নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই আন্দোলনে শহীদ মারুফ হোসেনের বাবা মো. ইদ্রিস একজন ফুচকা ও চটপটি বিক্রেতা। গ্রাম থেকে ঢাকায় এসেছিল বাবাকে সাহায্য করতে। আন্দোলনে গিয়ে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারায় মারুফ। ছেলের যেদিন গুলিবিদ্ধ হয় সেই দিনের বর্ণনা দিয়ে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।
মো. ইদ্রিস বলেন, ‘আমার ছেলে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত। সময় পেলেই গ্রাম থেকে ঢাকায় এসে আমাকে সহযোগিতা করত। ১৯ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টায় আমার ছেলে মারুফ আন্দোলনের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তার সঙ্গে ছিল তার মামা ফয়সাল। জুমার নামাজের পর তারা বাসায় ফিরে আসলে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করি।’ এ কথা বলেই তিনি কাঁদতে থাকেন। একটু স্থির হয়ে ইদ্রিস বলেন, ‘পরে সাড়ে ৩টায় আবার বের হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তার মামা আমাকে ফোন করে জানায় যে, রামপুরা ব্রিজের ওপর থেকে পুলিশ, বিজিবি ও ছাত্রলীগ আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি করছে। পৌনে ৬টার দিকে ফোন করে জানায়, মারুফ গুলিবিদ্ধ হয়েছে বাড্ডা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে। তখন তাকে এএমজেড হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
ইদ্রিস বলেন, মারুফের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকা মেডিকেলে নিতে বলে সেখানকার ডাক্তাররা। পথে রামপুরা ব্রিজের ওপর আওয়ামী লীগ, পুলিশ, বিজিবি মিলে আমার ছেলেকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি আটকায়। তখন মারুফের অক্সিজেন লাগানো ছিল, সে বেঁচে ছিল। ১৫-২০ মিনিট ধরে আটকে রাখার পর পুলিশ জানায়, সে মারা গেছে, তাকে হাসপাতালে নেওয়ার দরকার নেই। আমার ছেলের গুলিবিদ্ধ স্থানটি তখন গামছা দিয়ে প্যাঁচানো ছিল। পুলিশ রাইফেলের বাঁট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে সেটি দেখে। তখন আমাদের ছেলে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল।’
তিনি বলেন, ‘সেখান থেকে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয় ছেলেকে। এরপর ৭টা ২০ মিনিটের দিকে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’ এরপর আবার কাঁদতে থাকেন মো. ইদ্রিস।
ইদ্রিস আরও বলেন, ছেলের লাশ নিয়ে যেতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পোস্টমর্টেম ছাড়া দিতে চায়নি। দুদিন পর ২১ জুলাই পোস্টমর্টেম করে আমার ছেলের লাশ হস্তান্তর করে। পুলিশি বাধার কারণে ছেলের লাশের পোস্টমর্টেম করতে দেরি হয়েছে। বাড্ডা থানার ওসি তার এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন। পূর্ব বাড্ডার কবরস্থানে ছেলের লাশ দাফন করা হয়।
ছেলের হত্যাকাণ্ডের জন্য নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান কামাল, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্থানীয় এমপি ওয়াকিল উদ্দিন এবং মাঠে থাকা কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম ও বিজিবির রেদোয়ানের বিচার চান মো. ইদ্রিস।
আজ সোমবার ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দিতে এসব কথা বলেন মো. ইদ্রিস। জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় এই বর্ণনা দেন তিনি।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ এই সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। শেখ হাসিনা ছাড়া এই মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। এই মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক। আর পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়েছেন।
শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সাক্ষীদের জেরা করেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
জুলাই আন্দোলনে শহীদ মারুফ হোসেনের বাবা মো. ইদ্রিস একজন ফুচকা ও চটপটি বিক্রেতা। গ্রাম থেকে ঢাকায় এসেছিল বাবাকে সাহায্য করতে। আন্দোলনে গিয়ে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারায় মারুফ। ছেলের যেদিন গুলিবিদ্ধ হয় সেই দিনের বর্ণনা দিয়ে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।
মো. ইদ্রিস বলেন, ‘আমার ছেলে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত। সময় পেলেই গ্রাম থেকে ঢাকায় এসে আমাকে সহযোগিতা করত। ১৯ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টায় আমার ছেলে মারুফ আন্দোলনের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তার সঙ্গে ছিল তার মামা ফয়সাল। জুমার নামাজের পর তারা বাসায় ফিরে আসলে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করি।’ এ কথা বলেই তিনি কাঁদতে থাকেন। একটু স্থির হয়ে ইদ্রিস বলেন, ‘পরে সাড়ে ৩টায় আবার বের হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তার মামা আমাকে ফোন করে জানায় যে, রামপুরা ব্রিজের ওপর থেকে পুলিশ, বিজিবি ও ছাত্রলীগ আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি করছে। পৌনে ৬টার দিকে ফোন করে জানায়, মারুফ গুলিবিদ্ধ হয়েছে বাড্ডা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে। তখন তাকে এএমজেড হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
ইদ্রিস বলেন, মারুফের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকা মেডিকেলে নিতে বলে সেখানকার ডাক্তাররা। পথে রামপুরা ব্রিজের ওপর আওয়ামী লীগ, পুলিশ, বিজিবি মিলে আমার ছেলেকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি আটকায়। তখন মারুফের অক্সিজেন লাগানো ছিল, সে বেঁচে ছিল। ১৫-২০ মিনিট ধরে আটকে রাখার পর পুলিশ জানায়, সে মারা গেছে, তাকে হাসপাতালে নেওয়ার দরকার নেই। আমার ছেলের গুলিবিদ্ধ স্থানটি তখন গামছা দিয়ে প্যাঁচানো ছিল। পুলিশ রাইফেলের বাঁট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে সেটি দেখে। তখন আমাদের ছেলে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল।’
তিনি বলেন, ‘সেখান থেকে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয় ছেলেকে। এরপর ৭টা ২০ মিনিটের দিকে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’ এরপর আবার কাঁদতে থাকেন মো. ইদ্রিস।
ইদ্রিস আরও বলেন, ছেলের লাশ নিয়ে যেতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পোস্টমর্টেম ছাড়া দিতে চায়নি। দুদিন পর ২১ জুলাই পোস্টমর্টেম করে আমার ছেলের লাশ হস্তান্তর করে। পুলিশি বাধার কারণে ছেলের লাশের পোস্টমর্টেম করতে দেরি হয়েছে। বাড্ডা থানার ওসি তার এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন। পূর্ব বাড্ডার কবরস্থানে ছেলের লাশ দাফন করা হয়।
ছেলের হত্যাকাণ্ডের জন্য নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান কামাল, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্থানীয় এমপি ওয়াকিল উদ্দিন এবং মাঠে থাকা কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম ও বিজিবির রেদোয়ানের বিচার চান মো. ইদ্রিস।
আজ সোমবার ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দিতে এসব কথা বলেন মো. ইদ্রিস। জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় এই বর্ণনা দেন তিনি।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ এই সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। শেখ হাসিনা ছাড়া এই মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। এই মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক। আর পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়েছেন।
শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সাক্ষীদের জেরা করেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ২৫ জনকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এর মধ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা সারজিস আলমের শ্বশুরও রয়েছেন। তিনি হলেন অ্যাডভোকেট মো. লুৎফর রহমান। তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। আজ বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেলেন..
২ মিনিট আগেঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ৪ জনকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর রামপুরা এলাকায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ...
১৬ মিনিট আগেসুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ২৫ জন অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) তাঁদের নিয়োগের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আগামীকাল মঙ্গলবার তাঁদের শপথ পড়ানো হবে বলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোসাইন।
৩০ মিনিট আগেসম্মেলনে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক নিজ নিজ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। সীমান্তরক্ষীদের পাশাপাশি সীমান্ত-সম্পর্কিত বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরাও এতে অংশ নেবেন। এ সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা, পুশইন ও অনুপ্রবেশ বন্ধ, ভারত থেকে মাদক, অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং অন্যান্য নিষিদ্ধ জিনিসপত্রের...
৩৮ মিনিট আগে