সুলতান মাহমুদ
যশোরে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করায় রাসেল কবির নামে এক ব্যক্তিকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যশোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এ সাজা দেন। জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৮ এপ্রিল যশোর সদর উপজেলার নুরপুর গ্রামের নারীকে বিয়ে করেন রাসেল কবির। পরে স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে ২০১৯ সালের ৬ জুন অপর এক নারীকে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। বিষয়টি জানতে পেরে প্রথম স্ত্রী আদালতে মামলা করলে আদালত এই রায় দেন।
প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে
মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১ সালের ৬ ধারা মতে, কোনো পুরুষ যদি একটি বিয়ে বলবৎ থাকা অবস্থায় আরেকটি বিয়ে করতে চান তাহলে ‘সালিস পরিষদ’–এর অনুমতি নিয়ে করতে হবে। এ রকম পূর্ব অনুমতি না নিয়ে বিয়ে করলে সেই বিয়ে নিবন্ধিত হবে না।
আইনটির ৬ (২) –এ বলা হয়েছে, দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতির জন্য নির্দিষ্ট ফি–সহ নির্ধারিত পদ্ধতিতে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করতে হবে। এই আবেদনপত্রে বিয়ের কারণ এবং বর্তমান স্ত্রীর সম্মতি নেওয়া হয়েছে কি না তা উল্লেখ করতে হবে।
যদি সালিস পরিষদ মনে করে, প্রস্তাবিত বিয়েটি প্রয়োজনীয় এবং ন্যায়সংগত, কেবল তখনই বহু বিয়ের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
সালিস পরিষদের অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করলে তা হবে একটি অপরাধ। যদি কোনো ব্যক্তি এই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে ১ বছরের জেল বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এ ছাড়া দেনমোহরের যাবতীয় টাকা পরিশোধ করতে হবে। দেনমোহর পরিশোধ না করলে বকেয়া রাজস্বের মতো আদায় হবে।
দণ্ডবিধি ১৮৬০–এর ৪৯৪ ধারা মতে, প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া যদি কোনো ব্যক্তি দ্বিতীয় বিয়ে করেন, তাহলে এই ধারার বিধানমতে স্ত্রী ফৌজদারি মামলা করতে পারবেন। এ সময় স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের কাবিননামা আদালতে দেখাতে হবে। স্বামীর অপরাধ প্রমাণিত হলে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
যেসব কারণে স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন
মুসলিম পারিবারিক আইন বিধিমালা ১৯৬১ এর ১৪ বিধি মতে, বেশ কিছু কারণে স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন। যেমন: স্ত্রী যদি বন্ধ্যা হন, শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকেন, দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য শারীরিকভাবে অসমর্থ, দাম্পত্য অধিকার পুনঃস্থাপনের জন্য কোনো ডিক্রিকে ইচ্ছাকৃত পরিহার, স্ত্রীর বাতুলতা বা উন্মত্ততা (মানসিক বিকার) ইত্যাদি।
স্বামী থাকা অবস্থায় কি নারী দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন
মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী, প্রথম স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্ক বিদ্যমান থাকা অবস্থায় স্ত্রী দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন না। যদি দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, তাহলে সেই দ্বিতীয় বিয়ে হবে আইনত অপরাধ।
প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিয়ে বলবৎ থাকা অবস্থায় যদি স্ত্রী অন্য কাউকে বিয়ে করেন, তাহলে প্রথম স্বামী সেই স্ত্রীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি আদালতে মামলা করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে স্ত্রী ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৪৯৪ ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড পেতে পারেন এবং সেই সঙ্গে জরিমানাও হতে পারে।
তবে প্রথম স্বামী সাত বছর যাবৎ সেই স্ত্রীর যদি কোনো খোঁজখবর না নেন, অথবা (নিখোঁজ বা নিরুদ্দেশ) স্বামী জীবিত থাকতে পারেন—এমন কোনো তথ্য যদি জানা না যায়, তাহলে হবু স্বামীকে সত্যি ঘটনা জানিয়ে সেই স্ত্রী দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন। এটি দণ্ডবিধির ৪৯৪ ধারার বিধানের ব্যতিক্রম। আর এই ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়ে শাস্তিযোগ্য হবে না।
অন্যদিকে স্ত্রী যদি দ্বিতীয় বা পরবর্তী বিয়ে করার সময় যাকে বিয়ে করছেন, তাঁর কাছে আগের বিয়ের কথা গোপন করেন, তাহলে সেটি হবে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪৯৫ ধারা অনুসারে একটি অপরাধ। এ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং জরিমানা।
যশোরে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করায় রাসেল কবির নামে এক ব্যক্তিকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যশোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এ সাজা দেন। জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৮ এপ্রিল যশোর সদর উপজেলার নুরপুর গ্রামের নারীকে বিয়ে করেন রাসেল কবির। পরে স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে ২০১৯ সালের ৬ জুন অপর এক নারীকে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। বিষয়টি জানতে পেরে প্রথম স্ত্রী আদালতে মামলা করলে আদালত এই রায় দেন।
প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে
মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১ সালের ৬ ধারা মতে, কোনো পুরুষ যদি একটি বিয়ে বলবৎ থাকা অবস্থায় আরেকটি বিয়ে করতে চান তাহলে ‘সালিস পরিষদ’–এর অনুমতি নিয়ে করতে হবে। এ রকম পূর্ব অনুমতি না নিয়ে বিয়ে করলে সেই বিয়ে নিবন্ধিত হবে না।
আইনটির ৬ (২) –এ বলা হয়েছে, দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতির জন্য নির্দিষ্ট ফি–সহ নির্ধারিত পদ্ধতিতে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করতে হবে। এই আবেদনপত্রে বিয়ের কারণ এবং বর্তমান স্ত্রীর সম্মতি নেওয়া হয়েছে কি না তা উল্লেখ করতে হবে।
যদি সালিস পরিষদ মনে করে, প্রস্তাবিত বিয়েটি প্রয়োজনীয় এবং ন্যায়সংগত, কেবল তখনই বহু বিয়ের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
সালিস পরিষদের অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করলে তা হবে একটি অপরাধ। যদি কোনো ব্যক্তি এই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে ১ বছরের জেল বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এ ছাড়া দেনমোহরের যাবতীয় টাকা পরিশোধ করতে হবে। দেনমোহর পরিশোধ না করলে বকেয়া রাজস্বের মতো আদায় হবে।
দণ্ডবিধি ১৮৬০–এর ৪৯৪ ধারা মতে, প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া যদি কোনো ব্যক্তি দ্বিতীয় বিয়ে করেন, তাহলে এই ধারার বিধানমতে স্ত্রী ফৌজদারি মামলা করতে পারবেন। এ সময় স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের কাবিননামা আদালতে দেখাতে হবে। স্বামীর অপরাধ প্রমাণিত হলে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
যেসব কারণে স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন
মুসলিম পারিবারিক আইন বিধিমালা ১৯৬১ এর ১৪ বিধি মতে, বেশ কিছু কারণে স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন। যেমন: স্ত্রী যদি বন্ধ্যা হন, শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকেন, দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য শারীরিকভাবে অসমর্থ, দাম্পত্য অধিকার পুনঃস্থাপনের জন্য কোনো ডিক্রিকে ইচ্ছাকৃত পরিহার, স্ত্রীর বাতুলতা বা উন্মত্ততা (মানসিক বিকার) ইত্যাদি।
স্বামী থাকা অবস্থায় কি নারী দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন
মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী, প্রথম স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্ক বিদ্যমান থাকা অবস্থায় স্ত্রী দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন না। যদি দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, তাহলে সেই দ্বিতীয় বিয়ে হবে আইনত অপরাধ।
প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিয়ে বলবৎ থাকা অবস্থায় যদি স্ত্রী অন্য কাউকে বিয়ে করেন, তাহলে প্রথম স্বামী সেই স্ত্রীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি আদালতে মামলা করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে স্ত্রী ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৪৯৪ ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড পেতে পারেন এবং সেই সঙ্গে জরিমানাও হতে পারে।
তবে প্রথম স্বামী সাত বছর যাবৎ সেই স্ত্রীর যদি কোনো খোঁজখবর না নেন, অথবা (নিখোঁজ বা নিরুদ্দেশ) স্বামী জীবিত থাকতে পারেন—এমন কোনো তথ্য যদি জানা না যায়, তাহলে হবু স্বামীকে সত্যি ঘটনা জানিয়ে সেই স্ত্রী দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন। এটি দণ্ডবিধির ৪৯৪ ধারার বিধানের ব্যতিক্রম। আর এই ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়ে শাস্তিযোগ্য হবে না।
অন্যদিকে স্ত্রী যদি দ্বিতীয় বা পরবর্তী বিয়ে করার সময় যাকে বিয়ে করছেন, তাঁর কাছে আগের বিয়ের কথা গোপন করেন, তাহলে সেটি হবে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪৯৫ ধারা অনুসারে একটি অপরাধ। এ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং জরিমানা।
দেশের মৎস্যজীবীদের বড় অংশকে জেলে হিসেবে নিবন্ধনের আওতায় এনেছে সরকার। অভিযোগ রয়েছে, নিবন্ধিত জেলেদের তালিকায় অনিয়ম-প্রতারণার মাধ্যমে অন্য পেশাজীবীরা ঢুকে পড়েছেন। এতে মাছ ধরা বন্ধ থাকার সময় সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় দেওয়া বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেক প্রকৃত জেলে।
৩ ঘণ্টা আগেবিগত আওয়ামী লীগ আমলের শতাধিক সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) বর্তমানে কারাগারে। তাঁদের অধিকাংশই বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রীও রয়েছেন। তাঁরা হত্যা, হত্যাচেষ্টা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, দুর্নীতি, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিচারের মুখে।
৯ ঘণ্টা আগেইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আজ শনিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৫১তম সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে এই আহ্বান জানান।
১২ ঘণ্টা আগেচীনের কুনমিংয়ে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিনিয়োগ, অবকাঠামো, প্রযুক্তিসহ পাঁচটি ক্ষেত্রে সহযোগিতার কথা বলা হয়।
১২ ঘণ্টা আগে