নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দিনভর বৃষ্টি। গুমটমুখো আকাশ। কে বলবে এমন দিনেও নজরুলের গানে মেতে উঠবে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ। কিন্তু নজরুলের উদ্দাম যে এই তরুণদের শিহরণ জাগিয়ে তোলে, তা আরেকবার প্রমাণিত হলো। সন্ধ্যা নামতেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজির তরুণ-তরুণীরা। শুরু হয়ে গেল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গান নিয়ে রক কনসার্ট।
শিরোনামহীনের গান ‘কাণ্ডারী হুঁশিয়ার’ দিয়ে শুরু হয় কনসার্ট। একে একে পরিবেশিত হয় আমন্ত্রিত ব্যান্ডের পরিবেশনায় জাতীয় কবির গান। বলে রাখা ভালো, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে গ্রাফিতি থেকে তরুণদের মুখে প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। জাতীয় কবির কবিতা, গান হয়ে ওঠে প্রতিবাদের ভাষা। তাই বিদ্রোহ কবির দ্রোহ ও জাগরণের ১০টি গান নতুন আঙ্গিকে তরুণদের সামনে উপস্থাপনের জন্য একটি অ্যালবাম তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। অ্যালবামের প্রকাশনা উপলক্ষেই ‘নজরুল রক কনসার্ট ২০২৫’-এর আয়োজন।
গতকাল বিকেল ৫টায় কনসার্ট শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামে বিকেলজুড়ে। তবু হাল ছেড়ে দেননি আয়োজকেরা। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ইভেন্ট ম্যানেজার আমরান আজকের পত্রিকাকে জানান, সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তাঁরা অপেক্ষা করবেন। আবহাওয়া ভালো হলে কনসার্ট শুরু হবে। অবশেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হয় কাঙ্ক্ষিত গানের আয়োজন।
অ্যালবামটিতে আছে ১০টি গান। গানগুলোতে অংশ নিয়েছে দেশের নামকরা ১০টি ব্যান্ড। গতকাল কনসার্টে এই ১০ ব্যান্ড অংশগ্রহণ করে। শুধু গান দিয়েই সাজানো ছিল না কনসার্ট, একটি ব্যান্ড গান পরিবেশনের পরে অপর ব্যান্ড মঞ্চে ওঠার মাঝে চলে নজরুলের কবিতার আবৃত্তি।
শিরোনামহীনের গান পরিবেশনের পরে আবৃত্তি করা হয় নজরুলের বিখ্যাত কবিতা ‘আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে’। এরপরে মঞ্চে আসে ব্যান্ড ব্ল্যাক। তারা পরিবেশন করে ‘পরদেশী মেঘ’, ‘জাগো নারী জাগো বহ্নিশিখা’। মঞ্চে এফ মাইনর পরিবেশন করে ‘জয় হোক’, মিজান অ্যান্ড ব্রাদার্স পরিবেশন করে ‘মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম’, দলছুট গেয়ে শোনায় ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’, ‘মেঘের ডমরু ঘন বাজে’, ওয়ারফেজ পরিবেশন করে ‘উচাটন মন ঘরে রয় না’, ‘কারার ঐ লৌহ-কবাট, রেবেল গেয়ে শোনায় ‘রুম ঝুম রুম ঝুম কে বাজায়’, ‘বাজিছে দামামা বাঁধরে আমামা’, ‘চল চল চল’, ডিফরেন্ট টাচ পরিবেশন করে ‘ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি’, ‘একি অপরূপ রূপে মা তোমার’, আর্ক উপস্থাপন করে ‘ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ’ এবং সোলস এর পরিবেশনা ‘এই শিকল-পরা ছল্’ দিয়ে শেষ হয় কনসার্ট। ‘মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম’ প্রতিপাদ্য নিয়ে রাত প্রায় ১১টা পর্যন্ত তারুণ্যের উন্মাদনায় মুখর হয়ে ছিল মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ।
নজরুলের গানের এই অ্যালবাম আনছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউট, সহযোগিতায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী জানিয়েছেন, অ্যালবামটি করার উদ্দেশ্য হলো, ভবিষ্যতে এসব গান যদি কোনো ব্যান্ড কাভার করতে চায়, তাহলে গানগুলো রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে। কারণ, প্রতিটি গান সঠিকভাবে করা হচ্ছে। বাণী থেকে শুরু করে প্রতিটি জিনিস ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। আর পুরো প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে আছেন নজরুলসংগীতশিল্পী ইয়াকুব আলী খান। অ্যালবামটির প্রতিটি গান ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইট, ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলোতে প্রকাশ করা হবে।
দিনভর বৃষ্টি। গুমটমুখো আকাশ। কে বলবে এমন দিনেও নজরুলের গানে মেতে উঠবে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ। কিন্তু নজরুলের উদ্দাম যে এই তরুণদের শিহরণ জাগিয়ে তোলে, তা আরেকবার প্রমাণিত হলো। সন্ধ্যা নামতেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজির তরুণ-তরুণীরা। শুরু হয়ে গেল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গান নিয়ে রক কনসার্ট।
শিরোনামহীনের গান ‘কাণ্ডারী হুঁশিয়ার’ দিয়ে শুরু হয় কনসার্ট। একে একে পরিবেশিত হয় আমন্ত্রিত ব্যান্ডের পরিবেশনায় জাতীয় কবির গান। বলে রাখা ভালো, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে গ্রাফিতি থেকে তরুণদের মুখে প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। জাতীয় কবির কবিতা, গান হয়ে ওঠে প্রতিবাদের ভাষা। তাই বিদ্রোহ কবির দ্রোহ ও জাগরণের ১০টি গান নতুন আঙ্গিকে তরুণদের সামনে উপস্থাপনের জন্য একটি অ্যালবাম তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। অ্যালবামের প্রকাশনা উপলক্ষেই ‘নজরুল রক কনসার্ট ২০২৫’-এর আয়োজন।
গতকাল বিকেল ৫টায় কনসার্ট শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামে বিকেলজুড়ে। তবু হাল ছেড়ে দেননি আয়োজকেরা। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ইভেন্ট ম্যানেজার আমরান আজকের পত্রিকাকে জানান, সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তাঁরা অপেক্ষা করবেন। আবহাওয়া ভালো হলে কনসার্ট শুরু হবে। অবশেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হয় কাঙ্ক্ষিত গানের আয়োজন।
অ্যালবামটিতে আছে ১০টি গান। গানগুলোতে অংশ নিয়েছে দেশের নামকরা ১০টি ব্যান্ড। গতকাল কনসার্টে এই ১০ ব্যান্ড অংশগ্রহণ করে। শুধু গান দিয়েই সাজানো ছিল না কনসার্ট, একটি ব্যান্ড গান পরিবেশনের পরে অপর ব্যান্ড মঞ্চে ওঠার মাঝে চলে নজরুলের কবিতার আবৃত্তি।
শিরোনামহীনের গান পরিবেশনের পরে আবৃত্তি করা হয় নজরুলের বিখ্যাত কবিতা ‘আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে’। এরপরে মঞ্চে আসে ব্যান্ড ব্ল্যাক। তারা পরিবেশন করে ‘পরদেশী মেঘ’, ‘জাগো নারী জাগো বহ্নিশিখা’। মঞ্চে এফ মাইনর পরিবেশন করে ‘জয় হোক’, মিজান অ্যান্ড ব্রাদার্স পরিবেশন করে ‘মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম’, দলছুট গেয়ে শোনায় ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’, ‘মেঘের ডমরু ঘন বাজে’, ওয়ারফেজ পরিবেশন করে ‘উচাটন মন ঘরে রয় না’, ‘কারার ঐ লৌহ-কবাট, রেবেল গেয়ে শোনায় ‘রুম ঝুম রুম ঝুম কে বাজায়’, ‘বাজিছে দামামা বাঁধরে আমামা’, ‘চল চল চল’, ডিফরেন্ট টাচ পরিবেশন করে ‘ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি’, ‘একি অপরূপ রূপে মা তোমার’, আর্ক উপস্থাপন করে ‘ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ’ এবং সোলস এর পরিবেশনা ‘এই শিকল-পরা ছল্’ দিয়ে শেষ হয় কনসার্ট। ‘মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম’ প্রতিপাদ্য নিয়ে রাত প্রায় ১১টা পর্যন্ত তারুণ্যের উন্মাদনায় মুখর হয়ে ছিল মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ।
নজরুলের গানের এই অ্যালবাম আনছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউট, সহযোগিতায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী জানিয়েছেন, অ্যালবামটি করার উদ্দেশ্য হলো, ভবিষ্যতে এসব গান যদি কোনো ব্যান্ড কাভার করতে চায়, তাহলে গানগুলো রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে। কারণ, প্রতিটি গান সঠিকভাবে করা হচ্ছে। বাণী থেকে শুরু করে প্রতিটি জিনিস ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। আর পুরো প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে আছেন নজরুলসংগীতশিল্পী ইয়াকুব আলী খান। অ্যালবামটির প্রতিটি গান ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইট, ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলোতে প্রকাশ করা হবে।
রেলযাত্রা নিয়ে মানুষের ভোগান্তির গল্পের শেষ নেই। সময়মতো ট্রেন না ছাড়া, দরকারি টিকিট না পাওয়া, অপরিচ্ছন্ন আসন, নোংরা প্ল্যাটফর্ম— এমন অভিযোগের দীর্ঘ তালিকা রয়েছে যাত্রী-মনে। ট্রেনে ও স্টেশনে সেসব অভিযোগ জানানোর জন্য রয়েছে বড় আকারের রুলটানা খাতা, যার সরকারি নাম ‘কমপ্লেইন রেজিস্ট্রার বুক’।
৩১ মিনিট আগেঅবশেষে ব্ল্যাংক স্মার্ট কার্ড কেনার জট খুলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসের (সেপ্টেম্বর) প্রথম সপ্তাহ থেকে ব্ল্যাংক স্মার্ট কার্ড হাতে পাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আইডেনটিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পের মাধ্যমে ২ কোটি ৩৬ লাখ ৩৪ হাজার কার্ড কিনছে...
৩ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি সংবাদপত্রে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে, যেখানে সাবেক সরকারি কর্মকর্তা এ বি এম আব্দুস সাত্তার নাম উল্লেখ না করে কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। আমরা এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। প্রমাণ উপস্থাপন বা ব্যক্তিদের...
৯ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থাতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে
১ দিন আগে