নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
উৎপাদন বাড়িয়ে সহজলভ্য করে তুলতে মাছের কৃত্রিম প্রজনন সারা বিশ্বেই এখন বেশ জনপ্রিয়। তবে এখনই ইলিশের কৃত্রিম প্রজননের দিকে না যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
উপদেষ্টা বলেছেন, ‘ইলিশের কৃত্রিম প্রজননের বিষয়ে এখনই আগাতে চাই না। প্রাকৃতিক সম্পদকে প্রাকৃতিক রাখাই ভালো। আমরা যদি এই মুহূর্তে সেই দিকে যাই, তাহলে আমাদের গবেষণা হারিয়ে যেতে পারে। কৃত্রিম প্রজনন আমাদের প্রাণিসম্পদের খুব বেশি উপকার করেনি। এর ক্ষতিকর প্রভাব কিন্তু ইতিমধ্যে দেখছি। এটা আমার দিক থেকে একটা সতর্কবার্তা।’
আজ শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে (বিএআরসি) ‘ইলিশ সম্পদ ব্যবস্থাপনায় প্রজনন সাফল্য নিরূপণ, জাটকা সংরক্ষণ ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, যে ১১টা দেশে ইলিশ পাওয়া যায়, তার মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম। তবে আমি মনে করি, ইলিশ একটা বৈশ্বিক মাছ। বিশ্বের একটা সম্পদ যেটা আমাদের কাছে আছে। ইলিশের ব্যবস্থাপনা ঠিকমতো করতে পারলে সারা বিশ্বের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে পারব। ইলিশকে আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরতে হবে।
ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে সবার সচেতনতা ও সহযোগিতার ওপর জোর দিয়ে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যদি যথেষ্ট সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারি, তাহলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। আর ৯৫ ভাগ জেলে যদি ইলিশ ধরা বন্ধের সময় না ধরেন, তাহলে কেন আমরা বাকি কাজটা করতে পারব না? জেলেরা যেখানে মাছ ধরতে যান, সেখানে দস্যুরা আক্রমণ করে। জেলেরা দস্যু না। তাদের চিহ্নিত করে ধরতে হবে। আমরা যে সহায়তা দিয়ে থাকি, সেখানে জেলেরাই যেন পায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’
ইলিশের একটা অর্থনৈতিক মূল্য আছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘মৌসুমে দেশ থেকে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি ইলিশ রপ্তানি করা যেতে পারে। আমরাও ইলিশ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আনতে পারি। তবে আগে আমাদের দেশের মানুষকে ইলিশ খাওয়াতে হবে।’
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আরও বলেন, ‘এবার যেন জুন মাসের পরে যখন ইলিশ বাজারে আসবে, তখন যেন দামটা ঠিক থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে। তা নাহলে জনগণ আমাকে ক্ষমা করবে না!’
সভায় বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম মূল প্রবন্ধে বলেন, দেশে ইলিশের মোট উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বাড়লেও দুই বছর যাবৎ বড় আকৃতির ইলিশের সংখ্যা কমছে। এ ছাড়া দূষণের কারণে নদ–নদীতে ইলিশের পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে কমছে। সেই সঙ্গে কারেন্ট জালসহ ক্ষতিকর জাল ইলিশ মাছের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
ইলিশ গবেষণায় আরও জোর দেওয়ার তাগিদ দেন ড. আশরাফুল আলম। তিনি জানান, জাটকা নিধন বন্ধ করতে পারলে বছরে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত ইলিশ উৎপাদন সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন, মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সুরাইয়া আখতার জাহান, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুর রউফ প্রমুখ।
উৎপাদন বাড়িয়ে সহজলভ্য করে তুলতে মাছের কৃত্রিম প্রজনন সারা বিশ্বেই এখন বেশ জনপ্রিয়। তবে এখনই ইলিশের কৃত্রিম প্রজননের দিকে না যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
উপদেষ্টা বলেছেন, ‘ইলিশের কৃত্রিম প্রজননের বিষয়ে এখনই আগাতে চাই না। প্রাকৃতিক সম্পদকে প্রাকৃতিক রাখাই ভালো। আমরা যদি এই মুহূর্তে সেই দিকে যাই, তাহলে আমাদের গবেষণা হারিয়ে যেতে পারে। কৃত্রিম প্রজনন আমাদের প্রাণিসম্পদের খুব বেশি উপকার করেনি। এর ক্ষতিকর প্রভাব কিন্তু ইতিমধ্যে দেখছি। এটা আমার দিক থেকে একটা সতর্কবার্তা।’
আজ শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে (বিএআরসি) ‘ইলিশ সম্পদ ব্যবস্থাপনায় প্রজনন সাফল্য নিরূপণ, জাটকা সংরক্ষণ ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, যে ১১টা দেশে ইলিশ পাওয়া যায়, তার মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম। তবে আমি মনে করি, ইলিশ একটা বৈশ্বিক মাছ। বিশ্বের একটা সম্পদ যেটা আমাদের কাছে আছে। ইলিশের ব্যবস্থাপনা ঠিকমতো করতে পারলে সারা বিশ্বের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে পারব। ইলিশকে আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরতে হবে।
ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে সবার সচেতনতা ও সহযোগিতার ওপর জোর দিয়ে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যদি যথেষ্ট সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারি, তাহলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। আর ৯৫ ভাগ জেলে যদি ইলিশ ধরা বন্ধের সময় না ধরেন, তাহলে কেন আমরা বাকি কাজটা করতে পারব না? জেলেরা যেখানে মাছ ধরতে যান, সেখানে দস্যুরা আক্রমণ করে। জেলেরা দস্যু না। তাদের চিহ্নিত করে ধরতে হবে। আমরা যে সহায়তা দিয়ে থাকি, সেখানে জেলেরাই যেন পায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’
ইলিশের একটা অর্থনৈতিক মূল্য আছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘মৌসুমে দেশ থেকে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি ইলিশ রপ্তানি করা যেতে পারে। আমরাও ইলিশ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আনতে পারি। তবে আগে আমাদের দেশের মানুষকে ইলিশ খাওয়াতে হবে।’
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আরও বলেন, ‘এবার যেন জুন মাসের পরে যখন ইলিশ বাজারে আসবে, তখন যেন দামটা ঠিক থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে। তা নাহলে জনগণ আমাকে ক্ষমা করবে না!’
সভায় বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম মূল প্রবন্ধে বলেন, দেশে ইলিশের মোট উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বাড়লেও দুই বছর যাবৎ বড় আকৃতির ইলিশের সংখ্যা কমছে। এ ছাড়া দূষণের কারণে নদ–নদীতে ইলিশের পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে কমছে। সেই সঙ্গে কারেন্ট জালসহ ক্ষতিকর জাল ইলিশ মাছের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
ইলিশ গবেষণায় আরও জোর দেওয়ার তাগিদ দেন ড. আশরাফুল আলম। তিনি জানান, জাটকা নিধন বন্ধ করতে পারলে বছরে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত ইলিশ উৎপাদন সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন, মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সুরাইয়া আখতার জাহান, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুর রউফ প্রমুখ।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ইতালি থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকাগামী ফ্লাইট (বিজি ৩৫৬) বাতিল করা হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি ফিউমিসিনো বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল।
৪ ঘণ্টা আগেপদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে ঋণচুক্তির সময় ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) উল্লেখ না থাকা কিছু কাজ পরে প্রয়োজনে যুক্ত হয়েছে। বাড়তি এসব কাজে খরচ হয়েছে ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ডলারের বর্তমান বিনিময়হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৪৭ কোটি টাকা)। এই টাকা ঋণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে প্রকল্পটিতে
১০ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদের আইনি বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা এবং বাস্তবায়ন পদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে আজ রোববার (১০ আগস্ট) থেকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেখানে তাঁরা প্রাথমিকভাবে সুপ্রিম কোর্টের মতামত, গণভোট ও অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা
১৫ ঘণ্টা আগেপ্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সফরে জনশক্তি রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে মালয়েশিয়ার সঙ্গে ৫টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হবে। দেশটির শ্রম বাজারের বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ জনশক্ত
১৫ ঘণ্টা আগে