রাহুল শর্মা, ঢাকা
চলতি শিক্ষাবর্ষের দুই মাস শেষ হলেও এখনো সব বই হাতে পায়নি স্কুল শিক্ষার্থীরা। অষ্টম ও নবম শ্রেণির এবং ইবতেদায়ি পর্যায়ের কিছু বই এখনো ছাপার অপেক্ষায়। সব মিলিয়ে ৩ কোটি পাঠ্যবই ছাপা বাকি আছে, যার অধিকাংশই মাধ্যমিক পর্যায়ের। আর বিতরণ বাকি সাড়ে ৩ কোটির বেশি পাঠ্যবই। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সবার হাতে নতুন বই দেওয়া হবে—এমনটাই জানানো হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে। গত ৯ জানুয়ারি ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘আজকের ক্যাবিনেট মিটিংয়ে পাঠ্যপুস্তক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ক্যাবিনেটে বলা হয়েছে যে আগামী মাসের মধ্যে সবার হাতে পাঠ্যপুস্তক দেওয়া হবে।’
এনসিটিবির কর্মকর্তারা বলেছেন, শিক্ষাবর্ষের শেষ প্রান্তে নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল, পাঠ্যপুস্তকের ছবি ও বিষয়বস্তু পরিমার্জন ও সংশোধন এবং সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে রদবদলের কারণে পাঠ্যবই ছাপানোর কাজে দেরি হয়েছে। অবশ্য, চলতি মার্চ মাসের ১০ তারিখের মধ্যে সব শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান।
এনসিটিবি থেকে জানা যায়, নতুন শিক্ষাবর্ষে ৪ কোটির মতো শিক্ষার্থীর জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের প্রায় ৪০ কোটি ১৫ লাখ বই ছাপানোর আয়োজন করা হয়েছিল। তবে পরে নতুন করে হিসাব করে দেখা যায়, মোট বই ছাপতে হবে আসলে ৩৯ কোটি ৬০ লাখের মতো। এর মধ্যে প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৫২৫টি, বাকিগুলো মাধ্যমিক স্তরের।
গতকাল রোববার পর্যন্ত পাওয়া এনসিটিবির তথ্য বলছে, মাধ্যমিক স্তরের ২৭ কোটি ৪৩ লাখ ৭২ হাজার ২১৩টি পাঠ্যবই ছাপা হয়েছে। আর পিডিআই (পোস্ট ডেলিভারি ইন্সপেকশন) হয়েছে ২৩ কোটি ৭৬ লাখ ১১ হাজার ৪৩২টি পাঠ্যবই। অর্থাৎ ছাপা হলেও এখনো বিতরণ বাকি সাড়ে ৩ কোটি পাঠ্যবই।
আর প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপা হয়েছে ৯ কোটি ১২ লাখ ১৬ হাজার ৬১০টি। আর পিডিআই হয়েছে ৯ কোটি ১ লাখ ৭৫ হাজার পাঠ্যবই। অর্থাৎ এখনো ছাপা বাকি ১১ লাখ পাঠ্যবই।
এনসিটিবির সূত্র বলছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার কথা জানায়। এ কারণে চলতি বছরে মাধ্যমিক স্তরের বইয়ের সংখ্যা বেড়েছে। বাতিল করা নতুন শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিক স্তরে একেকটি শ্রেণির জন্য ১০টি বিষয় ছিল। পুরোনো শিক্ষাক্রমে বিষয় আরও বেশি। যেমন পুরোনো শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিকে বইয়ের সংখ্যা ২৩ (সব কটি সবার জন্য নয়)।
বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল রোববার এনসিটিবির চেয়ারম্যান রিয়াজুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আশা করছি, চলতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে সব পাঠ্যবই ছাপা ও বিতরণের কাজ শেষ হবে। যে ৩ কোটি পাঠ্যবই ছাপার কাজ বাকি, তার মধ্যে ২ কোটি বই রয়েছে, যেগুলোর পরীক্ষা হয় না।
চলতি শিক্ষাবর্ষের দুই মাস শেষ হলেও এখনো সব বই হাতে পায়নি স্কুল শিক্ষার্থীরা। অষ্টম ও নবম শ্রেণির এবং ইবতেদায়ি পর্যায়ের কিছু বই এখনো ছাপার অপেক্ষায়। সব মিলিয়ে ৩ কোটি পাঠ্যবই ছাপা বাকি আছে, যার অধিকাংশই মাধ্যমিক পর্যায়ের। আর বিতরণ বাকি সাড়ে ৩ কোটির বেশি পাঠ্যবই। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সবার হাতে নতুন বই দেওয়া হবে—এমনটাই জানানো হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে। গত ৯ জানুয়ারি ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘আজকের ক্যাবিনেট মিটিংয়ে পাঠ্যপুস্তক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ক্যাবিনেটে বলা হয়েছে যে আগামী মাসের মধ্যে সবার হাতে পাঠ্যপুস্তক দেওয়া হবে।’
এনসিটিবির কর্মকর্তারা বলেছেন, শিক্ষাবর্ষের শেষ প্রান্তে নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল, পাঠ্যপুস্তকের ছবি ও বিষয়বস্তু পরিমার্জন ও সংশোধন এবং সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে রদবদলের কারণে পাঠ্যবই ছাপানোর কাজে দেরি হয়েছে। অবশ্য, চলতি মার্চ মাসের ১০ তারিখের মধ্যে সব শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান।
এনসিটিবি থেকে জানা যায়, নতুন শিক্ষাবর্ষে ৪ কোটির মতো শিক্ষার্থীর জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের প্রায় ৪০ কোটি ১৫ লাখ বই ছাপানোর আয়োজন করা হয়েছিল। তবে পরে নতুন করে হিসাব করে দেখা যায়, মোট বই ছাপতে হবে আসলে ৩৯ কোটি ৬০ লাখের মতো। এর মধ্যে প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৫২৫টি, বাকিগুলো মাধ্যমিক স্তরের।
গতকাল রোববার পর্যন্ত পাওয়া এনসিটিবির তথ্য বলছে, মাধ্যমিক স্তরের ২৭ কোটি ৪৩ লাখ ৭২ হাজার ২১৩টি পাঠ্যবই ছাপা হয়েছে। আর পিডিআই (পোস্ট ডেলিভারি ইন্সপেকশন) হয়েছে ২৩ কোটি ৭৬ লাখ ১১ হাজার ৪৩২টি পাঠ্যবই। অর্থাৎ ছাপা হলেও এখনো বিতরণ বাকি সাড়ে ৩ কোটি পাঠ্যবই।
আর প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপা হয়েছে ৯ কোটি ১২ লাখ ১৬ হাজার ৬১০টি। আর পিডিআই হয়েছে ৯ কোটি ১ লাখ ৭৫ হাজার পাঠ্যবই। অর্থাৎ এখনো ছাপা বাকি ১১ লাখ পাঠ্যবই।
এনসিটিবির সূত্র বলছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার কথা জানায়। এ কারণে চলতি বছরে মাধ্যমিক স্তরের বইয়ের সংখ্যা বেড়েছে। বাতিল করা নতুন শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিক স্তরে একেকটি শ্রেণির জন্য ১০টি বিষয় ছিল। পুরোনো শিক্ষাক্রমে বিষয় আরও বেশি। যেমন পুরোনো শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিকে বইয়ের সংখ্যা ২৩ (সব কটি সবার জন্য নয়)।
বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল রোববার এনসিটিবির চেয়ারম্যান রিয়াজুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আশা করছি, চলতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে সব পাঠ্যবই ছাপা ও বিতরণের কাজ শেষ হবে। যে ৩ কোটি পাঠ্যবই ছাপার কাজ বাকি, তার মধ্যে ২ কোটি বই রয়েছে, যেগুলোর পরীক্ষা হয় না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ প্রস্তাবনা প্রশ্নে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। অধিকাংশ দল প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুবারের প্রস্তাব করেছে। তবে কয়েকটি দল দুবারের পর একবার বিরতি দিয়ে আবার হতে পারবেন বলে মত দিয়েছে...
৪৩ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৬ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২৯ জুন দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ রোববার (২২ জুন) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই দি
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দেওয়ার অনুরোধ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘একটু ছাড় দেওয়ার জায়গায় আসুন। আপনারা আসছেন, আরেকটু আগান। আরেকটু আগালে দ্রুত জুলাই সনদ করার মাধ্যমে এ অংশ (সংলাপ) শেষ করতে পারি।’
৩ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বিএনপি।
৩ ঘণ্টা আগে