নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন এখন সরকারের বড় লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। আজ রোববার সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে দেশি বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিরা যোগ দেবেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একটা সময় দেশের কিছুই ছিল না। সেই জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে সব ধরনের সম্পদ ব্যবহার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হচ্ছে অবকাঠামোগত উন্নয়ন। এর মাধ্যমে সরকার শহর থেকে গ্রামে উন্নয়ন পৌঁছে যেতে চায়।
দেশের উন্নয়নের জন্য বড় বড় আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকেও একটা সময় ধার করা হয়েছে উল্লেখ করে এম এ মান্নান বলেন, যেহেতু একটা সময় দেশের কিছু ছিল না তাই সরকার বিশ্ব ব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক থেকে ধার নিয়েছে। আবার অন্য দেশের সরকার থেকেও নিয়েছে। এসব সম্পদ কৃষিতে এবং ক্ষুদ্র শিল্পে বিনিয়োগ করা হয়েছে উন্নয়নের জন্য।
মন্ত্রী জানান, একটা বড় বিনিয়োগের জায়গা হচ্ছে অবকাঠামো। এই সরকার অবকাঠামো ও উন্নয়নকে সর্বত্র গুরুত্ব দিয়েছে। এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে দেশের শতভাগ বাড়িতে। বাকি আছে রাস্তা, ব্রিজ তৈরি করা। সেটা সরকার করছে।
বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য বন্ধু দরকার উল্লেখ করে এম এ মান্নান বলেন, ‘এটা আমাদের একটা অন্যতম লক্ষ্য। বাংলাদেশ সব প্রতিবেশীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়। কারও সঙ্গে সংঘর্ষ বা যুদ্ধ চায় না। সরকার চায় দেশের মধ্যে থেকে বুদ্ধিভিত্তিক চর্চা করতে। অনৈতিক বিপর্যয় থেকে বের হয়ে আসতে।’
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের দুইটা জিনিস এখন দরকার। দেশের প্রতিবেশী সম্পর্কে ভালো করে জানতে হবে। বে অব বেঙ্গল এই অঞ্চল সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। আর কারা দেশের প্রতিবেশী এটা বুঝতে হবে।
বেঙ্গল সম্মেলনের প্রশংসা করে বলেন, ‘তার জন্য এ ধরনের সম্মেলন অনেক উপকার করবে। সরকারের একজন মন্ত্রী হিসেবে বলতে চাই, এ ধরনের সম্মেলনে যারা কথা বলেন তাদের কথা, তাদের যুক্তি, আলোচনা দেশের কাজে আসবে।’
সরকারের প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্য দূর করা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের সম্পদ আহরণ করে সেটি কাজে লাগানো। এটি এক সময় বিপরীতভাবে ছিল। সে সময় একটি পক্ষ মানুষকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে ও শুধু সম্পদ আহরণ করেছিল।
বে অব বেঙ্গল সম্মেলনে আজ ছয়টি অধিবেশনে হয়েছে। এর মধ্যে একটি অধিবেশনে বক্তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের তাগিদ দিয়েছেন। বাংলাদেশের বৈদ্যুতিক শক্তির একটি বড় অংশ আসে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে। এই জায়গা থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানান বক্তারা। সারা পৃথিবী এখন কার্বন দূষণ রোধে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে ধাবিত হচ্ছে। কিন্তু দেশে মাত্র দেড় ভাগের কম ক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার হচ্ছে বলে জানানো হয় অধিবেশনে।
এই অধিবেশনে ইউএস এইড ব্যাজের ডেপুটি চিফ পার্টি আলম হোসাইন মন্ডল তার ক্লিন এনার্জি উত্তরণ নিয়ে উপস্থাপনায় দেশের বিদ্যুৎ খাতের অবস্থান তুলে ধরেন। বাংলাদেশ সরকার একটা বড় অংশ বিদ্যুৎ আমদানি করে। এর জন্য বিদ্যুতে ভর্তুকির পরিমাণ অনেক বেশি। আবার দেখা যায়, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় ফার্নেস তেল, গ্যাস ও কয়লা। তাই নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বাড়ালে এ ক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়া যাবে।
সম্মেলনে সার্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বোরিস ট্যাডিক যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানান। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের কথা বলেন।
বোরিস ট্যাডিক বলেন, এখন সবাই একটি অপ্রত্যাশিত পৃথিবীতে বসবাস করছে। সমাজ বিজ্ঞানের কাজ কি হতে পারে। অন্যান্য বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে অনেক সমস্যা সমাধান করা হচ্ছে। কিন্তু রাজনীতির ক্ষেত্রে সেটা করা হচ্ছে না। রাজনীতিতে আরও বিশেষজ্ঞ ও পারস্পরিক সহযোগিতা দরকার। করোনার সময় ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলেও বিভিন্ন দেশ ভ্যাকসিনের গুণাগুণ নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমেছিল। এটা কোনো ভাবেই কাম্য নয়।
তিনি বলেন, পশ্চিমা বিশ্বও আন্তর্জাতিক আইন মানছে না। তারাও বিভিন্নভাবে বিভিন্ন দেশে আইন ভঙ্গ করে আক্রমণ করছে। এ ক্ষেত্রে সহমর্মিতা দরকার সবার মধ্যে।
দেশের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন এখন সরকারের বড় লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। আজ রোববার সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে দেশি বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিরা যোগ দেবেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একটা সময় দেশের কিছুই ছিল না। সেই জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে সব ধরনের সম্পদ ব্যবহার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হচ্ছে অবকাঠামোগত উন্নয়ন। এর মাধ্যমে সরকার শহর থেকে গ্রামে উন্নয়ন পৌঁছে যেতে চায়।
দেশের উন্নয়নের জন্য বড় বড় আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকেও একটা সময় ধার করা হয়েছে উল্লেখ করে এম এ মান্নান বলেন, যেহেতু একটা সময় দেশের কিছু ছিল না তাই সরকার বিশ্ব ব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক থেকে ধার নিয়েছে। আবার অন্য দেশের সরকার থেকেও নিয়েছে। এসব সম্পদ কৃষিতে এবং ক্ষুদ্র শিল্পে বিনিয়োগ করা হয়েছে উন্নয়নের জন্য।
মন্ত্রী জানান, একটা বড় বিনিয়োগের জায়গা হচ্ছে অবকাঠামো। এই সরকার অবকাঠামো ও উন্নয়নকে সর্বত্র গুরুত্ব দিয়েছে। এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে দেশের শতভাগ বাড়িতে। বাকি আছে রাস্তা, ব্রিজ তৈরি করা। সেটা সরকার করছে।
বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য বন্ধু দরকার উল্লেখ করে এম এ মান্নান বলেন, ‘এটা আমাদের একটা অন্যতম লক্ষ্য। বাংলাদেশ সব প্রতিবেশীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়। কারও সঙ্গে সংঘর্ষ বা যুদ্ধ চায় না। সরকার চায় দেশের মধ্যে থেকে বুদ্ধিভিত্তিক চর্চা করতে। অনৈতিক বিপর্যয় থেকে বের হয়ে আসতে।’
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের দুইটা জিনিস এখন দরকার। দেশের প্রতিবেশী সম্পর্কে ভালো করে জানতে হবে। বে অব বেঙ্গল এই অঞ্চল সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। আর কারা দেশের প্রতিবেশী এটা বুঝতে হবে।
বেঙ্গল সম্মেলনের প্রশংসা করে বলেন, ‘তার জন্য এ ধরনের সম্মেলন অনেক উপকার করবে। সরকারের একজন মন্ত্রী হিসেবে বলতে চাই, এ ধরনের সম্মেলনে যারা কথা বলেন তাদের কথা, তাদের যুক্তি, আলোচনা দেশের কাজে আসবে।’
সরকারের প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্য দূর করা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের সম্পদ আহরণ করে সেটি কাজে লাগানো। এটি এক সময় বিপরীতভাবে ছিল। সে সময় একটি পক্ষ মানুষকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে ও শুধু সম্পদ আহরণ করেছিল।
বে অব বেঙ্গল সম্মেলনে আজ ছয়টি অধিবেশনে হয়েছে। এর মধ্যে একটি অধিবেশনে বক্তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের তাগিদ দিয়েছেন। বাংলাদেশের বৈদ্যুতিক শক্তির একটি বড় অংশ আসে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে। এই জায়গা থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানান বক্তারা। সারা পৃথিবী এখন কার্বন দূষণ রোধে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে ধাবিত হচ্ছে। কিন্তু দেশে মাত্র দেড় ভাগের কম ক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার হচ্ছে বলে জানানো হয় অধিবেশনে।
এই অধিবেশনে ইউএস এইড ব্যাজের ডেপুটি চিফ পার্টি আলম হোসাইন মন্ডল তার ক্লিন এনার্জি উত্তরণ নিয়ে উপস্থাপনায় দেশের বিদ্যুৎ খাতের অবস্থান তুলে ধরেন। বাংলাদেশ সরকার একটা বড় অংশ বিদ্যুৎ আমদানি করে। এর জন্য বিদ্যুতে ভর্তুকির পরিমাণ অনেক বেশি। আবার দেখা যায়, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় ফার্নেস তেল, গ্যাস ও কয়লা। তাই নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বাড়ালে এ ক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়া যাবে।
সম্মেলনে সার্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বোরিস ট্যাডিক যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানান। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের কথা বলেন।
বোরিস ট্যাডিক বলেন, এখন সবাই একটি অপ্রত্যাশিত পৃথিবীতে বসবাস করছে। সমাজ বিজ্ঞানের কাজ কি হতে পারে। অন্যান্য বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে অনেক সমস্যা সমাধান করা হচ্ছে। কিন্তু রাজনীতির ক্ষেত্রে সেটা করা হচ্ছে না। রাজনীতিতে আরও বিশেষজ্ঞ ও পারস্পরিক সহযোগিতা দরকার। করোনার সময় ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলেও বিভিন্ন দেশ ভ্যাকসিনের গুণাগুণ নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমেছিল। এটা কোনো ভাবেই কাম্য নয়।
তিনি বলেন, পশ্চিমা বিশ্বও আন্তর্জাতিক আইন মানছে না। তারাও বিভিন্নভাবে বিভিন্ন দেশে আইন ভঙ্গ করে আক্রমণ করছে। এ ক্ষেত্রে সহমর্মিতা দরকার সবার মধ্যে।
ফুটবল, ক্রিকেট, কাবাডি, নৌকাবাইচের মতো অনুমোদিত খেলায় আর্থিক ঝুঁকি তৈরি হলে সেগুলোকে জুয়া হিসেবে গণ্য করা হবে। এ জন্য দুই বছর কারাদণ্ড, ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। জুয়া নিয়ে ফেসবুকে প্রচার করলেও দেওয়া হবে জেল-জরিমানা। অফলাইন ও অনলাইনে জুয়া খেলাকে নিয়ন্ত্রণ করতে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত করেছে
৩৫ মিনিট আগেসাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজধানীর উত্তরা থানা পুলিশ রোববার (২২ জুন) একটি সুনির্দিষ্ট মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তবে এ সময় ‘মব’ কর্তৃক সৃষ্ট বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এবং অভিযুক্তকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনা সরকারের নজরে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগেভারতীয় টিভি চ্যানেল রিপাবলিক বাংলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং বাংলাদেশে তাদের সম্প্রচার নিষিদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
৫ ঘণ্টা আগেপররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই হামলার পরিণতিতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা ইতিমধ্যেই নাজুক একটি অঞ্চলের স্থিতিশীলতা আরও বিঘ্নিত করার ঝুঁকি তৈরি করেছে, যা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি হুমকিস্বরূপ। বাংলাদেশ সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা
৭ ঘণ্টা আগে