গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার কমপ্লেক্সের ভেতরে একটি নারী কারাগারসহ ৪টি ও জেলা কারাগারে ১০ হাজারের বেশি বন্দী। তাঁরা কেউই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে আগ্রহী নন। কারাবন্দীদের পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হয়। কিন্তু এবার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো বন্দীই পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে আবেদন করেননি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সংশ্লিষ্ট সব কারা কর্তৃপক্ষ ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের চারটি কারাগারে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার এবং জেলা কারাগারে দেড় হাজারের বেশি বন্দী আছেন। ভোট দেওয়ার জন্য নিয়ম অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করতে হয়। নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী বিষয়টি বন্দীদের জানানো হলেও তাঁদের কেউ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে আবেদন করেননি।
কারাগার সূত্র আরও জানায়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কারাবন্দীরা ভোট দেওয়ার অধিকার পেয়েছেন। এ জন্য প্রতিবারের মতো এবারও কারাগারের বন্দীদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরিপত্র অনুযায়ী পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার আবেদনের শেষ সময় ছিল গত ৩০ ডিসেম্বর। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কারাগারের কোনো বন্দী পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার আবেদন করেননি।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, ‘এ কারাগারে ২ হাজার ৭২১ জন বন্দী আছেন। তাঁদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থাও আছে। কিছু নিয়ম-কানুন মেনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করতে হয়। নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কারাগারে বন্দীদের বিষয়টি জানিয়েছিলাম, কিন্তু তাঁদের মধ্য থেকে কেউ আবেদন করেননি।’
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের পার্ট-১ ও কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদও একই তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘পার্ট–১-এ ১ হাজার ৭০০ ও নারী কারাগারে ৬২৫ জন বন্দী আছেন। আমরা ভোটদানের পরিপত্রের বিষয়টি বন্দীদের পড়ে শুনিয়েছি। কিন্তু তাঁরা এ বিষয়ে কোনো আবেদন করতে আগ্রহ দেখাননি।’
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ সাড়ে ৩ হাজারের বেশি বন্দী আছেন। তাঁরাও ভোট দেওয়ায় আগ্রহ দেখাননি বলে জানান সিনিয়র জেল সুপার মো. আমিরুল ইসলাম।
গাজীপুরের জেল সুপার মো. আনোয়ারুল করিম বলেন, ‘জেলা কারাগারে ১ হাজার ৬০০-এর মতো বন্দী আছেন। আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী ভোটদানের বিষয়টি বন্দীদের জানিয়েছি। কিন্তু বন্দীরা কোনো আগ্রহ দেখাননি।’
এ বিষয়ে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমরা নিয়ম অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার বিষয়ে বন্দীদের জানানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কারা কর্তৃপক্ষগুলোকে চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো কারাগার থেকে এ -সংক্রান্ত কোনো আবেদন আমরা পাইনি।’
গাজীপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, এবারের নির্বাচনে জেলায় পাঁচটি আসনে ৪৮৮টি পোস্টাল ব্যালটে ভোটের জন্য আবেদন জমা পড়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাও আছেন। এসব যাচাই-বাছাই হচ্ছে।
উল্লেখ্য, অতীতে কখনো কারাগারে আটক বন্দীরা ভোট দিতে পারেননি। সাজাপ্রাপ্ত বন্দীরা ভোট দিতে পারেন না। কিন্তু যাঁদের এখনো সাজা হয়নি সেসব বন্দী পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারেন। ভোট দিতে আগ্রহী বন্দীরা জেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করলে কমিশন হাজতিদের ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করতে পারেন। এবার নির্বাচন কমিশনের পরিপত্রে প্রবাসীদের পাশাপাশি কারাবন্দীদেরও পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার কমপ্লেক্সের ভেতরে একটি নারী কারাগারসহ ৪টি ও জেলা কারাগারে ১০ হাজারের বেশি বন্দী। তাঁরা কেউই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে আগ্রহী নন। কারাবন্দীদের পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হয়। কিন্তু এবার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো বন্দীই পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে আবেদন করেননি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সংশ্লিষ্ট সব কারা কর্তৃপক্ষ ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের চারটি কারাগারে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার এবং জেলা কারাগারে দেড় হাজারের বেশি বন্দী আছেন। ভোট দেওয়ার জন্য নিয়ম অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করতে হয়। নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী বিষয়টি বন্দীদের জানানো হলেও তাঁদের কেউ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে আবেদন করেননি।
কারাগার সূত্র আরও জানায়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কারাবন্দীরা ভোট দেওয়ার অধিকার পেয়েছেন। এ জন্য প্রতিবারের মতো এবারও কারাগারের বন্দীদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরিপত্র অনুযায়ী পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার আবেদনের শেষ সময় ছিল গত ৩০ ডিসেম্বর। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কারাগারের কোনো বন্দী পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার আবেদন করেননি।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, ‘এ কারাগারে ২ হাজার ৭২১ জন বন্দী আছেন। তাঁদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থাও আছে। কিছু নিয়ম-কানুন মেনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করতে হয়। নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কারাগারে বন্দীদের বিষয়টি জানিয়েছিলাম, কিন্তু তাঁদের মধ্য থেকে কেউ আবেদন করেননি।’
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের পার্ট-১ ও কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদও একই তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘পার্ট–১-এ ১ হাজার ৭০০ ও নারী কারাগারে ৬২৫ জন বন্দী আছেন। আমরা ভোটদানের পরিপত্রের বিষয়টি বন্দীদের পড়ে শুনিয়েছি। কিন্তু তাঁরা এ বিষয়ে কোনো আবেদন করতে আগ্রহ দেখাননি।’
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ সাড়ে ৩ হাজারের বেশি বন্দী আছেন। তাঁরাও ভোট দেওয়ায় আগ্রহ দেখাননি বলে জানান সিনিয়র জেল সুপার মো. আমিরুল ইসলাম।
গাজীপুরের জেল সুপার মো. আনোয়ারুল করিম বলেন, ‘জেলা কারাগারে ১ হাজার ৬০০-এর মতো বন্দী আছেন। আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী ভোটদানের বিষয়টি বন্দীদের জানিয়েছি। কিন্তু বন্দীরা কোনো আগ্রহ দেখাননি।’
এ বিষয়ে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমরা নিয়ম অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার বিষয়ে বন্দীদের জানানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কারা কর্তৃপক্ষগুলোকে চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো কারাগার থেকে এ -সংক্রান্ত কোনো আবেদন আমরা পাইনি।’
গাজীপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, এবারের নির্বাচনে জেলায় পাঁচটি আসনে ৪৮৮টি পোস্টাল ব্যালটে ভোটের জন্য আবেদন জমা পড়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাও আছেন। এসব যাচাই-বাছাই হচ্ছে।
উল্লেখ্য, অতীতে কখনো কারাগারে আটক বন্দীরা ভোট দিতে পারেননি। সাজাপ্রাপ্ত বন্দীরা ভোট দিতে পারেন না। কিন্তু যাঁদের এখনো সাজা হয়নি সেসব বন্দী পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারেন। ভোট দিতে আগ্রহী বন্দীরা জেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করলে কমিশন হাজতিদের ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করতে পারেন। এবার নির্বাচন কমিশনের পরিপত্রে প্রবাসীদের পাশাপাশি কারাবন্দীদেরও পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজধানীর উত্তরা থানা পুলিশ রোববার (২২ জুন) একটি সুনির্দিষ্ট মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তবে এ সময় ‘মব’ কর্তৃক সৃষ্ট বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এবং অভিযুক্তকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনা সরকারের নজরে এসেছে।
৩৮ মিনিট আগেভারতীয় টিভি চ্যানেল রিপাবলিক বাংলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং বাংলাদেশে তাদের সম্প্রচার নিষিদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
৩ ঘণ্টা আগেপররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই হামলার পরিণতিতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা ইতিমধ্যেই নাজুক একটি অঞ্চলের স্থিতিশীলতা আরও বিঘ্নিত করার ঝুঁকি তৈরি করেছে, যা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি হুমকিস্বরূপ। বাংলাদেশ সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা
৫ ঘণ্টা আগেদূতাবাস বলছে, তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন স্থানে বৈধ ও অবৈধভাবে অবস্থান করছেন প্রায় আড়াই হাজার বাংলাদেশি। তাঁদের মধ্যে ২০০ শিক্ষার্থী, দূতাবাসের কূটনীতিক কর্মী, তাঁদের পরিবারসহ প্রায় ৪০ জন, চিকিৎসার জন্য সেখানে যাওয়া কিছু রোগীসহ প্রায় ৩০০ জনের নিরাপত্তা ও অন্যান্য ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি।
৫ ঘণ্টা আগে