Ajker Patrika

ঋণের নামে টাকা আত্মসাৎ, অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত। ছবি: সংগৃহীত
অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত। ছবি: সংগৃহীত

অর্থনীতিবিদ ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল বারকাতকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার (১১ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুপুরের পর আবুল বারকাতকে দুর্নীতির একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। তদন্ত কর্মকর্তা তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

অন্যদিকে আবুল বারকাতের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ছুটি থাকায় রিমান্ড ও জামিনের আবেদন শুনানি হয়নি। সংশ্লিষ্ট আদালতে শুনানি হবে বলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জানান। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে রাত পৌনে ১২টার দিকে আবুল বারকাতকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল। পরে দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান এবং অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাতসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে গত ২০ ফেব্রুয়ারি মামলা করে দুদক।

তাঁদের বিরুদ্ধে অ্যাননটেক্স গ্রুপকে ঋণের নামে দেওয়া ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটি উপপরিচালক মো. নাজমুল হুসাইন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলার আসামিরা হলেন—বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, সাবেক ডেপুটি গভর্নর-২ আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, সাবেক সহকারী পরিচালক মোছাম্মৎ ইসমত আরা বেগম, জনতা ব্যাংক পিএলসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবুল বারকাত, সাবেক পরিচালক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, মো. ইমদাদুল হক, নাগিবুল ইসলাম দীপু, ড. আর এম দেবনাথ, মো. আবু নাসের, সঙ্গীতা আহমেদ, অধ্যাপক ড. নিতাই চন্দ্র নাথ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আব্দুছ ছালাম আজাদ, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক আজমুল হক, সাবেক এজিএম, অজয় কুমার ঘোষ, জনতা ভবন করপোরেট শাখার সাবেক ম্যানেজার (শিল্প ঋণ-১) মো. গোলাম আজম, ব্যাংকের নির্বাহী প্রকৌশলী (এসএমই ডিপার্টমেন্ট) মো. শাহজাহান, এসইও মো. এমদাদুল হক, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুল জব্বার, সাবেক ডিএমডি মো. গোলাম ফারুক ও সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক এবং অ্যাননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ বাদল, মেসার্স সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন ও পরিচালক মো. আবু তালহা।

এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে মিথ্যা রেকর্ড তৈরি করে জনতা পিএলসির ভবন শাখা (করপোরেট শাখা) থেকে ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৬ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে ঋণের অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে জাল-জালিয়াতি ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ / ৪২০ / ৪৬৭ / ৪৬৮ / ৪৭১ / ১০৯ তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫ (২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে অ্যাননটেক্স গ্রুপের ২২টি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৩ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা ঋণ দেয় জনতা ব্যাংক। এ নিয়ে ২০১২ সালে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ২০২২ সালে ঋণ অনিয়ম অনুসন্ধান করে দুদক প্রমাণ না পাওয়ায় অভিযোগের পরিসমাপ্তি হয়। পরবর্তীকালে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আবার অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মামলা দায়ের করে দুদক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সারা দেশে আরও ১০ দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

‘আজ বুঝলাম, সময়ের কাছে মানুষ কত অসহায়’—মৃত্যুর আগে স্ট্যাটাস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার

পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার

রামদা হাতে ভাইরাল সেই সাবেক যুবদল নেতাকে গুলি ও পায়ের রগ কেটে হত্যা

জগন্নাথপুরে এসএসসিতে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া রাইদা হতে চায় চিকিৎসক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত