Ajker Patrika

জাতীয় নির্বাচন

ভোটের হাওয়া, তবু অস্বস্তি

  • ঘোষণার পরদিনই ভোট প্রস্তুতি নিতে ইসিকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের চিঠি।
  • বিএনপি স্বাগত জানালেও অস্বস্তি আছে জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপিতে।
  • জুলাই সনদ, সংস্কার, বিচার ও সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশের কথা বলছে দলগুলো।
সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা 
আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২৫, ০৯: ৩৬
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ভোটের মৃদু হাওয়া বইতে শুরু করেছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রমজান শুরুর আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস। জাতির উদ্দেশে ভাষণে গত মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেওয়ার পরদিন গতকাল বুধবারই তাঁর কার্যালয় থেকে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে ভোটের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এবং গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান উপদেষ্টার ভোটের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। তবে অন্য দুই গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মনে করছে, জুলাই সনদ না দিয়ে, সংস্কার না করে ও সুষ্ঠু ভোটের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত না করেই সরকার নির্বাচনের সময়সীমা দিয়ে দিয়েছে। কাজেই দল দুটির নেতাদের বক্তব্যে ভোট নিয়ে অস্বস্তি আছে।

আবার সরকার পতন আন্দোলনে সামনের সারিতে থাকা এবং বর্তমানে এনসিপি নেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সক্রিয় সরকারের দুজন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে নিয়ে অস্বস্তি আছে বিএনপিতেও। এ বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে বিএনপির মহাসচিব গতকাল আশাবাদ ব্যক্ত করেন, নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে এমন কিছু ইউনূস সরকার করবে না।

তবে রাজনীতিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশ ও অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য দেশের ভেতর থেকে ও সীমান্তের ওপার থেকেও নানা রকম অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চলছে। এই অবস্থায় নির্বাচন ছাড়া এ সংকট থেকে বেরোনো প্রায় অসম্ভব।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন লাগবে। সংস্কার ও বিচারপ্রক্রিয়া দৃশ্যমান করে নির্বাচন হলে ভালো হতো। কিন্তু এর মধ্যে অনেক সময়ক্ষেপণ হয়ে গেছে।’

যদিও সরকারের ভেতরকার তথ্য অনুযায়ী, জুলাই সনদ তৈরির প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থায়, বহুল আলোচিত রাষ্ট্রীয় সংস্কার ন্যূনতম একটি পর্যায় পর্যন্ত এগিয়ে না নিয়ে এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার একটি গ্রহণযোগ্য পর্যায় পর্যন্ত সম্পন্ন না করে এখনই নির্বাচনের সময়সীমা বেঁধে না দেওয়ার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর একাংশ, সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা ও এই সরকারের আমলে বিভিন্ন বড় ও গুরুত্বপূর্ণ পদ ও দায়িত্বে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের অনেকের আপত্তি আছে।

অন্যদিকে, উপদেষ্টাদের কয়েকজন ও প্রভাবশালী কয়েকটি কর্তৃপক্ষ মনে করছে, সরকার ও দেশের ভেতরে–বাইরে নানামুখী অস্থিরতা বিরাজ করছে। নির্বাচিত সরকার দায়িত্বে এলে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা তুলনামূলকভাবে সহজ হতে পারে। মূলত এই মহলটির পরামর্শ আমলে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়সীমা নির্ধারণ ও নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রসঙ্গটি সামনে এনেছেন।

ভোটের প্রসঙ্গ টেনে মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ‘এবার একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রক্রিয়া’ শুরু করবে।

মুহাম্মদ ইউনূসের ঘনিষ্ঠ ও তাঁর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে গতকাল বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিল মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এমন প্রতিশ্রুতি প্রধান উপদেষ্টার দিক থেকে ছিল। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তিনি (ইউনূস) এর মধ্যে প্রথমটি বেছে নিয়েছেন।

এই কর্মকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী, নির্বাচনের সুস্পষ্ট ঘোষণা দেওয়ার মাধ্যমে মাঠে ভোটের হাওয়া এনে দেওয়া গেলে রাজনৈতিক মহলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চলমান অস্থিরতা অনেকটা কমে আসতে পারে, এমন ধারণা সরকারপ্রধানের আস্থাভাজন ব্যক্তিরা তাঁকে দিয়েছেন।

ড. ইউনূস তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বহু বছর ভোট দিতে পারিনি। এবার আমরা সবাই ভোট দেব। কেউ বাদ যাবে না।’

বিএনপি মনে করছে, ভোটের ঘোষণা আসায় রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটতে শুরু করবে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল সংবাদ সম্মেলনে আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশন সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

শেখ হাসিনার গত প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে ও তাঁর পতনের পর সৃষ্ট রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী, নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংগঠনের মতভেদ থাকার বিষয়টিও স্পষ্ট। এই তিন সংগঠন মনে করে, ভবিষ্যতের আইনসভার গঠন ও নির্বাচনপ্রক্রিয়া কেমন হবে, সরকারপ্রধান তথা নির্বাহী বিভাগের সঙ্গে রাষ্ট্রের অন্যান্য বিভাগের ক্ষমতার ভারসাম্য কতটা থাকবে, এ প্রশ্নগুলোর মীমাংসা না করে শুধু নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে না। জুলাই সনদ চূড়ান্ত করে তা আইনি প্রক্রিয়াভুক্ত করার জন্যও দলগুলো চাপ দিয়ে চলেছে।

জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের গতকাল বলেন, ‘নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ সরকার এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি।’ তাঁর দাবি, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্যই জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে জুলাই সনদ প্রণয়ন করছে, সরকারকে তার আইনে ভিত্তি দিতে হবে। এই সনদের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।

এমন অবস্থায় জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি আগামী নির্বাচনে যাবে কি না, এ বিষয়েও নানামুখী জল্পনাকল্পনা আছে। তবে জামায়াত নেতারা বলছেন, দলটি এরই মধ্যে আসনভিত্তিক প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণা করেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা জনসংযোগ করছেন। এনসিপি নেতৃত্ব দল হিসেবে সারা দেশে ও নেতাদের অনেকে নিজেরাও এরই মধ্যে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় জনসংযোগ করছেন।

এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তাঁর দল নির্বাচনের মাধ্যমে গণপরিষদ গঠন ও এ পরিষদের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান তৈরির দাবি করে আসছে। তাঁর দাবি, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কাল থেকেই কার্যকর করতে হবে এবং এর ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৮
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে ফুল কোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় তাঁদের পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদোন্নতির জন্য প্যানেলে ছিলেন– অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদের জন্য ৩৪৫ জন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে ২০৭ এবং সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫৫১ জন। সব মিলিয়ে পদোন্নতির প্যানেলে ১ হাজার ১০৩ জন বিচারিক কর্মকর্তার নাম থাকলেও নানা কারণে বেশ কয়েকজনের নাম অনুমোদন হয়নি।

এদিকে পদোন্নতির প্যানেল ছাড়াও ২০২৬ সালের সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডার অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল ফুল কোর্ট সভায়। তবে সরকারি ক্যালেন্ডার এখনো প্রকাশিত না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডার অনুমোদন হয়নি বলে জানা গেছে।

বিস্তারিত আসছে...

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৪৫ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ: নিজাম হাজারীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ০২
ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারী এবং তাঁর স্ত্রী নুরজাহান বেগম। ছবি: সংগৃহীত
ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারী এবং তাঁর স্ত্রী নুরজাহান বেগম। ছবি: সংগৃহীত

ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর স্ত্রী নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে ৪৫ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও ৪৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ মঙ্গলবার দুদকের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

দুদক মহাপরিচালক বলেন, অভিযুক্ত নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে।

দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।

এ ছাড়া ২০১৯ সালের মে থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত নুরজাহান বেগমের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের একটি হিসাবে ৪৩ কোটি ৩১ লাখ ৪৭ হাজার ৮০৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করেছে দুদক।

এ তথ্য আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যাচাই করা হয়েছে।

দুদকের অনুসন্ধানসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এর আগেও অবৈধ সম্পদ অর্জন, ফেনী ও ঢাকায় নামে-বেনামে জমি ও ভবন ক্রয় এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে একাধিক তদন্ত চলছে।

সূত্রটি আরও জানায়, দুদকে পাঠানো সম্পদ বিবরণীতে ঘোষিত তথ্য ও বাস্তব সম্পদের মধ্যে বিশাল অমিল পাওয়া যায়। এর ধারাবাহিকতায় নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ফেনী-২ আসন থেকে টানা তিনবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নিজাম উদ্দিন হাজারী। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দখলদারত্বের অভিযোগ রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১০১ জন। সব মিলিয়ে এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজার ৯২৩ জনে। তাদের মধ্যে ২৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে মশাবাহিত এ রোগে।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।

এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় একজন মারা গেছে। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে সর্বোচ্চ ২৪১ জন ভর্তি হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৭৫ জন, রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে ২০৮, বরিশালে ১৫১, খুলনায় ৫৯, চট্টগ্রামে ১২৫, রাজশাহীতে ৪৫, ময়মনসিংহে ৭৫, রংপুরে ১৯ ও সিলেটে তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

গত অক্টোবর মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২২ হাজার ৫২০ জন, যা এই বছরের এক মাসে সর্বোচ্চ। একই সময়ে ৮০ জন মারা গেছে, যা এ বছরে একক মাসের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন ভর্তি হয়েছিল এবং ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে সাত, মে মাসে তিন, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১ ও আগস্টে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মার্চ মাসে কোনো মৃত্যু হয়নি।

চলতি মাসের চার দিনে ৪ হাজার ৬১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে আর মারা গেছে ১৪ জন চিকিৎসাধীন রোগী।

দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। আর মারা গেছে ১ হাজার ৭০৫ জন।

২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১ জন, ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২, ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯, ২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেতে চাচা-চাচিকে বানান বাবা-মা, ডিএনএ টেস্ট হচ্ছে নাচোলের ইউএনওর পরিবারের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেতে নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজানোর অভিযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।

তিনি বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের ইউএনও কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রতারণার মাধ্যমে চাকরি নিয়েছেন—এমন অভিযোগ রয়েছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে তাঁর বিভিন্ন সুবিধা নেওয়ার ঘটনায় একাধিক তদন্ত চলছে। এর মধ্যেই কামাল হোসেন ও তাঁর বাবা-মা ও চাচা-চাচির ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।

দুদক সূত্র বলছে, ইউএনও কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সুবিধা নিতে নিজের বাবা মো. আবুল কাশেম ও মা মোছা. হাবীয়া খাতুনের নাম বাদ দিয়ে চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব ও চাচি মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে পিতা-মাতা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা সনদে দেখান।

এই সনদ দেখিয়ে তিনি ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেন এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি কর্মকর্তা হন।

অভিযোগ রয়েছে, এই জালিয়াতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও ভোগ করেছেন কামাল হোসেন।

তাঁর বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর মামলা করে দুদক। তদন্ত চলাকালে কমিশন কামাল হোসেনসহ তাঁর বাবা-মা ও চাচা-চাচির ডিএনএ পরীক্ষা করার অনুমোদন দেয়। আদালতের অনুমতি নিয়ে শিগগিরই এই পরীক্ষা হবে।

কামাল হোসেন বর্তমানে নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। এর আগে তিনি মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার এবং নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত