রাসেল মাহমুদ, ঢাকা

গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে শতাধিক সাবেক মন্ত্রী-সংসদ সদস্যসহ অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের অধিকাংশই এখন কারাগারে বন্দী। এসব কারাবন্দীর মধ্যে ১৬২ জন ডিভিশন বা শ্রেণির সুবিধা পেয়েছেন। তাঁরা কারাগারে সময় কাটাচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের বই, পত্রিকা ও নামাজ পড়ে, গল্প করে এবং সকাল-বিকেল হাঁটাহাঁটি করে। তবে সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ ডিভিশন না পাওয়া অনেকে বিশেষ বন্দী হিসেবে রয়েছেন।
দেশে ঢাকায় একটি বিশেষ কারাগার, চৌদ্দটি কেন্দ্রীয় কারাগার ও ৫৫টি জেলা কারাগার রয়েছে। কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া বন্দীদের মধ্যে ৮ জুলাই পর্যন্ত ডিভিশন পেয়েছেন ১৬২ জন। এর মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী ৩০ জন এবং সংসদ সদস্য ৪৪ জন। বাকি ৮৮ জনের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সচিব, বিচারপতি, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সেনা ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন পেশার বন্দীরা। ডিভিশনপ্রাপ্ত এসব বন্দী রয়েছেন ঢাকা বিশেষ কারাগার, ১১টি কেন্দ্রীয় ও ১৪টি জেলা কারাগারে।
বড় রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সাবেক সরকারের লোকজনসহ অনেক হোমরাচোমরা আটক হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই কারাগারগুলোতে ডিভিশনপ্রাপ্তদের সংখ্যাও অতীতের চেয়ে অনেক বেশি। এরপরও অবশ্য ডিভিশন-সুবিধা পাননি এমন অনেকে রয়ে গেছেন।
কারাবিধি অনুযায়ী কারাবন্দীদের দুই ধরনের ডিভিশন দেওয়া হয়ে থাকে। বিধিতে বলা হয়েছে, ভালো চরিত্রের অধিকারী, সামাজিক মর্যাদাসম্পন্ন শিক্ষিত ও উন্নত জীবনযাপনে অভ্যস্ত বন্দী এবং নিষ্ঠুরতা, মারাত্মক অপরাধ, সম্পদ আত্মসাৎসহ কিছু সুনির্দিষ্ট কারণে দণ্ডিত নন—এমন ব্যক্তিরা ডিভিশন-১ এর যোগ্য হবেন। এ ছাড়া বিধির ৬১৭(২) ধারায় বলা হয়েছে, সামাজিক মর্যাদা, শিক্ষা ও অভ্যাসের কারণে জীবনযাপনের ধরন উচ্চমানের এমন বন্দীরা ডিভিশন-২ প্রাপ্তির যোগ্য হবেন। এসব বন্দীর বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় তথ্য দেবেন বন্দীর আইনজীবী ও স্বজনেরা।
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তাঁর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও ঢাকা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ও সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী গ্রেপ্তার হন। তাঁরা তিনজনই ঢাকা বিশেষ কারাগারে ডিভিশন বন্দী হিসেবে রয়েছেন।
গত ১৩ আগস্ট মন্ত্রীদের মধ্যে প্রথম গ্রেপ্তার হন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এরপর হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক পর্যটন ও বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ অন্তত ৩৫ জন সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রী একে একে গ্রেপ্তার হন। কারাগারে থাকা এসব মন্ত্রীর মধ্যে ৩০ জন বর্তমানে ডিভিশন পাচ্ছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলার আসামি ও সাবেক মন্ত্রীদের অনেকে ঢাকা বিশেষ কারাগারে রয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই কারাগার বিশেষ বন্দীদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এখন সেখানেই বন্দী রয়েছেন গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও প্রভাবশালী নেতা।
সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও ৬০ জনের বেশি সাবেক সংসদ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ, ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুসহ বন্দী থাকা ৪৪ জন সাবেক সংসদ সদস্য ডিভিশন পাচ্ছেন। তাঁরা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, বিভাগীয় কেন্দ্রীয় কারাগার ও জেলা কারাগারে বন্দী রয়েছেন।
কারা সূত্রে জানা যায়, ডিভিশন পাওয়া বন্দীরা কারাবিধি অনুযায়ী খাটসহ একজনের বা দুজনের কক্ষ পেয়েছেন। সেখানে চেয়ার, টেবিল, তোষক, বালিশ, মশারি ও আয়নার ব্যবস্থা আছে। তেল, চিরুনি এবং সংবাদপত্রও দেওয়া হয়। ডিভিশনপ্রাপ্তদের খাবারের মেনুও কিছুটা ভিন্ন। এ আসামিদের ছোটখাটো কাজ করে দেওয়ার জন্য প্রতিটি ফ্লোরে একজন করে সাধারণ বন্দীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ডিভিশন পাওয়া বন্দীদের পাশাপাশি সেলেই রাখা হচ্ছে। ছোট কক্ষে একজন এবং বড় কক্ষে দুজন করে থাকেন। সকালে প্রায় সবাই খবরের কাগজ পড়েন। এ ছাড়া দিনের অন্য সময়ে কেউ কেউ গল্প-উপন্যাস, জীবনী, ধর্মীয় ও আইনসহ বিভিন্ন বিষয়ের বই পড়েন। কেউ কেউ নামাজ পড়েন। বয়স্ক বন্দীদের অনেকে সকাল-বিকেল সেলের সামনের ফাঁকা স্থানে কিছু সময় হাঁটাহাঁটিও করেন।
৫ আগস্টের পর গ্রেপ্তার হওয়া বন্দীদের মধ্যে কয়েকজনের ডিভিশন বাতিলও করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। আচরণবিধি ভঙ্গ করায় নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের ডিভিশন বাতিল করা হয়। তবে কারারক্ষীদের সঙ্গে এই বিশেষ বন্দীরা কোনো ধরনের খারাপ আচরণ করছেন না বলেই কারা সূত্র জানিয়েছে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দীদের কারাবিধি অনুযায়ী যেসব সুবিধা দেওয়া দরকার, সেগুলো দেওয়া হয়েছে।’
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এখনো সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও আমলাসহ ২৮ কারাবন্দী ডিভিশন পাননি। তাঁরা কারাগারে রয়েছেন বিশেষ বন্দী হিসেবে। এসব বিশেষ বন্দীর মধ্যে আছেন সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস, সিলেট-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এম এ লতিফ, কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি, ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলাইমান সেলিম, কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ, নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, অভিনেত্রী শমী কায়সার প্রমুখ।
ডিভিশন না পাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক কয়েক নারী সংসদ সদস্যও। এদের মধ্যে আছেন বরিশাল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম। তাঁরা সাধারণ বন্দীদের সঙ্গে থাকছেন।
সবচেয়ে বেশি ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দী (৪৬ জন) রয়েছেন কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। সংখ্যার হিসাবে তারপরেই রয়েছে ঢাকা বিশেষ কারাগার (৪৫ জন)। এ ছাড়া গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ ১৫ জন, কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ১২ জন, মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৮ জন, অন্য ৬টি কেন্দ্রীয় কারাগারে ৯ জন, খুলনা, কিশোরগঞ্জ, নোয়াখালী, দিনাজপুর জেলা কারাগারে ১২ জনসহ ১৪টি জেলা কারাগারে ২৭ জন ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দী রয়েছেন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারাগারে বন্দী সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অনেকেই কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন সুবিধা পাচ্ছেন। তবে কারাগারে আচরণবিধি না মানায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে দুই-একজনের ডিভিশন বাতিলও করা হয়েছে।’
ডিভিশন না পাওয়া বন্দীদের বিষয়ে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক বলেন, আদালত যেসব বন্দীর বিষয়ে ডিভিশন দেওয়ার আদেশ দেন, কারা কর্তৃপক্ষ সেই বন্দীদের ডিভিশন দেন। কারাবিধি অনুযায়ী তাঁদের ডিভিশন সুবিধা দেওয়া হয়।

গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে শতাধিক সাবেক মন্ত্রী-সংসদ সদস্যসহ অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের অধিকাংশই এখন কারাগারে বন্দী। এসব কারাবন্দীর মধ্যে ১৬২ জন ডিভিশন বা শ্রেণির সুবিধা পেয়েছেন। তাঁরা কারাগারে সময় কাটাচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের বই, পত্রিকা ও নামাজ পড়ে, গল্প করে এবং সকাল-বিকেল হাঁটাহাঁটি করে। তবে সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ ডিভিশন না পাওয়া অনেকে বিশেষ বন্দী হিসেবে রয়েছেন।
দেশে ঢাকায় একটি বিশেষ কারাগার, চৌদ্দটি কেন্দ্রীয় কারাগার ও ৫৫টি জেলা কারাগার রয়েছে। কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া বন্দীদের মধ্যে ৮ জুলাই পর্যন্ত ডিভিশন পেয়েছেন ১৬২ জন। এর মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী ৩০ জন এবং সংসদ সদস্য ৪৪ জন। বাকি ৮৮ জনের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সচিব, বিচারপতি, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সেনা ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন পেশার বন্দীরা। ডিভিশনপ্রাপ্ত এসব বন্দী রয়েছেন ঢাকা বিশেষ কারাগার, ১১টি কেন্দ্রীয় ও ১৪টি জেলা কারাগারে।
বড় রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সাবেক সরকারের লোকজনসহ অনেক হোমরাচোমরা আটক হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই কারাগারগুলোতে ডিভিশনপ্রাপ্তদের সংখ্যাও অতীতের চেয়ে অনেক বেশি। এরপরও অবশ্য ডিভিশন-সুবিধা পাননি এমন অনেকে রয়ে গেছেন।
কারাবিধি অনুযায়ী কারাবন্দীদের দুই ধরনের ডিভিশন দেওয়া হয়ে থাকে। বিধিতে বলা হয়েছে, ভালো চরিত্রের অধিকারী, সামাজিক মর্যাদাসম্পন্ন শিক্ষিত ও উন্নত জীবনযাপনে অভ্যস্ত বন্দী এবং নিষ্ঠুরতা, মারাত্মক অপরাধ, সম্পদ আত্মসাৎসহ কিছু সুনির্দিষ্ট কারণে দণ্ডিত নন—এমন ব্যক্তিরা ডিভিশন-১ এর যোগ্য হবেন। এ ছাড়া বিধির ৬১৭(২) ধারায় বলা হয়েছে, সামাজিক মর্যাদা, শিক্ষা ও অভ্যাসের কারণে জীবনযাপনের ধরন উচ্চমানের এমন বন্দীরা ডিভিশন-২ প্রাপ্তির যোগ্য হবেন। এসব বন্দীর বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় তথ্য দেবেন বন্দীর আইনজীবী ও স্বজনেরা।
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তাঁর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও ঢাকা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ও সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী গ্রেপ্তার হন। তাঁরা তিনজনই ঢাকা বিশেষ কারাগারে ডিভিশন বন্দী হিসেবে রয়েছেন।
গত ১৩ আগস্ট মন্ত্রীদের মধ্যে প্রথম গ্রেপ্তার হন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এরপর হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক পর্যটন ও বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ অন্তত ৩৫ জন সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রী একে একে গ্রেপ্তার হন। কারাগারে থাকা এসব মন্ত্রীর মধ্যে ৩০ জন বর্তমানে ডিভিশন পাচ্ছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলার আসামি ও সাবেক মন্ত্রীদের অনেকে ঢাকা বিশেষ কারাগারে রয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই কারাগার বিশেষ বন্দীদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এখন সেখানেই বন্দী রয়েছেন গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও প্রভাবশালী নেতা।
সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও ৬০ জনের বেশি সাবেক সংসদ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ, ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুসহ বন্দী থাকা ৪৪ জন সাবেক সংসদ সদস্য ডিভিশন পাচ্ছেন। তাঁরা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, বিভাগীয় কেন্দ্রীয় কারাগার ও জেলা কারাগারে বন্দী রয়েছেন।
কারা সূত্রে জানা যায়, ডিভিশন পাওয়া বন্দীরা কারাবিধি অনুযায়ী খাটসহ একজনের বা দুজনের কক্ষ পেয়েছেন। সেখানে চেয়ার, টেবিল, তোষক, বালিশ, মশারি ও আয়নার ব্যবস্থা আছে। তেল, চিরুনি এবং সংবাদপত্রও দেওয়া হয়। ডিভিশনপ্রাপ্তদের খাবারের মেনুও কিছুটা ভিন্ন। এ আসামিদের ছোটখাটো কাজ করে দেওয়ার জন্য প্রতিটি ফ্লোরে একজন করে সাধারণ বন্দীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ডিভিশন পাওয়া বন্দীদের পাশাপাশি সেলেই রাখা হচ্ছে। ছোট কক্ষে একজন এবং বড় কক্ষে দুজন করে থাকেন। সকালে প্রায় সবাই খবরের কাগজ পড়েন। এ ছাড়া দিনের অন্য সময়ে কেউ কেউ গল্প-উপন্যাস, জীবনী, ধর্মীয় ও আইনসহ বিভিন্ন বিষয়ের বই পড়েন। কেউ কেউ নামাজ পড়েন। বয়স্ক বন্দীদের অনেকে সকাল-বিকেল সেলের সামনের ফাঁকা স্থানে কিছু সময় হাঁটাহাঁটিও করেন।
৫ আগস্টের পর গ্রেপ্তার হওয়া বন্দীদের মধ্যে কয়েকজনের ডিভিশন বাতিলও করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। আচরণবিধি ভঙ্গ করায় নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের ডিভিশন বাতিল করা হয়। তবে কারারক্ষীদের সঙ্গে এই বিশেষ বন্দীরা কোনো ধরনের খারাপ আচরণ করছেন না বলেই কারা সূত্র জানিয়েছে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দীদের কারাবিধি অনুযায়ী যেসব সুবিধা দেওয়া দরকার, সেগুলো দেওয়া হয়েছে।’
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এখনো সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও আমলাসহ ২৮ কারাবন্দী ডিভিশন পাননি। তাঁরা কারাগারে রয়েছেন বিশেষ বন্দী হিসেবে। এসব বিশেষ বন্দীর মধ্যে আছেন সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস, সিলেট-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এম এ লতিফ, কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি, ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলাইমান সেলিম, কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ, নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, অভিনেত্রী শমী কায়সার প্রমুখ।
ডিভিশন না পাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক কয়েক নারী সংসদ সদস্যও। এদের মধ্যে আছেন বরিশাল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম। তাঁরা সাধারণ বন্দীদের সঙ্গে থাকছেন।
সবচেয়ে বেশি ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দী (৪৬ জন) রয়েছেন কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। সংখ্যার হিসাবে তারপরেই রয়েছে ঢাকা বিশেষ কারাগার (৪৫ জন)। এ ছাড়া গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ ১৫ জন, কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ১২ জন, মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৮ জন, অন্য ৬টি কেন্দ্রীয় কারাগারে ৯ জন, খুলনা, কিশোরগঞ্জ, নোয়াখালী, দিনাজপুর জেলা কারাগারে ১২ জনসহ ১৪টি জেলা কারাগারে ২৭ জন ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দী রয়েছেন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারাগারে বন্দী সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অনেকেই কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন সুবিধা পাচ্ছেন। তবে কারাগারে আচরণবিধি না মানায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে দুই-একজনের ডিভিশন বাতিলও করা হয়েছে।’
ডিভিশন না পাওয়া বন্দীদের বিষয়ে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক বলেন, আদালত যেসব বন্দীর বিষয়ে ডিভিশন দেওয়ার আদেশ দেন, কারা কর্তৃপক্ষ সেই বন্দীদের ডিভিশন দেন। কারাবিধি অনুযায়ী তাঁদের ডিভিশন সুবিধা দেওয়া হয়।

জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
১১ মিনিট আগে
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
পুলিশের প্রায় দেড় লাখ সদস্য আগামী সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের প্রত্যেকের কর্মকাণ্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরীক্ষিত হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তোলাই নির্বাচনী প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য।
৩ ঘণ্টা আগে
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে সরকার অধ্যাদেশ জারি করেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গতকাল সোমবার অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)—এই তিনটি নতুন দলকে নিবন্ধন দিতে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি সচিব আরও জানান, আগামীকাল বুধবার এই বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এই দলগুলোর বিষয়ে কোনো দাবি-আপত্তি থাকলে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত করা যাবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন।

জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)—এই তিনটি নতুন দলকে নিবন্ধন দিতে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি সচিব আরও জানান, আগামীকাল বুধবার এই বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এই দলগুলোর বিষয়ে কোনো দাবি-আপত্তি থাকলে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত করা যাবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন।

গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে শতাধিক সাবেক মন্ত্রী-সংসদ সদস্যসহ অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের অধিকাংশই এখন কারাগারে বন্দী। এসব কারাবন্দীর মধ্যে ১৬২ জন ডিভিশন বা শ্রেণির সুবিধা পেয়েছেন।
১২ জুলাই ২০২৫
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
পুলিশের প্রায় দেড় লাখ সদস্য আগামী সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের প্রত্যেকের কর্মকাণ্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরীক্ষিত হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তোলাই নির্বাচনী প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য।
৩ ঘণ্টা আগে
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে সরকার অধ্যাদেশ জারি করেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গতকাল সোমবার অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
পুলিশের অনেক কর্মকর্তা যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে কি না—প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তাঁরা আইনের চোখে অপরাধী। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।’
পুলিশের অনেক কর্মকর্তা, যাঁরা সাবেক ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময় দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের অনেকেই এখন রাজধানীতে ওসির দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁদের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা ২০১৪, ২০১৯ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের বাছাই করে বাদ দেওয়া হবে।’
নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি থাকবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন যেহেতু তারা ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার ব্যবহার করছে, নির্বাচনের সময়ও তা বহাল থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
পুলিশের অনেক কর্মকর্তা যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে কি না—প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তাঁরা আইনের চোখে অপরাধী। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।’
পুলিশের অনেক কর্মকর্তা, যাঁরা সাবেক ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময় দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের অনেকেই এখন রাজধানীতে ওসির দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁদের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা ২০১৪, ২০১৯ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের বাছাই করে বাদ দেওয়া হবে।’
নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি থাকবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন যেহেতু তারা ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার ব্যবহার করছে, নির্বাচনের সময়ও তা বহাল থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে শতাধিক সাবেক মন্ত্রী-সংসদ সদস্যসহ অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের অধিকাংশই এখন কারাগারে বন্দী। এসব কারাবন্দীর মধ্যে ১৬২ জন ডিভিশন বা শ্রেণির সুবিধা পেয়েছেন।
১২ জুলাই ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
১১ মিনিট আগে
পুলিশের প্রায় দেড় লাখ সদস্য আগামী সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের প্রত্যেকের কর্মকাণ্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরীক্ষিত হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তোলাই নির্বাচনী প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য।
৩ ঘণ্টা আগে
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে সরকার অধ্যাদেশ জারি করেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গতকাল সোমবার অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে পুলিশ বাহিনীর ৪৮ হাজার ১৩৪ সদস্য তাঁদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। নির্বাচনে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তাঁদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ পুলিশের ৪৮ হাজার ১৩৪ জন সদস্য এ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এর আগে গত ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণের ওপর ট্রেনিং অব ট্রেইনার্স কোর্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, পুলিশের প্রায় দেড় লাখ সদস্য আগামী সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের প্রত্যেকের কর্মকাণ্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরীক্ষিত হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তোলাই নির্বাচনী প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), বাংলাদেশ পুলিশের চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিবিড় তদারকির মাধ্যমে পরিচালনার জন্য পুলিশের সকল ইউনিট প্রধানকে বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেছেন। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম যথাযথভাবে মনিটর করা হচ্ছে।
আইজিপি মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য গত বোরবার (২ নভেম্বর) রাজশাহী ও বগুড়া সফর করেছেন। তিনি নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ এই নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ আগামী মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশ সদস্যদের এ ধরনের প্রশিক্ষণ আয়োজন এবারই প্রথম।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশজুড়ে বাংলাদেশ পুলিশের ১৩০টি ছোট ও চারটি বড় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পুলিশ সদস্যদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছেন, সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মোট ৭ লাখ ৬৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য—পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং আনসার ও ভিডিপি সদস্য নিরপেক্ষ ও দক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে বিশেষ নির্বাচন-সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
এর মধ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার পুলিশ সদস্যকে আইন ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে পুলিশ সদর দপ্তরের মানবসম্পদ বিভাগ প্রণীত নয়টি প্রশিক্ষণ মডিউলের আওতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া দেশের ৪৫ হাজার ভোটকেন্দ্রে নিয়োগের লক্ষ্যে ৫ লাখ ৮৫ হাজার আনসার ও ভিডিপি সদস্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। যার মধ্যে ১ লাখ ৩৫ হাজার সশস্ত্র এবং ৪ লাখ ৫০ হাজার নিরস্ত্র সদস্য রয়েছেন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে গড়ে ১৩ জন নিরাপত্তা সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, বিজিবির ৩৩ হাজার সদস্য (১ হাজার ১০০ প্লাটুন) নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করছেন, যা ডিসেম্বরের ৩১ তারিখের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৬ সালের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সব প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হবে। এ ছাড়া সংসদ নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৮০ হাজার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে মাঠে থাকবে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, নির্বাচনকালীন সমন্বয়ের জন্য পুলিশ সদর দপ্তর এবং প্রতিটি জেলায় নির্বাচন কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরা ও বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন চলাকালে মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স সারা দেশে প্রস্তুত থাকবে যাতে কোনো নিরাপত্তাজনিত সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে। এ ছাড়া নির্বাচন দায়িত্ব পালনের জন্য ১০ হাজার ২৬৪ পুলিশ সদস্য, ২ হাজার ১৪৫ আনসার ও ভিডিপি সদস্য, ৫ হাজার ৫১৩ বিজিবি সদস্য এবং ৬৩৪ কোস্ট গার্ড সদস্য নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে পুলিশ বাহিনীর ৪৮ হাজার ১৩৪ সদস্য তাঁদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। নির্বাচনে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তাঁদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ পুলিশের ৪৮ হাজার ১৩৪ জন সদস্য এ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এর আগে গত ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণের ওপর ট্রেনিং অব ট্রেইনার্স কোর্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, পুলিশের প্রায় দেড় লাখ সদস্য আগামী সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের প্রত্যেকের কর্মকাণ্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরীক্ষিত হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তোলাই নির্বাচনী প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), বাংলাদেশ পুলিশের চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিবিড় তদারকির মাধ্যমে পরিচালনার জন্য পুলিশের সকল ইউনিট প্রধানকে বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেছেন। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম যথাযথভাবে মনিটর করা হচ্ছে।
আইজিপি মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য গত বোরবার (২ নভেম্বর) রাজশাহী ও বগুড়া সফর করেছেন। তিনি নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ এই নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ আগামী মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশ সদস্যদের এ ধরনের প্রশিক্ষণ আয়োজন এবারই প্রথম।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশজুড়ে বাংলাদেশ পুলিশের ১৩০টি ছোট ও চারটি বড় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পুলিশ সদস্যদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছেন, সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মোট ৭ লাখ ৬৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য—পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং আনসার ও ভিডিপি সদস্য নিরপেক্ষ ও দক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে বিশেষ নির্বাচন-সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
এর মধ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার পুলিশ সদস্যকে আইন ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে পুলিশ সদর দপ্তরের মানবসম্পদ বিভাগ প্রণীত নয়টি প্রশিক্ষণ মডিউলের আওতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া দেশের ৪৫ হাজার ভোটকেন্দ্রে নিয়োগের লক্ষ্যে ৫ লাখ ৮৫ হাজার আনসার ও ভিডিপি সদস্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। যার মধ্যে ১ লাখ ৩৫ হাজার সশস্ত্র এবং ৪ লাখ ৫০ হাজার নিরস্ত্র সদস্য রয়েছেন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে গড়ে ১৩ জন নিরাপত্তা সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, বিজিবির ৩৩ হাজার সদস্য (১ হাজার ১০০ প্লাটুন) নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করছেন, যা ডিসেম্বরের ৩১ তারিখের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৬ সালের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সব প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হবে। এ ছাড়া সংসদ নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৮০ হাজার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে মাঠে থাকবে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, নির্বাচনকালীন সমন্বয়ের জন্য পুলিশ সদর দপ্তর এবং প্রতিটি জেলায় নির্বাচন কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরা ও বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন চলাকালে মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স সারা দেশে প্রস্তুত থাকবে যাতে কোনো নিরাপত্তাজনিত সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে। এ ছাড়া নির্বাচন দায়িত্ব পালনের জন্য ১০ হাজার ২৬৪ পুলিশ সদস্য, ২ হাজার ১৪৫ আনসার ও ভিডিপি সদস্য, ৫ হাজার ৫১৩ বিজিবি সদস্য এবং ৬৩৪ কোস্ট গার্ড সদস্য নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে শতাধিক সাবেক মন্ত্রী-সংসদ সদস্যসহ অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের অধিকাংশই এখন কারাগারে বন্দী। এসব কারাবন্দীর মধ্যে ১৬২ জন ডিভিশন বা শ্রেণির সুবিধা পেয়েছেন।
১২ জুলাই ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
১১ মিনিট আগে
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে সরকার অধ্যাদেশ জারি করেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গতকাল সোমবার অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে সরকার অধ্যাদেশ জারি করেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। তবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গতকাল সোমবার অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
সংশোধিত আরপিওতে জোটবদ্ধ নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতীক পছন্দের বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘অনুচ্ছেদ ১১ এর দফা (১) অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ৩ (তিন) দিনের মধ্যে কমিশনের নিকট আবেদন করা হলে, এবং দুই বা ততোধিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল যৌথভাবে নির্বাচন করার উদ্দেশ্যে প্রার্থী মনোনয়নে সম্মত হলে কমিশন সেই যৌথ প্রার্থীকে নিজ রাজনৈতিক দলের জন্য সংরক্ষিত নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দিতে পারবে।'
প্রস্তাবিত আরপিওতে জোট প্রার্থীর নিজস্ব দলীয় প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছিল। এ বিষয়টি নিয়ে বিএনপি তীব্র আপত্তি জানায়। এটি সংশোধনের আবেদন জানিয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠিও দিয়েছিল তারা। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও জামায়াতে ইসলামী বিধানটি রাখার পক্ষে।
আরপিওতে এবার ‘না’ ভোটের বিধানও যুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যাচাই-বাছাই বা পর্যালোচনার পর একটি আসন থেকে সদস্য হিসেবে নির্বাচনের জন্য মাত্র একজন ব্যক্তি বৈধভাবে মনোনীত থাকেন অথবা প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর মাত্র একজন প্রার্থী অবশিষ্ট থাকেন, সে ক্ষেত্রে নির্বাচনটি একক প্রার্থী এবং 'না ভোট' (No Vote) বিকল্পের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
যদি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কর্তৃক প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা 'না ভোট'-এর সংখ্যা অপেক্ষা বেশি হয়, তাহলে রিটার্নিং কর্মকর্তা জনবিজ্ঞপ্তি দ্বারা ওই প্রার্থীকে নির্বাচিত বলে ঘোষণা করবেন।
যদি 'না ভোট'-এর সংখ্যা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কর্তৃক প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা অপেক্ষা বেশি হয়, তবে নতুন সময়সূচি ঘোষণা করে সেই নির্বাচনী এলাকায় নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে সরকার অধ্যাদেশ জারি করেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। তবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গতকাল সোমবার অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
সংশোধিত আরপিওতে জোটবদ্ধ নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতীক পছন্দের বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘অনুচ্ছেদ ১১ এর দফা (১) অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ৩ (তিন) দিনের মধ্যে কমিশনের নিকট আবেদন করা হলে, এবং দুই বা ততোধিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল যৌথভাবে নির্বাচন করার উদ্দেশ্যে প্রার্থী মনোনয়নে সম্মত হলে কমিশন সেই যৌথ প্রার্থীকে নিজ রাজনৈতিক দলের জন্য সংরক্ষিত নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দিতে পারবে।'
প্রস্তাবিত আরপিওতে জোট প্রার্থীর নিজস্ব দলীয় প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছিল। এ বিষয়টি নিয়ে বিএনপি তীব্র আপত্তি জানায়। এটি সংশোধনের আবেদন জানিয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠিও দিয়েছিল তারা। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও জামায়াতে ইসলামী বিধানটি রাখার পক্ষে।
আরপিওতে এবার ‘না’ ভোটের বিধানও যুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যাচাই-বাছাই বা পর্যালোচনার পর একটি আসন থেকে সদস্য হিসেবে নির্বাচনের জন্য মাত্র একজন ব্যক্তি বৈধভাবে মনোনীত থাকেন অথবা প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর মাত্র একজন প্রার্থী অবশিষ্ট থাকেন, সে ক্ষেত্রে নির্বাচনটি একক প্রার্থী এবং 'না ভোট' (No Vote) বিকল্পের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
যদি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কর্তৃক প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা 'না ভোট'-এর সংখ্যা অপেক্ষা বেশি হয়, তাহলে রিটার্নিং কর্মকর্তা জনবিজ্ঞপ্তি দ্বারা ওই প্রার্থীকে নির্বাচিত বলে ঘোষণা করবেন।
যদি 'না ভোট'-এর সংখ্যা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কর্তৃক প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা অপেক্ষা বেশি হয়, তবে নতুন সময়সূচি ঘোষণা করে সেই নির্বাচনী এলাকায় নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে শতাধিক সাবেক মন্ত্রী-সংসদ সদস্যসহ অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের অধিকাংশই এখন কারাগারে বন্দী। এসব কারাবন্দীর মধ্যে ১৬২ জন ডিভিশন বা শ্রেণির সুবিধা পেয়েছেন।
১২ জুলাই ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
১১ মিনিট আগে
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
পুলিশের প্রায় দেড় লাখ সদস্য আগামী সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের প্রত্যেকের কর্মকাণ্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরীক্ষিত হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তোলাই নির্বাচনী প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য।
৩ ঘণ্টা আগে