Ajker Patrika

সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর অন্তরঙ্গ ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেল করলে করণীয়

সুলতান মাহমুদ
আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ২০: ২২
সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর অন্তরঙ্গ ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেল করলে করণীয়

মিজানুর রহমান ওরফে বাবু। বাড়ি নাটোর সদর উপজেলার বাঙ্গাবাড়িয়া বাজার এলাকায়। একই এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু মিজানুর এলাকায় বখাটে বলে পরিচিত। এ কারণে ওই তরুণীর পরিবার বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মিজানুর ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক তাঁর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। তখন তরুণী তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন। গত ৩১ জুলাই রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান মিজানুরের এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে আইনের দুটি ধারায় এক লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। 

সোশ্যাল মিডিয়া এখন সহজলভ্য এবং জনপ্রিয় হওয়ায় এ ধরনের ঘটনার খবর প্রায়ই পাওয়া যায়। অনেক সময় সামাজিক লজ্জার ভয়ে ভুক্তভোগীরা আইনি পদক্ষেপ নেন না। কিন্তু এভাবে ছাড় পেয়ে গেলে অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। 

ব্ল্যাকমেলের চেষ্টা করলে ভুক্তভোগীর করণীয়
যদি কেউ কারও অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি বা ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ এবং ‘পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১২’-এর বিভিন্ন ধারায় মামলা করার সুযোগ রয়েছে। 

সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩-এর ২৫ (১) ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে (ক) ইচ্ছাকৃত বা জ্ঞাতসারে, এমন কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করেন, যা আক্রমণাত্মক বা ভীতি প্রদর্শক অথবা মিথ্যা বলে জানা থাকা সত্ত্বেও কোনো ব্যক্তিকে বিরক্ত, অপমান, অপদস্থ বা হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ বা প্রচার করেন। 

 (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১)-এর অধীন কোনো অপরাধ করেন, তাহলে তিনি অনধিক ২ (দুই) বছর কারাদণ্ডে বা অনধিক ৩ (তিন) লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। 

এ ছাড়া ২০১২ সালের ‘পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১২’-এর ৮ (২) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে অন্য কোনো ব্যক্তির সামাজিক বা ব্যক্তি মর্যাদা হানি করলে বা ভয়ভীতির মাধ্যমে অর্থ আদায় বা অন্য কোনো সুবিধা আদায় বা কোনো ব্যক্তির জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতে ধারণ করা কোনো পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে ওই ব্যক্তিকে মানসিক নির্যাতন করেন, তাহলে তিনি অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে। এমন অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। 
 
 (৩) কোনো ব্যক্তি ইন্টারনেট বা ওয়েবসাইট বা মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি সরবরাহ করলে তিনি অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবেন। এমন অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। 
 
 (৪) কোনো ব্যক্তি পর্নোগ্রাফি প্রদর্শনের মাধ্যমে ‘গণ উপদ্রব’ সৃষ্টি করলে সর্বোচ্চ ২ (দুই) বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। 
 
 (৫) (ক) কোনো ব্যক্তি পর্নোগ্রাফি বিক্রি, ভাড়া, বিতরণ, সরবরাহ, প্রকাশ্যে প্রদর্শন বা যেকোনো প্রকারে প্রচার করলে অথবা উল্লেখিত সব বা যেকোনো উদ্দেশ্যে প্রস্তুত, উৎপাদন, পরিবহন বা সংরক্ষণ করলে সর্বোচ্চ ২ (দুই) বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। 

 (৬) কোনো ব্যক্তি শিশুকে ব্যবহার করে পর্নোগ্রাফি উৎপাদন, বিতরণ, মুদ্রণ ও প্রকাশনা অথবা শিশু পর্নোগ্রাফি বিক্রি, সরবরাহ বা প্রদর্শন অথবা কোনো শিশু পর্নোগ্রাফি বিজ্ঞাপন প্রচার করলে, সর্বোচ্চ ১০ (দশ) বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। 

মামলা
পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১২-এর ১০ ধারা অনুযায়ী, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য এবং ও জামিনযোগ্য। আমলযোগ্য ধারায় থানায় মামলা হলে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারবে। যদি কোনো ব্যক্তি থানায় মামলা করতে যান এবং পুলিশ মামলা না নেয় তাহলে তিনি আদালতে যেতে পারেন। আদালত মামলা গ্রহণ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করলেই পুলিশ ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারে। 

মিথ্যা মামলায় শাস্তি
পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি, কর্মকর্তা বা কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে এই আইনের কোনো ধারার অধীন মামলা বা অভিযোগ দায়েরের কোনো ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ নেই জেনেও মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলা বা অভিযোগ দায়ের করলে তিনি অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবেন। এমন অপরাধী সর্বোচ্চ ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। 

এই আইনের অধীন কোনো মামলায় আদালত যদি কোনো অভিযুক্তকে খালাস দেন এবং আদালত যদি এই মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেন যে, ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক, তাহলে মামলা দায়েরকারী ব্যক্তি অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবেন। এমন অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ২ (দুই) বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিচারকাজ শেষ হবে জানুয়ারিতে: প্রসিকিউটর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিচারকাজ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।

আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আবু সাইদ হত্যা মামলার ১২ তম সাক্ষীর জবানবন্দি শেষে তিনি এ কথা বলেন।

আজ প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকিব রেজা খানের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় আজ দুজন সাক্ষী দিয়েছেন। এরা হলেন—পুলিশের এএসআই কামরুল হাসান ও কনস্টেবল আব্দুর রহমান।

এ মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পাঁচজন আসামি। তবে গ্রেপ্তার আছেন কেবল একজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

২০২৬ সালের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি

২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন বছরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি ভোগ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে নয় দিন সাপ্তাহিক ছুটির (শুক্র ও শনিবার) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ গত বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর, ২০২৫) আগামী বছরের সরকারি ছুটির তালিকার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার পর এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২০২৬ সালে সাধারণ ছুটি থাকছে মোট ১৪ দিন। এ ছাড়া নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকছে আরও ১৪ দিন। এই ২৮ দিনের মধ্যে ৯ দিন সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে মিশে যাওয়ায়, কর্মজীবীরা বাস্তবে মোট ১৯ দিনের কর্মদিবস ছুটি পাবেন, যা সাপ্তাহিক ছুটির সাথে যুক্ত হয়ে দীর্ঘ অবসর যাপনের সুযোগ এনে দেবে।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে, বাংলাদেশের সব সরকারি ও আধা–সরকারি অফিস এবং সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা–স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় এই ছুটি পালন করা হবে।

সাধারণ ও নির্বাহী আদেশের ছুটি ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী কর্মীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির বিধান রাখা হয়েছে। নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব পালনের জন্য একজন কর্মচারী বছরে অনধিক মোট ৩ (তিন) দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করতে পারবেন। এর জন্য বছরের শুরুতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে। এই ঐচ্ছিক ছুটি সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে নেওয়া যাবে।

govt-leave

বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর জন্য ঐচ্ছিক ছুটির তালিকা নিম্নরূপ:

প্রজ্ঞাপনে আরও জানানো হয়েছে, যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি নিজস্ব আইন-কানুন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, অথবা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার কর্তৃক অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনস্বার্থ বিবেচনা করে নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী ছুটির ব্যবস্থা করবে।

সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন ও ছুটির তালিকা দেখুন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এনটিএমসির নতুন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ওসমান সরোয়ার

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
এনটিএমসির নতুন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ওসমান সরোয়ার

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরোয়ারকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

গতকাল রোববার ওসমান সরোয়ারকে এনটিএমসির মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে তাঁর চাকরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এর আগে মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লা এই পদে ছিলেন।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওসমান সরোয়ার মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।

আরেকটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লাকে সেনাবাহিনীতে ফিরিয়ে নিতে তাঁর চাকরি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে ন্যস্ত করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল ও সমর্থকেরা বিক্ষোভ করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ বা তাদের সহযোগী সমর্থকেরা যদি কোনো ধরনের বিক্ষোভের চেষ্টা করে, তাহলে আইন তার সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

আজ সোমবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা লেখেন।

স্ট্যাটাসে শফিকুল আলম লেখেন, ‘বিএএল (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) ও তাদের সহযোগী সমর্থকেরা এবং গণহত্যাকারী নেত্রী মনে করছেন—এটি আবারও ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের মতো সময়। তারা মনে করছেন দিনের বেলা এক ডজন মানুষকে হত্যা করার পর রাস্তা দখল করার জন্য হাজার হাজার দুর্বৃত্তকে ঢাকার কেন্দ্রস্থলে পাঠাবেন।’

তিনি আরও লেখেন, ‘দুঃখিত—এটি এখন নতুন একটি বাংলাদেশ। জুলাই বিপ্লবীদের ধৈর্য পরীক্ষা করবেন না এবং মনে রাখবেন—এটি ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নয়। এটি জুলাই, চিরদিনের জুলাই।’

প্রেস-সচিব

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত