অনলাইন ডেস্ক
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হেনা বলেছেন, ‘আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, নির্বাচনের পদ্ধতি পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের দেশের চলমান পদ্ধতিই কার্যকর হতে পারে। আমাদের দেশের মানুষ এই পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত। যে সমস্ত দেশে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি চালু আছে, সেই সব দেশে যে ভালোভাবে চলছে, এটি মনে করবেন না। এটি আমি নিজে জানি নেপাল, ইসরায়েল এসব দেশে ভালো চলছে না।’
আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের একজন জ্যেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে আমি চাই, ভবিষ্যতে যেসব নির্বাচন হবে সেগুলো যেন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ হয় এবং দেশের কল্যাণ যেন বয়ে আনে।’
সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সব চাইতে বড় যে জিনিসটা আমি বলেছি, যত সংস্কার আছে, আইন আপনি যত ভালোই করুন না কেন, আইনের প্রয়োগ যদি না হয়, তাহলে কিন্তু সেই আইন অর্থবহ হয়ে আসে না। নির্বাচনের সফলতা নির্ভর করে নির্বাচনী আইন প্রয়োগের ওপর। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। এটি মনে রাখতে হবে। নির্বাচন কমিশনে যোগ্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার দরকার। তারা যদি যোগ্য না হন, তাহলে তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার পথে অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে।’
আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নয়ন দরকার উল্লেখ করে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের করা সাবেক এই সিইসি বলেন, ‘এটিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আরেকটি হচ্ছে প্রার্থী নির্বাচনটা আরও সুষ্ঠুভাবে হওয়া দরকার। এটি ওপর থেকে আরোপ করা নয়, নিচ থেকে আসতে হবে। স্থানীয়ভাবে ভোটের মাধ্যমে প্রাথমিক নির্বাচনের মতো করে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করা দরকার। রাজনৈতিক দলগুলো যদি এই দিকে নজর দেয় তাহলে দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।’
সংসদের পদ্ধতিগত পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে কিনা ও দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দ্বিকক্ষবিশিষ্ট হবে নাকি বর্তমান সিস্টেমে চলবে— এটি রাজনৈতিক দলগুলো ঠিক করবে। এটি রাজনৈতিকভাবে ঠিক করলেই ভালো।’
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সম্পর্কে আপনার কোনো মতামত আছে কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আরপিও সম্পর্কেও আমার মতামত বলেছি। দেখুন আইন শুধু সংশোধন করলেই হয় না। আইনের প্রয়োগটা দরকার। নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই এমন ভালো মানুষের খুব দরকার। সুনাম আছে এই রকম কমিটেড লোক দরকার নির্বাচন কমিশনে।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যোগ্য লোক থাকলে রাজনৈতিক সরকারের আমলেও ভালো নির্বাচন করতে পারে। পারবে না কেন? ভারতে করছে না? ভারতেও তো রাজনৈতিক দল আছে, সেখানেও তো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সেই কমিটমেন্টই যদি থাকে তাহলে নিশ্চয়ই করা যায়। প্রয়োজনে তাঁরা নানান ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারেন।’
নিজেদের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমরা সব আইন-কানুন, বিধিবিধান পর্যালোচনা করছি। আমরা অনেকগুলো ইস্যু চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি ও এর গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করছি। এগুলো আইনে কীভাবে প্রতিফলিত হবে সেগুলোর প্রতি নজর দিচ্ছি। আমরা আশা করছি যে, যথা সময়ে আমাদের প্রস্তাব পেশ করতে পারব।’
রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছেন কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে অনেক প্রস্তাব পেয়েছি। আর পাব আশা করি। সবার মতামতের ভিত্তিতে সুপারিশমালা উপস্থাপন করব, আশা করি তা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ সুগম করবে।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেক রকম প্রস্তাব আছে। যেমন আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে কেউ পক্ষে, কেউ বিপক্ষে প্রস্তাব করেছে। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে যদি সিদ্ধান্ত হয় তাহলে তো সংবিধান সংশোধন করতে হবে। যদিও এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। এ রকম অনেক বিষয় আছে যে কারণে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। ওই সব বিষয়ে সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে যে কমিশন আছে প্রধানত তাদেরই সুপারিশ করতে হবে। আমরা একসঙ্গে তাদের সঙ্গে কাজ করব।’
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসবেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের তো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কোনো লেনদের কিছু নেই। আমাদের কাজটি কারিগরি, সুপারিশ করা কীভাবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা যায়। আমরা তাদের কাছ থেকে সুপারিশ পাওয়ার চেষ্টা করছি।’
সাবেক সিইসিদের সঙ্গে আর বসবেন কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি।’
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হেনা বলেছেন, ‘আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, নির্বাচনের পদ্ধতি পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের দেশের চলমান পদ্ধতিই কার্যকর হতে পারে। আমাদের দেশের মানুষ এই পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত। যে সমস্ত দেশে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি চালু আছে, সেই সব দেশে যে ভালোভাবে চলছে, এটি মনে করবেন না। এটি আমি নিজে জানি নেপাল, ইসরায়েল এসব দেশে ভালো চলছে না।’
আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের একজন জ্যেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে আমি চাই, ভবিষ্যতে যেসব নির্বাচন হবে সেগুলো যেন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ হয় এবং দেশের কল্যাণ যেন বয়ে আনে।’
সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সব চাইতে বড় যে জিনিসটা আমি বলেছি, যত সংস্কার আছে, আইন আপনি যত ভালোই করুন না কেন, আইনের প্রয়োগ যদি না হয়, তাহলে কিন্তু সেই আইন অর্থবহ হয়ে আসে না। নির্বাচনের সফলতা নির্ভর করে নির্বাচনী আইন প্রয়োগের ওপর। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। এটি মনে রাখতে হবে। নির্বাচন কমিশনে যোগ্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার দরকার। তারা যদি যোগ্য না হন, তাহলে তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার পথে অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে।’
আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নয়ন দরকার উল্লেখ করে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের করা সাবেক এই সিইসি বলেন, ‘এটিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আরেকটি হচ্ছে প্রার্থী নির্বাচনটা আরও সুষ্ঠুভাবে হওয়া দরকার। এটি ওপর থেকে আরোপ করা নয়, নিচ থেকে আসতে হবে। স্থানীয়ভাবে ভোটের মাধ্যমে প্রাথমিক নির্বাচনের মতো করে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করা দরকার। রাজনৈতিক দলগুলো যদি এই দিকে নজর দেয় তাহলে দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।’
সংসদের পদ্ধতিগত পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে কিনা ও দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দ্বিকক্ষবিশিষ্ট হবে নাকি বর্তমান সিস্টেমে চলবে— এটি রাজনৈতিক দলগুলো ঠিক করবে। এটি রাজনৈতিকভাবে ঠিক করলেই ভালো।’
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সম্পর্কে আপনার কোনো মতামত আছে কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আরপিও সম্পর্কেও আমার মতামত বলেছি। দেখুন আইন শুধু সংশোধন করলেই হয় না। আইনের প্রয়োগটা দরকার। নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই এমন ভালো মানুষের খুব দরকার। সুনাম আছে এই রকম কমিটেড লোক দরকার নির্বাচন কমিশনে।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যোগ্য লোক থাকলে রাজনৈতিক সরকারের আমলেও ভালো নির্বাচন করতে পারে। পারবে না কেন? ভারতে করছে না? ভারতেও তো রাজনৈতিক দল আছে, সেখানেও তো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সেই কমিটমেন্টই যদি থাকে তাহলে নিশ্চয়ই করা যায়। প্রয়োজনে তাঁরা নানান ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারেন।’
নিজেদের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমরা সব আইন-কানুন, বিধিবিধান পর্যালোচনা করছি। আমরা অনেকগুলো ইস্যু চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি ও এর গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করছি। এগুলো আইনে কীভাবে প্রতিফলিত হবে সেগুলোর প্রতি নজর দিচ্ছি। আমরা আশা করছি যে, যথা সময়ে আমাদের প্রস্তাব পেশ করতে পারব।’
রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছেন কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে অনেক প্রস্তাব পেয়েছি। আর পাব আশা করি। সবার মতামতের ভিত্তিতে সুপারিশমালা উপস্থাপন করব, আশা করি তা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ সুগম করবে।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেক রকম প্রস্তাব আছে। যেমন আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে কেউ পক্ষে, কেউ বিপক্ষে প্রস্তাব করেছে। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে যদি সিদ্ধান্ত হয় তাহলে তো সংবিধান সংশোধন করতে হবে। যদিও এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। এ রকম অনেক বিষয় আছে যে কারণে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। ওই সব বিষয়ে সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে যে কমিশন আছে প্রধানত তাদেরই সুপারিশ করতে হবে। আমরা একসঙ্গে তাদের সঙ্গে কাজ করব।’
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসবেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের তো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কোনো লেনদের কিছু নেই। আমাদের কাজটি কারিগরি, সুপারিশ করা কীভাবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা যায়। আমরা তাদের কাছ থেকে সুপারিশ পাওয়ার চেষ্টা করছি।’
সাবেক সিইসিদের সঙ্গে আর বসবেন কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি।’
সব ধরনের ওষুধের মধ্যে দেশে পরিপাকতন্ত্রের জটিলতাবিষয়ক ওষুধ বিক্রিতে রয়েছে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্থানে। সরকারি গবেষণায় উঠে এসেছে, এসব ওষুধ বিক্রির অঙ্ক বছরে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, জনসংখ্যার একটা বিশাল অংশ পরিপাকতন্ত্রের সমস্যায় ভুগছে।
৫ ঘণ্টা আগেবর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই পুলিশকে স্বাধীন ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য পদক্ষেপ নিতে প্রস্তাব দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এ জন্য তাঁরা দ্রুত স্বাধীন কমিশন গঠনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জোর দাবি জানান। পুলিশ সংস্কার কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে ‘স্বাধীন কমিশন’ গঠনের...
৫ ঘণ্টা আগেতিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতিতে নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ দাবি করেন।
৬ ঘণ্টা আগেপ্রশিক্ষণ, সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন এবং গবেষণার মাধ্যমে শ্রম অধিকার, শ্রম নীতিমালা, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক, শ্রম অসন্তোষ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের...
৭ ঘণ্টা আগে