Ajker Patrika

জবাবদিহিমূলক প্রশাসন ও সরকার যে সম্ভব, তা জনগণকে দেখাতে পেরেছি: তথ্য উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য কমিশন মিলনায়তনে আজ রোববার আয়োজিত আলোচনা সভায় কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য কমিশন মিলনায়তনে আজ রোববার আয়োজিত আলোচনা সভায় কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরে আমরা ভেবেছিলাম আমূল পরিবর্তন হবে। আমূল পরিবর্তন সম্ভব না হলেও অন্তত আমরা একটি নমুনা শুরু করতে পেরেছি। আমরা জনগণকে দেখাতে পেরেছি যে, একধরনের স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন ও সরকার সম্ভব। আমাদের অনেক ভুলত্রুটি ও ঘাটতি থাকতে পারে, তবে একই সঙ্গে আমরা হয়তো দেখাতে পেরেছি যে, এমন একটি ব্যবস্থা সম্ভব, যেখানে সুশাসন, জবাবদিহি ও স্বচ্ছতাকে বাস্তবে রূপ দেওয়া সম্ভব।’

আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য কমিশন মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্য কমিশন গঠনের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা প্রায় দেড় মাস আগে একটি প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করে আমাদের পক্ষ থেকে পাঠিয়েছি। প্রক্রিয়াটি কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। তবে আমরা আশা করি, খুব দ্রুতই তথ্য কমিশন গঠিত হবে। এটি কোনো উদ্দেশ্যমূলক বিলম্ব নয়। বরং, আমরা জুন-জুলাই মাসে কার্যক্রম শুরু করে আগস্ট মাস নাগাদ জমা দিয়েছি এবং আইনে বর্ণিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী কেবিনেট সেক্রেটারিকে অন্তর্ভুক্ত করে কমিটি গঠন, বাছাই ও উপস্থাপনের মাধ্যমে আমরা অগ্রসর হচ্ছি।

‘কমিশন অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কমিশন থাকা মানেই হলো আইনের কার্যকারিতা ও এর বাস্তবায়ন যেসব ক্ষেত্রে সম্ভব, তা প্রদর্শন করা। কমিশন আরও আগে গঠিত হলে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুশি হতাম। আমি চেষ্টা করেছি, কিন্তু সম্ভব হয়নি। আশা করি, শিগগির হবে।’

আলোচনা সভায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বর্তমান সরকার নাগরিক শক্তির সরকার এবং এর উপদেষ্টাদের প্রায় শতভাগই সিভিল সোসাইটি থেকে এসেছেন। তাঁরা নাগরিক অধিকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন। যৌক্তিকভাবে প্রত্যাশা ছিল যে, অকার্যকর থাকার কারণে পূর্ববর্তী তথ্য কমিশন বাতিল হওয়ার পর এই সরকার দ্রুত কমিশনটি পুনর্গঠন করবে।

‘কিন্তু এক বছর পার হয়ে গেল, কমিশন গঠিত হলো না। কেন হলো না—এই প্রশ্নের জবাব আমরা পাই না। এর পেছনে সরকারের কিছু লুকানোর আছে, নাকি অন্য কোনো প্রভাবশালী শক্তি কিছু গোপন রাখতে চায়, নাকি বিষয়টি অগ্রাধিকার পেল না—এসব প্রশ্নের জবাব আমরা পাইনি।’

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এক বছর ধরে কমিশন নেই—এমন দৃষ্টান্ত বিরল। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

তথ্য কমিশনের সচিব নূর মো. মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দুর্গাপূজায় অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে বিএনপি নেতার বিতর্কিত মন্তব্য

হাজি সেলিমের আজিমপুরের বাড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযান, ৬টি বিলাসবহুল গাড়ি উদ্ধার

গ্যালারিতে বসে দেখার দিন শেষ, আমরা এখন নিজে খেলব: প্রধান উপদেষ্টা

ভারত-পাকিস্তান ‘হাইভোল্টেজ’ ফাইনাল নিয়ে সুপার কম্পিউটার কী বলে

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা, যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত