
পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথের বিভিন্ন স্পটে চাঁদা দিতে হয় মালিক-শ্রমিকদের। বিভিন্ন নদীবন্দর ও রুট থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, প্রায় অর্ধশত স্থানে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির শিকার হয় নৌযানগুলো। বিভিন্ন অঙ্কের চাঁদা আদায় করে স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী চক্র ও কুখ্যাত ডাকাতেরা।
ভুক্তভোগী মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বরিশাল-ঢাকা নৌপথের অন্তত ছয়টি স্পটে চাঁদা দিতে হয় মালিকপক্ষকে। প্রতিমাসে এ রুটে এ ধরনের ৫-৬টি চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় জাহাজের কর্মী ও শ্রমিকেরা নির্যাতনেরও শিকার হন।
জাহাজ এমভি মহাজন শাহর মাস্টার মোস্তাক শেখ বলেন, মল্লিকপুরে ২০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। নদী পেরোতে হলে স্থানীয়রা চাঁদা নেয়। ভাসানচরে দিনের বেলায়ও ডাকাতি হয়।
অপর একটি কার্গো জাহাজের মাঝি জামাল মিয়া বলেন, হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জের সংঘবদ্ধ চক্র চাঁদাবাজি করে।
বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের বরিশাল বিভাগীয় আহ্বায়ক আ. মতিন তালুকদার বলেন, বরিশাল-ঢাকা রুটের অন্তত সাতটি স্পটে চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটছে। এগুলো হচ্ছে বরিশালের মল্লিকপুর, লতারচর, ভাসানচর, উলানিয়া, কালীগঞ্জ, ইলিশা ও চর গজারিয়া।
হিজলা থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ ধরনের ঘটনা সাধারণত মেঘনার সীমান্তে হয়; বিশেষ করে হিজলার গৌরবদীর হাইমচর, ভাসানচরের বামনির চর ডাকাতির ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ।
নৌ পুলিশের বরিশালের পুলিশ সুপার মো. শরিফ উদ্দিন বলেন, যেসব স্পট ঝুঁকিপূর্ণ, সেগুলোতে দরকার হলে আরও নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।
লক্ষ্মীপুর রুটে অন্তত ১০ স্পট
লক্ষ্মীপুর-ভোলা ও বরিশাল নৌ-রুটে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ নৌযান মালিক ও শ্রমিকেরা। স্পিডবোট থেকে শুরু করে লঞ্চ পর্যন্ত সবাইকে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। চাঁদার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি রামগতির চর গজারিয়ায়। সেখানে নৌ ডাকাত খোকন, ফখরুল ইসলাম ও জমির উদ্দিনের নেতৃত্বে এসব চাঁদাবাজি হয়। তবে তাঁদের পক্ষ হয়ে এসব টাকা তোলেন কাশেম নামের এক ব্যক্তি।
এ ছাড়া মজুচৌধুরীর হাট, চর গজারিয়া, মতিরহাটের মোহনাসহ এসব নৌ-রুটের অন্তত ১০টি জায়গায় চাঁদা দিতে হয়। গত ৬ মাসে চর গজারিয়া থেকে চর মেঘা পর্যন্ত ১০টি কার্গো জাহাজে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার মজুচৌধুরীর হাটে তিনটি মালবাহী লাইটার জাহাজের মালিক, শ্রমিকসহ পাঁচজনের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ডাকাত খোকনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর ভাই নৌ ডাকাত জমির উদ্দিন বলেন, ‘আগে নৌপথে চাঁদাবাজি হলেও এখন নেই। আমাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সঠিক নয়।’
মজুচৌধুরীর হাটে নৌ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. আল-আমিন বলেন, এখন নৌপথে চাঁদাবাজি নেই বললেই চলে। চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে নৌ পুলিশ।
কোস্ট গার্ডের দক্ষিণ জোনের মিডিয়া উইং মো. রায়হান বলেন, লক্ষ্মীপুর অঞ্চলের মেঘনা নদীতে নিরাপত্তায় নিরলসভাবে কাজ করছে কোস্ট গার্ড।
চাঁদপুর রুটে ৫ স্থানে চাঁদাবাজি
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর প্রায় ৭০ কিলোমিটার নৌ সীমানার বেশ কয়েকটি এলাকায় ডাকাতি ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে। এগুলোর মধ্যে হাইমচর, মাঝেরচর, আলুবাজার, মোহনপুর ও ষাটনল—এই পাঁচ এলাকায় বেশির ভাগ ঘটনা ঘটে। চাঁদাবাজির শিকার নৌযান মালিক-শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, সর্বনিম্ন ২ হাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঙ্কের চাঁদা আদায় করা হয়। হাইমচর উপজেলার কাটখালী, সদরের হরিণা ফেরিঘাট এলাকার নৌযান শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
চট্টগ্রাম ও ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী এমভি রাব্বানা-২ লাইটার জাহাজের মাস্টার মো. জাহাঙ্গীর বলেন, চট্টগ্রাম-ঢাকা নৌ-রুটের বেশ কয়েকটি স্থানে চাঁদা দিতে হয়। এগুলোর মধ্যে চাঁদপুরের হাইমচর, মাঝেরচর ও মতলবের ষাটনল এলাকায় চাঁদাবাজি বেশি হয়।
খোঁজ নিয়ে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল এলাকায় নৌযানে চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দেন রিপন সরকার ও তাঁর ভাই নয়ন সরকার। তাঁদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায়। তবে চাঁদপুরের মতলব উত্তর এলাকায় তাঁরা নিজস্ব বাহিনী নিয়ে অবস্থান করেন।
মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী বলেন, ১ ডিসেম্বর নৌযানে ডাকাতির সময় মেঘনা নদীর চর উমেদ থেকে ৩ চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চাঁদপুর নৌ থানার ওসি এ কে এম এস ইকবাল বলেন, ‘নৌপথের নিরাপত্তার জন্য আমাদের সার্বক্ষণিক টহল অব্যাহত আছে।’
কোস্ট গার্ড চাঁদপুর স্টেশনের গোয়েন্দা কর্মকর্তা মো. মামুন বলেন, সর্বশেষ ১৯ ডিসেম্বর কোস্ট গার্ড চাঁদপুর স্টেশনের টহল সদস্যরা মেঘনা নদীর মতলব উত্তরে অভিযান চালিয়ে স্পিডবোটে থাকা ডাকাতির সরঞ্জাম জব্দ করেন। তবে চাঁদাবাজেরা পালিয়ে যায়।
কোস্ট গার্ড চাঁদপুর স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ফজলুল হক বলেন, নৌপথে টহল জোরদার করা হয়েছে।
পাবনার ১০ পয়েন্টে ৩০ লাখ টাকার চাঁদাবাজি
পাবনার নগরবাড়ী ও সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী নদীবন্দরে প্রতিদিন নোঙর করে ১০-১২টি জাহাজ। নদীপথে যেতে যেতে ১০টি পয়েন্টে জাহাজপ্রতি চাঁদা দিতে হয় ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা। সব পয়েন্ট মিলিয়ে একেকটি জাহাজ গন্তব্যে পৌঁছাতে চাঁদা গুনতে হয় কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা। আর এসব পয়েন্টে প্রতিদিন ১৫০টি জাহাজ থেকে চাঁদা আদায় হয় অন্তত ৩০ লাখ টাকা। এসব চাঁদার টাকা যায় বিভিন্ন স্থানের নৌ পুলিশ ও স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্রের হাতে। পাবনার নগরবাড়ী নৌবন্দরে ভুক্তভোগী জাহাজচালক ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
যেসব পয়েন্টে চাঁদা দিতে হয়, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে চাঁদপুর, চাঁদপুর টাওয়ার, চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাট, চাঁদপুর ও শরীয়তপুর রুটে মাঝের চর, বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের সাহারা বিকন, কালীগঞ্জ, মল্লিকপুর, দড়ির চর, হিজলা এবং ভোলার তুলাতলী।
পাবনার নগরবাড়ী নৌবন্দর কর্মকর্তা মো. আব্দুল ওয়াকিল বলেন, ‘নগরবাড়ী নৌবন্দরে কোনো চাঁদাবাজির অভিযোগ নেই। আমরা এ বিষয়ে সব সময় তৎপর রয়েছি।’
মোংলা-বাঘাবাড়ী পথে ৮ স্পট
ভারত-বাংলাদেশ নৌ প্রটোকলভুক্ত লাইটার জাহাজ এমভি ইদ্রিস আলী-১-এর চালক রেজাউল করিম বলেন, ‘মোংলা-বাঘাবাড়ী নৌপথে মোংলা ও মোরেলগঞ্জ আমরা নিরাপদে অতিক্রম করি। এরপর ভান্ডারিয়া, পিরোজপুর, মল্লিকপুর, মাঝেরচর, কাচিকাটার মুখে, হরিণা ফেরিঘাটের নিচে, সুরেশ্বর, মাওয়া এলাকায় চাঁদাবাজ ও ডাকাতের কবলে পড়ি।’
মোংলা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, ‘আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকার মধ্যে কোনো নৌযানে চাঁদাবাজি বা ডাকাতির অভিযোগ আসেনি। তারপরও তৎপর রয়েছি।’
নারায়ণগঞ্জ রুটের ৫ পয়েন্টে চাঁদাবাজি
নারায়ণগঞ্জের বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা ও মেঘনায় চাঁদাবাজির বিষয়ে বাংলাদেশ জাহাজি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীর মুক্তারপুর এবং ফতুল্লার মুখে চাঁদাবাজি হয়। শীতলক্ষ্যা নদীর চর ধলেশ্বরী এবং সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলো এলাকায় চাঁদাবাজেরা চাঁদা আদায় করে। মেঘনা নদীর বৈদ্যের বাজারেও চাঁদাবাজদের উপদ্রব রয়েছে।
সবুজ শিকদার জানান, এক হাজার টাকার নিচে কোনো চাঁদা নেই। সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানার ওসি আমিনুল হক বলেন, ‘চাঁদাবাজি হচ্ছে না এমনটা বলব না। আমরা স্পেসিফিক অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা অবশ্যই নিব। তবে যত দূর জানি, চাঁদপুর ও মেঘনার হোমনা এলাকার কিছু চাঁদাবাজ নারায়ণগঞ্জ রুটে ঢুকে চাঁদাবাজি করে।’
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন খান রফিক, বরিশাল; আব্বাছ হোসেন, লক্ষ্মীপুর; মুহাম্মদ মাসুদ আলম, চাঁদপুর; শাহীন রহমান, পাবনা; সাবিত আল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ; সুমেল সরাফত, মোংলা (বাগেরহাট)]

পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথের বিভিন্ন স্পটে চাঁদা দিতে হয় মালিক-শ্রমিকদের। বিভিন্ন নদীবন্দর ও রুট থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, প্রায় অর্ধশত স্থানে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির শিকার হয় নৌযানগুলো। বিভিন্ন অঙ্কের চাঁদা আদায় করে স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী চক্র ও কুখ্যাত ডাকাতেরা।
ভুক্তভোগী মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বরিশাল-ঢাকা নৌপথের অন্তত ছয়টি স্পটে চাঁদা দিতে হয় মালিকপক্ষকে। প্রতিমাসে এ রুটে এ ধরনের ৫-৬টি চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় জাহাজের কর্মী ও শ্রমিকেরা নির্যাতনেরও শিকার হন।
জাহাজ এমভি মহাজন শাহর মাস্টার মোস্তাক শেখ বলেন, মল্লিকপুরে ২০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। নদী পেরোতে হলে স্থানীয়রা চাঁদা নেয়। ভাসানচরে দিনের বেলায়ও ডাকাতি হয়।
অপর একটি কার্গো জাহাজের মাঝি জামাল মিয়া বলেন, হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জের সংঘবদ্ধ চক্র চাঁদাবাজি করে।
বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের বরিশাল বিভাগীয় আহ্বায়ক আ. মতিন তালুকদার বলেন, বরিশাল-ঢাকা রুটের অন্তত সাতটি স্পটে চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটছে। এগুলো হচ্ছে বরিশালের মল্লিকপুর, লতারচর, ভাসানচর, উলানিয়া, কালীগঞ্জ, ইলিশা ও চর গজারিয়া।
হিজলা থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ ধরনের ঘটনা সাধারণত মেঘনার সীমান্তে হয়; বিশেষ করে হিজলার গৌরবদীর হাইমচর, ভাসানচরের বামনির চর ডাকাতির ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ।
নৌ পুলিশের বরিশালের পুলিশ সুপার মো. শরিফ উদ্দিন বলেন, যেসব স্পট ঝুঁকিপূর্ণ, সেগুলোতে দরকার হলে আরও নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।
লক্ষ্মীপুর রুটে অন্তত ১০ স্পট
লক্ষ্মীপুর-ভোলা ও বরিশাল নৌ-রুটে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ নৌযান মালিক ও শ্রমিকেরা। স্পিডবোট থেকে শুরু করে লঞ্চ পর্যন্ত সবাইকে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। চাঁদার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি রামগতির চর গজারিয়ায়। সেখানে নৌ ডাকাত খোকন, ফখরুল ইসলাম ও জমির উদ্দিনের নেতৃত্বে এসব চাঁদাবাজি হয়। তবে তাঁদের পক্ষ হয়ে এসব টাকা তোলেন কাশেম নামের এক ব্যক্তি।
এ ছাড়া মজুচৌধুরীর হাট, চর গজারিয়া, মতিরহাটের মোহনাসহ এসব নৌ-রুটের অন্তত ১০টি জায়গায় চাঁদা দিতে হয়। গত ৬ মাসে চর গজারিয়া থেকে চর মেঘা পর্যন্ত ১০টি কার্গো জাহাজে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার মজুচৌধুরীর হাটে তিনটি মালবাহী লাইটার জাহাজের মালিক, শ্রমিকসহ পাঁচজনের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ডাকাত খোকনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর ভাই নৌ ডাকাত জমির উদ্দিন বলেন, ‘আগে নৌপথে চাঁদাবাজি হলেও এখন নেই। আমাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সঠিক নয়।’
মজুচৌধুরীর হাটে নৌ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. আল-আমিন বলেন, এখন নৌপথে চাঁদাবাজি নেই বললেই চলে। চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে নৌ পুলিশ।
কোস্ট গার্ডের দক্ষিণ জোনের মিডিয়া উইং মো. রায়হান বলেন, লক্ষ্মীপুর অঞ্চলের মেঘনা নদীতে নিরাপত্তায় নিরলসভাবে কাজ করছে কোস্ট গার্ড।
চাঁদপুর রুটে ৫ স্থানে চাঁদাবাজি
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর প্রায় ৭০ কিলোমিটার নৌ সীমানার বেশ কয়েকটি এলাকায় ডাকাতি ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে। এগুলোর মধ্যে হাইমচর, মাঝেরচর, আলুবাজার, মোহনপুর ও ষাটনল—এই পাঁচ এলাকায় বেশির ভাগ ঘটনা ঘটে। চাঁদাবাজির শিকার নৌযান মালিক-শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, সর্বনিম্ন ২ হাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঙ্কের চাঁদা আদায় করা হয়। হাইমচর উপজেলার কাটখালী, সদরের হরিণা ফেরিঘাট এলাকার নৌযান শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
চট্টগ্রাম ও ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী এমভি রাব্বানা-২ লাইটার জাহাজের মাস্টার মো. জাহাঙ্গীর বলেন, চট্টগ্রাম-ঢাকা নৌ-রুটের বেশ কয়েকটি স্থানে চাঁদা দিতে হয়। এগুলোর মধ্যে চাঁদপুরের হাইমচর, মাঝেরচর ও মতলবের ষাটনল এলাকায় চাঁদাবাজি বেশি হয়।
খোঁজ নিয়ে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল এলাকায় নৌযানে চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দেন রিপন সরকার ও তাঁর ভাই নয়ন সরকার। তাঁদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায়। তবে চাঁদপুরের মতলব উত্তর এলাকায় তাঁরা নিজস্ব বাহিনী নিয়ে অবস্থান করেন।
মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী বলেন, ১ ডিসেম্বর নৌযানে ডাকাতির সময় মেঘনা নদীর চর উমেদ থেকে ৩ চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চাঁদপুর নৌ থানার ওসি এ কে এম এস ইকবাল বলেন, ‘নৌপথের নিরাপত্তার জন্য আমাদের সার্বক্ষণিক টহল অব্যাহত আছে।’
কোস্ট গার্ড চাঁদপুর স্টেশনের গোয়েন্দা কর্মকর্তা মো. মামুন বলেন, সর্বশেষ ১৯ ডিসেম্বর কোস্ট গার্ড চাঁদপুর স্টেশনের টহল সদস্যরা মেঘনা নদীর মতলব উত্তরে অভিযান চালিয়ে স্পিডবোটে থাকা ডাকাতির সরঞ্জাম জব্দ করেন। তবে চাঁদাবাজেরা পালিয়ে যায়।
কোস্ট গার্ড চাঁদপুর স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ফজলুল হক বলেন, নৌপথে টহল জোরদার করা হয়েছে।
পাবনার ১০ পয়েন্টে ৩০ লাখ টাকার চাঁদাবাজি
পাবনার নগরবাড়ী ও সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী নদীবন্দরে প্রতিদিন নোঙর করে ১০-১২টি জাহাজ। নদীপথে যেতে যেতে ১০টি পয়েন্টে জাহাজপ্রতি চাঁদা দিতে হয় ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা। সব পয়েন্ট মিলিয়ে একেকটি জাহাজ গন্তব্যে পৌঁছাতে চাঁদা গুনতে হয় কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা। আর এসব পয়েন্টে প্রতিদিন ১৫০টি জাহাজ থেকে চাঁদা আদায় হয় অন্তত ৩০ লাখ টাকা। এসব চাঁদার টাকা যায় বিভিন্ন স্থানের নৌ পুলিশ ও স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্রের হাতে। পাবনার নগরবাড়ী নৌবন্দরে ভুক্তভোগী জাহাজচালক ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
যেসব পয়েন্টে চাঁদা দিতে হয়, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে চাঁদপুর, চাঁদপুর টাওয়ার, চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাট, চাঁদপুর ও শরীয়তপুর রুটে মাঝের চর, বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের সাহারা বিকন, কালীগঞ্জ, মল্লিকপুর, দড়ির চর, হিজলা এবং ভোলার তুলাতলী।
পাবনার নগরবাড়ী নৌবন্দর কর্মকর্তা মো. আব্দুল ওয়াকিল বলেন, ‘নগরবাড়ী নৌবন্দরে কোনো চাঁদাবাজির অভিযোগ নেই। আমরা এ বিষয়ে সব সময় তৎপর রয়েছি।’
মোংলা-বাঘাবাড়ী পথে ৮ স্পট
ভারত-বাংলাদেশ নৌ প্রটোকলভুক্ত লাইটার জাহাজ এমভি ইদ্রিস আলী-১-এর চালক রেজাউল করিম বলেন, ‘মোংলা-বাঘাবাড়ী নৌপথে মোংলা ও মোরেলগঞ্জ আমরা নিরাপদে অতিক্রম করি। এরপর ভান্ডারিয়া, পিরোজপুর, মল্লিকপুর, মাঝেরচর, কাচিকাটার মুখে, হরিণা ফেরিঘাটের নিচে, সুরেশ্বর, মাওয়া এলাকায় চাঁদাবাজ ও ডাকাতের কবলে পড়ি।’
মোংলা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, ‘আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকার মধ্যে কোনো নৌযানে চাঁদাবাজি বা ডাকাতির অভিযোগ আসেনি। তারপরও তৎপর রয়েছি।’
নারায়ণগঞ্জ রুটের ৫ পয়েন্টে চাঁদাবাজি
নারায়ণগঞ্জের বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা ও মেঘনায় চাঁদাবাজির বিষয়ে বাংলাদেশ জাহাজি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীর মুক্তারপুর এবং ফতুল্লার মুখে চাঁদাবাজি হয়। শীতলক্ষ্যা নদীর চর ধলেশ্বরী এবং সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলো এলাকায় চাঁদাবাজেরা চাঁদা আদায় করে। মেঘনা নদীর বৈদ্যের বাজারেও চাঁদাবাজদের উপদ্রব রয়েছে।
সবুজ শিকদার জানান, এক হাজার টাকার নিচে কোনো চাঁদা নেই। সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানার ওসি আমিনুল হক বলেন, ‘চাঁদাবাজি হচ্ছে না এমনটা বলব না। আমরা স্পেসিফিক অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা অবশ্যই নিব। তবে যত দূর জানি, চাঁদপুর ও মেঘনার হোমনা এলাকার কিছু চাঁদাবাজ নারায়ণগঞ্জ রুটে ঢুকে চাঁদাবাজি করে।’
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন খান রফিক, বরিশাল; আব্বাছ হোসেন, লক্ষ্মীপুর; মুহাম্মদ মাসুদ আলম, চাঁদপুর; শাহীন রহমান, পাবনা; সাবিত আল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ; সুমেল সরাফত, মোংলা (বাগেরহাট)]

পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথের বিভিন্ন স্পটে চাঁদা দিতে হয় মালিক-শ্রমিকদের। বিভিন্ন নদীবন্দর ও রুট থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, প্রায় অর্ধশত স্থানে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির শিকার হয় নৌযানগুলো। বিভিন্ন অঙ্কের চাঁদা আদায় করে স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী চক্র ও কুখ্যাত ডাকাতেরা।
ভুক্তভোগী মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বরিশাল-ঢাকা নৌপথের অন্তত ছয়টি স্পটে চাঁদা দিতে হয় মালিকপক্ষকে। প্রতিমাসে এ রুটে এ ধরনের ৫-৬টি চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় জাহাজের কর্মী ও শ্রমিকেরা নির্যাতনেরও শিকার হন।
জাহাজ এমভি মহাজন শাহর মাস্টার মোস্তাক শেখ বলেন, মল্লিকপুরে ২০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। নদী পেরোতে হলে স্থানীয়রা চাঁদা নেয়। ভাসানচরে দিনের বেলায়ও ডাকাতি হয়।
অপর একটি কার্গো জাহাজের মাঝি জামাল মিয়া বলেন, হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জের সংঘবদ্ধ চক্র চাঁদাবাজি করে।
বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের বরিশাল বিভাগীয় আহ্বায়ক আ. মতিন তালুকদার বলেন, বরিশাল-ঢাকা রুটের অন্তত সাতটি স্পটে চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটছে। এগুলো হচ্ছে বরিশালের মল্লিকপুর, লতারচর, ভাসানচর, উলানিয়া, কালীগঞ্জ, ইলিশা ও চর গজারিয়া।
হিজলা থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ ধরনের ঘটনা সাধারণত মেঘনার সীমান্তে হয়; বিশেষ করে হিজলার গৌরবদীর হাইমচর, ভাসানচরের বামনির চর ডাকাতির ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ।
নৌ পুলিশের বরিশালের পুলিশ সুপার মো. শরিফ উদ্দিন বলেন, যেসব স্পট ঝুঁকিপূর্ণ, সেগুলোতে দরকার হলে আরও নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।
লক্ষ্মীপুর রুটে অন্তত ১০ স্পট
লক্ষ্মীপুর-ভোলা ও বরিশাল নৌ-রুটে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ নৌযান মালিক ও শ্রমিকেরা। স্পিডবোট থেকে শুরু করে লঞ্চ পর্যন্ত সবাইকে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। চাঁদার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি রামগতির চর গজারিয়ায়। সেখানে নৌ ডাকাত খোকন, ফখরুল ইসলাম ও জমির উদ্দিনের নেতৃত্বে এসব চাঁদাবাজি হয়। তবে তাঁদের পক্ষ হয়ে এসব টাকা তোলেন কাশেম নামের এক ব্যক্তি।
এ ছাড়া মজুচৌধুরীর হাট, চর গজারিয়া, মতিরহাটের মোহনাসহ এসব নৌ-রুটের অন্তত ১০টি জায়গায় চাঁদা দিতে হয়। গত ৬ মাসে চর গজারিয়া থেকে চর মেঘা পর্যন্ত ১০টি কার্গো জাহাজে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার মজুচৌধুরীর হাটে তিনটি মালবাহী লাইটার জাহাজের মালিক, শ্রমিকসহ পাঁচজনের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ডাকাত খোকনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর ভাই নৌ ডাকাত জমির উদ্দিন বলেন, ‘আগে নৌপথে চাঁদাবাজি হলেও এখন নেই। আমাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সঠিক নয়।’
মজুচৌধুরীর হাটে নৌ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. আল-আমিন বলেন, এখন নৌপথে চাঁদাবাজি নেই বললেই চলে। চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে নৌ পুলিশ।
কোস্ট গার্ডের দক্ষিণ জোনের মিডিয়া উইং মো. রায়হান বলেন, লক্ষ্মীপুর অঞ্চলের মেঘনা নদীতে নিরাপত্তায় নিরলসভাবে কাজ করছে কোস্ট গার্ড।
চাঁদপুর রুটে ৫ স্থানে চাঁদাবাজি
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর প্রায় ৭০ কিলোমিটার নৌ সীমানার বেশ কয়েকটি এলাকায় ডাকাতি ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে। এগুলোর মধ্যে হাইমচর, মাঝেরচর, আলুবাজার, মোহনপুর ও ষাটনল—এই পাঁচ এলাকায় বেশির ভাগ ঘটনা ঘটে। চাঁদাবাজির শিকার নৌযান মালিক-শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, সর্বনিম্ন ২ হাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঙ্কের চাঁদা আদায় করা হয়। হাইমচর উপজেলার কাটখালী, সদরের হরিণা ফেরিঘাট এলাকার নৌযান শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
চট্টগ্রাম ও ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী এমভি রাব্বানা-২ লাইটার জাহাজের মাস্টার মো. জাহাঙ্গীর বলেন, চট্টগ্রাম-ঢাকা নৌ-রুটের বেশ কয়েকটি স্থানে চাঁদা দিতে হয়। এগুলোর মধ্যে চাঁদপুরের হাইমচর, মাঝেরচর ও মতলবের ষাটনল এলাকায় চাঁদাবাজি বেশি হয়।
খোঁজ নিয়ে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল এলাকায় নৌযানে চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দেন রিপন সরকার ও তাঁর ভাই নয়ন সরকার। তাঁদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায়। তবে চাঁদপুরের মতলব উত্তর এলাকায় তাঁরা নিজস্ব বাহিনী নিয়ে অবস্থান করেন।
মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী বলেন, ১ ডিসেম্বর নৌযানে ডাকাতির সময় মেঘনা নদীর চর উমেদ থেকে ৩ চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চাঁদপুর নৌ থানার ওসি এ কে এম এস ইকবাল বলেন, ‘নৌপথের নিরাপত্তার জন্য আমাদের সার্বক্ষণিক টহল অব্যাহত আছে।’
কোস্ট গার্ড চাঁদপুর স্টেশনের গোয়েন্দা কর্মকর্তা মো. মামুন বলেন, সর্বশেষ ১৯ ডিসেম্বর কোস্ট গার্ড চাঁদপুর স্টেশনের টহল সদস্যরা মেঘনা নদীর মতলব উত্তরে অভিযান চালিয়ে স্পিডবোটে থাকা ডাকাতির সরঞ্জাম জব্দ করেন। তবে চাঁদাবাজেরা পালিয়ে যায়।
কোস্ট গার্ড চাঁদপুর স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ফজলুল হক বলেন, নৌপথে টহল জোরদার করা হয়েছে।
পাবনার ১০ পয়েন্টে ৩০ লাখ টাকার চাঁদাবাজি
পাবনার নগরবাড়ী ও সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী নদীবন্দরে প্রতিদিন নোঙর করে ১০-১২টি জাহাজ। নদীপথে যেতে যেতে ১০টি পয়েন্টে জাহাজপ্রতি চাঁদা দিতে হয় ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা। সব পয়েন্ট মিলিয়ে একেকটি জাহাজ গন্তব্যে পৌঁছাতে চাঁদা গুনতে হয় কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা। আর এসব পয়েন্টে প্রতিদিন ১৫০টি জাহাজ থেকে চাঁদা আদায় হয় অন্তত ৩০ লাখ টাকা। এসব চাঁদার টাকা যায় বিভিন্ন স্থানের নৌ পুলিশ ও স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্রের হাতে। পাবনার নগরবাড়ী নৌবন্দরে ভুক্তভোগী জাহাজচালক ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
যেসব পয়েন্টে চাঁদা দিতে হয়, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে চাঁদপুর, চাঁদপুর টাওয়ার, চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাট, চাঁদপুর ও শরীয়তপুর রুটে মাঝের চর, বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের সাহারা বিকন, কালীগঞ্জ, মল্লিকপুর, দড়ির চর, হিজলা এবং ভোলার তুলাতলী।
পাবনার নগরবাড়ী নৌবন্দর কর্মকর্তা মো. আব্দুল ওয়াকিল বলেন, ‘নগরবাড়ী নৌবন্দরে কোনো চাঁদাবাজির অভিযোগ নেই। আমরা এ বিষয়ে সব সময় তৎপর রয়েছি।’
মোংলা-বাঘাবাড়ী পথে ৮ স্পট
ভারত-বাংলাদেশ নৌ প্রটোকলভুক্ত লাইটার জাহাজ এমভি ইদ্রিস আলী-১-এর চালক রেজাউল করিম বলেন, ‘মোংলা-বাঘাবাড়ী নৌপথে মোংলা ও মোরেলগঞ্জ আমরা নিরাপদে অতিক্রম করি। এরপর ভান্ডারিয়া, পিরোজপুর, মল্লিকপুর, মাঝেরচর, কাচিকাটার মুখে, হরিণা ফেরিঘাটের নিচে, সুরেশ্বর, মাওয়া এলাকায় চাঁদাবাজ ও ডাকাতের কবলে পড়ি।’
মোংলা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, ‘আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকার মধ্যে কোনো নৌযানে চাঁদাবাজি বা ডাকাতির অভিযোগ আসেনি। তারপরও তৎপর রয়েছি।’
নারায়ণগঞ্জ রুটের ৫ পয়েন্টে চাঁদাবাজি
নারায়ণগঞ্জের বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা ও মেঘনায় চাঁদাবাজির বিষয়ে বাংলাদেশ জাহাজি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীর মুক্তারপুর এবং ফতুল্লার মুখে চাঁদাবাজি হয়। শীতলক্ষ্যা নদীর চর ধলেশ্বরী এবং সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলো এলাকায় চাঁদাবাজেরা চাঁদা আদায় করে। মেঘনা নদীর বৈদ্যের বাজারেও চাঁদাবাজদের উপদ্রব রয়েছে।
সবুজ শিকদার জানান, এক হাজার টাকার নিচে কোনো চাঁদা নেই। সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানার ওসি আমিনুল হক বলেন, ‘চাঁদাবাজি হচ্ছে না এমনটা বলব না। আমরা স্পেসিফিক অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা অবশ্যই নিব। তবে যত দূর জানি, চাঁদপুর ও মেঘনার হোমনা এলাকার কিছু চাঁদাবাজ নারায়ণগঞ্জ রুটে ঢুকে চাঁদাবাজি করে।’
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন খান রফিক, বরিশাল; আব্বাছ হোসেন, লক্ষ্মীপুর; মুহাম্মদ মাসুদ আলম, চাঁদপুর; শাহীন রহমান, পাবনা; সাবিত আল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ; সুমেল সরাফত, মোংলা (বাগেরহাট)]

পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথের বিভিন্ন স্পটে চাঁদা দিতে হয় মালিক-শ্রমিকদের। বিভিন্ন নদীবন্দর ও রুট থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, প্রায় অর্ধশত স্থানে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির শিকার হয় নৌযানগুলো। বিভিন্ন অঙ্কের চাঁদা আদায় করে স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী চক্র ও কুখ্যাত ডাকাতেরা।
ভুক্তভোগী মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বরিশাল-ঢাকা নৌপথের অন্তত ছয়টি স্পটে চাঁদা দিতে হয় মালিকপক্ষকে। প্রতিমাসে এ রুটে এ ধরনের ৫-৬টি চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় জাহাজের কর্মী ও শ্রমিকেরা নির্যাতনেরও শিকার হন।
জাহাজ এমভি মহাজন শাহর মাস্টার মোস্তাক শেখ বলেন, মল্লিকপুরে ২০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। নদী পেরোতে হলে স্থানীয়রা চাঁদা নেয়। ভাসানচরে দিনের বেলায়ও ডাকাতি হয়।
অপর একটি কার্গো জাহাজের মাঝি জামাল মিয়া বলেন, হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জের সংঘবদ্ধ চক্র চাঁদাবাজি করে।
বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের বরিশাল বিভাগীয় আহ্বায়ক আ. মতিন তালুকদার বলেন, বরিশাল-ঢাকা রুটের অন্তত সাতটি স্পটে চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটছে। এগুলো হচ্ছে বরিশালের মল্লিকপুর, লতারচর, ভাসানচর, উলানিয়া, কালীগঞ্জ, ইলিশা ও চর গজারিয়া।
হিজলা থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ ধরনের ঘটনা সাধারণত মেঘনার সীমান্তে হয়; বিশেষ করে হিজলার গৌরবদীর হাইমচর, ভাসানচরের বামনির চর ডাকাতির ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ।
নৌ পুলিশের বরিশালের পুলিশ সুপার মো. শরিফ উদ্দিন বলেন, যেসব স্পট ঝুঁকিপূর্ণ, সেগুলোতে দরকার হলে আরও নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।
লক্ষ্মীপুর রুটে অন্তত ১০ স্পট
লক্ষ্মীপুর-ভোলা ও বরিশাল নৌ-রুটে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ নৌযান মালিক ও শ্রমিকেরা। স্পিডবোট থেকে শুরু করে লঞ্চ পর্যন্ত সবাইকে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। চাঁদার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি রামগতির চর গজারিয়ায়। সেখানে নৌ ডাকাত খোকন, ফখরুল ইসলাম ও জমির উদ্দিনের নেতৃত্বে এসব চাঁদাবাজি হয়। তবে তাঁদের পক্ষ হয়ে এসব টাকা তোলেন কাশেম নামের এক ব্যক্তি।
এ ছাড়া মজুচৌধুরীর হাট, চর গজারিয়া, মতিরহাটের মোহনাসহ এসব নৌ-রুটের অন্তত ১০টি জায়গায় চাঁদা দিতে হয়। গত ৬ মাসে চর গজারিয়া থেকে চর মেঘা পর্যন্ত ১০টি কার্গো জাহাজে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার মজুচৌধুরীর হাটে তিনটি মালবাহী লাইটার জাহাজের মালিক, শ্রমিকসহ পাঁচজনের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ডাকাত খোকনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর ভাই নৌ ডাকাত জমির উদ্দিন বলেন, ‘আগে নৌপথে চাঁদাবাজি হলেও এখন নেই। আমাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সঠিক নয়।’
মজুচৌধুরীর হাটে নৌ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. আল-আমিন বলেন, এখন নৌপথে চাঁদাবাজি নেই বললেই চলে। চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে নৌ পুলিশ।
কোস্ট গার্ডের দক্ষিণ জোনের মিডিয়া উইং মো. রায়হান বলেন, লক্ষ্মীপুর অঞ্চলের মেঘনা নদীতে নিরাপত্তায় নিরলসভাবে কাজ করছে কোস্ট গার্ড।
চাঁদপুর রুটে ৫ স্থানে চাঁদাবাজি
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর প্রায় ৭০ কিলোমিটার নৌ সীমানার বেশ কয়েকটি এলাকায় ডাকাতি ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে। এগুলোর মধ্যে হাইমচর, মাঝেরচর, আলুবাজার, মোহনপুর ও ষাটনল—এই পাঁচ এলাকায় বেশির ভাগ ঘটনা ঘটে। চাঁদাবাজির শিকার নৌযান মালিক-শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, সর্বনিম্ন ২ হাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঙ্কের চাঁদা আদায় করা হয়। হাইমচর উপজেলার কাটখালী, সদরের হরিণা ফেরিঘাট এলাকার নৌযান শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
চট্টগ্রাম ও ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী এমভি রাব্বানা-২ লাইটার জাহাজের মাস্টার মো. জাহাঙ্গীর বলেন, চট্টগ্রাম-ঢাকা নৌ-রুটের বেশ কয়েকটি স্থানে চাঁদা দিতে হয়। এগুলোর মধ্যে চাঁদপুরের হাইমচর, মাঝেরচর ও মতলবের ষাটনল এলাকায় চাঁদাবাজি বেশি হয়।
খোঁজ নিয়ে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল এলাকায় নৌযানে চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দেন রিপন সরকার ও তাঁর ভাই নয়ন সরকার। তাঁদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায়। তবে চাঁদপুরের মতলব উত্তর এলাকায় তাঁরা নিজস্ব বাহিনী নিয়ে অবস্থান করেন।
মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী বলেন, ১ ডিসেম্বর নৌযানে ডাকাতির সময় মেঘনা নদীর চর উমেদ থেকে ৩ চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চাঁদপুর নৌ থানার ওসি এ কে এম এস ইকবাল বলেন, ‘নৌপথের নিরাপত্তার জন্য আমাদের সার্বক্ষণিক টহল অব্যাহত আছে।’
কোস্ট গার্ড চাঁদপুর স্টেশনের গোয়েন্দা কর্মকর্তা মো. মামুন বলেন, সর্বশেষ ১৯ ডিসেম্বর কোস্ট গার্ড চাঁদপুর স্টেশনের টহল সদস্যরা মেঘনা নদীর মতলব উত্তরে অভিযান চালিয়ে স্পিডবোটে থাকা ডাকাতির সরঞ্জাম জব্দ করেন। তবে চাঁদাবাজেরা পালিয়ে যায়।
কোস্ট গার্ড চাঁদপুর স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ফজলুল হক বলেন, নৌপথে টহল জোরদার করা হয়েছে।
পাবনার ১০ পয়েন্টে ৩০ লাখ টাকার চাঁদাবাজি
পাবনার নগরবাড়ী ও সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী নদীবন্দরে প্রতিদিন নোঙর করে ১০-১২টি জাহাজ। নদীপথে যেতে যেতে ১০টি পয়েন্টে জাহাজপ্রতি চাঁদা দিতে হয় ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা। সব পয়েন্ট মিলিয়ে একেকটি জাহাজ গন্তব্যে পৌঁছাতে চাঁদা গুনতে হয় কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা। আর এসব পয়েন্টে প্রতিদিন ১৫০টি জাহাজ থেকে চাঁদা আদায় হয় অন্তত ৩০ লাখ টাকা। এসব চাঁদার টাকা যায় বিভিন্ন স্থানের নৌ পুলিশ ও স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্রের হাতে। পাবনার নগরবাড়ী নৌবন্দরে ভুক্তভোগী জাহাজচালক ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
যেসব পয়েন্টে চাঁদা দিতে হয়, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে চাঁদপুর, চাঁদপুর টাওয়ার, চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাট, চাঁদপুর ও শরীয়তপুর রুটে মাঝের চর, বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের সাহারা বিকন, কালীগঞ্জ, মল্লিকপুর, দড়ির চর, হিজলা এবং ভোলার তুলাতলী।
পাবনার নগরবাড়ী নৌবন্দর কর্মকর্তা মো. আব্দুল ওয়াকিল বলেন, ‘নগরবাড়ী নৌবন্দরে কোনো চাঁদাবাজির অভিযোগ নেই। আমরা এ বিষয়ে সব সময় তৎপর রয়েছি।’
মোংলা-বাঘাবাড়ী পথে ৮ স্পট
ভারত-বাংলাদেশ নৌ প্রটোকলভুক্ত লাইটার জাহাজ এমভি ইদ্রিস আলী-১-এর চালক রেজাউল করিম বলেন, ‘মোংলা-বাঘাবাড়ী নৌপথে মোংলা ও মোরেলগঞ্জ আমরা নিরাপদে অতিক্রম করি। এরপর ভান্ডারিয়া, পিরোজপুর, মল্লিকপুর, মাঝেরচর, কাচিকাটার মুখে, হরিণা ফেরিঘাটের নিচে, সুরেশ্বর, মাওয়া এলাকায় চাঁদাবাজ ও ডাকাতের কবলে পড়ি।’
মোংলা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, ‘আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকার মধ্যে কোনো নৌযানে চাঁদাবাজি বা ডাকাতির অভিযোগ আসেনি। তারপরও তৎপর রয়েছি।’
নারায়ণগঞ্জ রুটের ৫ পয়েন্টে চাঁদাবাজি
নারায়ণগঞ্জের বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা ও মেঘনায় চাঁদাবাজির বিষয়ে বাংলাদেশ জাহাজি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীর মুক্তারপুর এবং ফতুল্লার মুখে চাঁদাবাজি হয়। শীতলক্ষ্যা নদীর চর ধলেশ্বরী এবং সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলো এলাকায় চাঁদাবাজেরা চাঁদা আদায় করে। মেঘনা নদীর বৈদ্যের বাজারেও চাঁদাবাজদের উপদ্রব রয়েছে।
সবুজ শিকদার জানান, এক হাজার টাকার নিচে কোনো চাঁদা নেই। সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানার ওসি আমিনুল হক বলেন, ‘চাঁদাবাজি হচ্ছে না এমনটা বলব না। আমরা স্পেসিফিক অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা অবশ্যই নিব। তবে যত দূর জানি, চাঁদপুর ও মেঘনার হোমনা এলাকার কিছু চাঁদাবাজ নারায়ণগঞ্জ রুটে ঢুকে চাঁদাবাজি করে।’
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন খান রফিক, বরিশাল; আব্বাছ হোসেন, লক্ষ্মীপুর; মুহাম্মদ মাসুদ আলম, চাঁদপুর; শাহীন রহমান, পাবনা; সাবিত আল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ; সুমেল সরাফত, মোংলা (বাগেরহাট)]

পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) সেনাসদরে তাঁদের মধ্যে সাক্ষাৎকারটি অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের জন্য গণমাধ্যম নীতিমালায় বেশ কিছু অসংগতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) ও রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)। এসব বিষয়ে সংশোধনের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে লিখিত...
১ ঘণ্টা আগে
নতুন পে কমিশন গঠন ও সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতার বিষয়ে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি নিশ্চিত করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।
২ ঘণ্টা আগে
আমজনতার পার্টির নিবন্ধনের দাবিতে অনশনরত তারেক রহমানকে আপিল করার পরামর্শ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘তারেক সাহেব আমজনতার পার্টির রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনশনে আছেন। আইনগতভাবে আমাদের দিক থেকে যেটুকু বলার সেটা চিঠির মাধ্যমে বলেছি।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) সেনাসদরে তাঁদের মধ্যে সাক্ষাৎকারটি অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সেনাবাহিনী বলেছে, সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার ও পারস্পরিক সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এ ছাড়া যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও পরিদর্শনের মাধ্যমে সামরিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নিয়েও তাঁরা মতবিনিময় করেন। অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ চলতি বছরের গত ফেব্রুয়ারি মাসে করাচি ও উত্তর আরব সাগরে অনুষ্ঠিত যৌথ অনুশীলন AMAN-এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণকারীদের পেশাদারত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) সেনাসদরে তাঁদের মধ্যে সাক্ষাৎকারটি অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সেনাবাহিনী বলেছে, সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার ও পারস্পরিক সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এ ছাড়া যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও পরিদর্শনের মাধ্যমে সামরিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নিয়েও তাঁরা মতবিনিময় করেন। অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ চলতি বছরের গত ফেব্রুয়ারি মাসে করাচি ও উত্তর আরব সাগরে অনুষ্ঠিত যৌথ অনুশীলন AMAN-এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণকারীদের পেশাদারত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথের বিভিন্ন স্পটে চাঁদা দিতে হয় মালিক-শ্রমিকদের। বিভিন্ন নদীবন্দর ও রুট থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, প্রায় অর্ধশত স্থানে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির শিকার হয় নৌযানগুলো। বিভিন্ন অঙ্কের চাঁদা আদায় করে স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী চক্র ও কুখ্যাত ডাকাতেরা।
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের জন্য গণমাধ্যম নীতিমালায় বেশ কিছু অসংগতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) ও রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)। এসব বিষয়ে সংশোধনের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে লিখিত...
১ ঘণ্টা আগে
নতুন পে কমিশন গঠন ও সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতার বিষয়ে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি নিশ্চিত করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।
২ ঘণ্টা আগে
আমজনতার পার্টির নিবন্ধনের দাবিতে অনশনরত তারেক রহমানকে আপিল করার পরামর্শ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘তারেক সাহেব আমজনতার পার্টির রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনশনে আছেন। আইনগতভাবে আমাদের দিক থেকে যেটুকু বলার সেটা চিঠির মাধ্যমে বলেছি।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের জন্য গণমাধ্যম নীতিমালায় বেশ কিছু অসংগতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) ও রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)। এসব বিষয়ে সংশোধনের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে লিখিত সুপারিশপত্র দিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা।
আজ রোববার (৯ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে এক বৈঠকে এই দাবি জানানো হয়। পরে সিইসির পক্ষ থেকে গণমাধ্যম নীতিমালা সংশোধনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
বৈঠকের পর বিজেসির চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক রাজা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যে আচরণবিধি (নীতিমালা) তৈরি করেছে, তাতে আমাদের সাংবাদিকদের কিছু বিষয়ে আপত্তি রয়েছে। আমরা ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার ও রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) যৌথভাবে একাধিক সেমিনার করেছি, যেখানে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, অংশীজন ও সংবাদকর্মীদের মতামত নিয়ে আমরা একটি সুপারিশমালা তৈরি করেছি। ওই সুপারিশমালা নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দিয়েছি।’
রেজোয়ানুল হক রাজা জানান, বৈঠকে ইসির সিনিয়র সচিবসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁরা সাংবাদিকদের প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
বিজেসির চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমরা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছি যে, ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের পর প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অবহিত করার যে বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে, সেটি সাংবাদিকদের জন্য অপ্রয়োজনীয় প্রতিবন্ধকতা। আমাদের যদি আইডি কার্ড ইস্যু করা থাকে, তাহলে আলাদা করে অনুমতি চাওয়ার প্রয়োজন নেই। কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট থাকার সীমা নিয়েও আপত্তি জানিয়েছি।’
রেজোয়ানুল হক রাজা বলেন, ‘কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি কোনো কঠোর সময়সীমা নয়, বরং কেন্দ্রের জায়গার সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় একটি সাধারণ নির্দেশনামাত্র। আমরা বুঝেছি, সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা সীমিত করার উদ্দেশ্যে এই ধারা নয়।’
বিজেসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা আশ্বস্ত যে কমিশন আন্তরিকভাবে সাংবাদিকদের সহযোগিতা করতে চায়। এমনকি কমিশন নিজেও মনে করে, সিসি ক্যামেরা না থাকলেও সাংবাদিকদের ক্যামেরা থাকলে সেটি ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।’
সরাসরি সম্প্রচার নিয়েও আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে রেজোয়ানুল হক বলেন, ‘আমরা বলেছি, সাংবাদিকদের উচিত দায়িত্বশীল থাকা, যেন সম্প্রচারে ভোট গ্রহণপ্রক্রিয়ায় কোনো বিঘ্ন না ঘটে। তবে যদি কোনো অনিয়ম বা কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটে, সে ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। এসব পরিস্থিতিতে কঠোর নীতিমালা কার্যকর রাখা সম্ভব নয়।’
রেজোয়ানুল বলেন, ‘আমরা আশা করছি, নির্বাচন কমিশন দ্রুত আমাদের সুপারিশগুলো বিবেচনা করে আচরণবিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনবে। এতে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখা সহজ হবে এবং জনগণের জানার অধিকার আরও সুরক্ষিত হবে।’
আরএফইডি সভাপতি কাজী জেবেল বলেন, ‘আমরা বলেছি, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটলে যারা এ ধরনের ঘটনায় জড়িত থাকবে, তাদের বিচার নিশ্চিত করার বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। সাংবাদিকদের ওপর হামলা, ক্যামেরাপারসনের ওপর আক্রমণ বা সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেওয়ার ক্ষেত্রে কী ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা এই নীতিমালায় স্পষ্টভাবে যুক্ত করতে হবে।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের জন্য গণমাধ্যম নীতিমালায় বেশ কিছু অসংগতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) ও রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)। এসব বিষয়ে সংশোধনের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে লিখিত সুপারিশপত্র দিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা।
আজ রোববার (৯ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে এক বৈঠকে এই দাবি জানানো হয়। পরে সিইসির পক্ষ থেকে গণমাধ্যম নীতিমালা সংশোধনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
বৈঠকের পর বিজেসির চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক রাজা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যে আচরণবিধি (নীতিমালা) তৈরি করেছে, তাতে আমাদের সাংবাদিকদের কিছু বিষয়ে আপত্তি রয়েছে। আমরা ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার ও রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) যৌথভাবে একাধিক সেমিনার করেছি, যেখানে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, অংশীজন ও সংবাদকর্মীদের মতামত নিয়ে আমরা একটি সুপারিশমালা তৈরি করেছি। ওই সুপারিশমালা নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দিয়েছি।’
রেজোয়ানুল হক রাজা জানান, বৈঠকে ইসির সিনিয়র সচিবসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁরা সাংবাদিকদের প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
বিজেসির চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমরা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছি যে, ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের পর প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অবহিত করার যে বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে, সেটি সাংবাদিকদের জন্য অপ্রয়োজনীয় প্রতিবন্ধকতা। আমাদের যদি আইডি কার্ড ইস্যু করা থাকে, তাহলে আলাদা করে অনুমতি চাওয়ার প্রয়োজন নেই। কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট থাকার সীমা নিয়েও আপত্তি জানিয়েছি।’
রেজোয়ানুল হক রাজা বলেন, ‘কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি কোনো কঠোর সময়সীমা নয়, বরং কেন্দ্রের জায়গার সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় একটি সাধারণ নির্দেশনামাত্র। আমরা বুঝেছি, সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা সীমিত করার উদ্দেশ্যে এই ধারা নয়।’
বিজেসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা আশ্বস্ত যে কমিশন আন্তরিকভাবে সাংবাদিকদের সহযোগিতা করতে চায়। এমনকি কমিশন নিজেও মনে করে, সিসি ক্যামেরা না থাকলেও সাংবাদিকদের ক্যামেরা থাকলে সেটি ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।’
সরাসরি সম্প্রচার নিয়েও আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে রেজোয়ানুল হক বলেন, ‘আমরা বলেছি, সাংবাদিকদের উচিত দায়িত্বশীল থাকা, যেন সম্প্রচারে ভোট গ্রহণপ্রক্রিয়ায় কোনো বিঘ্ন না ঘটে। তবে যদি কোনো অনিয়ম বা কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটে, সে ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। এসব পরিস্থিতিতে কঠোর নীতিমালা কার্যকর রাখা সম্ভব নয়।’
রেজোয়ানুল বলেন, ‘আমরা আশা করছি, নির্বাচন কমিশন দ্রুত আমাদের সুপারিশগুলো বিবেচনা করে আচরণবিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনবে। এতে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখা সহজ হবে এবং জনগণের জানার অধিকার আরও সুরক্ষিত হবে।’
আরএফইডি সভাপতি কাজী জেবেল বলেন, ‘আমরা বলেছি, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটলে যারা এ ধরনের ঘটনায় জড়িত থাকবে, তাদের বিচার নিশ্চিত করার বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। সাংবাদিকদের ওপর হামলা, ক্যামেরাপারসনের ওপর আক্রমণ বা সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেওয়ার ক্ষেত্রে কী ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা এই নীতিমালায় স্পষ্টভাবে যুক্ত করতে হবে।’

পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথের বিভিন্ন স্পটে চাঁদা দিতে হয় মালিক-শ্রমিকদের। বিভিন্ন নদীবন্দর ও রুট থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, প্রায় অর্ধশত স্থানে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির শিকার হয় নৌযানগুলো। বিভিন্ন অঙ্কের চাঁদা আদায় করে স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী চক্র ও কুখ্যাত ডাকাতেরা।
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) সেনাসদরে তাঁদের মধ্যে সাক্ষাৎকারটি অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
নতুন পে কমিশন গঠন ও সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতার বিষয়ে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি নিশ্চিত করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।
২ ঘণ্টা আগে
আমজনতার পার্টির নিবন্ধনের দাবিতে অনশনরত তারেক রহমানকে আপিল করার পরামর্শ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘তারেক সাহেব আমজনতার পার্টির রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনশনে আছেন। আইনগতভাবে আমাদের দিক থেকে যেটুকু বলার সেটা চিঠির মাধ্যমে বলেছি।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নতুন পে কমিশন গঠন ও সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতার বিষয়ে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি নিশ্চিত করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।
আজ রোববার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি, অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এবং খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি ইতিবাচক জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘সার্বিক দিকের অগ্রগতি ভালো। মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে, তবে এর বিপরীতে বাসাভাড়া ও পরিবহন ব্যয় বেড়েছে। আমরা চেষ্টা করছি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় মাত্রায় আনতে।’ তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, সামগ্রিকভাবে বাজারে পণ্যের দাম স্বাভাবিক রয়েছে এবং চালের দামও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের ষষ্ঠ কিস্তি ছাড়ের প্রসঙ্গে সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, কিস্তি নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে তিনি জানান, ঋণের ষষ্ঠ কিস্তির অর্থ অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে আসবে না। প্রতিষ্ঠানটি রাজনৈতিক সরকারের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে থাকা সমস্ত তথ্য পরবর্তী সরকারের কাছে প্যাকেজ আকারে হস্তান্তর করা হবে।
অর্থ উপদেষ্টা আরও জানান, সরকার অপরিশোধিত তেল আমদানির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং সার ও কৃষিতে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি অব্যাহত রাখা হচ্ছে।
আজকের ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে বিভিন্ন দেশ থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টন সার ও ৫০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আজকের সভায় আমন মৌসুমের জন্য ধান ও চাল সংগ্রহের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বছর আমন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সরকার ৭ লাখ টন ধান ও চাল সংগ্রহ করবে। এর মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে—ধান ৫০ হাজার ৫০০ টন, সেদ্ধ চাল ৬ লাখ টন,ও আতপ চাল ৫০ হাজার টন।
সংগ্রহমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি—আমন ধান ৩৪ টাকা, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা ও আতপ চাল ৪৯ টাকা।
উল্লেখ্য, ধান ও চালের এই নির্ধারিত দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি চার টাকা বেশি। এই ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হবে এবং ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত চলবে।

নতুন পে কমিশন গঠন ও সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতার বিষয়ে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি নিশ্চিত করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।
আজ রোববার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি, অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এবং খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি ইতিবাচক জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘সার্বিক দিকের অগ্রগতি ভালো। মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে, তবে এর বিপরীতে বাসাভাড়া ও পরিবহন ব্যয় বেড়েছে। আমরা চেষ্টা করছি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় মাত্রায় আনতে।’ তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, সামগ্রিকভাবে বাজারে পণ্যের দাম স্বাভাবিক রয়েছে এবং চালের দামও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের ষষ্ঠ কিস্তি ছাড়ের প্রসঙ্গে সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, কিস্তি নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে তিনি জানান, ঋণের ষষ্ঠ কিস্তির অর্থ অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে আসবে না। প্রতিষ্ঠানটি রাজনৈতিক সরকারের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে থাকা সমস্ত তথ্য পরবর্তী সরকারের কাছে প্যাকেজ আকারে হস্তান্তর করা হবে।
অর্থ উপদেষ্টা আরও জানান, সরকার অপরিশোধিত তেল আমদানির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং সার ও কৃষিতে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি অব্যাহত রাখা হচ্ছে।
আজকের ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে বিভিন্ন দেশ থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টন সার ও ৫০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আজকের সভায় আমন মৌসুমের জন্য ধান ও চাল সংগ্রহের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বছর আমন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সরকার ৭ লাখ টন ধান ও চাল সংগ্রহ করবে। এর মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে—ধান ৫০ হাজার ৫০০ টন, সেদ্ধ চাল ৬ লাখ টন,ও আতপ চাল ৫০ হাজার টন।
সংগ্রহমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি—আমন ধান ৩৪ টাকা, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা ও আতপ চাল ৪৯ টাকা।
উল্লেখ্য, ধান ও চালের এই নির্ধারিত দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি চার টাকা বেশি। এই ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হবে এবং ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত চলবে।

পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথের বিভিন্ন স্পটে চাঁদা দিতে হয় মালিক-শ্রমিকদের। বিভিন্ন নদীবন্দর ও রুট থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, প্রায় অর্ধশত স্থানে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির শিকার হয় নৌযানগুলো। বিভিন্ন অঙ্কের চাঁদা আদায় করে স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী চক্র ও কুখ্যাত ডাকাতেরা।
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) সেনাসদরে তাঁদের মধ্যে সাক্ষাৎকারটি অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের জন্য গণমাধ্যম নীতিমালায় বেশ কিছু অসংগতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) ও রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)। এসব বিষয়ে সংশোধনের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে লিখিত...
১ ঘণ্টা আগে
আমজনতার পার্টির নিবন্ধনের দাবিতে অনশনরত তারেক রহমানকে আপিল করার পরামর্শ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘তারেক সাহেব আমজনতার পার্টির রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনশনে আছেন। আইনগতভাবে আমাদের দিক থেকে যেটুকু বলার সেটা চিঠির মাধ্যমে বলেছি।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আমজনতার পার্টির নিবন্ধনের দাবিতে অনশনরত তারেক রহমানকে আপিল করার পরামর্শ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘তারেক সাহেব আমজনতার পার্টির রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনশনে আছেন। আইনগতভাবে আমাদের দিক থেকে যেটুকু বলার সেটা চিঠির মাধ্যমে বলেছি। এখন ওনারা আপিল করতে পারেন এবং ঘাটতি যেগুলো আছে সেগুলো পূরণ করে দিতে পারেন।’
ইসি সচিব বলেন, ‘আপিল বা সংশোধনী বা পরিমার্জন, পরিবর্ধন, সময় বর্ধন এগুলো তো একটা প্রচলিত প্রথা। তো সেটা নিশ্চয়ই ওনারা বিবেচনায় নেবেন। আমি আন্তরিকভাবে আবেদন করব যেন এই অনশন ভঙ্গ করে আমাদের আইনগতভাবে জিনিসটা সুরাহার দিকে নিয়ে যাবেন।’
আজ রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন সচিব।
আপিল কোথায় করবে? জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘আপিল করবে কমিশন সচিবালয়ে। কেননা চিঠিপত্র তো সচিবালয় থেকে যায়। সিনিয়র সচিব বা কমিশনের সচিবের বরাবর আপিলটা করবেন, যদি ওনারা করতে চান।’
কয়দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো সময় আমি বলছি না। আপনি এখনো করতে পারেন। আগামীকালও করতে পারেন। আপনি করবেন কিনা এটা তো আপনার সিদ্ধান্ত।’
এটা কি আইনের বাইরে গিয়ে বিবেচনা করছেন আপনারা? এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘আইনের বাইরে না, আইনের বাইরের ব্যাপারটা তো পরবর্তীতে কমিশন দেখবে। আপিল করতে তো কোনো অসুবিধা নেই। এটা আইনের সঙ্গে আমরা সম্পর্কিত কেন করছি? আইনের সঙ্গে সম্পর্কিত করার কোনো কিছু নেই। একটা না মঞ্জুর করা হয়েছে কিছু শর্তের আওতায় এবং কিছু কিছু জায়গায় ওনারা বলছেন যে আমরা এটার সঙ্গে একমত নই। সেটা পুনর্বিবেচনা, সংশোধন, পরিবর্জন ইত্যাদির জন্য আবেদন করতেই পারেন। আবেদন করলে কমিশন সেটা বিবেচনায় নেবেন কি, নেবেন না সেটা হলো পরের ব্যাপার। আমি যেটা বলতে চাচ্ছি যে সীমিত বা সীমাবদ্ধতার ভেতরে যেন আমরা না আসি।’

আমজনতার পার্টির নিবন্ধনের দাবিতে অনশনরত তারেক রহমানকে আপিল করার পরামর্শ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘তারেক সাহেব আমজনতার পার্টির রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনশনে আছেন। আইনগতভাবে আমাদের দিক থেকে যেটুকু বলার সেটা চিঠির মাধ্যমে বলেছি। এখন ওনারা আপিল করতে পারেন এবং ঘাটতি যেগুলো আছে সেগুলো পূরণ করে দিতে পারেন।’
ইসি সচিব বলেন, ‘আপিল বা সংশোধনী বা পরিমার্জন, পরিবর্ধন, সময় বর্ধন এগুলো তো একটা প্রচলিত প্রথা। তো সেটা নিশ্চয়ই ওনারা বিবেচনায় নেবেন। আমি আন্তরিকভাবে আবেদন করব যেন এই অনশন ভঙ্গ করে আমাদের আইনগতভাবে জিনিসটা সুরাহার দিকে নিয়ে যাবেন।’
আজ রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন সচিব।
আপিল কোথায় করবে? জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘আপিল করবে কমিশন সচিবালয়ে। কেননা চিঠিপত্র তো সচিবালয় থেকে যায়। সিনিয়র সচিব বা কমিশনের সচিবের বরাবর আপিলটা করবেন, যদি ওনারা করতে চান।’
কয়দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো সময় আমি বলছি না। আপনি এখনো করতে পারেন। আগামীকালও করতে পারেন। আপনি করবেন কিনা এটা তো আপনার সিদ্ধান্ত।’
এটা কি আইনের বাইরে গিয়ে বিবেচনা করছেন আপনারা? এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘আইনের বাইরে না, আইনের বাইরের ব্যাপারটা তো পরবর্তীতে কমিশন দেখবে। আপিল করতে তো কোনো অসুবিধা নেই। এটা আইনের সঙ্গে আমরা সম্পর্কিত কেন করছি? আইনের সঙ্গে সম্পর্কিত করার কোনো কিছু নেই। একটা না মঞ্জুর করা হয়েছে কিছু শর্তের আওতায় এবং কিছু কিছু জায়গায় ওনারা বলছেন যে আমরা এটার সঙ্গে একমত নই। সেটা পুনর্বিবেচনা, সংশোধন, পরিবর্জন ইত্যাদির জন্য আবেদন করতেই পারেন। আবেদন করলে কমিশন সেটা বিবেচনায় নেবেন কি, নেবেন না সেটা হলো পরের ব্যাপার। আমি যেটা বলতে চাচ্ছি যে সীমিত বা সীমাবদ্ধতার ভেতরে যেন আমরা না আসি।’

পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথের বিভিন্ন স্পটে চাঁদা দিতে হয় মালিক-শ্রমিকদের। বিভিন্ন নদীবন্দর ও রুট থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, প্রায় অর্ধশত স্থানে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির শিকার হয় নৌযানগুলো। বিভিন্ন অঙ্কের চাঁদা আদায় করে স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী চক্র ও কুখ্যাত ডাকাতেরা।
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) সেনাসদরে তাঁদের মধ্যে সাক্ষাৎকারটি অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের জন্য গণমাধ্যম নীতিমালায় বেশ কিছু অসংগতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) ও রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)। এসব বিষয়ে সংশোধনের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে লিখিত...
১ ঘণ্টা আগে
নতুন পে কমিশন গঠন ও সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতার বিষয়ে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি নিশ্চিত করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।
২ ঘণ্টা আগে