তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে ঋণচুক্তির সময় ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) উল্লেখ না থাকা কিছু কাজ পরে প্রয়োজনে যুক্ত হয়েছে। বাড়তি এসব কাজে খরচ হয়েছে ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ডলারের বর্তমান বিনিময়হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৪৭ কোটি টাকা)। এই টাকা ঋণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে প্রকল্পটিতে অর্থায়নকারী চীনের এক্সিম ব্যাংক। ফলে ঠিকাদারকে এই অর্থ পরিশোধের দায় চাপল বাংলাদেশ সরকারের ওপর।
চীনের এক্সিম ব্যাংক গত ২৪ জুলাই বাড়তি এই অর্থ ঋণ না দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগকে (ইআরডি) জানিয়ে দিয়েছে। প্রকল্পের চূড়ান্ত হিসাবের সময় মূল্য নির্ধারণের দিন ডলারের বিনিময়হার অনুযায়ী টাকার অঙ্ক কিছুটা কমবেশি হতে পারে।
ইআরডি এবং রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। অবশ্য ইআরডির এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, চীনের এক্সিম ব্যাংক এই টাকা ঋণ না দেওয়ায় বরং ভালোই হয়েছে। কারণ, ঋণ নিলে সুদসহ ফেরত দিতে হতো। এখন সরকার নিজেই অর্থায়ন করলে দর-কষাকষি করে কম টাকা পরিশোধের চেষ্টা করবে। তবে এটি সবার জন্যই একটি শিক্ষা। ভবিষ্যতে ঋণচুক্তি করার সময় এসব বিষয় আরও গুরুত্ব পাবে।
জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম গত বুধবার বলেন, ‘অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি আমরা পেয়েছি। তবে আপনি বিস্তারিত জানার জন্য প্রকল্প অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।’
তবে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের দপ্তরে জানতে চাইলে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলতে কর্মকর্তারা অপারগতা প্রকাশ করেন।
চীনের এক্সিম ব্যাংকের দাবি, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে যেসব খাতে অতিরিক্ত খরচ হয়েছে, সেগুলো ঋণচুক্তির আওতায় ছিল না। এ খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে ভাঙ্গায় ছোট স্টেশনের পরিবর্তে আইকনিক স্টেশন নির্মাণ, টিটিপাড়া আন্ডারপাস নির্মাণ, এসি কোচের সংখ্যা বৃদ্ধি, বায়ো টয়লেট সংযোজন, এসি কোচের খুচরা যন্ত্রাংশ কেনা, সিসি ক্যামেরা বসানো, বরিশাল রুটের জন্য ইয়ার্ড লাইন নির্মাণ, সেন্ট্রাল ট্রাফিক কন্ট্রোল ভবন তৃতীয় তলা থেকে উঁচু করা, প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বাড়ানো, ঢাকা (কমলাপুর) থেকে গেন্ডারিয়া পর্যন্ত দুই লাইনের পরিবর্তে রেলের তিনটি লাইন করা, তুলারামপুর রেলওয়ে সেতু নির্মাণ, ঢাকা-গেন্ডারিয়া রুটে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ এবং শিবচর স্টেশনে এক্সেস রোড নির্মাণ করা।
প্রকল্প সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে বাড়তি কাজের খরচের বিষয়টি ২০২৩ সালের অক্টোবরে প্রকল্প দপ্তর থেকে ইআরডিকে জানানো হয়। পরে ইআরডি ২০২৪ সালের ২৮ জানুয়ারি চীনের এক্সিম ব্যাংককে চিঠি দিয়ে ঋণচুক্তির বাইরে কাজের ৭৭ বিলিয়ন ডলার খরচ মঞ্জুর করার অনুরোধ করে। এ নিয়ে পরে একাধিক বৈঠক হয়। সর্বশেষ চলতি বছরের ২ জুলাই ঢাকায় চীনের এক্সিম ব্যাংকের প্রতিনিধি, ইআরডি এবং প্রকল্প দপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে ইআরডি ঋণের এই অর্থ দিতে ব্যাংকটিকে আবার অনুরোধ জানায়। বৈঠকে এক্সিম ব্যাংকের প্রতিনিধিরা কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি। তাঁরা বলেছিলেন, দেশে ফিরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবেন। এরপর ২৪ জুলাই এক্সিম ব্যাংক ই-মেইলের মাধ্যমে অতিরিক্ত কাজে খরচ হওয়া ৭৭ মিলিয়ন ডলার ঋণ না দেওয়ার কথা ইআরডিকে জানায়। ফলে এই অর্থ এখন বাংলাদেশ সরকারকেই ঠিকাদারকে পরিশোধ করতে হবে।
প্রকল্প সূত্র আরও জানায়, এক্সিম ব্যাংক থেকে অর্থ না পাওয়ায় বিষয়টি সমাধানে ২৪ জুলাই প্রকল্পের প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটির (পিএসসি) সভা হয়। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, যেহেতু চীনের এক্সিম ব্যাংক ওই অর্থ ঋণ দেবে না, তাই প্রকল্পের ডিপিপিতে অর্থায়নের ধরন (মুড অব ফাইন্যান্স) পরিবর্তন করতে হবে। এ জন্য ডিপিপির তৃতীয় সংশোধনী করা হবে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে মোট নির্মাণ চুক্তির পরিমাণ ছিল ২৪ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক দিয়েছে ২১ হাজার ৩৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে ৩ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা।
এদিকে প্রকল্পের ঋণচুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর। যদিও নির্মাণকাজ ও ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ডসহ প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত। ফলে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই প্রকল্পের ডিপিপির তৃতীয় সংশোধনী করতে হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
২০২৩ সালে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের একাংশ চালু করা হয়। ঢাকা থেকে সরাসরি যশোর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে। তবে এখনো কিছু নির্মাণকাজ বাকি রয়েছে। বিশেষ করে টিটিপাড়া আন্ডারপাসে কার্পেটিং এবং ভাঙ্গা জংশনে গ্লাস, এসি বসানোসহ ফিনিশিংয়ের কাজ শেষ হয়নি।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বাড়তি কাজের জন্য চীনের এক্সিম ব্যাংক ঋণ না দেওয়ায় ঠিকাদারেরা কাজের গতি কমিয়ে দিয়েছেন। প্রকল্পের জুলাই মাসের অগ্রগতি প্রতিবেদন বলছে, কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৯৭.৬০ শতাংশ এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে ৮৯ শতাংশ।
প্রকল্প সূত্র জানায়, চীনের এক্সিম ব্যাংক ঋণের অর্থছাড় না করায় ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত ঠিকাদারের ১০টি বিলের আরও প্রায় ১ হাজার ৬৭১ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এই অর্থছাড়ের জন্য এক্সিম ব্যাংককে বারবার তাগাদা দিয়েছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে তিন-চারবার ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে; কিন্তু অর্থছাড় হয়নি।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন যেহেতু ব্যাংক বাড়তি কাজের প্রায় ৯৪৫ কোটি টাকা ঋণ না দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্তভাবে জানিয়েছে, তাই বাকি অর্থছাড়ে আর বাধা থাকার কথা নয়। এক্সিম ব্যাংক শিগগিরই এ বিলগুলোর টাকা ঠিকাদারকে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত মোট ২৩৬ দশমিক ২৭ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে মেইন লাইন ছিল ১৭২ দশমিক ৯৭৫ কিলোমিটার, লুপ লাইন ৬২ দশমিক ৩০ কিলোমিটার। রেললাইন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে জি-টু-জি পদ্ধতিতে। এ প্রকল্পের ঠিকাদার চায়না রেলওয়ে গ্রুপ।
প্রকল্পের নথির তথ্য বলছে, ডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পের মোট ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছিল ৩৮ হাজার ৬২৮ দশমিক ৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে নির্মাণ চুক্তির আওতায় ছিল ২৪ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা। অবশিষ্ট খরচ হয়েছে ভ্যাট ও ট্যাক্স ৮ হাজার কোটি, ভূমি অধিগ্রহণ ৪ হাজার কোটি, পুনর্বাসনে ২০০ কোটি, ইউটিলিটি পরিষেবা স্থানান্তর ৩০০ কোটি, পরামর্শক ব্যয় ১ হাজার ৩৩৩ কোটি, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য প্রশাসনিক খরচ ৫০ কোটি টাকা।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, দেশে উন্নয়ন প্রকল্পে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। আগে মাঠে নামা হয়, হোঁচট খাওয়ার পর ভুল ধরা পড়ে। বাইরের লোক এনে কাজ করানো হয়। নিজেদের কোনো পরিকল্পনা নেই। এতে ভুলের পর ভুল হয়। বিদেশি দাতা সংস্থারাও সুযোগ নেয়। টেকসই উন্নয়ন করতে হলে নিজেদের দক্ষতা ও পরিকল্পনাশক্তি গড়ে তুলতে হবে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে ঋণচুক্তির সময় ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) উল্লেখ না থাকা কিছু কাজ পরে প্রয়োজনে যুক্ত হয়েছে। বাড়তি এসব কাজে খরচ হয়েছে ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ডলারের বর্তমান বিনিময়হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৪৭ কোটি টাকা)। এই টাকা ঋণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে প্রকল্পটিতে অর্থায়নকারী চীনের এক্সিম ব্যাংক। ফলে ঠিকাদারকে এই অর্থ পরিশোধের দায় চাপল বাংলাদেশ সরকারের ওপর।
চীনের এক্সিম ব্যাংক গত ২৪ জুলাই বাড়তি এই অর্থ ঋণ না দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগকে (ইআরডি) জানিয়ে দিয়েছে। প্রকল্পের চূড়ান্ত হিসাবের সময় মূল্য নির্ধারণের দিন ডলারের বিনিময়হার অনুযায়ী টাকার অঙ্ক কিছুটা কমবেশি হতে পারে।
ইআরডি এবং রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। অবশ্য ইআরডির এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, চীনের এক্সিম ব্যাংক এই টাকা ঋণ না দেওয়ায় বরং ভালোই হয়েছে। কারণ, ঋণ নিলে সুদসহ ফেরত দিতে হতো। এখন সরকার নিজেই অর্থায়ন করলে দর-কষাকষি করে কম টাকা পরিশোধের চেষ্টা করবে। তবে এটি সবার জন্যই একটি শিক্ষা। ভবিষ্যতে ঋণচুক্তি করার সময় এসব বিষয় আরও গুরুত্ব পাবে।
জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম গত বুধবার বলেন, ‘অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি আমরা পেয়েছি। তবে আপনি বিস্তারিত জানার জন্য প্রকল্প অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।’
তবে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের দপ্তরে জানতে চাইলে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলতে কর্মকর্তারা অপারগতা প্রকাশ করেন।
চীনের এক্সিম ব্যাংকের দাবি, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে যেসব খাতে অতিরিক্ত খরচ হয়েছে, সেগুলো ঋণচুক্তির আওতায় ছিল না। এ খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে ভাঙ্গায় ছোট স্টেশনের পরিবর্তে আইকনিক স্টেশন নির্মাণ, টিটিপাড়া আন্ডারপাস নির্মাণ, এসি কোচের সংখ্যা বৃদ্ধি, বায়ো টয়লেট সংযোজন, এসি কোচের খুচরা যন্ত্রাংশ কেনা, সিসি ক্যামেরা বসানো, বরিশাল রুটের জন্য ইয়ার্ড লাইন নির্মাণ, সেন্ট্রাল ট্রাফিক কন্ট্রোল ভবন তৃতীয় তলা থেকে উঁচু করা, প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বাড়ানো, ঢাকা (কমলাপুর) থেকে গেন্ডারিয়া পর্যন্ত দুই লাইনের পরিবর্তে রেলের তিনটি লাইন করা, তুলারামপুর রেলওয়ে সেতু নির্মাণ, ঢাকা-গেন্ডারিয়া রুটে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ এবং শিবচর স্টেশনে এক্সেস রোড নির্মাণ করা।
প্রকল্প সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে বাড়তি কাজের খরচের বিষয়টি ২০২৩ সালের অক্টোবরে প্রকল্প দপ্তর থেকে ইআরডিকে জানানো হয়। পরে ইআরডি ২০২৪ সালের ২৮ জানুয়ারি চীনের এক্সিম ব্যাংককে চিঠি দিয়ে ঋণচুক্তির বাইরে কাজের ৭৭ বিলিয়ন ডলার খরচ মঞ্জুর করার অনুরোধ করে। এ নিয়ে পরে একাধিক বৈঠক হয়। সর্বশেষ চলতি বছরের ২ জুলাই ঢাকায় চীনের এক্সিম ব্যাংকের প্রতিনিধি, ইআরডি এবং প্রকল্প দপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে ইআরডি ঋণের এই অর্থ দিতে ব্যাংকটিকে আবার অনুরোধ জানায়। বৈঠকে এক্সিম ব্যাংকের প্রতিনিধিরা কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি। তাঁরা বলেছিলেন, দেশে ফিরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবেন। এরপর ২৪ জুলাই এক্সিম ব্যাংক ই-মেইলের মাধ্যমে অতিরিক্ত কাজে খরচ হওয়া ৭৭ মিলিয়ন ডলার ঋণ না দেওয়ার কথা ইআরডিকে জানায়। ফলে এই অর্থ এখন বাংলাদেশ সরকারকেই ঠিকাদারকে পরিশোধ করতে হবে।
প্রকল্প সূত্র আরও জানায়, এক্সিম ব্যাংক থেকে অর্থ না পাওয়ায় বিষয়টি সমাধানে ২৪ জুলাই প্রকল্পের প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটির (পিএসসি) সভা হয়। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, যেহেতু চীনের এক্সিম ব্যাংক ওই অর্থ ঋণ দেবে না, তাই প্রকল্পের ডিপিপিতে অর্থায়নের ধরন (মুড অব ফাইন্যান্স) পরিবর্তন করতে হবে। এ জন্য ডিপিপির তৃতীয় সংশোধনী করা হবে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে মোট নির্মাণ চুক্তির পরিমাণ ছিল ২৪ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক দিয়েছে ২১ হাজার ৩৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে ৩ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা।
এদিকে প্রকল্পের ঋণচুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর। যদিও নির্মাণকাজ ও ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ডসহ প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত। ফলে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই প্রকল্পের ডিপিপির তৃতীয় সংশোধনী করতে হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
২০২৩ সালে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের একাংশ চালু করা হয়। ঢাকা থেকে সরাসরি যশোর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে। তবে এখনো কিছু নির্মাণকাজ বাকি রয়েছে। বিশেষ করে টিটিপাড়া আন্ডারপাসে কার্পেটিং এবং ভাঙ্গা জংশনে গ্লাস, এসি বসানোসহ ফিনিশিংয়ের কাজ শেষ হয়নি।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বাড়তি কাজের জন্য চীনের এক্সিম ব্যাংক ঋণ না দেওয়ায় ঠিকাদারেরা কাজের গতি কমিয়ে দিয়েছেন। প্রকল্পের জুলাই মাসের অগ্রগতি প্রতিবেদন বলছে, কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৯৭.৬০ শতাংশ এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে ৮৯ শতাংশ।
প্রকল্প সূত্র জানায়, চীনের এক্সিম ব্যাংক ঋণের অর্থছাড় না করায় ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত ঠিকাদারের ১০টি বিলের আরও প্রায় ১ হাজার ৬৭১ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এই অর্থছাড়ের জন্য এক্সিম ব্যাংককে বারবার তাগাদা দিয়েছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে তিন-চারবার ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে; কিন্তু অর্থছাড় হয়নি।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন যেহেতু ব্যাংক বাড়তি কাজের প্রায় ৯৪৫ কোটি টাকা ঋণ না দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্তভাবে জানিয়েছে, তাই বাকি অর্থছাড়ে আর বাধা থাকার কথা নয়। এক্সিম ব্যাংক শিগগিরই এ বিলগুলোর টাকা ঠিকাদারকে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত মোট ২৩৬ দশমিক ২৭ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে মেইন লাইন ছিল ১৭২ দশমিক ৯৭৫ কিলোমিটার, লুপ লাইন ৬২ দশমিক ৩০ কিলোমিটার। রেললাইন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে জি-টু-জি পদ্ধতিতে। এ প্রকল্পের ঠিকাদার চায়না রেলওয়ে গ্রুপ।
প্রকল্পের নথির তথ্য বলছে, ডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পের মোট ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছিল ৩৮ হাজার ৬২৮ দশমিক ৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে নির্মাণ চুক্তির আওতায় ছিল ২৪ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা। অবশিষ্ট খরচ হয়েছে ভ্যাট ও ট্যাক্স ৮ হাজার কোটি, ভূমি অধিগ্রহণ ৪ হাজার কোটি, পুনর্বাসনে ২০০ কোটি, ইউটিলিটি পরিষেবা স্থানান্তর ৩০০ কোটি, পরামর্শক ব্যয় ১ হাজার ৩৩৩ কোটি, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য প্রশাসনিক খরচ ৫০ কোটি টাকা।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, দেশে উন্নয়ন প্রকল্পে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। আগে মাঠে নামা হয়, হোঁচট খাওয়ার পর ভুল ধরা পড়ে। বাইরের লোক এনে কাজ করানো হয়। নিজেদের কোনো পরিকল্পনা নেই। এতে ভুলের পর ভুল হয়। বিদেশি দাতা সংস্থারাও সুযোগ নেয়। টেকসই উন্নয়ন করতে হলে নিজেদের দক্ষতা ও পরিকল্পনাশক্তি গড়ে তুলতে হবে।
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে ঋণচুক্তির সময় ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) উল্লেখ না থাকা কিছু কাজ পরে প্রয়োজনে যুক্ত হয়েছে। বাড়তি এসব কাজে খরচ হয়েছে ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ডলারের বর্তমান বিনিময়হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৪৭ কোটি টাকা)। এই টাকা ঋণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে প্রকল্পটিতে অর্থায়নকারী চীনের এক্সিম ব্যাংক। ফলে ঠিকাদারকে এই অর্থ পরিশোধের দায় চাপল বাংলাদেশ সরকারের ওপর।
চীনের এক্সিম ব্যাংক গত ২৪ জুলাই বাড়তি এই অর্থ ঋণ না দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগকে (ইআরডি) জানিয়ে দিয়েছে। প্রকল্পের চূড়ান্ত হিসাবের সময় মূল্য নির্ধারণের দিন ডলারের বিনিময়হার অনুযায়ী টাকার অঙ্ক কিছুটা কমবেশি হতে পারে।
ইআরডি এবং রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। অবশ্য ইআরডির এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, চীনের এক্সিম ব্যাংক এই টাকা ঋণ না দেওয়ায় বরং ভালোই হয়েছে। কারণ, ঋণ নিলে সুদসহ ফেরত দিতে হতো। এখন সরকার নিজেই অর্থায়ন করলে দর-কষাকষি করে কম টাকা পরিশোধের চেষ্টা করবে। তবে এটি সবার জন্যই একটি শিক্ষা। ভবিষ্যতে ঋণচুক্তি করার সময় এসব বিষয় আরও গুরুত্ব পাবে।
জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম গত বুধবার বলেন, ‘অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি আমরা পেয়েছি। তবে আপনি বিস্তারিত জানার জন্য প্রকল্প অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।’
তবে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের দপ্তরে জানতে চাইলে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলতে কর্মকর্তারা অপারগতা প্রকাশ করেন।
চীনের এক্সিম ব্যাংকের দাবি, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে যেসব খাতে অতিরিক্ত খরচ হয়েছে, সেগুলো ঋণচুক্তির আওতায় ছিল না। এ খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে ভাঙ্গায় ছোট স্টেশনের পরিবর্তে আইকনিক স্টেশন নির্মাণ, টিটিপাড়া আন্ডারপাস নির্মাণ, এসি কোচের সংখ্যা বৃদ্ধি, বায়ো টয়লেট সংযোজন, এসি কোচের খুচরা যন্ত্রাংশ কেনা, সিসি ক্যামেরা বসানো, বরিশাল রুটের জন্য ইয়ার্ড লাইন নির্মাণ, সেন্ট্রাল ট্রাফিক কন্ট্রোল ভবন তৃতীয় তলা থেকে উঁচু করা, প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বাড়ানো, ঢাকা (কমলাপুর) থেকে গেন্ডারিয়া পর্যন্ত দুই লাইনের পরিবর্তে রেলের তিনটি লাইন করা, তুলারামপুর রেলওয়ে সেতু নির্মাণ, ঢাকা-গেন্ডারিয়া রুটে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ এবং শিবচর স্টেশনে এক্সেস রোড নির্মাণ করা।
প্রকল্প সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে বাড়তি কাজের খরচের বিষয়টি ২০২৩ সালের অক্টোবরে প্রকল্প দপ্তর থেকে ইআরডিকে জানানো হয়। পরে ইআরডি ২০২৪ সালের ২৮ জানুয়ারি চীনের এক্সিম ব্যাংককে চিঠি দিয়ে ঋণচুক্তির বাইরে কাজের ৭৭ বিলিয়ন ডলার খরচ মঞ্জুর করার অনুরোধ করে। এ নিয়ে পরে একাধিক বৈঠক হয়। সর্বশেষ চলতি বছরের ২ জুলাই ঢাকায় চীনের এক্সিম ব্যাংকের প্রতিনিধি, ইআরডি এবং প্রকল্প দপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে ইআরডি ঋণের এই অর্থ দিতে ব্যাংকটিকে আবার অনুরোধ জানায়। বৈঠকে এক্সিম ব্যাংকের প্রতিনিধিরা কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি। তাঁরা বলেছিলেন, দেশে ফিরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবেন। এরপর ২৪ জুলাই এক্সিম ব্যাংক ই-মেইলের মাধ্যমে অতিরিক্ত কাজে খরচ হওয়া ৭৭ মিলিয়ন ডলার ঋণ না দেওয়ার কথা ইআরডিকে জানায়। ফলে এই অর্থ এখন বাংলাদেশ সরকারকেই ঠিকাদারকে পরিশোধ করতে হবে।
প্রকল্প সূত্র আরও জানায়, এক্সিম ব্যাংক থেকে অর্থ না পাওয়ায় বিষয়টি সমাধানে ২৪ জুলাই প্রকল্পের প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটির (পিএসসি) সভা হয়। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, যেহেতু চীনের এক্সিম ব্যাংক ওই অর্থ ঋণ দেবে না, তাই প্রকল্পের ডিপিপিতে অর্থায়নের ধরন (মুড অব ফাইন্যান্স) পরিবর্তন করতে হবে। এ জন্য ডিপিপির তৃতীয় সংশোধনী করা হবে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে মোট নির্মাণ চুক্তির পরিমাণ ছিল ২৪ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক দিয়েছে ২১ হাজার ৩৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে ৩ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা।
এদিকে প্রকল্পের ঋণচুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর। যদিও নির্মাণকাজ ও ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ডসহ প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত। ফলে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই প্রকল্পের ডিপিপির তৃতীয় সংশোধনী করতে হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
২০২৩ সালে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের একাংশ চালু করা হয়। ঢাকা থেকে সরাসরি যশোর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে। তবে এখনো কিছু নির্মাণকাজ বাকি রয়েছে। বিশেষ করে টিটিপাড়া আন্ডারপাসে কার্পেটিং এবং ভাঙ্গা জংশনে গ্লাস, এসি বসানোসহ ফিনিশিংয়ের কাজ শেষ হয়নি।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বাড়তি কাজের জন্য চীনের এক্সিম ব্যাংক ঋণ না দেওয়ায় ঠিকাদারেরা কাজের গতি কমিয়ে দিয়েছেন। প্রকল্পের জুলাই মাসের অগ্রগতি প্রতিবেদন বলছে, কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৯৭.৬০ শতাংশ এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে ৮৯ শতাংশ।
প্রকল্প সূত্র জানায়, চীনের এক্সিম ব্যাংক ঋণের অর্থছাড় না করায় ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত ঠিকাদারের ১০টি বিলের আরও প্রায় ১ হাজার ৬৭১ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এই অর্থছাড়ের জন্য এক্সিম ব্যাংককে বারবার তাগাদা দিয়েছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে তিন-চারবার ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে; কিন্তু অর্থছাড় হয়নি।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন যেহেতু ব্যাংক বাড়তি কাজের প্রায় ৯৪৫ কোটি টাকা ঋণ না দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্তভাবে জানিয়েছে, তাই বাকি অর্থছাড়ে আর বাধা থাকার কথা নয়। এক্সিম ব্যাংক শিগগিরই এ বিলগুলোর টাকা ঠিকাদারকে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত মোট ২৩৬ দশমিক ২৭ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে মেইন লাইন ছিল ১৭২ দশমিক ৯৭৫ কিলোমিটার, লুপ লাইন ৬২ দশমিক ৩০ কিলোমিটার। রেললাইন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে জি-টু-জি পদ্ধতিতে। এ প্রকল্পের ঠিকাদার চায়না রেলওয়ে গ্রুপ।
প্রকল্পের নথির তথ্য বলছে, ডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পের মোট ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছিল ৩৮ হাজার ৬২৮ দশমিক ৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে নির্মাণ চুক্তির আওতায় ছিল ২৪ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা। অবশিষ্ট খরচ হয়েছে ভ্যাট ও ট্যাক্স ৮ হাজার কোটি, ভূমি অধিগ্রহণ ৪ হাজার কোটি, পুনর্বাসনে ২০০ কোটি, ইউটিলিটি পরিষেবা স্থানান্তর ৩০০ কোটি, পরামর্শক ব্যয় ১ হাজার ৩৩৩ কোটি, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য প্রশাসনিক খরচ ৫০ কোটি টাকা।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, দেশে উন্নয়ন প্রকল্পে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। আগে মাঠে নামা হয়, হোঁচট খাওয়ার পর ভুল ধরা পড়ে। বাইরের লোক এনে কাজ করানো হয়। নিজেদের কোনো পরিকল্পনা নেই। এতে ভুলের পর ভুল হয়। বিদেশি দাতা সংস্থারাও সুযোগ নেয়। টেকসই উন্নয়ন করতে হলে নিজেদের দক্ষতা ও পরিকল্পনাশক্তি গড়ে তুলতে হবে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে ঋণচুক্তির সময় ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) উল্লেখ না থাকা কিছু কাজ পরে প্রয়োজনে যুক্ত হয়েছে। বাড়তি এসব কাজে খরচ হয়েছে ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ডলারের বর্তমান বিনিময়হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৪৭ কোটি টাকা)। এই টাকা ঋণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে প্রকল্পটিতে অর্থায়নকারী চীনের এক্সিম ব্যাংক। ফলে ঠিকাদারকে এই অর্থ পরিশোধের দায় চাপল বাংলাদেশ সরকারের ওপর।
চীনের এক্সিম ব্যাংক গত ২৪ জুলাই বাড়তি এই অর্থ ঋণ না দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগকে (ইআরডি) জানিয়ে দিয়েছে। প্রকল্পের চূড়ান্ত হিসাবের সময় মূল্য নির্ধারণের দিন ডলারের বিনিময়হার অনুযায়ী টাকার অঙ্ক কিছুটা কমবেশি হতে পারে।
ইআরডি এবং রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। অবশ্য ইআরডির এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, চীনের এক্সিম ব্যাংক এই টাকা ঋণ না দেওয়ায় বরং ভালোই হয়েছে। কারণ, ঋণ নিলে সুদসহ ফেরত দিতে হতো। এখন সরকার নিজেই অর্থায়ন করলে দর-কষাকষি করে কম টাকা পরিশোধের চেষ্টা করবে। তবে এটি সবার জন্যই একটি শিক্ষা। ভবিষ্যতে ঋণচুক্তি করার সময় এসব বিষয় আরও গুরুত্ব পাবে।
জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম গত বুধবার বলেন, ‘অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি আমরা পেয়েছি। তবে আপনি বিস্তারিত জানার জন্য প্রকল্প অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।’
তবে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের দপ্তরে জানতে চাইলে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলতে কর্মকর্তারা অপারগতা প্রকাশ করেন।
চীনের এক্সিম ব্যাংকের দাবি, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে যেসব খাতে অতিরিক্ত খরচ হয়েছে, সেগুলো ঋণচুক্তির আওতায় ছিল না। এ খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে ভাঙ্গায় ছোট স্টেশনের পরিবর্তে আইকনিক স্টেশন নির্মাণ, টিটিপাড়া আন্ডারপাস নির্মাণ, এসি কোচের সংখ্যা বৃদ্ধি, বায়ো টয়লেট সংযোজন, এসি কোচের খুচরা যন্ত্রাংশ কেনা, সিসি ক্যামেরা বসানো, বরিশাল রুটের জন্য ইয়ার্ড লাইন নির্মাণ, সেন্ট্রাল ট্রাফিক কন্ট্রোল ভবন তৃতীয় তলা থেকে উঁচু করা, প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বাড়ানো, ঢাকা (কমলাপুর) থেকে গেন্ডারিয়া পর্যন্ত দুই লাইনের পরিবর্তে রেলের তিনটি লাইন করা, তুলারামপুর রেলওয়ে সেতু নির্মাণ, ঢাকা-গেন্ডারিয়া রুটে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ এবং শিবচর স্টেশনে এক্সেস রোড নির্মাণ করা।
প্রকল্প সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে বাড়তি কাজের খরচের বিষয়টি ২০২৩ সালের অক্টোবরে প্রকল্প দপ্তর থেকে ইআরডিকে জানানো হয়। পরে ইআরডি ২০২৪ সালের ২৮ জানুয়ারি চীনের এক্সিম ব্যাংককে চিঠি দিয়ে ঋণচুক্তির বাইরে কাজের ৭৭ বিলিয়ন ডলার খরচ মঞ্জুর করার অনুরোধ করে। এ নিয়ে পরে একাধিক বৈঠক হয়। সর্বশেষ চলতি বছরের ২ জুলাই ঢাকায় চীনের এক্সিম ব্যাংকের প্রতিনিধি, ইআরডি এবং প্রকল্প দপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে ইআরডি ঋণের এই অর্থ দিতে ব্যাংকটিকে আবার অনুরোধ জানায়। বৈঠকে এক্সিম ব্যাংকের প্রতিনিধিরা কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি। তাঁরা বলেছিলেন, দেশে ফিরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবেন। এরপর ২৪ জুলাই এক্সিম ব্যাংক ই-মেইলের মাধ্যমে অতিরিক্ত কাজে খরচ হওয়া ৭৭ মিলিয়ন ডলার ঋণ না দেওয়ার কথা ইআরডিকে জানায়। ফলে এই অর্থ এখন বাংলাদেশ সরকারকেই ঠিকাদারকে পরিশোধ করতে হবে।
প্রকল্প সূত্র আরও জানায়, এক্সিম ব্যাংক থেকে অর্থ না পাওয়ায় বিষয়টি সমাধানে ২৪ জুলাই প্রকল্পের প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটির (পিএসসি) সভা হয়। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, যেহেতু চীনের এক্সিম ব্যাংক ওই অর্থ ঋণ দেবে না, তাই প্রকল্পের ডিপিপিতে অর্থায়নের ধরন (মুড অব ফাইন্যান্স) পরিবর্তন করতে হবে। এ জন্য ডিপিপির তৃতীয় সংশোধনী করা হবে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে মোট নির্মাণ চুক্তির পরিমাণ ছিল ২৪ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক দিয়েছে ২১ হাজার ৩৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে ৩ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা।
এদিকে প্রকল্পের ঋণচুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর। যদিও নির্মাণকাজ ও ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ডসহ প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত। ফলে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই প্রকল্পের ডিপিপির তৃতীয় সংশোধনী করতে হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
২০২৩ সালে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের একাংশ চালু করা হয়। ঢাকা থেকে সরাসরি যশোর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে। তবে এখনো কিছু নির্মাণকাজ বাকি রয়েছে। বিশেষ করে টিটিপাড়া আন্ডারপাসে কার্পেটিং এবং ভাঙ্গা জংশনে গ্লাস, এসি বসানোসহ ফিনিশিংয়ের কাজ শেষ হয়নি।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বাড়তি কাজের জন্য চীনের এক্সিম ব্যাংক ঋণ না দেওয়ায় ঠিকাদারেরা কাজের গতি কমিয়ে দিয়েছেন। প্রকল্পের জুলাই মাসের অগ্রগতি প্রতিবেদন বলছে, কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৯৭.৬০ শতাংশ এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে ৮৯ শতাংশ।
প্রকল্প সূত্র জানায়, চীনের এক্সিম ব্যাংক ঋণের অর্থছাড় না করায় ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত ঠিকাদারের ১০টি বিলের আরও প্রায় ১ হাজার ৬৭১ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এই অর্থছাড়ের জন্য এক্সিম ব্যাংককে বারবার তাগাদা দিয়েছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে তিন-চারবার ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে; কিন্তু অর্থছাড় হয়নি।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন যেহেতু ব্যাংক বাড়তি কাজের প্রায় ৯৪৫ কোটি টাকা ঋণ না দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্তভাবে জানিয়েছে, তাই বাকি অর্থছাড়ে আর বাধা থাকার কথা নয়। এক্সিম ব্যাংক শিগগিরই এ বিলগুলোর টাকা ঠিকাদারকে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত মোট ২৩৬ দশমিক ২৭ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে মেইন লাইন ছিল ১৭২ দশমিক ৯৭৫ কিলোমিটার, লুপ লাইন ৬২ দশমিক ৩০ কিলোমিটার। রেললাইন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে জি-টু-জি পদ্ধতিতে। এ প্রকল্পের ঠিকাদার চায়না রেলওয়ে গ্রুপ।
প্রকল্পের নথির তথ্য বলছে, ডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পের মোট ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছিল ৩৮ হাজার ৬২৮ দশমিক ৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে নির্মাণ চুক্তির আওতায় ছিল ২৪ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা। অবশিষ্ট খরচ হয়েছে ভ্যাট ও ট্যাক্স ৮ হাজার কোটি, ভূমি অধিগ্রহণ ৪ হাজার কোটি, পুনর্বাসনে ২০০ কোটি, ইউটিলিটি পরিষেবা স্থানান্তর ৩০০ কোটি, পরামর্শক ব্যয় ১ হাজার ৩৩৩ কোটি, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য প্রশাসনিক খরচ ৫০ কোটি টাকা।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, দেশে উন্নয়ন প্রকল্পে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। আগে মাঠে নামা হয়, হোঁচট খাওয়ার পর ভুল ধরা পড়ে। বাইরের লোক এনে কাজ করানো হয়। নিজেদের কোনো পরিকল্পনা নেই। এতে ভুলের পর ভুল হয়। বিদেশি দাতা সংস্থারাও সুযোগ নেয়। টেকসই উন্নয়ন করতে হলে নিজেদের দক্ষতা ও পরিকল্পনাশক্তি গড়ে তুলতে হবে।

প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানট ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিসংযোগ; ময়মনসিংহে দীপু হত্যাসহ সম্প্রতি কিছু ঘটনা ঠেকাতে ব্যর্থতায় পুলিশের সমালোচনা চলছে। কোনো কোনো ঘটনায় পুলিশের নির্লিপ্ততার অভিযোগও উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের...
২ ঘণ্টা আগে
প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী এই আলাপে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও শুল্ক সংক্রান্ত আলোচনা, আসন্ন সাধারণ নির্বাচন, দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং তরুণ রাজনৈতিক কর্মী শহীদ শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্র ভাঙচুর করেছেন হিন্দুত্ববাদী কয়েকটি সংগঠনের সদস্যরা। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি), হিন্দু জাগরণ মঞ্চ ও শিলিগুড়ি মহানগর সংগঠনের সদস্যরা আজ সোমবার শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসা
৪ ঘণ্টা আগে
পুলিশ সদর দপ্তরের অ্যাডমিনিস্ট্রেশনসহ ছয়টি ডিআইজি পদে রদবদল করা হয়েছে। বর্তমানে কর্মরত ও সদ্য যোগদান করা ছয়জন ডিআইজিকে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আজ সোমবার পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সই করা এক অফিস আদেশে এ রদবদল করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআমানুর রহমান রনি, ঢাকা

প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানট ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিসংযোগ; ময়মনসিংহে দীপু হত্যাসহ সম্প্রতি কিছু ঘটনা ঠেকাতে ব্যর্থতায় পুলিশের সমালোচনা চলছে। কোনো কোনো ঘটনায় পুলিশের নির্লিপ্ততার অভিযোগও উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনারদের পরিবর্তনসহ পুলিশের শীর্ষস্থানীয় কিছু পদে রদবদল হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। নির্বাচনের আগেই শিগগির এই রদবদল হতে পারে বলে সরকারের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
অবশ্য পুলিশ বলছে, দেশের বেশির ভাগ মানুষ আইন মানছে না। দেশের সংকটকালে মানুষ সহযোগিতা না করায় পুলিশ কাজ করতে পারছে না। আইন না মানা মানুষের সংখ্যা বেশি, পুলিশ সেখানে আইন প্রয়োগ করতে গেলে আরও সহিংসতার সৃষ্টি হয়।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে গতকাল সোমবার পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আইন মানার সংস্কৃতি তৈরি না হলে শুধু বলপ্রয়োগ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যাবে না। পুলিশের দিকে যারা তেড়ে আসছে, তারা কাদের প্রটেকশন পায়, সেটাও দেখতে হবে।
সূত্র জানায়, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১০টার দিকে মারা যাওয়ার পর ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুরু হয়। এর মধ্যে রাত ১২টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো এবং কিছু দূরে কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে হামলাকারীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে এবং কারওয়ান বাজারে বিক্ষোভের পর এই হামলা করা হলেও পুলিশ তা ঠেকাতে পারেনি। এ দুটি কার্যালয়ে দীর্ঘক্ষণ হামলা, লুট, অগ্নিসংযোগ চললেও এসব ঠেকাতে পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে। পুলিশ মব বা দাঙ্গা প্রতিরোধে যে ধরনের ব্যবস্থা নেয়, সেদিন তেমন কিছু অনুসরণ করেনি। কারওয়ান বাজারে মিছিল নিয়ে দুটি ভবনে হামলা চালালেও পুলিশ মিছিল ঠেকাতে কোনো ব্যারিকেড দেয়নি, লাঠিপেটা করেনি, কোনো কাঁদানে গ্যাসের শেল বা সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়েনি।
একই অবস্থা দেখা গেছে ধানমন্ডিতে ছায়ানট ভবন ও তোপখানা রোডে উদীচীর কার্যালয়ে হামলার সময়েও।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ অ্যাকশনে গেলে গুলি হতো, দুই-চারজন মারা যেত। এরপর পুলিশের ওপর পাল্টা আক্রমণ হতো। এ কারণে সেদিন পুলিশ অ্যাকশনে যায়নি।
সরকারের একটি সূত্র জানায়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলার আগে কারওয়ান বাজারে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়। ওই বিক্ষোভের সময় সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে সব ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তবে ওই নির্দেশনা মাঠের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাছে পৌঁছায়নি।
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৮ ডিসেম্বর রাতেই ময়মনসিংহের ভালুকার জামিরদিয়ায় পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড নামের কারখানায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে (২৮) পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ গাছে বেঁধে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। হত্যার কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে উত্তেজনা শুরু হলেও পুলিশ তা ঠেকাতে পারেনি। র্যাব বলেছে, দীপুকে তাঁর কর্মস্থলের কর্মকর্তাই উত্তেজিত জনতার হাতে তুলে দেন।
এসব ঘটনায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনা শুরু হয়। সূত্র জানায়, এসব ঘটনার পর ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সরকারের উচ্চপর্যায়ের একাধিক বৈঠক হয়। এসব বৈঠকে পুলিশের কার্যক্রম ও ব্যর্থতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়। বৈঠকে ডিএমপি ও সিএমপির কমিশনারকে নির্বাচনের আগেই পরিবর্তনের প্রস্তাব ওঠে। পুলিশের শীর্ষ কমান্ডিং পদে আরও অভিজ্ঞ ও বাহিনীর কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের পদায়ন নিয়েও আলোচনা হয়।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ ও পুলিশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, এসব সহিংসতা সংঘবদ্ধভাবে ঘটানো হয়েছে। এগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব ছিল। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টুলসগুলো কাজ করেনি। যা হয়েছে, সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে যাতে আর না ঘটে, এমন কৌশল অবলম্বন করতে হবে। পুলিশকে সক্রিয় করতে হবে। তারাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মূল বাহিনী। যদি এ রকম পরিস্থিতি থাকে, তাহলে নির্বাচন শঙ্কায় পড়বে।
অবশ্য নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি গতকাল বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে ইসি, রাজনৈতিক দল ও ভোটাররা এক কেন্দ্রবিন্দুতে।
পুলিশ সদর দপ্তরে নতুন দায়িত্বে ৬ ডিআইজি
পুলিশ সদর দপ্তরের অ্যাডমিনিস্ট্রেশনসহ ডিআইজির ছয়টি পদে রদবদল হয়েছে। বর্তমানে কর্মরত এবং সদ্য যোগদান করা ছয়জন ডিআইজিকে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
গতকাল সোমবার পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সই করা এক অফিস আদেশে এই রদবদল করা হয়। তাঁদের মধ্যে পুলিশ সদর দপ্তরের লজিস্টিকস বিভাগের ডিআইজি খোন্দকার নজমুল হাসানকে অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে, তাপতুন নাসরীনকে ডিআইজি হেডকোয়ার্টার্সে, আশিক সাঈদকে ডিআইজি ইকুইপমেন্ট অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টে, সারোয়ার মুর্শেদ শামীমকে লজিস্টিকসে, আতিকুর রহমানকে ফিন্যান্সে এবং মোস্তাফিজুর রহমানকে ডেভেলপমেন্টের ডিআইজি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানট ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিসংযোগ; ময়মনসিংহে দীপু হত্যাসহ সম্প্রতি কিছু ঘটনা ঠেকাতে ব্যর্থতায় পুলিশের সমালোচনা চলছে। কোনো কোনো ঘটনায় পুলিশের নির্লিপ্ততার অভিযোগও উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনারদের পরিবর্তনসহ পুলিশের শীর্ষস্থানীয় কিছু পদে রদবদল হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। নির্বাচনের আগেই শিগগির এই রদবদল হতে পারে বলে সরকারের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
অবশ্য পুলিশ বলছে, দেশের বেশির ভাগ মানুষ আইন মানছে না। দেশের সংকটকালে মানুষ সহযোগিতা না করায় পুলিশ কাজ করতে পারছে না। আইন না মানা মানুষের সংখ্যা বেশি, পুলিশ সেখানে আইন প্রয়োগ করতে গেলে আরও সহিংসতার সৃষ্টি হয়।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে গতকাল সোমবার পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আইন মানার সংস্কৃতি তৈরি না হলে শুধু বলপ্রয়োগ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যাবে না। পুলিশের দিকে যারা তেড়ে আসছে, তারা কাদের প্রটেকশন পায়, সেটাও দেখতে হবে।
সূত্র জানায়, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১০টার দিকে মারা যাওয়ার পর ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুরু হয়। এর মধ্যে রাত ১২টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো এবং কিছু দূরে কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে হামলাকারীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে এবং কারওয়ান বাজারে বিক্ষোভের পর এই হামলা করা হলেও পুলিশ তা ঠেকাতে পারেনি। এ দুটি কার্যালয়ে দীর্ঘক্ষণ হামলা, লুট, অগ্নিসংযোগ চললেও এসব ঠেকাতে পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে। পুলিশ মব বা দাঙ্গা প্রতিরোধে যে ধরনের ব্যবস্থা নেয়, সেদিন তেমন কিছু অনুসরণ করেনি। কারওয়ান বাজারে মিছিল নিয়ে দুটি ভবনে হামলা চালালেও পুলিশ মিছিল ঠেকাতে কোনো ব্যারিকেড দেয়নি, লাঠিপেটা করেনি, কোনো কাঁদানে গ্যাসের শেল বা সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়েনি।
একই অবস্থা দেখা গেছে ধানমন্ডিতে ছায়ানট ভবন ও তোপখানা রোডে উদীচীর কার্যালয়ে হামলার সময়েও।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ অ্যাকশনে গেলে গুলি হতো, দুই-চারজন মারা যেত। এরপর পুলিশের ওপর পাল্টা আক্রমণ হতো। এ কারণে সেদিন পুলিশ অ্যাকশনে যায়নি।
সরকারের একটি সূত্র জানায়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলার আগে কারওয়ান বাজারে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়। ওই বিক্ষোভের সময় সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে সব ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তবে ওই নির্দেশনা মাঠের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাছে পৌঁছায়নি।
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৮ ডিসেম্বর রাতেই ময়মনসিংহের ভালুকার জামিরদিয়ায় পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড নামের কারখানায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে (২৮) পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ গাছে বেঁধে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। হত্যার কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে উত্তেজনা শুরু হলেও পুলিশ তা ঠেকাতে পারেনি। র্যাব বলেছে, দীপুকে তাঁর কর্মস্থলের কর্মকর্তাই উত্তেজিত জনতার হাতে তুলে দেন।
এসব ঘটনায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনা শুরু হয়। সূত্র জানায়, এসব ঘটনার পর ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সরকারের উচ্চপর্যায়ের একাধিক বৈঠক হয়। এসব বৈঠকে পুলিশের কার্যক্রম ও ব্যর্থতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়। বৈঠকে ডিএমপি ও সিএমপির কমিশনারকে নির্বাচনের আগেই পরিবর্তনের প্রস্তাব ওঠে। পুলিশের শীর্ষ কমান্ডিং পদে আরও অভিজ্ঞ ও বাহিনীর কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের পদায়ন নিয়েও আলোচনা হয়।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ ও পুলিশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, এসব সহিংসতা সংঘবদ্ধভাবে ঘটানো হয়েছে। এগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব ছিল। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টুলসগুলো কাজ করেনি। যা হয়েছে, সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে যাতে আর না ঘটে, এমন কৌশল অবলম্বন করতে হবে। পুলিশকে সক্রিয় করতে হবে। তারাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মূল বাহিনী। যদি এ রকম পরিস্থিতি থাকে, তাহলে নির্বাচন শঙ্কায় পড়বে।
অবশ্য নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি গতকাল বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে ইসি, রাজনৈতিক দল ও ভোটাররা এক কেন্দ্রবিন্দুতে।
পুলিশ সদর দপ্তরে নতুন দায়িত্বে ৬ ডিআইজি
পুলিশ সদর দপ্তরের অ্যাডমিনিস্ট্রেশনসহ ডিআইজির ছয়টি পদে রদবদল হয়েছে। বর্তমানে কর্মরত এবং সদ্য যোগদান করা ছয়জন ডিআইজিকে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
গতকাল সোমবার পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সই করা এক অফিস আদেশে এই রদবদল করা হয়। তাঁদের মধ্যে পুলিশ সদর দপ্তরের লজিস্টিকস বিভাগের ডিআইজি খোন্দকার নজমুল হাসানকে অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে, তাপতুন নাসরীনকে ডিআইজি হেডকোয়ার্টার্সে, আশিক সাঈদকে ডিআইজি ইকুইপমেন্ট অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টে, সারোয়ার মুর্শেদ শামীমকে লজিস্টিকসে, আতিকুর রহমানকে ফিন্যান্সে এবং মোস্তাফিজুর রহমানকে ডেভেলপমেন্টের ডিআইজি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে ঋণচুক্তির সময় ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) উল্লেখ না থাকা কিছু কাজ পরে প্রয়োজনে যুক্ত হয়েছে। বাড়তি এসব কাজে খরচ হয়েছে ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ডলারের বর্তমান বিনিময়হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৪৭ কোটি টাকা)। এই টাকা ঋণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে প্রকল্পটিতে
১১ আগস্ট ২০২৫
প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী এই আলাপে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও শুল্ক সংক্রান্ত আলোচনা, আসন্ন সাধারণ নির্বাচন, দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং তরুণ রাজনৈতিক কর্মী শহীদ শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্র ভাঙচুর করেছেন হিন্দুত্ববাদী কয়েকটি সংগঠনের সদস্যরা। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি), হিন্দু জাগরণ মঞ্চ ও শিলিগুড়ি মহানগর সংগঠনের সদস্যরা আজ সোমবার শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসা
৪ ঘণ্টা আগে
পুলিশ সদর দপ্তরের অ্যাডমিনিস্ট্রেশনসহ ছয়টি ডিআইজি পদে রদবদল করা হয়েছে। বর্তমানে কর্মরত ও সদ্য যোগদান করা ছয়জন ডিআইজিকে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আজ সোমবার পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সই করা এক অফিস আদেশে এ রদবদল করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত সময়েই দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, যা স্বৈরাচারী শাসনামলে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।’
আজ সোমবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত সার্জিও গোরের সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী এই আলাপে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও শুল্ক সংক্রান্ত আলোচনা, আসন্ন সাধারণ নির্বাচন, দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং তরুণ রাজনৈতিক কর্মী শহীদ শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হয়।
ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনকারী সার্জিও গোর সাম্প্রতিক শুল্ক আলোচনায় নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রফেসর ইউনূসকে অভিনন্দন জানান। আলোচনার ফলে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক শুল্ক ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
আলাপকালে মার্কিন বিশেষ দূত শহীদ ওসমান হাদির বৃহৎ জানাজার বিষয়টিও উল্লেখ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী শাসনের সমর্থকেরা নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে বিপুল অর্থ ব্যয় করছে এবং তাদের পলাতক নেতা সহিংসতা উসকে দিচ্ছেন। তবে তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আর প্রায় ৫০ দিন বাকি। আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করতে চাই। এটি যেন স্মরণীয় হয়, সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।’
ফোনালাপের সময় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত সময়েই দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, যা স্বৈরাচারী শাসনামলে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।’
আজ সোমবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত সার্জিও গোরের সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী এই আলাপে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও শুল্ক সংক্রান্ত আলোচনা, আসন্ন সাধারণ নির্বাচন, দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং তরুণ রাজনৈতিক কর্মী শহীদ শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হয়।
ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনকারী সার্জিও গোর সাম্প্রতিক শুল্ক আলোচনায় নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রফেসর ইউনূসকে অভিনন্দন জানান। আলোচনার ফলে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক শুল্ক ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
আলাপকালে মার্কিন বিশেষ দূত শহীদ ওসমান হাদির বৃহৎ জানাজার বিষয়টিও উল্লেখ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী শাসনের সমর্থকেরা নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে বিপুল অর্থ ব্যয় করছে এবং তাদের পলাতক নেতা সহিংসতা উসকে দিচ্ছেন। তবে তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আর প্রায় ৫০ দিন বাকি। আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করতে চাই। এটি যেন স্মরণীয় হয়, সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।’
ফোনালাপের সময় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে ঋণচুক্তির সময় ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) উল্লেখ না থাকা কিছু কাজ পরে প্রয়োজনে যুক্ত হয়েছে। বাড়তি এসব কাজে খরচ হয়েছে ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ডলারের বর্তমান বিনিময়হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৪৭ কোটি টাকা)। এই টাকা ঋণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে প্রকল্পটিতে
১১ আগস্ট ২০২৫
প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানট ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিসংযোগ; ময়মনসিংহে দীপু হত্যাসহ সম্প্রতি কিছু ঘটনা ঠেকাতে ব্যর্থতায় পুলিশের সমালোচনা চলছে। কোনো কোনো ঘটনায় পুলিশের নির্লিপ্ততার অভিযোগও উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের...
২ ঘণ্টা আগে
পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্র ভাঙচুর করেছেন হিন্দুত্ববাদী কয়েকটি সংগঠনের সদস্যরা। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি), হিন্দু জাগরণ মঞ্চ ও শিলিগুড়ি মহানগর সংগঠনের সদস্যরা আজ সোমবার শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসা
৪ ঘণ্টা আগে
পুলিশ সদর দপ্তরের অ্যাডমিনিস্ট্রেশনসহ ছয়টি ডিআইজি পদে রদবদল করা হয়েছে। বর্তমানে কর্মরত ও সদ্য যোগদান করা ছয়জন ডিআইজিকে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আজ সোমবার পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সই করা এক অফিস আদেশে এ রদবদল করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্র ভাঙচুর করেছেন হিন্দুত্ববাদী কয়েকটি সংগঠনের সদস্যরা। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি), হিন্দু জাগরণ মঞ্চ ও শিলিগুড়ি মহানগর সংগঠনের সদস্যরা আজ সোমবার শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্রে ভাঙচুরের পর সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
দিল্লি ও কলকাতার কয়েকটি কূটনৈতিক সূত্র বাংলাদেশি গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ‘ডিইউডিজিটাল’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে কয়েক বছর ধরে শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচারের ঘটনার প্রতিবাদে শিলিগুড়ির বাঘা যতীন পার্কে জমায়েত হন ভিএইচপি, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, শিলিগুড়ি মহানগর সংগঠনের শ তিনেক সদস্য। এরপর তাঁরা বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে বাংলাদেশের ভিসা অফিস ঘেরাও করেন। বিক্ষোভের সময় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতন বন্ধ, দীপু দাসের হত্যার বিচার ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানান।
পরে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে পাঁচজনের একটি প্রতিনিধিদল ভিসা অফিসে গিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এবং প্রতিবাদস্বরূপ ভিসা অফিস বন্ধ রাখতে বলে।
এ সময় প্রতিনিধিদলের এক সদস্য ডিইউডিজিটালের কর্মকর্তাকে ফোন করে বলেন, ‘আপনাকে একটাই অনুরোধ, এই অফিসের তালা খুলবেন না। আপনার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানিয়ে দিন, এই অফিসের তালা খুলবে না। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হবে, আপনি এখানে ব্যবসা করবেন, সেটা হবে না। বাংলাদেশের ভিসাসংক্রান্ত ব্যানার অথবা বোর্ড আজকের মধ্যে সরিয়ে নিন।’
প্রতিনিধিদলের ওই সদস্য পরে স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, তাঁরা সংগঠনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে জানাবেন। বাংলাদেশে তাঁদের হিন্দু ভাইদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। এখান থেকে যেন কোনো ভারতীয়, কোনো হিন্দু বাংলাদেশে না যায়, ব্যবসা না করে, সেটা তাঁরা চান।
কলকাতা থেকে একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার কথা ভেবে ডিইউডিজিটাল আজ বেলা ৩টার আগেই ভিসা কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেয়। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর পুনরায় ভিসা কেন্দ্র চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ ঘটনার প্রেক্ষাপটে শিলিগুড়িতে ওই ভিসা কেন্দ্রের নিরাপত্তা জোরদারের অনুরোধ জানিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কলকাতা দপ্তরে কূটনৈতিকপত্র পাঠিয়েছে কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশন।
এদিকে আজ ভারতের দিল্লি ও আগরতলা মিশন থেকেও ভিসা ও কনস্যুলার সেবা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেছেন, দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও ত্রিপুরার আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের সামনে এ-সংক্রান্ত নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্র ভাঙচুর করেছেন হিন্দুত্ববাদী কয়েকটি সংগঠনের সদস্যরা। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি), হিন্দু জাগরণ মঞ্চ ও শিলিগুড়ি মহানগর সংগঠনের সদস্যরা আজ সোমবার শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্রে ভাঙচুরের পর সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
দিল্লি ও কলকাতার কয়েকটি কূটনৈতিক সূত্র বাংলাদেশি গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ‘ডিইউডিজিটাল’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে কয়েক বছর ধরে শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচারের ঘটনার প্রতিবাদে শিলিগুড়ির বাঘা যতীন পার্কে জমায়েত হন ভিএইচপি, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, শিলিগুড়ি মহানগর সংগঠনের শ তিনেক সদস্য। এরপর তাঁরা বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে বাংলাদেশের ভিসা অফিস ঘেরাও করেন। বিক্ষোভের সময় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতন বন্ধ, দীপু দাসের হত্যার বিচার ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানান।
পরে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে পাঁচজনের একটি প্রতিনিধিদল ভিসা অফিসে গিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এবং প্রতিবাদস্বরূপ ভিসা অফিস বন্ধ রাখতে বলে।
এ সময় প্রতিনিধিদলের এক সদস্য ডিইউডিজিটালের কর্মকর্তাকে ফোন করে বলেন, ‘আপনাকে একটাই অনুরোধ, এই অফিসের তালা খুলবেন না। আপনার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানিয়ে দিন, এই অফিসের তালা খুলবে না। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হবে, আপনি এখানে ব্যবসা করবেন, সেটা হবে না। বাংলাদেশের ভিসাসংক্রান্ত ব্যানার অথবা বোর্ড আজকের মধ্যে সরিয়ে নিন।’
প্রতিনিধিদলের ওই সদস্য পরে স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, তাঁরা সংগঠনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে জানাবেন। বাংলাদেশে তাঁদের হিন্দু ভাইদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। এখান থেকে যেন কোনো ভারতীয়, কোনো হিন্দু বাংলাদেশে না যায়, ব্যবসা না করে, সেটা তাঁরা চান।
কলকাতা থেকে একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার কথা ভেবে ডিইউডিজিটাল আজ বেলা ৩টার আগেই ভিসা কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেয়। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর পুনরায় ভিসা কেন্দ্র চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ ঘটনার প্রেক্ষাপটে শিলিগুড়িতে ওই ভিসা কেন্দ্রের নিরাপত্তা জোরদারের অনুরোধ জানিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কলকাতা দপ্তরে কূটনৈতিকপত্র পাঠিয়েছে কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশন।
এদিকে আজ ভারতের দিল্লি ও আগরতলা মিশন থেকেও ভিসা ও কনস্যুলার সেবা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেছেন, দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও ত্রিপুরার আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের সামনে এ-সংক্রান্ত নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে ঋণচুক্তির সময় ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) উল্লেখ না থাকা কিছু কাজ পরে প্রয়োজনে যুক্ত হয়েছে। বাড়তি এসব কাজে খরচ হয়েছে ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ডলারের বর্তমান বিনিময়হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৪৭ কোটি টাকা)। এই টাকা ঋণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে প্রকল্পটিতে
১১ আগস্ট ২০২৫
প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানট ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিসংযোগ; ময়মনসিংহে দীপু হত্যাসহ সম্প্রতি কিছু ঘটনা ঠেকাতে ব্যর্থতায় পুলিশের সমালোচনা চলছে। কোনো কোনো ঘটনায় পুলিশের নির্লিপ্ততার অভিযোগও উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের...
২ ঘণ্টা আগে
প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী এই আলাপে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও শুল্ক সংক্রান্ত আলোচনা, আসন্ন সাধারণ নির্বাচন, দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং তরুণ রাজনৈতিক কর্মী শহীদ শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
পুলিশ সদর দপ্তরের অ্যাডমিনিস্ট্রেশনসহ ছয়টি ডিআইজি পদে রদবদল করা হয়েছে। বর্তমানে কর্মরত ও সদ্য যোগদান করা ছয়জন ডিআইজিকে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আজ সোমবার পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সই করা এক অফিস আদেশে এ রদবদল করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পুলিশ সদর দপ্তরের অ্যাডমিনিস্ট্রেশনসহ ছয়টি ডিআইজি পদে রদবদল করা হয়েছে। বর্তমানে কর্মরত ও সদ্য যোগদান করা ছয়জন ডিআইজিকে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আজ সোমবার পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সই করা এক অফিস আদেশে এ রদবদল করা হয়েছে।
ছয়জনের মধ্যে— পুলিশ সদরদপ্তরের লজিস্টিকস বিভাগের ডিআইজি খোন্দকার নজমুল হাসানকে অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে, তাপতুন নাসরীনকে ডিআইজি হেডকোয়ার্টার্সে, আশিক সাঈদকে ডিআইজি ইকুইপমেন্ট অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টে, সারোয়ার মুর্শেদ শামীমকে লজিস্টিকসে, আতিকুর রহমানকে ফিন্যান্সে এবং মোস্তাফিজুর রহমানকে ডেভেলপমেন্টের ডিআইজি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের অ্যাডমিনিস্ট্রেশনসহ ছয়টি ডিআইজি পদে রদবদল করা হয়েছে। বর্তমানে কর্মরত ও সদ্য যোগদান করা ছয়জন ডিআইজিকে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আজ সোমবার পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সই করা এক অফিস আদেশে এ রদবদল করা হয়েছে।
ছয়জনের মধ্যে— পুলিশ সদরদপ্তরের লজিস্টিকস বিভাগের ডিআইজি খোন্দকার নজমুল হাসানকে অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে, তাপতুন নাসরীনকে ডিআইজি হেডকোয়ার্টার্সে, আশিক সাঈদকে ডিআইজি ইকুইপমেন্ট অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টে, সারোয়ার মুর্শেদ শামীমকে লজিস্টিকসে, আতিকুর রহমানকে ফিন্যান্সে এবং মোস্তাফিজুর রহমানকে ডেভেলপমেন্টের ডিআইজি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে ঋণচুক্তির সময় ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) উল্লেখ না থাকা কিছু কাজ পরে প্রয়োজনে যুক্ত হয়েছে। বাড়তি এসব কাজে খরচ হয়েছে ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ডলারের বর্তমান বিনিময়হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৪৭ কোটি টাকা)। এই টাকা ঋণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে প্রকল্পটিতে
১১ আগস্ট ২০২৫
প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানট ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিসংযোগ; ময়মনসিংহে দীপু হত্যাসহ সম্প্রতি কিছু ঘটনা ঠেকাতে ব্যর্থতায় পুলিশের সমালোচনা চলছে। কোনো কোনো ঘটনায় পুলিশের নির্লিপ্ততার অভিযোগও উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের...
২ ঘণ্টা আগে
প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী এই আলাপে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও শুল্ক সংক্রান্ত আলোচনা, আসন্ন সাধারণ নির্বাচন, দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং তরুণ রাজনৈতিক কর্মী শহীদ শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্র ভাঙচুর করেছেন হিন্দুত্ববাদী কয়েকটি সংগঠনের সদস্যরা। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি), হিন্দু জাগরণ মঞ্চ ও শিলিগুড়ি মহানগর সংগঠনের সদস্যরা আজ সোমবার শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসা
৪ ঘণ্টা আগে