Ajker Patrika

এক বছরে বিসিএস পরীক্ষা শেষ করার পরিকল্পনা পিএসসির

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২০: ৪৭
মোবাশ্বের মোনেম। ছবি: সংগৃহীত
মোবাশ্বের মোনেম। ছবি: সংগৃহীত

বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি থেকে চূড়ান্ত ফল প্রকাশের প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা কমিয়ে তা এক বছরে নামিয়ে আনতে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম। বর্তমানে যে পদ্ধতিতে বিসিএস পরীক্ষা নেওয়া হয় বা খাতা দেখা হয়, তাতে পুরো প্রক্রিয়ায় সাড়ে তিন বছর সময় লেগে যায় জানিয়ে তিনি খাতা দেখার প্রক্রিয়া পরিবর্তনে কমিশনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) কমিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে তিনি ওই পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।

পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের ওপর যে অর্পিত দায়িত্ব, সেটা হচ্ছে বিসিএসের সাড়ে তিন বছরটা কমিয়ে এক বছর করা। এক বছর করতে হলে বর্তমান যে সিস্টেমে পরীক্ষা নেওয়া হয়, আমরা যদি চেষ্টাও করি সেটা সম্ভব, কতটা হবে আমি সন্দিহান। আমাদের উদ্ভাবনীমূলক ব্যবস্থায় যেতেই হবে। উন্নত দেশেও সেটা করা হয়।’

বিসিএস প্রক্রিয়ার সময় কমিয়ে আনতে কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল টার্গেটটা হচ্ছে, বিসিএসের যে পরীক্ষা এখন হয়, আমরা জানি অন অ্যান এভারেজ থ্রি অ্যান্ড হাফ ইয়ার্স লেট হয়, আমরা এ বিষয়টা জানি। আমরা জানি, এ বিষয়টা কমানো উচিত। তার জন্য আমরা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি বা করছি। আমরা প্রতিদিনই আলোচনার সময় আমাদের কাছে আসে, আমরা কী করলে এ সময়টা কমিয়ে আনা যায়।’

৪৬তম বিসিএসে লিখিত পরীক্ষা থেকে পিএসসির ভেতরেই খাতা দেখার ব্যবস্থা করা হবে উল্লেখ করে অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম আরও বলেন, ‘পিএসসির ভেতরেই খাতা দেখার ব্যবস্থা করার কথা আমরা ভেবেছি। আমরা নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছি। কারণ, আমরা খাতা পাঠাই, প্রথম পরীক্ষকের কাছে যায়। প্রথম পরীক্ষক দেড়-দুই মাসব্যাপী পুরোটা খাতা দেখেন। যখন ওগুলো ফিরে আসে, আমরা সেকেন্ড এক্সামিনারের কাছে পাঠাই। সেকেন্ড এক্সামিনার একই রকমের সময় নেন। খাতা দেখতে তিন-চার মাস লেগে যায়। তারপরও যদি এমন হয়, দুজন পরীক্ষকের দেওয়া নম্বরের মধ্যে পার্থক্যটা ২০-এর বেশি হয়, তাহলে থার্ড এক্সামিন করতে হয়। তাহলে খাতা দেখানোর যে প্রক্রিয়া, সেটি আমাদের সময় কমানোর যে চিন্তা, সে চিন্তার সঙ্গে যায় না।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনি (কোনো পরীক্ষক) যদি কম নম্বর দেন, তাহলে রোল নম্বর যাতে না জানা যায়, আমরা সেটির ব্যবস্থা করব। ওনার রোল নম্বর যদি জেনেও যান, বাকি যে প্রশ্নগুলো আছে, সেগুলোর সবাই তো আর এক রকম নম্বর দেবে না। একটা বারকোড থাকে। সেই বারকোড যখন আমরা স্ক্যান করব, তখন আমরা জানব যে একজন পরীক্ষার্থী কোন প্রশ্নে কত নম্বর পেয়েছেন।’

হঠাৎ কোনো সিদ্ধান্ত কমিশন নেবে না জানিয়ে অধ্যাপক মোনেম বলেন, ‘আমরা যা কিছুই করি না কেন, হুট করে করব না। আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করব, পাইলটিং করব, এক্সপেরিমেন্ট করব।’

গত কমিশন ৪৫তম বিসিএসে গণিতের ক্ষেত্রে এ প্রক্রিয়া অবলম্বন করেছে তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সেখানে দেখা গেছে, খাতা অতিদ্রুত দেখা সম্ভবপর হয়েছিল। ওটা ছিল গণিত, টেকনিক্যাল একটা সাবজেক্ট। আমি যখন সোশিওলজির খাতা দেখব, সেটা তো ভিন্ন রকমের হবে। সেটা কেমনভাবে করা যেতে পারে, সেখানে কজ অ্যান্ড ক্লজগুলো কী রকম হবে, সেটা পাইলটিং করলে বুঝতে পারব, এক্সপেরিমেন্ট করলে বুঝতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি বাসভবনে একাই থাকতেন শরীয়তপুরের ডিসি, পরিবার থাকত ঢাকায়

স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে ফাঁস দিলেন স্ত্রী

‘তোরা তো পুলিশ মারছিস, ফাঁড়ি জ্বালাইছিস’ বলেই জুলাই যোদ্ধাকে মারধর

ইরানে ভূমিকম্প নিয়ে পারমাণবিক পরীক্ষার জল্পনা, যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

বুশেহরে হামলা হলে মধ্যপ্রাচ্যে ‘ফুকুশিমা’ ঘটতে পারে, বিশ্লেষকদের হুঁশিয়ারি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত