নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচন কমিশন গঠনে কোন ক্ষমতাসীন সরকারই আইন মানেনি। গত ৫০ বছরে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নিয়োগের আইন প্রণয়ন করা হয়নি। বাধ্যতামূলক হলেও সব ক্ষমতাসীন সরকার এটি লঙ্ঘন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। রোববার বিকেলে আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
চলমান স্থানীয় নির্বাচন ও অন্যান্য প্রসঙ্গ উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, একটি রূপক বক্তব্য দিয়ে আরম্ভ করতে চাই। নির্বাচন এখন কতিপয় জটিল অসুখে আক্রান্ত। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় গণতন্ত্রের অবস্থা সংকটাপন্ন। একক ডাক্তারের পক্ষে তাকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে মেডিকেল বোর্ড গঠনের কোনো বিকল্প নেই। মৃত্যুপথযাত্রী গণতন্ত্রকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরানো একান্ত অপরিহার্য। আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা গণতন্ত্রহীন নির্বাচন চাই কি না!
মাহবুব তালুকদার বলেন, গত ৭ অক্টোবর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের উপনির্বাচন আমি নিজে পরিদর্শন করি। ইভিএম-এ ভোট গ্রহণে এখানে ২০ শতাংশ ভোট পড়ে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু ভোটের টার্ন আউট এত কম হওয়ায় জনগণের নির্বাচন বিমুখতা আমাকে হতাশ করে। অন্যদিকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদের উপনির্বাচনে ইভিএম-এ ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এই বৈষম্য কেন তার কারণ বিশ্লেষণ করে দেখা প্রয়োজন। ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধির সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তবে এর প্রতিবন্ধকতা দূর না হলে কাঙ্ক্ষিত ফললাভ হবে না।
তিনি আরও বলেন, ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম নগরের ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে জামানত হারিয়েও একজন প্রার্থী কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। স্বভাবতই ওই নির্বাচনে ২১ জন প্রার্থীর সবাই জামানত হারিয়েছেন। এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা, যা বিশ্বে নজির বিহীন। আমার মতে এতে নির্বাচনে একটা নতুন ধারা সূচিত হলো। নবনির্বাচিত কাউন্সিলর অবশ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য একাধিক মামলায় দুই বছরের অধিককাল ধরে জেলে রয়েছেন। এই উপনির্বাচনের ফলাফল নির্বাচনের প্রতি জনগণের অনাস্থার বহিঃপ্রকাশ বলা হলেও ইতিবাচকভাবে বলা যায়, সমাজের সব শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিগণ এখন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন এবং জনসমর্থন না থাকলেও জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হচ্ছেন।
ইসি নিয়োগ প্রসঙ্গ টেনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিভিন্নজনের তর্ক-বিতর্ক এখন তুঙ্গে। গত ৫০ বছরে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নিয়োগের আইন প্রণয়ন করা হয়নি। এটা বাধ্যতামূলক হলেও সব ক্ষমতাসীন সরকার এটা লঙ্ঘন করেছে। সর্বজনীন ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা, জনগণের ক্ষমতায়ন ও গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা থাকলে এই আইন করা অনস্বীকার্য। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সব দলের সমঝোতা ছাড়া এহেন আইন করা অসম্ভব। তবে আইন প্রণয়নই যথেষ্ট নয়। আইন প্রণয়ন নির্বাচনের অন্যতম বা প্রধান সোপান হলেও অবশ্যই তা সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সমঝোতা না হলে দেশব্যাপী অরাজকতা ও প্রাণহানির আশঙ্কা করি, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
আমাদের স্বাধীনতার পূর্বশর্ত ছিল গণতন্ত্র। সংবিধানের চারটি মূলনীতিতে গণতন্ত্র সন্নিবেশিত হয়েছে। স্বাধীনতার পাঁচ দশক পরেও আমরা যদি অন্ধকার ঘরে একটি কালো বিড়ালের মতো গণতন্ত্রকে খুঁজে ফিরি, এর চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে? একজন ভোটার বাড়ি থেকে বেরিয়ে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের ইচ্ছামতো ভোট প্রদান করে নিরাপদে বাড়ি ফিরে আসবে, বাংলাদেশ রাষ্ট্র কি এই আকাঙ্খাটুকু পূরণ করতে পারবে না? প্রশ্ন তোলেন এই জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার।

নির্বাচন কমিশন গঠনে কোন ক্ষমতাসীন সরকারই আইন মানেনি। গত ৫০ বছরে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নিয়োগের আইন প্রণয়ন করা হয়নি। বাধ্যতামূলক হলেও সব ক্ষমতাসীন সরকার এটি লঙ্ঘন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। রোববার বিকেলে আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
চলমান স্থানীয় নির্বাচন ও অন্যান্য প্রসঙ্গ উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, একটি রূপক বক্তব্য দিয়ে আরম্ভ করতে চাই। নির্বাচন এখন কতিপয় জটিল অসুখে আক্রান্ত। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় গণতন্ত্রের অবস্থা সংকটাপন্ন। একক ডাক্তারের পক্ষে তাকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে মেডিকেল বোর্ড গঠনের কোনো বিকল্প নেই। মৃত্যুপথযাত্রী গণতন্ত্রকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরানো একান্ত অপরিহার্য। আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা গণতন্ত্রহীন নির্বাচন চাই কি না!
মাহবুব তালুকদার বলেন, গত ৭ অক্টোবর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের উপনির্বাচন আমি নিজে পরিদর্শন করি। ইভিএম-এ ভোট গ্রহণে এখানে ২০ শতাংশ ভোট পড়ে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু ভোটের টার্ন আউট এত কম হওয়ায় জনগণের নির্বাচন বিমুখতা আমাকে হতাশ করে। অন্যদিকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদের উপনির্বাচনে ইভিএম-এ ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এই বৈষম্য কেন তার কারণ বিশ্লেষণ করে দেখা প্রয়োজন। ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধির সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তবে এর প্রতিবন্ধকতা দূর না হলে কাঙ্ক্ষিত ফললাভ হবে না।
তিনি আরও বলেন, ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম নগরের ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে জামানত হারিয়েও একজন প্রার্থী কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। স্বভাবতই ওই নির্বাচনে ২১ জন প্রার্থীর সবাই জামানত হারিয়েছেন। এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা, যা বিশ্বে নজির বিহীন। আমার মতে এতে নির্বাচনে একটা নতুন ধারা সূচিত হলো। নবনির্বাচিত কাউন্সিলর অবশ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য একাধিক মামলায় দুই বছরের অধিককাল ধরে জেলে রয়েছেন। এই উপনির্বাচনের ফলাফল নির্বাচনের প্রতি জনগণের অনাস্থার বহিঃপ্রকাশ বলা হলেও ইতিবাচকভাবে বলা যায়, সমাজের সব শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিগণ এখন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন এবং জনসমর্থন না থাকলেও জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হচ্ছেন।
ইসি নিয়োগ প্রসঙ্গ টেনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিভিন্নজনের তর্ক-বিতর্ক এখন তুঙ্গে। গত ৫০ বছরে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নিয়োগের আইন প্রণয়ন করা হয়নি। এটা বাধ্যতামূলক হলেও সব ক্ষমতাসীন সরকার এটা লঙ্ঘন করেছে। সর্বজনীন ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা, জনগণের ক্ষমতায়ন ও গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা থাকলে এই আইন করা অনস্বীকার্য। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সব দলের সমঝোতা ছাড়া এহেন আইন করা অসম্ভব। তবে আইন প্রণয়নই যথেষ্ট নয়। আইন প্রণয়ন নির্বাচনের অন্যতম বা প্রধান সোপান হলেও অবশ্যই তা সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সমঝোতা না হলে দেশব্যাপী অরাজকতা ও প্রাণহানির আশঙ্কা করি, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
আমাদের স্বাধীনতার পূর্বশর্ত ছিল গণতন্ত্র। সংবিধানের চারটি মূলনীতিতে গণতন্ত্র সন্নিবেশিত হয়েছে। স্বাধীনতার পাঁচ দশক পরেও আমরা যদি অন্ধকার ঘরে একটি কালো বিড়ালের মতো গণতন্ত্রকে খুঁজে ফিরি, এর চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে? একজন ভোটার বাড়ি থেকে বেরিয়ে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের ইচ্ছামতো ভোট প্রদান করে নিরাপদে বাড়ি ফিরে আসবে, বাংলাদেশ রাষ্ট্র কি এই আকাঙ্খাটুকু পূরণ করতে পারবে না? প্রশ্ন তোলেন এই জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচন কমিশন গঠনে কোন ক্ষমতাসীন সরকারই আইন মানেনি। গত ৫০ বছরে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নিয়োগের আইন প্রণয়ন করা হয়নি। বাধ্যতামূলক হলেও সব ক্ষমতাসীন সরকার এটি লঙ্ঘন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। রোববার বিকেলে আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
চলমান স্থানীয় নির্বাচন ও অন্যান্য প্রসঙ্গ উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, একটি রূপক বক্তব্য দিয়ে আরম্ভ করতে চাই। নির্বাচন এখন কতিপয় জটিল অসুখে আক্রান্ত। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় গণতন্ত্রের অবস্থা সংকটাপন্ন। একক ডাক্তারের পক্ষে তাকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে মেডিকেল বোর্ড গঠনের কোনো বিকল্প নেই। মৃত্যুপথযাত্রী গণতন্ত্রকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরানো একান্ত অপরিহার্য। আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা গণতন্ত্রহীন নির্বাচন চাই কি না!
মাহবুব তালুকদার বলেন, গত ৭ অক্টোবর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের উপনির্বাচন আমি নিজে পরিদর্শন করি। ইভিএম-এ ভোট গ্রহণে এখানে ২০ শতাংশ ভোট পড়ে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু ভোটের টার্ন আউট এত কম হওয়ায় জনগণের নির্বাচন বিমুখতা আমাকে হতাশ করে। অন্যদিকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদের উপনির্বাচনে ইভিএম-এ ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এই বৈষম্য কেন তার কারণ বিশ্লেষণ করে দেখা প্রয়োজন। ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধির সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তবে এর প্রতিবন্ধকতা দূর না হলে কাঙ্ক্ষিত ফললাভ হবে না।
তিনি আরও বলেন, ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম নগরের ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে জামানত হারিয়েও একজন প্রার্থী কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। স্বভাবতই ওই নির্বাচনে ২১ জন প্রার্থীর সবাই জামানত হারিয়েছেন। এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা, যা বিশ্বে নজির বিহীন। আমার মতে এতে নির্বাচনে একটা নতুন ধারা সূচিত হলো। নবনির্বাচিত কাউন্সিলর অবশ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য একাধিক মামলায় দুই বছরের অধিককাল ধরে জেলে রয়েছেন। এই উপনির্বাচনের ফলাফল নির্বাচনের প্রতি জনগণের অনাস্থার বহিঃপ্রকাশ বলা হলেও ইতিবাচকভাবে বলা যায়, সমাজের সব শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিগণ এখন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন এবং জনসমর্থন না থাকলেও জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হচ্ছেন।
ইসি নিয়োগ প্রসঙ্গ টেনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিভিন্নজনের তর্ক-বিতর্ক এখন তুঙ্গে। গত ৫০ বছরে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নিয়োগের আইন প্রণয়ন করা হয়নি। এটা বাধ্যতামূলক হলেও সব ক্ষমতাসীন সরকার এটা লঙ্ঘন করেছে। সর্বজনীন ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা, জনগণের ক্ষমতায়ন ও গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা থাকলে এই আইন করা অনস্বীকার্য। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সব দলের সমঝোতা ছাড়া এহেন আইন করা অসম্ভব। তবে আইন প্রণয়নই যথেষ্ট নয়। আইন প্রণয়ন নির্বাচনের অন্যতম বা প্রধান সোপান হলেও অবশ্যই তা সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সমঝোতা না হলে দেশব্যাপী অরাজকতা ও প্রাণহানির আশঙ্কা করি, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
আমাদের স্বাধীনতার পূর্বশর্ত ছিল গণতন্ত্র। সংবিধানের চারটি মূলনীতিতে গণতন্ত্র সন্নিবেশিত হয়েছে। স্বাধীনতার পাঁচ দশক পরেও আমরা যদি অন্ধকার ঘরে একটি কালো বিড়ালের মতো গণতন্ত্রকে খুঁজে ফিরি, এর চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে? একজন ভোটার বাড়ি থেকে বেরিয়ে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের ইচ্ছামতো ভোট প্রদান করে নিরাপদে বাড়ি ফিরে আসবে, বাংলাদেশ রাষ্ট্র কি এই আকাঙ্খাটুকু পূরণ করতে পারবে না? প্রশ্ন তোলেন এই জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার।

নির্বাচন কমিশন গঠনে কোন ক্ষমতাসীন সরকারই আইন মানেনি। গত ৫০ বছরে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নিয়োগের আইন প্রণয়ন করা হয়নি। বাধ্যতামূলক হলেও সব ক্ষমতাসীন সরকার এটি লঙ্ঘন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। রোববার বিকেলে আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
চলমান স্থানীয় নির্বাচন ও অন্যান্য প্রসঙ্গ উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, একটি রূপক বক্তব্য দিয়ে আরম্ভ করতে চাই। নির্বাচন এখন কতিপয় জটিল অসুখে আক্রান্ত। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় গণতন্ত্রের অবস্থা সংকটাপন্ন। একক ডাক্তারের পক্ষে তাকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে মেডিকেল বোর্ড গঠনের কোনো বিকল্প নেই। মৃত্যুপথযাত্রী গণতন্ত্রকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরানো একান্ত অপরিহার্য। আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা গণতন্ত্রহীন নির্বাচন চাই কি না!
মাহবুব তালুকদার বলেন, গত ৭ অক্টোবর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের উপনির্বাচন আমি নিজে পরিদর্শন করি। ইভিএম-এ ভোট গ্রহণে এখানে ২০ শতাংশ ভোট পড়ে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু ভোটের টার্ন আউট এত কম হওয়ায় জনগণের নির্বাচন বিমুখতা আমাকে হতাশ করে। অন্যদিকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদের উপনির্বাচনে ইভিএম-এ ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এই বৈষম্য কেন তার কারণ বিশ্লেষণ করে দেখা প্রয়োজন। ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধির সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তবে এর প্রতিবন্ধকতা দূর না হলে কাঙ্ক্ষিত ফললাভ হবে না।
তিনি আরও বলেন, ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম নগরের ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে জামানত হারিয়েও একজন প্রার্থী কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। স্বভাবতই ওই নির্বাচনে ২১ জন প্রার্থীর সবাই জামানত হারিয়েছেন। এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা, যা বিশ্বে নজির বিহীন। আমার মতে এতে নির্বাচনে একটা নতুন ধারা সূচিত হলো। নবনির্বাচিত কাউন্সিলর অবশ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য একাধিক মামলায় দুই বছরের অধিককাল ধরে জেলে রয়েছেন। এই উপনির্বাচনের ফলাফল নির্বাচনের প্রতি জনগণের অনাস্থার বহিঃপ্রকাশ বলা হলেও ইতিবাচকভাবে বলা যায়, সমাজের সব শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিগণ এখন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন এবং জনসমর্থন না থাকলেও জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হচ্ছেন।
ইসি নিয়োগ প্রসঙ্গ টেনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিভিন্নজনের তর্ক-বিতর্ক এখন তুঙ্গে। গত ৫০ বছরে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নিয়োগের আইন প্রণয়ন করা হয়নি। এটা বাধ্যতামূলক হলেও সব ক্ষমতাসীন সরকার এটা লঙ্ঘন করেছে। সর্বজনীন ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা, জনগণের ক্ষমতায়ন ও গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা থাকলে এই আইন করা অনস্বীকার্য। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সব দলের সমঝোতা ছাড়া এহেন আইন করা অসম্ভব। তবে আইন প্রণয়নই যথেষ্ট নয়। আইন প্রণয়ন নির্বাচনের অন্যতম বা প্রধান সোপান হলেও অবশ্যই তা সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সমঝোতা না হলে দেশব্যাপী অরাজকতা ও প্রাণহানির আশঙ্কা করি, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
আমাদের স্বাধীনতার পূর্বশর্ত ছিল গণতন্ত্র। সংবিধানের চারটি মূলনীতিতে গণতন্ত্র সন্নিবেশিত হয়েছে। স্বাধীনতার পাঁচ দশক পরেও আমরা যদি অন্ধকার ঘরে একটি কালো বিড়ালের মতো গণতন্ত্রকে খুঁজে ফিরি, এর চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে? একজন ভোটার বাড়ি থেকে বেরিয়ে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের ইচ্ছামতো ভোট প্রদান করে নিরাপদে বাড়ি ফিরে আসবে, বাংলাদেশ রাষ্ট্র কি এই আকাঙ্খাটুকু পূরণ করতে পারবে না? প্রশ্ন তোলেন এই জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার।

গত বছরের আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর থেকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সম্প্রতি বেশ কিছু গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয় যে সেনাবাহিনীর অর্ধেক সদস্যকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
১৪ মিনিট আগে
প্রস্তাবে বলা হয়, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কাজ গুণগত ও পরিমাণগত দিক দিয়ে আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড বাড়িয়ে ১০ম করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা সম্মতি দিয়েছেন। তাই যৌক্তিকতা বিবেচনা করে সহকারী শিক্ষকদের...
২ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) সেনাসদরে তাঁদের মধ্যে সাক্ষাৎকারটি অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের জন্য গণমাধ্যম নীতিমালায় বেশ কিছু অসংগতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) ও রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)। এসব বিষয়ে সংশোধনের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে লিখিত...
৩ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

গত বছরের আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর থেকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সম্প্রতি বেশ কিছু গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয় যে সেনাবাহিনীর অর্ধেক সদস্যকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বে থাকা সেনাসদস্যের সংখ্যা কমছে না।
আজ রোববার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা-বিষয়ক কোর কমিটির সভা হয়েছিল। ওই সভার সূত্র ধরেই কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা সেনাবাহিনীর ৫০ শতাংশ সদস্যকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এ নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এই মুহূর্তে সেনাবাহিনী আগে যেমন ছিল, তেমনই থাকবে।’
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ১৩ নভেম্বর ঢাকায় লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কোনো নিরাপত্তা শঙ্কা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো ধরনের আশঙ্কা নেই।’

গত বছরের আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর থেকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সম্প্রতি বেশ কিছু গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয় যে সেনাবাহিনীর অর্ধেক সদস্যকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বে থাকা সেনাসদস্যের সংখ্যা কমছে না।
আজ রোববার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা-বিষয়ক কোর কমিটির সভা হয়েছিল। ওই সভার সূত্র ধরেই কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা সেনাবাহিনীর ৫০ শতাংশ সদস্যকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এ নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এই মুহূর্তে সেনাবাহিনী আগে যেমন ছিল, তেমনই থাকবে।’
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ১৩ নভেম্বর ঢাকায় লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কোনো নিরাপত্তা শঙ্কা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো ধরনের আশঙ্কা নেই।’

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নির্বাচন এখন কতিপয় জটিল অসুখে আক্রান্ত। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় গণতন্ত্রের অবস্থা সংকটাপন্ন। একক ডাক্তারের পক্ষে তাকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে মেডিকেল বোর্ড গঠনের কোনো বিকল্প নেই।
১০ অক্টোবর ২০২১
প্রস্তাবে বলা হয়, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কাজ গুণগত ও পরিমাণগত দিক দিয়ে আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড বাড়িয়ে ১০ম করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা সম্মতি দিয়েছেন। তাই যৌক্তিকতা বিবেচনা করে সহকারী শিক্ষকদের...
২ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) সেনাসদরে তাঁদের মধ্যে সাক্ষাৎকারটি অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের জন্য গণমাধ্যম নীতিমালায় বেশ কিছু অসংগতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) ও রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)। এসব বিষয়ে সংশোধনের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে লিখিত...
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন দুই ধাপ বাড়িয়ে ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার প্রস্তাব পাঠিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে বছরে অতিরিক্ত ব্যয় হবে ৮৩১ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে লিখিতভাবে এ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তার আগে একই প্রস্তাব অর্থ বিভাগেও পাঠানো হয়।
প্রস্তাবে বলা হয়, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কাজ গুণগত ও পরিমাণগত দিক দিয়ে আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড বাড়িয়ে ১০ম করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা সম্মতি দিয়েছেন। তাই যৌক্তিকতা বিবেচনা করে সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে উন্নীত করা প্রয়োজন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা বর্তমানে ১৩তম গ্রেডে বেতন পান। প্রস্তাব অনুযায়ী, নতুন কাঠামোয় তাঁরা ১১তম গ্রেডে চলে আসবেন। এতে প্রত্যেক শিক্ষকের বেতন গড়ে কয়েক হাজার টাকা বৃদ্ধি পাবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি ও পেশাগত মর্যাদা বিবেচনায় নিয়ে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে বছরে অতিরিক্ত ব্যয় হবে ৮৩১ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এখন অর্থ বিভাগ ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অনুমোদনের পর বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি। এসব বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত।
গতকাল শনিবার থেকে ১০ম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’।
প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের আরেক অংশ ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে একাদশ গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেড নিয়ে জটিলতা নিরসন ও শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিত করতে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দেয়।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন দুই ধাপ বাড়িয়ে ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার প্রস্তাব পাঠিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে বছরে অতিরিক্ত ব্যয় হবে ৮৩১ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে লিখিতভাবে এ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তার আগে একই প্রস্তাব অর্থ বিভাগেও পাঠানো হয়।
প্রস্তাবে বলা হয়, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কাজ গুণগত ও পরিমাণগত দিক দিয়ে আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড বাড়িয়ে ১০ম করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা সম্মতি দিয়েছেন। তাই যৌক্তিকতা বিবেচনা করে সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে উন্নীত করা প্রয়োজন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা বর্তমানে ১৩তম গ্রেডে বেতন পান। প্রস্তাব অনুযায়ী, নতুন কাঠামোয় তাঁরা ১১তম গ্রেডে চলে আসবেন। এতে প্রত্যেক শিক্ষকের বেতন গড়ে কয়েক হাজার টাকা বৃদ্ধি পাবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি ও পেশাগত মর্যাদা বিবেচনায় নিয়ে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে বছরে অতিরিক্ত ব্যয় হবে ৮৩১ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এখন অর্থ বিভাগ ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অনুমোদনের পর বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি। এসব বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত।
গতকাল শনিবার থেকে ১০ম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’।
প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের আরেক অংশ ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে একাদশ গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেড নিয়ে জটিলতা নিরসন ও শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিত করতে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দেয়।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নির্বাচন এখন কতিপয় জটিল অসুখে আক্রান্ত। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় গণতন্ত্রের অবস্থা সংকটাপন্ন। একক ডাক্তারের পক্ষে তাকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে মেডিকেল বোর্ড গঠনের কোনো বিকল্প নেই।
১০ অক্টোবর ২০২১
গত বছরের আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর থেকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সম্প্রতি বেশ কিছু গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয় যে সেনাবাহিনীর অর্ধেক সদস্যকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
১৪ মিনিট আগে
পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) সেনাসদরে তাঁদের মধ্যে সাক্ষাৎকারটি অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের জন্য গণমাধ্যম নীতিমালায় বেশ কিছু অসংগতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) ও রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)। এসব বিষয়ে সংশোধনের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে লিখিত...
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) সেনাসদরে তাঁদের মধ্যে সাক্ষাৎকারটি অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সেনাবাহিনী বলেছে, সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার ও পারস্পরিক সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এ ছাড়া যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও পরিদর্শনের মাধ্যমে সামরিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নিয়েও তাঁরা মতবিনিময় করেন। অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ চলতি বছরের গত ফেব্রুয়ারি মাসে করাচি ও উত্তর আরব সাগরে অনুষ্ঠিত যৌথ অনুশীলন AMAN-এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণকারীদের পেশাদারত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) সেনাসদরে তাঁদের মধ্যে সাক্ষাৎকারটি অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সেনাবাহিনী বলেছে, সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার ও পারস্পরিক সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এ ছাড়া যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও পরিদর্শনের মাধ্যমে সামরিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নিয়েও তাঁরা মতবিনিময় করেন। অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ চলতি বছরের গত ফেব্রুয়ারি মাসে করাচি ও উত্তর আরব সাগরে অনুষ্ঠিত যৌথ অনুশীলন AMAN-এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণকারীদের পেশাদারত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নির্বাচন এখন কতিপয় জটিল অসুখে আক্রান্ত। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় গণতন্ত্রের অবস্থা সংকটাপন্ন। একক ডাক্তারের পক্ষে তাকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে মেডিকেল বোর্ড গঠনের কোনো বিকল্প নেই।
১০ অক্টোবর ২০২১
গত বছরের আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর থেকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সম্প্রতি বেশ কিছু গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয় যে সেনাবাহিনীর অর্ধেক সদস্যকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
১৪ মিনিট আগে
প্রস্তাবে বলা হয়, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কাজ গুণগত ও পরিমাণগত দিক দিয়ে আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড বাড়িয়ে ১০ম করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা সম্মতি দিয়েছেন। তাই যৌক্তিকতা বিবেচনা করে সহকারী শিক্ষকদের...
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের জন্য গণমাধ্যম নীতিমালায় বেশ কিছু অসংগতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) ও রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)। এসব বিষয়ে সংশোধনের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে লিখিত...
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের জন্য গণমাধ্যম নীতিমালায় বেশ কিছু অসংগতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) ও রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)। এসব বিষয়ে সংশোধনের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে লিখিত সুপারিশপত্র দিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা।
আজ রোববার (৯ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে এক বৈঠকে এই দাবি জানানো হয়। পরে সিইসির পক্ষ থেকে গণমাধ্যম নীতিমালা সংশোধনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
বৈঠকের পর বিজেসির চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক রাজা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যে আচরণবিধি (নীতিমালা) তৈরি করেছে, তাতে আমাদের সাংবাদিকদের কিছু বিষয়ে আপত্তি রয়েছে। আমরা ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার ও রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) যৌথভাবে একাধিক সেমিনার করেছি, যেখানে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, অংশীজন ও সংবাদকর্মীদের মতামত নিয়ে আমরা একটি সুপারিশমালা তৈরি করেছি। ওই সুপারিশমালা নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দিয়েছি।’
রেজোয়ানুল হক রাজা জানান, বৈঠকে ইসির সিনিয়র সচিবসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁরা সাংবাদিকদের প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
বিজেসির চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমরা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছি যে, ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের পর প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অবহিত করার যে বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে, সেটি সাংবাদিকদের জন্য অপ্রয়োজনীয় প্রতিবন্ধকতা। আমাদের যদি আইডি কার্ড ইস্যু করা থাকে, তাহলে আলাদা করে অনুমতি চাওয়ার প্রয়োজন নেই। কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট থাকার সীমা নিয়েও আপত্তি জানিয়েছি।’
রেজোয়ানুল হক রাজা বলেন, ‘কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি কোনো কঠোর সময়সীমা নয়, বরং কেন্দ্রের জায়গার সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় একটি সাধারণ নির্দেশনামাত্র। আমরা বুঝেছি, সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা সীমিত করার উদ্দেশ্যে এই ধারা নয়।’
বিজেসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা আশ্বস্ত যে কমিশন আন্তরিকভাবে সাংবাদিকদের সহযোগিতা করতে চায়। এমনকি কমিশন নিজেও মনে করে, সিসি ক্যামেরা না থাকলেও সাংবাদিকদের ক্যামেরা থাকলে সেটি ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।’
সরাসরি সম্প্রচার নিয়েও আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে রেজোয়ানুল হক বলেন, ‘আমরা বলেছি, সাংবাদিকদের উচিত দায়িত্বশীল থাকা, যেন সম্প্রচারে ভোট গ্রহণপ্রক্রিয়ায় কোনো বিঘ্ন না ঘটে। তবে যদি কোনো অনিয়ম বা কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটে, সে ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। এসব পরিস্থিতিতে কঠোর নীতিমালা কার্যকর রাখা সম্ভব নয়।’
রেজোয়ানুল বলেন, ‘আমরা আশা করছি, নির্বাচন কমিশন দ্রুত আমাদের সুপারিশগুলো বিবেচনা করে আচরণবিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনবে। এতে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখা সহজ হবে এবং জনগণের জানার অধিকার আরও সুরক্ষিত হবে।’
আরএফইডি সভাপতি কাজী জেবেল বলেন, ‘আমরা বলেছি, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটলে যারা এ ধরনের ঘটনায় জড়িত থাকবে, তাদের বিচার নিশ্চিত করার বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। সাংবাদিকদের ওপর হামলা, ক্যামেরাপারসনের ওপর আক্রমণ বা সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেওয়ার ক্ষেত্রে কী ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা এই নীতিমালায় স্পষ্টভাবে যুক্ত করতে হবে।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের জন্য গণমাধ্যম নীতিমালায় বেশ কিছু অসংগতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) ও রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)। এসব বিষয়ে সংশোধনের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে লিখিত সুপারিশপত্র দিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা।
আজ রোববার (৯ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে এক বৈঠকে এই দাবি জানানো হয়। পরে সিইসির পক্ষ থেকে গণমাধ্যম নীতিমালা সংশোধনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
বৈঠকের পর বিজেসির চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক রাজা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যে আচরণবিধি (নীতিমালা) তৈরি করেছে, তাতে আমাদের সাংবাদিকদের কিছু বিষয়ে আপত্তি রয়েছে। আমরা ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার ও রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) যৌথভাবে একাধিক সেমিনার করেছি, যেখানে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, অংশীজন ও সংবাদকর্মীদের মতামত নিয়ে আমরা একটি সুপারিশমালা তৈরি করেছি। ওই সুপারিশমালা নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দিয়েছি।’
রেজোয়ানুল হক রাজা জানান, বৈঠকে ইসির সিনিয়র সচিবসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁরা সাংবাদিকদের প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
বিজেসির চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমরা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছি যে, ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের পর প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অবহিত করার যে বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে, সেটি সাংবাদিকদের জন্য অপ্রয়োজনীয় প্রতিবন্ধকতা। আমাদের যদি আইডি কার্ড ইস্যু করা থাকে, তাহলে আলাদা করে অনুমতি চাওয়ার প্রয়োজন নেই। কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট থাকার সীমা নিয়েও আপত্তি জানিয়েছি।’
রেজোয়ানুল হক রাজা বলেন, ‘কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি কোনো কঠোর সময়সীমা নয়, বরং কেন্দ্রের জায়গার সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় একটি সাধারণ নির্দেশনামাত্র। আমরা বুঝেছি, সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা সীমিত করার উদ্দেশ্যে এই ধারা নয়।’
বিজেসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা আশ্বস্ত যে কমিশন আন্তরিকভাবে সাংবাদিকদের সহযোগিতা করতে চায়। এমনকি কমিশন নিজেও মনে করে, সিসি ক্যামেরা না থাকলেও সাংবাদিকদের ক্যামেরা থাকলে সেটি ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।’
সরাসরি সম্প্রচার নিয়েও আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে রেজোয়ানুল হক বলেন, ‘আমরা বলেছি, সাংবাদিকদের উচিত দায়িত্বশীল থাকা, যেন সম্প্রচারে ভোট গ্রহণপ্রক্রিয়ায় কোনো বিঘ্ন না ঘটে। তবে যদি কোনো অনিয়ম বা কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটে, সে ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। এসব পরিস্থিতিতে কঠোর নীতিমালা কার্যকর রাখা সম্ভব নয়।’
রেজোয়ানুল বলেন, ‘আমরা আশা করছি, নির্বাচন কমিশন দ্রুত আমাদের সুপারিশগুলো বিবেচনা করে আচরণবিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনবে। এতে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখা সহজ হবে এবং জনগণের জানার অধিকার আরও সুরক্ষিত হবে।’
আরএফইডি সভাপতি কাজী জেবেল বলেন, ‘আমরা বলেছি, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটলে যারা এ ধরনের ঘটনায় জড়িত থাকবে, তাদের বিচার নিশ্চিত করার বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। সাংবাদিকদের ওপর হামলা, ক্যামেরাপারসনের ওপর আক্রমণ বা সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেওয়ার ক্ষেত্রে কী ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা এই নীতিমালায় স্পষ্টভাবে যুক্ত করতে হবে।’

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নির্বাচন এখন কতিপয় জটিল অসুখে আক্রান্ত। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় গণতন্ত্রের অবস্থা সংকটাপন্ন। একক ডাক্তারের পক্ষে তাকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে মেডিকেল বোর্ড গঠনের কোনো বিকল্প নেই।
১০ অক্টোবর ২০২১
গত বছরের আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর থেকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সম্প্রতি বেশ কিছু গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয় যে সেনাবাহিনীর অর্ধেক সদস্যকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
১৪ মিনিট আগে
প্রস্তাবে বলা হয়, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কাজ গুণগত ও পরিমাণগত দিক দিয়ে আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড বাড়িয়ে ১০ম করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা সম্মতি দিয়েছেন। তাই যৌক্তিকতা বিবেচনা করে সহকারী শিক্ষকদের...
২ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) সেনাসদরে তাঁদের মধ্যে সাক্ষাৎকারটি অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে