জন্য কে দায়ী, গভীর বিশ্লেষণের দরকার।’

তিনি বলেন, ‘আশা করি, একসময় বিশ্লেষণ হয়েও যাবে, গবেষণাও হয়ে যাবে। আমরা যারা আজকে দাঁড়িয়ে আছি, আজকে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত, তারা কী করব? হোয়াটস আ মেকানিজম?’
সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করার ক্ষেত্রে ইসির ভূমিকা তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘নিজের দায়িত্বটাকে আইনানুগভাবে করতে হবে। কারও দিকে না তাকিয়ে আইন মেনে কাজ করতে হবে; সংবিধান ও আইন মেনে কাজ করলেই সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি হবে। কে কী করল, কী ভাবল, চিন্তা করল—সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করার প্রয়োজন নেই।’
তিনি বলেন, ‘প্রিসাইডিং অফিসার হচ্ছেন মেইন পার্সন, তিনিই একমাত্র লোক, যিনি ফেয়ার ইলেকশন কনডাক্ট করবেন। তাঁর দায়িত্ব ঝুঁকিপূর্ণ হবে। সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।...আইন, সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন। তা না হলে প্রশ্ন আসবে কোনো কোয়ার্টার থেকে কোন দপ্তর, বিভাগ থেকে প্ররোচিত হয়েছেন। আমরা ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন চাই।’
‘আগামী নির্বাচন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হবে, জুতার মালার অংশীদার আপনিও’—এমন উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হবে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন, এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
তিনি বলেন, ইসির প্রধান দায়িত্ব একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা। এর বিকল্প কোনো পথ নেই।
নিজেদের গণ-অভ্যুত্থানের ফসল উল্লেখ করে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার বিষয়ে সবার দায়িত্বের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভালো নির্বাচন আমাদের কমিটমেন্ট হবে। এই যে এত রক্ত গেল, এত প্রাণ গেল, এত বছর মানুষের দুঃখ-কষ্ট; যদি সঠিক নির্বাচন হতো, এগুলো কিন্তু হতো না। আজকে নির্বাচন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের গলায় যদি জুতার মালা হয়, এটির অংশীদার কিন্তু আপনি; মনে করবেন না যে আপনি না।’
নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সুতরাং আবারও বলছি, আবারও অনুরোধ করছি, এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেন, যে প্রশিক্ষণের মধ্যে থাকবে কমিটমেন্ট, যে প্রশিক্ষণের মধ্যে থাকবে যে, সুন্দর ও সঠিক নির্বাচনের কোনো বিকল্প নাই। এই তেজি ভাবটা, এই জিহাদি ভাবটা আমাদের মধ্যে যাতে কাজ করে সেই প্রত্যাশা রেখে এগোতে হবে।’
নির্বাচনে কোনো ‘ধানাই-পানাই’ হবে না মন্তব্য করে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘জীবন চলে যেতে পারে। কিন্তু নির্বাচনে ফাঁকিবাজি, ধোঁকাবাজি করা যাবে না। কমিশন ও মাঠ পর্যায়ের সবাইকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।’

প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের ‘নিউক্লিয়াস’ উল্লেখ করে সুষ্ঠু নির্বাচনে বড় ভূমিকা রাখতে হবে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় ৫০ হাজার প্রিসাইডিং অফিসার সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করলে নির্বাচন ভালো হবে। তাঁদের মেসেজ দিতে হবে নির্বাচনে কোনো ধানাইপানাই হবে না—এ বার্তা দিতে হবে। ভালো নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই, সুযোগ নেই।’
আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক স্মৃতি বা ইনস্টিটিউশনাল মেমোরি দুর্বল হয়ে যাওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই কমিশন হোঁচট খাচ্ছে। তিনি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান, গোপনীয়তা রক্ষা ও দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে কমিশনের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।
প্রবাসীদের ভোট পদ্ধতি ও আইনকানুন বিষয়ে ভালো প্রশিক্ষণ দেওয়ার জোর দাবি জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
আদালতের আদেশে এক যুগ পর চাকরি ফিরে পেয়ে নির্বাচন কমিশনে যোগ দেওয়া ৬০ জন নির্বাচন কর্মকর্তাকে শুধু পোস্টাল ব্যালটের জন্য প্রবাসীদের ভোটাধিকারের কাজে সম্পৃক্ত রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ইসির কৃচ্ছ্রসাধনের প্রসঙ্গ টেনে এই নির্বাচন কমিশনার জানান, সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে নির্বাচন ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বুথের সংখ্যা পুনর্নির্ধারণ করার মাধ্যমে কমিশন ইতিমধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে। আগে পুরুষদের জন্য একটি বুথে ভোটার সংখ্যা ছিল ৫০০ এবং নারীদের জন্য ৪০০। এখন তা যথাক্রমে ৬০০ ও ৫০০ করা হয়েছে। এর ফলে প্রায় ৪৯ হাজার বুথ কমানো সম্ভব হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে প্রায় দেড় লাখ নির্বাচন কর্মকর্তার প্রয়োজনও কমেছে। শুধু একটি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এত বড় অঙ্কের ব্যয় সাশ্রয় করা গেছে। ভবিষ্যতেও প্রতিটি ধাপে এই মিতব্যয়িতা নিশ্চিত করতে হবে।
এই নির্বাচন কমিশনার আশা প্রকাশ করেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি দৃষ্টান্ত। এ জন্য সবার প্রতি সৎভাবে ও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
ইসির সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইইটিআই মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানান, আগামী চার মাসে ভোট গ্রহণে সম্পৃক্ত ১০ লাখেরও বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও লোকবলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ‘ইতিহাসের সেরা ভোট’ উপহার দেওয়ার প্রত্যয় রাখলেও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখছে এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এই লক্ষ্যে কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ার করে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের নৈতিকতা, পেশাদারি ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। একই সঙ্গে ‘বিতর্কিত ভোটের’ কারণে সাবেক দুই সিইসির এখন কারাবাস ও জুতার মালা পরানোর ঘটনাও তুলে ধরেন নির্বাচন কমিশনাররা।
আজ শুক্রবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ‘ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কোর প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ’ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন সিইসি। এ সময় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির সিনিয়র সচিব ও ইটিআই মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিরপেক্ষ হোন, প্রশিক্ষণের ওপর সফলতা নির্ভর করবে উল্লেখ করে সিইসি ভোটগ্রহণে সম্পৃক্ত নির্বাচন কর্মকর্তাদের আইন, বিধি জানার পাশাপাশি নৈতিকতা, সততার সঙ্গে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার নির্দেশনা দেন। কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাঠ পর্যায়ে যেন সঠিকভাবে প্রশিক্ষণের প্রতিফলন ঘটে, সে বিষয়ে নজর রাখার তাগিদ দেন এবং এআইয়ের অপব্যবহার রোধে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আমাদের সামনে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে, যা আমরা এখনো জানি না। অপতথ্য, মিথ্যা তথ্য নিয়ে চ্যালেঞ্জ আসবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাতে এটা প্রপারলি অ্যাড্রেস হয়, সেই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। আইনকানুনের বিষয়ে জানতে হবে। যেকোনো ধরনের নতুন চ্যালেঞ্জ এলে তা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ট্রেনিংকে সিরিয়াসলি নিতে হবে।
তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের ওপর আমাদের সফলতা নির্ভর করছে। প্রশিক্ষণের বটমলাইন হচ্ছে—প্রোফেশনালিজম, প্রোফেশনালিজম, প্রোফেশনালিজম অ্যান্ড নিউট্রালিটি, নিউট্রালিটি, নিউট্রালিটি।
সাবেক দুই সিইসির পরিণতি দুঃখজনক, বিশ্লেষণ দরকার—জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘আমার সহকর্মী বলে গেলেন নির্বাচনটা ঝুঁকিপূর্ণ হবে। এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জুতার মালা পরানো হয়েছে। আরেকটু যোগ করে যদি বলি, আরেকজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারও বর্তমানে কারান্তরে রয়েছেন। দুঃখজনক! এ পরিস্থিতির জন্য কে দায়ী, গভীর বিশ্লেষণের দরকার।’

তিনি বলেন, ‘আশা করি, একসময় বিশ্লেষণ হয়েও যাবে, গবেষণাও হয়ে যাবে। আমরা যারা আজকে দাঁড়িয়ে আছি, আজকে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত, তারা কী করব? হোয়াটস আ মেকানিজম?’
সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করার ক্ষেত্রে ইসির ভূমিকা তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘নিজের দায়িত্বটাকে আইনানুগভাবে করতে হবে। কারও দিকে না তাকিয়ে আইন মেনে কাজ করতে হবে; সংবিধান ও আইন মেনে কাজ করলেই সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি হবে। কে কী করল, কী ভাবল, চিন্তা করল—সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করার প্রয়োজন নেই।’
তিনি বলেন, ‘প্রিসাইডিং অফিসার হচ্ছেন মেইন পার্সন, তিনিই একমাত্র লোক, যিনি ফেয়ার ইলেকশন কনডাক্ট করবেন। তাঁর দায়িত্ব ঝুঁকিপূর্ণ হবে। সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।...আইন, সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন। তা না হলে প্রশ্ন আসবে কোনো কোয়ার্টার থেকে কোন দপ্তর, বিভাগ থেকে প্ররোচিত হয়েছেন। আমরা ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন চাই।’
‘আগামী নির্বাচন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হবে, জুতার মালার অংশীদার আপনিও’—এমন উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হবে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন, এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
তিনি বলেন, ইসির প্রধান দায়িত্ব একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা। এর বিকল্প কোনো পথ নেই।
নিজেদের গণ-অভ্যুত্থানের ফসল উল্লেখ করে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার বিষয়ে সবার দায়িত্বের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভালো নির্বাচন আমাদের কমিটমেন্ট হবে। এই যে এত রক্ত গেল, এত প্রাণ গেল, এত বছর মানুষের দুঃখ-কষ্ট; যদি সঠিক নির্বাচন হতো, এগুলো কিন্তু হতো না। আজকে নির্বাচন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের গলায় যদি জুতার মালা হয়, এটির অংশীদার কিন্তু আপনি; মনে করবেন না যে আপনি না।’
নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সুতরাং আবারও বলছি, আবারও অনুরোধ করছি, এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেন, যে প্রশিক্ষণের মধ্যে থাকবে কমিটমেন্ট, যে প্রশিক্ষণের মধ্যে থাকবে যে, সুন্দর ও সঠিক নির্বাচনের কোনো বিকল্প নাই। এই তেজি ভাবটা, এই জিহাদি ভাবটা আমাদের মধ্যে যাতে কাজ করে সেই প্রত্যাশা রেখে এগোতে হবে।’
নির্বাচনে কোনো ‘ধানাই-পানাই’ হবে না মন্তব্য করে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘জীবন চলে যেতে পারে। কিন্তু নির্বাচনে ফাঁকিবাজি, ধোঁকাবাজি করা যাবে না। কমিশন ও মাঠ পর্যায়ের সবাইকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।’

প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের ‘নিউক্লিয়াস’ উল্লেখ করে সুষ্ঠু নির্বাচনে বড় ভূমিকা রাখতে হবে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় ৫০ হাজার প্রিসাইডিং অফিসার সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করলে নির্বাচন ভালো হবে। তাঁদের মেসেজ দিতে হবে নির্বাচনে কোনো ধানাইপানাই হবে না—এ বার্তা দিতে হবে। ভালো নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই, সুযোগ নেই।’
আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক স্মৃতি বা ইনস্টিটিউশনাল মেমোরি দুর্বল হয়ে যাওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই কমিশন হোঁচট খাচ্ছে। তিনি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান, গোপনীয়তা রক্ষা ও দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে কমিশনের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।
প্রবাসীদের ভোট পদ্ধতি ও আইনকানুন বিষয়ে ভালো প্রশিক্ষণ দেওয়ার জোর দাবি জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
আদালতের আদেশে এক যুগ পর চাকরি ফিরে পেয়ে নির্বাচন কমিশনে যোগ দেওয়া ৬০ জন নির্বাচন কর্মকর্তাকে শুধু পোস্টাল ব্যালটের জন্য প্রবাসীদের ভোটাধিকারের কাজে সম্পৃক্ত রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ইসির কৃচ্ছ্রসাধনের প্রসঙ্গ টেনে এই নির্বাচন কমিশনার জানান, সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে নির্বাচন ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বুথের সংখ্যা পুনর্নির্ধারণ করার মাধ্যমে কমিশন ইতিমধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে। আগে পুরুষদের জন্য একটি বুথে ভোটার সংখ্যা ছিল ৫০০ এবং নারীদের জন্য ৪০০। এখন তা যথাক্রমে ৬০০ ও ৫০০ করা হয়েছে। এর ফলে প্রায় ৪৯ হাজার বুথ কমানো সম্ভব হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে প্রায় দেড় লাখ নির্বাচন কর্মকর্তার প্রয়োজনও কমেছে। শুধু একটি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এত বড় অঙ্কের ব্যয় সাশ্রয় করা গেছে। ভবিষ্যতেও প্রতিটি ধাপে এই মিতব্যয়িতা নিশ্চিত করতে হবে।
এই নির্বাচন কমিশনার আশা প্রকাশ করেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি দৃষ্টান্ত। এ জন্য সবার প্রতি সৎভাবে ও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
ইসির সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইইটিআই মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানান, আগামী চার মাসে ভোট গ্রহণে সম্পৃক্ত ১০ লাখেরও বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও লোকবলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ‘ইতিহাসের সেরা ভোট’ উপহার দেওয়ার প্রত্যয় রাখলেও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখছে এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এই লক্ষ্যে কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ার করে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের নৈতিকতা, পেশাদারি ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। একই সঙ্গে ‘বিতর্কিত ভোটের’ কারণে সাবেক দুই সিইসির এখন কারাবাস ও জুতার মালা পরানোর ঘটনাও তুলে ধরেন নির্বাচন কমিশনাররা।
আজ শুক্রবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ‘ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কোর প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ’ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন সিইসি। এ সময় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির সিনিয়র সচিব ও ইটিআই মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিরপেক্ষ হোন, প্রশিক্ষণের ওপর সফলতা নির্ভর করবে উল্লেখ করে সিইসি ভোটগ্রহণে সম্পৃক্ত নির্বাচন কর্মকর্তাদের আইন, বিধি জানার পাশাপাশি নৈতিকতা, সততার সঙ্গে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার নির্দেশনা দেন। কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাঠ পর্যায়ে যেন সঠিকভাবে প্রশিক্ষণের প্রতিফলন ঘটে, সে বিষয়ে নজর রাখার তাগিদ দেন এবং এআইয়ের অপব্যবহার রোধে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আমাদের সামনে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে, যা আমরা এখনো জানি না। অপতথ্য, মিথ্যা তথ্য নিয়ে চ্যালেঞ্জ আসবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাতে এটা প্রপারলি অ্যাড্রেস হয়, সেই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। আইনকানুনের বিষয়ে জানতে হবে। যেকোনো ধরনের নতুন চ্যালেঞ্জ এলে তা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ট্রেনিংকে সিরিয়াসলি নিতে হবে।
তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের ওপর আমাদের সফলতা নির্ভর করছে। প্রশিক্ষণের বটমলাইন হচ্ছে—প্রোফেশনালিজম, প্রোফেশনালিজম, প্রোফেশনালিজম অ্যান্ড নিউট্রালিটি, নিউট্রালিটি, নিউট্রালিটি।
সাবেক দুই সিইসির পরিণতি দুঃখজনক, বিশ্লেষণ দরকার—জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘আমার সহকর্মী বলে গেলেন নির্বাচনটা ঝুঁকিপূর্ণ হবে। এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জুতার মালা পরানো হয়েছে। আরেকটু যোগ করে যদি বলি, আরেকজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারও বর্তমানে কারান্তরে রয়েছেন। দুঃখজনক! এ পরিস্থিতির জন্য কে দায়ী, গভীর বিশ্লেষণের দরকার।’

তিনি বলেন, ‘আশা করি, একসময় বিশ্লেষণ হয়েও যাবে, গবেষণাও হয়ে যাবে। আমরা যারা আজকে দাঁড়িয়ে আছি, আজকে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত, তারা কী করব? হোয়াটস আ মেকানিজম?’
সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করার ক্ষেত্রে ইসির ভূমিকা তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘নিজের দায়িত্বটাকে আইনানুগভাবে করতে হবে। কারও দিকে না তাকিয়ে আইন মেনে কাজ করতে হবে; সংবিধান ও আইন মেনে কাজ করলেই সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি হবে। কে কী করল, কী ভাবল, চিন্তা করল—সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করার প্রয়োজন নেই।’
তিনি বলেন, ‘প্রিসাইডিং অফিসার হচ্ছেন মেইন পার্সন, তিনিই একমাত্র লোক, যিনি ফেয়ার ইলেকশন কনডাক্ট করবেন। তাঁর দায়িত্ব ঝুঁকিপূর্ণ হবে। সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।...আইন, সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন। তা না হলে প্রশ্ন আসবে কোনো কোয়ার্টার থেকে কোন দপ্তর, বিভাগ থেকে প্ররোচিত হয়েছেন। আমরা ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন চাই।’
‘আগামী নির্বাচন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হবে, জুতার মালার অংশীদার আপনিও’—এমন উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হবে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন, এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
তিনি বলেন, ইসির প্রধান দায়িত্ব একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা। এর বিকল্প কোনো পথ নেই।
নিজেদের গণ-অভ্যুত্থানের ফসল উল্লেখ করে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার বিষয়ে সবার দায়িত্বের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভালো নির্বাচন আমাদের কমিটমেন্ট হবে। এই যে এত রক্ত গেল, এত প্রাণ গেল, এত বছর মানুষের দুঃখ-কষ্ট; যদি সঠিক নির্বাচন হতো, এগুলো কিন্তু হতো না। আজকে নির্বাচন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের গলায় যদি জুতার মালা হয়, এটির অংশীদার কিন্তু আপনি; মনে করবেন না যে আপনি না।’
নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সুতরাং আবারও বলছি, আবারও অনুরোধ করছি, এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেন, যে প্রশিক্ষণের মধ্যে থাকবে কমিটমেন্ট, যে প্রশিক্ষণের মধ্যে থাকবে যে, সুন্দর ও সঠিক নির্বাচনের কোনো বিকল্প নাই। এই তেজি ভাবটা, এই জিহাদি ভাবটা আমাদের মধ্যে যাতে কাজ করে সেই প্রত্যাশা রেখে এগোতে হবে।’
নির্বাচনে কোনো ‘ধানাই-পানাই’ হবে না মন্তব্য করে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘জীবন চলে যেতে পারে। কিন্তু নির্বাচনে ফাঁকিবাজি, ধোঁকাবাজি করা যাবে না। কমিশন ও মাঠ পর্যায়ের সবাইকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।’

প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের ‘নিউক্লিয়াস’ উল্লেখ করে সুষ্ঠু নির্বাচনে বড় ভূমিকা রাখতে হবে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় ৫০ হাজার প্রিসাইডিং অফিসার সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করলে নির্বাচন ভালো হবে। তাঁদের মেসেজ দিতে হবে নির্বাচনে কোনো ধানাইপানাই হবে না—এ বার্তা দিতে হবে। ভালো নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই, সুযোগ নেই।’
আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক স্মৃতি বা ইনস্টিটিউশনাল মেমোরি দুর্বল হয়ে যাওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই কমিশন হোঁচট খাচ্ছে। তিনি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান, গোপনীয়তা রক্ষা ও দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে কমিশনের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।
প্রবাসীদের ভোট পদ্ধতি ও আইনকানুন বিষয়ে ভালো প্রশিক্ষণ দেওয়ার জোর দাবি জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
আদালতের আদেশে এক যুগ পর চাকরি ফিরে পেয়ে নির্বাচন কমিশনে যোগ দেওয়া ৬০ জন নির্বাচন কর্মকর্তাকে শুধু পোস্টাল ব্যালটের জন্য প্রবাসীদের ভোটাধিকারের কাজে সম্পৃক্ত রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ইসির কৃচ্ছ্রসাধনের প্রসঙ্গ টেনে এই নির্বাচন কমিশনার জানান, সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে নির্বাচন ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বুথের সংখ্যা পুনর্নির্ধারণ করার মাধ্যমে কমিশন ইতিমধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে। আগে পুরুষদের জন্য একটি বুথে ভোটার সংখ্যা ছিল ৫০০ এবং নারীদের জন্য ৪০০। এখন তা যথাক্রমে ৬০০ ও ৫০০ করা হয়েছে। এর ফলে প্রায় ৪৯ হাজার বুথ কমানো সম্ভব হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে প্রায় দেড় লাখ নির্বাচন কর্মকর্তার প্রয়োজনও কমেছে। শুধু একটি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এত বড় অঙ্কের ব্যয় সাশ্রয় করা গেছে। ভবিষ্যতেও প্রতিটি ধাপে এই মিতব্যয়িতা নিশ্চিত করতে হবে।
এই নির্বাচন কমিশনার আশা প্রকাশ করেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি দৃষ্টান্ত। এ জন্য সবার প্রতি সৎভাবে ও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
ইসির সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইইটিআই মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানান, আগামী চার মাসে ভোট গ্রহণে সম্পৃক্ত ১০ লাখেরও বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও লোকবলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ‘ইতিহাসের সেরা ভোট’ উপহার দেওয়ার প্রত্যয় রাখলেও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখছে এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এই লক্ষ্যে কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ার করে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের নৈতিকতা, পেশাদারি ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। একই সঙ্গে ‘বিতর্কিত ভোটের’ কারণে সাবেক দুই সিইসির এখন কারাবাস ও জুতার মালা পরানোর ঘটনাও তুলে ধরেন নির্বাচন কমিশনাররা।
আজ শুক্রবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ‘ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কোর প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ’ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন সিইসি। এ সময় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির সিনিয়র সচিব ও ইটিআই মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিরপেক্ষ হোন, প্রশিক্ষণের ওপর সফলতা নির্ভর করবে উল্লেখ করে সিইসি ভোটগ্রহণে সম্পৃক্ত নির্বাচন কর্মকর্তাদের আইন, বিধি জানার পাশাপাশি নৈতিকতা, সততার সঙ্গে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার নির্দেশনা দেন। কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাঠ পর্যায়ে যেন সঠিকভাবে প্রশিক্ষণের প্রতিফলন ঘটে, সে বিষয়ে নজর রাখার তাগিদ দেন এবং এআইয়ের অপব্যবহার রোধে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আমাদের সামনে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে, যা আমরা এখনো জানি না। অপতথ্য, মিথ্যা তথ্য নিয়ে চ্যালেঞ্জ আসবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাতে এটা প্রপারলি অ্যাড্রেস হয়, সেই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। আইনকানুনের বিষয়ে জানতে হবে। যেকোনো ধরনের নতুন চ্যালেঞ্জ এলে তা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ট্রেনিংকে সিরিয়াসলি নিতে হবে।
তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের ওপর আমাদের সফলতা নির্ভর করছে। প্রশিক্ষণের বটমলাইন হচ্ছে—প্রোফেশনালিজম, প্রোফেশনালিজম, প্রোফেশনালিজম অ্যান্ড নিউট্রালিটি, নিউট্রালিটি, নিউট্রালিটি।
সাবেক দুই সিইসির পরিণতি দুঃখজনক, বিশ্লেষণ দরকার—জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘আমার সহকর্মী বলে গেলেন নির্বাচনটা ঝুঁকিপূর্ণ হবে। এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জুতার মালা পরানো হয়েছে। আরেকটু যোগ করে যদি বলি, আরেকজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারও বর্তমানে কারান্তরে রয়েছেন। দুঃখজনক! এ পরিস্থিতির জন্য কে দায়ী, গভীর বিশ্লেষণের দরকার।’

তিনি বলেন, ‘আশা করি, একসময় বিশ্লেষণ হয়েও যাবে, গবেষণাও হয়ে যাবে। আমরা যারা আজকে দাঁড়িয়ে আছি, আজকে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত, তারা কী করব? হোয়াটস আ মেকানিজম?’
সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করার ক্ষেত্রে ইসির ভূমিকা তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘নিজের দায়িত্বটাকে আইনানুগভাবে করতে হবে। কারও দিকে না তাকিয়ে আইন মেনে কাজ করতে হবে; সংবিধান ও আইন মেনে কাজ করলেই সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি হবে। কে কী করল, কী ভাবল, চিন্তা করল—সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করার প্রয়োজন নেই।’
তিনি বলেন, ‘প্রিসাইডিং অফিসার হচ্ছেন মেইন পার্সন, তিনিই একমাত্র লোক, যিনি ফেয়ার ইলেকশন কনডাক্ট করবেন। তাঁর দায়িত্ব ঝুঁকিপূর্ণ হবে। সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।...আইন, সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন। তা না হলে প্রশ্ন আসবে কোনো কোয়ার্টার থেকে কোন দপ্তর, বিভাগ থেকে প্ররোচিত হয়েছেন। আমরা ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন চাই।’
‘আগামী নির্বাচন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হবে, জুতার মালার অংশীদার আপনিও’—এমন উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হবে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন, এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
তিনি বলেন, ইসির প্রধান দায়িত্ব একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা। এর বিকল্প কোনো পথ নেই।
নিজেদের গণ-অভ্যুত্থানের ফসল উল্লেখ করে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার বিষয়ে সবার দায়িত্বের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভালো নির্বাচন আমাদের কমিটমেন্ট হবে। এই যে এত রক্ত গেল, এত প্রাণ গেল, এত বছর মানুষের দুঃখ-কষ্ট; যদি সঠিক নির্বাচন হতো, এগুলো কিন্তু হতো না। আজকে নির্বাচন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের গলায় যদি জুতার মালা হয়, এটির অংশীদার কিন্তু আপনি; মনে করবেন না যে আপনি না।’
নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সুতরাং আবারও বলছি, আবারও অনুরোধ করছি, এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেন, যে প্রশিক্ষণের মধ্যে থাকবে কমিটমেন্ট, যে প্রশিক্ষণের মধ্যে থাকবে যে, সুন্দর ও সঠিক নির্বাচনের কোনো বিকল্প নাই। এই তেজি ভাবটা, এই জিহাদি ভাবটা আমাদের মধ্যে যাতে কাজ করে সেই প্রত্যাশা রেখে এগোতে হবে।’
নির্বাচনে কোনো ‘ধানাই-পানাই’ হবে না মন্তব্য করে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘জীবন চলে যেতে পারে। কিন্তু নির্বাচনে ফাঁকিবাজি, ধোঁকাবাজি করা যাবে না। কমিশন ও মাঠ পর্যায়ের সবাইকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।’

প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের ‘নিউক্লিয়াস’ উল্লেখ করে সুষ্ঠু নির্বাচনে বড় ভূমিকা রাখতে হবে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় ৫০ হাজার প্রিসাইডিং অফিসার সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করলে নির্বাচন ভালো হবে। তাঁদের মেসেজ দিতে হবে নির্বাচনে কোনো ধানাইপানাই হবে না—এ বার্তা দিতে হবে। ভালো নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই, সুযোগ নেই।’
আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক স্মৃতি বা ইনস্টিটিউশনাল মেমোরি দুর্বল হয়ে যাওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই কমিশন হোঁচট খাচ্ছে। তিনি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান, গোপনীয়তা রক্ষা ও দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে কমিশনের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।
প্রবাসীদের ভোট পদ্ধতি ও আইনকানুন বিষয়ে ভালো প্রশিক্ষণ দেওয়ার জোর দাবি জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
আদালতের আদেশে এক যুগ পর চাকরি ফিরে পেয়ে নির্বাচন কমিশনে যোগ দেওয়া ৬০ জন নির্বাচন কর্মকর্তাকে শুধু পোস্টাল ব্যালটের জন্য প্রবাসীদের ভোটাধিকারের কাজে সম্পৃক্ত রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ইসির কৃচ্ছ্রসাধনের প্রসঙ্গ টেনে এই নির্বাচন কমিশনার জানান, সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে নির্বাচন ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বুথের সংখ্যা পুনর্নির্ধারণ করার মাধ্যমে কমিশন ইতিমধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে। আগে পুরুষদের জন্য একটি বুথে ভোটার সংখ্যা ছিল ৫০০ এবং নারীদের জন্য ৪০০। এখন তা যথাক্রমে ৬০০ ও ৫০০ করা হয়েছে। এর ফলে প্রায় ৪৯ হাজার বুথ কমানো সম্ভব হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে প্রায় দেড় লাখ নির্বাচন কর্মকর্তার প্রয়োজনও কমেছে। শুধু একটি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এত বড় অঙ্কের ব্যয় সাশ্রয় করা গেছে। ভবিষ্যতেও প্রতিটি ধাপে এই মিতব্যয়িতা নিশ্চিত করতে হবে।
এই নির্বাচন কমিশনার আশা প্রকাশ করেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি দৃষ্টান্ত। এ জন্য সবার প্রতি সৎভাবে ও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
ইসির সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইইটিআই মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানান, আগামী চার মাসে ভোট গ্রহণে সম্পৃক্ত ১০ লাখেরও বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও লোকবলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অনৈক্য-বিভেদ দূর করে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে আজ বুধবার কেটে যাচ্ছে দুই দিন। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
৩৯ মিনিট আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে...
৭ ঘণ্টা আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অনৈক্য-বিভেদ দূর করে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে আজ বুধবার কেটে যাচ্ছে দুই দিন। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
দলগুলোর পক্ষ থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত আলোচনার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সরকারের অনুরোধের এক দিন আগে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে অন্য দলগুলোর প্রতি আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছিল মুখে মুখে। কিন্তু এ আহ্বান বাস্তবায়নে গতকাল পর্যন্ত কার্যত কোনো উদ্যোগ নেয়নি দলটি।
জামায়াত তবু আহ্বান জানিয়েছে। বিএনপি নিজের দিক থেকে কোনো কথা বলেনি, উদ্যোগও নেয়নি। বরং সরকারের আহ্বানে দলটি সাড়া দিতে চাইছে না বলে দলটির সূত্র জানিয়েছে। আর সংকট সমাধানে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণতন্ত্র মঞ্চ।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে সংকট কাটাতে গত সোমবার জরুরি বৈঠকে বসে উপদেষ্টা পরিষদ। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, এ নিয়ে সরকারের দিক থেকে আর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে না। এখন রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সমঝোতায় আসুক। এ জন্য দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়। এর মধ্যে দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে সরকার নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত দেবে।
জুলাই সনদ ইস্যুতে গত মার্চ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আলোচনা করছে। সেখানে অনেক ইস্যুতে একমত হলেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে বিএনপিসহ বেশ কিছু দলের আপত্তি ছিল। ৩১ আগস্ট শেষ হওয়া দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, নির্বাচনে বিজয়ী হলে আপত্তি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে দলগুলো। তবে সে সময় গণভোট নিয়ে আলোচনা হয়নি। বাস্তবায়ন প্রশ্নে তৃতীয় ধাপে পাঁচ দিন সংলাপ করে দলগুলো। সেখানে গণভোটের বিষয়ে একমত হয় তারা। তবে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে দলগুলো সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
গত ৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সংলাপে জানানো হয়, দলগুলোর মত ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে সরকারের কাছে কমিশন বাস্তবায়নের উপায় জমা দেবে; যেখানে বিশেষজ্ঞরা গণভোটে আপত্তি না রাখার বিষয়ে মত দেন। তাঁদের যুক্তি ছিল, জনগণ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, সেখানে আপত্তির বিধান রাখা যুক্তিযুক্ত না। ২৭ অক্টোবর সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেয় কমিশন। এরপর শুরু হয় নতুন বিতর্ক। ছয় মাসে যেখানে দলগুলো একমত হতে পারেনি, সেখানে এক সপ্তাহে দলগুলো আলোচনা করে ঐক্যবদ্ধ হবে, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
আলোচনার উদ্যোগ নেবে না বিএনপি
আলোচনা করে সমঝোতায় আসতে সরকারের অনুরোধে বিএনপি কোনো উদ্যোগ নেবে না বলে দলটির একাধিক সূত্র গতকাল জানিয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলছেন, বাস্তবায়ন আদেশে তাদের ওপর অনেক কিছু চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এখন আলোচনার নামে দায়ভার চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
সরকারের এমন অনুরোধে তাদের দল সাড়া দেবে না। এ জন্য আলোচনায় বসার জন্য কোনো দলকে ডাকবে না বিএনপি। কেউ আলোচনার জন্য দাওয়াত দিলে বিবেচনা করা হবে কি না, দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে একসঙ্গে বসার বিষয়ে যে অনুরোধ করেছে, এ ব্যাপারে আমরা কোনো আলোচনা করতে পারিনি। সোমবার দলের প্রার্থী মনোনয়ন এবং প্রেস ব্রিফিং নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আলোচনার সুযোগ হয়নি। আলোচনা করে তারপর জানানো হবে।’
আহ্বান জানিয়েছে জামায়াত
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত জামায়াতে ইসলামী। যদিও সরকারের আহ্বানের আগেই আলোচনার জন্য অন্য দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা। তবে দলটির অনুরোধে গতকাল পর্যন্ত কোনো দল সাড়া দেয়নি বলে জানা গেছে।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ গতকাল বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছে একসঙ্গে বসার। সরকারের আগেই আমরা আহ্বান করেছি। এখনো কারও সাড়া পাইনি আমরা, হয়তো সামনে পাব।’
এর আগে গত রোববার রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সঙ্গে কোনো ঝগড়ায় লিপ্ত হতে চায় না। যা-ই করছেন, এবার বন্ধ করুন। আসুন, আমরা একসঙ্গে বসি। দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি।’
আর গতকাল মঙ্গলবার বিদেশ সফর শেষে ঢাকায় ফিরে বিমানবন্দরে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘সরকার অনুরোধ করেছে, এক সপ্তাহ সময়ের ভেতরে রাজনৈতিক দলগুলো বসে যদি একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে, সরকারের জন্য এটা ভালো। আমরাই সবার আগে আমাদের নায়েবে আমিরের মাধ্যমে আহ্বান জানিয়েছি যে আসুন, আমরা খোলামেলা আলোচনা করে একটা সমাধানে পৌঁছাই দেশ ও জাতির স্বার্থে। আমরা আশা করি, অন্যরা আমাদের এই আহ্বানে সাড়া দেবেন।’
সরকারের কোর্টে বল ঠেলছে এনসিপি
রাজনৈতিক দলগুলোর কোর্টে বল ঠেলে না দিয়ে সরকারকেই জুলাই সনদ আদেশ জারির উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করে এনসিপি। তবে প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনায় যেতে তাঁরা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা। যদিও এখন পর্যন্ত এনসিপি কোনো রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেয়নি বলে জানা গেছে। আবার এনসিপিকেও কেউ প্রস্তাব দেয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলাপ চলছে। বাস্তবায়ন আদেশ জারির জন্য সরকারের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চাপ প্রয়োগ করছে এনসিপি।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘সংস্কার বাস্তবায়নের বিষয়ে সরকার বা ঐকমত্য কমিশনকে রেফারি করেছে অনেকে। কিন্তু আমরা দেখি, সরকার ও ঐকমত্য কমিশন সংস্কার বাস্তবায়নের ব্যাপারে রেফারি না। তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী। তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে সংস্কারের পক্ষে। যদি তারা সংস্কারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা তাদের ম্যান্ডেট থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবে। সরকারের এখন দায়িত্ব হলো ঐকমত্য কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেই প্রস্তাবে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করা।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘জুলাই সনদের বিষয়ে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। তবে প্রয়োজনে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত আছি।’
গণতন্ত্র মঞ্চের ভাবনা
জুলাই সনদকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অচলাবস্থার জন্য ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং অন্তর্বর্তী সরকারই দায়ী বলে জানিয়েছে ৬টি রাজনৈতিক দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। মঞ্চের নেতারা বলেছেন, এই সংকট সমাধানের দায়িত্বও সরকারকেই নিতে হবে। একই সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরির চেষ্টায় ধারাবাহিক আলোচনা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘এই সংকট সমাধানের জন্য সরকারের যে উদ্যোগ নেওয়া দরকার ছিল, তা না নিয়ে সরকার অনেকটা মান-অভিমানের মতো অবস্থান নিয়েছে। সরকারের এমন মনোভাব মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। সংস্কার কি হবে না? সংস্কার না হলে নির্বাচন কি হবে? যাদের আমরা পরাজিত করেছি, তারা আবার ফিরে আসবে?’
আর নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমদুর রহমান মান্না এক বিবৃতিতে বলেছেন, সরকার কোনোভাবেই দায়িত্ব এড়াতে পারে না। সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। সরকারকে রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করে সমাধানের পথ তৈরি করতে হবে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অনৈক্য-বিভেদ দূর করে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে আজ বুধবার কেটে যাচ্ছে দুই দিন। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
দলগুলোর পক্ষ থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত আলোচনার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সরকারের অনুরোধের এক দিন আগে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে অন্য দলগুলোর প্রতি আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছিল মুখে মুখে। কিন্তু এ আহ্বান বাস্তবায়নে গতকাল পর্যন্ত কার্যত কোনো উদ্যোগ নেয়নি দলটি।
জামায়াত তবু আহ্বান জানিয়েছে। বিএনপি নিজের দিক থেকে কোনো কথা বলেনি, উদ্যোগও নেয়নি। বরং সরকারের আহ্বানে দলটি সাড়া দিতে চাইছে না বলে দলটির সূত্র জানিয়েছে। আর সংকট সমাধানে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণতন্ত্র মঞ্চ।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে সংকট কাটাতে গত সোমবার জরুরি বৈঠকে বসে উপদেষ্টা পরিষদ। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, এ নিয়ে সরকারের দিক থেকে আর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে না। এখন রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সমঝোতায় আসুক। এ জন্য দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়। এর মধ্যে দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে সরকার নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত দেবে।
জুলাই সনদ ইস্যুতে গত মার্চ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আলোচনা করছে। সেখানে অনেক ইস্যুতে একমত হলেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে বিএনপিসহ বেশ কিছু দলের আপত্তি ছিল। ৩১ আগস্ট শেষ হওয়া দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, নির্বাচনে বিজয়ী হলে আপত্তি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে দলগুলো। তবে সে সময় গণভোট নিয়ে আলোচনা হয়নি। বাস্তবায়ন প্রশ্নে তৃতীয় ধাপে পাঁচ দিন সংলাপ করে দলগুলো। সেখানে গণভোটের বিষয়ে একমত হয় তারা। তবে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে দলগুলো সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
গত ৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সংলাপে জানানো হয়, দলগুলোর মত ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে সরকারের কাছে কমিশন বাস্তবায়নের উপায় জমা দেবে; যেখানে বিশেষজ্ঞরা গণভোটে আপত্তি না রাখার বিষয়ে মত দেন। তাঁদের যুক্তি ছিল, জনগণ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, সেখানে আপত্তির বিধান রাখা যুক্তিযুক্ত না। ২৭ অক্টোবর সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেয় কমিশন। এরপর শুরু হয় নতুন বিতর্ক। ছয় মাসে যেখানে দলগুলো একমত হতে পারেনি, সেখানে এক সপ্তাহে দলগুলো আলোচনা করে ঐক্যবদ্ধ হবে, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
আলোচনার উদ্যোগ নেবে না বিএনপি
আলোচনা করে সমঝোতায় আসতে সরকারের অনুরোধে বিএনপি কোনো উদ্যোগ নেবে না বলে দলটির একাধিক সূত্র গতকাল জানিয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলছেন, বাস্তবায়ন আদেশে তাদের ওপর অনেক কিছু চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এখন আলোচনার নামে দায়ভার চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
সরকারের এমন অনুরোধে তাদের দল সাড়া দেবে না। এ জন্য আলোচনায় বসার জন্য কোনো দলকে ডাকবে না বিএনপি। কেউ আলোচনার জন্য দাওয়াত দিলে বিবেচনা করা হবে কি না, দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে একসঙ্গে বসার বিষয়ে যে অনুরোধ করেছে, এ ব্যাপারে আমরা কোনো আলোচনা করতে পারিনি। সোমবার দলের প্রার্থী মনোনয়ন এবং প্রেস ব্রিফিং নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আলোচনার সুযোগ হয়নি। আলোচনা করে তারপর জানানো হবে।’
আহ্বান জানিয়েছে জামায়াত
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত জামায়াতে ইসলামী। যদিও সরকারের আহ্বানের আগেই আলোচনার জন্য অন্য দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা। তবে দলটির অনুরোধে গতকাল পর্যন্ত কোনো দল সাড়া দেয়নি বলে জানা গেছে।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ গতকাল বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছে একসঙ্গে বসার। সরকারের আগেই আমরা আহ্বান করেছি। এখনো কারও সাড়া পাইনি আমরা, হয়তো সামনে পাব।’
এর আগে গত রোববার রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সঙ্গে কোনো ঝগড়ায় লিপ্ত হতে চায় না। যা-ই করছেন, এবার বন্ধ করুন। আসুন, আমরা একসঙ্গে বসি। দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি।’
আর গতকাল মঙ্গলবার বিদেশ সফর শেষে ঢাকায় ফিরে বিমানবন্দরে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘সরকার অনুরোধ করেছে, এক সপ্তাহ সময়ের ভেতরে রাজনৈতিক দলগুলো বসে যদি একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে, সরকারের জন্য এটা ভালো। আমরাই সবার আগে আমাদের নায়েবে আমিরের মাধ্যমে আহ্বান জানিয়েছি যে আসুন, আমরা খোলামেলা আলোচনা করে একটা সমাধানে পৌঁছাই দেশ ও জাতির স্বার্থে। আমরা আশা করি, অন্যরা আমাদের এই আহ্বানে সাড়া দেবেন।’
সরকারের কোর্টে বল ঠেলছে এনসিপি
রাজনৈতিক দলগুলোর কোর্টে বল ঠেলে না দিয়ে সরকারকেই জুলাই সনদ আদেশ জারির উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করে এনসিপি। তবে প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনায় যেতে তাঁরা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা। যদিও এখন পর্যন্ত এনসিপি কোনো রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেয়নি বলে জানা গেছে। আবার এনসিপিকেও কেউ প্রস্তাব দেয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলাপ চলছে। বাস্তবায়ন আদেশ জারির জন্য সরকারের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চাপ প্রয়োগ করছে এনসিপি।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘সংস্কার বাস্তবায়নের বিষয়ে সরকার বা ঐকমত্য কমিশনকে রেফারি করেছে অনেকে। কিন্তু আমরা দেখি, সরকার ও ঐকমত্য কমিশন সংস্কার বাস্তবায়নের ব্যাপারে রেফারি না। তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী। তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে সংস্কারের পক্ষে। যদি তারা সংস্কারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা তাদের ম্যান্ডেট থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবে। সরকারের এখন দায়িত্ব হলো ঐকমত্য কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেই প্রস্তাবে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করা।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘জুলাই সনদের বিষয়ে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। তবে প্রয়োজনে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত আছি।’
গণতন্ত্র মঞ্চের ভাবনা
জুলাই সনদকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অচলাবস্থার জন্য ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং অন্তর্বর্তী সরকারই দায়ী বলে জানিয়েছে ৬টি রাজনৈতিক দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। মঞ্চের নেতারা বলেছেন, এই সংকট সমাধানের দায়িত্বও সরকারকেই নিতে হবে। একই সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরির চেষ্টায় ধারাবাহিক আলোচনা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘এই সংকট সমাধানের জন্য সরকারের যে উদ্যোগ নেওয়া দরকার ছিল, তা না নিয়ে সরকার অনেকটা মান-অভিমানের মতো অবস্থান নিয়েছে। সরকারের এমন মনোভাব মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। সংস্কার কি হবে না? সংস্কার না হলে নির্বাচন কি হবে? যাদের আমরা পরাজিত করেছি, তারা আবার ফিরে আসবে?’
আর নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমদুর রহমান মান্না এক বিবৃতিতে বলেছেন, সরকার কোনোভাবেই দায়িত্ব এড়াতে পারে না। সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। সরকারকে রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করে সমাধানের পথ তৈরি করতে হবে।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ‘ইতিহাসের সেরা ভোট’ উপহার দেওয়ার প্রত্যয় রাখলেও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখছে এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এ লক্ষ্যে কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ার করে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নৈতিকতা, পেশাদারি ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিই
২৯ আগস্ট ২০২৫
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে...
৭ ঘণ্টা আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে এমনটি জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে।
সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২ হাজার ৫০০ ক্লাস্টারে সমসংখ্যক শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি সচিব কমিটির সুপারিশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
সচিব কমিটি মনে করে, প্রকল্পটির পরিকল্পনায় ত্রুটি ছিল। এত অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না এবং এতে বৈষম্যের সৃষ্টি হবে। সারা দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের অধিকাংশেই প্রস্তাবিত নিয়োগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ক্লাস্টারভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলে একই শিক্ষককে ২০টির বেশি বিদ্যালয়ে যুগপৎভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এর ফলে তাঁর পক্ষে কর্মঘণ্টা ম্যানেজ করা সম্ভব হবে না বলে সচিব কমিটি মনে করে।
পরে অর্থের সংস্থান সাপেক্ষে সব স্কুলে এ রকম নতুন বিষয়ের শিক্ষকের পদ সৃজন ও সেসব পদে নিয়োগদানের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে কমিটি অভিমত ব্যক্ত করেছে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে এমনটি জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে।
সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২ হাজার ৫০০ ক্লাস্টারে সমসংখ্যক শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি সচিব কমিটির সুপারিশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
সচিব কমিটি মনে করে, প্রকল্পটির পরিকল্পনায় ত্রুটি ছিল। এত অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না এবং এতে বৈষম্যের সৃষ্টি হবে। সারা দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের অধিকাংশেই প্রস্তাবিত নিয়োগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ক্লাস্টারভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলে একই শিক্ষককে ২০টির বেশি বিদ্যালয়ে যুগপৎভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এর ফলে তাঁর পক্ষে কর্মঘণ্টা ম্যানেজ করা সম্ভব হবে না বলে সচিব কমিটি মনে করে।
পরে অর্থের সংস্থান সাপেক্ষে সব স্কুলে এ রকম নতুন বিষয়ের শিক্ষকের পদ সৃজন ও সেসব পদে নিয়োগদানের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে কমিটি অভিমত ব্যক্ত করেছে।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ‘ইতিহাসের সেরা ভোট’ উপহার দেওয়ার প্রত্যয় রাখলেও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখছে এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এ লক্ষ্যে কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ার করে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নৈতিকতা, পেশাদারি ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিই
২৯ আগস্ট ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অনৈক্য-বিভেদ দূর করে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে আজ বুধবার কেটে যাচ্ছে দুই দিন। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
৩৯ মিনিট আগে
সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে...
৭ ঘণ্টা আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে ফুল কোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় তাঁদের পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদোন্নতির জন্য প্যানেলে ছিলেন– অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদের জন্য ৩৪৫ জন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে ২০৭ এবং সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫৫১ জন। সব মিলিয়ে পদোন্নতির প্যানেলে ১ হাজার ১০৩ জন বিচারিক কর্মকর্তার নাম থাকলেও নানা কারণে বেশ কয়েকজনের নাম অনুমোদন হয়নি।
২০২৬ সালের সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডারও ফুল কোর্ট সভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তবে সরকারি ক্যালেন্ডার এখনো প্রকাশিত না হওয়ায় তা অনুমোদিত হয়নি।
সম্প্রতি ১ হাজার ১০৩ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়। পদোন্নতির প্যানেলে ছিল কয়েকজন বিতর্কিত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার নাম, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধান চলমান।
বিচারকদের পদোন্নতি যেভাবে হয়
সব মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতির জন্য ডিপিসি (বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি) থাকে। ওই কমিটি পদোন্নতির প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে এক দিনেই প্যানেলের সবার পদোন্নতির জিও জারি করা হয়।
তবে বিচারকদের ক্ষেত্রে প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়। বাছাই কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় ওঠে। সভায় অনুমোদন পাওয়ার পর তা আবার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় থেকে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে ওই প্যানেল আইন মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত থাকে এবং পদ খালি হওয়ার পর সময়ে সময়ে জিও জারি করা হয়।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা ২০০৭ অনুযায়ী, সিনিয়র সহকারী জজ পদে পদোন্নতির জন্য সহকারী জজদের এই পদে চার বছর দায়িত্ব পালনের শর্ত পূরণ করতে হয়। সিনিয়র সহকারী জজদের যুগ্ম জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর, যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর এবং অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছরের শর্ত পূরণ করতে হয়। তবে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হয় না। অনেকেই বছরের পর বছর প্যানেলভুক্ত হয়ে থাকেন।

সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে ফুল কোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় তাঁদের পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদোন্নতির জন্য প্যানেলে ছিলেন– অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদের জন্য ৩৪৫ জন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে ২০৭ এবং সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫৫১ জন। সব মিলিয়ে পদোন্নতির প্যানেলে ১ হাজার ১০৩ জন বিচারিক কর্মকর্তার নাম থাকলেও নানা কারণে বেশ কয়েকজনের নাম অনুমোদন হয়নি।
২০২৬ সালের সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডারও ফুল কোর্ট সভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তবে সরকারি ক্যালেন্ডার এখনো প্রকাশিত না হওয়ায় তা অনুমোদিত হয়নি।
সম্প্রতি ১ হাজার ১০৩ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়। পদোন্নতির প্যানেলে ছিল কয়েকজন বিতর্কিত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার নাম, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধান চলমান।
বিচারকদের পদোন্নতি যেভাবে হয়
সব মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতির জন্য ডিপিসি (বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি) থাকে। ওই কমিটি পদোন্নতির প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে এক দিনেই প্যানেলের সবার পদোন্নতির জিও জারি করা হয়।
তবে বিচারকদের ক্ষেত্রে প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়। বাছাই কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় ওঠে। সভায় অনুমোদন পাওয়ার পর তা আবার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় থেকে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে ওই প্যানেল আইন মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত থাকে এবং পদ খালি হওয়ার পর সময়ে সময়ে জিও জারি করা হয়।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা ২০০৭ অনুযায়ী, সিনিয়র সহকারী জজ পদে পদোন্নতির জন্য সহকারী জজদের এই পদে চার বছর দায়িত্ব পালনের শর্ত পূরণ করতে হয়। সিনিয়র সহকারী জজদের যুগ্ম জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর, যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর এবং অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছরের শর্ত পূরণ করতে হয়। তবে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হয় না। অনেকেই বছরের পর বছর প্যানেলভুক্ত হয়ে থাকেন।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ‘ইতিহাসের সেরা ভোট’ উপহার দেওয়ার প্রত্যয় রাখলেও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখছে এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এ লক্ষ্যে কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ার করে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নৈতিকতা, পেশাদারি ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিই
২৯ আগস্ট ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অনৈক্য-বিভেদ দূর করে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে আজ বুধবার কেটে যাচ্ছে দুই দিন। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
৩৯ মিনিট আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর স্ত্রী নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে ৪৫ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও ৪৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার দুদকের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, অভিযুক্ত নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
এ ছাড়া ২০১৯ সালের মে থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত নুরজাহান বেগমের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের একটি হিসাবে ৪৩ কোটি ৩১ লাখ ৪৭ হাজার ৮০৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করেছে দুদক।
এ তথ্য আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যাচাই করা হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এর আগেও অবৈধ সম্পদ অর্জন, ফেনী ও ঢাকায় নামে-বেনামে জমি ও ভবন ক্রয় এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে একাধিক তদন্ত চলছে।
সূত্রটি আরও জানায়, দুদকে পাঠানো সম্পদ বিবরণীতে ঘোষিত তথ্য ও বাস্তব সম্পদের মধ্যে বিশাল অমিল পাওয়া যায়। এর ধারাবাহিকতায় নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফেনী-২ আসন থেকে টানা তিনবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নিজাম উদ্দিন হাজারী। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দখলদারত্বের অভিযোগ রয়েছে।

ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর স্ত্রী নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে ৪৫ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও ৪৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার দুদকের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, অভিযুক্ত নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
এ ছাড়া ২০১৯ সালের মে থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত নুরজাহান বেগমের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের একটি হিসাবে ৪৩ কোটি ৩১ লাখ ৪৭ হাজার ৮০৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করেছে দুদক।
এ তথ্য আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যাচাই করা হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এর আগেও অবৈধ সম্পদ অর্জন, ফেনী ও ঢাকায় নামে-বেনামে জমি ও ভবন ক্রয় এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে একাধিক তদন্ত চলছে।
সূত্রটি আরও জানায়, দুদকে পাঠানো সম্পদ বিবরণীতে ঘোষিত তথ্য ও বাস্তব সম্পদের মধ্যে বিশাল অমিল পাওয়া যায়। এর ধারাবাহিকতায় নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফেনী-২ আসন থেকে টানা তিনবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নিজাম উদ্দিন হাজারী। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দখলদারত্বের অভিযোগ রয়েছে।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ‘ইতিহাসের সেরা ভোট’ উপহার দেওয়ার প্রত্যয় রাখলেও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখছে এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এ লক্ষ্যে কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ার করে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নৈতিকতা, পেশাদারি ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিই
২৯ আগস্ট ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অনৈক্য-বিভেদ দূর করে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে আজ বুধবার কেটে যাচ্ছে দুই দিন। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
৩৯ মিনিট আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে...
৭ ঘণ্টা আগে