Ajker Patrika

কঠোর লকডাউনে খোলা থাকবে পোশাক কারখানা, সীমিত পরিসরে চলবে ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ২৭ জুন ২০২১, ০০: ১৬
কঠোর লকডাউনে খোলা থাকবে পোশাক কারখানা, সীমিত পরিসরে চলবে ব্যাংক

ঢাকা: আগামী সোমবার থেকে কঠোর লকডাউনের মধ্যে পোশাক কারখানাসহ রপ্তানিকারক শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকবে। সীমিত পরিসরে চলবে ব্যাংকিং কার্যক্রম।

সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ করে দিয়ে লকডাউনের মধ্যে মানুষকে ঘরে রাখতে পুলিশের সঙ্গে বিজিবি কাজ করবে। লকডাউন কার্যকর করতে সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানো হবে কি না, তা প্রজ্ঞাপনে জানিয়ে দেওয়া হবে।

আজ শনিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, শনিবার সন্ধ্যার পরে একটি সভা হবে, সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। এরপর কঠোর লকডাউন কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে তা জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, কীভাবে লকডাউন কার্যকর করা হবে, সে বিষয়ে শনিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠানোর পর তিনি তা অনুমোদন করলে শনিবার রাতে বা রোববার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

শনিবার প্রজ্ঞাপন না হলেও ২৮ সোমবার থেকে সাত দিন সারা দেশে কঠোর লকডাউন থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ। তিনি বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশের সঙ্গে বিজিবি মোতায়েন করা হবে। সেনাবাহিনী মাঠে নামবে কি না, তা প্রজ্ঞাপন হওয়ার আগে বলা যাচ্ছে না।

ফরহাদ বলেন, ‘কঠোর লকডাউনের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলো খোলা থাকবে। খুবই সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা থাকবে। পোশাক কারখানার সঙ্গে এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকবে। প্রতিটি বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বিস্তারিতভাবে বলে দেওয়া হবে।’

কঠোর লকডাউনের মধ্যে জরুরি পণ্যবাহী ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না এবং গণমাধ্যম লকডাউনের আওতার বাইরে থাকবে বলে শুক্রবার রাতে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এর আগে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশে ১৪ দিনের শাটডাউনের সুপারিশ করে কোভিড-১৯সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। গত বুধবার জাতীয় কমিটির ৩৮তম সভা থেকে এ সুপারিশ করা হয়। 

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন শুরু করে সরকার। ধাপে ধাপে এর মেয়াদ বাড়িয়ে বিধিনিষেধগুলো পর্যায়ক্রমে শিথিল করা হয়। বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিনোদন ও পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। এর বাইরে অন্য সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছে। 

বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত বাড়ালেও গত ১৭ জুন থেকে স্বাভাবিকভাবে চলছে সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ২২ জুন থেকে ৯ দিনের জন্য নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ জেলায় কঠোর লকডাউন দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত