Ajker Patrika

প্রার্থিতা বহাল থাকল শাহজাহান ওমরের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩: ৫৩
প্রার্থিতা বহাল থাকল শাহজাহান ওমরের

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি ছেড়ে আসা নেতা ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান ওমরের প্রার্থিতা বহাল রেখেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ শুক্রবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আপিল আবেদন শুনানি করে তাঁর প্রার্থিতা বহাল রাখে কাজী হাবিবুল আওয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।

 হলফনামায় মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগে শাহজাহান ওমরের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মনিরুজ্জামান মনির। শুনানি করে তাঁর আবেদন নামঞ্জুর করে ইসি। 

এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিএনপির সদস্য সাবেক নেতা মেজর (অব.) শাহজাহান ওমরের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে আবারও মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগে শাহজাহান ওমরের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মনিরুজ্জামান মনির। কিন্তু এবারও তিনি বৈধ প্রার্থী বলে বিবেচিত হন।

তার আগে, নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার ঘোষণা দেওয়ার পর দলের ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরকে বহিষ্কার করে বিএনপি। গত ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে গুরুতর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন শাহজাহান ওমর। সুতরাং, বিএনপির গঠনতন্ত্র মোতাবেক তাঁকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সকাল ৭টার পর অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারা কর্তৃপক্ষের এসি প্রিজন ভ্যানে কড়া নিরাপত্তায় ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
সকাল ৭টার পর অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারা কর্তৃপক্ষের এসি প্রিজন ভ্যানে কড়া নিরাপত্তায় ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম ও নির্যাতনের দুই মামলায় এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরায় সংঘটিত অপরাধের এক মামলায় আসামি ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

আজ বুধবার ট্রাইব্যুনালের এই আদেশের পর সেনা কর্মকর্তাদের ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে স্থাপিত কারা অধিদপ্তরের সাবজেলে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি-প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন।

‎আজ বেলা সাড়ে ১২টায় আজকের পত্রিকাকে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

কারা মহাপরিদর্শক বলেন, সরকার ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের একটি ভবনকে সাবজেল ঘোষণা দিয়েছে। সাবজেল হিসেবে ঘোষণার পরপরই সেই ভবনটি কারা অধিদপ্তরের অধীনে সাবজেল হিসেবে তত্ত্বাবধান করা হচ্ছে। ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে রাখতে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশের পর সেখানেই তাঁদের রাখা হবে। আমাদের কারা অধিদপ্তরের সব ব্যবস্থা সাবজেলে রয়েছে।

এর আগে সকাল ৭টার পর আসামি ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারা কর্তৃপক্ষের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) প্রিজন ভ্যানে কড়া নিরাপত্তায় ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাঁদের নেওয়া হয়। এজলাসে তাঁদের নেওয়া হলে সকাল ৮টার পর বসেন ট্রাইব্যুনাল।

‎আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক ও বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন ধার্য ছিল আজ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাবেন না: চিফ প্রসিকিউটর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১৩: ২১
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম। ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম। ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষক হিসেবে আমরা যাদের মনে করি, সেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই আদালতের প্রক্রিয়ায় সাহায্য করেছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করে হাজির করার বিষয়ে সেনাবাহিনী সাহায্য করেছে। সুতরাং দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধ যাঁরা অপপ্রচার করছেন তাঁদের বলব, অপপ্রচার করবেন না।’

আওয়ামী লীগ আমলে গুম, খুন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বুধবার ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর একই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তার করে হাজির করার বিষয়ে সেনাবাহিনী সাহায্য করেছে।’ দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধ অপপ্রচার না চালানোর আহ্বান জানান তিনি।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘যাঁদের হাজির করা হয়েছিল তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর পলাতকদের এক সপ্তাহ সময় দিয়ে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গুমের দুই মামলায় শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ নভেম্বর।’

আসামিদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের আইন অনুযায়ী কারও বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হলে তিনি চাকরিতে নেই বলে গণ্য হবেন।’ তাঁদের কোন কারাগারে রাখা হবে? এই প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘কারা কর্তৃপক্ষ তাঁদের কোথায় রাখবে, সেটা তাদের বিষয়। আদালতের কাজ হচ্ছে কাস্টডিতে পাঠিয়ে দেওয়া।’

এদিকে আসামিদের আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাঁরা কখনোই গ্রেপ্তার ছিলেন না। আর্মি আইন অনুযায়ী তাঁরা অ্যাটাচ ছিলেন এবং তাঁরা শুরু থেকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাঁরা ট্রায়াল ফেস করতে চান। তাঁরা এই অপরাধ সংঘটিত করেন নাই। একজন আইজিপি এখানে অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী)। তিনি বলেছেন, যা কিছু হয়েছে তা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং শেখ হাসিনার নির্দেশে হয়েছে। এখানে কারও কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। তাঁদের এই ঘটনার ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না।’

তাঁদের কোন কারাগারে পাঠানো হয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবে সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘যে সাবজেল ঘোষণা করা হয়েছে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে, সেইখানে নেওয়া হবে বলে আমরা জেনেছি।’

এর আগে ডিজিএফআই পরিচালিত জয়েন্ট ইন্টারোগেশনের (জেআইসি) মাধ্যমে গুম-নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ওই মামলার অপর আসামিরা হলেন—শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) সাইফুল আবেদিন, সাবেক ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, সাবেক ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল তাবরেজ শামস চৌধুরী, সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক, সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) তৌহিদুল ইসলাম, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবির আহাম্মদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজাহার সিদ্দিকী এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক।

র‍্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশনের (টিএফআই) মাধ্যমে গুম-নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়। ওই মামলার অন্য আসামিরা হলেন—শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল এবং সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।

এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৮ ও ১৯ জুলাই ২৮ জন নিহতের ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। চার আসামি হলেন বিজিবির সাবেক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবি কর্মকর্তা রাফাত বিন আলম মুন, ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের সাবেক এডিসি মো. রাশেদুল ইসলাম এবং রামপুরা থানার সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১৩: ১৪
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ আমলে গুম করে নির্যাতন ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরা এলাকায় হত্যাকাণ্ডের পৃথক তিনটি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক ব্যক্তিদের হাজির হতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই নির্দেশ দেন।

এর আগে এই তিন মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আজ সকাল ৭টার দিকে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত প্রিজন ভ্যানে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাঁদের প্রথমে রাখা হয় ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায়। সকাল ৮টার দিকে তোলা হয় এজলাসে। সকাল ৮টার একটু পর এজলাসে আসেন তিন বিচারপতি। ট্রাইব্যুনাল আসামিদের নাম ধরে ডাকলে তাঁরা এক এক করে দাঁড়ান। শুনানি শেষে তাঁদের সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

আর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৭ জন পলাতক থাকায় তাঁদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।

যে সেনা কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করে হাজির করার পর কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন কর্নেল এ কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, লেফটেন্যান্ট কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজাহার সিদ্দিকী, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম।

আজ ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘যাঁদের হাজির করা হয়েছিল, তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর পলাতকদের এক সপ্তাহ সময় দিয়ে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গুমের দুই মামলায় শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ নভেম্বর।’

চিফ প্রসিকিউটর আরও জানান, গত বছরের ১৮ ও ১৯ জুলাই রামপুরা এলাকায় ২৮ জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ আরও দুজনকে হাজির করা হয়েছিল। আদালত তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ নভেম্বর। এই মামলার পলাতক দুজনকেও হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কোনো চাপের কাছে নির্বাচন কমিশন নতি স্বীকার করবে না: সিইসি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ৩৯
ইউএনওদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে সিইসি। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইউএনওদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে সিইসি। ছবি: আজকের পত্রিকা

নির্বাচন কমিশন কারও কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইউএনওদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার আহ্বান জানিয়েছেন সিইসি।

সিইসি ইউএনওদের বলেন, ‘কোনো প্রেশারের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। সম্পূর্ণভাবে নিজের সিদ্ধান্তে আইন অনুযায়ী অটল থাকবেন। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব। নির্বাচন কমিশনও কারও কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না।’

ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত