Ajker Patrika

পার্বত্য চুক্তির ৬৫টি ধারা বাস্তবায়ন হয়েছে: জাতিসংঘের অধিবেশনে সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৪, ২০: ৫৩
পার্বত্য চুক্তির ৬৫টি ধারা বাস্তবায়ন হয়েছে: জাতিসংঘের অধিবেশনে সচিব

পার্বত্য চুক্তির ৭২টি ধারা মধ্যে ৬৫টি সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মশিউর রহমান। তিনটির আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে। 

আজ শনিবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে চলমান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সংক্রান্ত জাতিসংঘের স্থায়ী ফোরামের ২৩তম অধিবেশনে পার্বত্য চুক্তির অগ্রগতি তুলে ধরেন তিনি। 

মশিউর রহমান বলেন, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চুক্তির ধারাগুলো বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। চারটি ধারা বাস্তবায়নাধীন রয়েছে বলেও তিনি জানান। 

জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মশিউর রহমান ঐতিহাসিক ‘পার্বত্য চুক্তি’ বাস্তবায়ন এবং ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের উন্নয়ন ও অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও বিকাশে সরকারের গৃহীত কার্যক্রম বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। 

মশিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান দেশের জনগণের মধ্যে ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষ ভেদ বা জন্মস্থান নির্বিশেষে সম-অধিকার দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালে ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে কয়েক দশকের সংঘাতের অবসান ঘটেছে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জনগণকে এ দেশের উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করা সম্ভব হয়েছে। 

এ ছাড়া তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা, ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ডিজিটাল ভূমি জরিপ ও ব্যবস্থাপনা উদ্যোগসহ অত্র অঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়ন সাধনে সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপ সম্পর্কে ফোরামকে অবহিত করেন। তিনটি পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলায় তিনজন প্রথাগত সার্কেল চিফ নানাবিধ প্রশাসনিক ও আইনি কর্তৃত্ব ভোগ করেন এবং প্রতিটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী থেকে নির্বাচিত হন বলেও উল্লেখ করেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক সচিব। 

তিনি আরও জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সঙ্গে পরামর্শ করে সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে। জাতিসংঘের বেশ কয়েকটি সংস্থা ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী এ অঞ্চলে উন্নয়ন কার্যক্রমের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। মশিউর রহমান উল্লেখ করেন স্পষ্টতই পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পর থেকে এ অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে অসামান্য পরিবর্তন ঘটেছে। 

জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ১৫-২৬ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত দুই সপ্তাহব্যাপী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সংক্রান্ত জাতিসংঘের স্থায়ী ফোরামের ২৩তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ সভায় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মশিউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেছে। প্রতিনিধিদলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিলুর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমাসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্থায়ী মিশনের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত